Ads

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান। @মিঃ মধু

  বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, 
ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু 

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

প্রেম-বেদনা জীবন-দর্শন অনুভূতি-উপলব্ধি  নিয়ে টুকরো ১১টি কাব্য । 

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
সর্বকালের কিছু সেরা উপদেশ । @মিঃ মধু 
ডিপ্রেশনের বাংলা নাকি নিম্নচাপ?
বৃষ্টি এলো,.... সঙ্গে কফি দু-এক কাপ।
নামছে বিকেল, অল্প ভিজে রাস্তা-ঘাট,
ছাতার নিচে মিলিয়ে গেল পাপড়ি চাট।
বন্ধুরা সব ভিড়ছে বাড়ি দূর থেকে,
কোনো যে আজ হিংসে হলো তাই দেখে।
দেখতে গিয়ে সন্ধা হলো জানলাতেই,
আগের মতো মেঘ করেছে......কান্না নেই।
কেবল মুঠোয় বন্ধী কফির একলা কাপ,
ডিপ্রেশনের বাংলা জানি মন খারাপ..।

নতুন বছরের প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

আমি কাকে বলবো আমার মন ভালো নেই?

এতো এতো মানুষের ভীড়ে,

সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত!

আমার মন খারাপের কথা শোনার মতো দু দন্ড সময় কই? 

মুখের ম্লান হাসিটুকু দেখেও কেউতো জিজ্ঞেস করে না কি হয়েছে?

কেমন আছো সবাই-ই বলে!

কেবল বলার জন্যই বলে। সত্যিই ভালাে আছি কিনা,

সেকথা কে কবে জানতে চেয়েছে?

নতুন বছরের প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

আমি আঁধারের ব্যাক্তিগত অহংকার ।

আমি বৈরাগ্যের ভ্রান্তিঅসম্পূর্ণ ছায়ামাত্র!

আমি ব্যাথিত তবে ব্যর্থ নই।

এখনো আকাশ দেখি এখনো সূর্য দেখি !

আমি রৌদ্রের মতো অভিকর্ষহীন।

অনুভূতিহীন নই আমি।

একটা অদ্ভূত পৃথিবীতে বাস করি।

এখানে ধার করা বিশ্বাস বাতিঘরের

একাকীত্বের মতোই শূণ্য।

তোমাদের পৃথিবী -কল্পনা, স্বপ্ন, মুগ্ধতা, বিষণ্ণতা !!

অন্তহীন নীল অতল প্রেম ভ্রম।

নতুন বছরের প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

আমাকেই নাকি তোর - ভালো লাগে খুব?

দিবি নাকি একসাথে - ঘোলা জলে ডুব?

আমাকেই নাকি তোর - প্রেম প্রেম লাগে?

লিখে দেব কবিতা - আদরের দাগে?

আমাকেই নাকি তোর - চাই খুব কাছে?

দেখা করি চল, যত - আনাচে কানাচে?

আমাকেই নাকি তোর - স্পর্শের শখ?

চলে আয়! জয়তু - চাইনিজ লক!

জানি তুই আসবি না - আমারও তো ভয়

এই যুগে আমি, তুই - ডাহা অপচয়!

নতুন বছরের প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

অনেক ব্যথা লুকিয়ে থাকে এই কথায়........

ঠিক আছে,,,It's ok.

অনেক চাওয়া লুকিয়ে থাকে এই কথায়........

থাক লাগবেনা.

অনেক আবেদন লুকিয়ে থাকে এই কথায়........

তোমার ইচ্ছা.

অনেক জানা লুকিয়ে থাকে এই কথায়.......

আমি কিছু জানিনা.

অনেক অভিমান লুকিয়ে থাকে এই কথায়.......

আমি কিছু মনে করিনি.

অনেক ভালবাসা লুকিয়ে থাকে এই কথায়.........

আমি তোমার কে?

নতুন বছরের প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু
সেরা ভালোবাসার Bio & ভালোবাসা নিয়ে সেরা রোমান্টিক উক্তি ও Bio ২০২৩.
বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

অজস্র কথা হৃদয়ে পুষে রেখেছি জড়িয়ে মায়ায়

শোনাতে চাই কাউকে সকাল, সন্ধ্যা, রাতে

বা নির্জন অলস দুপুরে কোন গাছের ছায়ায়

বসে; পেলব, কোমল দুটো হাত রেখে হাতে।

আকাশের কান্নায় ভিজবো দুজন চোখে রেখে

চোখ, সমর্পণের আকুতিভরা বিশাল সাগরের মত;

সেথায় হারাবো তার অদ্ভুত সরলতা দেখে;

সব ভুলে পেছনে ফেলে জীবনের ব্যস্ততা যত।

পূর্ণিমা রাতে খোলা জানালার কাছে চেয়ারটা পেতে

অপেক্ষা করব, তোমার স্পর্শের মাতাল করা ঘ্রাণ

ভেসে আসবে যখন, প্রণয়ের সুখস্বপ্নে উঠব মেতে;

একাকার হয়ে বিলীন হবে তোমাতে এই মৃত্যুহীন প্রাণ।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

একঘেয়েমি,অলসতার সমাবেশ।

অভিশপ্ত, বেশ বিরক্তিকর এই আবেশ।

অকারন হীনমন্যতায় ভোগার আসক্তি।

মারাত্মক রোগ বটে, মন কি খুঁজেছিল মুক্তি?

ভাবনারা জট পাকায় মস্তিষ্কের তীরে,

বারংবার নিজেরে হারাই ক্লান্তিকর ভিড়ে।

স্বপ্নটা কাছে আসার,দুরত্ব?সে দূরগামী।

শত ভাবনার মাঝেই ঘুমিয়ে পরি আমি।

ভাবনায়,আশায়,কবিতায়,

ছিলেন আমার প্রতিটি পাতায়।

ক্লান্তিতে তো ভেবেই পাইনা কি যে করি,

আপনাকে ভুলার কারন আমি সুদক্ষ আনাড়ী।

ইদানীং ব্যস্ততা আপনায় ভাবতে দেয় না।

ক্ষমা করুন,মোহ ছিলো হয়তো,প্রেম না।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

তোমার জন্য আমার অপেক্ষাকে

একদিন আমি উপেক্ষা করতে শিখে যাবো।

সেদিন আমিও অনেক অনেক বদলে যাবো।

সেদিন তুমি আমাকে সহ্য করতে পারবে তো???

ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকা এই আমাকে মিস করবে না তো??

অনন্তকাল আমি পথ চেয়ে থাকতে পারি ।

নিরন্তর তার কথা ভাবতে পারি ।

প্রিয়কে কাছে ডাকতে পারি ।

কিছু আকুতি প্রকাশ করতে পারি না ।

কিছু ব্যাথার কথা বলতে পারি না ।

কিছু প্রিয়কে ভূলতে পারি না ।

হেথা সেথা কোথাও নয়,

এই আছে সেই নাই,

আসলে তা কিছুই নয় ?  

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

আমি নিজে ফিরে গিয়েছিলাম,

অথবা তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম । 

এখন আর কিছু মনে নেই , তবুও দুঃখ হয় ।

এখন, একেকদিন খুব বৃস্টি নেমে আসে

এখন, একেকদিন খুব শীতের বাতাস,শুধু পাতা উড়িয়ে দিয়ে যায় ।

আমার চারদিকে বৃস্টি ও ঠান্ডা বাতাস ঘুরে ফিরে। সেই পুরনো কালের সাদা রোদ,

ভোর বেলা ঘর ভাসিয়ে, ছাপিয়ে বলে দেয়,

এবার আর কোথাও যাবে না ।

এখন আর কোনখানে যাওয়া নেই।

এখন কেবল ঠান্ডা বাতাস, 

এখন কেবল বৃস্টির জল,

আমার চারিপাশ ঘিরে পাতা উড়ে আর জল পড়ে ।

এখন তোমার জন্য দুঃখ হয় ,

আমি নিজে ফিরে গিয়েছিলাম, অথবা

তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম । 

এখন দুঃখ হয় ।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

তীক্ষ্ণ ফলকগুলো এসে মুহুর্তে

ঝাঁপিয়ে পড়ছে দশদিকে!

আমি একটা শান্ত পৃথিবীর কথা ভাবছিলাম!

হাজার শিশুদের কান্না কঁকিয়ে উঠছে

আমার মাথার ভেতর,

আমি একটা শান্ত পৃথিবীর কথা ভাবছিলাম!

মৃত্যুর দরজায় আজ হয়তো আমরা

সাড়ে-সাতটা থেকে দাঁড়িয়ে আছি

আমি একটা শান্ত পৃথিবীর কথা ভাবছিলাম!

আগুনের ভেতর দিয়ে কত হাজার বছর

আমরা হেঁটে চলেছি............

আমরা একটা শান্ত পৃথিবীর কথা ভাবছিলাম!

কত লক্ষমাইল দূরে কুয়াশাঘেরা

একটা ঘন্টাধ্বনি বেজে উঠছে,

আমি একটা শান্ত পৃথিবীর কথা ভাবছিলাম।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।

কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না

রাত কাটে তো ভোর দেখি না

কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না

কেউ জানেনা।

কেউ বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো

যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময়

কেউ বলেনি মাথার কসম আবার এসো।

জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো,

শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক।

চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি

নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম,

লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।

ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়

আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই, 

দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম।

কেউ ডাকেনি তবু এলাম,

বলতে এলাম ভালোবাসি।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

থেকে থেকে খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে,

মনে হয় কান্নার জলের একটা নদী হয়ে যাক ।

তাহলে ভেতর টা একটু হালকা হবে..।

থেকে থেকে খুব হাসতে ইচ্ছে করে,

মনে হয় হাসিগুলোর একটা ঝড়না হয়ে যাক ।

তাহলে হাসিগুলো কান্নার মতো শোনাবে..।

থেকে থেকে খুব অভিমান করতে ইচ্ছে করে,

মনে হয় অভিমানে কান্নার জল গুলো জমে বরফ হয়ে যাক ।

তাহলে চোখের জল একটু শান্ত হবে..।

থেকে থেকে খুব অভিযোগ করতে ইচ্ছে করে,

মনে হয় অভিযোগের দাঁড়িপাল্লায় সবকিছু ম্লান হয়ে যাক ।

তাহলে ভেতর টা একটু হালকা হবে..।

থেকে থেকে কারো খুব কাছে যেতে ইচ্ছে করে,

মনে হয় কারো কাছে যেয়ে স্বপ্নগুলো মুক্ত হয়ে যাক তাহলে, 

কারো সাথে সে স্বপ্ন ভাগাভাগি হয়ে যাবে...।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু
বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

আমিই_স্ত্রী

আমি রাগ করব।

আমিই ঠান্ডা হলে ক্ষুধা লেগেছে কিনা পাশে গিয়ে জিজ্ঞেস করব।

আমি বলবো এই রঙে তোমাকে মানাচ্ছে না।

আমিই তোমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলবো " " মাশা'আল্লাহ কি সুন্দর লাগছে "

আমি সারা রাত ঝগড়া করব।

ভোর হলে কাঁথার বদলে তোমাকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ব।

আমি অভিমান নিয়ে বলবো " থাকব না তোমার সাথে "!

আমিই নামাজে বসে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তোমাকেই পাশে চাইব!

আমি রাগ হলে তোমার দিকে ফিরে তাকাবো না।

আবার তোমার ঘুমের পর ঘরের হালকা বাতি জ্বালিয়ে তোমার দিকে আপলকে তাকিয়ে থাকব।

আমি সকালে নামাজ পড়ার জন্য টেনে টেনে তুলবো।

আমি ঝগড়া হলে কান্না করে বলব " তোমার সাথে ভালো নেই আমি "!

আমিই কোন এক বিকেলে তোমার কাঁধে মাথা রেখে খুশির অশ্রু ঝড়িয়ে নিজেকে সবচেয়ে সুখী ভাববো।

হুম আমি তো তোমার বুকের বাঁকা পাঁজরের হাড় দিয়ে তৈরি,, একটু তো বাঁকা হবোই......!

আমিই ভালোবাসবো......

আমিই অভিমান করব......

আমিই কাছে টেনে নিবো......

আমিই আজীবন পাশে থাকবো......

কখনো প্রেয়সি হয়ে আবার কখনো বন্ধু হয়ে......

আমিই তোমার জীবনসঙ্গীনি!

আমি বার বার প্রমাণ করে দিবো আমার রাগের চেয়ে ভালোবাসাটাই অধিক!!

কারণ আমিই_স্ত্রী...!

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

একটা_কালো_প্রেমিক_চাই

রাত বাড়ার সাথে সাথে'ই শরীরের-

তাপমাত্রা বেড়ে দ্বিগুন...।

আজকাল রাত বাড়লেই আমার জ্বর বাড়ে,

ভয় বাড়ে। শরীরের ব্যথার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় হৃদয়ের ব্যথারাও।

আমার একটা প্রেমিক পুরুষ চাই-

উষ্কখুষ্ক চুলদাড়ি রাখা এলোমেলো অগোছালো প্রেমিক পুরুষ।

যে পুরুষ রাস্তার কুকুর'টা কে ভালোবাসে,

ড্রেনের ধারে শুয়ে থাকা অসুস্থ মেনি বেড়ালের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে আদর করতে জানে,

এমন একজন প্রেমিক পুরুষ চাই আমার।

চোখ বুঁজলে'ই সবকিছু রঙিন লাগে।

আবার কখনো কখনো সাদা আর নীলও মনে হয়.....জ্বরের ঘোরে বৌ সাজতে ইচ্ছে করে আমার, লাল রঙের টুকটুকে পুতুল বৌ।

মনে হয়, আবছায়া মৃদু আলোয় কুচকুচে কালো রঙের সুদর্শন এক পুরুষ আসুক....।

নববধূ সজ্জিত আমার তপ্ত জ্বরের শরীর'টা জাপ্টে ধরে রাখুক তার শীতল বক্ষের আষ্টেপৃষ্টে.....!¡

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

ইচ্ছে ছিলো পৃথিবীটা ঘুরে দেখা হলেই ক্লান্ত হয়ে কোনো এক খরস্রোতা নদীর ধার ঘেষে আমরা ঘর বাঁধবো!  আমাদের কুড়েঘরের সাথে একটা মাটির দাওয়া থাকবে, তার এক কোণে থাকবে একটা ঝাকড়া সন্ধ্যামলতি গাছ। সন্ধ্যা হলেই ফুলে ফুলে ভরে যাবে। যে ফুলে কোনো সুবাস থাকবে না তবু দেখে দেখে আমাদের নয়ন জুড়াবে।

ঘরের পেছনটায় থাকবে ইউক্যালিপ্টাস আর মেহগনি কাঠের গাছ।  ঝিরি ঝিরি বাতাসে সারাক্ষণ আমাদের টিনের চালে নিঃশব্দে চুপচাপ ঝরে যাবে সেইসব গাছের মরাপাতা।

উঠোনের কোণে থাকবে একটা পুঁইমাচান।

আর তার নিচে বাঁধা থাকবে একটা লালগরু, তার কাছে শুয়ে শুয়ে অলস সময় কাটাবে ধবধবে একটা বকনা বাছুর!

ব্রাউন কালারের দুটো ছাগলছানা থাকবে আমাদের, যারা উঠোনময় তিড়িং বিড়িং নেচে নেচে আমাদের গা ঘেষে দাঁড়াবে। তুমি এসব দেখে দেখে বিরক্তে কপাল কুচকে বলবে, এই চলো না আমরা শহর চলে যাই! আমি তোমাকে মাটি চেনাবো মানুষ চেনাবো, কি করে শক্ত হৃদয়কে নরম করতে হয় উত্তাল নদী থেকে তা শেখাবো, আমি অবুঝের মতো ভালোবেসে ভরিয়ে দেব তোমার হৃদয়।

যেদিন আকাশে মস্ত চাঁদ উঠবে সেদিন আমরা দাওয়ায় মাদুর বিছিয়ে জোছনার আলো পোহাবো, আমরা সকল না পাওয়ার দুঃখ ভুলে যাবো, নদীর ঢেউয়ের শব্দে তলিয়ে যাবে আমাদের যত দীর্ঘশ্বাস!

যাবে কি বন্ধু একবার আমার হাতটি ধরে হতে নিরুদ্দেশ!

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

জীবন পরিচালনার জন্য অদৃশ্য কিছু নিয়ম ও বিধিনিষেধ পালনের প্রয়োজন হয়।

সময়ের পরিবর্তনে কিছু নতুন নিয়ম,

ও বিধিনিষেধ যোগ বা বিয়োগ করতে হয়।

ইংরেজিতে যাকে আমরা মোটিভেশান বলেই জানি।


এই মোটিভেশান সাধারণত দুই প্রকার,

ডিরেক্ট মোটিভেশান, এবং ইনডিরেক্ট মোটিভেশান।

আমার ব্যক্তিগত পছন্দ দ্বিতীয়টি।

মোটিভেশানকে গল্পচ্ছলে বলতে, এবং পালন করতে ভালো লাগে। 

আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। আমার সব ভিডিও মূলত গল্পচ্ছলে মোটিভেশানেরই অংশ।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে, ছোট ছোট চারটি অনুচ্ছেদ।


তো চলুন শুরু করা যাক গল্পচ্ছলে মোটিভেশান ==


১/ সৌন্দর্য ব্যপারটা যেমন সার্বজনীন তেমনি আভ্যন্তরীনও বটে। ভেতরের নির্মল বোধ, 

পারস্পরিক সৌহার্দ্য, আচরন, এসবই একজন মানুষের সৌন্দর্যর প্রধান মাপকাঠি।


২/ কোনো মানুষের সফলতা ও সৌন্দর্য বিচার করার ভার সাধারণত তার 

চারপাশের মানুষের উপরই বর্তায়।

নিজের সফলতা নিজে বিচার করা সমীচীন নয়, সঠিকও নয়।

কেউ নিজেকে মহারথী ভাবতেই পারে! তাতে জগত সংসারের কিছুই এসে যায় না।

কাউকে, তার চারপাশের মানুষ কিভাবে মূল্যায়ন করছে সেটাই বড় কথা।


৩/ জীবন চলার পথে কিছু মানুষ কোনো কারন ছাড়াই, কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই কাছে এসে যায়!!


এরা অকারনে এলেও এদের কাউকে কাউকে আবার, 

কারন-অকারণ কোনো কিছুতেই মুছে ফেলা যায় না।

অভিমান, রাগ-অনুরাগ জন্ম নেয় সেইসব মানুষের উপর, 

যাদের উপর আগেই যখন অদৃশ্য এক ধরনের আবদার-অধিকার জন্মে যায়!

অপরিচিত মানুষ, অপছন্দনীয় মানুষদের সাথে এসবের কিছুই ঘটেনা, প্রয়োজনও পড়ে না।


৪/ ভালোবাসার প্রকাশভঙ্গী মানুষের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়, ভিন্ন হতেই হয়।

এই সহজ সরল হিসেবটা মেনে না নিয়ে, অনেকেই আমরা এটাকে জটিল করে ফেলি।


এই হরেক ভিন্নতার মধ্যে কিছু কিছু মানুষের প্রকাশভঙ্গী একবারেই আলাদা,

একদমই ভিন্নরকম।

প্রাথমিক দৃষ্টিতে এই মানুষগুলোকে নিরস, কর্কশ ও কাঠিন্যে ভরা বলে মনে হবে।

সাধারণত এরা নিজেদের বিকিয়ে দেওয়া, এবং গুরুত্ত্বহীন অবস্থায় দেখতে নারাজ।

আত্মমর্যাদা ও নিজ ব্যক্তিত্বের প্রতি সর্বদা সজাগ থাকে বলে বাহির থেকে এদের বেশ কঠিন দেখায়।

মজার ব্যপার হলো,, এদের ভিতর সর্বদা অতিব নরম একটা হৃদয় বাস করে।


বৃষ্টির বিষন্ন সন্ধ্যায় এরাও কাঁদতে জানে।

উথাল পাথাল জোছনায় এরাও এলোমেলো হয়। 

ভালোবাসা পাওয়া বা দেওয়ার জন্য সর্বদা এদের হৃদয় হুহু করে।

কিন্তু জগৎ এদের ভূল বোঝে বলে, ভালোবাসার কাছে কখনও যাওয়া হয়না।

আসলে,, পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ ভালো না বেসেই একসঙ্গে থাকতে চায়।

আবার কিছু মানুষ ভালোবাসে, কিন্তু একসঙ্গে থাকতে পারে না।

বড় জটিল এই সমীকরণ।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

সম্পর্কের কোন সিমানা বা স্থান নেই,।

কোথায় কখন কিভাবে কার সাথে আপনার সম্পর্ক হয়ে যাবে আপনি টেরই পাবেন না।

সেই নিয়ন্ত্রন আপনার হাতে প্রকৃতি দেয়নি।


যেটা হয়, সেটা হয়েই যায়।  আমাদের সকলের অবচেতনেই হয়ে যায়। 

আমরা হয়ত প্রাণপন চেস্টা করি আটকাতে,

কিন্তু ঐ চেস্টা পর্যন্তই শেষ, বাকি কাজের নিয়ন্ত্রন আমাদের হাতে নয়। 

কোন অদৃশ্য থেকে তা নিয়ন্ত্রিত হয়।


আপনি হয়ত জানেন না তাই এমন ভাবছেন। 

অথবা ভাসাভাসা জানেন, কিংবা উদ্ভট প্রচলিত ধারনা আপনি মাথায় গেথে রেখেছেন, ফলে আপনার ব্রেইন আপনাকে সেভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।


যে মানুষটি আজ আপনার অস্তিত্ত, একটা সময় হয়ত ছিলো আপনি তাকে সহ্যই করতে পারতেন না। আজ যাকে ছাড়া নিজেকে ভাবতেই পারেন না, একটা সময় হয়ত গেছে তাকে তাচ্ছিল্য করতেও অলসতা লাগতো।


এরকম ভুরি ভুরি নজির আছে যে,  একই রেখায় অবস্থান করে, একই সাথে বহুকাল পথ চলেও কেউ কারো সাথে গাট বাধেঁনি। 


মনের খুব কাছাকাছি অবস্থান করেও,

মনের ঘরে ঢু মেরে দেখা হয়নি। উকি মেরে হৃদয়কে দেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়নি। 


কোন এক বৃস্টির বিকেলে হঠাত খবর পেলেন, আপনার সেই কাছের প্রিয় সহপাঠিকে, বরপক্ষ নাকি আজ নিয়ে যেতে আসছে।

আপনার চেনা ফুলটা ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গেলে অজানা কেউ এসে।


আজ আপনার নির্ভরতার সবচেয়ে বড় জায়গাটা যার কাছে,  সেই বন্ধুটিকে একদিন আপনি চিনতেও চাইতেন না। মনে করে দেখুন তাকে এড়িয়ে গেছেন বহুবার বহুভাবে।

মজার ব্যাপার হলো, ঐ--এড়িয়ে যাওটাই ছিলো, হয়ত কাছে আসার সফলতম পর্ব।


আগডুম বাগডুম--আকাশ পাতাল এত কিছু ভেবে সম্পর্কের শেকড় গজায় না। 

খুব আটঘাট বেঁধে হয়ত কারো সাথে সম্পর্ক করতে চাইছেন, কিন্তু এক সুতোও সেটা এগোচ্ছে না।

অথচ, যে সম্পর্কের চিন্তা কস্মিনকালেও করেন নি,  সম্পর্কটা আজ তার সাথেই,

দির্ঘস্থায়ি অটুট বন্ধনে আবদ্ধ।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

মধ্য রাত, জলভরা মেঘে তুমুল বৃষ্টি।

সড়কের পাশ থেকে লাশটিকে টেনে আনা হয়েছে একটা বন্ধ টং দোকানের সামনে। 

ডেডবডির খুটিনাটি পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত ক্রাইম সিনের সদস্যরা।

.

লাশটি ঘিরে তিনদিক খোলা টিনের চালার নিচে আমরা জড়োসড়ো হয়ে আছি। 

এতটুকু যায়গায় লাশটিই বেশি স্থান দখল করে আছে। বৃষ্টির ঝাপটায় ভিজে যাচ্ছি আমরা।

.

প্রচণ্ড শব্দে খুব কাছে কোথাও বজ্রপাত হলো। এক লহমায় এত আলো! 

ভয়ে আমরা আরও জড়োসড়ো হয়ে গেলাম। কি অবাক! বজ্রপাতের ভয়ে আমরা লাশের আরও কাছে যাচ্ছি। আমি পরেছি উভয় সংকটে। আমার দুটোতেই ভয়।

.

এতটুকু যায়গায় আমরা কতজন? চট করে গুনে ফেললাম। সিআইডি ক্রাইম সিনের সাত জন, 

আমরা সাংবাদকর্মী চারজন। ____

মোট ১১জনের যায়গা হওয়া সত্যি টাফ।

.

আশ্চর্য তো! আমি ডেডবডির হিসেব করিনি। ডেডবডিটি কি হিসেবের বাইরে! তাই যদি না হবে আমি ১২জন গুনলাম না কেন! তিন ঘণ্টা আগের তরতজা মানুষটা এর মধ্যে হিসেবের বাইরে চলে গেলো!

.

লোকটির পকেটে মানিব্যাগ। ফোল্ডিং মানিব্যাগ ওল্টাতেই তার মেয়ের ছবি। স্কুল ড্রেস পরা মেয়েটি খিল খিল করে হাসছে। হৃদয় ছোঁয়া স্টোরি করতে সাংবাদিকদের এমন ভিজুয়াল দরকার। 

পুলিশ অফিসারটি বোধহয় সেটি জানেন। বললেন, ভাই ছবি নেন। হয়তো দুই তিনবার বলেছেন। 

আমি শুনেছি শেষবার। কিছু একটা ভাবছিলাম হয়তো। বিব্রত ভঙ্গিতে ক্যামেরাপারসনকে ছবি নিতে বলে, বাইরে এসে দাঁড়ালাম।

.

বৃষ্টি কমে এসেছে। হিসেবের বাইরে যাওয়া মানুষটি কি দেখতে পাচ্ছে তার মৃত্যু দিনে কত তুমুল বৃষ্টি হয়ে গেলো! সে কি কখনো জানতে পেরেছিলো, হিসেবের বাইরে যাওয়া কত সহজ! একটু আগে যে বজ্রপাতটি হলো খুব সহজে ওটা আমাকেও হিসেবের বাইরে ফেলতে পারতো!

.

আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছি। হঠাৎ আবারও তুমুল শব্দে বজ্রপাত। 

না, এবার আর ভয় পাইনি। সৃষ্টিকর্তা কাউকে হিসেবের বাইরে ফেলতে চাইলে এতটুকু সময়ও দেবেন না। এমনকি ভয় পাওয়ার সময়ও না।

.

ধাক্কা খেয়ে দু’টো মেঘ ভেঙে গেছে। তাই বজ্রপাতের সাথে সাথে আবার তুমুল বৃষ্টি!

আমার ভিজতে ইচ্ছে করছে খুব।

তারাশংকর বোধহয় কানে কানে বলে গেলেন- ‘ভেজ। জীবন অনেক ছোট।’

আহা! ‘জীবন এত ছোট ক্যানে’।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

সহজ সরল ভালোবাসা গুলো খুব সহজেই হয়তো হারিয়ে যায়। আর শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও টিকে থাকে _অভিনয়ের ভালোবাসা গুলো!!


তবে এ টিকে থাকায় কোনো অর্জন নেই!_

নেই "ভালোবাসা"টা ও!!

আর ভালোবাসা যখন শুধু মাত্র "অভিনয়" হয়ে দাঁড়ায় _তখন সেখান থেকে "অভিনয়" ছাড়া যদি "ভালোবাসা" আশা করা হয় _ তাহলে সেটা  অনেকটা অস্তাবর সম্পত্তিতে রাতারাতি স্থায়ী দালান গড়ে উঠা বা দালান তৈরীর আশার মতো শোনায়!!


এমন অনেক গল্প আমি জানি -যেখানে এক দালানের এক ছাদের নিচে দুটো জীবন বছর এর পর বছর শুধু "সম্পর্কটার" বয়স টা কে বাড়িয়ে যাচ্ছে। _কিন্ত ভেংগে যাচ্ছে না! বা কেউ কাউ কে ছেড়ে যাচ্ছে না আবার ছুড়েঁ ও ফেলছে না!!


কারণ সে সম্পর্কে তারা_ 'সম্পর্ক' শব্দটার বদলে দায়বদ্ধতা_দায়িত্ববোধ_আত্মসম্মানবোধ, 

লেখা সাইনবোর্ড গুলো অনেক আগেই লাগিয়ে রেখেছে!! সেখানে "সম্পর্ক" খোজা ই অনেক টা "বেমানান"।


আর "সম্পর্ক" ভাঙার তো কথাই চলে না। তবু টিকে থাকবে!  

এ টিকে থাকা মানে হলো_ একটি বহুতল দালানের সব গুলো ফ্ল্যাট ই সাজানো এবং বেশ গোছানো ও। কিন্ত এ দালানে একটি ও মানুষ  বসবাস করে না।

তাই এই নিঃপ্রাণ দালানের টিকে থাকা হলো অনেকটা "ধ্বংস স্তুুপ"এ হারিয়ে যাওয়া মধুর স্মৃতির মতো!!

যেখান থেকে কষ্ট ছাড়া অন্যকিছু আশা করা যায় না!!

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

শুধু সুখের আশায় বিয়ে করতে নেই।

সেখানে সুখ বলে একগাদা ফুলজাতীয় কিছু নেই। যেটা প্রতিদিন কুঁড়োবেন

আর তা নিয়ে সুখে থাকবেন।


সংসার হিমসিম খাবার জায়গা,

কিছু চাহিদার জায়গা, খুব সহজেই দুটো মানুষের অমিল হবার জায়গা। 

এখানে নিজেকে টিকিয়ে রেখে,

অন্যজন যেন টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।


তরকারিতে লবন কম কিংবা,  ঝাল বেশি হলে খাওয়া যায়।

কিন্তু সংসারে দুজনের বোঝাপড়ার হিসেবটা

নিপুণ মাথায় করতে হয়।


কে কাকে কতটা ভালোবাসে তা বোঝানো

সম্ভব না হলেও-


"এখানে তুমি আমার সাথী, দুজনে মিলে একটা গ্রুপ। এখানে তুমি হারলে হেরে যাব আমিও।

তুমি খারাপ রাঁধলে, খারাপ খেতে হবে আমাকে।

আমার বেতনে দেড়ি হলে আলুভাজি খেতে হবে তোমাকেও।

আমি অভিযোগ, অভিমান নিয়ে বসে থাকলে মনের ভেতর জ্বালাপোড়া হবে তোমারও"

এইটুকুতো নিঃসন্দেহে বোঝানো যায়

পাশের মানুষটাকে।


এখানে আলাদা ভাবার কিছু নেই তেমন।

যখনই আমরা ভাবতে শুরু করি-

সে আমায় মানসিক শান্তি দিতে পারছেনা।

কথা বন্ধ থাকলে- সে আগে কথা বলছেনা,

আমায় নিয়ে ভাবছেনা, সময় ঠিকঠাক দিচ্ছেনা। তখনই গ্রুপটা দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায়!

আমাদের বদলে,

তুমি এবং আমি তে চলে যায় চিন্তাভাবনা।

"আমার ভালোথাকার সাথে তারও ভালোথাকা জড়িত" এই ছোট্ট কথাটা মাথা থেকে সরে যায়।


কেবল নিজে ভালো থাকবো কিভাবে?

শান্তি কেন পাইনি, কেন হয়নি সেসব মনের মতো?এই চিন্তাভাবনায়, অপর পাশের মানুষটাকে একা করে দেয় ভীষণ।

সংসার গড়েছেন দুজন।

দুজনের খারাপ থাকা, ভালো থাকাগুলো,

দ্রুত জেনে নেয়া আমাদের দুজনার আসল

এবং প্রধান দায়িত্ব।


সংসার সুখের বাগান না হলেও,

দুঃখ ভাগাভাগি করার জায়গা অবশ্যই।


সমস্যা আসবে- হাজারো আসবে।

কিন্তু আমাদের দুজনার নজর,

ওই সমস্যা অব্দি আটকে না থেকে।

মুখোমুখি বসে সেসব সমস্যা সমাধানের দিকেই নজরটা থাকবে।


ভালো রাখবেন,  ভালো থাকবেন।

অন্তত নিজেদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার নামই সংসার।

আমি তোমার সাথে এভাবে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারলে অনেক বেশী হ্যাপি থাকব।

যেকোনো পরিস্থিতিকে সামলে নিতে পারব,

তোমার সাপোর্ট পেলে।


প্রতিদিন যদি নিয়ম করে একবার বলা যায়,,,,

"তোমাকে ভালোবাসি।

তুমি আমার আমার সম্পদ আমার দুনিয়া"


তাহলে অসুখ এসে বাসা বাঁধতে পারবেনা কখনোই।

বছরের সেরা প্রেম ও জীবন নিয়ে কাব্যিক বায়ো, ক্যাপশন ও ডেসক্রিপশান।  @মিঃ মধু

প্রিয় শাশুড়ি আম্মা,

পত্রের প্রথমেই আমার সালাম গ্রহণ করবেন।

আশা করি ভালো আছেন! আমিও ভালো ইক্টু ইক্টু

বেশি বেশি ভালো থাকার জন্য আপনার সহজ সরল খরগোসের বাচ্চার মতো কিউট ছেলেটাকে

আমার চাই।

.

ভোরবেলায় হাঁটতে নিয়ে যাওয়ার জন্য হলেও

আপনার ছেলেকে চাই।

.ভরদুপুরে বাসায় ফেরার সময় এক প্যাকেট চিপ্স

কিনে দেওয়ার জন্য হলেও আপনার ছেলেকে চাই!

.সন্ধ্যায় ঝুম বৃষ্টিতে হাত ধরে ভেজার জন্য

হলেও আপনার ছেলেকে চাই!

.মাঝরাতে ঘুম ভেঙে হঠাৎ আইসক্রিম কিনে দেওয়ার বায়না করার জন্য হলেও আপনার

ছেলেকে চাই।

.আমার প্রচন্ড মেজাজ খারাপের সময় ধরে চড়

থাপ্পড় দেওয়ার জন্য হলেও আপনার ছেলেকে

চাই।

.কন্ট্রোল করতে না পারা রাগটা যখন অভিমানে

পরিনত হয়ে চোখ দিয়ে বের হয়ে গাল বেয়ে নিচে

গড়িয়ে পড়বে তখন আমার কপালে চুমু দিয়ে চোখ মুছে দেওয়ার জন্য হলেও আপনার

ছেলেকেই চাই।

.

অকারন মন খারাপের সময় ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদার সময় জোর করে বুকে টেনে নেওয়ার জন্য

হলেও আপনার ছেলেকে চাই।

.যেদিন শাড়ি পড়ে সাজুগুজু করবো ওইদিন ঘরের

সব কাজ করানোর জন্য হলেও আপনার ছেলেকে

চাই।

.রোজ রাতে চুলে তেল দিয়ে বিনুনি করে দেওয়ার

জন্য হলেও আপনার ছেলেকে চাই।

.রান্নাঘর থেকে ঘেমে একাকার হয়ে বের হওয়ার

পরে ফুউউ দেওয়ার জন্য হলেও আপনার

ছেলেকে চাই।

.একটা পাগল পাগল জীবন কাটানোর জন্য

হলেও আপনার ছেলেকে চাই!

.একটা পাগল পাগল জীবন কাটিয়ে বুড়ো হয়ে

হসপিটালের একিই কেবিনে একিই বেডে আপনার

ছেলের বুকে মাথা রেখে মরে যাওয়ার জন্য

আপনার ছেলেকে খুব করে চাই!!

.ভালোয় ভালোয় ছেলেকে দিলে ভালো নাহয়

বাসায় এসে কলার ধরে তুলে নিয়ে আসবো!



ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)

No comments

Powered by Blogger.