Ads

কয়েকটি শিক্ষনীয় গল্প, যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে। @মিঃ মধু

কয়েকটি শিক্ষনীয় গল্প, যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে। @মিঃ মধু

ভালোবাসায় বাঁচতে শেখো, প্রেমে নয় । 

একটা মেয়ের শরীরের গন্ধ তোমার ভালো লাগে-- "এটা হচ্ছে প্রেম"
আরেকটা মেয়ে আছে, যাকে তুমি অনুভব করো।
তাকে ভালো লাগার জন্য তার উপস্থিতি কিংবা শরীরের গন্ধ লাগে না-- "এটা হচ্ছে ভালোবাসা" 
তোমার বন্ধু মহলে হয়তো কোন একটা মেয়ে আছে,  যার সাথে তুমি গা ঘেঁষে বসার জন্য অস্থির থাকো।
এই মেয়েটি হচ্ছে তোমার কামনার বস্তু।

একই ভাবে তোমার মস্তিস্কের অন্দরমহলে একটা মেয়ে আছে, যার সাথে তুমি গা ঘেঁষে বসার জন্য অস্থির থাকো না। কিন্তু তার অনুপুস্থিতির জন্য তুমি অস্থির, তার সাথে কথা বলার জন্য তুমি অস্থির।
এই মেয়েটা হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ!!!!
কোন মেয়ে তোমার সাথে ইগো দেখালে তুমিও তার সাথে সমানতালে ইগো দেখাও।
কিন্তু তোমার জীবনে এমন একজন মানুষ আছে, যার শত অবহেলাতেও তুমি তার সাথে ইগো দেখাতে পারো না। প্রথমজন তোমার প্রেমিকা। পরের জন তোমার ভালোবাসা।

মেডিকেল সাইন্স প্রেম আর ভালোবাসার ডেফিনেশন দিতে গিয়ে পার্থক্যটা তুলে ধরেছে এভাবে ---
,,শারীরিক আনন্দ কেটে যাবার পরেও যদি কোন মানুষের সাথে তোমার আজীবন থাকতে ইচ্ছে করে তাহলে সেটা হচ্ছে ভালোবাসা। আর যদি সেরকম ইচ্ছে না আসে তাহলে ব্যাপারটা ছিল প্রেম।,,
সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ প্রেম কে ভালোবাসা বলে চালিয়ে দেয়।
প্রেম করতে করতে তারা একসময় ভালোবাসাই ভুলে যায়।

বুঝতে পারে তখন যখন আচমকাই তাঁদের ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা হয়ে যায়।
এই কারনে দেখবেন দুই তিনটা প্রেম করে সময় কাটানো খারাপ মেয়েটা/ছেলেটাও নির্জনে কারো না কারো জন্য কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়।
সারাদিন অনলাইনে মেয়েদের ফ্লার্ট করতে থাকা ছেলেটা/মেয়েটাও একসময় ক্লান্ত হয়ে ক্ষান্ত দেয় ইনবক্সের নোংরা আলাপে। ভাবতে থাকে মাথার ভেতরে ঘুরতে থাকা ছেলেটাকে/মেয়েটাকে।
the fact is .. শারীরিক আকর্ষন অনেকের প্রতিই থাকতে পারে, কিন্তু মনের টানটা থাকে একজনের প্রতিই।

সেই একজনই হচ্ছে ভালোবাসার মানুষ, আর বাকিরা হচ্ছে প্রেমিকা।
কিন্তু অনেকের সাথে প্রেম চালিয়ে যাওয়া ছেলেটা কখন যে নিজের অজান্তে ভালোবাসা ব্যাপারটাকে কবর দিয়ে দেয় তা সে নিজেও জানে না।
যখন জানে তখন আর কিছু করার থাকে না। কারন ইতোমধ্যে সে হয়ে গেছে এটা অনুভুতিশুন্য রক্ত মাংসের রোবট।

বিধাতা এদের কপাল থেকে ঘষে ঘষে চার অক্ষরের “”ভালোবাসা “” শব্দটা তুলে নেন।
সেই জায়গায় লিখে দেন দুই অক্ষরের “”প্রেম “”।
এই কারনে যার প্রেম হয় তার শুধু প্রেমই হয়। একটা পর একটা ,চলতেই থাকে।
প্রেমটা হচ্ছে ড্রাগের মতো।
ভালোবাসাটা অমৃতের মতো।
তুমি ভালোবাসায় বাঁচতে শেখো, প্রেমে নয়।
সফলতা অথবা success আসলে ঠিক কি ???

অপরের সমালোচনা থেকে বিরত  থাকুন । 

একদিন সক্রেটিসের কাছে তাঁর এক পরিচিত লোক এসে বললেন: 
আপনি কি জানেন আপনার বন্ধু সম্পর্কে আমি কি শুনেছি?
সক্রেটিস তেমন আগ্রহী না হয়ে বললেন: থামুন দয়া করে।
আমাকে কিছু বলার আগে আপনাকে ছোট্ট একটা পরীক্ষা পার হতে হবে; এই পরীক্ষার নাম তিন ছাঁকনি পরীক্ষা ।
লোকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল: তিন ছাঁকনি- ট্রিপল ফিল্টার!!
এটা আবার কি জিনিস?
সক্রেটিস বললেন : আমার বন্ধু সম্পর্কে আমাকে কিছু বলার আগে আপনি যা বলবেন তা ফিল্টার করে নেওয়া ভালো।
তিন ধাপে ছাঁকা হবে বলে আমি এটাকে 'ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট' বলি।
প্রথম ফিল্টার হলো - সত্যবাদিতা /Truthfulness.
আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি যা বলবেন তা সত্য?
লোকটা বলল : না, আমি শুধু শুনেছি মাত্র এতটুকুই।
পুরোপুরি সত্য কিনা, তা নিশ্চিত নই।
সক্রেটিস বললেন: ঠিক আছে।
তাহলে আপনি জানেন না এটা সত্য কিনা?
এবার দ্বিতীয় ফিল্টার। এই ফিল্টারের নাম হল ‘ভালোত্ব /Goodness.
আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি যা বলবেন তা কি ভালো কোনো বিষয়?
লোকটা একটু আমতা আমতা করে বলল:
না, ঠিক ভালো নয়, বরং খারাপ কিছু।
সক্রেটিস বললেন : তার মানে আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে এমন একটা খারাপ কথা বলতে এসেছেন যা আদৌ সত্য কিনা সে ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত নন।
আচ্ছা, আপনি হয়ত এখনো পরীক্ষায় পাস করতে পারেন। কারণ তিন নাম্বার ফিল্টার বাকি আছে।
এটা হল ‘উপকারিতা / Usefulness.
আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি যা বলবেন তা কি আমার বা আপনার কোনো উপকারে লাগবে?
লোকটি বলল: না, সেরকমও ঠিক না। এতে আমার বা আপনার কারোই উপকৃত হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।
সক্রেটিস শান্তভাবে বললেন বেশ: আপনি যা বলতে চান তা- সত্য না, ভালো কিছুও না, আবার আমার বা আপনার কোনো উপকারেও আসবে না।
তাহলে কেনইবা আমরা এসব অহেতুক কাজে সময় নষ্ট করব?
চলুন, সময়টাকে একটা ভালো কাজে ব্যয় করি।
লোকটা তখন আর কিছু না বলে চলে গেল।
আমাদের সকলের উচিৎ নিজ চোখে না দেখে, নিজ কানে না শুনে, সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে অপরের সমালোচনা থেকে বিরত থেকে উত্তম কাজ করা ৷...…
সুখী মানুষ নাই!!! 

সময় থাকতে সাধু সাবধান । 

এক ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে,, 😋
পাশ দিয়ে একটি ছোট পিপরা হেঁটে যাচ্ছিল,
মধুর ঘ্রান নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়ালো!😱
ভাবল একটু মধু খেয়ে নেই, 😋তারপর না হয় সামনে যাবো।

এক চুমু খেলো, বাহ !!😱
এতো ভারি মজা, 😋আরেকটু খেয়ে নিই,😋
তারপর সামনে চলতে লাগলো আর ভাবলো,
এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে ক্ষতি কি???🤔
আবার পিছনে ফিরলো পূর্বে নিচে থেকে মধু খেয়ে খেয়েছিল, 
ভাবল নিচের মধু এত মজা তাহলে উপরের মধু আরো মজা হবে নিশ্চয়ই?🤔

তাই আস্তে আস্তে গাছ বেয়ে উপরে চলে গেল, আর মধুর ফটোর উপরে উঠে বসে পড়লো,,😀
আর বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছিল, 😋খেতে খেতে একপর্যায়ে পেট ফুলে গেল:
আর ওই দিকে পা দুটো ও আস্তে আস্তে মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছিল, 😥
হঠাৎ তখনই পায়ের দিকে নজর পড়ল, তার কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে,😭
মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলো।😭
কিন্তু না মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা, 
অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না।😭

নাকে মুখে মধু ঢুকে দমবন্ধ হয়ে যেতে লাগল,😥
অবশেষে পিপড়াটি মধুর ভিতর মৃত্যুবরণ করলো,😭 এই বিশাল দুনিয়াটা এক ফোঁটা মধুর মতই।
যে এই মধুর পাশে বসে হালাল ও অল্পতে তুষ্ট থাকবে সেই বেঁচে গেল,, আর যে এই স্বাদ এর মধ্যে ডুব দিতে গিয়ে, হালাল, হারাম, বাছ-বিচার না করে শুধু খেয়ে গেল, আরেকটু আরেকটু করতে করতে একদিন সে এর মায়াজালে আটকে পড়ে মারা যাবে।😭

তখন আর কেউ তাকে উদ্ধার করতে পারবে না।😭 
ধ্বংস অনিবার্য,, তার দুনিয়া আখেরাত দুটোই শেষ,😭

সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করো। 

একজন লোক মাত্র বিয়ে করে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। তারা যখন নৌকা দিয়ে সাগর পাড় হচ্ছিল, তখন হঠাৎ একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল।
লোকটি ছিল একজন সাহসী যোদ্ধা, কিন্তু তার স্ত্রী খুব ভীত হয়ে ওঠে যেহেতু নৌকাটি ছিল ছোট এবং যে কোন মুহূর্তে তারা নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে এতে সে খুব নিরাশ হয়ে পড়ল। কিন্তু লোকটি তখনও নীরব এবং শান্ত ছিল যেন কিছুই ঘটেনি।
মহিলার আতঙ্কগ্রস্ত এবং কম্পিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,“আপনি কি ভীত নন ?”। এটাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত হতে পারে! শুধুমাত্র কিছু অলৌকিক ঘটনা আমাদের রক্ষা করতে পারে; অন্যথায় মৃত্যু নিশ্চিত।
লোকটি হাসতে হাসতে তার তলোয়ারটি খোলস থেকে বের করল। মহিলাটি আরো আতঙ্কিত হয়ে পরল; সে আসলে কি করতে যাচ্ছে?
তারপর সে তার খোলা তলোয়ারটি তার স্ত্রীর প্রায় গলাকে স্পর্শ করে ধরে রাখল... সে বলল, “তুমি কি ভয় পাচ্ছ?” তার স্ত্রী হাসতে শুরু করল আর বলল, “আমি কেন ভয় পাব? তলোয়ারটিতো আপনার হাতে, কেন আমি ভয় পাব? আমি জানি যে আপনি আমাকে আনেক ভালবাসেন।”
“সে তলোয়ারটি খোলসের ভিতর রাখতে রাখতে বলল, “তুমি আমার উত্তর পেয়েগেছ” আমি জানি আল্লাহ আমাদের ভালবাসেন, এবং ঝড় তাঁরই হাতে। তাই যাহা কিছুই হতে যাচ্ছে ভালই হবে। যদি আমরা বেঁচে থাকি, ভালো;  আর না বাচলেও ভালো; 
কারণ সবকিছু তাঁর হাতে এবং তিনি কোন ভুল কিছু করতে পারেন না।

উপদেশ: সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করো এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখো যিনি তোমার জীবনকে পুরো বদলে দিতে সক্ষম। সবকিছুই কোন একটি কারণেই ঘটে।

সততার পরিচয় এবং প্রতিফল। 

একদেশের এক রাজা ছিলেন। রাজা একদিন অনুভব করলেন উনি বৃদ্ধ হচ্ছেন। 
সিংহাসনের জন্য উনার একজন উত্তরসূরি রেখে যেতে হবে। কিন্তু উনার পুত্র-কন্যা আর মন্ত্রিসভার সবাই ভয়ানক দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল। কার উপর ভরসা করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিলেন জনগন হতেই একজন যোগ্য লোক খুঁজে নিবেন।

এরপর কিছু সময় ট্রেনিং দিয়ে রাজ্য চালাবার জন্য উপযুক্ত করে তুলবেন।
পুরো রাজ্য হতে ১৭-১৮ বছর বয়সী হাজারখানেক তরুন-তরুণীকে বাছাই করা হল, এদের মধ্যে রাজার পুত্র-কন্যারাও নিজেদের প্রমান করার সুযোগ পেল । ওদেরকে একদিন ডেকে রাজা সবাইকে একটা করে বীজ দিলেন। 
বললেন, - এটা খুব স্পেশাল একটা বীজ। এটা তোমরা সবাই রোপন করবে, যত্ন নেবে, পানি দেবে। 
এক বছর পর যার বৃক্ষ সবচেয়ে সুন্দর হবে, সেই এই রাজ্য শাসন করার জন্য নির্বাচিত হবে। 
সেই পারবে আমার জনগনের ঠিক ভাবে যত্ন নিতে।
সবাই একটা করে বীজ পেল। এদের একজনের নাম ছিল আনিস। 
আনিস ওর মায়ের সাহায্যে বীজটা রোপণ করল।

অনেক যত্ন নেবার পর ও কোন চারা বের হতে না দেখে আনিস খুব হতাশ হয়ে পড়ল। মাসখানেক পরেই নির্বাচিত অনেকের মুখেই ওদের চারার গল্প শুনতে পেল। কয়েক মাসেই অনেকের চারা বৃক্ষে পরিনত হল। আনিস ভাবছিল, নিশ্চয়ই কোন পাপের ফল এটা। ওর কোন ভুলেই বীজ হতে চারা বের হল না। আনিস ওর ব্যর্থতার গল্প লজ্জায় কাউকে বলতে পারল না।

একবছর পর নির্দিষ্ট দিনে একটা বিশাল মাঠে সবাই যার যার বৃক্ষ তুলে নিয়ে হাজির।
আনিস লজ্জায় যেতে চাইল না। ওর মা জোর করে পাঠাল। খালি টব নিয়ে আনিস পিছনের এককোণায় কাঁচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল সবার কি সুন্দর সুন্দর সব বিশাল বৃক্ষ। আনিসের খালি টব দেখে অনেকে খুব হাসাহাসি করল, ব্যঙ্গ করল নানাভাবে।

রাজা এসে ঘুরে ঘুরে সবার গাছ দেখলেন, তারিফ ও করলেন অনেক। হটাত রাজার চোখ আনিসের উপর পড়ল। গার্ডদের সাহায্যে আনিসকে মঞ্চে নিয়ে আসা হল। আনিস ভাবল, বীজ মারা যাওয়াতে তার সম্ভবত বড় শাস্তি হতে যাচ্ছে।

রাজা সবাইকে হতভম্ব করে দিয়ে ঘোষণা দিলেন,
- পরবর্তী রাজার নাম - আনিস। তোমাদের সবাইকে একটা করে বীজ দিয়েছিলাম। সেগুলো ছিল সিদ্ধ বীজ যেটাতে কোন চারা বেরই হবে না।

আনিস ছাড়া তোমরা সবাই ফুল, চারা, গাছ এসব নিয়ে হাজির হয়েছ।
তোমরা যখন চারা বের হতে দেখনি, সবাই অন্য বীজ লাগিয়ে মিথ্যা গল্প সাজিয়েছ। একমাত্র আনিস সাহস আর সততার সাথে তার ব্যর্থতা নিয়ে হাজির হয়েছে। একমাত্র ওর মধ্যেই এই রাজ্য শাসন করার মত নীতি আর চরিত্র আছে।

- দুনিয়াতে আমরা সবাই এক ধরনের দেখানোর প্রবনতায় লিপ্ত। হালাল উপার্জনে সন্তুষ্ট না থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে বিলাসিতার জন্য উপরি আয়ের পিছনে দৌড়াই। একসময় আমাদের কর্ম নিয়েই হাজির হতে হবে আল্লাহর কাছে, কিন্তু এই রঙ্গিন দুনিয়ার কোন প্রভাব সেই ফলাফলে পড়বে না।
- রাসুল (সাঃ) বলেছেন - সত্যবাদিতা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে যায়। আর সেই পথের শেষ হল জান্নাত। মিথ্যা মানুষকে শয়তানের পথে প্ররোচিত করে, যার শেষ গন্তব্য হল জাহান্নাম। যে সর্বক্ষণ মিথ্যার চর্চা করে, সে আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিতি পায়। 

বিশ্বাস যখন জমে যায় শত্রুর সাথেও আপনি বাস করতে পারবেন।

সাপ আর হাঁস দুইজনেই একে অপরের শত্রু।
হাঁস যেখানে এসে খেলা করে সাপও সেখানে এসে ঘুরে বেড়ায়। একদিন এক সাপ খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
হঠাৎ দেখতে পায় একটি হাঁসকে।
হাঁসকে তাড়া করে তার পিঠের উপর চড়ে বসে সাপটি।
হাঁসটি ভয়ে ভয়ে পাঁড়ে ভিড়তে লাগল।
হাঁস যতই পাঁড়ে ভিড়তে চায় সাপ থাকে ততই বাঁধা দেয়।
এইবার হাঁসের হঠাৎ মনে হল যে, যদি সে কূলে ভীড়তে চায় সাপ তাকে ছোবল দিতে পারে।
তারচেয়ে ভাল সাপটিকে আশ্রয় দিয়ে চুপ করে থাকা। ভয়ে ভয়ে সারাদিন এভাবে চলে গেল।
সাপটিও তার ক্লান্তি দূর হয়ে যাওয়ার পর হাঁসের পিঠ থেকে নেমে চলে গেল। সাপের উপর এইবার হাঁসের বিশ্বাস জমে গেল।
পরেরদিন আবারও ক্লান্ত হয়ে পড়লে সাপটি হাঁসের পিঠে এসে আশ্রয় নেয়। হাঁসও এইবার আর পালানোর চিন্তা মাথায় আনছেনা।
এইভাবে প্রায় প্রতিদিন সাপটি হাঁসের কাছে এসে আশ্রয় নেয়।
আর হাঁসও ভয় পায় না।
এইভাবে তাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
কিন্তু হঠাৎ একদিন সাপটি কোন কারণে রাগান্বিত হয়ে হাঁসকে লেজ দিয়ে আঘাত করে বসে।
এরপর সাপের প্রতি যে বিশ্বাস ছিল তা নষ্ট হয়ে গেল হাঁসের।
হাঁসের এইবার মনে হল যে, পরেরবার সাপ তাকে ছোবল দিতে পারে। এইদিকে সাপও মনে মনে ভাবতে লাগল, আমি যে কাজ করেছি তা ঠিক করিনি।
এখন যদি সে আমাকে ছেড়ে চলে যায় আমি আশ্রয় নিব কার পিঠে! একদিকে হাঁস ভাবতে লাগল সে পালাবে।
এখানে থাকলে ছোবল খাবে, অন্যদিকে সাপ ভাবতে লাগল হাঁস পালাতে পারে তারচেয়ে ভাল তাকে এখনিই ছোবল দিয়ে দিই যাতে পালাতে না পারে৷
কিন্তু হাঁসের প্রতি মায়া জমে যাওয়ায় ছোবল দিতে গিয়েও পারছে না সাপ।
একদিন হাঁসটি পালিয়ে গেল। এইবার সাপ তাকে পাগলের মত করে খুঁজতে লাগল।
তবে আশ্রয় নেওয়ার জন্য নয়, সাপটি কিছুতেই হাসের মায়া ছাড়তে পারছে না বলেই।
অন্যদিকে হাঁসটিও সাপের মায়ায় বারবার ফিরে আসতে চায় কিন্তু ছোবল খাওয়ার ভয়ে ফিরছে না।
সুতরাং - বিশ্বাস যখন জমে যায় শত্রুর সাথেও আপনি বাস করতে পারবেন।
যখন কোন কারণে সে বিশ্বাস ভেঙ্গে যায় সেখানে সম্পর্কগুলি নিঃস্ব হয়ে পড়ে।
আবার কোন ঠুনকো কারণেও দীর্ঘদিনের গড়ে উঠা বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)

No comments

Powered by Blogger.