Ads

বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ এর মাত্রা এত বাড়ার কারণ কী?

ডিভোর্স (বিবাহবিচ্ছেদ)- এর পরিমাণ এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?

  • সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের মনোরোগ বিভাগের তান চুই ক্লিনিকের সামনে বসে আছি। সিঙ্গাপুরে বেড়াতে এসেছি, এই ফাঁকে মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে রুটিন চেকআপ করে নিচ্ছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার একটা প্যাকেজ নিয়েছি তাতে নিজের পছন্দ মত যে কোন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবার প্রভিশন আছে। আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ তান চুই তিনের আপয়েনমেন্ত চেয়েছি।
  • মিনিট পনের বাদে অভ্যর্থনাকারী বললেন আসুন, ডাঃ তান চুই তিন আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আমি দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলাম। সাইকিয়াটিস্ত ডাঃ তান চুই তিন আমার সাথে হ্যান্ড স্যাক করলেন। পাশে বসে থাকা চমৎকার দেখতে এক চাইনিজ মহিলার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ইনি মিজ লি, কাউন্সিলর।
  • এবার ডাঃ তান জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কি ভাবে সহায়তা করতে পারি? আপনি আমার আপয়েনমেন্ত নিয়েছেন কিন্তু আপনার সমস্যার বিষয়ে কিছু লিখেননি। আমি বললাম, মূলত আমি আপনার সাথে আমাদের দেশের একটা সামাজিক সমস্যা বিষয়ে আলোচনার জন্য এসেছি। আপনাদের সমাজ বিষয়টি ইতিমধ্যে ফেস করছে আর মোকাবেলা করে যাচ্ছে। আমি মনো বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বিষয়টা বিস্তারিত জানার জন্য আপনার কাছে এসেছি।
  • ডাঃ তান কৌতূহলী হয়ে উঠলেন, কাউন্সিলর লি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকালেন। আমি বললাম, গত ক’বছর ধরে আমাদের দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে, এর জন্য নানা কারণের দিকে অঙ্গুলি তোলা হচ্ছে। যেমন, যৌতুকের দাবি, মেয়েদের শিক্ষা চাকুরী, অর্থনীতিক সচ্ছলতা, যৌথ পরিবারে বসবাসের ঝক্কি, বউ শাশুড়ি দ্বন্দ্ব, ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মোবাইলের ব্যবহার ইত্যাদি। আমি জানতে চাই বিবাহ বিচ্ছেদের পেছনে নানা কারণের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু এর পিছেন মূল কারণ কোনটি বলে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন?

  • .. ডাঃ তান চোখ সরু করে আমার দিকে তাকালেন। বললেন, এখানে আমার কাছে সবাই মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে আসে বটে, তবে আপনি এক ভিন্ন বিষয় নিয়ে এসেছেন। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমাদের দেশে অনেক ছেলে মেয়েই আর বিবাহে ইচ্ছুক নয়, অনেকে লিভ টু-গেদার করে অনেকে লিভিং এপার্ট কে পছন্দ করে।
  • তবে এটা ঠিক বছর চল্লিশেক আগেও সিংগাপুরীরা উপযুক্ত সময়ে বিবাহ করে পরিবার গঠন করত আর বিচ্ছেদের হার ছিল খুবই কম কিন্তু বর্তমানে বিবাহের মাধ্যমে পরিবার গঠনের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। কিছু সংখ্যক বিবাহ হলেও তা বেশী দিন টিকছে না। আমি বললাম, কিন্তু কেন?
  • ডাঃ তান বলতে লাগলেন, যখন ডিভোর্সের হার বাড়তে লাগল তখন সরকার এর কারণ জানতে আর এর প্রতিবিধান করতে একটা সেল গঠন করে ছিল। সমাজবিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, মনোরোগবিদ, মনোরোগ চিকিৎসক, ডিভোর্সি ক’টি জুটি নিয়ে একটা সেল গঠন করা হয়। সেখানে আমিও ছিলাম। আমরা অসংখ্য ডিভোর্সের আবেদন করা কপোলের সাথে আর ডিভোর্স সম্পাদিত হয়ে যাওয়া কপোলের সাথে বিস্তারিত কথা বলি। এ থেকে এক আশ্চর্য তথ্য উঠে আসে। আমি বললাম, ডাঃ তান কি সেই তথ্য?

  • ডাঃ তান বললেন, বিয়ের কথা চলা কালে হবু কনে বা তার পরিবার কি চায়? আমি বললাম, মূলত অর্থনৈতিক নিরাপত্তা । ডাঃ তান বললেন, ঠিক বলেছেন। হবু কনে আশা করে তার নিজ পরিবারের যে আর্থিক অবস্থান আছে তার চেয়ে হবু স্বামীর আর্থিক অবস্থা যেন আরও ভাল হয়। আমি প্রশ্ন করি, কিন্তু এটা কি মূল কারণ হল?
  • ডাঃ তিন বললেন, হাজার হাজার বছর ধরে মূলত ছেলেরা বাইরে শিকার করে, চাষ বাস করে বা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে সম্পদ অর্জনের চেষ্টা করে গেছে যেন পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। আর মেয়েদের মস্তিষ্কে এই ধারণা প্রথিত হয়েছে যে সচ্ছল পরিবারের ছেলে বা উচ্চ বেতনে চাকুরীরত ছেলে পরিবারের সব চেয়ে বেশী নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। তাই পাত্র হিসেবে মেয়ে বা মেয়ের পরিবারের কাছে ভাল আয়ের পাত্র আকাঙ্ক্ষিত ছিল।
  • এবার আসুন বর্তমানের দিকে। সিঙ্গাপুর দেখতে দেখতে ধনী হয়ে উঠল। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও শিক্ষা গ্রহণ শেষে চাকুরীতে এসে ভাল রোজগার করতে লাগল। এদিকে সরকার পিতা মাতার সম্পদে ছেলে মেয়ের অংশ সমান করে দিয়ে আইন করল। নারী পুরুষের আয় বৈষম্য ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হল। খুব দ্রুতই আইনের সুষম প্রয়োগ নিশ্চিত করা হল।
  • মেয়েরা ছেলেদের মতই একা বাসা ভাড়া নেয়া, সম্পত্তি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা বা আইনি সেবা পেতে শুরু করল। দিনে রাতে যাতায়াত কালে, কর্মস্থলে, সর্বত্র যথাযথ মাত্রায় নিরাপত্তা পেল। সর্ব বিষয়ে নিরাপত্তার রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি নিশ্চিত হওয়াতে মেয়েরা পরিবার গঠনে অনীহা দেখাতে লাগল। আমি বললাম, এমন তো হবার কথা নয়।

  • .. কাউন্সিলার মিজ লি এবারে মুখ খুললেন। বললেন, একটা পরিবারে বাস করা সহজ নয়। ঘর দুয়ার গোছাও, রান্না কর, আত্নীয় স্বজনদের তোষণ কর, স্বশুরের যত্ন নাও, শাশুড়ির মন যুগিয়ে চল, স্বামীর নানা আবদার মেটাও, ননদের অসন্তোষ মোকাবেলা কর ইত্যাদি। কিন্তু একটা স্বাবলম্বী মেয়ে এত ঝামেলা কেনই বা নেবে?
  • আগে নিজের পরিবার, স্বামীর পরিবার মিলে একটা উপভোগ্য সামাজিক আবহাওয়া তৈরি হত- সামাজিক জীব হিসেবে ঐ আবহাওয়াতে ঢুকে পড়া ছাড়া উপায় ছিল না। এখন সামাজিক নানা মাধ্যম আছে, নিজের বাসায় একা বসে থেকেই দিব্যি বিনোদিত হওয়া যায়, সময় কাটানো যায়। তা ছাড়া অফিসে সামাজিক মেলামেশার সুযোগ আছে, ছাত্র জীবনের বন্ধু বান্ধব আছে তাদের নিয়ে চমৎকার সময় কাটে যেখানে কোন দায়বদ্ধ তা নেই, অথচ মেলা মেশার আনন্দটা দিব্যি পাওয়া যায়।
  • কাজেই বিয়ে নামের কষ্টদায়ক পুরনো ধাঁচের সম্পর্কে ঢুকে নানা অনুশাসনের বেড়া জালে কে ইচ্ছে করে পড়তে চায়? আমি মিন মিন করে বললাম, সে না হয় হল, কিন্তু অসুখ বিসুখের বিষয়টা তো আছে। মিজ লি বললেন, হ্যাঁ তাতো হতেই পারে, সে জন্য ডাক্তার আছে, হসপিটাল আছে। ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে হসপিটালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেন। আর আমাদের হসপিটালের ব্যবস্থাপনা তো আপনি দেখেছেন, একবার পৌঁছে গেলে আর ভাবতে হয় না। হাসপাতালের যে বিল হয় তা দেবার জন্য তো ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আছে, কোন চিন্তা নেই। তাই দেখা যায় একটা মেয়ে একা থাকলে তার নানা দায় অনেক কমে যায় আর নিজের মত করে জীবন যাপন করতে পারে।

  • মিঃ জলিল তুমি নিশ্চয় জান নার্সদের চাকুরী সকল চাকুরীর মধ্যে বিশেষ ভাবে কঠিন কারণ তাদেরকে অন্যের কেয়ারিং এর দায়িত্ব নিতে হয়। পরিবারে থাকলে মেয়েদের কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের কেয়ারিং এর দায়িত্ব নিতে হয় ফলে তারা মানসিক আর শারীরিক ভাবে বেশী কষ্টের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়। আমরা দেখেছি অন্তত সিংগাপুরে একা থাকা মেয়েদের অসুখ কম হয় আর হসপিটালাইজেসন কম লাগে। বুঝতেই পাড়ছেন সুস্থ নির্ঝঞ্জাট জীবন সহজ লভ্য হলে সেটা কে না চায়? এই পরিস্থিতিতে কেন একটা মেয়ে বিয়ে করতে আগ্রহ দেখাবে?
  • হ্যাঁ অনেকে আগে প্রেম থাকায় বা পুরনো ধ্যান ধারনার মধ্যে থাকা পিতা মাতার কথায় বা কোন কোন বন্ধু কে বিয়ে করতে দেখে, আগ্রহী হয়ে বিয়ে করে ফেলেছিল- কিন্তু এখন তারা ঝামেলা পূর্ণ জীবন থেকে বেড়িয়ে এসে নিজের মত বসবাস করতে চায়- ফলাফল ডিভোর্স আবেদনের ক্রম বৃদ্ধি।
  • আমি ডাঃ তানের দিকে তাকিয়ে বললাম, কিন্তু জৈবিক চাহিদার একটা বিষয় তো আছে? ডাঃ তান হেসে বললেন, প্রত্যেকেরই বন্ধু বান্ধবী আছে, স্কুল কলেজে তাদের সব বিষয়ে অবহিত করে দেবার জন্য কোর্স আছে আর রাষ্ট্র ১৮ বছরের বেশী বয়সী ছেলে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কিভাবে সময় কাটাচ্ছে তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।

  • সিঙ্গাপুর নগর রাষ্ট্র এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না তবে ডাঃ তান আর মিজ লি এর কাছে এসব শুনে আমার মাথা ঘামতে শুরু করেছে। আমি প্রশ্ন ছুড়লাম, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকে একা থাকে বা লিভিং করে ঠিক আছে তবে বাচ্চা কাচ্চার বিষয়ে আধুনিক প্রজন্ম কি ভাবে?
  • ডাঃ তান বললেন, দেখুন পিছিয়ে থাকা দরিদ্র সমাজে যেখানে সরকার জনসাধারণের প্রায় কোন দায়িত্বই নেয় না সেখানে পরবর্তী প্রজন্ম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। আপনাদের উপমহাদেশে ছেলে সন্তান থাকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যেন বড় হয়ে সে আয় করতে পারে আর বৃদ্ধ পিতা মাতার ভরন পোষণ করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে মেয়েরাও আয় করছে আর সম্পদের মালিকানা লাভ করছে তাই পরিবারগুলো ছেলে সন্তানের জন্য তেমন ভাবে আর লালায়িত নয়, এটা কি ঠিক? আমি বললাম, এটা ঠিক, কারণ মেয়েরাও প্রয়োজনে এখন বাইরে যেতে পারে, বাবা মার দেখাশোনা করতে পারে। তাই ছেলে থাকতেই হবে এ বিষয়টা গুরুত্ব হারিয়েছে।

  • ডাঃ তান বললেন, কিন্তু সিঙ্গাপুর উঁচু স্তরের উন্নতি করাতে এখানে কোন পুরুষ বা মহিলার স্বাচ্ছন্দপূর্ণ ভাবে টিকে থাকার জন্য সন্তান না থাকলেও চলে। অতি বৃদ্ধ হয়ে অচল হলে রাষ্ট্রীয় ভাবে চিকিৎসা আর দেখা শোনার উত্তম ব্যবস্থা আছে। কাজেই বুঝতে পারছেন সন্তান গ্রহণ, টিকে থাকার জন্য বা বুড়ো বয়সের অবলম্বন হিসেবে এখানে গুরুত্ব হারিয়েছে। বরং সন্তান ধারণের সময় দশ মাসের নিদারুণ কষ্ট, ক্যারিয়ারের ক্ষতি, সন্তান জন্মদানের সময় নানা শারীরিক জটিলতার সম্ভাবনা, জন্মদানের পর সন্তান লালন পালনের ঝক্কি, ভাষা শেখানো, পড়া শেখানো, লেখাপড়ার পেছনে বিপুল ব্যয় বহন করতে হয়।
  • তাছাড়া সমাজে নিজ সন্তানদের অন্যদের মত করে প্রতিষ্ঠিত করে তোলার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে নিতে হয় জীবন ব্যাপী স্ট্রেস। সন্তানের অসুখ হলে ব্যয় বৃদ্ধি আর তাদের সুস্থ হয়ে না ওঠা পর্যন্ত মন খারাপ বা মানসিক চাপ চলতে থাকে যা আনন্দময় ক্লিন লাইফ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এটা ঠিক প্রথমে অল্প কিছু যুবক যুবতী এটা অনুভব করে পরিবার গঠনে অনীহা দেখাতে থাকে। ওদের চাপ শূন্য জীবন ধারার আনন্দ দেখতে পেয়ে ক্রমাগত বেশী সংখ্যায় তরুণ তরুণীরা বিবাহ আর সন্তান ধারণে আগ্রহ দেখানো কমিয়ে দিচ্ছে। ফলাফল হল জনসংখ্যা হ্রাস।

  • .. লিভ টু-গেদারে পরিকল্পিত বা অপরিকল্পিত ভাবে বাচ্চা এসে গেলে সরকার সেই বাচ্চার দায়িত্ব লিভ টুগেদাররত বা লিভ টু-গেদার থেকে বেড়িয়ে চলে যাওয়া বায়োলজিক্যাল বাবা মায়ের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ছেলেটির উপর কেবল মাত্র আর্থিক চাপ গেলেও মাটি কিন্তু বেবি দেখাশোনা করতে বাধ্য হচ্ছে যা সিঙ্গেল মায়ের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে বিবাহের বাইরে যারা সন্তান জন্ম দিত তারাও নিরুৎসাহিত হয়ে গেছে। এ
  • খন সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ৫৬ লক্ষ যা দেশ চালনার জন্য যথেষ্ট নয়, যা আবার ক্রমহ্রাস মান। সরকার চাইছে এই জন সংখ্যা ৭০ লক্ষে নিয়ে যেতে যা অলীক কল্পনা বটে। কারণ যারা দেশকে সন্তান বা জনসংখ্যা দেবে সেই মেয়েরা তাদের জীবন যাপনের জন্য রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে গেছে কাজেই বিবাহ নামক ঝঞ্জাটপূর্ণ নিরাপত্তার প্রতি তাদের তেমন কোন আগ্রহ আর নেই। মিঃ জলিল এখন কি বুঝতে পেরেছেন কেন মেয়েরা বিবাহে অনিচ্ছুক আর যারা বিয়ে করেছিল তারাও এই চাপের বন্ধন থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়?

  • .. আমি বললাম, সবই ঠিক আছে কিন্তু মেয়েদের মাঝে একটা মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা তো থাকার কথা। ডাঃ তান বললেন, দেখুন কিছু কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্রেন বেশ দ্রুত বিবর্তিত হয়ে পড়ে। যেমন আপনাদের দেশ বংশ রক্ষাকারী ছেলে সন্তানের চাহিদা থেকে মাত্র এক জেনারেশনে বের হয়ে এসেছে, ছেলে সন্তানের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর নেই।
  • সিংগাপুরে প্রচুর সংখ্যক মেয়ে অবিবাহিত আর সন্তান নেই তাই মেয়েদের উপর বিবাহিত হওয়া আর সন্তান থাকার ব্যাপারে কোন রকম সামাজিক চাপ নেই। সুতরাং মা হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও তাদের হ্রাস পেয়ে যাচ্ছে।
  • ডাঃ তান থামলেন। আমি তার আর মিজ লি এর ব্যাখ্যায় বুঝতে পারলাম কেন উন্নত বিশ্বে জনসংখ্যা দ্রুত কমে আসছে? আমি ধন্যবাদ দিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ম্যারিনা বে স্যানড বিচের দিকে রওয়ানা হলাম।

ট্যাক্সিতে যেতে যেতে সহসাই আমার এক বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীর কথা মনে পড়ল যিনি বলেছেন- আধুনিক মানুষ ধর্মীয় চাপ, সামাজিক চাপ আর পারিবারিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

উন্নত বিশ্ব এ বিষয়ে সাফল্য দেখাচ্ছে হয়ত তাই আমরা উন্নত বিশ্বমুখী হয়ে উঠছি।

ধন্যবাদান্তেঃ— "মিঃ মধু"

No comments

Powered by Blogger.