এক ঝাঁক জীবনমুখী আত্মকথনের কাব্য, এবং মধ্য রাতের রহস্যময়ী এক অনুভূতির কাব্য। @মিঃমধু
আরও পড়ুন 👇👇
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪
মধ্য রাতের রহস্যময়ী এক অনুভূতির কাব্য
মধ্য রাত, জলভরা মেঘে তুমুল বৃষ্টি।
সড়কের পাশ থেকে লাশটিকে টেনে আনা হয়েছে একটা বন্ধ টং দোকানের সামনে।
ডেডবডির খুটিনাটি পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত ক্রাইম সিনের সদস্যরা।.
লাশটি ঘিরে তিনদিক খোলা টিনের চালার নিচে আমরা জড়োসড়ো হয়ে আছি।
এতটুকু যায়গায় লাশটিই বেশি স্থান দখল করে আছে। বৃষ্টির ঝাপটায় ভিজে যাচ্ছি আমরা।
প্রচণ্ড শব্দে খুব কাছে কোথাও বজ্রপাত হলো। এক লহমায় এত আলো! ভয়ে আমরা আরও জড়োসড়ো হয়ে গেলাম। কি অবাক! বজ্রপাতের ভয়ে আমরা লাশের আরও কাছে যাচ্ছি। আমি পরেছি উভয় সংকটে।
আমার দুটোতেই ভয়।.
এতটুকু যায়গায় আমরা কতজন? চট করে গুনে ফেললাম। সিআইডি ক্রাইম সিনের সাত জন,
আমরা সাংবাদকর্মী চারজন। ____
মোট ১১জনের যায়গা হওয়া সত্যি টাফ।
আশ্চর্য তো! আমি ডেডবডির হিসেব করিনি। ডেডবডিটি কি হিসেবের বাইরে! তাই যদি না হবে আমি ১২জন গুনলাম না কেন! তিন ঘণ্টা আগের তরতজা মানুষটা এর মধ্যে হিসেবের বাইরে চলে গেলো!.
লোকটির পকেটে মানিব্যাগ। ফোল্ডিং মানিব্যাগ ওল্টাতেই তার মেয়ের ছবি। স্কুল ড্রেস পরা মেয়েটি খিল খিল করে হাসছে। হৃদয় ছোঁয়া স্টোরি করতে সাংবাদিকদের এমন ভিজুয়াল দরকার। পুলিশ অফিসারটি বোধহয় সেটি জানেন। বললেন, ভাই ছবি নেন। হয়তো দুই তিনবার বলেছেন। আমি শুনেছি শেষবার।
কিছু একটা ভাবছিলাম হয়তো। বিব্রত ভঙ্গিতে ক্যামেরাপারসনকে ছবি নিতে বলে, বাইরে এসে দাঁড়ালাম।.
বৃষ্টি কমে এসেছে। হিসেবের বাইরে যাওয়া মানুষটি কি দেখতে পাচ্ছে তার মৃত্যু দিনে কত তুমুল বৃষ্টি হয়ে গেলো! সে কি কখনো জানতে পেরেছিলো, হিসেবের বাইরে যাওয়া কত সহজ! একটু আগে যে বজ্রপাতটি হলো খুব সহজে ওটা আমাকেও হিসেবের বাইরে ফেলতে পারতো!
সর্বকালের কিছু সেরা উপদেশ ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছি। হঠাৎ আবারও তুমুল শব্দে বজ্রপাত। না, এবার আর ভয় পাইনি। সৃষ্টিকর্তা কাউকে হিসেবের বাইরে ফেলতে চাইলে এতটুকু সময়ও দেবেন না। এমনকি ভয় পাওয়ার সময়ও না।.
ধাক্কা খেয়ে দু’টো মেঘ ভেঙে গেছে। তাই বজ্রপাতের সাথে সাথে আবার তুমুল বৃষ্টি!
আমার ভিজতে ইচ্ছে করছে খুব।
তারাশংকর বোধহয় কানে কানে বলে গেলেন- ‘ভেজ। জীবন অনেক ছোট।’
আহা! ‘জীবন এত ছোট ক্যানে’।
এক ঝাঁক জীবনমুখী আত্মকথনের কাব্য
'জোর করে' কারো কাছ থেকে 'সময়' নিতে নেই, 'জোর করে' কাউকে মেসেজ দিতে 'বলতে' নেই,
'জোর করে' কারো 'প্রিয়' হবার চেষ্টা করতে নেই, 'জোর করে' কাউকে 'কল" দিতে বলতে নেই!
মানুষ কে 'জোর' করতে নেই আসলে। নিজেই বেহায়া হবেন। লাভ নাই! বাদ্দেন! ইচ্ছে হইলে দাম দিবে,নাহয় না! বাদ! দিনের পর দিন সে আমায় কেন কল দেয়নি, আমি প্রশ্ন করিনি! আমার কাছে না এসে অন্যের বলা মুদ্রার এক পিঠ শুনে যে আমায় ভুল বুঝেছে, আমি তার ভুল ও ভাঙাইনি।
যার জন্মদিন নিয়ে আমার অনেক অনেক উন্মাদনা, সেও আমাকে একইভাবে উইশ করবে.. আমি আশা রাখিনি। ব্যস্ত থাকায় সময় দিতে পারিনি বলে যে আমায় মিথ্যে বন্ধু ভেবেছে, আমি আর বন্ধুত্ব প্রমান করতে যাইনি। কারণে অকারণে যে আমার হাত ছেড়েছে, আমি তাকে আমার জীবনে থাকার আবদার করিনি। যে আমায় আমার মত বুঝেনি, তার সাথে আমি ঝগড়া করিনি!
মানুষ ছেড়েছি, আশা ছেড়েছি, বন্ধুত্ব ছেড়েছি.. তবে ব্যক্তিত্ব ছাড়িনি। দিনশেষে আয়নায় তাকিয়ে বলেছি-"কিরে! বড় হয়ে গেলি তো! অন্ধকারের সাথে লড়াই করছিস, সূর্য হয়েই চমকাবি"!!
যে মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং অন্য একজনকে নিয়ে সুখী হতে চায় সে আসলে কখনোই সুখ নামক সমুদ্রে সাঁতার কাটতে পারেনা।
হয়তো বাইরে থেকে দেখে মনে হয় সে কতইনা সুখী অথচ ভেতর ভেতর সে ঠিকই কোন না কোনো কারনের দহনে পুড়ে ছাই হয়।
জীবনের গোলক ধাঁধায় মানুষ ঘুরে ফিরে সেটাই রিটার্ন পায় যা সে অন্য কাউকে দিয়ে থাকে।যেমন কাউকে কষ্ট দিলে ঘুরে ফিরে সে একই কষ্ট মানুষের জীবনে ফিরে আসে।
বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসাগুলোর মাঝে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পবিত্রতার নিদর্শন হয়ে থাকা এক তরফা ভালোবাসাগুলো।
মানুষ চলে যেতে পারে! মানুষ হারিয়ে যেতে পারে! কিন্তু এই ভালোবাসার অনুভূতিগুলো বুকের গহীনে থাকবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত! হয়তো কেউ কখনো জানবেও না এই অনুভূতির কথা, তুবুও বুকের বা-পাশে অনুভূতিগুলো ঘুমিয়ে থাকবে নিরবে।
আর কোন একদিন হঠাৎ গেয়ে উঠবে মনে মনে,
("তুমি রবে নিরবে, এই বুকের গহীনে")।
লাইফে কেউ একজন থাকুক যার জন্য প্রতিটা মূহুর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অন্তত তার অভাবটা বুঝার জন্য কেউ একজন থাকুক। কেউ একজন থাকুক যার জন্য মাঝ রাতে বুকে কম্পন সৃষ্টি হয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাক। কেউ একজন থাকুক যার নাম ধরে বুকের ভিতর প্রতিটি মুহূর্তে জানান দিক সে আছে সে থাকবে চিরকাল হৃদয়ের গহীনে চুপটি করে। কেউ একজন থাকুক যার জন্য মাঝ রাতে অন্ধকারে সাথে তার গল্প করে চোখ ভেজা যায়। যার জন্য প্রতিটা রাতে দির্ঘশ্বাস ফেলে নিজের ভিতরটা খালি করা যায়।
কেউ একজন থাকুক যার জন্য বোঝা যায় সে তার জীবনে কতোটা জায়গায় দখল করে আছে।
কেউ একজন থাকুক যাতে করে বুঝা যায় সে তার ভালোবাসা না হয়ে যদি দুঃখ হতো তাহলে নিশ্চিত তাকে নিজের করে পেয়ে যেত।
আঘাত দিয়ে যারা অনায়াসে ঘুমিয়ে পরতে পারে,ভেজা চোখ দেখেও যারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে,
সঙ্গ চাইছি বুঝেও যারা নিঃসঙ্গ করে দিতে পারে, তারা আর যাই হোক আমাদের ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা নয়,
হুম আপনি ঠিকই শুনেছেন তারা যোগ্য নয় আপনার ভালোবাসার।।যাকে আপনি আছে কথা টা মনে না করে দিলে মনেই পরে না
।
যাকে বলতে হয় আমার মূল্য দাও । একটু কদর করো ,আমাকে একটু সময় দাও, যার কাছে নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে,
বার বার মাথা নত করেও ,একটু ভালোবাসা,একটু সময়,একটু মূল্য পাওয়া যায় না, জগরা,অভিমান, অভিযোগ, কান্না করেও,
তার কাছে মূল্য পাওয়া যায় না।তার কাছে থাকতে নেয়।শুনছো তার কাছে থাকতে নেয়।তুমি একাই অনেক ভালো থাকবে,
একটা কথা মনে রাখবে মানুষ টা আর যাই হোক তোমার না, তোমাকে ভালোবাসে না,আর ভালোবাসতে পারবে ও না,
তাই সময় থাকতে নিজেকে সময় এর সাথে পরিবর্তন করে ফেলো ,না হলে সময় যখন মানুষ কে পরিবর্তন করে তখন প্রচুর কষ্ট দেয়।
মানসিক ভাবে বিদধস্ত মানুষ গুলো একটু বেশি হাসি খুশি থাকে,, এদের দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না যে এদের ভিতর কিছু চলছে কিংবা বা এরা মানসিক ভাবে বিদধস্ত আছে,,।
এরা সারাক্ষণ অন্যকে মোটিভেট করতে থাকে এমন ভাবে যে এরা খুব স্বাভাবিক আছে অথচ এদের ভিতর অসীম যন্ত্রণা লুকিয়ে হাসে,,।
মানসিক ভাবে অশান্তি একটা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়,, না কাউকে বলা যায় আর না যায় এর থেকে মুক্তি পাওয়া,,।
কিছু মানুষ নিঃশব্দে কাঁদে,নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়ার বাহানা খুঁজতে থাকে,, আর একদিন হারিয়ে যায়,, কেউ জানতে বুঝতে পারে না, কারণ মানসিক অশান্তি সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না।
কখনো বুকের ভেতর সমুদ্র পুষে রাখি, কখনো একখন্ড বরফের মত শীতল হৃদয় নিয়ে ঘুরে বেড়াই,
কখনো তুসের মত পুড়ে ছারখার হয়ে যাই ভেতরে ভেতরে ...
সেই সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউয়ের আওয়াজ,
সেই হৃদয়ের শীতলতা কিংবা সেই ছাইচাপা আগুনের উত্তাপ -
কোনটাই আমরা পৃথিবীকে বুঝতে দিই না ... যত্ন করে লুকিয়ে রাখি প্রতিদিন, প্রতিটি মূহুর্ত !!"
১) কি আছে একজন নারীর শরীরে ?
২) কীভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায়?
৩) বউ যখন অবাধ্য হবে তখন কী করা উচিত?
৪) হিন্দুরা যদি পর্দা করতো, তাহলে কী হতো?
৫) পৃথিবীতে সবচাইতে সত্য কথা কোনগুলো ?
শুধুমাত্র মুখের কথা দিয়েই কি মেরে ফেলা যায় কাউকে?
হ্যা যায়।
খুব প্রিয়,
সবচেয়ে কাছের মানুষটিই কাজটি করতে পারে অনেক সহজে।
জীবন বেচে থাকে ঠিকিই,
কিন্তু ভিতরটা মরে যায় একদম।
প্রান থাকতেও নিস্তেজ হয়ে পরে জীবন।
এইভাবে বাচা, বেচে থাকা কষ্টের। খুব বেশিই অসহ্যকর। সময় চলে যায় কিন্তু সেসব বিষাক্ত কথারা যায়না কখনো।
এক সেকেন্ডের অবসরের বিরতিতে মনে পড়ে তিক্ত সেই বানী।
খুব কাছের মানুষরাই এক সময় খুনি হয়...
স্রষ্টা আপনাকে পৃথিবীতে যেভাবে দেখতে চেয়েছে,
আপনি ঠিক সেই ভাবেই জন্ম গ্রহণ করেছেন।
হোক সেটা খাটো কিংবা কালো। স্রষ্টা আপনাকে যেভাবে চেয়েছেন,
আপনি ঠিক সেই ভাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। হোক সেটা কুৎসিত কিংবা গরীব।
স্রষ্টার নির্দেশিত আপনি আমি এসেছি, মানুষকে খুশি করার জন্য না।
মানুষকে খুশি করাী চেয়ে স্রষ্টাকে খুশি রাখা সহজ। তাই আক্ষেপ করবেন না,
আক্ষেপ যা অর্জিত আছে তাও নষ্ট করে দেয়!!
আদরের ছাদের নিচে, হৃদয়ের কামরায় আমরা সকলেই চাই আমাদের যেকোন সম্পর্কগুলোই হাসিমুখে থাকুক ঝকঝকে! কিন্তু শেষমেশ কি হয় বলুন তো? দেখা যায় একসময় আমাদের ভেতরকার দূরত্ব বেড়ে গিয়ে সেসকল সম্পর্কের পচন ধরে! হয় ভালোবাসার আলোটুকু নিভু,নিভু!
আসলে রঙিন মুখ ছেড়ে আমরা নকল বন্ধুত্বের মুখোশের পিছু হই বলেই, তারা একসময় চোখ রাঙিয়ে সম্পর্কের দাঁড়ি দিয়ে হৃদয়ের ঘর থেকে বন্ধুত্বের চিহ্নটুকু মুছে দেয়! এরপর আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা কিনা জীবনে হঠাৎ আসা এই বিষন্ন গন্ধে ঠিক করে আর হাসতে চায় না, বাঁচতে চায় না! এমনকি নিজের জন্য মায়া কমিয়ে,ভবিষ্যৎ গুলিয়ে ফেলে!
তবে কি জানেন এই মুহুর্তে, দুঃখের সম্প্রসারণে মানুষ হারানোর তালিকা না করে বরং আমাদের এখন অনুভূতির কালিতে নিজেই নিজের শান্তির পেসক্রিপশন লিখতে হবে। এবং নিজের জন্য দরদ,ভালোবাসা পুষে আত্মসম্মানের ঘরকে এমন এক কাঁটাতারে ঘিরে রাখতে হবে যেন, আর কখনোই নকল বন্ধুত্বের মুখোশে'রা স্বপ্ন কেড়ে নিতে না পারে। সেইসাথে মনের জমিনে ধৈর্য্যের চাষ করে স্বপ্ন তাড়ায়, সমস্ত সাহস নিয়ে নিজেকে এগোতে হবে।
সময়ের সাথে মানুষের মস্তিষ্ক অচল হয়ে যাচ্ছে, ঠিক ভুল বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। অন্যের দোষ গুণ বেশি খুঁজতে খুঁজতে নিজের দিকে তাকানোর সময় হচ্ছে না, একটা মানুষকে সব ধরনের নিকৃষ্ট আচরণ করে উল্লাসে মেতে উঠেছে। ভুল করে, অন্যায় করে, অনুসূচনার ধারে কাছেও থাকে না, বরং এমন ভাব করে থাকে আই ডোন্ট কেয়ার।
আজকাল প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে কম বেশি এইটা দেখা যায় কখন কার উপকার করছে সেটা ঢাক ঢোল পিটিয়ে তিনশ' পঁয়ষট্টি বলে বেড়ায়। অথচ কারো মনে আকাশ সমান কষ্ট দিয়ে সেটা মূহুর্তেই ভুলে যায়, ভুলে যায় তাদের দীর্ঘশ্বাসের অভিশাপ।
অন্যেকে উপদেশ দেওয়ার আগে একটা বারও মানুষ ভাবে না সে নিজের জায়গায় কতোটা সঠিক আছে। কাউকে কষ্ট দিয়ে আপনার ভিতরে যদি খারাপ লাগা, অনুসূচনা হওয়া, ছোট হওয়া কাজ না করে তাহলে আপনার মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে গেছে। কারো সম্পর্কে খারাপ নিন্দা করার আগে নিজেকে সংশোধন করুন।
কেউ ফিরবেনা জেনেও তার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকাটাই বোধ হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা। "অপেক্ষা" শব্দটির এক পিঠে কষ্টদায়ক হলেও তার অন্য পিঠে লুকিয়ে থাকে অনেক তৃপ্তির সুখ।
প্রিয় কেউ কখনো আসবেনা জেনেও তার জন্য অপেক্ষা করাটাই যেন প্রশান্তি পাওয়া যায়।এই অপেক্ষা বাঁচিয়ে রাখবে বহুদিনের পথ। সে কোথাও নেই কিন্তু কোথাও না থাকার ভেতরেই বোধহয় মানুষ সব থেকে বেশি জায়গা দখল করে রয়ে যায়।
সময় তার বহমান স্রোতে চলে তার সাথে আমাদের জীবন ও চলে যায় কষ্টে থাকলেও আর সুখে থাকলেও। কিন্তু মনটা ঠিক একই জায়গায় পড়ে থাকে। হাজার চাইলেও মনকে চেন্জ করা সম্ভব হয় না।
শুধু অনুভূতির প্রকাশটা ভিন্নতা হয় যেমন আগে অনুভূতি গুলো খুব সহজেই প্রকাশিত হলে তা মূল্য পেত না। তার জন্য এখন কথা খরচ করে আর প্রকাশ হয় না যে যার মতো করে জীবন পার করছে।
নিজের অপ্রিয় ঘটনাগুলো নিজের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছিল। একটা সময় তা প্রকাশ করতে হয়, প্রকাশ পায়, প্রকাশ পেয়ে যায়। সবচেয়ে কাছের মানুষের কাছে সবচেয়ে গভীরতম দুঃখের গল্পটি বলতে ইচ্ছে হয়না। খুব সম্ভবত; দুঃখ কমে যাওয়ার ভয় থাকে।
জীবন হয়তো কারো জন্য থেমে থাকে না, কিন্তু মাঝে মাঝে মনটা থেমে যায় প্রিয় কারো জন্য নয়তো প্রিয় কোন মূহুর্তের জন্য।
রাগ, আক্ষেপ, ক্ষোভ এগুলা না সবার থাকতে নেই। কিছু মানুষ এমন আছে যাদের সারা জীবন আক্ষেপ করতে করতে চলে যায়। কারণ তারা অন্যদের জন্য এতোটা ভাবে যে নিজের কথা ভাবতে ভুলে যায়। একটা সময় তাদের মাঝে এমন ভাব চলে আসে যে তারা নিজেদের জন্য বাচেঁ না শুধু অন্যদের জন্য বাচেঁ।
কখনো পরিবার কখনো ভালোবাসা কখনো সম্পর্ক এই সব গুছিয়ে নিতে নিতে ভুলে যায় তারা মানুষ। তাদেরও আলাদা জগত আছে আলাদা পছন্দ আছে।
ভুলে যায় শেষ কবে নিজের পছন্দের জায়গায় ঘুরতে গেছে। শেষ কবে নিজের পছন্দের কাপড় পরেছে। ভুলে যায় তাদেরও পছন্দের খাবার আছে।
সবার রাগ, অভিমান,ক্ষোভ এগুলা থাকতে নেই। শুধু শিখে নিতে হয় কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায় আর মানিয়ে নিতে নিতে একটা সময় ভুলে যেতে হয় তাদের ও একটা জীবন আছে।
মাঝে মাঝে এমনসব জায়গা থেকে দুঃখ পাবেন যা আপনি কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন না।
মাঝে মাঝে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করে দেবে।
কখনো কখনো দেখবেন— যার জন্য সারাজীবন কেঁদে গেছেন, আপনার কান্নার দিনে সে উল্লাস করে হাসছে।
আপনাকে বুঝতে হবে— এসবকিছুই জীবনের অনুষঙ্গ। মাঝে মাঝে আপনার অন্তরকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা আপনাকে বোঝাতে চান যে— বন্ধু হিশেবে, আপন হিশেবে, সুহৃদ আর শুভাকাঙ্ক্ষী হিশেবে দিনশেষে তিনিই আপনার শেষ আশ্রয়স্থল। যাদের পেতে গিয়ে আপনি আল্লাহকে ভুলে বসেছেন, তারা কখনোই আপনার ছিলো না।
একটা সম্পর্ক যত সহজে তৈরি হয়ে যায়, টিকিয়ে রাখাটা ততটাই কঠিন। ভালবাসাবাসির ব্যাপার টা একপাশ থেকেও করা যায় বছরের পর বছর তা লালন করা যায়। কিন্তু দুজন মিলে দুটো জীবন মিলে যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয় তা কিন্তু একদিন দুদিনে হয় না। এর জন্য সময় লাগে, আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরতা দিয়ে একটা সম্পর্কের জন্ম।
ভালবাসাটা চোখের ভাললাগা থেকেও তৈরি হয়, অনেকসময় চোখের মোহ থেকেও তৈরি হয় ভালবাসা। কিন্তু মোহ সব সময় থাকে না। সময়ের সাথে মোহ কাটতে শুরু করে।রোজ নিয়ম করে একই মুখ, একই কন্ঠ একটা অবয়বই দেখতে দেখতে ভালবাসাতে বিরক্তিকর একটা আবহ সৃষ্টি হয় যা একটা সময় বিচ্ছেদের রুপে পরিনত হয়।
কিন্তু সম্পর্ক! সম্পক কিন্তু হুট করে হয় না, বছরের পর বছর সময় লেগে যায় একটা বিশুদ্ধ সম্পর্ক হওয়ার জন্য। সুন্দর মুখ দেখে, সুন্দর কন্ঠ শুনে সম্পর্কে জন্ম হয় না। পারষ্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান, আস্থা, নির্ভরতা থেকেই সৃষ্টি সুন্দর সম্পর্কের।
মানুষ কে একটুতে বিচার করতে নেই।
দেখবে কিছু মানুষ এক বছরে দশ জনকে ভালোবাসে আর এমন ও কিছু মানুষ আছে যারা দশ বছরের শুধু একজন কে ভালোবাসে।
প্রতিটা মানুষ এর অস্তিত্ব আলাদা।যানো বিধাতা কে শ্রদ্ধা করা যায় 'সম্মান করা যায় তার উপাসনা করা যায়। কিন্তু একান্ত নিজের করে পাওয়া যায় না।তুমি ও বোধহয় ঠিক তেমনি।
তবে বিধাতার সাথে তোমার তুলনা করবো না।কিন্তু তার পরের স্থানে তোমাকে রেখেছি। ।তোমাকে ও শুধু সম্মান করা আর 'ভালোবাসা যায় কিন্তু একান্ত নিজের করে পাওয়া যায় না।
তুমি আমার সবকিছু তে আছো'শুধু ভাগ্যে তে ই নেয়।
মানুষ মানুষকে খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে যদি না তার মধ্যে অন্যতম কোন সুদর্শন দিক না থাকে। এক জীবনে একটা মানুষ আর একটা মানুষকে ভুলতে না পারার কারণ হচ্ছে তার ব্যক্তিত্বে নিজেকে আটকে ফেলার জন্য।
আপনি তার রূপের প্রেমে পড়লে কিছু দিন পর তার মোহ কেটে যাবে। কিন্তু একবার কারো ব্যক্তিত্বের প্রেমে আটকে গেলে এক জীবনে তাকে ভুলা অসম্ভব হয়ে যাবে।যে ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়বে, সে ব্যক্তিত্ব সর্বদায় তাকে তোমার কাছে আকর্ষণীয় করে রাখবে।
আর একেই বলে ভালোবাসা। ভালোলাগা আর ভালোবাসা, শুনতে কাছাকাছি হলেও তাদের মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ।
প্রয়োজনে প্রিয়জন বানানো মানুষগুলো নিজের প্রয়োজনে যতটা না অন্য একটা মানুষকে খুঁজে বেড়ায়,ঠিক অন্যের প্রয়োজনে তারা ততটা সময় নষ্ট করেনা।এরা শুধু নিজেকেই বোঝে,নিজের প্রয়োজনটাকেই বোঝে।অন্যকারো প্রয়োজন,অন্যকারো বিশ্বাস,ভরসার জায়গাগুলো কেবলমাএ এদের কাছে ক্ষনিকের জন্য সস্তা মানের অনুভূতিমাএ।আজ আছে তো কাল নাও থাকতে পারে।দেখতে মানুষের মত মনে হলেও ভিতর থেকে এরা পশুর ন্যায়।মিশবার ক্ষমতাটা এদের প্রখর থাকে,সাথে প্রচন্ড পরিমানে ভালবাসতেও জানে।এই মানুষগুলোর ভালবাসা যেন পৃথিবীর সবকিছুর থেকে উর্ধে।আগলে রাখা,কেয়ারিং,শাষন,সারাক্ষন ভালবাসি ভালবাসি বলা শুনলে কে আর চাইবে বলুন এমন একটা মানুষকে হারিয়ে ফেলতে?
ভালবাসাটা আসলে এতটাও সত্যি ছিলনা,যতটা আপনি তাকে ভালবেসে কল্পনার সাগরে ডুবে আছেন।কোন কারন ছাড়াই হুটহাট করেই একদিন থেমে যাবে ওই মানুষটার সাথে সবরকম লেনাদেনা।থাকবেনা কোন যোগাযোগ,থাকবেনা মানুষটার মাঝে আপনাকে নিয়ে বিন্দুমাএ কোন অনুশোচনা।কাউকে প্রচন্ড পরিমানে ভালবাসার জন্য ধুঁকে ধুঁকে মরে যাবেন আপনি,মরে যাবে নতুন করে কাউকে বিশ্বাস করা।না পারবেন নতুন করে শুরু করতে,না পারবেন পুরোপুরি তাকে ভুলে যেতে। কি যে এক অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে পাড়ি দিতে হবে প্রত্যেকটা দিন,প্রত্যেকটা মহূূূর্ত।সবকিছু বদলে দেবার অপার সম্ভাবনা সামনে থাকা সত্বেও যেন মরা মন নিয়ে কোনকিছুই বদলানো সম্ভব হবেনা।কিন্তু এই বোকা বোকা ভাবনাগুলোর সাথে সন্ধি করে আর কতদিন বাঁচা যায়?ভুল মানুষকে ভালবেসে আর কতদিন দুঃখ বয়ে বেড়ানো যায় বলতে পারেন কি?তারচেয়ে কাকভেজা বৃষ্টিতে পুরো শরীটা ভিজিয়ে পাখীগুলো যেমন ডানা ঝাড়া দিয়ে পুরো শরীরটা শুকিয়ে নেয়,তেমনি করে কি সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরু করা যায়না?
"মুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মুখোশটাকে চিনতে লাগে অনেকটা সময়,
ততদিনে হৃদয়টা পুড়ে ছাঁই হয়"
তোমাকে ছুঁয়ে দেখার কপাল আমার এ জন্মেও হলো না!
রাস্তায় পাশাপাশি পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটার সময় ভুল করে হাতের সাথে হাতটা লাগলো না!
ভরা পূর্ণিমা রাতে তোমার কোলে মাথা রেখে লেখা কোনো কবিতায় সুর দেয়া হলো না!
অথচ তোমার কোল আজ শূন্য নয়,সে কোলে মাথা রেখে গভীর নিদ্রায় যায় অন্য কেউ!আমি ভাবি,ভেবে ভেবেই মনকে সান্ত্বনা দেই;"যে স্পর্শে শরীর জাগে,সেই স্পর্শ আমি দিতে চাই না।"
আমারও ইচ্ছে হয় কখনো ছুঁয়ে দেখি তোমার তুমি'টাকে।পুরো 'তুমি'টার মাঝে বিচরণ করি নিরবধি!
তুমি এসে দাঁড়াও আমার সামনে,এলো চুল বাতাসে দোল খায়।তোমাকে ছুঁয়ে দিবো বলে যেই তোমাকে ছুঁতে যাই,ঠিক তখনই তুমি অদৃশ্য হয়ে যাও মরীচিকার মতো!
তোমাকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য কি তবে আমার সত্যিই হবে না?
তবে কেন বৃষ্টির জল তোমার শরীর ছুঁয়ে দেয় নির্দ্বিধায়,তার এত দুঃসাহস হয় কি করে?কেন তোমার চোখ ছুঁয়ে দেয় বিষন্নতারা,কাউকে হারানোর ভয়েরা–শোকেরা?চাইলেই কেন তোমার ঠোঁট ছুঁতে পারে, তোমার কফি খাওয়ার সেই পিংক কালারের মগটা?কেন তোমার মাঝে বিচরণ করে অন্য কেউ?
শুনেছি ভালোবাসলে নাকি স্পর্শের প্রয়োজন নেই।তবে ভালোবাসা ছাড়া স্পর্শ,পূর্ণতা পায় কি করে?
কিছু সত্যি কথা....
জীবনের সব থেকে কঠিন কাজ হচ্ছে মানুষকে চেনা।
তাই যখন কোনো কিছুকে বুঝতে পারবেন নাহ, তখন শান্ত থেকে নিজেকে বুঝিয়ে নেওয়াই ভালো!
যা আপনি পাচ্ছেন সেটাই আপনার জন্য ভালো, কিন্তু এটা হয়তো আপনি জানেন না। কিন্তু যিনি দিচ্ছেন তিনি জানেন। তাই জীবনে যাই কিছু পেয়েছেন সেটা নিয়েই খুশিতে থাকুন!
সব সমস্যায় নিজেকে শান্ত রাখা শিখুন। আপনার অর্ধেক সমস্যা এমনিই ঠিক হয়ে যাবে। কারণ,
হাজারো সমস্যার মাঝেও চলতে থাকার নামই হচ্ছে, জীবন!
সেখানে আপনার না থাকাই ভালো, যেখানে আপনার কোনো গুরুত্ব নেই। আজকালকার সম্পর্ক গুলো সূর্যমূখী ফুলের মতো হয়ে গেছে। যেদিকেই বেশি লাভ দেখতে পায় সেদিকেই ঘুরে যায়!
সেই মানুষটিকে কখনো মিথ্যা কথা বলবেন না, যে মানুষটি আপনার মিথ্যা কথাকেও বিশ্বাস করে!
সম্পর্কের চিন্তা করা বন্ধ করুন। কারণ, যার যতোটা সাথে থাকা দরকার, সে ততোটাই সাথে থাকবে!
জীবনতো এতটুকু শিক্ষা দিয়েই দিয়েছেন, যে যত বেশি চিন্তা করবেন, সে ততোবেশি কষ্ট পাবেন। আর যতবেশি নিশ্চিন্ত থাকবেন, ততোবেশি অন্যরা কষ্ট পাবে!
ধোঁকা কে ভয় পাবেন নাহ। কারণ ধোঁকা মানুষকে ভিতর থেকে মজবুত করে। আর জীবনে এমন কিছু কষ্ট থাকে যা বাঁচতে দেয় নাহ। আবার এমন কিছু দায়িত্বও থাকে যা আমাদরকে মরতেও দেয় নাহ!
ভালোবাসা ছোট বেলায় ফ্রিতে পাওয়া যায়, আর যৌবনে সেটিকে অর্জন করতে হয়, আর বৃদ্ধ বয়সে চাইতে হয়!
সম্পর্ক হলো ওই ট্রেনের মতোন। যার যেখানে স্টেশন আসে, সে সেখানেই নেমে পরে!
যখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তখন লোকের কথা বলার ধরনও বদলে যায়!
চোখে পানিও আসবে আবার কষ্ট লুকিয়েও রাখতে হয়। এটা জীবন, এখানে কখনও কখনও বাধ্য হয়ে হাসতেও হয়!
জীবনকে পরিবর্তন করতে হলে লড়াই করতে হয়। আর জীবনকে সহজ করতে হলে জীবনকে বুঝতে হয়!
পোষাক ও চেহারা মিথ্যা কথা বলে। মানুষের আসল সত্যিটা তো সময় বলে দেয়!
যতক্ষণ আপনি আপনার জীবনের সমস্যা ও কষ্টের কারণ অন্যদেরকে মনে করবেন, ততোক্ষণে আপনি আপনার সমস্যা ও কষ্ট কে দূর করতে পারবেন নাহ!
আপন জনদের সব সময় আপন হওয়ার অনূভুতি দিন, তা নাহলে সময় আপনার আপন জনকে আপনাকে ছাড়াই বাচাঁ শিখিয়ে দেবে। আর জীবনের শেষ সময়ে আপনি আফসোস করবেন!
সব শেষে আমার পক্ষ থেকে, যখন লোক আপনার মোকাবেলা করতে পারবে নাহ, তখন লোক আপনাকে ঘৃণা করবে!
আর সন্মানও পাবেন/সম্পদও পাবেন, সেবা করুন বাবা মায়ের। জান্নাতও পাবেন!!
পছন্দের জিনিসটা পুরনো হয়ে গেলে কেউ কেউ তা যত্ন করে রেখে দেয়।আবার কেউ কেউ তা জঞ্জাল মনে করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
যারা যত্ন করে রেখে দেয় তাদের মধ্যে পুরনো জিনিসের জন্য আলাদা একটা মায়া কাজ করে,ফেলে দিতে কেমন যেন খচ খচ করে মন। মাঝে মাঝে বের করে জিনিসটার প্রতি হাত বুলিয়ে আবার রেখে দেয়।
আবার যারা ছুঁড়ে ফেলে দেয় এদের নতুনের প্রতি ভীষন একটা আকর্ষণ কাজ করে।পুরনো জিনিস মানেই কেমন যেন একটা ভারি ভারি ভাব।ফেলে দিয়ে জঞ্জাল পরিস্কার করতে পারলেই যেন বাঁচে।
আবার নতুন করে কিনে আনে।
এটা তো গেল জিনিসের কথা।
এমনও কিছু কিছু মানুষ আছে যারা পুরনো জিনিস বদলানোর মতো মানুষও বদলায়। আজ যে প্রিয় কাল সে অচেনা।নতুন মানুষ পেয়ে পুরনো মানুষটাকে,পুরনো বন্ধুকে,পুরনো ভালোবাসা কে ভুলে যায়। এরা প্রতিনিয়ত নতুনের নেশায় ডুবে থাকে। এরা গিরগিটির মতো রং বদলায়।এদের মুখে মধু আর অন্তরে থাকে বিষ।
চেনা মানুষটাকে এরা মুহুর্তের মধ্যেই অচেনা বানিয়ে ফেলার এক দূর্দান্ত ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
ভুল করেও কখনো ভাবে না যে তার সেই পুরনো মানুষটা,বন্ধু বা প্রিয়জন তাকে হারিয়ে কেমন আছে,কি করছে।
আবার কিছু কিছু মানুষ আছে পুরনো জিনিস যত্ন করে রাখার মতোই পুরনো সম্পর্কটাও খুব যত্ন করে রাখে। নতুন সম্পর্কে জড়াতে,নতুন মানুষের সঙ্গ পেতে,নতুনের সাথে পরিচিত হতে এরা ভয় পায়।
আসলে এই ভয়টা আসে পুরনো মানুষটার প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থেকে।বছরের পর বছর এরা পুরনো মানুষ,পুরনো বন্ধু আর পুরনো প্রিয়জনকেই যত্ন করে ভালোবেসে যায়।এই পুরনো মানুষের মাঝেই এরা এক প্রকার আত্মিক সুঘ্রাণ খুঁজে পায়।
সুতরাং মানুষ নির্বাচনে সবারই উচিৎ হিসাব কিতাব করে নির্বাচন করা।হোক সে বন্ধু/বান্ধব,প্রিয় মানুষ বা একান্ত প্রিয়জন। তারাহুড়ো করে কারো মায়ায় পড়ে যেতে নেই,কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। মানুষটাকে বুঝতে,চিনতে,জানতে সময় নেয়া উচিৎ।
যে কোন সম্পর্কে জড়ানোর আগে অবশ্যই যাচাই করে নেয়া উচিৎ।
আজ অনেক টা পথ আসার পর আমার মনে হয় আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি,কি অনিশ্চিত জীবনে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছে যে যার কোন ভবিষ্যৎ নেই আছে শুধু ধু ধু মরুর পথ যে পথে সফল্যের কোন ছিটেফোঁটা নেই,,।
কি অদ্ভুত অনিশ্চয়তার সাথে আমার বসবাস আজ,নিজেকে ভালোবাসা হয় না বহুকাল, নিজেকে অগোছালো রাখা হয়নি কখনো কিন্তু একটা মানুষ দায়িত্ব নিয়ে পুরোপুরি অগোছালো করে রেখে দিয়ে গেছে এখন চাইলেও আর আগের মতো হাসতে পারি না,, সবার সাথে মিশতে পারি না,,গুরুত্বহীন হয়ে এক জায়গায় পড়ে থাকতে পারি না,,।
অস্বাভাবিক লাগে এখন নিজেকে, কারণ বেঈমান,মিথ্যাবাদী মানুষ কে বিশ্বাস করে নিজের সর্বস্ব হারানোর পর এখন আর নতুন করে হারাবার কিছু নেই,,,।
এখন আগে মতো মন খারাপ গুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না,,আগের মতো হুটহাট করে কেঁদে ভাসিয়ে দেই না চোখ,, কারো সাথে কথা না হলে নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে তাকে নিয়ে ভাবতে বসি না,,।
এখন আর স্মৃতির আসর জমানো হয় না,রাত গভীর হলে স্মৃতির পাতা উল্টাই না বরং নিশ্চুপ হয়ে ঘুমিয়ে যাই,,হয়তো এখনো ভালোবাসা পুষে রেখেছি কিন্তু প্রকাশ করি না,,কারো ফোন বা মেসেজ জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করা হয় না,,।
নিজের ভিতর আমুল পরিবর্তন কিন্তু আবেগ অনুভূতি কষ্ট হাসি কান্না মায়া সহানুভূতি সব কিছু যেন গলা টিপে হত্যা করে এসেছে সেই কবে,,।
কিন্তু এই প্রাণ থেকেও প্রাণহীন হয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণা আর দীর্ঘশ্বাস রোজ একটু একটু করে মেরে ফেলছে আমাকে।
দিন শেষে বুঝলাম এই শহরে কেউ ভালো নেই, সবাই সেই বিশাল আকাশের মতো একা একা ছুটে চলছে, এই শহরে কেউ ভালো নেই।
সবাই ভালো থাকার অভিনয়ে দক্ষ।
কেউ চোখের পানি লুকিয়ে হাসে,
কেউ মিথ্যা মায়ায় ফেঁসে কাঁদে।
হ্যা আমি সাধারণ হয়ে বাঁচতে পছন্দ করি কিন্তু সস্তা নই,
অনেক কিছু বুঝেও না বোঝার ভান ধরি কিন্তু আসলে ততটা অবুঝ নই,
যতটা বুঝলে কারো সাথে তর্কে জড়িয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকেনা ঠিক ততটা বুঝি
কারণ অতিরিক্ত বুঝতে গেলে জড়িয়ে যেতে হয় তর্কে ,,।
সাধারণ বলে সস্তা হয়ে কারো পায়ের নিচে পড়ে থাকার বিন্দু মাত্র অভ্যাস আমার নেই,,
রাগ কম হলেও অভিমান বেশি অভিযোগ না করলেও আল্লাহর কাছে বিচার দেই ঠিকি,,
প্রতিশোধ নেওয়ার থেকে ক্ষমা করে দিতে জানি বেশি,,।
নিজেকে কখনো সবার উপর রাখার চেষ্টা করি না কারণ ভুল ত্রুটি নিয়ে মানব আমিও তার বাইরে নই,
রোবট নই যে আমার দুঃখ ব্যথা নেই,আমার শরীর নেই হৃদয় নেই,,
সব কিছু আর দশটা মানুষের মত আছে কষ্ট হয় কান্না পায়,
আর কত কষ্ট সহ্য করেও কিছু মানুষকে ভালো রাখার সর্বচ্চ চেষ্টা করে যাই,,।
কিন্তু সেই মানুষ গুলো ভুলে যায় আমার মন আছে কষ্ট আমারো হয়,,আমারো
পারিবারিক ক্রাইসিস আসে আমি ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকি কিন্তু,
সেই মানুষ গুলো সব সময় নিজের দুঃখ কষ্ট দেখাতে ব্যস্ত,
তাঁরা মনে করে তাদের বাইরে পৃথিবীতে আর কারো কোন কষ্ট থাকতে পারে না,,।
মানুষ হয়ে যদি অন্য মানুষের কষ্ট না বুঝলে তুমি মানুষ হলে কই কই।
স্বার্থপর বেঈমান মানুষ গুলোর ভাবনা থাকে কষ্ট শুধু তাদের আছে। অন্য সবাই সুখে থাকে।
বুদ্ধিমানের কাজ হলো সে নিজেকে দিয়ে সবাই কে বিচার করা কারণ,
অন্যের জায়গায় নিজেকে বসালে তাদের কষ্ট নিজে অনুভব করা যায়,,
অল্পতে অনেক কিছু পাওয়া মানুষ গুলোর ভিতর অহংকারের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু তারা ভুলে যায় অহংকার পতনের মূল,,।
আমি হাসতে হাসতে প্রিয় জায়গা প্রিয় মানুষ গুলোকে ছেড়ে আসতে পারি,
যদি সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্মান ভালোবাসা না পাই,,
কারণ সাধারণ মানুষ গুলোর অর্জন হলো ভালোবাসা আর সম্মান,,।
No comments