চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১ @মিঃ মধু
আমি পরিচিত মুখগুলো ভুলে গেছি
.jpg)
আমি বৃষ্টির জলে বহুবার ভিজেছি, ছন্নছাড়া তাই।
আমি কুয়াশার চাদরে থরথর কেঁপেছি, আমার কেহ নাই।
আমি সান্তনায় নিজেরে বাঁচিয়ে রেখেছি, সুখের আসায়।
আমি স্বাধীনতার স্বাদ ফুটপাতে খুঁজি, রাতের নিরবতায়।
আমি দৃষ্টি শক্তির শেষ প্রান্তে পৌছেছি, বার্ধক্যের কারনে।
আমি পরিচিত মুখগুলো ভুলে গেছি, কেউ নেই স্বরণে।
আমি আমার আমিটাতে বড্ড পেরেশান
ব্যার্থতার গ্লানীতে।
আমি নিত্য রাতে ফিরে যাওয়ার আহবান
বারেবারে পাই শুনিতে।
আমি অভিযোগের ভাষাগুলো ভুলে গেছি
অপমানের আঘাতে।
আমি মুক্তির মিছিলে অংশ নিতে চাইছি
অভিমানের অজুহাতে।
আমাদের একটাই গন্তব্য হোক।
আমাদের একটাই গন্তব্য হোক।হ্যাঁ, আপনার আর আমার একটাই ঠিকানা হোক।
আমাদের মাঝে কিছুটা দূরত্ব বাড়ুক,
হারানোর ভয়ে কিছুটা মন কাঁদুক,
ছেড়ে থাকার যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে_
অবশেষে আমাদের একটাই গন্তব্য হোক।
অভিমানের দেয়াল ভেঙে যাক,
আমাদের সকল জড়তা কেটে যাক,
সকল অভিযোগের ঝুলি শূন্য করে_
শেষ বেলায় আমাদের একটাই ঠিকানা হোক।
ক্ষাণিকটা কাল ক্ষেপণ হোক,
আলাদা সময়ে দু'জনের যাত্রা হোক,
হয়তো আপনি আগে নয়তো আমি,
তবুও শেষ বিকেলের ট্রেন ধরে আমাদের একই গন্তব্যে ফেরা হোক।
আপনার আর আমার একটাই ঠিকানা হোক।
হ্যাঁ, আমাদের দু'জনের একটাই গন্তব্য হোক।
আমাদের একটাই গন্তব্য হোক ।
তুমি তোমাকে কখনো চিনতে পারবে না
যদি তোমার প্রিয় মানুষ গুলো তোমাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে না দেয় । তুমি তোমার সম্পর্কে কখনোই ধারনা করতে পারবে না যদি তোমার কাছের মানুষ তোমার সাথে সুক্ষ্ন ভাবে চিট না করে ।তুমি নিজেকে কখনো নিজের মূল্য বুঝতে পারবে না যদি তোমাকে কেউ তার প্রয়োজনে খারাপ ভাবে ব্যবহার না করে ছুড়ে ফেলে দেয় ।
প্রতিটা মানুষই প্রচন্ড কারো কাছ থেকে আঘাত পাওয়ার পরই বদলে যায় ।
এই বদলে যাওয়াটা নিজের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা । নিজেকে সবার কাছ থেকে আড়াল করার পায়তারা । কারন যখন তুমি এই সত্যিটা জানবে তোমার জীবনে কাউকে প্রয়োজন হবে না। কারো সঙ্গ পাওয়ার আসক্তি তৈরী হবে না।
কারো জন্য অভ্যাসে অপেক্ষা থাকবে না ।
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩
কিছু মানুষদের নিজের জীবন থেকে দূর করা উচিৎ
কিছু মানুষকে জীবন থেকে চলে যেতে দেওয়া উচিৎ। এলাচ যেমন মাংসের স্বাদ বৃদ্ধি করে আবার সেই স্বাদযুক্ত মাংস খাওয়ার সময় এলাচ মুখে পড়লে যেমন মুখের পুরো খাবারটাই স্বাদহীন হয়ে যায়,এই মানুষগুলো তেমন। আপনার সাজানো-গোছানো,ফুলের মতো জীবনে এক একটা এলাচ হয়ে ধরা দেবে।
প্রথমে আপনার সুন্দর অনুভূতিগুলো নিয়ে আড়ালে খেলবে, আপনাকে স্বর্গসুখ দেবে আর তারপর বিতৃষ্ণায় ভরিয়ে দেবে আপনার প্রত্যেকটি মূহুর্ত,
রক্তাক্ত করে দেবে আপনার ভেতরটাকে। তাই এই ধরনের কিছু মানুষদের নিজের জীবন থেকে দূর করা উচিৎ
কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছেন।
যে মানুষটা আপনার জন্য পাগল,হুট করে একদিন তার সব পাগলামো থেমে যাবে।
আপনাকে ছাড়া এক মূহুর্ত থাকতে না পারা মানুষটা, আপনি চলে গেলেই টুপ করে মরে যাবে না!
একদিন ঠিক সেও একলা থাকা শিখে নিবে !
পৃথিবীর মানুষগুলো হঠাৎ বদলায়, সাথে
বদলে যায় কিছু অনুভুতি।
আজ যে মানুষটাকে আপনি সস্তা ভেবে অবহেলা করছেন, একের পর এক ভালোবাসার প্রতিশ্রুতিগুলো ভেঙে দিয়ে মুখ লুকিয়ে হাসছেন !
আপনার প্রতিটা যন্ত্রনা যাকে ঘুমোতে দেয় না, সেই মানুষটা একদিন আপনাকে ভুলে যাবে।
খুব নিষ্ঠুরভাবে ভুলে যাবে।
সেদিন আপনি টের পাবেন "একাকিত্ব" মানুষকে ঠিক কতটা অসহায় করে দিতে পারে।
আপনার জানা দরকার একটা মানুষকে ঠিক কতটুকু "প্রায়োরিটি" দিয়ে ভালোবাসলে সে কখনোই আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
ঠিক তেমনি মানুষটা আপনার থেকে কি পরিমান অবহেলা পেলে দূরে সরে যাবে না হিসেবটাও ঠিক বোঝা দরকার !
সবকিছুতে একটা ব্যালেন্স রাখুন।
যেখানে যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকুই দিন।
অবহেলা করতে করতে কোনো মানুষকে একদম অনুভুতিহীন পাথর বানিয়ে দিবেন না কখনো, মনে রাখবেন পাথর কিন্তুু কখনোই মানুষের মত আচরন করে না।
আজ মানুষটা আপনার সাথে আছে বলে অবহেলা করে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছেন !
ট্রাস্ট মি একদিন এই মানুষটাকে পাওয়ার জন্যই আপনি কাঁদবেন !
পৃথিবীর সবকিছু বেঈমানী করলেও সময় কখনো বেঈমানি করে না।
সময় একদিন আপনাকেও ঠিক বুঝিয়ে দিবে আপনি কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছেন।
কেউ আপনাকে ভুল বুঝলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন
সামান্য কারনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়াটা ছিলো আপনার প্রিয় মানুষের অযুহাত, এবং পরিকল্পনা মাত্র। প্রিয় মানুষ বদলে যেকোনো পরিস্থিতিতেই যেতে পারে!বাস্তব কথা হচ্ছে পৃথিবীতে সব কিছু পরিকল্পনা করে হয়, সেইটা বে'ইমানি হোক কিংবা কাউকে গভীর ভাবে ঠ'কানো কিন্তু ক'ষ্ট-টা সত্যিই খুব ভয়াবহ!
আপনার ভালোবাসার মানুষের কাছে আপনি একটা সময় বিনা অপরাধে শাস্তি পাবেন, বিনা কারণে আপনি ক'ষ্ট পাবেন, সে যোগাযোগ অফ করতে চাইবে।
এটাই স্বাভাবিক কারণ তার য'খনই চলে যাবার সময় হবে তখন আপনি তাকে যতটা আগলে রাখেন না কেনো, সে থাকবে না, তাকে শেকলে বেঁধে রাখলেও সে চলে যাবেই, সকল মায়া ভুলে।
আসলে যার ঠ'কানোর ইচ্ছা সে আপনাকে যেকোন অবস্থায় ঠ'কাতে চাইবে।
যার প্রয়োজন মিটে গেছে মোহ কেটে গেছে স্বা'র্থের কাছে, সে আপনার ভালোবাসা বুঝবেও না। তাই জোর করে লাভ ও নেই।
তাই কেউ চলে যেতে চাইলে, কেউ আপনাকে ভুল বুঝলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। আবেগের বশে ভুল না করে তাকে চলে যেতে দিন। একজন সত্যিই কার ভালোবাসার মানুষের কাছে আপনি কেমন তা প্রুফ দিবার দরকার পরবে না।
কেউ একজন আপনাকে না চাইলে তার জন্য পাগলামি করতে নেই, এতটা সস্তা হতে নেই। আসলে আজ যে মানুষটা আপনাকে সহজে পেয়ে যাবে, কাল আপনাকে পেয়ে সেই মানুষটাই খুব বেশি অবহেলা করবে।
তাই কঠিন হলেও যে মানুষটা আপনাকে ছাড়া দিব্যি ভালো থাকতে চাই, যে মানুষটা আপনার অনুপস্থিতি অন্যের দ্বারা পুষিয়ে নিতে চাই, তাকে এড়িয়ে চলুন।
অভ্যাস করুন, সময় মানুষকে ভুলে থাকতে শিখায়, সময়ের কথা ভেবে হলেও বুঁকে হাজারও কষ্ট হলেও বেঁচে থাকেন, একদিন নিজকে বদলে ফেলবেন এই প্রত্যাশায়।
আরও পড়ুন 👇👇
১) বিয়ে করার সঠিক বয়স কত?
২) কি আছে একজন নারীর শরীরে ?
৩) শিক্ষিত বলতে আপনি কী বোঝেন
৪) মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশলগুলো কী কী?
৫) কোন ১০টি জিনিস আপনার কখনও করা উচিত নয়?
কারোর মায়ায় পড়ে গেলে তাকে ভুলে যায় না
"মায়া এক কঠিন জিনিস... মানুষ অপমান ভুলে যায়, অধিক অত্যাচার ভুলে যায়, অধিক ভালোবাসাও ভুলে যায়, কিন্তু কারোর মায়ায় পড়ে গেলে তাকে ভুলে যায় না !!.
বেশিরভাগ মানুষ প্রথমবার ভালোবেসে ঠকে গিয়েও দ্বিতীয় কাউকে ভালোবাসতে পারে তবে কিছু মানুষই প্রথম মানুষটির স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে শুধুমাত্র মায়া থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারার কারণে... ভুলে যেতে না পারার কারণে !!
.
মানুষের জীবনে প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় যত মানুষই আসুক না কেনো, এসব কোনো বিষয় নয় যদি কারো প্রতি মায়ায় আটকে না যায়... বরং সেই মানুষটাই ভাগ্যবান কিংবা ভাগ্যবতী যদি ভালোবেসে কেউ তার উপর মায়ায় পড়ে যায় !!
.
মানুষ সবকিছু থেকে বেড়িয়ে আসতে পারলেও যদি একবার কারো মায়ায় আটকে যায়, তবে সেই মায়া থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনা... মানুষ কয়েক বছরের সম্পর্কও সহজে ভুলে যেতে পারে মায়া না থাকার কারণে... আবার কয়েকদিনের সম্পর্কও ভুলতে পারেনা মায়ায় ডুবে গেলে !!
.
কে তোমাকে কতটা ভালোবাসে কিংবা তোমাদের সম্পর্ক কতদিনের এসব থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কে তোমার কতটা মায়ায় পড়ে আছে... কাউকে ভালোবেসে মায়ায় ফেলতে পারলে সেখানে ভালোবাসার গভীরতা কিংবা সম্পর্কের বয়স নির্ণয় করার দরকার পরেনা, এমনিতেই মানুষটা থেকে যায় !!
.
হুট করে ভালোবাসা যায়... হুট করে নতুন সম্পর্কে জড়ানো যায়... হুট করে সম্পর্ক থেকে বেড়িয়েও আসা যায়... কিন্তু হুট করে কারোর মায়ায় পড়া যায় না কিংবা হুট করে কারো মায়া থেকে বেড়িয়েও আসা যায় না, যদি মন থেকে না চায় !!
.
স্মৃতি মানুষকে যতবেশি কষ্ট দেয় তার থেকে বেশি কষ্ট দেয় মায়া... মায়া এমন এক অদৃশ্য খুন, যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না শুধুমাত্র ভেতর থেকে অনুভব করা যায়... পৃথিবীর সব থেকে বড় অদৃশ্য খুনের নাম মায়া !!"
মানুষ কষ্ট পায় কাছের মানুষের থেকে
"আপনার কঠিন বিপদে যে মানুষটা ছায়ার মতো পাশে দাঁড়িয়েছে,সেই মানুষটাকে আপনার ভালো সময়ে কাছে রাখুন...
ঐ মানুষটা আপনার থেকে অন্তত এটুকু অবশ্যই ডিজার্ভ করে !!
.
খারাপ সময়ে আপনি কাকে মনে রেখেছেন, কার পাশে থাকতে চেয়েছেন কিংবা কাকে ভুলে গেছেন এটা মানুষ খেয়াল করে না... মানুষ এটাই মনে রাখে ভালো সময়ে আপনি কাকে মনে রেখেছেন... বিশেষ করে বিপদে যে মানুষটা আপনার পাশে থেকে ছিলো !!
.
যে নারী আপনার শূন্য পকেটেও পাশে থেকেছে, আপনাকে সাপোর্ট করেছে কিংবা ভরসা দিয়েছে, সেই নারীকে আপনার ভালো সময়ে আপনার পাশে রাখাটা আপনার দায়িত্ব... নারীর ভালোবাসা পুরুষকে উজ্জীবিত করে, আবার সেই নারীর ঘৃণাই পুরুষকে ধ্বংসও করে দিতে পারে !!
.
যে পুরুষ আপনার জন্য নিজের শখ পূরণ না করে আপনার কথা ভেবেছে কিংবা আপনার খারাপ সময়ে মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেছে, আপনাকে খুশি করার জন্য নিজেকে অন্যের কাছে ছোট করেছে বহুবার, সেই পুরুষকে আপনার ভালো সময়ে ভুলে যাওয়াটা ভীষণ অন্যায় !!
.
এমনিতেই কেউ ভুলে গেলে মানুষ কষ্ট পায় না... মানুষ কষ্ট পায় কাছের মানুষের থেকে... মানুষ কষ্ট পায় যার জন্য অনেক কিছু করেও যখন নিজেকে তার কাছে অবহেলিত হতে হয় কিংবা সামান্য কৃতজ্ঞতাটুকু শুনতে পায় না, তখন মানুষ কষ্ট পায়... খারাপ সময়ে পাশে থেকেও যার ভালো সময়ে পাশে থাকা যায় না, তার থেকে খারাপ মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না !!
.
যে আপনাকে মূল্য দেয়, তাকে মূল্য দিতে শিখুন... যে আপনাকে সম্মান করে, তাকেও আপনার সম্মান করা উচিত... যে আপনার খারাপ সময়ে পাশে থাকে, তার খারাপ সময়েও আপনি পাশে থাকুন... যে আপনার জন্য দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে, তার সুবিধা অসুবিধার দিকে একটু হলেও খোঁজ নিন !!
.
আজ যে মানুষটা আপনার খারাপ পরিস্থিতিতে পাশে আছে, সেই মানুষটাকে কখনো ভালো সময়ে অবহেলা করবেন না... যতটা সম্ভব তাকে বুঝতে চেষ্টা করুণ... যদি অবহেলা করেন, তাহলে মানুষটা একদিন হারিয়ে যাবে... তখন দেখবেন আশেপাশে অনেক মানুষই আছে, কিন্তু পাশে থাকার মতো কেউ নেই !!"
ভদ্র মেয়েদের সাথে কখনো প্রেম করবেন না
ভদ্র মেয়েদের সাথে কখনো প্রেম করতে যাবেন না। এরা বউ হিসেবে পারফেক্ট হলেও প্রেমিকা হিসেবে ভীষণ রকম ইমপারফেক্ট হয়।কেন বললাম ; চলুন ব্যাখ্যা দেয়া যাক-
- এই মেয়েগুলো কখনো প্রেমিকের চাহিদা মতো ডেইটে যেতে পারে না। নিজেরাও ব্যক্তিগত ভাবে বারবার প্রিয়মানুষ টার সাথে দেখা করার চাইতে অনুভব করতে বেশি ভালোবাসে।
- এই মেয়েগুলোকে নিয়ে দূরদূরান্তে ট্যুরে যাওয়ার স্বপ্ন আপনার স্বপ্ন ই থেকে যাবে।এরা কখনো এমন কোনো কাজে সীমা অতিক্রম করবে না যার জন্য তার পরিবারের মাথা নত পারে!
- এই মেয়ে গুলো কখনোই সন্ধ্যার পর আপনার সাথে ঘুরতে যেতে চাইবে না।
-এরা কখনো আপনাকে খুশি করতে আপনার তালে তাল মেলাবে না। ভালোবাসবে ঠিকই কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রেখে।
- আপনাকে খুশি করতে কখনোই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিবে না। তবে ভেতর ভেতর আপনার চাওয়া পাওয়া মনে রেখে সাধ্যমতো পূরণের চেষ্টা করবে।
- রাত জেগে চ্যাটিং, যখন তখন ফোন কলে কথা বলতে পারবেন না। ভদ্র মেয়ে রা কিছু টা লাজুক প্রকৃতির হয় আর পরিবারের অবাধ্য হয়ে কিংবা পরিবারের মানুষের চাইতে বেশি প্রায়োরিটি দিবে না আপনাকে।।
- এরা অনেক আবেগী হয়।তবে ভালোবাসার চাইতে প্রকাশ টা খুবই কম। এরা তার প্রিয় মানুষের জন্য প্রয়োজনে সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারে তবুও পরিবারের কথা ভেবে প্রিয় মানুষ টার হাত ধরে চলে যেতে পারে না। এই মেয়ে গুলো আসলে কাউকেই দুঃখ দিতে পারে না যারজন্য নিজেই সবথেকে বেশি কষ্ট পায়।।
- এই মেয়ে গুলো কখনো বাবার পকেট খালি করে আপনাকে দামী দামী গিফট করবে না। নিজে টাকা জমিয়ে যতটুকু সাধ্য উপহার দিবে। আপনার প্রয়োজন অপ্রয়োজনে সাধ্যমতো পাশে থাকবে।।
- এই মেয়ে গুলোর রাগ-জিদ অনেক টা বেশি থাকে। প্রিয় মানুষের উপর অধিকার খাটাতে ভালোবাসে।আহ্লাদী আবদার করতে ভালোবাসে। কিন্তু তথাকথিত প্রেমিকাদের মতো ডেডিকেটেড না হওয়ায় তাদের ভালোবাসার গভীরতা অনেক প্রেমিক বুঝতে পারে না।।
ভদ্র মেয়ে রা সত্যিই প্রেমিকা হিসেবে ইম্পারফেক্ট। আজকাল কার বয়ফ্রেন্ড দের চাহিদা অনুযায়ী তারা চলতে পারে না।
তারা সহজে কারো প্রেমে পড়ে না তবে যাকে একবার ভালোবাসে তাকে নিজের সবটা উজাড় করেই ভালোবাসে।কোনো পরিস্থিতিতেই তাকে ছেড়ে যায় না। কিন্তু যোগ্য প্রেমিকা না হতে পারায় তাদের কেই ছেড়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যদি একবার ভাবা হয় যে মেয়ে টা তার পরিবার কে এতটা প্রায়োরিটি দিচ্ছে সে তার শ্বশুর বাড়ি কেউ আপন করে রাখতে পারবে তবে তাকে যোগ্য বউ হিসেবে ভাবতে দুবার ভাবতে হবে না।।
ভদ্র মেয়ে দের প্রেমিকা বানাতে যাবেন না। এদের প্রেমিকা বানালে সারাদিন আপনাকে ওই গান টাই শুনতে হবে-" কারো দেখাব মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া..."
ভদ্র মেয়ে খুঁজে পেলে প্রেমিকা বানানো উচিত না। ধরে বেঁধে বিয়ে করে ফেলতে হয়। এদের বাহ্যিক রাগ না দেখে যদি তাদের অনুভব করতে জানেন তবে তাকে আপনি কখনোই ছেড়ে যেতে পারবেন না।
আপনার ফোনে তখন ওই যে ওই গান টা বাজবে-" তোমারি পরশে জীবন আমার ওগো ধন্য হলো...." লা লা লা...."
আরও পড়ুন 👇👇
১) বিয়ে করার সঠিক বয়স কত?
২) কি আছে একজন নারীর শরীরে ?
৩) শিক্ষিত বলতে আপনি কী বোঝেন
৪) মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশলগুলো কী কী?
৫) কোন ১০টি জিনিস আপনার কখনও করা উচিত নয়?
সস্তা মানুষ অন্যের মূল্যবোধ বুঝে না
কেউ যদি তোমার জীবন থেকে চলে যেতে চায় , তাহলে তাকে দরজা টা খুলে দেও যাতে তার যেতে সহজ হয়। কখনো কোন সম্পর্ক জোর করে হয়না । খুব জরুরী নয় যে কোন কিছু ভাঙ্গতে হলে শুধু পাথরের আঘাত করেই ভাঙ্গতে হবে ।কিছু কথার আঘাতেও মানুষ কারো মন ভেঁঙ্গে দিতে পারে সহজেই ।মন ভাঙ্গা মানুষ গুলো আর যাই হোক তোমাকে সুখী করতে পারবে না ।যে তোমার জীবনে তোমাকে ভালোবেসে থাকবে তার জন্য তোমার অনেক ছোট ছোট অনেক অপরাধ মাফ করে দিবে , কিন্তু যে তোমাকে ছেড়ে যাইতে চাইবে তার জন্য অকারন বাহানা খুঁজবে কি করে তোমাকে ছেড়ে দেওয়া যায়।
তাই তোমার ভালবাসা ঠিক তার জন্যই সামলে রেখো যে তোমার ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য ।ভুলবোঝা বুঝি এমন একটা ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ যে তোমার ভালোবাসার অনেক সুন্দর সময় গুলো বিষাক্ত করে গিলে ফেলবে । তাই তাকেই ভরসা তাকেই করো যে তোমার উপযুক্ত ।
মাঝে মাঝে অনেক কথাই বলতে মনে চায় আমাদের কিন্তু কথা বোঝার মানুষ গুলো খুঁজে পাওয়া অনেক দূর্লভ ।বিশ্বাস আর ভালোবাসা হল এই দুনিয়া সবচেয়ে দামী উপহার তাই কখনো এমন কারো কাছ থেকে এই উপহার আসা করো না যে মনের দিক থেকে ভীষণ সস্তা । সস্তা মানুষ গুলো অন্যের মূল্যবোধ বুঝে না ।
যে তোমাকে কষ্ট দিয়েছে তাকে মন থেকে মাফ করে দেও, আর দ্বিতীয় বার কখনও তার দিকে ফিরেও তাকাবে না ।এতে তোমার কষ্ট হলেও লাভ তোমারই হবে কারন দুঃখ এমন একটা শিক্ষা যা তোমাকে অনেক কিছু শিখাতে থাকবে আর যখন তোমাকে ছেড়ে যাবে তখন অনেক সুখ তোমার জীবনে রেখে যাবে ।কিছু মানুষ হয় জীবনে মেঘের মত কেটে গেলে আলো ঝলমলে সকালের দেখা পাওয়া যায়
কোনো কিছুর অভাব দীর্ঘদিন থাকে না
একটা প্রিয় মানুষ যতটা ভালোবাসতে পারে তার চেয়ে আবার বেশি ঘৃণা করতেও পারে!তা শুধু সময়ের ব্যবধানে হয়।
একটা মানুষ আপনাকে তার ভালো লাগা প্রকাশ করতে যেমন পারে, তেমনি করে আপনার কাছে অবহেলিত হলে মুখ ফিরিয়ে নিতেও পারে।
যে মানুষটা কে সহজে পেয়ে গিয়ে তাকে অবহেলা করছেন সে মুখ বুঝে রয়েছে মানে আসলে সে বোকা নয়! সে আপনাকে সম্মান করে বলেই আপনার মূল্য তার কাছে আছে বলেই আপনার কাছে বোকা সেজে থাকে। আপনার ভালোবাসা পাবার অপেক্ষায় সে সব জেনেও সহ্য করে থাকে।
একটা মানুষ আপনাকে তার ভালো লাগা প্রকাশ করতে যেমন পারে, তেমনি করে আপনার কাছে অবহেলিত হলে মুখ ফিরিয়ে নিতেও পারে।
যে মানুষটা কে সহজে পেয়ে গিয়ে তাকে অবহেলা করছেন সে মুখ বুঝে রয়েছে মানে আসলে সে বোকা নয়! সে আপনাকে সম্মান করে বলেই আপনার মূল্য তার কাছে আছে বলেই আপনার কাছে বোকা সেজে থাকে। আপনার ভালোবাসা পাবার অপেক্ষায় সে সব জেনেও সহ্য করে থাকে।
আচ্ছা আপনি আজ যে মানুষটিকে সহজে পেয়ে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন, ভেবে দেখুন তো আপনার সাথে সেই একই কাহিনী হলে আপনার কেমন লাগবে!
আপনাকে কেউ দিনের পর দিন অবহেলা করলে, আপনাকে কেউ গুরুত্ব না দিলে আপনি কেমন অনুভব করবেন। তাই কারো প্রিয় হবার আগে, কাউকে ভালো লাগার আগে সম্পর্ক রাখতে পারবেন কি না ভেবে দেখুন!
এই পৃথিবীতে দীর্ঘদিন কারো অভাব থাকে না বিশ্বাস করেন, আপনি আজ তাকে ছেড়ে গেলে বরং সে কিছু সময় আফসোস করবে, কান্না করবে! কিন্তু যখন তার আপনার প্রতি মায়া কেটে যাবে তখন শক্ত হয়ে যাবে, তখন সে আপনাকে আর চাইবে না!
তাই কাউকে বাজে ভাবে ভেঙে দিয়েন না, যে মানুষটা আপনাকে ভালোবেসে নিজের বয়সটা বাড়িয়েছে, নিজের সাথে মানিয়ে নিয়েছে সেই মানুষটার মনে আঘাত করে আপনি কখনও সুখী হতে পারবেন না।
এই পৃথিবীতে কোনো কিছুর অভাব দীর্ঘদিন থাকে না, সবকিছু একসময় বিলীন হয়ে যায়,
এটাই প্রকৃতির নিয়ম। মানুষ পরিবর্তনশীল!
যেখানে মানুষ আঘাত প্রাপ্ত হয় সেখানে সে বেশি দিন থাকতে চায়না।
এই পৃথিবীতে কারও সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আজকাল ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার! আপনি চাইলে নিজের জীবনের সাথে যা ইচ্ছা করতে পারেন কিন্তু অন্য কারো জীবনের অংশ হয়ে তাকে নিয়ে যা মন চায় করার অধিকার আপনার নেই, মানুষটাকে ঠকানোর অধিকার আপনার নেই।
সম্পর্ক একতরফা হয় না, আপনার জীবনের সাথে যখন অন্য কেউ একজন জড়িয়ে আছে তখন আপনার সেই মানুষটাকে নিয়ে ভাবা উচিত, আপনার সেই মানুষটাকে সম্মান করা উচিত,
এই পৃথিবীতে কারও সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আজকাল ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার! আপনি চাইলে নিজের জীবনের সাথে যা ইচ্ছা করতে পারেন কিন্তু অন্য কারো জীবনের অংশ হয়ে তাকে নিয়ে যা মন চায় করার অধিকার আপনার নেই, মানুষটাকে ঠকানোর অধিকার আপনার নেই।
সম্পর্ক একতরফা হয় না, আপনার জীবনের সাথে যখন অন্য কেউ একজন জড়িয়ে আছে তখন আপনার সেই মানুষটাকে নিয়ে ভাবা উচিত, আপনার সেই মানুষটাকে সম্মান করা উচিত,
এইটা আপনার দায়িত্ব।
যে মানুষটা আপনি একজনকে নিয়েই তার জীবন কাটাতে চায়, আপনার উচিত তার ঘৃণার পাত্র না হয়ে, তাকে অবহেলা না করে ভালোবাসা, তার মনের খবর রাখা।
আর তাই যদি করতে না পারেন, তাকে ভালোবাসার বদলে যদি অবহেলার পর অবহেলা করেন এক সময় সেই আপনাকে ছেড়ে দিবে, তখন ভীষণ আফসোস করবেন হারিয়ে ফেলার।
নিজের ভাবনা চিন্তা বদলায় নেন, ভালোবাসা সবার নসিবে জুটে না, যে মানুষটা আপনার পাশে আছে তাকে আকড়ে ধরে সুন্দর করে বাঁচুন! ভালোবাসা সুন্দর!
তুমি দারুন ভাবে নিজেকে নির্মাণ করতে পারো
আজকে যে মানুষটা তোমার হাতের উপর শক্ত করে হাত রেখে তোমার সাথে থেকে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তোমার নির্ঘুম রাতে তোমার কথা বলার সঙ্গী হয়ে রজনীর পর রজনী তোমাকে ভালোবেসে যাচ্ছে। সে মানুষটাও একদিন অবলীলায় তোমার হাত ছেড়ে দিবে, তোমার নির্ঘুম রাতে কথা বলার সঙ্গী হওয়ার বদলে তোমার মস্তিষ্কে উগ্র স্মৃতির দল লেলিয়ে দেবে।সম্পর্কে একটা সময় এসে তিক্ততা হানা দেবে, তখন তোমার বুক ভরা অভিমান প্রিয় মানুষটার কাছে বিষাক্ত লাগবে, সে মানুষটা তখন শুধু অজুহাত খুঁজবে তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য।
আর তুমি দিন-দিন অবহেলায় অসহায় হয়ে পরবে। কাকুতি-মিনতি করে ভালোবাসার অধিকার চাইতে গিয়ে দারুন ভাবে লাঞ্ছিত হবে তুমি।
জীবনে যে মানুষগুলো তোমাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে সম্পর্কে টেনে নিয়ে আসবে,
তোমাকে মুগ্ধ করার জন্য নিজের আহ্লাদ তামা-তামা করে তোমার পাশে থাকার আশ্বাস দিবে, সেই মানুষগুলো বেশিরভাগ সময় তোমাকে অপবাদ দিয়ে সরে যাবে।
ঘন্টার পর ঘন্টা তোমার সাথে ফোনে কথা বলা মানুষটা চোখের পলকে পাল্টে যাবে।
মানুষ হাতের উপর হাত রেখে প্রতিশ্রুতি দেয়, চোখে চোখ রেখে স্বপ্ন সাজায়, রাত জেগে কথা বলে ভবিষ্যত সংসার গড়ার প্ল্যান করে, কিন্তু সবশেষে সবকিছু লন্ডভন্ড করে যে কেউ একজন হাত ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘন্টার পর ঘন্টা তোমার সাথে ফোনে কথা বলা মানুষটা চোখের পলকে পাল্টে যাবে।
মানুষ হাতের উপর হাত রেখে প্রতিশ্রুতি দেয়, চোখে চোখ রেখে স্বপ্ন সাজায়, রাত জেগে কথা বলে ভবিষ্যত সংসার গড়ার প্ল্যান করে, কিন্তু সবশেষে সবকিছু লন্ডভন্ড করে যে কেউ একজন হাত ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এই দুনিয়ায় তুমি কারো দেওয়া প্রতিশ্রুতি ষোল-আনা বিশ্বাস করে নিজেকে গুটিয়ে রেখোনা।
তোমার সম্পূর্ণ আবেগ-অনুভূতি প্রবল ভরসায় কারো কাছে বিলিয়ে দিওনা।
নিজেকে ভালো রাখার জন্য আট-আনা করে আবেগ-অনুভূতি তোমার কাছে রেখে দাও।
যেন কেউ তোমাকে চরম ভাবে ভেঙ্গে দেওয়ার পরেও,
তুমি দারুন ভাবে নিজেকে নির্মাণ করতে পারো।
.
বড় হবার পর থেকে প্রতিটা মেয়েই মনের মধ্যে এই স্বপ্নটা লালন করে থাকে... মেয়েরা প্রতিদিনই সাজতে পারে তবে বউ হবার সাজ তারা কখনো ভুলে যায় না... শুধুমাত্র বউ সাজার সময়ই তারা নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে নিজেকে রাঙাতে চায়... যেনো কোথাও কোনো কমতি না থাকে !!
.
ছোটবেলা থেকে মেয়েরা বউপুতুল খেলতে খেলতে একদিন অন্য কারো বউ হয়ে যায়... নিজেকে আয়নায় নিখু্ঁত ভাবে দেখতে দেখতে একদিন অন্যকারোর আয়নায় চলে যায়... কপালে টিপ পড়তে পড়তে একদিন অন্যকারো টিপ হয়ে যায়... চোখে কাজলের দাগ যেতে না যেতে অন্যকারো কাজল হয়ে যায় !!
.
বাবার ঘরে ছোট থেকে বড় হওয়া মেয়েটাও একটা সময় বাবার বাড়িতেই মেহমান হয়ে আসে... অপরদিকে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই হয়ে যায় মেয়েদের নিজের বাড়ি, অথচ ঐ বাড়িতে তার সাথে রক্তের কোনো সম্পর্ক ছিলো না... বিয়ে নামক বন্ধনের জন্য মেয়েরা নতুন করে নিজেকে চিনতে পারে !!
.
মানিয়ে নিতে পারার ক্ষমতা মেয়েদের অসীম... বাবার ঘরের অলস রাজকন্যা মেয়েটাও স্বামীর ঘরে এসে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সংসারের মায়ায়... একটুতেই যার ভীষণ রাগ হতো, সেই মানুষটাও এখন হাসিমুখে সবার মন জয় করে নেয় নিদারুণ মমতায়... শুধুমাত্র মেয়ে থেকে বউ হবার পরপরই মেয়েরা নতুন করে জন্ম নেয় !!
.
মেয়েদের জীবনটা কি অদ্ভুত... তারা পৃথিবীতে দুইটা মুকুট নিয়ে আসে... তারা দুইদিক দিয়েই ভাগ্যবতী... বিয়ের আগে বাবার ভালোবাসা পায়, বিয়ের পরে স্বামীর... মেয়েদের পৃথিবী দুইটা... একটা তার বাবার, আরেকটা তার স্বামীর... তবে কোনটাই যে তার নিজের পৃথিবী নয় !!
.
আবেগী মেয়েটাও বিয়ের পর বাস্তবতা বুঝতে শিখে যায়... বাবার ঘরে মেয়েদের আকাশকুসুম স্বপ্নগুলো স্বামীর ঘরে হয়ে যায় সংসার... সংসারের মায়ায় পড়ে মেয়েদের জীবন বদলে যেতে থাকে... অন্যদের ভালো রাখতে গিয়ে নিজেকে আর আয়নায় দেখা সুযোগ হয় না !!
.
বিয়ে শব্দটা বাহ্যিক দিক থেকে আনন্দের হলেও ভেতরের দিক থেকে বিয়ে শব্দটা কখনো আনন্দের হয় না... বিয়ে মানে সামাজিকতা, বিয়ে মানে একটা বন্ধন... বিয়ে মানে একজনকে হাসানো, আর বহুজনকে কাঁদানো !!"
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
বিয়ে মানে সামাজিকতা, বিয়ে মানে একটা বন্ধন
"প্রতিটা মেয়েই স্বপ্ন দেখে সে একদিন রাঙা বউ হবে... লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে... চারপাশ রঙিন আলোতে আলোকিত হবে... সাঁনাই বাজবে, বর আসবে !!.
বড় হবার পর থেকে প্রতিটা মেয়েই মনের মধ্যে এই স্বপ্নটা লালন করে থাকে... মেয়েরা প্রতিদিনই সাজতে পারে তবে বউ হবার সাজ তারা কখনো ভুলে যায় না... শুধুমাত্র বউ সাজার সময়ই তারা নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে নিজেকে রাঙাতে চায়... যেনো কোথাও কোনো কমতি না থাকে !!
.
ছোটবেলা থেকে মেয়েরা বউপুতুল খেলতে খেলতে একদিন অন্য কারো বউ হয়ে যায়... নিজেকে আয়নায় নিখু্ঁত ভাবে দেখতে দেখতে একদিন অন্যকারোর আয়নায় চলে যায়... কপালে টিপ পড়তে পড়তে একদিন অন্যকারো টিপ হয়ে যায়... চোখে কাজলের দাগ যেতে না যেতে অন্যকারো কাজল হয়ে যায় !!
.
বাবার ঘরে ছোট থেকে বড় হওয়া মেয়েটাও একটা সময় বাবার বাড়িতেই মেহমান হয়ে আসে... অপরদিকে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই হয়ে যায় মেয়েদের নিজের বাড়ি, অথচ ঐ বাড়িতে তার সাথে রক্তের কোনো সম্পর্ক ছিলো না... বিয়ে নামক বন্ধনের জন্য মেয়েরা নতুন করে নিজেকে চিনতে পারে !!
.
মানিয়ে নিতে পারার ক্ষমতা মেয়েদের অসীম... বাবার ঘরের অলস রাজকন্যা মেয়েটাও স্বামীর ঘরে এসে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সংসারের মায়ায়... একটুতেই যার ভীষণ রাগ হতো, সেই মানুষটাও এখন হাসিমুখে সবার মন জয় করে নেয় নিদারুণ মমতায়... শুধুমাত্র মেয়ে থেকে বউ হবার পরপরই মেয়েরা নতুন করে জন্ম নেয় !!
.
মেয়েদের জীবনটা কি অদ্ভুত... তারা পৃথিবীতে দুইটা মুকুট নিয়ে আসে... তারা দুইদিক দিয়েই ভাগ্যবতী... বিয়ের আগে বাবার ভালোবাসা পায়, বিয়ের পরে স্বামীর... মেয়েদের পৃথিবী দুইটা... একটা তার বাবার, আরেকটা তার স্বামীর... তবে কোনটাই যে তার নিজের পৃথিবী নয় !!
.
আবেগী মেয়েটাও বিয়ের পর বাস্তবতা বুঝতে শিখে যায়... বাবার ঘরে মেয়েদের আকাশকুসুম স্বপ্নগুলো স্বামীর ঘরে হয়ে যায় সংসার... সংসারের মায়ায় পড়ে মেয়েদের জীবন বদলে যেতে থাকে... অন্যদের ভালো রাখতে গিয়ে নিজেকে আর আয়নায় দেখা সুযোগ হয় না !!
.
বিয়ে শব্দটা বাহ্যিক দিক থেকে আনন্দের হলেও ভেতরের দিক থেকে বিয়ে শব্দটা কখনো আনন্দের হয় না... বিয়ে মানে সামাজিকতা, বিয়ে মানে একটা বন্ধন... বিয়ে মানে একজনকে হাসানো, আর বহুজনকে কাঁদানো !!"
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
No comments