চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩ @মিঃ মধু
অথবা প্রেমের মতো নয়
সবকথাতেই লুকিয়ে থাকে হারিয়ে ফেলার ভয়,
হয়তো সেটা প্রেম অথবা প্রেমের মতো নয়....
আসলে কোনো কোনো মানুষ যেন একটা নদীর পাড়ের মতো সুন্দর হয়।
যেখানে স্রেফ মাথা পেতে শুতে ইচ্ছে করে।
তাদের সাথে কোনোদিন কোনো সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছে করে না।
শুধু তাদের মায়া ভর্তি চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে....।
ঠিকই ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়
তোমার জীবনে নব্বইটা মানুষই খারাপ আসবে, নব্বইটা মানুষই তোমায় ঠকাবে,কিন্তু এই নব্বইটা খারাপ মানুষের ভিড়ে না মিশলে ভালো মানুষটাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
আমি বিশ্বাস করি, এমন একটা ভালো মানুষ এক না একদিন ঠিক আসে প্রত্যেকের জীবনে,
আমি বিশ্বাস করি, এমন একটা ভালো মানুষ এক না একদিন ঠিক আসে প্রত্যেকের জীবনে,
যে এই নব্বইটা খারাপ মানুষগুলোর ভিড় থেকে আমাদের অনেকটা দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়,
আমাদের বিশ্বাস করে, আমাদের আগলে রাখে....।
মানুষকে বিশ্বাস না করা অপরাধ, বারবার ভুল হবেই,
কিন্তু ভুল মানুষরাই আমাদের সঠিক মানুষ চিনতে শেখায়। আর নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে,
নিজে কোনোদিন কাউকে না ঠকালে ঠিকই ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়...
ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে জানতে হয়
অনেক অনেক ভুল করার পর বুঝেছি চুপ করে থাকাটা কতটা জরুরি, প্রতিক্রিয়া কম দেওয়াটা কতটা জরুরি। নিজের জিতে যাওয়ার আনন্দ বা নিজের ব্যথাকে অন্যকে দেখানোর চেয়ে চুপচাপ গিলে খাওয়াটা জরুরি.....যতবেশি আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হই, ততই আমরা যেন আমাদের মূল উদ্দেশ্যগুলো থেকে সরতে থাকি।
আমাদের ভেতর লড়াই করার জেদ কমতে থাকে.....।
আমাদের মনে হয় আমাদের পাশে অনেকেই আছে, কিন্তু সুবিধে অসুবিধেয় হাতে গোনা দুই চারজনকে ছাড়া আর কোথাও কাউকে পাওয়া যায় না..।
তাই নিজের দুঃখ ব্যথা শোক আনন্দকে এড়িয়ে যাওয়াটা খুব দরকার,
স্রেফ নিজের কাজ মন দিয়ে করে যেতে হয়...।
সত্যিকারের জয় অনেক অনেক পরাজয়ের পর আসে। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে জানতে হয়,
আর তার সাথে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন 👇👇
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
নিজের মনের কথা শুনুন
শুনুন, এই বছর বেঁচে গেলে একটা কাজ করবেন।নিজের জীবন থেকে নেগেটিভ মানুষগুলোকে দয়া করে সরিয়ে দেবেন.....
আপনাকে না চিনে জেনে, আপনার সাথে না মিশে, না কথা বলে শুধুমাত্র অন্যের কথায় আপনাকে যারা অত্যন্ত "খারাপ মানুষ" মনে করে। বিশ্বাস করুন তাদের জন্য আপনি যাই কিছু করুন না কেন!
আপনাকে না চিনে জেনে, আপনার সাথে না মিশে, না কথা বলে শুধুমাত্র অন্যের কথায় আপনাকে যারা অত্যন্ত "খারাপ মানুষ" মনে করে। বিশ্বাস করুন তাদের জন্য আপনি যাই কিছু করুন না কেন!
দুটো কিডনি দিয়ে দিলেও তাদের কাছে "খারাপ মানুষ" হয়েই থাকবেন.....
তাই এই সমস্ত নেগেটিভ মানুষদের দয়া করে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দেবেন.....
তাই এই সমস্ত নেগেটিভ মানুষদের দয়া করে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দেবেন.....
পরিবারের লোকও যদি আপনাকে নিয়ে কেচ্ছা রটায়, সবসময় খোঁটা দিয়ে কথা বলে,
তাঁদেরকেও বাদ দিন নিজের জীবন থেকে.....।
খুব কম মানুষেরই ধারণা পাল্টায়, খুব কম মানুষ ফিরে এসে আমাদের চোখে চোখ রেখে বলতে পারে,
"সরি তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম, পারলে ক্ষমা করে দিও".....
যাঁরা ক্ষমা চায়, যাঁরা অন্যের কথায় আপনাকে জাজ করেনি কোনোদিন, যোগাযোগ কম থাকলেও যাঁরা আপনাকে নিয়ে নিন্দে করেনি কখনো, যাঁরা আপনার দুর্বলতা জানা সত্ত্বেও আপনাকে সস্তা মনে করেনি, একমাত্র তাঁদেরকেই আপনার জীবনে রাখুন.....।
যাঁরা ক্ষমা চায়, যাঁরা অন্যের কথায় আপনাকে জাজ করেনি কোনোদিন, যোগাযোগ কম থাকলেও যাঁরা আপনাকে নিয়ে নিন্দে করেনি কখনো, যাঁরা আপনার দুর্বলতা জানা সত্ত্বেও আপনাকে সস্তা মনে করেনি, একমাত্র তাঁদেরকেই আপনার জীবনে রাখুন.....।
আর একধরণের মানুষকে সরিয়ে দেবেন নিজের জীবন থেকে, যাঁরা সারাটাক্ষণ দুঃখ ছড়াতে ভালোবাসে। এই ধরণের মানুষকে জীবনে রাখা মানেই ধীরে ধীরে আপনি ডিপ্রেশনে চলে যাবেন....
একটা সামান্য বেসুরো গলায় গান গাইলেই যারা কমেন্টে বক্সে এসে বলে যায় "ইসসস কি বাজে"!
একটু ভালো পোশাক পরলেই যারা বলতে শুরু করে "এই সময়ে দাঁড়িয়েও আপনার এত ভালো পোশাক পরতে ইচ্ছে করছে?"
একটা সামান্য প্রেমের কবিতা লিখলেই যারা বলতে থাকে "এত প্রেম পাচ্ছে এখনো!"
একটা নাচ করলেই, একটা আঁকা আঁকলেই যারা অখাদ্য কমেন্ট করতে থাকে, তাদেরকে ব্লক করে দেবেন....।
একটা সামান্য প্রেমের কবিতা লিখলেই যারা বলতে থাকে "এত প্রেম পাচ্ছে এখনো!"
একটা নাচ করলেই, একটা আঁকা আঁকলেই যারা অখাদ্য কমেন্ট করতে থাকে, তাদেরকে ব্লক করে দেবেন....।
আপনার যা ইচ্ছে মনে হয়, আপনি করুন (অন্যের ক্ষতি না করে)! হ্যাঁ এখন খুব খারাপ সময় চলছে,
কিন্তু খারাপ সময়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ভালো থাকতে শেখানোই হলো বেঁচে থাকার আসল মানে....
কোনো অসুস্থ মানুষকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন এই সময়ে, তেমনই নিজেকে ভালো রাখার জন্যও নিজের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন.....
সমস্ত নেগেটিভ লোকজনদের বাদ দিন জীবন থেকে....
জীবন এমনিতেই সুন্দর, শুধু জীবনটাকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে শিখলেই আপনি ভালোভাবে বাঁচতে শিখে যাবেন....।
কোনো অসুস্থ মানুষকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন এই সময়ে, তেমনই নিজেকে ভালো রাখার জন্যও নিজের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন.....
সমস্ত নেগেটিভ লোকজনদের বাদ দিন জীবন থেকে....
জীবন এমনিতেই সুন্দর, শুধু জীবনটাকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে শিখলেই আপনি ভালোভাবে বাঁচতে শিখে যাবেন....।
জীবনে প্রচুর চাহিদা থাক
"জীবনে চাহিদা যত কম থাকবে জীবন ততই বেশি সুন্দর হবে"আমি এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নই.....।
সবার জীবন এক সরলরেখায়, এক যুক্তিতে, এক নিয়মে, এক সূত্রে চলে না....
এক একজনের জীবনে চাহিদা খুব কম থাকে, সেটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু যার জীবনে অনেক চাহিদা আছে, অনেক ইচ্ছে আছে, অনেক স্বপ্ন আছে তাকে কেনই বা কম্প্রোমাইজ করতে হবে, তাকে কেনই বা মানিয়ে নিতে হবে? তাকে কেনই বা নিজের চাওয়াপাওয়া গুলোর সাথে বোঝাপড়া করতে হবে.....।
ব্যাপারটা হলো, যার জীবনে অল্প চাহিদা আছে, সেও যেমন সুন্দর, আবার যার জীবনে অনেক অনেক চাহিদা আছে সেও সুন্দর। শুধু নিজের সমস্ত চাহিদাগুলোকে পূরণ করার পথটা জানতে হবে....
নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে, নিজের ইচ্ছেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে, সেগুলো নিয়ে দিনরাত খোলা চোখে স্বপ্ন দেখতে হবে....।
এবং সবচেয়ে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, জীবনের কাছে যাদের বিশাল চাহিদা আছে তারা যেন নিজের জীবনে নিজের মতোই একজন লাইফ পার্টনার পায়....
জীবনের কাছে অনেক অনেক চাহিদা থাকা মানুষগুলোর এমন একজন পার্টনার থাকা দরকার, যে পার্টনার সেই চাহিদাগুলোকে গুরুত্ব দেবে এবং দুজনে মিলে দিনরাত পরিশ্রম করে সেইসব চাহিদাগুলোকে,
স্বপ্ন গুলোকে পূরণ করবে....।
আমার যদি ফ্ল্যাট কিনতে ইচ্ছে হয়, সেই ফ্ল্যাটটাকে নিজের মতো সাজাতে ইচ্ছে হয়, তাহলে যেন আমার পার্টনারও একইসাথে ফ্ল্যাট কেনার এবং ফ্ল্যাটটাকে সাজানোর স্বপ্নটা দেখে। দুজনে মিলে একসঙ্গে লড়াই করলেই জীবনে সব স্বপ্ন পূরণ হতে পারে....
একা একা লড়াই করে নিজের ইচ্ছেগুলো পূরণ করা ভীষণ শক্ত, অসম্ভব নয়, তবে শক্ত।
সেই জায়াগায় দুজনে মিলে যদি একটাই স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নটাকে যদি একসঙ্গে পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করে,
তাহলে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে....।
জীবনের কাছে প্রচুর প্রচুর চাহিদা থাকা জীবনে দুঃখ পাওয়ার কারণ হতে পারে না,
যদি আমরা সেইসব চাহিদা গুলোকে পূরণ করার সঠিক পথ খুঁজে পাই....।
অন্যের ঘাড়ের উপর নিজের সব দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে দিনরাত "আমার কোনো স্বপ্ন পূরণ হলো না,
আমি জীবনে কিছুই পেলাম না" বলে ঘ্যানঘ্যান করলে জীবন থেকে দুঃখ কোনোদিন কমবে না....
দুজনে মিলে লড়াই করতে হবে, আর তার জন্য একজন সঠিক লাইফ পার্টনার থাকা আবশ্যিক।
দুজনে মিলে লড়াই করতে হবে, আর তার জন্য একজন সঠিক লাইফ পার্টনার থাকা আবশ্যিক।
জীবনে প্রচুর চাহিদা থাক, শুধু সেই চাহিদাগুলোকে পূরণ করার মতো জেদ, ইচ্ছে, সাহস ও আত্মবিশ্বাসও যেন থাকে, তাহলেই কোনো রাস্তা কঠিন হয়....।
ব্রেকআপ করে নেওয়াটাও কোনো কাজের কথা নয়
কথা কাটাকাটি, রাগ, ঝগড়া, মান, অভিমান, দুঃখ, ব্যথা হবেই, রোজই হবে। কিন্তু তা বলে হুটহাট সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, বারবার ফোন কেটে দেওয়া, ডোন্ট কেয়ার এটিটিউড নিয়ে ব্রেকআপ করে নেওয়াটাও কোনো কাজের কথা নয়.....না, আমি জোর করে নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়ে কাউকেই কোনো সম্পর্কে পড়ে থাকতে বলছি না।
কিন্তু তুচ্ছ তুচ্ছ ঝগড়ায় নিজেদের মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন দেওয়াল তুলে দেওয়াটাও উচিত নয়। সামান্য ঝামেলায় বহুদিনের একটা সুন্দর সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া ঠিক নয়, কথা কাটাকাটির সময় একে অপরকে জঘন্য ভাবে অপমান করে নিজেদের ভেতর দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়াও ঠিক নয়....।
এই দুনিয়ায় এমন কেউ নেই! যার রাগ, অভিমান, দুঃখ, ব্যথা, শোক নেই, কিন্তু এই সবটুকু নিয়েও প্রতিটা মানুষ একটা অসাধারণ জীবনযাপন করার চেষ্টা করে প্রতিদিন....
হাজারটা মানুষের কাছে ধাক্কা খেয়েও, হাজারটা মানুষের কাছে অপমানিত হয়েও, হাজারটা মানুষের কাছে ঠকে যাওয়ার পরও মানুষ সম্পর্কে জড়ায়, আরো একবার একটা নতুন মানুষকে বিশ্বাস করে, নিজের একটা পৃথিবী তৈরি করার চেষ্টা করে....।
আমি বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনে এক একটা সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক হলো এক একটা এচিভমেন্ট অর্থাৎ প্রাপ্তি....
মানুষ দিনের শেষে ঠিক যতগুলো সম্পর্ককে, যতগুলো মানুষকে নিজের ভেতর জমিয়ে রাখে, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় ঠিক ততগুলো সম্পর্কই তার জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি, সর্বোচ্চ পাওনা হয়ে থেকে যায়....
একটা সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক গড়তে, এবং তা লালন করতে প্রচুর প্রচুর সময় লাগে। এত যত্ন করে গড়া সম্পর্ক যখন তুচ্ছ তুচ্ছ মান অভিমানে ভেঙে যায় তখন শুধু একটা সম্পর্ক শেষ হয় না,
বরং দুটো মানুষও বদলে যায়, নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলে, বাঁচতে ভুলে যায়,
ভেতর ভেতর মরে যায়....।
প্রতিটা মানুষের জীবনে সম্পর্ক যেমন এচিভমেন্ট,
প্রতিটা মানুষের জীবনে সম্পর্ক যেমন এচিভমেন্ট,
তেমনই পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা হলো সবচেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট...।
খুব সহজ হিসেব, যত বেশি সম্মান আদান প্রদান হবে, ততই বেশি সম্পর্ক মজবুত হবে....
তাই বলছি রাগ হোক, ঝগড়া হোক, ভাতের থালা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হোক, দড়াম করে মুখের উপর নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হোক, কিন্তু যেন দিনের শেষে মানুষ দুটো মুখোমুখি এক টেবিলে বসে খাবার খেতে পারে।
এক বিছানায় পাশাপাশি শুতে পারে, ভোরের বেলায় দরজার সামনে পড়ে থাকা পেপারটা একজন এনে অপরজনের হাতে তুলে দিতে পারে....
দুজনে মিলে সকাল বেলায় রোদ মাখতে মাখতে গরম চায়ের কাপ হাতে যেন বারান্দায় দাঁড়াতে পারে। একজনের শরীর খারাপ হলে আর একজন যেন ডাক্তারের কাছে দৌঁড়ে যেতে পারে....
এই দুনিয়ায় কারোর সাথেই কারোর চিন্তা ভাবনা সম্পূর্ণ ভাবে মিলে যায় না, আমরা শুধুমাত্র আজীবন নিজেদের চিন্তাভাবনাগুলোকে আমাদের কাছের মানুষটার চিন্তাভাবনার সাথে মেলানোর চেষ্টা করতে পারি....।
তাই বলছি নিজেদের ভেতর কথা বলুন, কি কি সমস্যা হচ্ছে নিজেদের ভেতর, সেগুলো নিয়ে দুজনেই বসে আলোচনা করুন....
সমস্যাগুলোকে আইডেন্টিফাই করুন, সকাল বেলায় ঝগড়া করে বেরিয়ে গেলেও রাতের বেলায় বাড়ি ফিরে এসে একসঙ্গে একটু ছাদে গিয়ে খোলা হাওয়ায় বসুন....
পরস্পর পরস্পরকে সম্মান করুন, দুজনেই দুজনের ভাবনা চিন্তাকে নিজের জীবনে খুব সামান্য হলেও প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন....
"ও ঝামেলা করেছে, আমি কেন কথা বলবো"
এই ধরণের মানসিকতাগুলোই দুজনের ভেতর দূরত্বের সৃষ্টি করে....।
ঝামেলা যেই করুক, ঝামেলার সমাধান বার করার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে কেউই ছোট বড় হয় না, একটা সম্পর্কে দুজনেরই সমান ডেডিকেশন থাকে.....
"আমার অভিমান না বুঝলে আমি কোনোদিনই কথা বলবো না" এই ধরণের মানসিকতাও চেঞ্জ করুন....
আপনার মনের ভেতর ঢুকে সমস্ত গোপন কুঠুরির হদিশ বার করার মতো সময় এই দুনিয়ায় কারোর হাতেই নেই....
তাই অভিমানকে দীর্ঘজীবী না করে নিজেই নিজের সমস্যাগুলো আপনার পার্টনারকে খুলে বলুন, যত বেশি সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, তত বেশি সমাধান বেরোবে....
দিনের শেষে নিজেদের ভেতর কথা বলার জন্য আধঘন্টা রাখুন, সারাদিন মানুষটা কি কি কাজে ব্যস্ত ছিল, তার সারাদিনটা কেমন কাটলো, মানুষটা কি খেলো, শরীর কেমন আছে মানুষটার, জিগ্যেস করুন....
সম্পর্কে মান অভিমান থাক, কিন্তু দিনের শেষে সেই মান অভিমান ধুয়ে বৃষ্টি নামার মতো
একটা খোলা ছাদও থাক....
যতই ঝগড়া হোক, কেউই যেন কাউকে ছেড়ে না চলে যায়...
পার্টনারকে_সম্মান_করুন_সম্পর্ক_সুস্থ_হবে
কারণ আগের বছরেও ঠিক এই সময় বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে ডিপ্রেশনের মধ্যে ছিল,
যতই ঝগড়া হোক, কেউই যেন কাউকে ছেড়ে না চলে যায়...
পার্টনারকে_সম্মান_করুন_সম্পর্ক_সুস্থ_হবে
নিজেকে ভালো রাখতে শেখো প্রিয়
হ্যাঁ আমি সিজন বললাম।কারণ আগের বছরেও ঠিক এই সময় বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে ডিপ্রেশনের মধ্যে ছিল,
আবারো এই বছরে ঠিক একই সময় বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে কর্মহীন হয়ে নিজেকে গৃহবন্দী করে
ডিপ্রেশনের স্বীকার হতে চলেছে.....।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েদের কাছে "বয়সটা" খুবই ইম্পরট্যান্ট একটা বিষয়।
যে বয়সে রাস্তায় নেমে কাজ করার কথা ভাবা উচিত, যে বয়সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির ইন্টারভিউর জন্য দৌঁড়ানো উচিত, যে বয়সে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্ল্যান করা উচিত,
সেই বয়সে এসে গৃহবন্দী হয়ে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে, না কোনো রোজগার আছে, আর না কোথাও কোনো পড়াশুনো বা ইন্টারভিউ হচ্ছে....।
সেই বয়সে এসে গৃহবন্দী হয়ে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে, না কোনো রোজগার আছে, আর না কোথাও কোনো পড়াশুনো বা ইন্টারভিউ হচ্ছে....।
এসব নিয়ে ভাবলে সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেসড লাগে, এইযে লকডাউন, এইযে গৃহবন্দী জীবন, এইযে কর্মহীনতা এগুলো যেন এক একটা অভিশাপের নাম.....।
হ্যাঁ এই ডিপ্রেশন গুলো কাটানোর সত্যি কোনো উপায় জানা নেই আমার। না চাইতেও এগুলো মেনে নিতে হবে এই মুহূর্তে, তাই আমি বলছি যে যখন আমাদের গৃহবন্দী হয়েই বেশ কতগুলো মাস কাটাতে হবে, তখন বাড়িতেই আমরা নিজেদেরকে ভালো রাখার জন্য একটু চেষ্টা করতে পারি তো?...
জাস্ট আগে নিজের মনকে বোঝাও "কয়েকটা মাস একটু কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। তারপর লড়াই শুরু হবে, পথে নামতে হবে, অনেক বেশি কাজ করতে হবে, এখন যে কাজ গুলো জমে গেল,
সেগুলোও করতে হবে".....।
ব্যস এটুকুই নিজের মনকে বোঝাতে হবে, তাহলেই অনেকটা মুশকিল আসান হয়ে যাবে। এখন যে আমরা বাড়িতে আছি, বছরের বেশিরভাগ সময় আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না। তাই এই সময়টা একটু বরং ফ্যামিলিকে দেওয়া যাক....
সবাই টুকটাক রান্না শিখে ফেলো, সারাক্ষণ ফোনের সাথে না জুড়ে থেকে মায়ের সাথে রান্নাঘরের টুকটাক কাজ করো। বাবার সাথে সন্ধেবেলার চা টা একসঙ্গে খাও, বিকেলে ছাদে গিয়ে বসো....
গাছেদের সাথে ফুলেদের সাথে কথা বলো, পাড়ার মধ্যেই একটু হাঁটাহাঁটি করো,
বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলো.....।
ঘর গোছাও, কেউ আঁকতে জানলে নতুন কিছু আঁকো....
যার ভেতরে যা কিছু ট্যালেন্ট আছে, সেটা নিয়ে নারচার করো....
কোনোকিছু না করতে ইচ্ছে করলে টিভি দেখো, ফিল্ম দেখো ইউটিউবে কিংবা নেটফ্লিক্সে...
যেটা করবে না সেটা হলো নেগেটিভিটি নিজের ভেতর একদম আসতে দেবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত ট্রল, ব্যঙ্গ, খিল্লি, নেগেটিভ খবর গুলো ছড়ায়,
সেই সবকিছুর থেকে দূরে থাকো.....
জাস্ট নিজেকে ভালো রাখার মতো লড়াইয়ের থেকে বড় লড়াই এই পৃথিবীতে নেই....
নিজেকে ভালো রাখতে শেখো প্রিয়....।
জাস্ট নিজেকে ভালো রাখার মতো লড়াইয়ের থেকে বড় লড়াই এই পৃথিবীতে নেই....
নিজেকে ভালো রাখতে শেখো প্রিয়....।
ডিপ্রেশনের সাথে লড়াই
আচ্ছা মাঝরাতে আপনার কখনো হঠাৎ কান্না পেয়েছে? কখনো পকেটে টাকা নেই বলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছে? ভোরের সময় কাউকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোতে ইচ্ছে হয়েছে? প্রচুর প্রচুর হাসতে হাসতে হঠাৎ চোখ জলে ভরে গেছে?কখনো দুপুর বেলায় অন্ধকার ঘরে শুয়ে বুক ধড়ফড় করেছে? মনে হয়েছে কখনো কেউ যেন গলা টিপে ধরছে? কখনো প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে হয়েছে কারোর বিরুদ্ধে? কখনো অর্ধেক মাখা ভাত ফেলে উঠে গেছেন? কখনো সারাদিন শুধু একটার পর একটা সিগারেট খেয়ে কাটিয়েছেন?
আমি এইসব স্টেজগুলো পার করে এসেছি, আমি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি বহুবার, আমি মাঝরাতে কেঁদেছি নিজেকে জড়িয়ে ধরে একা....।
আমি বহুবার ভেবেছি এইরকম অর্থহীন মূল্যহীন জীবন রেখে লাভ কি!....
আমি যার যার উপর যখন যখন নির্ভরশীল হয়েছি, যে যে মানুষগুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি, সেইসব মানুষরা আমায় ঠকিয়ে চলে গেছে নির্মম ভাবে....।
আমি তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, আমি তাদের জন্য রাতের পর রাত কেঁদেছি, আমি তাদেরকে বারংবার ফোন করে নিজের ভুল না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমা চেয়েছি....
কিন্তু যখন থেকে দেখেছি, তারা ছেড়ে যাওয়ার পর একবারও পেছন ফিরে তাকায়নি আমার দিকে, তারা একবারও ভাবেনি, যে তারা ছেড়ে যাওয়ার পর আমি কেমন আছি! খেলাম কিনা! ঘুমালাম কিনা!
আদৌ বেঁচে আছি তো! না, এসব তারা একবারও ভাবেনি....।
তারা বরং নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছে, নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, টাকা উপার্জন করে ভালো সংসার পেতেছে....
তখন থেকে আমি নিজেকে একটু একটু করে শক্ত করেছি, নিজেকে স্বার্থপর তৈরি করেছি, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি সারাদিন। অন্য কারোর জন্য নয়, স্রেফ নিজের জন্য বাঁচতে চেয়েছি....
তারা কেউই যখন আমার কথা ভাবেনি, তখন আমি মরে গেলেও তাদের কিছুই যায় আসতো না।
তাই আমি ওদের জন্য মরে না গিয়ে নিজের জন্য বাঁচতে শিখেছি....।
হ্যাঁ, কান্না পেলে কেঁদেছি আর তারপর নিজের চোখের জল মুছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হেসেছি....
একা একা সিনেমাহলে গিয়ে মুভি দেখেছি, একা একা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছি, একা একা কোনো এক অজানা পার্কে গিয়ে চুপচাপ বসে থেকেছি ঘন্টার পর ঘন্টা....
কোনো এক অচেনা গলিতে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে বৃষ্টিতে ভিজেছি....।
চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছি, আর তারপর নিজেই নিজের টুকরো গুলো হাতের মুঠোয় তুলে গুছিয়ে নিয়েছি....
ভোর রাতে ঘুমিয়েছি, সকাল বেলায় উঠে চুপচাপ কাজে গেছি, কখনো বাসের জানলার পাশে বসে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছি....।
আমি ডিপ্রেশনের এক গভীর অন্ধকারে ধীরে ধীরে তলিয়ে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি....
জীবন কখনো সহজে শেষ হয় না, তাই বারবার মৃত্যুকে বরণ করে নিতে চাইলেও মৃত্যু ধরা দেয়নি সহজে....
মৃত্যু সহজ, বেঁচে থাকাই কঠিন, আমি এই কঠিন জীবনটা বেছে নিয়েছি....
মাঝেমধ্যে নিজের জন্য স্বার্থপর হওয়া দরকার, নিজের ভুলগুলো নিয়ে কাটাছেঁড়া করা দরকার...
মাঝেমধ্যে একটু কান্নাকাটি করা দরকার, আর তারপর আবার নিজেকে সামলে নেওয়া দরকার....
যে মানুষ হাজারবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও নিজেই নিজেকে সামলাতে পারে,
সেই মানুষের মতো সুন্দর মানুষ এই পৃথিবীতে নেই...
আমি সুন্দর, ব্যাস এটুকুই রোজ একবার করে নিজেকে মনে করিয়ে দিই....।
আমি সুন্দর, ব্যাস এটুকুই রোজ একবার করে নিজেকে মনে করিয়ে দিই....।
আরও পড়ুন 👇👇
সেই মানুষটার পাশ থেকে জাস্ট কদিনের জন্য সরে যাও....
তুমি সরে গিয়ে দেখো সে তোমায় খুঁজছে কিনা! নিজেকে তার কাছ থেকে আড়াল করে দেখো সে তোমায় গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা!....।
১) বিয়ে করার সঠিক বয়স কত?
২) কি আছে একজন নারীর শরীরে ?
৩) শিক্ষিত বলতে আপনি কী বোঝেন
৪) মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশলগুলো কী কী?
৫) কোন ১০টি জিনিস আপনার কখনও করা উচিত নয়?
নষ্ট সম্পর্কে পড়ে থাকার চেয়ে একা থাকা ভালো
হাজারটা অবহেলা অপমান সহ্য করেও তুমি এতদিন যে মানুষটার পাশে ছিলে,সেই মানুষটার পাশ থেকে জাস্ট কদিনের জন্য সরে যাও....
তুমি সরে গিয়ে দেখো সে তোমায় খুঁজছে কিনা! নিজেকে তার কাছ থেকে আড়াল করে দেখো সে তোমায় গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা!....।
ভালোবাসা একতরফা হতে পারে, কিন্তু সম্পর্ক কখনোই একতরফা গড়ে ওঠে না। তাই একটা সম্পর্কে দুজনেরই দুজনের প্রতি একিরকমের ডেডিকেশন, বিশ্বাস, বন্ধুত্ব থাকা উচিত....
যে মানুষটা সারাটাদিন অপেক্ষা করে তার কাছের মানুষটার গলার আওয়াজ শোনার জন্য, থালা আগলে সারাটা রাত বসে থাকে, হাজারটা অপমান সহ্য করে, হাজারটা অভিমান জমিয়েও প্রিয় মানুষটার জন্মদিন কখনো ভুলে যায় না, বারবার অবহেলিত হয়েও প্রিয় মানুষটার জ্বর হলে ছুটে যায়, সেই মানুষটাকে ইগনোর করা পাপ....।
উল্টোদিকের মানুষটা যদি নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাহলে এভাবে কোনো সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হতে পারে না। তাই সেই মুহূর্তে নিজের থেকেই কিছুদিনের জন্য দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়া উচিত উল্টোদিকের মানুষটার থেকে...।
দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়ার পর যদি উল্টোদিকের মানুষটা তোমায় খোঁজে, নিজের ভুল বুঝতে পেরে তোমার কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে বুঝে নিও সম্পর্ক এখনো ভালো আছে, জাস্ট কয়েক মুহূর্তের জন্য সম্পর্কটা শিথিল হয়ে গিয়েছিল.....
আর যদি তুমি দূরে সরে যাওয়ার পরও উল্টোদিকের মানুষটা তোমায় একবারও না খোঁজে, একবারও না তোমার সাথে কথা বলতে চায়, তাহলে বুঝে যেও সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গেছে, তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো....
নষ্ট সম্পর্কে পড়ে থাকার চেয়ে একা থাকা ভালো।
আসলে আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে সস্তা বানাই প্রিয় মানুষদের কাছে, আমরাই প্রয়োজনের থেকে বেশি যত্ন নিই প্রিয় মানুষটার, নিজের ইচ্ছেগুলোকে দমিয়ে উল্টোদিকের মানুষটার ইচ্ছেটাকে গুরুত্ব দিই সবসময়, আর সেখানেই সবচেয়ে বড় ভুল করি....
যে মানুষ নিজেকে গুরুত্ব দেয় না, তাকে কেউ কোনোদিন গুরুত্ব দেবে না, এটাই সমাজের নিয়ম...
একটা সম্পর্কে সবকিছুই সমান সমান হয়, কেউ একজন বেশি গুরুত্ব পাবে, আর কেউ একজন কোনো গুরুত্বই পাবে না, এভাবে সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকে থাকে না....।
একটা সম্পর্কে দুজনকেই দুজনের ইচ্ছেটাকে গুরুত্ব দেওয়াটা দরকার। একজনের চাহিদা পূরণ হবে, আর একজনের কোনো চাহিদা পূরণ হবে না, এভাবে সম্পর্ক সুন্দর হয় না,
বরং "বোঝা" হয়ে যায় একটা সময়ের পর....
তাই আমি মনে করি, কিছু কিছু সময় নিজের থেকেই সামান্য দূরত্ব বাড়িয়ে দেখে নেওয়া উচিত উল্টোদিকের মানুষটা আদৌ আমাদের পরোয়া করছে কিনা!
তাই আমি মনে করি, কিছু কিছু সময় নিজের থেকেই সামান্য দূরত্ব বাড়িয়ে দেখে নেওয়া উচিত উল্টোদিকের মানুষটা আদৌ আমাদের পরোয়া করছে কিনা!
সামান্য দূরত্ব বাড়িয়ে দেখে নেওয়া উচিত সম্পর্কটা আদৌ ভালো আছে কিনা!.....
এমন মানুষ পেলে কখনো হারাতে দিতে নেই
আমি দেখেছি খুব শক্তপোক্ত সম্পর্কগুলোতে রোজ ফোন দেওয়া নেওয়ার গল্প নাই, কারণ তাঁরা জানে প্রাণের মানুষটা যেখানেই থাক, ফিরে আসবেই দিনের শেষে তাঁদের কাছে।তাঁরা শুধু দুহাত খুলে অপেক্ষা করে প্রিয়জনের জন্য, কাছে এলেই যাতে মুঠো ভরে কুড়িয়ে নিতে পারে আপনজনের সুখ দুঃখ গুলো....।
খুব দৃঢ় সম্পর্কগুলোতে দুইবেলা "খেয়েছো, ঘুমিয়েছো" জিগ্যেস করে না কেউ কাউকে! কিন্তু একজন না খেলে আর একজন ঠিক পেট ভরে খেতে পারে না, কোনরকমে থালা এঁটো করে উঠে যায় হাত ধুয়ে....
খুব শক্তপোক্ত সম্পর্কগুলোতে ছোট ছোট কথায় চারবেলা অভিমান করে কেউই মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে না, কিংবা ঝামেলাও করে না। বরং মানিয়ে নেয় তরকারিতে বেশি নুন হলেও, আবার জন্মদিনে উপহার আনতে ভুলে গেলেও হাসিমুখে মানিয়ে নেয়....।
রোজ রোজ ঝগড়া করে দিনের শেষে জাপটে ধরে চুমুও খায় না একে অপরকে, কিন্তু একজন বেসামাল হয়ে পথ চললেই অন্যজন হাত টেনে ধরে, জলভর্তি সিঁড়িতে পা পিছলে পড়ার আগে ঠিকই সামলে নেয় একে অপরকে....
অফিস ফুরোলে ফোন করে "ভালোবাসি ভালোবাসি" বলে চেঁচায় না কেউই, কিন্তু মাঝেমধ্যে হাতে করে গরম জিলিপি নিয়ে আসে একসঙ্গে খাবে বলে....।
দামি উপহার আনে না ঠিকই, কিন্তু বাজারের ব্যাগটা ভারী হলেই দুইজনে একটা ব্যাগের দুটো হাতল ভাগাভাগি করে ধরে নিয়ে এসে উপচে দেয় শাকসবজি রান্নাঘরের মেঝেতে....
প্রতি সপ্তাহে সিনেমা দেখতে বা রেস্টুরেন্টে খেতে যায় না ওরা, কিন্তু প্রতিবেশীর বিয়েতে সেজেগুজে বেরোনোর সময় চোখে চোখ রেখে একজন অন্যজনকে বলে "আজ তোমায় খুব ভালো লাগছে,
অনেকেই তোমায় দেখে চোখ ফেরাতে পারবে না দেখো"....।
প্রতিদিন হয়তো একে অপরের যত্ন নেওয়ার সময় হয় না, কিন্তু একজনের জ্বর হলে অপরজন ঠিকই রাতের বেলায় বারবার উঠে থার্মোমিটারে জ্বর মাপে, কপালে জল্পট্টি দেয়....
খুব সাদামাটা সম্পর্কগুলোতে হাঁড়িতে ভাত কম থাকলে একজন একটু কম খেয়ে অন্যজনের মুখের সামনে ভাতের থালা এগিয়ে দেয়, মাঝরাতে চাদর সরে গেলে একজন ঠিকই আর একজনের গায়ে আলতো করে চাদর জড়িয়ে দেয়....।
খুব গরমে দুপুরবেলায় একজন বাড়ি ফিরলে অন্যজন হাতে করে শরবত এগিয়ে দেয়। অফিসের ফাইলটা থেকে রান্নাঘরের মশলাটা সব ঠিকঠাক করে গুছিয়ে রাখে দুজনেই....
মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে মানুষ সম্পর্কে জড়ায় না, কিন্তু দুইটা মানুষ একটা সম্পর্ককে যদি লালন করতে পারে, তবে দুইজন দুইজনকে এমনভাবে গড়ে তোলে, সেই দুটো মানুষকে ভাঙার ক্ষমতা আর কারোর থাকে না....
জীবনে এমন মানুষ পেলে, মুঠো ভরে কুড়িয়ে নিতে হয়, কখনো হারাতে দিতে নেই....।
বেঁধে রাখার ক্ষমতা আর কারোর থাকে না
খুব বকবক করা মানুষগুলো একটা সময়ের পর চুপ হয়ে যায়।ক্রমশ আঘাত পেতে পেতে চুপ হয়ে যাওয়ার পর আর কোনোদিন খোলামেলা ভাবে,
সেই মানুষগুলো বকবক করতে পারে না....।
ভালবেসে বারবার ঠকে যাওয়ার পর মানুষ ভালোবাসতে ভুলে যায়। আর একবার ভালোবাসার উপর বিশ্বাস উঠে গেলে তাকে কেউ যতই বুক দিয়ে আগলানোর চেষ্টা করুক, সে আর কখনোই ভালোবাসায় ফেরে না....।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর মানুষকে একা থাকতে শিখতেই হয়। আর একবার একা থাকতে শিখে গেলে সে আর কোনোদিন কারোর সাথে সংসার করতে পারে না। সে তখন ডানা লাগানো পাখির মতো উড়তে চায়, ঘুরতে চায়, তাকে বেঁধে রাখার ক্ষমতা আর কারোর থাকে না.....।
বারবার বিশ্বাস করে প্রতারিত হওয়ার পর মানুষকে শক্ত হতে হয়। আর একবার সে শক্ত হয়ে গেলে তাকে আর কেউ কোনোদিন ভাঙতে পারে না, এমনকি সে নিজে কারোর কাছে ভাঙতে চাইলেও আর আগের মতো করে ভেঙে টুকরো টুকরো হয় না। কারণ ততদিনে তার চোখের জল শুকিয়ে যায়....।
ভালোবাসা মানুষকে সৃষ্টিও করে, ধ্বংসও করে কিন্তু একবার ধ্বংস হওয়ার পর নিজেকে নিজে গড়ে তুললে তাকে কেউ যতই ভালোবাসুক, সে আর কাউকে কোনোদিন ভালোবাসতে পারে না ঠিক করে।
স্রেফ নিজের দায়িত্ব টুকু পালন করে, কিন্তু আর কারোর প্রতিই তার তীব্র ভালোবাসা জন্মায় না....।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
No comments