Ads

প্রিয় কাল্পনিক ইচ্ছেগুলো এবং একটি শিক্ষনীয় মোটিভেশান @মিঃ মধু


প্রিয় কাল্পনিক ইচ্ছেগুলো এবং একটি শিক্ষনীয় মোটিভেশান  @মিঃ মধু

প্রিয় কাল্পনিক ইচ্ছেগুলো। 

ইচ্ছে ছিলো পৃথিবীটা ঘুরে দেখা হলেই ক্লান্ত হয়ে কোনো এক,
খরস্রোতা নদীর ধার ঘেষে আমরা ঘর বাঁধবো!  

আমাদের কুড়েঘরের সাথে একটা মাটির দাওয়া থাকবে, তার এক কোণে থাকবে একটা ঝাকড়া সন্ধ্যামলতি গাছ। সন্ধ্যা হলেই ফুলে ফুলে ভরে যাবে। 

যে ফুলে কোনো সুবাস থাকবে না তবু দেখে দেখে আমাদের নয়ন জুড়াবে। 

ঘরের পেছনটায় থাকবে ইউক্যালিপ্টাস আর মেহগনি কাঠের গাছ।  ঝিরি ঝিরি বাতাসে সারাক্ষণ আমাদের টিনের চালে নিঃশব্দে চুপচাপ ঝরে যাবে সেইসব গাছের মরাপাতা।

উঠোনের কোণে থাকবে একটা পুঁইমাচান। 

আর তার নিচে বাঁধা থাকবে একটা লালগরু, 

তার কাছে শুয়ে শুয়ে অলস সময় কাটাবে ধবধবে একটা বকনা বাছুর! 

প্রেম-বেদনা জীবন-দর্শন অনুভূতি-উপলব্ধি 

নিয়ে টুকরো ১১টি কাব্য । 

ব্রাউন কালারের দুটো ছাগলছানা থাকবে আমাদের। 

যারা উঠোনময় তিড়িং বিড়িং নেচে নেচে, আমাদের গা ঘেষে দাঁড়াবে। 

তুমি এসব দেখে দেখে বিরক্তে কপাল কুচকে বলবে, এই চলো না আমরা শহর চলে যাই! 

আমি তোমাকে মাটি চেনাবো মানুষ চেনাবো, 

কি করে শক্ত হৃদয়কে নরম করতে হয় উত্তাল নদী থেকে তা শেখাবো, 

আমি অবুঝের মতো ভালোবেসে ভরিয়ে দেব তোমার হৃদয়।

যেদিন আকাশে মস্ত চাঁদ উঠবে সেদিন আমরা দাওয়ায় মাদুর বিছিয়ে জোছনার আলো পোহাবো। 

আমরা সকল না পাওয়ার দুঃখ ভুলে যাবো, 

নদীর ঢেউয়ের শব্দে তলিয়ে যাবে আমাদের যত দীর্ঘশ্বাস!

যাবে কি বন্ধু একবার, আমার হাতটি ধরে হতে নিরুদ্দেশ!

আরও পড়ুন 👇👇

চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০১
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০২
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৩
চিরিদিন মনে গেঁথে থাকার মতো কিছু ষ্ট্যাটাস- পর্বঃ-০৪

প্রত্যেকটি মুহূর্তই জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ

যেদিন কেউ চাকরি হারিয়ে চোখের পানি মুছছে, সেদিনও কেউ না কেউ,
চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে দামি রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিচ্ছে।
লাইফে কিছু একটা করতে না পারার কারণে যেদিন আপনাকে ছেড়ে কেউ একজন চলে গেছে, সেদিনও কোনো এক প্রতিষ্ঠিত ছেলের কাছে কয়েকটা মেয়ের বিয়ের বায়োডাটা এসেছে।

হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে সিরিয়াসলি এবার লাইফটাকে নিয়ে ভাবুন। আজীবন সময় দিয়েছেন নিম গাছের নিচে আর এখন বলেন জীবন এত তিতা কেন?
দোষটা কার ছিল? যার কিছু নেই, তার কেউ নেই। ভাঙা সিন্দুকে কেউ টাকা রাখে না, নষ্ট ঘড়ির কেউ যত্ন নেয় না। এই সিম্পল হিসেবটা কেন বুঝেন না?

আপনি যখন রাত জেগে দুনিয়ার হতাশা লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমেন্টে সিমপ্যাথি আদায় করছেন, তখন হয়তো অপরপ্রান্তে কেউ রাত জেগে আউটসোর্সিং করছে।

আপনি কমেন্টে প্রচুর সিমপ্যাথি পাবেন, আর সে পাবে একাউন্টে টাকা। হিসেবটা খুব সিম্পল- যে যেটার জন্য কাজ করেছে সে সেটাই পেয়েছে।
আপনি যখন স্টুডেন্ট লাইফে বাবার টাকায় বন্ধুদের সাথে মাস্তি করে দামি রেস্টুরেন্টে খেয়ে ফেসবুকে চেক ইন দিতেন, তখন আপনার কোনো এক বন্ধু ক্লাস এসাইনমেন্ট আর নোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
কয়েকটা বছর শেষে ফলাফল - সে এখন বড় কোম্পানির সিনিয়র অফিসার হয়ে যখন দামি রেস্টুরেন্টে অফিশিয়াল মিটিং করে, আর আপনি দুর্বল সিজিপিএ'র সার্টিফিকেট নিয়ে টঙের দোকানে চা খেতে খেতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজেন। এতটুকু পার্থক্য তো হওয়ারই কথা!
যে বয়সে লাইফটাকে আপনার জয় করার কথা আপনি সে বয়সে করেছেন এনজয়, তাই যখন এনজয় করার সময় তখন বেকারত্ব জয় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন; এনজয় তো অনেক দূরের বিষয়।

আপনার বন্ধু যখন বিসিএস ক্যাডার কিংবা ব্যাংক অফিসার হয়ে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে, আপনি তখন টিকে থাকার জন্য সামান্য একটা চাকরিই খুঁজছেন। কারণ আপনি যখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ডেটিং করতেন, আপনার এই বন্ধুটিই তখন ক্লাসে বসে নোট করত। আজ আপনার ডেটিং পার্টনার গুলো একটাও নেই। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত কারো লাইফ পার্টনার।

দিন শেষে হতাশ হয়ে বলেন -'শালার, ভাগ্যটাই খারাপ'! No dear, You are totally wrong. আপনার ভাগ্য আজ আপনাকে এখানে আনেনি, আপনিই আপনার ভাগ্যকে এত নিচে নিয়ে এসেছেন। বাড়ির পাশে ময়লা ফেলে তা থেকে কিভাবে ফুলের সুবাস আশা করেন? কাজ যা করেছেন রেজাল্ট ও তাই।

সুতরাং সময় থাকতেই যেন আমরা সময়ের মূল্য বুঝি। 
কারণ প্রত্যেকটি মুহূর্তই জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)

No comments

Powered by Blogger.