একা থাকার সংজ্ঞা এবং আরো কিছু শিক্ষনীয় কাব্য With Video @মিঃ মধু
কেউ সাথে না থাকার, মানে এই না, যে তুমি একা হয়ে পড়েছো।
যখন নিজের সঙ্গ পাবার পরেও যখন তোমার নিজেকে নিঃসঙ্গ- মনে হবে, তখনই আসলে তুমি একা।
জীবনে ভালো থাকার সিক্রেট কি জানেন?
কারো কথা গায়ে লাগানো যাবে না! বেলা শেষে চোখ বুজে ভাববেন; আমি আমার মতো! আমি কারো মতো না!আমি আমিতেই অন্যন্য! আমি যেমন যারা আমাকে তেমন ভাবে গ্রহণ করতে পারবে,তারাই আমার নিজের মানুষ,আমার কাছের মানুষ.!'♥
কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। “
তুমি যখন ভাল করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে। ”
অন্যকে হেয় করে কথা বলা মানুষগুলো আসলে অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের থেকে প্রচন্ড ভাবে হেয় হয়েছে।
অন্যকে হেয় করার মাধ্যমে এই মানুষরা নিজের হেয় হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি খোঁজে, ভাবে এতে তাদের মানসিক শান্তি মিলবে; কিন্তু এই সব করতে করতে তারা ভুলে যায় যে তারা অনেক নির্দোষ মানুষকেও হেয় করছে এবং তাদের ভেতর হয়তো এমন কেউও ছিলো যে আসলেই তাদেরকে মন থেকে সম্মান করতো।
সর্বকালের কিছু সেরা উপদেশ । @মিঃ মধু
অত:পর তারা সব সময় একাই থেকে যায়।
মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়। অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।
একজন চীনা বিত্তবান মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন।
সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বললেন, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!
নিরেট সত্যটি হচ্ছে-অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে দীর্ঘ্য জীবন লাভ করা বেশি জরুরি। তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ্য জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়া উচিত।
আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়ঃ
* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।
* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।
* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।
* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।
* সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্যই। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার কবরে যেয়ে প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না। এমনকি বেচে থাকতেই আপনার অর্থের প্রাচুর্যে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে ছুড়ে আসতে পারে। তাই বেঁচে থাকতেই ১০০% এর সুরক্ষা এবং পূর্ণ সদ্ব্যবহার করাই শ্রেয়।
করণীয় কী?
# অসুস্থ না হলেও মেডিকেল চেকআপ করুন।
# অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।
# মানুষকে ক্ষমা করে দিন।
# রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।
# পিপাসার্ত না হলেও পানি পান করুন।
# সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।
# যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসংগীকে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও নিয়ে হাত ধরে হাঁটুন, হোটেলে খাওয়াতে না পারলে বাদাম বা ঝালমুড়ি খান। আর তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।
# ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।
# সুযোগ পেলেই পরিবারপরিজন নিয়ে নিজের দেশকে এমনকি ভিন্নদেশকে দেখতে বেড়িয়ে পড়ুন।
# ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন।
# মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না। বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১০ মিনিট হলেও শরীরে রোদ লাগাবেন।
# মহাব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন আর ৩০ মিনিট হাঁটুন। আর সৃষ্টিকর্তাকে নিয়মিত স্মরণ করুন।
# সর্বদা হাসিখুশি থাকুন। সুযোগ পেলেই কৌতুক পড়বেন, পরিবারের সবার সঙ্গে মজার ঘটনাগুলো শেয়ার করবেন। মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন। দেখবেন জীবন সুন্দর।
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪
অহংকার ও হিংসা পরিত্যাগ করুন
দিনশেষে একটা সময় দেখবেন সব কিছুরই পরিবর্তন হয় । যে ছেলাটা ক্লাশে লাজুক বলে পিছনের সীটে বসে থাকত । তাকে মেয়েরা দেখলে হাসাহাসি করত সে ছেলেটা হঠাৎ করে ২০ বৎসর পরে বিশাল বড় ব্যাবসায়ী । তার মোটিভেশনাল বক্তব্য শুনতে কত লোক জড়ো হয় তার কোন হিসেব নেই ।
যে মেয়েটা শ্যামলা বর্ন চেহারা ও মুখ ভর্তি ব্রন নিয়ে খুবই লজ্জিত হতো কারো মুখামুখি হতে ।
সে মেয়েটা নিজেকে ওভার কনফিডেন্সে ১৫ বছর পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয় সেলিব্রেটি হিসেবে । আসলে তার চেহারা পরিবর্তন হয়নি । পরিপক্কতা এসেছে তার পার্সোনালিটিতে ।
যে ছেলেটার চেহারা সুরত দেখে অনেক মেয়েরা ক্রাশ খেত । তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও তার মেধার কারনে অনেক মেয়েদের ড্রিমবয় ছিল ।
ঘেটে দেখ এমন কাউকে বিয়ে করেছে উঠতে বসতে হয় বউয়ের পারমিশন নিয়ে । নিজের ব্যাক্তিত্ব ও উচ্ছলতা খুইয়ে দিছে বিবাহিত জীবনের কাছে ।তার জীবন সঙ্গীর কাছে একজন ড্রীম বয় তো দূরে থাক মোটামুটি গোছের ভাল স্বামীও হতে পারেনি ।
পাড়ার যে মেয়েটার রূপের আগুনে ঝলসে যেত চোখ । বয়সের আগেই প্রেমের প্যারায় পালিয়েছে ।
সেই মেয়েটা ৩৫ আগেই ৪ বাচ্চার মা । তার রূপ দেখে মনে হবে ৪৫কিংবা ৫০ বছর ।
অফিসের বস বিশাল ভাব যার গর্জনে বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি পান করে ।
ভয়ে তার কমর্চারী ও পরিবারের মানুষ জন কাপে ,সে মানুষটা রিটায়ার্ড করার পর ।
তার জায়গা হইছে বৃদ্ধাশ্রমে ।
বউ , ছেলে , মেয়ে কারো কাছে তার আশ্রয় হয়নি । শেষ জীবন কাটে কারো দয়ায়।
সে সব্জি বিক্রেতাকে অপমান করে আপনি আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন ।
হঠাৎ সে বিদেশে যেয়ে তার ভাগ্য বদল করে সে এখন কয়েকটা সুপার মার্কেটের মালিক ।
যে মানুষটা প্রেমের জন্য এক সময় পাগল হয়ে আপনার পিছু পিছু কুত্তার মত পরে থাকত । আপনার অবহেলা তার চোখে দিনরাত জল ঝড়াত ,সে মানুষটা আপনার নাম শুনলে বিরক্তিতে ভ্রু কুচকায় এখন । কারন আপনার অবহেলা তাকে এমন শিক্ষাটা দিয়েছিল আজ সে সফল কেউ ।
ভাইরে এ দুনিয়া রঙ্গমঞ্চ । তাই কখন কবে কি হবে আমরা কেউ জানিনা । শুধু জানি সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে এক তরফা দুঃখ ও অপমান সইতে পাঠান নি । তার বিচার বড় কঠিন । আজ কাউকে ঠকিয়ে , কারো মন ভেঙ্গে , কাউকে টিজ করে , কাউকে সমালোচনা করে , কাউকে অপনমান করে , নিজের রূপের অহংকার করে , নিজের মেধার অহংকার করে , কিংবা সামাজিক মর্যাদার অহমে নিজেকে খুব বড় মনে করছেন । কিন্তু কবে যে আপনার ধ্বংস নেমে আসবে কেউ বলতে পারবে না । কারন সৃষ্টি কর্তা যাকে চান বড় করে তোলেন , যাকে চান মাটির সাথে মিইয়ে দেন । তাই অহংকার ও হিংসা পরিত্যাগ করুন ।
📓বিশ্বাস ঘাতকতার ইতিহাস�
১) বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের দেহ নামাতে যে লোকটি কবরে নেমেছিল, বঙ্গবন্ধুর মাতার মৃত্যুতে যে লোকটি মাটিতে শুয়ে কান্নায় গড়াগড়ি করেছিলো, শেখ কামালের বিয়ের উকিল বাপ যে মানুষটি ছিলো, ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট দুপুরে যে লোকটি বাসা থেকে তরকারী রান্না করে নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাইয়েছিলো তারপরের দিন ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে সেই লোকই খুন করেছিল যার নাম খন্দকার মোশতাক...
২) সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দেওয়ার পর যখন তাঁর মরদেহ বাহিরে রাখা হল, তখন একদল মানুষ সেখানে এসে এই মানুষটার মৃতদেহের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল, যারা প্রত্যেকেই ইরাকের নাগরিক; পক্ষান্তরে তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেই ১২ জন আমেরিকান সেনা সদস্যের প্রত্যেকেই কেঁদেছিল।
৩) ভারতের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি হয়েছিল আরও করুণ। শত্রুর গুলিতে না, তার মৃত্যু হয়েছিল নিজেরই দেহরক্ষীর গুলিতে।
৪) সৌদি আরবের বাদশা ফয়সাল যখন তার ভাইপোকে আলিঙ্গন করার উদ্দেশ্যে দু হাত বাড়িয়ে দিলেন, প্রতিউত্তরে হঠাৎই পকেট থেকে পিস্তল বের করে পরপর তিনটা গুলি করে বসলেন।
ইতিহাসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়, এক একটা সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে তাদের সব চাইতে কাছের মানুষদের হাত ধরে।
গোয়েন্দারা আসামী সনাক্ত করার জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে, তার একটি হল প্রত্যেককেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা। সব চাইতে বেশি সন্দেহ তাকে করা যাকে মনে হবে সব চাইতে কম সন্দেহজনক।
ইতিহাস আমাদের বার বার শিখিয়ে গেছে, মানুষের জীবনের সব চাইতে বড় যে শত্রু তাকে কখনোই চেনা যায় না, সে থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মত করে।
আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও তাই..।
আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের দ্ধারা । আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রু না, আপন মানুষদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না,কারন শত্রু বিশ্বাস ঘাতকতা করার সুযোগ পায়না। বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল আপন মানুষরাই।
আরও পড়ুন 👇👇
১) স্বামীকে খুশি রাখার ও শুধু নিজের করে রাখার কার্যকারী টিপসঃ
২) নারীর মন বোঝার একশত একটি উপায়
৩) বিবাহিত জীবনে বারংবার স্ত্রীর প্রেমে পড়ার উপায় কী?
৪) চিন্তাভাবনা বদলান সমাজ বদলাবে। আপনার চিরায়ত চেতনা'ই বদলে যাবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
No comments