একজন বিবাহিত নারীর জীবন, এবং কয়েকটি টুকরো মোটিভেশান With Video @মিঃ মধু
আপনি হাউস ওয়াইফ না ওয়ার্কিং ওম্যান?
কোনো একজন ভদ্রমহিলাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,
আপনি হাউস ওয়াইফ না ওয়ার্কিং ওম্যান?ভদ্রমহিলা খুব সুন্দর একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া উত্তর দিয়েছিলেন-
তিনি বলেছিলেন, আমি একজন পারফেক্টলি ওয়ার্কিং লেডি- ।
আমি সকালের এলার্ম ক্লক, একজন কুক, একজন ওয়েটার, একজন সার্ভেন্ট,
তিনি বলেছিলেন, আমি একজন পারফেক্টলি ওয়ার্কিং লেডি- ।
আমি সকালের এলার্ম ক্লক, একজন কুক, একজন ওয়েটার, একজন সার্ভেন্ট,
আমি একজন পার্ট টাইম টেলার এবং আমি ধোপারও কাজ করি।
প্রয়োজনে আমাকে বাসন ধুতে হয়, ঘর সাফ করতে হয়, বাচ্চাদের জন্য আমি একজন- গৃহশিক্ষিকা, আর বাড়ির বয়স্কদের জন্য আমি একজন নার্স।
বাড়িতে আসা অতিথির জন্য আমি একজন রিসেপশনিস্ট,
প্রয়োজনে আমাকে বাসন ধুতে হয়, ঘর সাফ করতে হয়, বাচ্চাদের জন্য আমি একজন- গৃহশিক্ষিকা, আর বাড়ির বয়স্কদের জন্য আমি একজন নার্স।
বাড়িতে আসা অতিথির জন্য আমি একজন রিসেপশনিস্ট,
এবং সারাদিন বাড়িতে থাকা আমি একজন সিকিউরিটি গার্ড।
আমি ঘরে সেজে গুজে থাকা একজন বউ ।
আমি ঘরে সেজে গুজে থাকা একজন বউ ।
আমার স্বামীর জন্য আমি একজন মিত্রা একজন প্রেমিকা এবং স্ত্রী।
বাচ্চাদের জন্য আমি যেন আলাদিনের চেরাগ।
না আমার কোন ওয়ার্কিং নেম আছে না আমার কোন বেতন আছে।
কোন প্রমোশনও নেই, কোন ইনক্রিমেন্টও নেই, নেই কোন বোনাস।
তবুও প্রত্যেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে,
তবুও প্রত্যেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে,
আমি হাউস ওয়াইফ না একজন ওয়ার্কিং লেডি!
শুধু সুখের আশায় বিয়ে করতে নেই।
শুধু সুখের আশায় বিয়ে করতে নেই!
সেখানে সুখ বলে একগাদা ফুলজাতীয় কিছু নেই।
যেটা প্রতিদিন কুঁড়োবেন আর তা নিয়ে সুখে থাকবেন।
সংসার হিমসিম খাবার জায়গা,
কিছু চাহিদার জায়গা, খুব সহজেই দুটো মানুষের অমিল হবার জায়গা।
এখানে নিজেকে টিকিয়ে রেখে, অন্যজন যেন টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।
তরকারিতে লবন কম কিংবা, ঝাল বেশি হলে খাওয়া যায়।
কিন্তু সংসারে দুজনের বোঝাপড়ার হিসেবটা নিপুণ মাথায় করতে হয়।
কে কাকে কতটা ভালোবাসে তা বোঝানো সম্ভব না হলেও-
"এখানে তুমি আমার সাথী, দুজনে মিলে একটা গ্রুপ। এখানে তুমি হারলে হেরে যাব আমিও।
তুমি খারাপ রাঁধলে, খারাপ খেতে হবে আমাকে।
আমার বেতনে দেড়ি হলে আলুভাজি খেতে হবে তোমাকেও।
আমি অভিযোগ, অভিমান নিয়ে বসে থাকলে মনের ভেতর জ্বালাপোড়া হবে তোমারও"
এইটুকুতো নিঃসন্দেহে বোঝানো যায় পাশের মানুষটাকে।
এখানে আলাদা ভাবার কিছু নেই তেমন।
যখনই আমরা ভাবতে শুরু করি- সে আমায় মানসিক শান্তি দিতে পারছেনা।
কথা বন্ধ থাকলে- সে আগে কথা বলছেনা, আমায় নিয়ে ভাবছেনা, সময় ঠিকঠাক দিচ্ছেনা।
তখনই গ্রুপটা দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায়!
আমাদের বদলে, তুমি এবং আমি তে চলে যায় চিন্তাভাবনা।
"আমার ভালোথাকার সাথে তারও ভালোথাকা জড়িত" এই ছোট্ট কথাটা মাথা থেকে সরে যায়।
কেবল নিজে ভালো থাকবো কিভাবে?
শান্তি কেন পাইনি, কেন হয়নি সেসব মনের মতো?
এই চিন্তাভাবনায়, অপর পাশের মানুষটাকে একা করে দেয় ভীষণ।
সংসার গড়েছেন দুজন, দুজনের খারাপ থাকা, ভালো থাকাগুলো,
দ্রুত জেনে নেয়া আপনাদের দুজনার আসল এবং প্রধান দায়িত্ব।
সংসার সুখের বাগান না হলেও, দুঃখ ভাগাভাগি করার জায়গা অবশ্যই।
সমস্যা আসবে- হাজারো আসবে, কিন্তু আপনাদের দুজনার নজর,
ওই সমস্যা অব্দি আটকে না থেকে।
মুখোমুখি বসে সেসব সমস্যা সমাধানের দিকেই নজরটা থাকবে।
ভালো রাখবেন, ভালো থাকবেন। অন্তত নিজেদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার নামই সংসার।
আমি তোমার সাথে এভাবে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারলে অনেক বেশী হ্যাপি থাকব।
যেকোনো পরিস্থিতিকে সামলে নিতে পারব, তোমার সাপোর্ট পেলে।
প্রতিদিন যদি নিয়ম করে একবার বলা যায়,,,,"তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি আমার আমার সম্পদ আমার দুনিয়া"
তাহলে অসুখ এসে বাসা বাঁধতে পারবেনা কখনোই।
যখন আপনি বুঝতে পারবেন;কারো জীবনে বিকল্প হয়ে আছেন,
ঠিক তখনই নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন।
দেরি করবেন না, সাময়িক কষ্ট হলেও নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসাটা খুবই জরুরী।
যারা বিকল্প হিসাবে মানুষকে পাশে রাখতে চায়,তারা কখনোই সেই মানুষটার গুরুত্ব বুঝে না নিজ প্রয়োজন ছাড়া!তার যখন প্রয়োজন, তখনই মানুষটার মূল্য দিবে, কিন্তু প্রয়োজন শেষে সেই বিকল্প জিনিসের মতো করেই ফেলে রাখবে!
কারো জীবনে বিকল্প কিনা এটা বুঝা খুবই কঠিন ব্যপার, তবে যখনই বুঝা যায় কেউ বিকল্প হিসাবে পাশে রেখেছে;তখন নিজেকে সরিয়ে আনতে না পারলে একটক সময় প্রচুর উপেক্ষা আর অবহেলা পেতে হয়!
আর যা তিলে তিলে শেষ করে দেয়!
যে মানুষটা আপনাকে মন থেকে ভালোবাসবে, আপনাকে বিকল্প হিসাবে রাখা তো দূরের কথা, কখনোই আপনার অবর্তমানেও সে আপনার বিকল্প কাউকে খুঁজতে যাবে না! যারা বিকল্প খুঁজে,তারা সবকিছুতেই বিকল্প খুঁজে!
খুব ছোট্ট একটি উদাহরণে বলা যায়ঃ
মনে করুন আপনার কাছে একটি নতুন কলম আছে, এখন এই কলমের কালি শেষ হওয়ার আশঙ্কায় আপনি আরেকটি নতুন কলম নিলেন। অন্য একটি কলমে যখন লিখতে পারবেন না, তখন অপর কলমটি নিশ্চয়ই ব্যবহার করবেন। কিন্তু একই সাথে দু'টো কলমের গুরুত্ব আপনার কাছে থাকবে না, যতক্ষণ না একটি কলমে সমস্যা না দেখা দেয়! এই অপর কলমটিই হচ্ছে;আপনার কাছে 'অপশন'।
ঠিক কিছু কিছু মানুষও তেমনি।
অসংখ্য ভালোবাসার মানুষ থাকার পরেও আপনাকে জীবনে টেনে নিবে! তারপর একটা সময় আপনাকে অবজ্ঞা করতেও দ্বিধা করবে না! তার প্রয়োজনে আপনি, কিন্তু আপনার প্রয়োজনে তাকে পাশে পাবেন না!
সে মূলত আপনাকে তার সেকেন্ড 'অপশন' হিসাবে পাশে রেখেছে!
পৃথিবীতে সবকিছুর বিকল্প হয় হয়তো,কিন্তু জানেন তো?প্রকৃত ভালোবাসার মানুষটার না, কোনো বিকল্প হয় না। ভালোবাসা যাকে তাকে বিলানো যায় না, মানুষ মন থেকে ঠিক একটা নির্দিষ্ট মানুষকেই ভালোবাসে।
এখন আপনি আপনার প্রিয় মানুষটার কাছে আদৌ ভালোবাসার মানুষ হয়ে আছেন, নাকি নিতান্তই তার 'অপশন' হয়ে আছেন; তা বুঝার যথেষ্ট বয়স আপনার হয়েছে। এরপরও জেনেশুনে কারো জীবনে বিকল্প হয়ে থাকতে চাইলে,পরবর্তীতে তীব্র কষ্ট-যন্ত্রণায় মানসিক অশান্তি এবং হতাশা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নেয়াটা কেবলই আপনার সময়ের ব্যপার!
জীবনের গল্প জীবন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
প্রত্যেক'টা জীবনের'ই গভীর কিছু গল্প থাকে। সেই গল্পের কিছু অংশ বিষাদের, কিছু অংশ আনন্দের। হোক সেই জীবন ছেলের অথবা মেয়ের।সাধারণত একটা ধারনা আমাদের মধ্যে কাজ করে, সেটা হলো ছেলেদের কোন বেদনা থাকতে নেই। বেদনার গল্প থাকতে নেই। ব্যাপারটা যেন, ছেলে হলেই তার জন্য বরাদ্দ্ব থাকবে ইষ্পাত কঠিন সব অধ্যায়গুলি।
সর্বকালের কিছু সেরা উপদেশ । @মিঃ মধু
যুদ্ধ জাতীয় ব্যাপারগুলি সব ছেলেদের জন্য! লেখাপড়ার যুদ্ধ, কর্মের যুদ্ধ, অর্থ আয়ের যুদ্ধ, পরিবারের জোয়াল ঘারে নেওয়ার যুদ্ধ। আরও কত কত যে যুদ্ধ তার হিসেব রাখা মুশকিল।
মেয়েদের এসবের বালাই নেই। অবশ্য একেবারে যে নেই তা না, চোখে পড়ার মতো না। মেয়েদের আছে বিশাল মনজগত, মায়া আবেগের হাজার অলিগলি দিয়ে সাজানো সে জগত! সেখানে দুরন্তপনা আছে, হাসি আছে, কান্না আছে, মান আছে, অভিমান আছে, মায়া আছে, তিব্র ঘ্রিণাও আছে।
ছেলেদেরও এসব আছে, শুধু কান্না থাকতে নেই!
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
No comments