Ads

জীবন বদলে দেওয়া তিনটি প্রশ্নের বিস্তারিত মোটিভেশনাল উত্তর। @মিঃ মধু

জীবন বদলে দেওয়া তিনটি প্রশ্নের বিস্তারিত মোটিভেশনাল উত্তর।  @মিঃ মধু

কোন বিষয়গুলো কখনোই করা উচিত না?

কখনোই নিজের বড় করে প্রকাশ করবেন না। এটি দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ গুণগুলোর একটি।
'ধন্যবাদ', 'দয়া করে' (Thank you, please) এগুলো বলতে দ্বিধা করবেন না।
কৌতুহলবশত কখনোই সিগারেট ট্রাই করবেন না।
অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসা করতে যাবেন না।
পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হবেন না। এতে করে আপনি স্বল্পস্থায়ী সুখের জন্য সুন্দর জীবন হারাবেন।
পরচর্চা বা গীবদ করবেন না।
আপনার চেহারা, উচ্চতা, বাবা-মা এর স্ট্যাটাস নিয়ে ইনসিকিউরড হবেন না।
কারো সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করবেন না। আপনি জানেন না, আপনার অপরপক্ষ কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
'না' বলতে ভয় পাবেন না।
বাবা-মা কে অবমুল্যায়ন করবেন না।
সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাবেন না।
কাউকেই বিশ্বাস করে আপনার সবগুলো সিক্রেট শেয়ার করে দিবেন না।
কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।
মনের কথা প্রকাশ করতে দেরী করবেন না। কারণ, এই একটি কাজের বিলম্বের জন্য আপনি সারাজীবনও পস্তাতে পারেন।
আড্ডাতে সময় নষ্ট করবেন না।
রিলেশনসিপে সুখী না হলে এটি কন্টিনিউ করবেন না।
কালকের জন্য কাজ ফেলে রাখবেন না।
রান্না-বান্না না শিখে নিজেকে ম্যাচিউর দাবী করবেন না।
কয়েকটি শিক্ষনীয় গল্প, যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে।
 
জীবন বদলে দেওয়া তিনটি প্রশ্নের বিস্তারিত মোটিভেশনাল উত্তর।  @মিঃ মধু

কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা পয়সা নিয়ে কার্পণ্য করা উচিত নয়?

অফিস অথবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আপনাকে যদি চেয়ার কিনতে হয় তাহলে কখনই কার্পণ্য করবেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক চেয়ার কিনবেন। অফিসের ক্ষেত্রে অনেকেই বলতে পারেন, আমি টাকা কেন খরচা করব? এটাতো অফিসের ব্যাপার! অফিস থেকে সঠিক চেয়ার না দিলে আমি কি করবো! 
কিন্তু দীর্ঘদিন দীর্ঘ সময় ধরে অযোগ্য চেয়ারে বসার ফলে আপনার কোমর এবং শিরদাঁড়ায় যে সমস্যা সৃষ্টি হবে সেটা আপনার অফিসকে দোষ দিয়ে কখনো কম হবে না। 
জীবনটা আপনার। সবক্ষেত্রে নিজের জীবনের প্রয়োজনীয়তা অন্যের উপর ছেড়ে দেবেন না।


কাউকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর সময় কখনোই কার্পণ্য করবেন না। সর্বদা অতিথি কে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করুন এবং উত্তম মানের খাবার পরিবেশন করুন। সর্বদা আপনি নিজেকে অতিথির জায়গায় রেখে চিন্তা করবেন, আপনি যদি অতিথি হয়ে আসতেন তাহলে কিরকম সেবা এবং খাবারের আশা করতেন! 
অতিথিকেও ঠিক একইভাবে যত্ন করুন।


ঘুমোনোর খাট কেনার সময় কার্পণ্য করবেন না। যদি সামর্থ্য থাকে, সর্বোৎকৃষ্ট মানের খাট এবং তোষক (Sleep well) কিনুন। মনে রাখবেন একজন মানুষ দৈনিক গড়ে আট (৮) ঘন্টা ঘুমায়। 
এভাবে একজন মানুষ তার সমগ্র জীবনে এক তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। 
তাই এই ঘুমোনোর সময় অবশ্যই উৎকৃষ্টমানের হওয়া প্রয়োজন।


বই কেনার সময় কখনই দাম দেখে বই কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন না এবং কার্পণ্য করবেন না। 
বইয়ের দাম যতই হোক না কেন সেটা মূল্য দিয়ে কখনই পরিশোধ করা যাবে না। আমি মনে করি বইয়ের কোনো দামই যথেষ্ট নয়। পৃথিবীতে উপলব্ধ সবথেকে কম খরচায় যদি সর্বশেষ্ঠ কিছু পাওয়া যায় সেটা একমাত্র বই। একটি বই পারে একটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে।


কাউকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবার সময় কখনোই কার্পণ্য করবেন না। মনে রাখবেন, এই পৃথিবীতে আপনি সঙ্গে করে কিছুই নিয়ে আসেন নি। এবং সঙ্গে করে কিছুই নিয়ে যাবেন না। আপনি যদি অন্যকে সাহায্য করার মত সামর্থ্য অর্জন করে থাকেন তাহলে বুঝবেন ঈশ্বর আপনাকে তার দূত হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মঙ্গলময় কাজ করার জন্য। যত সম্ভব মানুষের উপকার করুন।


চশমা কেনার সময় কখনো কার্পন্য করবেন না। যদি আপনার চোখে পাওয়ার চশমা পরতে হয় তাহলে অবশ্যই ভালো মানের লেন্স ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে CRIZAL কোম্পানির লেন্স গুলি খুবই উন্নত মানের হয়ে থাকে। চশমার ফ্রেম কমদামের হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু লেন্স অবশ্যই উপযুক্ত হতে হবে। আপনি লেন্স এর মাধ্যমে আপনার শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান অঙ্গ চোখ কে রক্ষা করছেন। তাই আপনি যদি লেন্স কেনার সময় কৃপণতা দেখান তাহলে মনে রাখবেন আপনি আপনার চোখের প্রতি যথেষ্ট যত্নবান নন এবং এর ফলাফল আপনাকে ভবিষ্যতে খারাপ ভাবেই ভুগতে হবে।
সফলতা অথবা success আসলে ঠিক কি ???

জীবন বদলে দেওয়া তিনটি প্রশ্নের বিস্তারিত মোটিভেশনাল উত্তর।  @মিঃ মধু

হতাশা এবং দুশ্চিন্তার থেকে নিজেকে কিভাবে দূরে রাখবেন?

হতাশা, দুশ্চিন্তা এগুলো হচ্ছে নেতিবাচকতা। আর নেতিবাচকতার কোন ভালো দিক নেই। আমরা সাধারণত অতীত নিয়ে অনুশোচনায় ভুগি নয়তো ভবিষৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকি। আবার চাওয়া-পাওয়া-হতাশা, চাওয়া-না পাওয়া-অতৃপ্তি এই দুষ্টচক্রে আবর্তিত হতে থাকি। আসলে এর জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিই দায়ী। 

আমরা সুখ খুঁজি কোন বস্তুর মধ্যে বা কোন ব্যক্তির মধ্যে। যে ঐ ব্রান্ডের একটি মোবাইল ফোন আমাকে সুখ দিতে পারে, কিংবা এটা-ওটা পেলে আমি সুখী হবো। আমরা প্রত্যাশিত জিনিসটি যখন পেয়ে যাই তখন বেশীদিন আর সেটা আমাদেরকে সুখ দিতে পারে না। তখন মনে হয় আমারটাতো লেটেষ্ট না। 
আমার ওইটি প্রয়োজন। এটা চলতেই থাকে। 

আবার অমুককে আমার জীবনে না পেলে আমি সুখী হবো না। দেখা যায় যে প্রত্যাশিত অমুককে জীবনে পেলেও আমরা সুখী হতে পারিনা। কারণ আমার সুখের ভার তুলে দিয়েছি অন্যের হাতে। আর আমাকে আমি সুখী করতে না পারলে কোন পণ্য বা কোন ব্যক্তি কখনো আমাকে সুখী করতে পারবে না।

আসলে সুখ নির্ভর করে শোকরিয়ার উপর। যে আমার যা আছে যথেষ্ট। আমার যা আছে তা নিয়েই আমি সুখী। আর দুশ্চিন্তা? কী নিয়ে? আমরা আসলে যা নিয়ে টেনশন বা দুশ্চিন্তা করি সেগুলোর অধিকাংশই আমাদের জীবনে ঘটে না। 
আর সে না ঘটা ঘটনাগুলো জীবনে ঘটলে কী হতে পারতো বা ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করি। কষ্ট ভোগ করি। কারণ কষ্ট পেতে ভালোবাসি।

যাই হোক হতাশা, দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে হলে শোকারগোজার হতে হবে, আত্মকেন্দ্রীকতা থেকে বেরিয়ে সৃষ্টির সেবায় আত্ম নিয়োগ করতে হবে।

সুখী মানুষ নাই!!! 

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)

No comments

Powered by Blogger.