Ads

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪ @মিঃ মধু

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু
বেশি আবেগপ্রবণ হওয়া অপরাধ

বাড়িতে ডেকে আদর আপ্যায়ন করা মানুষটাও তোমায় একদিন দূরে ঠেলে সরিয়ে দিতে পারে, 
তোমার চোখের জল মুছিয়ে তোমার ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে দেওয়ার মানুষটাও একদিন তোমায় ন্যাকা, 
সস্তা, ফালতু মনে করতে পারে....।

ভেঙে পড়ার সময় কাঁধ বাড়িয়ে দেওয়ার মানুষটাও একদিন তোমায় অবিশ্বাস করতে পারে, 
তোমায় সুন্দর জিনিস উপহার দেওয়ার মানুষটাও একদিন তোমার জীবনে বিষ ঢেলে দিতে পারে.....
তোমায় ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে ধরা মানুষটাও একদিন তোমার বুকেই ছুরি বসাতে পারে....
তোমায় গোটা পৃথিবী মানা মানুষটাও একদিন তোমায় ফোন করে বলতে পারে 
"আমার ঠিক আর ভালো লাগছে না এই রিলেশনশিপে থাকতে".....।

তোমায় নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া মানুষটাও তোমার ফোনকলস ইগনোর করতে পারে, 
তোমার প্রোফাইল সারাদিন স্টক করে তোমায় নিয়ে নিজের বন্ধুমহলে বাজে কথা বলতে পারে.....
কাজেই নিজের আবেগকে সংযত করো, এখনকার দিনে বেশি আবেগপ্রবণ হওয়া অপরাধ, 
ভীষণ আবেগপ্রবণ মানুষরা যে কোনও কাউকে খুব অল্প সময়ে বিশ্বাস করে ফেলে। 

খুব আবেগপ্রবণ মানুষরা খুব অল্প সময়ে যে কোনো কাউকে বিশ্বাস করে
নিজের সমস্ত গোপন কথা খুলে বলে দেয়....
আবেগহীন হওয়া যেমন অপরাধ, তেমনই খুব আবেগপ্রবণ হওয়াও অভিশাপ, 
যে অভিশাপ সারাজীবন নিজেকেই বহন করে নিয়ে বেড়াতে হয়....
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

সব বৃষ্টি মনখারাপের হয় না

অসময়ে বৃষ্টি এলে হাতের মুঠোয় জল নিয়ে মাখিয়ে দিতে ইচ্ছে করে প্রিয় মানুষের গালে। 
গলায় সুর না থাকলেও গান গাইতে ইচ্ছে করে, ঠান্ডা হাওয়ায় ভিজতে ইচ্ছে করে...
ঠোঙা ভর্তি গরম জিলিপি নিয়ে রাস্তার ধারে টিনের শেডের নীচে দাঁড়িয়ে খেতে ইচ্ছে করে, লাল নীল কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাতে ইচ্ছে করে....।

ব্যাগের মধ্যে ছাতা ঢুকিয়ে কাছের মানুষের গা ঘেষে হাঁটতে ইচ্ছে করে, 
রাস্তায় জমা কাদাজলে জুতো খুলে লাফাতে ইচ্ছে করে.....
গলির ভেতর ঢুকে ঠোঁট ঠোঁট ঢুকিয়ে চুমু খেতে ইচ্ছে করে, একটা সাইকেল কারোর কাছ থেকে ধার নিয়ে কোনো একটা অচেনা জায়গায় চলে যেতে ইচ্ছে করে, যেখানে কেউ আমাদের চিনবে না। 
নামহীন স্টেশনে বসে দুকাপ চা খেতে ইচ্ছে করে মাটির ভাঁড়ে....।

খুব জোরে জাপটে ধরতে ইচ্ছে করে মানুষটাকে, যাতে হাত ফস্কে পালাতে না পারে কোনোদিন...
সব বৃষ্টি অভিমানের হয় না, সব বৃষ্টি অযত্নের হয় না, সব বৃষ্টি অনাদরের হয় না, 
সব বৃষ্টি কান্না লুকোনোর হয় না।
কিছু বৃষ্টিতে দুটো মানুষ একে অপরকে ভালোবাসার, 
কাছে আসার আবদারে ভিজিয়ে দেয় আদ্যোপান্ত...
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

এমনটা প্লিজ ভাববেন না

কোনো ছেলে এগিয়ে এসে কথা বলতে চাইলেই, বা আপনার হাসি, 
চোখ বা আপনার গুণের প্রশংসা করলেই সে আপনার সাথে শুতে চাইছে! 
এমনটা প্লিজ ভাববেন না...।

কোনো মেয়ে রাত জেগে থাকা মানেই সে আপনার সাথে কথা বলার জন্য প্রস্তুত, 
এমনটাও ভাববেন না প্লিজ....।
কোনো ছেলে যদি বারবার চাকরির পরীক্ষায় অসফল হয়, 
তার মানেই সে আর কোনোদিন কোনোকিছু করতে পারবে না, তার জীবনটা নষ্ট, এমনটা ভাববেন না। 
একটু ভরসা রাখুন, ঠিকই একদিন সে পারবে....।

কোনো মেয়ে যদি বিয়ের পর চাকরি করতে চায়, তার মানেই যে সে আর শশুর বাড়ির দায়িত্ব নেবে না, 
শশুর শাশুড়িকে দেখবে না, এমনটা ভাববেন না প্লিজ, দেখবেন দুদিকটাই ঠিক সামলে নেবে....
প্রেমিকা ছেড়ে যাওয়ার সময় কোনো ছেলে যদি কান্নাকাটি করে, প্রেমিকাকে আটকাতে চায়, 
তারমানেই যে ছেলেটি আর কোনো মেয়ে পাবে না, বা ছেলেটি ভীতু, দুর্বল এমনটা ভাববেন না। 
আসলে যে ভালোবাসে, সে তার কাছের মানুষকে কিছুতেই ছাড়তে চায় না, 
শেষ অবধি চেষ্টা করে আটকানোর....।

আরও পড়ুন 👇👇
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩

কোনো মেয়ে যদি নিজের ভালোবাসার মানুষের ভুলগুলো বারবার ক্ষমা করে দেয়, তারমানেই যে মেয়েটি নির্ভরশীল ছেলেটির উপর তাই ভুলগুলো ক্ষমা করে দিচ্ছে, এমনটা নয়। আসলে ভালোবাসার মানুষকে আমরা বারবার সুযোগ দিতে ভালোবাসি.....
মেয়েটা মা হতে চাইছে না মানেই মেয়েটার শারীরিক সমস্যা আছে, বা মেয়েটির বৈবাহিক জীবন সুখের নয়, এমনটা ভাববেন না প্লিজ। মা হওয়াটা একটা চয়েজ, একটা নিজস্ব স্বাধীন অধিকার....

ছেলেটি চুপচাপ থাকে মানেই সে ভীষণ অহংকারী, দাম্ভিক কিংবা হয়তো আনস্মার্ট, কথা বলতে পারে না, এমনটা ভাববেন না প্লিজ। কেউ কেউ নিজের মনের মতো মানুষ খুঁজে বেড়ায় কথা বলার জন্য, সবার সাথে মিশতে পারে না...
দূর থেকে অনেকেই অনেককিছু বিচার করে, কিন্তু কাছ থেকে একবার মিশে দেখুন, 
কথা বলে দেখুন, সবাই সমান নয়....
তাই দূর থেকে বিচার করা বন্ধ করুন...।
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

আপনার এত ফাটে কেন?

শুনুন, কোনো মেয়ে যদি নিজের প্রেমিকের সাথে ঘনঘন ফেসবুকে ছবি আপলোড করে! 
কোনো ছেলে যদি নিজের প্রেমিকাকে ডেডিকেট করে চারটে কবিতার লাইন লেখে, 
তাতে আপনার এত ফাটে কেন?
কোনো মেয়ে যদি প্রেমিকের কাছ থেকে পাওয়া উপহার হোয়াটস এপের স্ট্যাটাসে দেয়, 
কোনো মধ্যবয়স্ক লোক যদি নিজের স্ত্রীর জন্মদিন সেলিব্রেট করার ছবি ফেসবুকের স্টোরিতে দেয়, 
তাতে আপনার সমস্যা কোথায়?

কোনো ছেলে যদি ভিড় রাস্তায় নিজের প্রেমিকাকে প্রপোজ করে, কোনো মেয়ে যদি তিনবেলা তার প্রেমিককে "খাওয়া হলো" কিনা জিগ্যেস করে, তাতেই বা আপনার কেন মনে হয় সবই আদিখ্যেতা?
কোনো স্ত্রী যদি রাতের খাবারটা স্বামীর হাতে খেতে চায়, কোনো পুরুষ যদি স্ত্রী ঘুম থেকে ওঠার আগে তার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে যায় বেডরুমে, তাতেই বা আপনার কেন মনে হয় তারা ভীষণ ন্যাকা?
কোনো ছেলে যদি নিজের প্রেমিকার নামের প্রথম অক্ষরটা ট্যাটু করায় নিজের হাতে, কোনো মেয়ে যদি ভিড় ট্রেনে তার প্রেমিককে জড়িয়ে ধরে থাকে, তাহলে অসুবিধেটা কোথায়?

না কোনো ন্যাকামি নয়, না কোনো আদিখ্যেতা নয়, এটাও ভালোবাসা, ভালোবাসায় কেউ চুপ শান্ত ধীর স্থির হয়ে যায়, আবার কেউ কেউ চিৎকার করে নিজের ভালোবাসাকে সকলের সামনে প্রকাশ করতে চায়...
সবকিছুতেই এত বিচার কেন করেন? যে যার মতো করে ভালোবাসে, ভালোবাসতে দিন...
যদি বলেন "শো অফ" করছে, তাতেই বা কি হয়েছে! ভালোবাসারই তো "শো অফ" করছে, 
ভালোবাসাই তো ছড়িয়ে দিচ্ছে! রাগ হিংসে, নোংরামি তো ছড়াচ্ছে না...।

ভালোবাসার "শো অফ" করা ভালো, তাতে দুটো মানুষকে দেখে আর পাঁচটা মানুষ নিজের প্রেমিক প্রেমিকার কথা ভাবে ব্যস্ত ট্রাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে....
জীবনটা কোনো কবিতা বা সাহিত্য নয়, যে নিজের জীবনটাকে যেভাবে পারে আনন্দ করে, উপভোগ করে বাঁচুক, শুধু অন্যের ক্ষতি না করলেই হলো....
দয়া করে কাউকে আপনার নিজের মতো করে বিচার করবেন না, জীবনটা জটিল না করে সহজ ভাবে বাঁচাই হলো জীবন থেকে পাওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার, সবার এই উপহার পাওয়ার অধিকার আছে....।
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

সম্পর্ক সবসময় নারী ও পুরুষের ভেতর হয় না

সম্পর্ক বলতেই আমাদের মাথায় আসে একজন নারী ও একজন পুরুষ, কি তাইতো! সেই কারণেই হয়তো দুজন মেয়ে বা দুজন ছেলে যখন একসঙ্গে সংসার করতে চায়, তখন আমাদের মধ্যে অনেকেরই চোখ মাথায় উঠে যায়, কিংবা অনেকেরই হাসিতে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করে।
সম্পর্ক সবসময় নারী ও পুরুষের ভেতর হয় না, দুটো মানুষের ভেতর হয়। সেই দুটো মানুষ দুজন নারী হতে পারে, দুজন পুরুষ হতে পারে, আবার দুজন নারী পুরুষও হতে পারে....।

দুটো মানুষ নিজের ইচ্ছেতে যখন একসঙ্গে থাকতে চায়, সেখানে নাক গলানোটাকে, তাদের একসঙ্গে থাকতে না দেওয়াকে, জোর করে তাদের আলাদা করে দেওয়াকে কি বলে জানেন? অপরাধ! 
আপনি যদি এই কাজটি করে থাকেন, তাহলে আপনি অপরাধী🙂।

শুনুন, নারী বা পুরুষ নয়, একজন মানুষ হিসেবে মানুষকে আগে সম্মান করতে শিখুন, মানুষ হয়ে মানুষের ইচ্ছেকে, চিন্তা ধারাকে সম্মান করতে শিখুন। নিজের পছন্দ অপছন্দকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেন না....
যারা ভালোবাসে, তাদের ধর্ম জাতপাত লিঙ্গের ভিত্তিতে আলাদা করে দেবেন না, বরং তাদের এক করে দিন, তাদের এক হতে সাহায্য করুন, দেখবেন আপনিও আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকতে পারবেন...।

আপনি অন্নেক শান্তি পাবেন, আপনার ভেতরে একটা আশ্চর্যরকম শক্তি কাজ করবে, আপনার মনে হবে আপনি সমাজের কিছু চিরাচরিত গোঁড়ামি, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে একটা জয় হাসিল করেছেন। 
আপনি জিতে গেছেন, আর এভাবেই আমরা একদিন জিতে যাবো হয়তো....
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

আমরা হেরে যাই, মুখ থুবড়ে পড়ি

"হিংসে" শব্দটা খুবই ছোট, কিন্তু এই ছোট্ট শব্দটাই আমাদের গোটা একটা জীবনকে শেষ করে দিতে পারে, আমাদের ক্লান্ত চোখ থেকে ঘুম আর শান্ত মন থেকে শান্তি কেড়ে নিতে পারে.....
আমরা বেশিরভাগ কেউই প্রিভিলেজড নই, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাইনি, আমাদেরকে প্রতিটা পরিস্থিতি সাথে লড়তে হয়, আমরা যে সব লড়াইয়ে জিতি, এমনটা নয়!....।

আমরা হেরে যাই, মুখ থুবড়ে পড়ি, ফ্রাস্ট্রেটেড হই, তারপর আমরা নিজেদের সাথে অন্যের তুলনা করি, 
তার থেকেই জন্ম নেয় এক গভীর হিংসেবোধ....
পৃথিবীতে খুব কম মানুষই এমন আছে, যাদের ভেতর কোনোকিছুর জন্য কোনো হিংসেবোধ কাজ করে না...
আমরা মুখ থুবড়ে পড়া মানুষরা বেশিরভাগ সময় অন্যের সাথে নিজের তুলনা টেনে আনি খুব তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ ব্যাপারে....।

অমুকের এত টাকা আছে অথচ ওর থেকে আমি পরিশ্রম করি বেশি তবুও আমার টাকা নেই কেন....
তমুককে দেখতে কত সুন্দর! আমাকে দেখতে নয় কেন....
অমুকের বর কত যত্ন নেয়, অমুকের প্রেমিকা একটুও সন্দেহ করে না, অমুকের প্রেমিক কত কি উপহার দেয়, তমুকের মা বাবা কত ভালো, নিজের ছেলে মেয়ের মন বুঝতে পারে, তমুকের পরিবার কত ভালো.....
যেন মনে হয় সবাই খুব ভালো আছে এবং সুস্থ ও সুন্দর আছে একমাত্র আমাকে বাদ দিয়ে....
বিষয়টা হলো, হিংসে শুধুমাত্র মানুষকে নয়, সম্পর্কগুলোকেও শেষ করে দেয়....।

শুনুন, আমরা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েরা কেউই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাইনি, তাই আমাদের সমস্ত ইচ্ছেগুলোকে আমাদেরই পূরণ করতে হবে.....
হ্যাঁ আমাদের লড়াই করতে হবে, জীবনে লড়াই না করে যারা সবকিছু পেয়ে যায়, তাদের সাফল্যের কাহিনী বা ব্যর্থতার গল্প শোনার জন্য কারোর ভেতর কোনো ইন্টারেস্ট থাকে না....
আপনি লড়াই করে সাফল্য পেলে সব্বাই আপনাকে নিজের অনুপ্রেরণা বানাবে, যাতে আপনার সাফল্যের কাহিনী শুনে অনেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে, নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করুন....
নিজের ভেতরের হিংসেটাকে জেদে পরিণত করুন, আর অন্য অনেকের চেয়ে নিজেকে অনেক উঁচুতে প্রতিষ্ঠিত করুন....।

আমরা যারা নিজের কাছে যা কিছু আছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট নই, তাদের মনের ভেতর একটাই জেদ থাকা উচিত,
"অমুকের কাছে যা কিছু আছে, একদিন আমার কাছেও থাকবে, কিংবা তার থেকেও বেশি থাকবে" ব্যস এটুকু ভাবলেই আমরা অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবো....
আজ হয়তো হচ্ছে না, একদিন ঠিক হবে, শুধু বারবার ভেঙে পড়ার পরেও উঠে দাঁড়ানোর জেদ থাকতে হবে....
বারবার ব্যর্থতা থেকে ফ্রাস্ট্রেশন আসবেই, যতবেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হই আমরা, ততবেশি কাজ করার শক্তি কমে আসে...
হ্যাঁ আমাদের কাছে হয়তো অনেককিছুই নেই, কিন্তু আমাদের ভেতর জেদ থাকলে একদিন আমরা সাফল্য পাবোই, কোনো না কোনো ভাবে পাবোই....।

কিছু মানুষকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে নেই

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু
এক একটা সম্পর্ক খুব ধুমধাম করে শুরু হয়, দুটো মানুষই রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেয়, দেখা হলেই চুমু খায় ঘনঘন, জড়াজড়ি করে নিজেদের ছবি দেয় ফেসবুকে, সেকেন্ডে সেকেন্ডে কাছের মানুষকে নিয়ে গুচ্ছ কবিতা লেখে....
তারপর যখন খুব ধীরে ধীরে কাছের মানুষকে খুব কাছ থেকে চিনতে শুরু করে, তখন একঘেয়েমি লাগে, বিরক্ত লাগে, উল্টোদিকের মানুষটার ছোট ছোট খুঁত গুলো বড্ড বেশি করে চোখে লাগে.....
দিনরাত ঝগড়া, অশান্তি, নোংরা খিস্তি, দোষারোপ, অপমান, পাল্টা অপমান চলতে থাকে...
অসহ্য লাগে, কতক্ষণে মুক্তি, আর কতক্ষণ! চারদশকের প্রেম কাটিয়ে আলটিমেটলি যখন সম্পর্কটা একদিন শেষ হয়, ভেতর ভেতর একটা উথালপাথাল হয় তখন, বাইরে কিন্তু দিব্যি ভালো থাকার মুখোশ পরে ঘোরে.....।

এদিকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যায় দুটো মানুষের রাতের ঘুম, সকালের ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাবার, বিকেলে চায়ের কাপ হাতে বারান্দায় দাঁড়ানো, সন্ধের বাজার....
মনে হয় যেমনই ছিল, তবুও তো ছিল মানুষটা, দমবন্ধ করা চিনচিনে যন্ত্রণা আঁকড়ে ধরে আষ্টেপৃষ্ঠে, না পারে চিৎকার করে কেঁদে উগরে দিতে সমস্তটা, আর না পারে পোয়াতি মেয়ের মতো দীর্ঘসময় বয়ে নিয়ে বেড়াতে দুঃখগুলো....।

ঠিক এই মুহূর্তে এমন একটা মানুষ দরকার, যার সাথে কথা বললেই মন ভালো হয়ে যায়....
তাকে আমরা কক্ষনো দেখবো না, তাকে খুব কাছ থেকে জানার চেষ্টাও করবো না, বড্ড অচেনা হবে মানুষটা, টুকটাক কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে তাকে যতটুকু ছুঁয়ে থাকা যায়, অনুভব করা যায়, স্পর্শ করা যায়, ব্যস ওটুকুই, এর বেশি কিছু নয়....।

আসলে, কিছু মানুষ নরম রোদ হয়ে আমাদের গালে আলতো হাত বুলিয়ে দিতে জানে...
কিছু মানুষের প্রেমে কোনোদিন পড়তে নেই, প্রেমে পড়লে মানুষগুলো সস্তা হয়ে যায়, অধিকার বোধ জন্মে গেলে ভালো লাগা উবে যায়....।

সব ঘর তো নিজের হয় না তাই না! তবুও তো আমরা নিজেদের ঘর ভেবে কত আশ্রয়কে আপন করে ফেলি, কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলি, কত বেনামি কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি, কত স্মৃতি জমিয়ে ফেলি.....
কিছু মানুষকে বাস্তবে রাখতে নেই, জীবনের খাতায় রাখতে নেই, 
শুধু মনখারাপের দিনে তাদের কাছে যেতে হয়....।

কিছু মানুষকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে নেই, আবার হুটহাট খরচ করে ফেলতেও নেই, 
কিছু মানুষকে স্রেফ আজীবন ধরে স্মৃতির পাতায় সঞ্চয় করে যেতে হয়.....।
 




চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

আমরা যাঁরা বোকা মূর্খ সব হারানোর দলে

কিছু মানুষ বড্ড বোকা হয়, সবার চালাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে নিজের গোটাজীবনটা পার করে দেয়...
নিজের জীবন নিয়ে কখনো বেশি কিছু ভাবে না এই মানুষগুলো, বারবার ঠকে সবার কাছে তবুও সবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় হাসিমুখে...।

খুব সামান্য ইনকামেই এই মানুষগুলোর দিন চলে যায়, এই সাদামাটা মানুষগুলোর কোনো বিলাসিতা নেই, কোনও চাহিদা নেই, কোনো প্রলোভন নেই, কারোর প্রতি কোনো হিংসে নেই, 
কোনো লোক দেখানো আড়ম্বর নেই...।

কেউ বাজে রসিকতা করলেও এই বোকাসোকা মানুষগুলো চুপচাপ সরে আসে, কারোর সাথে কোনো তর্ক বিতর্কে জড়ায় না। এই মানুষগুলোর ভেতর প্রতিবাদ নেই, চিৎকার নেই, আঘাত পেলে মুখ বুজে সরে আসে, কাউকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য কোথাও করে না...

কাউকে ভালোবাসলেও নিজের ভেতর চেপে রাখে, 
নিজের মনের কথাগুলো কখনো কাউকে বুঝতে দেয় না....।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাটাদিন কাজ করলেও একটুও ক্লান্তি নেই মানুষগুলোর চোখেমুখে, 
বরং একটা স্নিগ্ধ হাসি লেগে থাকে সবসময় ঠোঁটের কোনায়...
খুব অল্প টাকা নিজের জন্য রেখে বাকিটা নিজের পরিবারের হাতে তুলে দিতে জানে এই মানুষগুলো, 
যদিও এই সহজ সরল মানুষগুলো নিজের পরিবারের কাছেই বোঝা হয়ে থেকে যায় গোটাজীবন....।

সামান্য ভুল হলেই মানুষগুলোকে শুনতে হয় "এইটুকু কাজও মন দিয়ে করতে পারিস না? 
তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না".....
কিছু মানুষ নিজের সবটুকু বিলিয়ে দেওয়ার পরও অযোগ্য হয়ে থেকে যায় প্রিয়জনদের কাছে....
এই ভিড়ের মধ্যে মিশে যাওয়া আড়ম্বরহীন মানুষগুলো মুখচোরা হয় খুব, বিয়েবাড়িতে ছবি তোলার সময় একদম পেছনের সারিতে থাকে, রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে একদম কোনায় চেপে বসে, 
চামচের বদলে হাত ব্যবহার করে খাওয়ার সময়....।

মানুষগুলো নিজের ছবি তুলতে ভালোবাসে না, কিন্তু অন্য কেউ ছবি তুলে দিতে বললে খুব যত্নে ছবি তুলে দেয়...

এই মানুষগুলো সারাজীবন বুকের ভেতর পাথর জমিয়ে সবার সামনে হাসতে পারে, সবার মন ভালো করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, কাউকে গোমড়ামুখো দেখতে পছন্দ করে না.....
এই মানুষগুলো নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখে সবার আড়ালে, সবার দোষ নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়ে হাসতে হাসতে সরে যেতে পারে অন্ধকারে....।

নিজের মানুষদের কাছেই আজীবন ঠকতে ঠকতে ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায় মানুষগুলো, তবুও তাঁরা কোনোদিন ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে না, কারোর বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ জানায় না....

এত চালাক মানুষের ভিড়ে এরকম বোকাসোকা মানুষ কিছু থাকা ভালো, জীবনটা সহজ হয়....
এই মানুষগুলোই আমাদেকে ভালোবাসার, কর্তব্যবোধের, দায়িত্ববোধের আসল মানে শিখিয়ে দিয়ে যায়....।
 




চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

তারা কোথায় যেন হারিয়ে যায়

ছেড়ে যাওয়ার পর কিছু মানুষকে আর একটুও মনে পড়ে না, তারা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। 
সাবানের গ্যাজার মতো হয় কিছু মানুষ, যতক্ষণ গায়ের মধ্যে ঘষি, ততক্ষণই গ্যাজা হয়, 
ধুয়ে নিলেই আর কিচ্ছু থাকে না....।

ছেড়ে যাওয়ার পর এক একটা মানুষের গায়ের গন্ধ, কাছে আসার স্পর্শটুকুও আর মনে থাকে না, 
কেমন যেন সব থিতিয়ে যায়। অথচ মানুষটা থাকাকালীন যতবার ছেড়ে যেতে চেয়েছে, আমরা কান্নাকাটি করেছি, বৃষ্টির দিনে একসাথে ভিজেছি, লম্বা ঘাসের উপর বসে একে অপরের চোখের দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থেকেছি....।

কত কথা বলেছি, যা কিছু কোনোদিন কাউকে বলিনি, সব সবটা বলেছি….

কিন্তু মানুষটা আল্টিমেটলি যখন বিচ্ছিরিভাবে ছেড়ে যায়, তখন স্রেফ দুদিন মনখারাপ হয়, জ্বর আসে, ভাত খাওয়ার সময় গলা ধরে আসে, রাতে ঘুম পায় না, কান্না পায়, কিন্তু তারপর আর একটুও মনে থাকে না...
তার কাছে আসাও মনে থাকে না, ছেড়ে যাওয়াও মনে থাকে না, এমনকি তার দেওয়া উপহার দেখলেও খুব আবছা কিছু স্মৃতি মনে পড়ে, ভালো করে তার মুখটাও আর মনে পড়ে না....।

কিছু মানুষ জড়িয়ে পড়তে জানে না, তাই তারা ছেড়ে যাওয়ার পরও তেমন কোনো আক্ষেপ থাকে না, 
তাদের ফিরে আসার অপেক্ষাও না....
খুব সহজেই কিছু মানুষকে আমরা ভুলে যাই, তারা আমাদের অভিমানে, অভিযোগে, প্রার্থনায়, 
কোথাওই থাকে না....।
 




চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

আমরা ভীষণ সাদামাটা ও অযোগ্য

কিছু মানুষের প্রতি চূড়ান্ত শারীরিক আকর্ষণবোধ জন্মালেও আমরা কখনোই তাদেরকে কাছে পাওয়ার স্বপ্ন দেখি না....
আমরা কিছু মানুষকে কোনোদিন ভুলেও স্পর্শ করার স্বপ্ন দেখি না। আমরা তাদেরকে সবসময় দূর থেকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, ইনফ্যাক্ট তাদেরকে সামনে থেকে দেখার দুরন্ত ইচ্ছেটাকেও চেপে রাখি ভীষণ ভাবে.....।

কিছু মানুষের প্রতি শারীরিক আকর্ষণের থেকেও বেশি মানসিক আকর্ষণ বোধ কাজ করে আমাদের ভেতরে....

মাঝেমধ্যে শুধু মনে হয় মানুষটাকে যদি একবার সামনে থেকে দেখতে পেতাম, 
তাহলে গোটাজীবনটা ওই মানুষটার নামে লিখে দিতাম.....
মাঝেমধ্যে মনে হয় মানুষটার সাথে যদি একটা মুহূর্ত দূর থেকেও কাটাতে পারতাম, তাহলেও আমাদের জীবনটা স্বার্থক হতো...।

বেশি কিছু চাইতাম না, মানুষটার সাথে একটা সাদামাটা বিকেল কাটাতে চাইতাম....

কোনো একটা নদীর পাড়ে বসে আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুই একটা খারাপ ঘটনার কথা যদি শোনাতে পারতাম মানুষটাকে। অতীতের স্মৃতি মনে করতে করতে গলাটা ভারী হয়ে গেলে, চোখের কোনটা ভিজে উঠলে মানুষটা আমাদের দিকে একটা রুমাল এগিয়ে দিতো....।

আরও পড়ুন 👇👇
১) বাছাই করা সেরা লাভ এবং লাইফ ক্যাপশন ২০২৩
২) সেরা ভালোবাসার Bio & রোমান্টিক উক্তি ও Bio ২০২৩
৩) মনুষ্য আচরণ সম্পর্কে কৌতূহলোদ্দীপক সত্য কোনগুলো?
৪) প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।
৫) বাছাই করা রোমান্টিক বায়ো, ক্যাপশন ও আইডি ডেসক্রিপশান।

মায়ের দিব্যি কেটে বলছি, ওই রুমালটুকু নিয়েই আমরা ফিরে আসতাম ঘরে....

কিংবা মানুষটার সাথে জীবনে একবার হলেও পাহাড়ে যেতে চাইতাম। একটা সূর্য ওঠা ভোরের সাক্ষী থাকতাম আমরা দুজনেই, মানুষটাকে ন্যূনতম ছোঁয়ার চেষ্টা করতাম না...
শুধু দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতাম রোদের প্রথম আলো যখন মানুষটার মুখে এসে পড়ে, তখন কাকে বেশি পবিত্র লাগে, ওই মানুষটাকে নাকি রোদের আলোটাকে?

মানুষটার কয়েকটা ছবি তুলে নিতাম লুকিয়ে লুকিয়ে, তারপর সারাজীবন আগলে আগলে মানুষটাকে জমিয়ে রাখতাম বুকের ভেতর। খুব কান্না পেলে ছবিটা দেখে কাঁদতাম, খুব আনন্দ হলে ছবিটার সাথে কথা বলতাম, খুব রাগ হলে ছবিটার সামনে চুপচাপ বসতাম....

কিংবা কোনো একটা বৃষ্টির দিনে আমরা দুজন পাশাপাশি বসে থাকতাম চোখে চোখ রেখে, ওই মুহূর্তটুকু আমরা লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম....।

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

ওই মুহূর্তটুকু কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারোর কোনোদিন থাকতো না....

হ্যাঁ, সারাজীবন আমরা কিছু মানুষকে এভাবেই দূর থেকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকতাম, এভাবেই মানুষটাকে ভালোবাসায়, অভিমানে, প্রার্থনায় রেখে দিতাম....
আসলে আমরা ভীষণ সাধারণ, দামি গিফ্টস দেওয়ার টাকা নেই আমাদের কাছে, বিশাল কিছু ল্যাভিস লাইফ আমরা কেউই লিড করি না, রাতের বেলা আমাদের ঘরে এখনো লোডশেডিং হয়, 
গরম লাগলে এখনো ছাদে মাদুর পেতে শুই....
কাছের মানুষটাকে দামি রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর মতো প্রিভিলেজড আমরা নই, এখনো আমরা সেদ্ধ ডালভাত খাই রোজ সকালে....।

ডিগ্রি ফিগ্রী তেমন বিশাল নেই, সাধারণ চাকরি করি, দেখতেও অসাধারণ নই আমরা....

আমরা ভিড়ে মিশে যাওয়া লোক, আমাদের দিকে কারোর চোখ আটকে যায় না....
আমাদের দেখে কেউ কবিতা লেখে না, আমাদের জন্য কেউ শোবার ঘরে সুগন্ধি ফুল সাজিয়ে রাখে না....
আমরা ভীষণ সাদামাটা, আমাদের মতো মানুষদের যোগ্যতা খুবই কম হয়, যাঁকে আমরা ভালোবাসি, তাঁকে ছোঁয়ার অধিকার আমাদের থাকে না....।

যাঁদের আমরা ভালোবাসি, আমরা তাঁদের কাছে চিরকালই অযোগ্য হয়েই থেকে যাই....

ভালোবাসার মানুষকে জীবনে না রাখতে পারাও একটা অভিশাপ.....
আর সেই অভিশাপটা আমরা চিরকাল বহন করি স্বগর্বে...।
 




চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

কিছু প্রেম অভিশাপ হয়ে যায়

যেসব ছেলে মেয়েরা তাদের প্রেমিক প্রেমিকাকে অত্যন্ত সন্দেহ করে, সবসময় নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে চায়, সারাক্ষণ নজরদারি চালায় তাদের প্রেমিক প্রেমিকা কোথায় কি করছে! কার সাথে মিশছে, কতক্ষন ফেসবুকে অনলাইন আছে, রাতে কটা অবধি জেগে আছে বারবার চেক করে....
সারাদিন ফোনের ভেতর চিপকে থাকে, অন্য কোনো বন্ধু ফোন করলে ভয়ঙ্কর ভাবে নিজের প্রেমিক প্রেমিকাকে অপমান করে, রাগ করে, অভিমানে ফেটে পড়ে।

সবসময় "আদর করো, চুমু দাও, একটু ভালোবাসো" এই কথাগুলোই ঘ্যানঘ্যান করে বলতে থাকে, তাদের সাথে একটা সময়ের পর প্রেম করার ইচ্ছেটাই মরে যায়....

আমার প্যানপ্যানানি টাইপের প্রেম কোনোদিন পছন্দ নয়, যেখানে একটা মানুষ একটা মানুষের জন্য চুপচাপ অপেক্ষা করতে জানে না, যেখানে একটা মানুষ একটা মানুষকে ব্যক্তিগত জায়গা দেয় না, যেখানে একটা মানুষ একটা মানুষকে ছাড়তে জানে না, একজন অপরজনের স্বাধীনতায় বারবার হস্তক্ষেপ করে।

একটা মানুষ একটা মানুষকে বিশ্বাস করে না, সারাটাক্ষণ নিজের ঘেরাটোপের মধ্যে রাখে, 
বন্দিশালায় বন্দি করে রাখে, সেখানে আর যাই হোক প্রেম হতে পারে না, ভালোবাসা ধীরে ধীরে মরে যায়...
পজেসিভনেস একটা সময় পর্যন্ত ভালো লাগে, তারপর আর নয়...।

প্রেম একটা খোলামেলা ছাদের মতো, যেখানে স্বেচ্ছায় দুটো মানুষ মাদুর পেতে খানিক বসতে পারে, গল্প করতে পারে, বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে পারে, রাষ্ট্রদেশসমাজযৌনতাসম্পর্কসুখদুঃখবন্ধুবান্ধব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে....।


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪  @মিঃ মধু

বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে ঠায় বসে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে, একে অপরের ভুল ত্রুটি গুলো ধীরে ধীরে শুধরে দিতে পারে। প্রখর রোদে বেরিয়ে একসঙ্গে মিলে বাজারটা করতে পারে, একে অপরের অসুবিধে, সমস্যায় পাশে থাকতে পারে...

.
এরকম খোলামেলা মানুষের সাথে প্রেম করলে মানুষ নিজেকে উন্নত করতে শেখে...
যে মানুষটা পাশে থাকলে একটা আলসেমি ল্যাদখোর জীবন ভুলে আমাদের ভেতর দারুণ একটা জেদ কাজ করে, সারাটা দিন প্রচুর কাজ করেও ক্লান্তি আসে না চোখে মুখে, রাতের খাবারটা বেড়ে যে মানুষটা অপেক্ষা করতে জানে....।

সেই মানুষটাকে পাশে পেলে জীবনটা সুন্দর হয়ে ওঠে....

নাচ শেখার যে ইচ্ছেটা মরে গিয়েছিল ভেতর ভেতর, সেই ইচ্ছেটাকে জাগিয়ে তুলতে পারে যে মানুষটা, সাঁতার কাটতে ভয় পাওয়া মানুষটাকে যে মানুষটা হাত ধরে জলে নামাতে পারে, পাহাড়ে উঠতে ভয় পাওয়া মানুষটাকে যে পাহাড়ে উঠিয়ে সূর্য ছোঁয়াতে পারে,

রান্না না জানা মানুষটাকে যে মানুষটা হাতে ধরে রান্না শেখাতে পারে, খুব অগোছালো জীবন যাপন করা মানুষটাকে যে মানুষটা ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠিয়ে কুয়াশা ভেজা ঘাসে হাঁটতে শেখায়,

সেরকম মানুষের সাথে ভালোবেসে সংসার করা হলো সৌভাগ্যের ব্যাপার, সবার কপালে জোটে না....।



সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
---------------------------

সেরা অনুপ্রেরণামূলক ষ্ট্যাটাস,
অনুপ্রেরণামূলক ষ্ট্যাটাস বাংলা,
মানসিক চাপ নিয়ে ষ্ট্যাটাস,
জীবন নিয়ে ষ্ট্যাটাস,
অনুপ্রেরণামূলক ষ্ট্যাটাস,
সাদামাটা জীবন নিয়ে ষ্ট্যাটাস,
অনুপ্রেরণামূলক ষ্ট্যাটাস,

অনুপ্রেরণামূলক ভালোবাসার ষ্ট্যাটাস,
বিশ্বাস নিয়ে উক্তি ষ্ট্যাটাস,
সফলতার মোটিভেশনাল ষ্ট্যাটাস,
বিশ্বের সেরা উক্তি ষ্ট্যাটাস,
ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ষ্ট্যাটাস,
অনুপ্রেরণামূলক শব্দ ষ্ট্যাটাস,

নিঃস্বার্থ ভালোবাসার উক্তি ও ষ্ট্যাটাস,
শিক্ষামূলক উক্তি ষ্ট্যাটাস,
ভালোবাসার বিশ্বাস নিয়ে উক্তি ষ্ট্যাটাস,
বিশ্বাস ঘাতক নিয়ে উক্তি ষ্ট্যাটাস,
অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে উক্তি ষ্ট্যাটাস,
বিশ্বাস নিয়ে উক্তি ষ্ট্যাটাস,

মেয়েদের সাইকোলজি বোঝার ষ্ট্যাটাস,
মেয়েদের মন বোঝার ষ্ট্যাটাস,
মেয়েদের মন বোঝার বইয়ের ষ্ট্যাটাস,
মেয়েদের মন কেমন ষ্ট্যাটাস,
মেয়েদের সত্যিকারের ভালবাসা বোঝার ষ্ট্যাটা্‌
মেয়েদের মনের গোপন কথা ষ্ট্যাটাস,
ছেলেদের মনের কথা বোঝার উপায় ষ্ট্যাটাস,
মেয়েদের মন জয় করার উক্তি ষ্ট্যাটাস,

ছেলেরা মেয়েদের বুকের দিকে তাকায় কেন
কোন ধরনের ছেলেরা প্রেম করতে পারে না
নারী কয় প্রকার ও কি কি
বিয়ের পর অন্য কাউকে ভালোবাসা
স্ত্রীর অতীত প্রেম
ছেলেদের পটানোর উপায়
ছেলেরা প্রেমে পড়লে কেমন আচরণ করে

No comments

Powered by Blogger.