Ads

হিন্দুরা যদি পর্দা করতো, তাহলে কী হতো? @মিঃ মধু

  
হিন্দুরা যদি পর্দা করতো, তাহলে কী হতো? @মিঃ মধু

হিন্দুরা যদি পর্দা করতো, তাহলে কী হতো?

আপনি "যদি" বলছেন কেন? হিন্দুরা পর্দা করে তো। 
আপনি পর্দা আর বোরখার পার্থক্য বোঝেন না। 
সেজন্য এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন। 
আজকে আপনাকে হিন্দুর পর্দা দেখিয়ে দিব। 
জন্য, পর্দা বিষয়টা খুবই ভালোভাবে বুঝতে হবেঃ

পুরুষের পর্দা - দৃষ্টি সংযত রাখা। নারীর পর্দা - নিজের দেহ (সৌন্দর্য) 
আড়াল করা। [দেখুন কোরআনঃ সুরা নুর - ৩০,৩১]
কোরআনে প্রথমে পুরুষের পর্দার কথা বলা হয়েছে। 
তারপর নারীর পর্দার কথা বলা হয়েছে। 
পর্দা জিনিসটা শুধুমাত্র নারীর জন্য নয়। 
পর্দা হলো নারী পুরুষ উভয়ের জন্য।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য - বাংলাদেশের শহরগুলোতে, 
বেশ কিছু দেহ-ব্যবসায়ী ও মাদক-ব্যবসায়ী নারী, নিয়মিত বোরখা পরে।
দেহ-ব্যবসায়ী ও মাদক-ব্যবসায়ী নারীরা বোরখা পরে শহরে ঘোরাফেরা করে কেন? কারণ, এভাবে আত্মগোপন করা সহজ হয়। বোরখা পরে ছদ্মবেশে তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারে। তাদের কি পর্দা হয়? না, হয় না।

একজন মাদ্রাসার ছাত্রী বোরখা পরলে পর্দা হয়। কিন্তু, দেহ-ব্যবসায়ী বোরখা পরলে পর্দা হয় না কেন? কারণ - উদ্দেশ্য ও চেষ্টা। মাদ্রাসার ছাত্রী অচেনা পুরুষের কাছ থেকে নিজের সৌন্দর্য আড়াল করার চেষ্টা করে। 
তার ওই চেষ্টাটাই পর্দা।

বাজারে গিয়ে অমুক জিনিস কিনতে হবে। তাতে অনেক অচেনা পুরুষের সাথে দেখা হবার সম্ভাবনা আছে। এজন্যে মাদ্রাসার ছাত্রীটি নিজের ছোট ভাইকে বাজারে পাঠিয়ে দিয়েছে। এটাই তার পর্দা। এখানে সে বোরখা পরেনি।
ছাদে শোকানো কাপড় আনতে গিয়ে, দেখে ওখানে কয়েকটি ছেলে সিগারেট টানছে। মেয়েটি কোন আওয়াজ না করেই, ফিরে গেছে। 
এই ফিরে যাওয়াটা তার পর্দা। এখানে সে বোরখা পরেনি।

কাউন্টারে খুবই ভীড়। ওখানে গেলে অন্য কোন পুরুষের সাথে ধাক্কা লেগে যেতে পারে। কাউন্টারে পাঠানোর মতন কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। সেজন্য, ওই মেয়েটি পেছনে দাঁড়িয়ে, আধা ঘন্টা অপেক্ষা করেছে। ভীড় কমার পরে, কাউন্টারে গিয়েছে। তার এই অপেক্ষা করাটা পর্দা।
পর্দা হলো নারীকে আড়ালে রাখার চেষ্টা। পর্দা শুধুমাত্র নারীর নয়। 
পুরুষের পর্দা হলো - দৃষ্টি সংযত রাখা।

উপরের ছবিটি দেখুন। ছবির বাম পাশের যে মেয়েটি একা দাঁড়িয়ে আছে, 
তাকে দেখলে কি মনে হয়? তার নিজেকে আড়াল করার কতখানি চেষ্টা আছে?
মেয়েটি মোটেও আড়াল করার চেষ্টা করেনি। বরং, সে দেখানোর চেষ্টা করেছে।

আপনার আশেপাশে যেসব হিন্দু মেয়েদের দেখেন, তারা কি ছবির এই মেয়েটির মতন শরীর দেখিয়ে চলে? নাকি, তারা ডান পাশের ছবির ওই কলেজগামী মেয়েদের মতন "দেহ" আড়াল করার চেষ্টা করে? তাদের ওই আড়াল করার চেষ্টাটাই তাদের পর্দা।

পর্দা জিনিসটা ইসলামের আবিষ্কার নয়। 
সকল ধর্ম ও সমাজে, পর্দা হলো সম্মানিত নারীর লক্ষণ।

অন্যান্য ধর্মের সম্মানিত নারীরা (সীমিত) পর্দা করে। তাদের সাথে ইসলামের পর্দার পার্থক্য হলো - ইসলাম পর্দা বাধ্যতামূলক হবার কারণে, 
মুসলিম নারীরা খুব ভালোভাবে পর্দা করে।

অন্য ধর্মের নারীরা (সীমিত) পর্দা করে পাশ।
মুসলিম নারীরা পর্দা করে GPA-5

বিজ্ঞানীরা কেন সেলিব্রিটিদের মতো জনপ্রিয় হতে পারেন না?

আপনি চারপাশে দুর্নীতি দেখতে পেলেন৷ আপনি ধর্ষণের খবর দেখলেন৷ 
আপনি সন্ত্রাসের খবর শুনলেন৷ আপনি পরিবেশ দুষণ নিয়ে চিন্তা করছেন৷ আপনি চাকরি হারানোর ভয় করছেন৷ আপনি সারাদিন পরিশ্রম করেছেন। 
এখন আপনি ক্লান্ত।

সারা পৃথিবীটা আপনার কাছে নরকের মতো মনে হচ্ছে। এখন আপনার খুবই খারাপ লাগছে। আপনি এখান থেকে সুন্দর একটি জায়গায় যেতে চান৷ 
মন ভাল করতে চান৷

টিভিতে তার উপস্থিতি আপনার মন ভালো করে দেবে।

টিভিতে তার উপস্থিতি আপনার মন ভালো করে দেবে।

সে যদি একটা গোল দেয় তাহলে আপনি অনেক আনন্দ পাবেন।

তার ব্যাটের একটি ছক্কায় আপনার মন ভালো হয়ে যাবে৷

একটি সিনেমা আপনাকে কল্পনার জগতে নিয়ে যাবে ফলে আপনার ভালো লাগবে।

একজন খেলোয়াড় তার দক্ষতা দেখিয়ে আপনাকে আনন্দ দেবে।

আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে দেখবেন আর ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন৷

কিন্তু এইরকম একটা সমীকরণ কি আপনার মন ভালো করবে?


বিজ্ঞানীদেরকে কেন সেলিব্রিটি হিসেবে ধরা হয়না?


কারণ তারা একজন মানুষকে আনন্দ দেয় না৷
কারণ তারা একজন হতাশ মানুষকে কল্পনার জগতে নিয়ে যেতে পারে না৷
প্রত্যেকেই বাস্তবতাকে এড়িয়ে যেতে চায়৷

বিজ্ঞানীরা কাউকে বাস্তব থেকে কল্পনার জগতে নিয়ে যায়না। 
তাই তাদেরকে সেলিব্রিটি হিসেবে ধরা হয় না।

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)

No comments

Powered by Blogger.