Ads

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫ @মিঃ মধু

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু

ভালোবাসায় সবচেয়ে সত্যি হলো- 

কারো জন্য অপেক্ষা করে ধৈর্য্যর পরিক্ষা দিতে শেখা ।
সবাই ভালোবাসি বলতে পারে কিন্তু অপেক্ষা করতে পারেনা ।
একটা মানুষকে দিনের পর দিন না দেখে না ছুয়ে ,ভালোলাগা মন্দ লাগায় তাকে জড়িয়ে না ধরে কেউ যদি অপেক্ষা করে , তবে সেটা অন্য রকম ভালোবাসা ।
অভ্যাসে তো রোজ কাছে থাকা কুকুর কিংবা বিড়ালটাকে ও ভালোবাসি । 
কিন্তু কারো অনুপস্হিতিতে কতটুকু বলো ভালোবাসতে পারি ?
ভালোবাসা সহজ নয় , মায়া জন্মে গেলে কারো প্রতি তা কাটানো সম্ভব না ।
সম্পর্কে যদি মায়া কেটেই যায় তাহলে বুঝতে হবে ওটা ভালোবাসা ছিল না ।
ছিল দেহের ও মনের প্রয়োজন মাত্র।
কি বুঝলেন??




চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু

ভালোবাসা গুলো এক তরফা থাকলে কষ্ট কম হয় । 

প্রচন্ড ভালোবাসা পাওয়ার পর যখন একটা মানুষ অন্যের অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়,
তখন কেউ কাউকে রেখে একা পথচলাতে ভীষণ অসুবিধা না হলেও,
একাকী হওয়াকে ভয় লাগতে শুরু করে । 
চোখের সামনে কেউ তার প্রিয় মানুষটার পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না ।
এই না পারাটাকে মনে হয় দুরত্ব বলে ।

একজন আরেকজনের সাথে কথা তো বলে কিন্তু বুকের গভীরে লুকানো থাকে চেনা রাস্তার মোড়ে অচেনা প্রতিচ্ছবি । এই দুরত্ব ভালো না , একবার এই দুরত্বের শুরু হলে দেয়াল তৈরী হয়ে যায় ।
এই দেয়াল তৈরীর শব্দ থাকেনা, থাকে কেবলই মাধ‍্যম ।
আমি আপনার জীবনে আছি কিন্তু উপস্হিত থেকেও নাই ।
এটাই হলো গভীর প্রেমের উপলব্ধি ।




চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু

তাকে গ্রহন করতে শিখো

তোমার পাশে থেকে যে মানুষটা বুড়ো হওয়ার স্বপ্ন দেখে তাকে গ্রহন করতে শিখো । 
ক্ষনিক আনন্দে সবাই আত্মহারা হতে পারে কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে জীবনের শেষ হাসিটা হাসার ভাবনা একমাত্র সেই করতে পারে যে মানুষটা তোমাকে ভালোবাসে ।

শেষ বয়সে মানুষের না থাকে যৌবনের ঘ্রান না থাকে স্বার্থের হিসাব কিতাব , 
শেষ বয়সে আমাদের থাকে চলে যাওয়ার ভাবনা । সে সময়ে যে মানুষটা বলে আমি তোমার তোমার হাত ধরে জীবনের শেষ কটা দিন পাড়ি দিতে চাই সে মানুষটাকে ভালোবাসুন ।

কারন সে মানুষটা আপনার আমিত্বকে ভালোবেসে পাশে থাকতে চায় । আপনার ম্যাটারিয়াল জিনিস পত্র সে ভালোবাসে নাই বলেই জীবনের লং জার্নিটার সাথী হতে চাইছে ।

আরও পড়ুন 👇👇
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪

ভালোবাসার মানুষটি সঠিক হলে মেয়েরা শান্ত নদীর মত বদলে যায় । 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
ঘোলাটে জলেও দেখা দেয় স্বচ্ছ গভীর ঢেউ । মায়েরা কখনো খারাপ হতে পারে না ।
অতীত যতই খারাপ হোক কিংবা সমালোচিত হোক না কেন , যখন একটি মেয়ে মা হয়ে যায় সে তার নারীত্বের সবচেয়ে সুন্দর দিকটির সাথে পরিচিত হয় । 
তার জীবনে শুরু হয় নতুন অধ্যায় ।পৃথিবীতে কোন খারাপ মা নেই ।

মা মানেই সেক্রিফাইজের একটি পূর্ণাঙ্গ বই যেখানে লিখা থাকে সম্মান ও পবিত্রতার শত আদরের গল্প । পৃথিবীতে নারীকে বহুবার তার কৃত কর্মের জন্য সমালোচিত ও জবাবদিহীতার মুখে পড়তে হয়েছে । কিন্তু কোন মাকে মনে হয় কেউ অসম্মান করতে পারেনি ।

মা মানেই এক রাজ মুকুটের মত পালক লাগানো আব্রু। মা মানেই নারীত্বের সবচেয়ে বড় অহংকার । মায়েদের অতীত নিয়ে যতটা না ঘাটে, 
তারচেয়ে মানুষ যারা তারা মাতৃত্বকে সবচেয়ে সুন্দর হিসেবে গ্রহন করে ।
মাতৃত্ব আসলেই ভীষণ সুন্দর ❤️

কাউকে ভালোবাসো ? 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
তাহলে নিজেকে ততটুকু যোগ্য করে তোল সে মানুষটার জন্য বেঁচে থাকার ।
কাউকে ভালোবাসো ? 
তবে নিজেকে ততটুকুই ভালোবাসো যতটুকু ভালোবাসলে সে তোমাকে ভালোবাসতে বাধ্য ।

এই যে বিরহ বলো মধুর , এই যে কাপুরুষের মত বলো মরে যাওয়া সহজ তবে মরেই যাও । 
কারন কিছু ভালোবাসা সেক্রিফাইজের আহুতি দিয়ে তৈরী ওটা ভালোবাসা না ।
তুমি বাজারে গেলে কাপড় জড়ালে গায় , 
কিন্তু তুমি ভাবলে এই যে কাপড়টা পড়ার তুমি যোগ্য না এই অপারগতা তোমার দূর্বলতা ।
দূর্বল মানুষ কখনো কাউকে ভালোবাসতে পারে না ।
কারন সে ডিসাইড করতে পারে না তার কি চাই ।

কাউকে ভালোবাসো ? 
তবে তার জন্য বাঁচো আজীবনের জন্য তাকে চাইতে থাকো । তার জন্য রাস্তা তৈরী করো যেখানে সে তোমার হয়েই জীবন পাড়ি দিবে । ভালোবাসলে নিজেকে গড়ো ।
পৃথিবীতে মানুষ একবারই জন্মায় , তার সাথে স্মৃতি তৈরী করো । 
একসাথে চেষ্টা করো জীবনের শেষ হাসিটা হাসার ।

একটা সম্পর্ক গরেউঠে দুটি মানুষের বিশ্বাস ভরসার উপরে। 



চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
একে অপরকে জানে বুঝে তার পর সম্পর্ক হয়।
কিন্তু প্রথমে একে অপরকে যতটুকু যানি সুনি বা বুঝি পর-বর্তিতে তার পরিবর্তন হতেও পারে। যেমন ধরুন আপনাকে সে যতো টুকু বুজেছে যতোটুকু জেনেছে। 
পরে দেখলো আপনি আসলেও সেরকমটা না।

তাই আপনার প্রতি যে সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালো বাসা ছিলো। এখন সেটা আর আগের মতো নেই।
এখন তার মনে হয় আপনার থেকেও অন‍্য কোথাও সে ভালো থাকবে, কিংবা ভালো আছে
তার মানে তো এই নয় যে আপনার সাথে চলা সময় কালিন । কিছু ইমশনাল পারশোনালি জিনিস যেমন ধরুন আপনাকে দেয়া কিছু ছবি। এ-সব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে আপনি তাকে আপনার ঝায়গায় ফিরিয়েনিয়ে যেতে চান। এটা কি আদৌ ঠিক হবে?

এগুলো করে কি কাউকে আটকে রাখা যায়। বা কাউকে ধরে রাখা যায়। আপনি যদি তাকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে আপনার তাকে ছেড়ে দেয়াই উচিত। কারন তার মনে হয়েছে সে আপনার কাছে ভালো থাকবে না বলেইতো আপনার কাছথেকে চলে যেতে চাইছে।
তাই তার ভালো থাকাটাই আপনার কামনা করা উচিৎ
এটাই সত‍্যিকারের ভালোবাসা।

আমি তাকে ভালোবাসতে অবশেষে নিরবতা বেছে নিলাম । 



চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
আমার সমস্ত চিৎকার দুমরে মুচরে আমার বুকের গভীরে কবর দিলাম ।
আমি তাকে ভালোবাসতে ভালোবাসাই বেছে নিলাম।
নিজের ভিতরে এককীত্বের একটা দেয়ালে আটকে রেখে তাকে ভালোবাসতে শিখে গেলাম ।

আমি তাকে ভালোবাসতে নিজেকে নিজের থেকে দূর করা শিখলাম । 
সে শিক্ষা আমাকে তাকে কি ভাবে নিখুঁত ভাবে ভালোবাসতে হয় শিখালো ।
আরো শিখালো কি করে নিজের ব্যাথাকেও সাথে ভালোবাসতে হয় ।

আমি তাকে অনুভব করতে বাতাস ছুয়ে গেলাম , আমার ঠোঁট ,নাক ,
চোখ আমাকে জানান দিলো তার অস্হিত্ব আমাতে জুড়ে রাখা ॥
আমি তাকে ভালোবাসতে এক স্বপ্নে নিজেকে জড়ো করলাম সে স্বপ্ন,
যেটা কেড়ে নেওয়ার কারো অধিকার নেই ।

কাউকে খুব ভালোবাসলে, হয়তো তাকে পাওয়া যায়না। 



চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
কাউকে খুব কাছে পেতে চাইলে, সে মনে হয় দূরে চলে যায়। কারুর ওপর একটু অভিমান করলে,
সে সারাজীবন অভিমানী হয়ে জীবন থেকেই চলে যায়। 
জীবন কিছু দেয়, আবার কিছু নেয় তবে ধৈর্য ধরলে ভালো কিছুই পাওয়া যায়।

হারানো ভালোবাসার মানুষটা যদি আর ফিরে না আসে তবে বুঝবে হয়তো সে তোমার কোনদিন ছিলই না। হয়তো, তোমার জন্য অন্য কেউ অধিড় অপেক্ষায় তোমার পথ চেয়ে বসে আছে।
জানি, অতীত ভোলা যায় না তবে, ভবিষ্যৎ কে বেছে নিয়েই নতুন রাস্তায় চলতে হবে। 

থাকনা, রাখি অতীতটাকে মনের মাঝে সাজিয়ে,
ভবিষ্যৎ কেই নয় সাজাই, দিই এক নতুন জীবন বাঁধিয়ে।

তোমার সাথে আমার অনেক কিছুই দেখা হয়নি । 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
তোমার সাথে আমার সমস্ত পৃথিবী চষে বেড়াতে ইচ্ছে করে । মানুষ নাকি কল্পনাতেই সুখী । 
কারন সুখের চারপাশে এই তুমিটা ঘিরে থাকো আমার বলয়ে ,
অথচ দুরত্ব আমাদের এক নক্ষত্র মাইল ।

তোমার সাথে আমার শান্ত বিকেল দেখা হলো না । তোমার সাথে মধ্য রাতের নিশ্চুপ বারান্দায় বসে তারা গুনা হলো না । তোমার সাথে নির্মল ঝনার্র ধারে বসে নিমগ্ন জলের আওয়াজে ডুবে যাওয়া হলো না ।

তবুও তুমি আমার সমস্ত কল্পনা জুড়ে বাস করা একটা প্রিয় মানুষ । যার হাতে হাত রেখে মাঝ রাতে আমি বের হই চাঁদ জোছ্নায় ডুবে যেতে যেতে শহরের অলি গলির মোড়ে । যার সাথে আমি প্রতিটা রাতের শেষে ভোর দেখি কফি মগের নিমগ্ন ধোঁয়ায় ।

পৃথিবীর সমস্ত অপূর্নতায় আমি কল্পনায় পূর্নতা দেখি । এক জন্মে সব নাকি পাওয়া হয় না । 
তাই এক জন্মে তোমাকে আমার করে আমার মনের ভিতরে রাখা ওটাও কম কিসে !

ইদানীং মন খারাপ আর হয় না 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
যে কোন কিছুই সহ্য করার ক্ষমতাটা সৃষ্টিকর্তা আমাকে জোর করেই শিখিয়েছে । 
তাই অভিযোগ কার কাছে রাখবো , রাতের পর রাত একাকীত্বের মোম জ্বালিয়ে নিজেকে পুড়াতে শিখেছি । নতুন করে আর পুড়ি না ।

কেউ খারাপ বল্লেও কিছু যায় আসে না । কেউ জীবন থেকে চলে গেলেও আর তাকে জোর করার ইচ্ছা হয় না । কেউ যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেও অভিযোগ করতে মনে চায় না ।
আমাকে গুটিয়ে নিতেই যেন বসে থাকি , জীবনের ঝোলাঝুলি খুবই অল্প বিস্তর তাই প্রত্যাশা নেই। অনেক অনেক ইনভেষ্ট কিন্তু ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খা মরে গেছে ।

আগে খুব লড়তে চাইতাম নিজের সাথে এখন আর তাও ইচ্ছে করে না । 
কি হবে অভিযোগ করে ? সবটাই ধোঁকা !
মানুষ যতটা আপন সাজে তারা ততটা আপন হয় কই ?

রাগ !!


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
আমার রাগে আমাকে কেউ প্রভাবিত করুক আমি চাই না। আমার রাগে আমি ব্যাস্ত থাকি নিজেকে কষ্ট দিতে । আমি যখন নিজেকে কষ্ট দেই ভয়ানক ভাবে তখন সত্যের সাথে মুখোমুখি হই!!
যে সত্য আমাকে হিল করে আবার নতুন করে ।

মানুষ মানুষের জন্য মরে না । মানুষ মুখে যা বলে তা বাস্তবতায় সে কখনো প্রয়োগ করে না!!
পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যে সলিড যখন কাউকে আমি ভালোবাসি তীব্র ভালোবাসি । যখন কাউকে নিজের থেকে দূর করি নিজেকে প্রচন্ড কষ্ট দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলেই দূর করি!!

টক্সিক রিলেশন , টক্সিক মানুষ , টক্সিক সময় আমার পছন্দ না । কিন্তু আমি সম্পর্কের বিষ অনায়াশে গিলি । কান্নায় তা হিল করি । নিজেকে ভয়ানক কষ্ট দেই ।
তারপর আবার , বাঁচি হয়তবা আরো ছোট পরিসর করে ফেলি নিজের জগতটাকে । 

এ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর সত্যের সাথে পরিচিত হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয় । 
তাই এ দহন নিলাম মেনে!!

মেয়েরা এক বিশেষ মানসিকতায় তৈরী । 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
তার জীবন চলার পথে লাইফ পার্টনার চুজ করে তাকে খুশি রাখতে পারবে এমন কাউকে ।
প্রচন্ড ভালোবাসায় নিজেকে প্রকাশ করতে কোন লজ্জাবোধ নেই এমন টাইপ ছেলেদেরকে তার ভবিষ্যত সংঙ্গী হিসেবে পছন্দ ।

আমার নিজের চোখে দেখা এমন অনেক মেয়েকে দেখেছি দুর্দান্তে হ্যান্ডসাম বফ রেখে একজন অতি সাধারন কম টাকা পয়সা ওয়ালা ছেলেকে বিয়ে করে নিয়েছে ইচ্ছে করেই ।
কারন একটাই , অতি ইগো এবং অতি পার্সোনালিটি সম্পূর্ন জীবন সঙ্গীকে একটা মেয়ে কখনই বুঝতে সক্ষম হয়না । তারা সহজ ও সরল স্বীকারাক্তি পছন্দ করে ।

মেয়েরা আশ্রয় খোঁজে , কিন্তু তার জন্য জেলখানা খোঁজে না । মেয়েরা নিরপত্তা খুঁজে, 
কিন্তু পাহারাদার পছন্দ করে না ।
মেয়েরা ভালোবাসা খুঁজে কিন্তু গম্ভীর কোন মানুষ খুঁজে না , 
কারন যার কাছে নিজেকে এক্সপ্রেস করতে পারবে না তাকে তারা পছন্দ করে না ।

মেয়েরা নিজেরাই ইগোর অপর নাম কখনই সে এমন কোন পুরুষকে পছন্দ করবে না যে পুরুষটা তাকে দ্বিধায় ফেলে রাখবে।
যার কোন ভবিষ্যত প্ল্যান নেই ,একটা মেয়েকে রেখে দেয় শুধু তার জীবনের শোপিস হিসেবে সে মানুষটা কখনই মেয়েরা পছন্দ করবে না ।

কারন যে কোন সম্পর্কই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে , তার নিজস্ব গ্রাভিটি থাকে । যদি সে তার প্রিয় পুরুষটার মাঝে এই সব মিসিং দেখে সে মেয়ে তাকে নিয়ে কখনই দূরের যাত্রায় স্বপ্ন দেখবে না ।
প্রেমিক হতে পারে সবাই কিন্তু ভালোবাসার আশ্রয় কম মানুষই হয় ।
দিনশেষে প্রতিটা স্ত্রী প্রানীই এমন একটা পুরুষ চুজ করে যাকে সে নিরাপত্তা এবং ভালোবাসাই এবং ভরসা এই তিনটা জিনিষ দিতে পারে ।
তখন চেহেরা ও সৌন্দর্য জ্ঞান ম্যাটার করে না ।এই ক্ষেত্রে প্রতিটা স্ত্রী প্রানীরা একটু স্বার্থপর । 
তারা পছন্দের জীবন সঙ্গীর সাথে জীবন শুরু করে ।

একটা প্রিয় মানুষ যতটা ভালোবাসতে পারে তার চেয়ে আবার বেশি ঘৃণা করতেও পারে! 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
তা শুধু সময়ের ব্যবধানে হয়।
একটা মানুষ আপনাকে তার ভালো লাগা প্রকাশ করতে যেমন পারে, তেমনি করে আপনার কাছে অবহেলিত হলে মুখ ফিরিয়ে নিতেও পারে।

যে মানুষটা কে সহজে পেয়ে গিয়ে তাকে অবহেলা করছেন সে মুখ বুঝে রয়েছে মানে আসলে সে বোকা নয়! সে আপনাকে সম্মান করে বলেই আপনার মূল্য তার কাছে আছে বলেই আপনার কাছে বোকা সেজে থাকে। আপনার ভালোবাসা পাবার অপেক্ষায় সে সব জেনেও সহ্য করে থাকে।

আচ্ছা আপনি আজ যে মানুষটিকে সহজে পেয়ে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন, ভেবে দেখুন তো আপনার সাথে সেই একই কাহিনী হলে আপনার কেমন লাগবে!
আপনাকে কেউ দিনের পর দিন অবহেলা করলে, আপনাকে কেউ গুরুত্ব না দিলে আপনি কেমন অনুভব করবেন। তাই কারো প্রিয় হবার আগে, কাউকে ভালো লাগার আগে সম্পর্ক রাখতে পারবেন কি না ভেবে দেখুন!

এই পৃথিবীতে দীর্ঘদিন কারো অভাব থাকে না বিশ্বাস করেন, আপনি আজ তাকে ছেড়ে গেলে বরং সে কিছু সময় আফসোস করবে, কান্না করবে! কিন্তু যখন তার আপনার প্রতি মায়া কেটে যাবে তখন শক্ত হয়ে যাবে, তখন সে আপনাকে আর চাইবে না!
তাই কাউকে বাজে ভাবে ভেঙে দিয়েন না, যে মানুষটা আপনাকে ভালোবেসে নিজের বয়সটা বাড়িয়েছে, নিজের সাথে মানিয়ে নিয়েছে সেই মানুষটার মনে আঘাত করে আপনি কখনও সুখী হতে পারবেন না।

এই পৃথিবীতে কোনো কিছুর অভাব দীর্ঘদিন থাকে না, সবকিছু একসময় বিলীন হয়ে যায়, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। মানুষ পরিবর্তনশীল! যেখানে মানুষ আঘাত প্রাপ্ত হয় সেখানে সে বেশি দিন থাকতে চায়না।

এই পৃথিবীতে কারও সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আজকাল ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার! আপনি চাইলে নিজের জীবনের সাথে যা ইচ্ছা করতে পারেন কিন্তু অন্য কারো জীবনের অংশ হয়ে তাকে নিয়ে যা মন চায় করার অধিকার আপনার নেই, মানুষটাকে ঠকানোর অধিকার আপনার নেই।

সম্পর্ক একতরফা হয় না, আপনার জীবনের সাথে যখন অন্য কেউ একজন জড়িয়ে আছে তখন আপনার সেই মানুষটাকে নিয়ে ভাবা উচিত, আপনার সেই মানুষটাকে সম্মান করা উচিত, 
এইটা আপনার দায়িত্ব।

যে মানুষটা আপনি একজনকে নিয়েই তার জীবন কাটাতে চায়, আপনার উচিত তার ঘৃণার পাত্র না হয়ে, তাকে অবহেলা না করে ভালোবাসা, তার মনের খবর রাখা।
আর তাই যদি করতে না পারেন, তাকে ভালোবাসার বদলে যদি অবহেলার পর অবহেলা করেন এক সময় সেই আপনাকে ছেড়ে দিবে, তখন ভীষণ আফসোস করবেন হারিয়ে ফেলার।

নিজের ভাবনা চিন্তা বদলায় নেন, ভালোবাসা সবার নসিবে জুটে না, যে মানুষটা আপনার পাশে আছে তাকে আকড়ে ধরে সুন্দর করে বাঁচুন! ভালোবাসা সুন্দর!

বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বােঝা মনে হয়।


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা
হয়।বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন
ডাস্টবিনে পাওয়া যায়।

পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলাে আপনার উপকারের কথা
মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলাে, 
কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়ােরিটি পাবেন, 
সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে তার উপর।

এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি।
আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সে একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলাে গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলােই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন।

সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার,
সবকিছুর। আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী। ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না।
এতকিছুর পরও চলুন একটু হেসে কথা বলি। রাগটাকে কমাই। অহংকারকে কবর দেই।
যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান।

আপনি কারাে জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান। কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।
আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছােট কিছুও করে
থাকে, তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা
আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালাে মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।

মন ভাঙ্গা মানুষ গুলো আর যাই হোক তোমাকে সুখী করতে পারবে না 


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
কেউ যদি তোমার জীবন থেকে চলে যেতে চায় , তাহলে তাকে দরজা টা খুলে দেও।
যাতে তার যেতে সহজ হয়। কখনো কোন সম্পর্ক জোর করে হয়না । খুব জরুরী নয় যে কোন কিছু ভাঙ্গতে হলে শুধু পাথরের আঘাত করেই ভাঙ্গতে হবে ।কিছু কথার আঘাতেও মানুষ কারো মন ভেঁঙ্গে দিতে পারে সহজেই ।

মন ভাঙ্গা মানুষ গুলো আর যাই হোক তোমাকে সুখী করতে পারবে না ।
যে তোমার জীবনে তোমাকে ভালোবেসে থাকবে তার জন্য তোমার অনেক ছোট ছোট অনেক অপরাধ মাফ করে দিবে , কিন্তু যে তোমাকে ছেড়ে যাইতে চাইবে তার জন্য অকারন বাহানা খুঁজবে কি করে তোমাকে ছেড়ে দেওয়া যায়।

তাই তোমার ভালবাসা ঠিক তার জন্যই সামলে রেখো যে তোমার ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য ।ভুলবোঝা বুঝি এমন একটা ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ যে তোমার ভালোবাসার অনেক সুন্দর সময় গুলো বিষাক্ত করে গিলে ফেলবে । তাই তাকেই ভরসা তাকেই করো যে তোমার উপযুক্ত ।

মাঝে মাঝে অনেক কথাই বলতে মনে চায় আমাদের কিন্তু কথা বোঝার মানুষ গুলো খুঁজে পাওয়া অনেক দূর্লভ ।বিশ্বাস আর ভালোবাসা হল এই দুনিয়া সবচেয়ে দামী উপহার তাই কখনো এমন কারো কাছ থেকে এই উপহার আসা করো না যে মনের দিক থেকে ভীষণ সস্তা । সস্তা মানুষ গুলো অন্যের মূল্যবোধ বুঝে না ।

যে তোমাকে কষ্ট দিয়েছে তাকে মন থেকে মাফ করে দেও, আর দ্বিতীয় বার কখনও তার দিকে ফিরেও তাকাবে না ।এতে তোমার কষ্ট হলেও লাভ তোমারই হবে কারন দুঃখ এমন একটা শিক্ষা যা তোমাকে অনেক কিছু শিখাতে থাকবে আর যখন তোমাকে ছেড়ে যাবে তখন অনেক সুখ তোমার জীবনে রেখে যাবে ।
কিছু মানুষ হয় জীবনে মেঘের মত কেটে গেলে আলো ঝলমলে সকালের দেখা পাওয়া যায়

আত্মসম্মানে আঘাত দিয়ে কারো কাছে থাকতে চাওয়াটা ভীষণ অন্যায় !!


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
"খুব ইচ্ছা থাকা সত্বেও যে মানুষটা আপনাকে আর চাইছে না, সেই মানুষটার সাথে থাকতে চাওয়া মানে নিজের আত্মসম্মানে আঘাত দেয়া... আত্মসম্মানে আঘাত দিয়ে কারো কাছে থাকতে চাওয়াটা ভীষণ অন্যায় !!
.
আপনি যতই ভালোবাসুন না কেনো, যে আপনাকে আর চায় না সেখান থেকে সরে আসা উচিত... একটু কষ্ট হলেও অন্তত আপনার আত্মসম্মানে আঘাত লাগবে না... জীবনে আর যা কিছু হোক না কেনো, আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কারো কাছে বড় হওয়া যায় না !!
.
যে মানুষটার কাছে আপনার আত্মসম্মান বিসর্জন দিতে হয় সেই মানুষটা অন্তত আপনার জন্য নয়... সেই মানুষটা ভুল মানুষ... কারণ যে মানুষটা আপনার জন্য সঠিক সেই মানুষটার কাছে আপনার কখনো ছোট হতে হবে না... বরং মানুষটা আপনাকে সম্মান করবে, মূল্যায়ন করবে... আপনার আত্মসম্মানে কখনো আঘাত দিবে না !!
.
আপনার জীবনে থেকে একজন চলে গেলে আরেকজন একদিন আসবে ঠিকই, কিন্তু একবার নিজের আত্মসম্মান চলে গেলে তা আর ফিরে আসবে না... আত্মসম্মানহীন মানুষকে কেউ মূল্য দিতে চায় না... যার সম্মান নাই সেখানে মানুষ সম্মানও আশা করে না... জীবনে বড় হতে গেলে আত্মসম্মান ধরে রাখতে হয় !!
.
যে মানুষটা আপনাকে আর চায় না, তাকে জোর করে ধরে রাখার চেয়ে বরং তাকে আরো সুন্দর করে বিদায় দেয়াটা আত্মসম্মানের পরিচয়... যদি আপনি সঠিক হয়ে থাকেন তাহলে জীবনের কোনো একটা সময় এসে ঐ মানুষটা আপনার বিদায়ের কথা মনে করে অবশ্যই অনুশোচনায় ভুগবে !!
.
তাই নিজের আত্মসম্মান ধরে রাখতে শিখুন... এটা মানুষের জীবনে বড্ড দামী সম্পদ... সবকিছু হারিয়ে গেলেও তা একদিন ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু আত্মসম্মান হারালে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না... এটা অর্জন করে ধরে রাখতে হয়... আত্মসম্মানহীন মানুষ অনেকটা জড় পদার্থের সমান !!
.
একজন মানুষ যতই সুন্দর হোক না কেনো যদি তার আত্মসম্মানবোধ না থাকে তাহলে সেই মানুষটার সৌন্দর্যের কোনো মূল্য থাকে না... অপরদিকে একজন একজন অসুন্দর মানুষের মাঝেও যদি আত্মসম্মানবোধ থাকে তাহলে সেই মানুষটাই প্রকৃত সুন্দর... মনে রাখবেন সৌন্দর্য মানুষের মনযোগ আকর্ষণ করে, আর ব্যক্তিত্ব মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় !!"

জীবনে একজন ভালো মানুষ থাকা মানে আপনি সৌভাগ্যবান !!


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
"শত ব্যস্ততা থাকার পরেও সে মানুষটা আপনার জন্য সময় বের করে খোঁজ রাখে সেই মানুষটাকে কখনো ব্যস্ততা দেখাবেন না... বরং আপনি ব্যস্ত থাকলেও ঐ মানুষটার জন্য কিছুটা সময় বের করা আপনার দায়িত্ব... নয়তো পরবর্তীতে ঐ মানুষটা ফ্রি থাকলেও আপনাকে সময় দিবে না !!
.
আপনি বলা মাত্রই যে মানুষটা আপনার সামনে এসে হাজির হয়, এর মানে এই নয় যে মানুষটা আপনার জন্য সময় নিয়ে বসে আছে... বরং মানুষটা আপনাকে গুরুত্ব দেয় বলেই আপনাকে সময় দেয়... যদি তেমন গুরুত্ব আপনিও ঐ মানুষটাকে না দিতে পারেন তাহলে একদিন মানুষটা আর আপনাকে গুরুত্ব দিবে না !!
.
আপনার বিপদে যে মানুষটা সবার আগে আপনার পাশে এসে দাঁড়ায়, সেই মানুষটার বিপদে আপনি সবার আগে না আসতে পারলেও অন্তত দিনশেষে তার সাথে একটু দেখা করুণ... 
সেটাও সম্ভব না হলে তার খোঁজ রাখা আপনার একান্ত কর্তব্য... নয়তো ঐ মানুষটা বিপদে পড়ে যতটা কষ্ট পেয়েছে, তার থেকেও বেশি পাবে আপনার কারণে !!
.
বন্ধুদের মাঝে আপনার সবার আগে চাকুরী হয়েছে বিধায় বাকি বন্ধুদের এখন তুচ্ছ করা কিংবা আড়চোখে দেখবেন না... কারণ যাদের আপনি অবহেলা করছেন তারাই কোনো একদিন আপনার চেয়েও আরো ভালো পজিশনে চলে যেতে পারে... মনে রাখবেন চাকুরী না হওয়া পর্যন্ত আপনার অবস্থান আপনার বন্ধুদের মতই ছিলো !!
.
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছেন বলে আপনার বাকি বন্ধুদের সাথে ভাব নিয়ে চলবেন না... কারণ জীবনে ভালো রেজাল্ট করা মানেই প্রতিষ্ঠিত নয়... দেখা যাবে যে সব বন্ধুদের সাথে আপনি ভাব নিয়ে চলতেন তারাই আপনার আগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে !!
.
কেউ আপনাকে ভালোবাসে এটা আপনার সৌভাগ্য... কিন্তু আপনি ঐ মানুষটাকে ভালোবাসতে না পারলেও অন্তত তার অনুভূতিকে আঘাত দিবেন না... আপনার কাছে ঐ মানুষটার মূল্য জিরো হতে পারে, কিন্তু কারো না কারো কাছে সে ঠিকই সুপারহিরো !!
.
জীবনে আপনার সাথে যে মানুষটা ভালো ব্যবহার করে যাচ্ছে, তার সাথে আপনিও ভালো ব্যবহার করুণ... ভালো ব্যবহার করতে না পারলে অন্তত খারাপ ব্যবহার করবেন না... মনে রাখবেন, ভালো মানুষ এখনকার দিনে খুবই কম পাওয়া যায়... জীবনে একজন ভালো মানুষ থাকা মানে আপনি সৌভাগ্যবান !!" 🙂

যেদিন কেউ চাকরি হারিয়ে চোখের পানি মুছছে


চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৫  @মিঃ মধু
সেদিনও কেউ না কেউ চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে দামি রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিচ্ছে।
লাইফে কিছু একটা করতে না পারার কারণে যেদিন আপনাকে ছেড়ে কেউ একজন চলে গেছে, সেদিনও কোনো এক প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে কয়েকটা মেয়ের বিয়ের বায়োডাটা এসেছে।

হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে সিরিয়াসলি এবার লাইফটাকে নিয়ে ভাবুন। আজীবন সময় দিয়েছেন নিম গাছের নিচে আর এখন বলেন জীবন এত তিতা কেন!
দোষটা কার ছিল? যার কিছু নেই, তার কেউ নেই। ভাঙা সিন্দুকে কেউ টাকা রাখে না, নষ্ট ঘড়ির কেউ যত্ন নেয় না। এই সিম্পল হিসেবটা কেন বুঝেন না?

আপনি যখন রাত জেগে দুনিয়ার হতাশা লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমেন্টে সিমপ্যাথি আদায় করছেন, তখন হয়তো অপরপ্রান্তে কেউ রাত জেগে আউটসোর্সিং করছে।
আপনি কমেন্টে প্রচুর সিমপ্যাথি পাবেন, আর সে পাবে একাউন্টে টাকা। হিসেবটা খুব সিম্পল- যে যেটার জন্য কাজ করেছে সে সেটাই পেয়েছে।

আপনি যখন স্টুডেন্ট লাইফে বাবার টাকায় বন্ধুদের সাথে মাস্তি করে দামি রেস্টুরেন্টে খেয়ে ফেসবুকে চেক ইন দিতেন, তখন আপনার কোনো এক বন্ধু ক্লাস এসাইনমেন্ট আর নোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

কয়েকটা বছর শেষে ফলাফল - সে এখন বড় কোম্পানির সিনিয়র অফিসার হয়ে যখন দামি রেস্টুরেন্টে অফিশিয়াল মিটিং করে, আর আপনি দুর্বল সিজিপিএ'র সার্টিফিকেট নিয়ে টঙের দোকানে চা খেতে খেতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজেন। এতটুকু পার্থক্য তো হওয়ারই কথা!
যে বয়সে লাইফটাকে আপনার জয় করার কথা আপনি সে বয়সে করেছেন এনজয়, 
তাই যখন এনজয় করার সময় তখন বেকারত্ব জয় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন; 
এনজয় তো অনেক দূরের বিষয়।

আপনার বন্ধু যখন বিসিএস ক্যাডার কিংবা ব্যাংক অফিসার হয়ে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে, আপনি তখন টিকে থাকার জন্য সামান্য একটা চাকরিই খুঁজছেন। কারণ আপনি যখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ডেটিং করতেন, আপনার এই বন্ধুটিই তখন ক্লাসে বসে নোট করত। আজ আপনার ডেটিং পার্টনার গুলো একটাও নেই। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত কারো লাইফ পার্টনার।

দিন শেষে হতাশ হয়ে বলেন -'শালার, ভাগ্যটাই খারাপ'! No dear, You are totally wrong. আপনার ভাগ্য আজ আপনাকে এখানে আনেনি, আপনিই আপনার ভাগ্যকে এত নিচে নিয়ে এসেছেন। বাড়ির পাশে ময়লা ফেলে তা থেকে কিভাবে ফুলের সুবাস আশা করেন? 
কাজ যা করেছেন রেজাল্ট ও তাই।

সুতরাং সময় থাকতেই যেন আমরা সময়ের মূল্য বুঝি। 
কারণ প্রত্যেকটি মুহূর্তই জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।



সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)

No comments

Powered by Blogger.