জানুন, শিক্ষনীয় ও শিহরিত হওয়ার মতো কিছু ঘটনা । @মিঃ মধু
(নাম্বার-০১)
#_তালাক_কেন_হচ্ছে?
জানার জন্য, গত ৯ মাস ধরে ২৪৫ জন-তালাক প্রাপ্ত-
(নাম্বার-১০)
লেখাটা পড়ে আমার জীবন দর্শন একটু থমকে যাবে।
---:আমিও থাকতে চাই বৃদ্ধাশ্রমে:---
আমি বৃদ্ধাশ্রমে আছি আজ প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। ভালই লাগে এখানে।
নিজের মত করে থাকা যায়।
মন চাইলে বই পড়ি না হলে গান শুনি।
কখনো কখনো এখানকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে গল্প করি।
আমার ভাল লাগে।
আমি ভাল আছি।
দুই ছেলে এক মেয়ে আমার।
বড় ছেলে যাওয়াদ,পেশায় ডাক্তার।
সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে।
জহির,আমার ছোট ছেলেটা দেশেই থাকে।
পৈত্রিক ব্যবসা দেখাশোনা করে।
মেয়েটা ব্যাংকে কাজ করে।
বন্ধের দিনে আসে আমাকে দেখতে।
কোন সপ্তাহে আসতে না পারলে রান্না করে পাঠিয়ে দেয়,
একটু বেশি করেই পাঠায় যাতে করে অন্যদেরও একটু ভাগ দিতে পারি।
আমি রাজিয়া খানম।
এভাবেই চলছে আমার জীবন গত পাঁচ বছর ধরে।
যাওয়াদের বাবা মারা যাবার বছর খানেক পর হঠাৎ করে আমার কার্ডিয়াক-এটাক হয়।
আমাকে প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।
কি যে সময় গেছে তখন।
অর্থের অভাব নেই, নেই ইচ্ছার অভাবও।
অভাব হচ্ছে সময়ের।
হাসপাতালে সার্বক্ষণিকভাবে একজন থাকা,
প্রতিনিয়ত ডাক্তারের সাথে কথা বলা,
এক্সারসাইজ করানো,
ওষুধ খাওয়ানো সময় ধরে,
আরো কত কী!
বাসায় আসার পর আরেক ঝামেলা।
সার্বক্ষণিক দেখা শোনার জন্য একটা মানুষ কোথায় পাওয়া যায়।
মেয়েটা অফিস করছে,
অফিস আর আমাকে সামলে তার নিজের সংসারটা ঠিক খেয়াল রাখতে পারছেনা।
একদিন শুনলাম,
জামাই বলছে-মা তো তোমার একার নয়,
তোমার ভাইদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু কথা গুলো এসে যায়।
তাই আমি সহজভাবেই নিলাম।
এরমধ্যে শুনি, ছোট বউমা জহিরের সাথে খুব চিৎকার- চেঁচামেচি করছে।
নাতির রেজাল্ট খুব খারাপ হয়েছে।
অসুস্থ আমাকে দেখতে আত্নীয়-স্বজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল,
আবার আমাকেও একটু বাড়তি যত্ন করতে হয়েছে,
তাই এ কয়দিন বাবা মা কেউই আর ছেলের পড়াশুনা দেখার সুযোগ পায়নি।
এই ঘরে বাচ্চা মানুষ হবেনা,
কারন এখানে পড়াশোনার কোন পরিবেশ নাই
সারাদিন মেহমান, রান্নাবান্না এইসবের মধ্যে বাচ্চা মানুষ হয়!
বউমার জোর গলা।
আমি শুনলাম এবং ভাবলাম ,ঠিকইত ।
আজকালকার এই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে বাচ্চাকে শতভাগ সময় দিতে হবে।
এখান থেকে দশ ভাগও যদি অন্য কোথাও দেয়া হয়, ক্ষতি হবে বাচ্চার।
আমি অনেক ভেবে দেখলাম।
বিভিন্ন দিক থেকে ভেবেছি।
তারপর আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ছেলেমেয়েরা বিরোধিতা করেছে।
বড় ছেলেটা বিদেশ থেকে আসল।
অনেক কান্নাকাটি করেছিল সে আমাকে এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলো।
মেয়েটা অনুরোধ করেছিল যেন তার সাথে গিয়ে থাকি,
কিন্তু আমি সবাইকে না করে দিয়েছি।
আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থেকেছি।
-তাহলে মা তুমি আমাদের ভালবাসনা,
আমাদের আপন মনে করনা,
তাই আমাদের কারো সাথে থাকতে চাওনা?
জহির কাতর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
তার চোখে জল।
-ভালবাসিরে পাগল,
অনেক ভালবাসি।
আর তাই চাই সম্পর্কটা সবসময় এমন ভালবাসাময়ই থাকুক।
একসাথে থাকা সম্পর্কগুলোর মধ্যে প্রত্যেশা অনেক বেশিরে।
আর যখন প্রত্যেশা আর প্রাপ্তির হিসাব মিলেনা তখনই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়,
পরিবারে অশান্তি বাড়ে।
-মা, তুমি আমাদের সাথে থাকতে চাওনা,
আবার আমাদের গ্রামের বাড়িটাত খালিই পড়ে আছে......
তুমিতো ঐ বাসায়ও থাকতে পারো মা।
বড় ছেলেটা বলল।
-সেইত বাসা, সংসার,দায়িত্ব-অনেক তো করলাম।
এবার একটু নিজের মত থাকি।
তোদেরও আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবেনা।
আমারও একা বাড়িতে মরে পড়ে থাকার ভয় থাকলনা,
-তুমি যাবেই,বুঝতে পেরেছি।
ঠিক আছে মা,
বাধা দিবনা আর।
একটাই অনুরোধ,
তোমার খরচটা আমাদের দিতে দিও মা।
-বেশ তো, দিবি।
মুচকি হেসে জবাব দিলাম।
এরপরের কাজগুলো খুব দ্রতই গুছিয়ে নিলাম।
টাকা-পয়সা, সম্পদের যথাযথ বিলি-বন্টন করলাম।
আমার অংশের সম্পত্তিটুকু নিজের কাছেই রেখেছি,
নিজের মত ব্যবস্থা করব বলে।
এ সম্পদ থেকে সমাজের বয়স্কদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে।
এখানে অনেকেই আছেন যারা ছেলেমেয়েদের সাথে একটু সময় কাটানোর বিনিময়ে সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত,
কিন্তু ছেলেমেয়েদের সময় হয়না,
বৃদ্ধ বাবা মায়ের সাথে দুদন্ড সময় কাটানোর।
আবার অনেকে ভাগের মা কিংবা বাবা হয়ে থাকতে চাননা, চলে আসেন এখানে।
অর্থাৎ একদম নিরুপায় নাহলে কেউ বৃদ্ধাশ্রমে আসাটা চিন্তাই করতে পারেনা।
অথচ বৃদ্ধাশ্রমে থাকাটা যে জীবনের শেষ বেলায় অনেক ধরনের পারিবারিক জটিলতার বিপরীতে কোন সুন্দর বা সম্মানজনক সমাধান হতে পারে এই ধারনাটাই এখনো সমাজে তেমন গ্রহনযোগ্য নয়।
যতদিন আমরা মেয়েরা স্বামী, সন্তান পরিবারেরর বাইরে নিজেকে অস্তিত্বহীন মনে করব,ততদিন এই বৃদ্ধাশ্রম ব্যাপারটা একটা ঋণাত্মক ব্যাপার হয়ে আমাদের মাঝে থাকবে।
এখানে সবাই আমাকে হিংসা করে,
ভালবাসা মিশ্রিত হিংসা।
বলে, ছেলেমেয়েরা আপনাকে এত ভালবাসে,
এত তাদের সাথে থাকতে বলে,
আর আপনি এখানে আশ্রমে পড়ে আছেন।
আমি হাসি।
তাদের আমি বুঝাতে পারিনা,
আমি এখানেই ভালো আছি।
আমি জানি, আমার ছেলে মেয়েরা আমাকে অনেক ভালবাসে, অনেক সম্মান করে।
কিন্তু আমি এটাও জানি, এই ব্যস্ত জীবনে যেখানে দিনের প্রতিটা ঘন্টা হিসাবের, সেখানে আমি তাদের কাছে একটা বাড়তি দায়িত্ব ছাড়া কিছু নই।
একজন মায়ের জীবন শুধু ছেলেমেদের বড় করে তোলা আর বৃদ্ধ বয়সে তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকা নয়।
বড় হওয়ার সাথে সাথে সন্তানদের নিজের জগত তৈরি হয়, নিজের পরিবার তৈরি হয় ।
তাদের ঘিরেই চলে জীবনের আবর্তন।
সেইখানে বৃদ্ধ মা বা বাবা তাদের সেই জীবনের অংশ হয়না।
এটাই সত্য।
অনেকেই হয়তো এই সত্যটা ধরতে পারেনা কিংবা ধরতে পারলেও না বোঝার ভান করে।
হয়তো তাদের আর কোন উপায় নেই অথবা তারা যেকোন মুল্যে সন্তানের কাছে থাকার লোভ সামলাতে পারেনা।
আমি যেকোন ভাবেই হোক এই লোভ সংবরণ করে নিলাম।
আমি শেষ বয়সটা আমার নিজের মত করে কাটাতে চাই।
এরপর থেকে আছি আমার ঠিকানায়।
হ্যা, এখন এটাই আমার ঠিকানা,
আমি নিজে এই ঠিকানা বেছে নিয়েছি।
একটু আমি হয়ে বাঁচার জন্য।
জীবন_দর্শন
অজানা লেখকের জীবন দর্শন
(বোনাস নাম্বার)
পরিশেষে এক পরিচ্ছ্যন্ন ও গোছানো ও শৃংখল জাতীর গল্প দিয়ে শেষ করবো।
জাপানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোনও মন্দির নেই, মসজিদ নেই, রাত জেগে ওয়াজ নেই, ধর্মীয় স্কলার নেই, মাজার নেই, , পীর নেই, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি বলেও কোনও বাগাড়ম্বর নেই। এগুলো ছাড়াই জাপান একটা সুশৃঙ্খল জাতি।
গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনও দুর্নীতি নেই, কোনও ঘুষ নেই, কোনও ধর্ষণ নেই, স্কুলে কোনও ছাত্রকে বেত্রাঘাতের রেকর্ড নেই। কোনও কাজের জন্য কোনও ফাইল আটকে পড়ার নজির নেই। কারো সুপারিশ ছাড়া কোনও ছাত্র স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা, কারো প্রমোশন হচ্ছেনা- এমন দৃষ্টান্তও নেই। দলীয় ভাবে জাপানের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষকের নিয়োগের নজিরও নেই। রাস্তায় পড়ে থাকা বুভুক্ষু মানুষও নেই। আছে শুধু কর্মনিষ্ঠা, শৃঙ্খলা।
ভূমিকম্পের সময় সব খাবার ক্যাম্পে রেখে দেয়া হয়েছিলো। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কেউ একটা রুটিও নিয়ে যায়নি। ত্রাণ কেন্দ্রে একজন প্রহরীকেও পাহারাদার রাখতে হয়নি। লাইন দাঁড়িয়ে সবাই যার যার মতো প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে গেছে। লাইন দাঁড়ানো শেষ ছেলেটির হাতে খাবার প্যাকেট দেয়ায় -সে সেই প্যাকেট আবার লাইনের সামনে রেখে এসেছে। যদি তার সামনে দাঁড়ানো কারো খাবার কম পড়ে যায়।
জাপানে কোনও কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা। কেউ খাবারে ভেজাল মেশায় না। রাস্তাঘাট গুলো এতো ঝকঝকে পরিষ্কার। নিজের চেহারা রাস্তায় দেখা যায়। শুধু বয়স্ক কিংবা যুবকরা না একজন শিশুও জাপানের রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখেনা। কোনও প্রোগ্রাম এক মিনিট দেরিতে শুরু হয় না।
এক মিনিট ট্রেন লেট করেছিলো বলে - পত্রিকার পাতায় ক্ষমা চাওয়া হয়েছিলো।
টেকনোলজি আর ডেভেলপমেন্টে জাপান পৃথিবী থেকে দশ বছর এগিয়ে আছে। পুরো পৃথিবীর খাবার ফুরিয়ে গেলেও জাপানে আগামী ত্রিশ বছরের জন্য খাবার মজুদ আছে। বোমায় কয়লা হয়ে যাওয়া জাপান পুরো দুনিয়ার গাড়ীর বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, জাপানে ভার্চুয়ালি কোনও ন্যাচারাল রিসোর্স বলতে কিছুই নেই।
জাপানের মানুষের মাঝে আছে শুধু বিনয় আর বিনয়। আর ক্ষমা প্রার্থনা। অবসরে যাওয়া জাপানি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন- কি করতে পেরেছি তার জন্য দয়া করে গুণ কীর্তন করবেন না। বরং যা করতে পারিনি সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। দু হাত একসাথে করে- জনগণের সামনে মাথা নীচু করে (যেটা জাপানি কালচার) বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন জাপানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে।
ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু (মিঃ মধু)
@মিঃ বুদ্ধিমান গাধা
#_দৃশ্যমান_জীবনের_অদৃশ্য_কাব্য✅
জানার জন্য, গত ৯ মাস ধরে ২৪৫ জন-তালাক প্রাপ্ত-
পুরুষ ও মহিলার মাঝে জড়িপ চালানো হয়েছে।
জরিপে দেখা গেলো,,,
৭২% তালাক হয়েছে ভুল বুঝাবুঝি, এবং একে অপরকে অসন্মান করা নিয়ে।
১৮% তালাকের কারণ পরকীয়া।
১০% তালাক স্ত্রীর উচ্চ বিলাশিতার কারনে।
জরিপে দেখা গেলো,,,
৭২% তালাক হয়েছে ভুল বুঝাবুঝি, এবং একে অপরকে অসন্মান করা নিয়ে।
১৮% তালাকের কারণ পরকীয়া।
১০% তালাক স্ত্রীর উচ্চ বিলাশিতার কারনে।
৭৮% তালাক হয়েছে নারীর কারণে।
২২% পুরুষের দোষে।
মজার বিষয় হলো,,,
৯২% তালাক প্রাপ্ত মহিলা পুরুষ, তালাকের পরে অনুতপ্ত। তারা বলছে সিদ্ধান্তটি ভুলছিলো।
তালাক প্রাপ্ত ৮৯% মেয়েদের আর বিয়ে হচ্ছে না।
০৪% মেয়ে বিয়ের প্রতি অনিহা।
০৭% মেয়ে পথভ্রষ্টা।
ছেলেদের মধ্যে,,,
৮৫% বিয়ে করে সংসার করছে।
১৩% ছেলে বিয়ের প্রতি অনিহা।
০২% ছেলে পথভ্রষ্ট। আরো মাজার বিষয় হলো,
২২% পুরুষের দোষে।
মজার বিষয় হলো,,,
৯২% তালাক প্রাপ্ত মহিলা পুরুষ, তালাকের পরে অনুতপ্ত। তারা বলছে সিদ্ধান্তটি ভুলছিলো।
তালাক প্রাপ্ত ৮৯% মেয়েদের আর বিয়ে হচ্ছে না।
০৪% মেয়ে বিয়ের প্রতি অনিহা।
০৭% মেয়ে পথভ্রষ্টা।
ছেলেদের মধ্যে,,,
৮৫% বিয়ে করে সংসার করছে।
১৩% ছেলে বিয়ের প্রতি অনিহা।
০২% ছেলে পথভ্রষ্ট। আরো মাজার বিষয় হলো,
৬৭% ছেলে'ই কুমারি মেয়ে বিয়ে করেছে।
আর মেয়েরা কুমার ছেলে পেয়েছে ০০১℅।
তালাকের বিরুদ্ধে তাই এই জরিপ করা হয়েছে। প্লিজ তালাক দেওয়ার এগে ভাবুন, আবার ভাবুন ।
আর মেয়েরা কুমার ছেলে পেয়েছে ০০১℅।
তালাকের বিরুদ্ধে তাই এই জরিপ করা হয়েছে। প্লিজ তালাক দেওয়ার এগে ভাবুন, আবার ভাবুন ।
দেখুন সমঝোতা করা যায় কিনা।
সততার পথই সঠিক পথ, যা আল্লাহ পছন্দ করেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পরে ১২% মেয়ের আবারও তালাক হয়েছে। ৮৯% মেয়ে দ্বিতীয় সংসারে অসুখি।
অপর দিকে মাত্র ০২% ছেলের আবারও তালাক হয়েছে, আর অসুখি ০৩% পুরুষ।
অবাক করা বিষয় হলো, দ্বিতীয় তালাক দেওয়া ছেলেদের স্ত্রী হয়েছিল কোন তালাক প্রাপ্ত মহিলা।
সততার পথই সঠিক পথ, যা আল্লাহ পছন্দ করেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পরে ১২% মেয়ের আবারও তালাক হয়েছে। ৮৯% মেয়ে দ্বিতীয় সংসারে অসুখি।
অপর দিকে মাত্র ০২% ছেলের আবারও তালাক হয়েছে, আর অসুখি ০৩% পুরুষ।
অবাক করা বিষয় হলো, দ্বিতীয় তালাক দেওয়া ছেলেদের স্ত্রী হয়েছিল কোন তালাক প্রাপ্ত মহিলা।
আর বিধবা মহিলাকে বিয়ে করে চরম সুখি হয়েছে ৯৩% পুরুষ।
আশা করি বুঝতে পারছেন।
(নাম্বার-০২)
#_দুইটি_ঘটনা:-
১. Yahoo কোম্পানি Google কে প্রত্যাখ্যান করেছিল
২. Nokia কোম্পানি Android কে প্রত্যাখ্যান করেছিল
কি শিখলাম:
২টি কোম্পানি আজ মার্কেটে খুব খারাপ অবস্থায় আছে
√ সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করুন, অন্যথায় আপনি টিকতে পারবেন না।
√ কোন ঝুঁকি না নেওয়া সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। ঝুঁকি নিন এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করুন।
#আরো ২ টি ঘটনা:
১. Google কোম্পানি YouTube এবং Android কিনে নিয়েছে।
২. Facebook কোম্পানি Instagram এবং WhatsApp কিনে নিয়েছে।
কি শিখলাম:
√এত শক্তিশালী হয়ে যান যে আপনার শত্রুরা আপনার মিত্র হয়ে যায়।
√দ্রুত বড় হয়ে উঠুন। প্রতিযোগিতা আপনাথেকেই নির্মুল হয়ে যাবে।
#আরো ২ টি ঘটনা:
১. বারাক ওবামা একজন আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন।
২. এলন মাস্ক ছিলেন একটি কাঠের কারখানার শ্রমিক।
কি শিখলাম:
√মানুষের অতীত কাজের ভিত্তিতে বিচার করবেন না।
√ আপনার বর্তমান আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে না, আপনার সাহস এবং কঠোর পরিশ্রম তা নির্ধারণ করে।
#আরো ২ টি ঘটনা:
১. কর্নেল স্যান্ডার্স ৬৫ বছর বয়সে KFC তৈরি করেছিলেন।
২. KFC কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন।
কি শিখলাম:
√বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা - আপনি যে কোন বয়সে সফল হতে পারেন।
√জীবনে কখনো হাল ছাড়বেন না - কেবল মাত্র তারাই জয়ী হবেন যারা কখনো হাল ছাড়েননি।
#২ টি শেষ ঘটনা:
১. ফেরারির মালিক একজন ট্রাক্টর প্রস্তুতকারককে অপমান করেছিলেন।
২. সেই ট্র্যাক্টর নির্মাতা ল্যাম্বোরগিনি তৈরি করেছেন।
কি শিখলাম:
√কখনই কাউকে অবমূল্যায়ন করবেন না বা অসম্মান করবেন না।
√সাফল্য হল সেরা প্রতিশোধ।
∆ আপনি যে কোন বয়সে এবং যেকোনো পটভূমি থেকে সফল হতে পারেন।
∆ বড় স্বপ্ন দেখুন, লক্ষ্য স্থির করুন,কঠোর পরিশ্রম করুন।
কখনোই হাল ছাড়বেন না, জীবনে আশা হারাবেন না। জয় নিশ্চিত।
ইনশাআল্লাহ ।
(নাম্বার-০৩)
#_পরিশ্রমের_মূল্য_দিতে_শিখুন ।
এক জাহাজের ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না। জাহাজের মালিক অনেক ইঞ্জিনিয়ারকে দেখিয়েছেন কিন্তু কেউ তা ঠিক করতে পারেনি। তাই তিনি ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এনেছেন। তিনি খুব সাবধানে ইঞ্জিন পরিদর্শন করেন, উপর থেকে নিচে কিছুক্ষন দেখার পর লোকটি তার ব্যাগ থেকে একটি ছােট হাতুড়ি বের করলো তিনি হাতুড়ি দিয়ে আলতাে করে একটা আঘাত করলেন সাথে সাথে ইঞ্জিন চালু হয়ে গেল! ৭ দিন পর ইঞ্জিনিয়ার তার বিল হিসেবে চাইলেন ২০০০ ডলার! জাহাজের মালিক বলল , আপনি তাে এখানে তেমন কিছুই করেন নাই৷
এতাে বিল অসলাে কেমনে ... ?
তারপর ইঞ্জিনিয়ার বললেন হাতুড়ি দিয়ে বারি মারার বিল ২ ডলার কিন্তু কোন জায়গায় মারতে হবে, মানে জায়গা বরাবর মারার জন্য ১৯৯৮ ডলার।
শিক্ষাঃ আপনার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কখনো তুচ্ছ মনে করে পাঁচ মিনিটের কাজ ভেবে,
আশা করি বুঝতে পারছেন।
(নাম্বার-০২)
#_দুইটি_ঘটনা:-
১. Yahoo কোম্পানি Google কে প্রত্যাখ্যান করেছিল
২. Nokia কোম্পানি Android কে প্রত্যাখ্যান করেছিল
কি শিখলাম:
২টি কোম্পানি আজ মার্কেটে খুব খারাপ অবস্থায় আছে
√ সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করুন, অন্যথায় আপনি টিকতে পারবেন না।
√ কোন ঝুঁকি না নেওয়া সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। ঝুঁকি নিন এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করুন।
#আরো ২ টি ঘটনা:
১. Google কোম্পানি YouTube এবং Android কিনে নিয়েছে।
২. Facebook কোম্পানি Instagram এবং WhatsApp কিনে নিয়েছে।
কি শিখলাম:
√এত শক্তিশালী হয়ে যান যে আপনার শত্রুরা আপনার মিত্র হয়ে যায়।
√দ্রুত বড় হয়ে উঠুন। প্রতিযোগিতা আপনাথেকেই নির্মুল হয়ে যাবে।
#আরো ২ টি ঘটনা:
১. বারাক ওবামা একজন আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন।
২. এলন মাস্ক ছিলেন একটি কাঠের কারখানার শ্রমিক।
কি শিখলাম:
√মানুষের অতীত কাজের ভিত্তিতে বিচার করবেন না।
√ আপনার বর্তমান আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে না, আপনার সাহস এবং কঠোর পরিশ্রম তা নির্ধারণ করে।
#আরো ২ টি ঘটনা:
১. কর্নেল স্যান্ডার্স ৬৫ বছর বয়সে KFC তৈরি করেছিলেন।
২. KFC কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন।
কি শিখলাম:
√বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা - আপনি যে কোন বয়সে সফল হতে পারেন।
√জীবনে কখনো হাল ছাড়বেন না - কেবল মাত্র তারাই জয়ী হবেন যারা কখনো হাল ছাড়েননি।
#২ টি শেষ ঘটনা:
১. ফেরারির মালিক একজন ট্রাক্টর প্রস্তুতকারককে অপমান করেছিলেন।
২. সেই ট্র্যাক্টর নির্মাতা ল্যাম্বোরগিনি তৈরি করেছেন।
কি শিখলাম:
√কখনই কাউকে অবমূল্যায়ন করবেন না বা অসম্মান করবেন না।
√সাফল্য হল সেরা প্রতিশোধ।
∆ আপনি যে কোন বয়সে এবং যেকোনো পটভূমি থেকে সফল হতে পারেন।
∆ বড় স্বপ্ন দেখুন, লক্ষ্য স্থির করুন,কঠোর পরিশ্রম করুন।
কখনোই হাল ছাড়বেন না, জীবনে আশা হারাবেন না। জয় নিশ্চিত।
ইনশাআল্লাহ ।
(নাম্বার-০৩)
#_পরিশ্রমের_মূল্য_দিতে_শিখুন ।
এক জাহাজের ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না। জাহাজের মালিক অনেক ইঞ্জিনিয়ারকে দেখিয়েছেন কিন্তু কেউ তা ঠিক করতে পারেনি। তাই তিনি ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এনেছেন। তিনি খুব সাবধানে ইঞ্জিন পরিদর্শন করেন, উপর থেকে নিচে কিছুক্ষন দেখার পর লোকটি তার ব্যাগ থেকে একটি ছােট হাতুড়ি বের করলো তিনি হাতুড়ি দিয়ে আলতাে করে একটা আঘাত করলেন সাথে সাথে ইঞ্জিন চালু হয়ে গেল! ৭ দিন পর ইঞ্জিনিয়ার তার বিল হিসেবে চাইলেন ২০০০ ডলার! জাহাজের মালিক বলল , আপনি তাে এখানে তেমন কিছুই করেন নাই৷
এতাে বিল অসলাে কেমনে ... ?
তারপর ইঞ্জিনিয়ার বললেন হাতুড়ি দিয়ে বারি মারার বিল ২ ডলার কিন্তু কোন জায়গায় মারতে হবে, মানে জায়গা বরাবর মারার জন্য ১৯৯৮ ডলার।
শিক্ষাঃ আপনার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কখনো তুচ্ছ মনে করে পাঁচ মিনিটের কাজ ভেবে,
পাঁচ টাকায় করবেন না।
এতে আপনার ডিমান্ড আপনি নিজে কমাচ্ছেন !
অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে ,
সেই পরিশ্রমের মূল্য দিতে শিখুন ।
(নাম্বার-০৪)
প্রশ্ন হলঃ-
এতে আপনার ডিমান্ড আপনি নিজে কমাচ্ছেন !
অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে ,
সেই পরিশ্রমের মূল্য দিতে শিখুন ।
(নাম্বার-০৪)
প্রশ্ন হলঃ-
ট্রেন আসার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে যখন গাড়ি যখন রেল লাইনে উঠে,
তখনই কেনো চাকা অচল হয়ে থুবড়ে দাঁড়িয়ে যায়??
অথচ দূরত্ব মাত্র তিন হাত জায়গা।
এখানে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে! বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক বলরাম ভৌমিক।
তিনি বললেন, যখন ট্রেন লেভেল ক্রসিং এর প্রায় কাছাকাছি চলে আসে অর্থাৎ সীমার মধ্যে এসে যায়, তখন লাইনের মধ্যে চাকার ঘর্ষণের ফলে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক পাওয়ার বা তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে পুরো রেল লাইন আবিষ্ট হয়ে যায়।
যার ফলে সে সময়ে লাইনে অন্য কোন গাড়ি উঠলে সাথে সাথে তার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।
এ কারণে কম সময়ে গাড়িটি রেল লাইন থেকে সরে যেতে পারে না। অথচ যখন রেল গাড়ি নির্দিষ্ট রেঞ্জের বাইরে থাকে তখন লেভেল ক্রসিং পার হওয়াতে কোন সমস্যাই নেই।
এজন্য অনেকের মুখে আমরা প্রায় শুনে থাকি, রেল লাইনে কেন মোটর গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়?
একবার ভাবুনতো দুটো রেল লাইনের মধ্যে বিস্তারটা কত! আড়াই বা তিন হাতের বেশি নয়। এই তিন হাত অনেক পুরুষ লাফিয়ে পার হতে পারে। কিন্তু ট্রেন খুবই কাছাকাছি চলে এলে, তখন লাফিয়ে পার হবার চেষ্টা করা মানেই মৃত্যু নিশ্চিত! তখন তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে মানুষ লাফানোর শক্তি হারিয়ে ফেলবে বলেই মৃত্যু নিশ্চিত। এ চুম্বকীয় শক্তির কারণে মানুষকে টেনে রাখবে বলে সমস্ত শরীর অধিক ভার (ওজন) হয়ে যাবে। এই কারণেই লেভেল ক্রসিং এ গেইট বন্ধ করে ট্রেন আসার প্রায় ১০ মিনিট আগে, যাতেে ম্যাগনেটিভ ফিল্ড সৃষ্টি হতে না পারে। কিন্তু আমাদের সাধারণ জনগন প্রায় বলতে শুনেছি, "ট্রেন আসার আগেই গেইট ফেলে সে চুপচাপ বসে আরাম করে। মানুষকে কষ্ট দেয়।
(নাম্বার-০৫)
#_রহস্যময়_ভালোবাসা
জার্মানির ফ্রাইবুর্গে ১৮৬৭ সালে, সদ্য ১৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে মারা যায়। তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়, ফ্রেইবার্গ এর কবরে।
অবাক করা ব্যপার হলো কেউ জানেনা,
তার কবরে ১৫০ বছর ধরে প্রতিদিন কে বা কারা-তাজা ফুল রেখে যায়।
গ্রীষ্ম, শীত এমনকি ভারী তুষারপাতের দিনেও তার কবরে তাজা ফুল পাওয়া যায়।
ক্যারলিন ক্রিস্টিন ওয়াল্টারের যে হাতে একটি বই ধরা, সেই হাতে কে বা কারা তাজা ফুল রেখে যায়-
তখনই কেনো চাকা অচল হয়ে থুবড়ে দাঁড়িয়ে যায়??
অথচ দূরত্ব মাত্র তিন হাত জায়গা।
এখানে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে! বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক বলরাম ভৌমিক।
তিনি বললেন, যখন ট্রেন লেভেল ক্রসিং এর প্রায় কাছাকাছি চলে আসে অর্থাৎ সীমার মধ্যে এসে যায়, তখন লাইনের মধ্যে চাকার ঘর্ষণের ফলে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক পাওয়ার বা তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে পুরো রেল লাইন আবিষ্ট হয়ে যায়।
যার ফলে সে সময়ে লাইনে অন্য কোন গাড়ি উঠলে সাথে সাথে তার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।
এ কারণে কম সময়ে গাড়িটি রেল লাইন থেকে সরে যেতে পারে না। অথচ যখন রেল গাড়ি নির্দিষ্ট রেঞ্জের বাইরে থাকে তখন লেভেল ক্রসিং পার হওয়াতে কোন সমস্যাই নেই।
এজন্য অনেকের মুখে আমরা প্রায় শুনে থাকি, রেল লাইনে কেন মোটর গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়?
একবার ভাবুনতো দুটো রেল লাইনের মধ্যে বিস্তারটা কত! আড়াই বা তিন হাতের বেশি নয়। এই তিন হাত অনেক পুরুষ লাফিয়ে পার হতে পারে। কিন্তু ট্রেন খুবই কাছাকাছি চলে এলে, তখন লাফিয়ে পার হবার চেষ্টা করা মানেই মৃত্যু নিশ্চিত! তখন তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে মানুষ লাফানোর শক্তি হারিয়ে ফেলবে বলেই মৃত্যু নিশ্চিত। এ চুম্বকীয় শক্তির কারণে মানুষকে টেনে রাখবে বলে সমস্ত শরীর অধিক ভার (ওজন) হয়ে যাবে। এই কারণেই লেভেল ক্রসিং এ গেইট বন্ধ করে ট্রেন আসার প্রায় ১০ মিনিট আগে, যাতেে ম্যাগনেটিভ ফিল্ড সৃষ্টি হতে না পারে। কিন্তু আমাদের সাধারণ জনগন প্রায় বলতে শুনেছি, "ট্রেন আসার আগেই গেইট ফেলে সে চুপচাপ বসে আরাম করে। মানুষকে কষ্ট দেয়।
(নাম্বার-০৫)
#_রহস্যময়_ভালোবাসা
জার্মানির ফ্রাইবুর্গে ১৮৬৭ সালে, সদ্য ১৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে মারা যায়। তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়, ফ্রেইবার্গ এর কবরে।
অবাক করা ব্যপার হলো কেউ জানেনা,
তার কবরে ১৫০ বছর ধরে প্রতিদিন কে বা কারা-তাজা ফুল রেখে যায়।
গ্রীষ্ম, শীত এমনকি ভারী তুষারপাতের দিনেও তার কবরে তাজা ফুল পাওয়া যায়।
ক্যারলিন ক্রিস্টিন ওয়াল্টারের যে হাতে একটি বই ধরা, সেই হাতে কে বা কারা তাজা ফুল রেখে যায়-
সেটা ১৫০ বছরজুড়ে আজও একটা রহস্য।
মেয়েটি মারা যাবার পরে, ১৫০ বছরে
কমপক্ষে ৫০,০০০ এর বেশী তাজা ফুল
তার কবরে দেয়া হয়েছে।
ক্যারলিন এবং তার বড় বোন সেলমা,,,,
তাদের মা-বাবা মারা যাবার পরে, তাদের দাদির কাছে ফ্রাইবুর্গে আসে। সেখানে ক্যারলিন তখন ১৬ বছর বয়সে পড়লে স্কুলে ভর্তি হয়।
সে ছাত্রী হিসেবে এবং মানুষ হিসেবেও ভাল ছিলো। তার বড় বোন সেলমা বিয়ে করলে, ক্যারলিন বোনের পরিবারের সাথে বসবাস করতে শুরু করে।
১৮৬৭ সালের গ্রীষ্মের শুরুতে, ক্যারলিন ১৭ বছরে পড়ার আগেই আবিস্কৃত হয় যে,,,
সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত।
তা থেকে খুব যন্ত্রণা ভোগ করে, এবং এর কয়েক সপ্তাহ পরেই ক্যারলিন মারা যায়।
ক্যারলিনের মৃত্যুর পরে,,
বড় বোন সেলমা চেয়েছিলো, বোনের কবরটিতে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করতে।
ক্যারলিনের জীবনের শেষ দিকে, বিছানায় শুয়ে বই পড়ার স্মৃতি-- তার মনে হয়ত গেঁথে গিয়েছিলো।
তাই ভাস্কর্যকে সেভাবেই ভাস্কর্য স্থাপন করতে বলছিলেন।
২০০ বছরের পুরানো ফ্রীডহফ সিমেট্রিতে, ক্যারলিনের কবরটি বাহিরের দেয়ালের সাথে বসানো হয়। যেখানে আগে থেকে, অনেকেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
মেয়েটি মারা যাবার পরে তার কবরে প্রতিদিন তাজা ফুল দেওয়ার জন্য, ঘটনাটা এখনও লোকমুখে বিখ্যাত হয়ে আছে।
ক্যারলিন মারা যাবার পর বড় বোন সেলমা,
তার কবরে ফুল দিতে যেতো মাঝে মাঝে।
তবে যারা কবরস্থান পরিদর্শন করতো,
প্রায়ই তারা লক্ষ্য করতো যে-- সবসময়ই ক্যারলিনের কবরে একটি তাজা ফুল থাকতো।
মহাকালের নিয়মে--- দিন, মাস, বছর ধরে এটি অদৃশ্য নিয়মে পরিনত হয়ে যায়।
গ্রাউন্ড কিপার বলেছিল যে,, প্রতিদিন ফুলগুলো কে দিয়ে যায়? তা কেউ বলতে পারেনা।
তারা কখনও কোনো ভয়েরও স্বীকার হননি কোনোদিন।
অবাক করা ব্যপার হলো, এমনটা করার জন্য ক্যারলিন কোনো যুবককে বলেও যায়নি কোনোদিন।
কিন্তু লোকমুখে প্রচলিত আছে, ক্যারলিনকে যে ছেলেটি পড়াতো- সেই ছেলেটি ক্যারলিনকে খুব পছন্দ করতো।
ক্যারলিন মারা যাবার পরে, তাকে কখনও জনসম্মুখে খুব বেশি দেখা যায়নি।
সে হয়তো শুরুতে এই কাজ করতে পারে! কিন্তু, তার তো ১৫০ বছর ধরে বেঁচে থাকার কথা না।
এবং তার পরে,, তার পরিবারের কাউকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলো কিনা, বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে যেতে-- এটা কেউই বলতে পারে না।
আপনি যদি আজকেও সেই কবরের কাছে যান,
তবে সকালে দেখতে পাবেন তাজা একটি ফুল কবরের ভাস্কর্যের হাতে দেওয়া আছে।
এখনও তার কবরে সূর্যের মিষ্টি আলো, গাছের পাতা ভেদ করে, খুব অল্প মেলে।
প্রতিদিন ঝিরিঝিরি মিষ্টি বাতাস বয়ে যায়।
খুব শীতে তুষারপাত, ক্যারলিনের কবর ঢেকে দেয়। কিন্তু একটি তাজা ফুল দিতে কে যেনো প্রতিদিন
ভুল করেনা।
হায় ক্যারলিন,,,,,,
সে কি বুঝতে পারে????
কি অমোঘ ভালোবাসায় সে জড়িয়ে থাকে প্রতিদিন।
(নাম্বার-০৬)
#_ভাগ্য__বরাদ্দ__এবং__রিজিক
রিজিকের সর্বনিম্ন স্তরঃ টাকা- পয়সা- অর্থ- সম্পদ।
সর্বোচ্চ স্তরঃ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
সর্বোত্তম স্তরঃ পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান।
পরিপূর্ণ স্তরঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
রিজিক খুব গভীর একটি বিষয়,
যদি আমরা তা বুঝতে পারি।
আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত। কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত,
কবে কোথায় মারা যাবো সেটা লিখিত।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত।
মেয়েটি মারা যাবার পরে, ১৫০ বছরে
কমপক্ষে ৫০,০০০ এর বেশী তাজা ফুল
তার কবরে দেয়া হয়েছে।
ক্যারলিন এবং তার বড় বোন সেলমা,,,,
তাদের মা-বাবা মারা যাবার পরে, তাদের দাদির কাছে ফ্রাইবুর্গে আসে। সেখানে ক্যারলিন তখন ১৬ বছর বয়সে পড়লে স্কুলে ভর্তি হয়।
সে ছাত্রী হিসেবে এবং মানুষ হিসেবেও ভাল ছিলো। তার বড় বোন সেলমা বিয়ে করলে, ক্যারলিন বোনের পরিবারের সাথে বসবাস করতে শুরু করে।
১৮৬৭ সালের গ্রীষ্মের শুরুতে, ক্যারলিন ১৭ বছরে পড়ার আগেই আবিস্কৃত হয় যে,,,
সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত।
তা থেকে খুব যন্ত্রণা ভোগ করে, এবং এর কয়েক সপ্তাহ পরেই ক্যারলিন মারা যায়।
ক্যারলিনের মৃত্যুর পরে,,
বড় বোন সেলমা চেয়েছিলো, বোনের কবরটিতে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করতে।
ক্যারলিনের জীবনের শেষ দিকে, বিছানায় শুয়ে বই পড়ার স্মৃতি-- তার মনে হয়ত গেঁথে গিয়েছিলো।
তাই ভাস্কর্যকে সেভাবেই ভাস্কর্য স্থাপন করতে বলছিলেন।
২০০ বছরের পুরানো ফ্রীডহফ সিমেট্রিতে, ক্যারলিনের কবরটি বাহিরের দেয়ালের সাথে বসানো হয়। যেখানে আগে থেকে, অনেকেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
মেয়েটি মারা যাবার পরে তার কবরে প্রতিদিন তাজা ফুল দেওয়ার জন্য, ঘটনাটা এখনও লোকমুখে বিখ্যাত হয়ে আছে।
ক্যারলিন মারা যাবার পর বড় বোন সেলমা,
তার কবরে ফুল দিতে যেতো মাঝে মাঝে।
তবে যারা কবরস্থান পরিদর্শন করতো,
প্রায়ই তারা লক্ষ্য করতো যে-- সবসময়ই ক্যারলিনের কবরে একটি তাজা ফুল থাকতো।
মহাকালের নিয়মে--- দিন, মাস, বছর ধরে এটি অদৃশ্য নিয়মে পরিনত হয়ে যায়।
গ্রাউন্ড কিপার বলেছিল যে,, প্রতিদিন ফুলগুলো কে দিয়ে যায়? তা কেউ বলতে পারেনা।
তারা কখনও কোনো ভয়েরও স্বীকার হননি কোনোদিন।
অবাক করা ব্যপার হলো, এমনটা করার জন্য ক্যারলিন কোনো যুবককে বলেও যায়নি কোনোদিন।
কিন্তু লোকমুখে প্রচলিত আছে, ক্যারলিনকে যে ছেলেটি পড়াতো- সেই ছেলেটি ক্যারলিনকে খুব পছন্দ করতো।
ক্যারলিন মারা যাবার পরে, তাকে কখনও জনসম্মুখে খুব বেশি দেখা যায়নি।
সে হয়তো শুরুতে এই কাজ করতে পারে! কিন্তু, তার তো ১৫০ বছর ধরে বেঁচে থাকার কথা না।
এবং তার পরে,, তার পরিবারের কাউকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলো কিনা, বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে যেতে-- এটা কেউই বলতে পারে না।
আপনি যদি আজকেও সেই কবরের কাছে যান,
তবে সকালে দেখতে পাবেন তাজা একটি ফুল কবরের ভাস্কর্যের হাতে দেওয়া আছে।
এখনও তার কবরে সূর্যের মিষ্টি আলো, গাছের পাতা ভেদ করে, খুব অল্প মেলে।
প্রতিদিন ঝিরিঝিরি মিষ্টি বাতাস বয়ে যায়।
খুব শীতে তুষারপাত, ক্যারলিনের কবর ঢেকে দেয়। কিন্তু একটি তাজা ফুল দিতে কে যেনো প্রতিদিন
ভুল করেনা।
হায় ক্যারলিন,,,,,,
সে কি বুঝতে পারে????
কি অমোঘ ভালোবাসায় সে জড়িয়ে থাকে প্রতিদিন।
(নাম্বার-০৬)
#_ভাগ্য__বরাদ্দ__এবং__রিজিক
রিজিকের সর্বনিম্ন স্তরঃ টাকা- পয়সা- অর্থ- সম্পদ।
সর্বোচ্চ স্তরঃ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
সর্বোত্তম স্তরঃ পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান।
পরিপূর্ণ স্তরঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
রিজিক খুব গভীর একটি বিষয়,
যদি আমরা তা বুঝতে পারি।
আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত। কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত,
কবে কোথায় মারা যাবো সেটা লিখিত।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত।
একটি দানাও কম না, একটিও বেশি না।
ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তায়ালা নিয়েছেন।
আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার।
যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো। হারাম উপায়ে হলেও ওই ১ কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!
আমি যেই ফলটি আজকে বাংলাদেশ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে।
এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে।
কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে।
পছন্দ হয় নি, কিনে নি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত।
যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম। কিন্তু না, রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
রিজিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না।
ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তায়ালা নিয়েছেন।
আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার।
যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো। হারাম উপায়ে হলেও ওই ১ কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!
আমি যেই ফলটি আজকে বাংলাদেশ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে।
এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে।
কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে।
পছন্দ হয় নি, কিনে নি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত।
যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম। কিন্তু না, রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
রিজিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না।
এটা তারই রিজিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তায়ালা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ্...।
কেউ কারওটা খাচ্ছে না,
যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে।
আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তায়ালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কুল করে আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সঠিক পথ এ রিজিক অর্জন করার তৌফিক দান করুন।
(নাম্বার-০৭)
#_অভাব_বনাম_পূর্ণতা
আমার এক বন্ধু বিশাল শিল্পপতি। ১০ টার উপর ফ্যাক্টরি, শত কোটি টাকার উপর ব্যাংক লোন।
এক মুহূর্তের জন্য শান্তি নেই। সারাদিন ব্যাস্ত দুনিয়ার পেছনে। একদিন তার অফিসে বসে গল্প করছিলাম, এমন সময় তার এক কর্মচারী আসল। তার কোন কারণে কিছু টাকার দরকার। সে ইনিয়ে বিনিয়ে বলল,
হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ্...।
কেউ কারওটা খাচ্ছে না,
যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে।
আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তায়ালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কুল করে আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সঠিক পথ এ রিজিক অর্জন করার তৌফিক দান করুন।
(নাম্বার-০৭)
#_অভাব_বনাম_পূর্ণতা
আমার এক বন্ধু বিশাল শিল্পপতি। ১০ টার উপর ফ্যাক্টরি, শত কোটি টাকার উপর ব্যাংক লোন।
এক মুহূর্তের জন্য শান্তি নেই। সারাদিন ব্যাস্ত দুনিয়ার পেছনে। একদিন তার অফিসে বসে গল্প করছিলাম, এমন সময় তার এক কর্মচারী আসল। তার কোন কারণে কিছু টাকার দরকার। সে ইনিয়ে বিনিয়ে বলল,
সে অত্যন্ত অভাবি ব্যক্তি, তাকে সাহায্য করার জন্য।
আমার বন্ধু হেসে বলল ''যদি অভাবের কথাই বলতে হয়, এই পুরো অফিসে আমার চেয়ে অভাবি আর কেউ নেই। আমরা একটু থতমত হয়ে গেলাম। আমি বললাম 'আমাদের সবার মিলিয়ে যত সম্পদ আছে তোর একারই তার বেশি আছে।'
সে বলল তোদের একটা গল্প শুনাই। তাহলেই আমার অভাবের রহস্য বুঝবি।
এক বিশাল ব্যবসায়ি, তার সবই আছে খালি শান্তি নেই। খালি হাহাকার আর টেনশান। চিন্তায় মাথার চুল একটাও বাকি নেই। সে একদিন দেখল তার অফিসের পিয়ন টেবিল মুছছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে।
সে পিয়নকে দেকে বলল এই যে তুমি মনে মনে গান গাও, তোমার কি অনেক সুখ, তোমার মনে কি কোন দুঃখ নেই, কোন হতাশা নেই?।
পিয়ন বলে না, হতাশা কেন থাকবে স্যার, আপনি যা বেতন দেন তা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমার ভালই চলে যায়। আল্লাহর রহমতে কোন অভাব নেই।
ব্যবসায়ি তো আরো টেনশানে পড়ে গেলেন। ওনার ম্যানেজারকে ডেকে বললেন, আমার সব আছে কিন্তু শান্তি নেই, আর ওই লোককে আমি সামান্য কয়টা বেতন দেই, সে আছে মহা সুখে, এর রহ্স্যটা কি?
ম্যানেজার বলল , রহস্য বললে বুঝবেননা। সত্যিই যদি বুঝতে চান তাহলে, ওই পিয়নকে প্রমোশান দিয়ে একটা বড় পোস্টে দিন। আর তাকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিন। এরপর দেখুন।
ব্যবসায়ি তাই করল। এতোগুলো টাকা, আর এতবড় চাকরি, পেয়ে পিয়ন আনন্দে আত্মহারা। বাসায়ও সবাই খুশি। যেহেতু এখন অফিসার হয়ে গেছে, এখন তো আর টিনের ঘরে থাকা যায়না। কলিগরা কি মনে করবে।
প্রথমেই বাসা পরিবর্তন করে আরেকটু অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্টে উঠলো। দেখল, বিল্ডিং এর সবাই সন্তানকে বড় স্কুলে পাঠায়, তাই বাচ্চার স্কুলও চেঞ্জ করতে হল। কিছুদিন পড় বউ ঘ্যনঘ্যন শুরু করলো
আমার বন্ধু হেসে বলল ''যদি অভাবের কথাই বলতে হয়, এই পুরো অফিসে আমার চেয়ে অভাবি আর কেউ নেই। আমরা একটু থতমত হয়ে গেলাম। আমি বললাম 'আমাদের সবার মিলিয়ে যত সম্পদ আছে তোর একারই তার বেশি আছে।'
সে বলল তোদের একটা গল্প শুনাই। তাহলেই আমার অভাবের রহস্য বুঝবি।
এক বিশাল ব্যবসায়ি, তার সবই আছে খালি শান্তি নেই। খালি হাহাকার আর টেনশান। চিন্তায় মাথার চুল একটাও বাকি নেই। সে একদিন দেখল তার অফিসের পিয়ন টেবিল মুছছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে।
সে পিয়নকে দেকে বলল এই যে তুমি মনে মনে গান গাও, তোমার কি অনেক সুখ, তোমার মনে কি কোন দুঃখ নেই, কোন হতাশা নেই?।
পিয়ন বলে না, হতাশা কেন থাকবে স্যার, আপনি যা বেতন দেন তা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমার ভালই চলে যায়। আল্লাহর রহমতে কোন অভাব নেই।
ব্যবসায়ি তো আরো টেনশানে পড়ে গেলেন। ওনার ম্যানেজারকে ডেকে বললেন, আমার সব আছে কিন্তু শান্তি নেই, আর ওই লোককে আমি সামান্য কয়টা বেতন দেই, সে আছে মহা সুখে, এর রহ্স্যটা কি?
ম্যানেজার বলল , রহস্য বললে বুঝবেননা। সত্যিই যদি বুঝতে চান তাহলে, ওই পিয়নকে প্রমোশান দিয়ে একটা বড় পোস্টে দিন। আর তাকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিন। এরপর দেখুন।
ব্যবসায়ি তাই করল। এতোগুলো টাকা, আর এতবড় চাকরি, পেয়ে পিয়ন আনন্দে আত্মহারা। বাসায়ও সবাই খুশি। যেহেতু এখন অফিসার হয়ে গেছে, এখন তো আর টিনের ঘরে থাকা যায়না। কলিগরা কি মনে করবে।
প্রথমেই বাসা পরিবর্তন করে আরেকটু অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্টে উঠলো। দেখল, বিল্ডিং এর সবাই সন্তানকে বড় স্কুলে পাঠায়, তাই বাচ্চার স্কুলও চেঞ্জ করতে হল। কিছুদিন পড় বউ ঘ্যনঘ্যন শুরু করলো
সবার বাসায় কত দামি আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, আর আমাদের বাসায় কিচ্ছু নেই। ওগুলোও কিনতে হোল। এরপর শুরু হোল বাচ্চার প্রাইভেট টিউশান, নানা রকম দাবি দাবা। আগে ঈদে একজোড়া জুতা পেয়েই সবাই কত খুশি হত, আর এখন প্রতি মাসে একজোড়া দিলেও তৃপ্তি নেই।
যেহেতু সে এখন বড় চাকরি করে , পরিবারের সবার তাঁর কাছে প্রত্যশাও অনেক। সাধ্যমত চেষ্টা করে, তাও সবার চাহিদা মেটাতে পারেনা। আত্মীয় স্বজন বন্ধু গন তাকে অহংকারি ভেবে দুরে সরে গেলো।
এদিকে অফিসের সবাই ফ্ল্যাট/ প্লট এ বুকিং দিচ্ছে। বৌ সারাদিন বাসায় খোটা দেয় , তোমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে চাকরির ফাকে একটা দুইটা টিউশানি করা শুরু করলো।
যেহেতু সে এখন বড় চাকরি করে , পরিবারের সবার তাঁর কাছে প্রত্যশাও অনেক। সাধ্যমত চেষ্টা করে, তাও সবার চাহিদা মেটাতে পারেনা। আত্মীয় স্বজন বন্ধু গন তাকে অহংকারি ভেবে দুরে সরে গেলো।
এদিকে অফিসের সবাই ফ্ল্যাট/ প্লট এ বুকিং দিচ্ছে। বৌ সারাদিন বাসায় খোটা দেয় , তোমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে চাকরির ফাকে একটা দুইটা টিউশানি করা শুরু করলো।
তাতেও কিছু হয়না। নানাবিধ টেনশান আর দুশ্চিন্তায় তারো মাথার চুল আসতে আসতে কমতে লাগলো।
ব্যবসায়ি লক্ষ্য করলেন ব্যপারটা। উনি বললেন কি ব্যপার , তোমাকে এতো বড় প্রমোশান দিলাম,
ব্যবসায়ি লক্ষ্য করলেন ব্যপারটা। উনি বললেন কি ব্যপার , তোমাকে এতো বড় প্রমোশান দিলাম,
এতো টাকা দিলাম, আর এখন দেখি তুমি আগের মত আর প্রাণবন্ত নেই। ঘটনা কি?
সে বলল স্যার , কিছু দুনিয়াবি সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু তার সাথে যে এতো চাহিদা আর অভাব আসবে তাতো আর বুঝিনি। আগে আমার কিছুই ছিলনা, অভাবও ছিলনা। আর এখন যেদিকেই তাকাই , খালি নাই আর নাই। আগে আমার অভাব পড়লেও সেটা ছিল এক দুই হাজারের ব্যপার। কোন ভাবে মেটান যেত। আর এখন আমার অভাব লক্ষ কোটি টাকার। এটা কিভাবে মেটাবো সে চিন্তায় আমার এখন আর রাতে ঘুম আসেনা স্যার।
ব্যবসায়ি বলল, এতদিনে বুঝলাম, আমার মুল অসুখ। এক টাকার সম্পদের সাথে ২ টাকার অভাব আসে। যতই দুনিয়ার পিছনে ছুটি কবরের মাটি ছাড়া এই অভাব আর অন্য কিছু দিয়েই পূর্ণ হবেনা।
---------------------------------------------------
আদম সন্তানের যদি স্বর্ণে পরিপূর্ণ একটি উপত্যকা থাকে, তবে সে (তাতে সন্তুষ্ট হবে না, বরং) আরেকটি উপত্যকা কামনা করবে । তার মুখ তো (কবরের) মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা ভর্তি করা সম্ভব নয় ।
যে আল্লাহর দিকে রুজু করে আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন - [বুখারী]
(নাম্বার-০৮)
#একটা_সার্টিফিকেট_জীবনের_সবকিছু_না।
একজন সদ্য ধনী হওয়া লোক সকালে ঘুম থেকে ওঠে নিজের বাড়ির বারান্দায় বসে বউয়ের সাথে খোশগল্প করছেন।বউ বলছেন- দেখো , তোমারতো এখন মেলা টাকা পয়সা হয়েছে। এখন আর অতো কিপটামি না করে,পোলাপানদের পুষ্টির জন্য কিছু টাকা পয়সা খরচ করো। লটকা'র স্বাস্থ্য দেখছো।
কি নাজুক অবস্থা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গোয়ালা দুধ নিয়ে যায়।অন্তত ১ লিটার দুধতো ওর কাছ থেকে প্রতিদিন কিনতে পারো।
পিছন থেকে লটকা বলে ওঠলো- মা, দুধ খামু।
বউয়ের কথা কর্তার মনে ধরলো। বললেন- গোয়ালা দেখলেই ডাক দিবা।
পরেরদিন সকালে গোয়ালা হাজির। কর্তা বললেন- ১লিটার দুধের দাম কতো?
আগ্গে ৪০ টাকা।
ঠিক আছে। কাল সকাল থেকে প্রতিদিন ১ লিটার করে দুধ দিয়ে যাবা।
আচ্ছা - বলেই গোয়ালা রওয়ানা দিলো।
কর্তা চিন্তা করলেন। ৪০ টাকায় ১ লিটার বলার সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলো। দেখিনা ৪০ টাকায় ২ লিটার দুধ দেয় কিনা।
গোয়ালাকে আবার ডেকে বললেন- আচ্ছা, ৪০ টাকায় তুমি কি ২ লিটার দিতে পারবা?
জ্বি, তা পারবো।
দুধ খেয়ে লটকা'র পুষ্টি বেশ যষ্টি হতে শুরু করেছে। লটকা পুষ্টিতে পরিপুষ্ট, কর্তা কত্রী দুজনেই বেশ তুষ্ট।
কিছুদিন পর কর্তা চিন্তা করলেন-৪০ টাকায় ২লিটারে রাজি হয়ে গেলো। তাহলে ৩ লিটার দেয় কিনা চেষ্টা করে দেখি।
গোয়ালাকে বললেন- এই তুমি কি ৪০ টাকায় ৩ লিটার দিতে পারবা?
জ্বি বাবু তাও পারবো।
কিন্তু দুধ খেয়ে লটকা'র পুষ্টি এবার আর তেমন বাড়েনা। খেলার মাঠে সামান্য ল্যাং খেলেই লটকা চ্যাং হয়ে ছিটকে পড়ে।
কর্তা চিন্তা করলেন- দুধের পরিমাণ আরেকটু বাড়াতে হবে। গোয়ালাকে বললেন- ৪০ টাকায় ৪ লিটার দিতে পারবা?
জ্বি আগ্গে পারবো। তবে দুধে পুষ্টিতো দূরের কথা দুধের রঙই আর খুঁজে পাবেন না। সব জলরঙ হয়ে যাবে। এক লিটার দুধে আর কত জল মিশানো যায় বলেন?
আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থাও এরকম। শিক্ষকদের ওপর নির্দেশ আসলো পাশের হার ৬০ হবে। উনারা বললেন- নো প্রবলেম।
শিক্ষাকর্তা ৬০ এ সন্তুষ্ট না।আরো বাড়াতে হবে।
অসুবিধা নাই। কত চান? ৭০,৮০,৯০,৯৫,৯৯%। চিন্তার কোনো কারণ নাই। A+কত চান? শত, হাজার, দশহাজার, ২০ হাজার, লাখ। নো প্রবলেম।হচ্ছে, হবে, হয়ে যাবে। যা চান , তাই সাপ্লাই দেয়া হবে।
শিক্ষাকর্তা বেজায় খুশী। পাশ আর পাশ। প্লাস আর A প্লাস।
এবার এই A প্লাস খাওয়া বাস্তব একটা পুষ্টির নমুনা দেই।
আমার কাজিন-খুশীতে গদগদ হয়ে নাচতে নাচতে ফোন করলো- ভাইয়া শুধু জিপিএ ফাইভা না, A+না একেবারে গোল্ডেন A+ পেয়েছি।
জিপিএ ফাইভ আর গোল্ডেন এ প্লাস নামক এই অদ্ভূত জিনিস পৃথিবীর আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। বললাম, ভালোইতো হলো। আমরা আগে পরীক্ষা দিলে মার্কস পেতাম। তোরা সোনা পাওয়া শুরু করেছিস। জমিয়ে রাখ, বিয়ের সময় কাজে লাগবে।
মনে হয় একটু রেগে গেলো। বললো- তুমি না শুধু ঢং করো।
আচ্ছা আর ঢং করবোনা। এবার বললাম- ইংরেজিতে কত মার্কস পেয়েছিস।
তুমি না কিছুই বুঝোনা। বললাম না গোল্ডেন A প্লাস পেয়েছি। এর মানে বোঝ?
মানে বোঝারইতো চেষ্টা করছি। দেখি তোর Golden A + এর নমুনা।
বলতো-"আমার একটা পোষা বিড়াল আছে এবং আমি আমার বিড়ালটিকে খাওয়াই"-এর ইংরেজি কি?
খিলখিল করে হেসে বললো- এইটাতো একেবারে সোজা। এর চেয়ে কত কঠিন সৃজনশীল প্রশ্নের জবাব দিলাম।
এটার ইংরেজি হবে-I am a cat and I eat my cat. গ্রামার ঠিক হয়েছে ভাইয়া?
বললাম, গ্রামারের আর দরকার কি? তোর নিজের গ্লামার ঠিক রাখলেই হবে।তোকে কর্তার ছেলে লটকা'র সাথে বিয়ে দিবো। একটা জল মিশ্রিত দুধ খেয়ে খেলার মাঠে লটকে থাকে আর একটা শিক্ষার মাঠে নিজেই বিড়াল হয়ে বিড়াল খেতে থাকে।
কিছুদিন আগের ঘটনা। মফস্বলের এক অনুষ্ঠানে জনৈক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় একটি ঘরোয়া বৈঠকে বলছেন-
আপনারা আমাকে যেভাবে হসপিটালাইজড করেছেন তাতে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি।
মন্ত্রী'র কথা শুনে এ ওর দিকে তাকায়। ঘটনা কি? মন্ত্রী আবার এখানে হাসপাতালে কবে ছিলেন?
আসলে উনি বলতে চেয়েছিলেন- যেভাবে হসপিটালিটি করেছেন।
বড়ই নাজুক। দুধ মনে করে পানি খাওয়ানো শিক্ষা ব্যবস্থাও নাজুক। আসলে দুধের পরিবর্তে বেড়েছে শুধুই জল, আর শিক্ষার মানের পরিবর্তে বেড়েছে শুধু পাশের ফল।
তারপরও যারা ভালো রেজাল্ট করে পাশ করেছো তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা। আর যারা উদ্ভট জিপিএ ফাইভ অথবা গোল্ডেন এ পেলেনা বলে মনে দুঃখ পাচ্ছো। তারা কোনো দুঃখ পেয়োনা। জীবনটা অনেক বড়। একটা সার্টিফিকেটই জীবনের সবকিছু না।
(নাম্বার-০৯)
#_বন্ধু
অনেক বছর আগের ঘটনা, একবার এক চাষি তার বাড়ির উঠোনে বসে বিশ্রাম করছিলেন। এমন সময় তার একমাত্র ছেলে ছুটে আসে এবং বাবাকে খবর দেয়, যে রাস্তার ধারের পুকুরে একটি ছেলে ডুবে যাচ্ছে।
শুনে চাষী তৎক্ষণাৎ পুকুরের কাছে পৌঁছায়। গিয়ে দেখে তার ছেলের বয়সী একটি ছেলে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। পোশাক পরিচ্ছদ দেখে কোন শহরের ধনীর দুলাল বলে মনে হচ্ছে।
সাথে বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব থাকলেও তারা সাঁতার না জানায় পারে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। চাষী আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না কোরে জলে ঝাপিয়ে পরে এবং ছেলেটিকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনার দিন দুয়েক পর হঠাৎ একদিন গ্রামের পথে ধুলো উড়িয়ে এক ঘোড়ায় টানা সুসজ্জিত গাড়ি,
সে বলল স্যার , কিছু দুনিয়াবি সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু তার সাথে যে এতো চাহিদা আর অভাব আসবে তাতো আর বুঝিনি। আগে আমার কিছুই ছিলনা, অভাবও ছিলনা। আর এখন যেদিকেই তাকাই , খালি নাই আর নাই। আগে আমার অভাব পড়লেও সেটা ছিল এক দুই হাজারের ব্যপার। কোন ভাবে মেটান যেত। আর এখন আমার অভাব লক্ষ কোটি টাকার। এটা কিভাবে মেটাবো সে চিন্তায় আমার এখন আর রাতে ঘুম আসেনা স্যার।
ব্যবসায়ি বলল, এতদিনে বুঝলাম, আমার মুল অসুখ। এক টাকার সম্পদের সাথে ২ টাকার অভাব আসে। যতই দুনিয়ার পিছনে ছুটি কবরের মাটি ছাড়া এই অভাব আর অন্য কিছু দিয়েই পূর্ণ হবেনা।
---------------------------------------------------
আদম সন্তানের যদি স্বর্ণে পরিপূর্ণ একটি উপত্যকা থাকে, তবে সে (তাতে সন্তুষ্ট হবে না, বরং) আরেকটি উপত্যকা কামনা করবে । তার মুখ তো (কবরের) মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা ভর্তি করা সম্ভব নয় ।
যে আল্লাহর দিকে রুজু করে আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন - [বুখারী]
(নাম্বার-০৮)
#একটা_সার্টিফিকেট_জীবনের_সবকিছু_না।
একজন সদ্য ধনী হওয়া লোক সকালে ঘুম থেকে ওঠে নিজের বাড়ির বারান্দায় বসে বউয়ের সাথে খোশগল্প করছেন।বউ বলছেন- দেখো , তোমারতো এখন মেলা টাকা পয়সা হয়েছে। এখন আর অতো কিপটামি না করে,পোলাপানদের পুষ্টির জন্য কিছু টাকা পয়সা খরচ করো। লটকা'র স্বাস্থ্য দেখছো।
কি নাজুক অবস্থা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গোয়ালা দুধ নিয়ে যায়।অন্তত ১ লিটার দুধতো ওর কাছ থেকে প্রতিদিন কিনতে পারো।
পিছন থেকে লটকা বলে ওঠলো- মা, দুধ খামু।
বউয়ের কথা কর্তার মনে ধরলো। বললেন- গোয়ালা দেখলেই ডাক দিবা।
পরেরদিন সকালে গোয়ালা হাজির। কর্তা বললেন- ১লিটার দুধের দাম কতো?
আগ্গে ৪০ টাকা।
ঠিক আছে। কাল সকাল থেকে প্রতিদিন ১ লিটার করে দুধ দিয়ে যাবা।
আচ্ছা - বলেই গোয়ালা রওয়ানা দিলো।
কর্তা চিন্তা করলেন। ৪০ টাকায় ১ লিটার বলার সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলো। দেখিনা ৪০ টাকায় ২ লিটার দুধ দেয় কিনা।
গোয়ালাকে আবার ডেকে বললেন- আচ্ছা, ৪০ টাকায় তুমি কি ২ লিটার দিতে পারবা?
জ্বি, তা পারবো।
দুধ খেয়ে লটকা'র পুষ্টি বেশ যষ্টি হতে শুরু করেছে। লটকা পুষ্টিতে পরিপুষ্ট, কর্তা কত্রী দুজনেই বেশ তুষ্ট।
কিছুদিন পর কর্তা চিন্তা করলেন-৪০ টাকায় ২লিটারে রাজি হয়ে গেলো। তাহলে ৩ লিটার দেয় কিনা চেষ্টা করে দেখি।
গোয়ালাকে বললেন- এই তুমি কি ৪০ টাকায় ৩ লিটার দিতে পারবা?
জ্বি বাবু তাও পারবো।
কিন্তু দুধ খেয়ে লটকা'র পুষ্টি এবার আর তেমন বাড়েনা। খেলার মাঠে সামান্য ল্যাং খেলেই লটকা চ্যাং হয়ে ছিটকে পড়ে।
কর্তা চিন্তা করলেন- দুধের পরিমাণ আরেকটু বাড়াতে হবে। গোয়ালাকে বললেন- ৪০ টাকায় ৪ লিটার দিতে পারবা?
জ্বি আগ্গে পারবো। তবে দুধে পুষ্টিতো দূরের কথা দুধের রঙই আর খুঁজে পাবেন না। সব জলরঙ হয়ে যাবে। এক লিটার দুধে আর কত জল মিশানো যায় বলেন?
আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থাও এরকম। শিক্ষকদের ওপর নির্দেশ আসলো পাশের হার ৬০ হবে। উনারা বললেন- নো প্রবলেম।
শিক্ষাকর্তা ৬০ এ সন্তুষ্ট না।আরো বাড়াতে হবে।
অসুবিধা নাই। কত চান? ৭০,৮০,৯০,৯৫,৯৯%। চিন্তার কোনো কারণ নাই। A+কত চান? শত, হাজার, দশহাজার, ২০ হাজার, লাখ। নো প্রবলেম।হচ্ছে, হবে, হয়ে যাবে। যা চান , তাই সাপ্লাই দেয়া হবে।
শিক্ষাকর্তা বেজায় খুশী। পাশ আর পাশ। প্লাস আর A প্লাস।
এবার এই A প্লাস খাওয়া বাস্তব একটা পুষ্টির নমুনা দেই।
আমার কাজিন-খুশীতে গদগদ হয়ে নাচতে নাচতে ফোন করলো- ভাইয়া শুধু জিপিএ ফাইভা না, A+না একেবারে গোল্ডেন A+ পেয়েছি।
জিপিএ ফাইভ আর গোল্ডেন এ প্লাস নামক এই অদ্ভূত জিনিস পৃথিবীর আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। বললাম, ভালোইতো হলো। আমরা আগে পরীক্ষা দিলে মার্কস পেতাম। তোরা সোনা পাওয়া শুরু করেছিস। জমিয়ে রাখ, বিয়ের সময় কাজে লাগবে।
মনে হয় একটু রেগে গেলো। বললো- তুমি না শুধু ঢং করো।
আচ্ছা আর ঢং করবোনা। এবার বললাম- ইংরেজিতে কত মার্কস পেয়েছিস।
তুমি না কিছুই বুঝোনা। বললাম না গোল্ডেন A প্লাস পেয়েছি। এর মানে বোঝ?
মানে বোঝারইতো চেষ্টা করছি। দেখি তোর Golden A + এর নমুনা।
বলতো-"আমার একটা পোষা বিড়াল আছে এবং আমি আমার বিড়ালটিকে খাওয়াই"-এর ইংরেজি কি?
খিলখিল করে হেসে বললো- এইটাতো একেবারে সোজা। এর চেয়ে কত কঠিন সৃজনশীল প্রশ্নের জবাব দিলাম।
এটার ইংরেজি হবে-I am a cat and I eat my cat. গ্রামার ঠিক হয়েছে ভাইয়া?
বললাম, গ্রামারের আর দরকার কি? তোর নিজের গ্লামার ঠিক রাখলেই হবে।তোকে কর্তার ছেলে লটকা'র সাথে বিয়ে দিবো। একটা জল মিশ্রিত দুধ খেয়ে খেলার মাঠে লটকে থাকে আর একটা শিক্ষার মাঠে নিজেই বিড়াল হয়ে বিড়াল খেতে থাকে।
কিছুদিন আগের ঘটনা। মফস্বলের এক অনুষ্ঠানে জনৈক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় একটি ঘরোয়া বৈঠকে বলছেন-
আপনারা আমাকে যেভাবে হসপিটালাইজড করেছেন তাতে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি।
মন্ত্রী'র কথা শুনে এ ওর দিকে তাকায়। ঘটনা কি? মন্ত্রী আবার এখানে হাসপাতালে কবে ছিলেন?
আসলে উনি বলতে চেয়েছিলেন- যেভাবে হসপিটালিটি করেছেন।
বড়ই নাজুক। দুধ মনে করে পানি খাওয়ানো শিক্ষা ব্যবস্থাও নাজুক। আসলে দুধের পরিবর্তে বেড়েছে শুধুই জল, আর শিক্ষার মানের পরিবর্তে বেড়েছে শুধু পাশের ফল।
তারপরও যারা ভালো রেজাল্ট করে পাশ করেছো তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা। আর যারা উদ্ভট জিপিএ ফাইভ অথবা গোল্ডেন এ পেলেনা বলে মনে দুঃখ পাচ্ছো। তারা কোনো দুঃখ পেয়োনা। জীবনটা অনেক বড়। একটা সার্টিফিকেটই জীবনের সবকিছু না।
(নাম্বার-০৯)
#_বন্ধু
অনেক বছর আগের ঘটনা, একবার এক চাষি তার বাড়ির উঠোনে বসে বিশ্রাম করছিলেন। এমন সময় তার একমাত্র ছেলে ছুটে আসে এবং বাবাকে খবর দেয়, যে রাস্তার ধারের পুকুরে একটি ছেলে ডুবে যাচ্ছে।
শুনে চাষী তৎক্ষণাৎ পুকুরের কাছে পৌঁছায়। গিয়ে দেখে তার ছেলের বয়সী একটি ছেলে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। পোশাক পরিচ্ছদ দেখে কোন শহরের ধনীর দুলাল বলে মনে হচ্ছে।
সাথে বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব থাকলেও তারা সাঁতার না জানায় পারে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। চাষী আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না কোরে জলে ঝাপিয়ে পরে এবং ছেলেটিকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনার দিন দুয়েক পর হঠাৎ একদিন গ্রামের পথে ধুলো উড়িয়ে এক ঘোড়ায় টানা সুসজ্জিত গাড়ি,
আগু পিছু অস্ত্রধারী অশ্বারোহী নিয়ে চাষীর বাড়ির সামনে এসে থামলো।
চাষী কিছুটা ভয় পেয়েছিল বৈকি। এরপর গাড়ি থেকে যে ব্যক্তি নেমে এলেন তার ব্যক্তিত্ব তার ঐশ্বর্যের পরিচয় বহন করে কিন্তু তার মুখের স্মিত হাসি চাষীকে কিছুটা আস্বস্ত করেন। তিনি স্মিত হেসে বলেন,
--- "আপনি সেই মহানুভব যিনি আমার একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন?" কৃষক মৃদু হেসে বললেন,
--- "আজ্ঞে হ্যা।" সেই ব্যক্তি এরপর গরিব চাষীর হাত ধরে অশ্রু সজল চোখে বলেন,
--- "আপনার ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। তবু বলুন আমি আপনার জন্য কি করতে পারি?" চাষী প্রথমে কিছু নিতে রাজি হয় না, শেষ মেষ অনেক অনুরোধের পর বলেন,
--- "দেখুন আমার সেই ক্ষমতা নেই যে আমার ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়াই। তাই যদি আপনি ওর একটা ভালো স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করদেন তাহলেই আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে।" এই শুনে সেই ভদ্রলোক হেসে বললেন,
--- "ঠিক আছে এই যদি আপনার ইচ্ছা হয় তবে আজ থেকে আপনার ছেলে আমার ছেলের সাথে একসাথে পড়াশুনো করবে, এবং ওকে আমি আমার বাড়িতে রেখে পড়াবো।"
এরপর অনেক বছর কেটে গেছে। চাষীর ছেলে আর ধনী দুলালের বন্ধুত্ব সময়ের সাথে আরো গভীর হয়েছে। দুজনেই অত্যন্ত মেধাবী, যদিও দুজনের পছন্দ ছিল সম্পূর্ন আলাদা।ধনীর দুলালের আকর্ষণ রাজনীতি, আর তার বন্ধুর চিকিৎসা বিজ্ঞান।
স্নাতক হবার পর একজন মন দেয় অণুজীব নিয়ে গবেষণায়, আর একজন রাজনীতিতে।গবেষক বন্ধুর এক একটা গবেষণা পত্র যখন চিকিৎসা দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলছে। তখন আর এক বন্ধুর নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা আকৃষ্ট করছে ইংল্যান্ডের যুব সমাজকে।
এর মধ্যেই সেই রাজনীতিবিদ বন্ধু এক গভীর অসুখে আক্রান্ত হয়। অনেক বড় বড় চিকিৎসক যখন ব্যর্থ হয় ফিরে যায়, তখন সেই গবেষক বন্ধু এগিয়ে আসে।
দিন রাত এক করে নিজের তৈরি ওষুধে চিকিৎসা করতে থাকেন নিজের বন্ধুর। এবং সম্পূর্ন সুস্থ করে তোলেন নিজের প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধুকে। কারণ তাকে ছাড়া তো আধুনিক বিশ্বের ইতিহাস লেখাই অসম্পূর্ন থাকতো
জানেন এই দুজন কে? সেই চাষীর ছেলে হলেন বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানী, পেনিলিসিলিনের আবিস্কারক স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। আর তার বন্ধুটি হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
বন্ধুত্বের কোনো শেষ নেই। বন্ধুত্ব, ঈশ্বরের এক অমূল্য সৃষ্টি। ওদের ছাড়া জীবন সত্যিই খুব অসম্পূর্ণ।
চাষী কিছুটা ভয় পেয়েছিল বৈকি। এরপর গাড়ি থেকে যে ব্যক্তি নেমে এলেন তার ব্যক্তিত্ব তার ঐশ্বর্যের পরিচয় বহন করে কিন্তু তার মুখের স্মিত হাসি চাষীকে কিছুটা আস্বস্ত করেন। তিনি স্মিত হেসে বলেন,
--- "আপনি সেই মহানুভব যিনি আমার একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন?" কৃষক মৃদু হেসে বললেন,
--- "আজ্ঞে হ্যা।" সেই ব্যক্তি এরপর গরিব চাষীর হাত ধরে অশ্রু সজল চোখে বলেন,
--- "আপনার ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। তবু বলুন আমি আপনার জন্য কি করতে পারি?" চাষী প্রথমে কিছু নিতে রাজি হয় না, শেষ মেষ অনেক অনুরোধের পর বলেন,
--- "দেখুন আমার সেই ক্ষমতা নেই যে আমার ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়াই। তাই যদি আপনি ওর একটা ভালো স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করদেন তাহলেই আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে।" এই শুনে সেই ভদ্রলোক হেসে বললেন,
--- "ঠিক আছে এই যদি আপনার ইচ্ছা হয় তবে আজ থেকে আপনার ছেলে আমার ছেলের সাথে একসাথে পড়াশুনো করবে, এবং ওকে আমি আমার বাড়িতে রেখে পড়াবো।"
এরপর অনেক বছর কেটে গেছে। চাষীর ছেলে আর ধনী দুলালের বন্ধুত্ব সময়ের সাথে আরো গভীর হয়েছে। দুজনেই অত্যন্ত মেধাবী, যদিও দুজনের পছন্দ ছিল সম্পূর্ন আলাদা।ধনীর দুলালের আকর্ষণ রাজনীতি, আর তার বন্ধুর চিকিৎসা বিজ্ঞান।
স্নাতক হবার পর একজন মন দেয় অণুজীব নিয়ে গবেষণায়, আর একজন রাজনীতিতে।গবেষক বন্ধুর এক একটা গবেষণা পত্র যখন চিকিৎসা দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলছে। তখন আর এক বন্ধুর নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা আকৃষ্ট করছে ইংল্যান্ডের যুব সমাজকে।
এর মধ্যেই সেই রাজনীতিবিদ বন্ধু এক গভীর অসুখে আক্রান্ত হয়। অনেক বড় বড় চিকিৎসক যখন ব্যর্থ হয় ফিরে যায়, তখন সেই গবেষক বন্ধু এগিয়ে আসে।
দিন রাত এক করে নিজের তৈরি ওষুধে চিকিৎসা করতে থাকেন নিজের বন্ধুর। এবং সম্পূর্ন সুস্থ করে তোলেন নিজের প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধুকে। কারণ তাকে ছাড়া তো আধুনিক বিশ্বের ইতিহাস লেখাই অসম্পূর্ন থাকতো
জানেন এই দুজন কে? সেই চাষীর ছেলে হলেন বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানী, পেনিলিসিলিনের আবিস্কারক স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। আর তার বন্ধুটি হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
বন্ধুত্বের কোনো শেষ নেই। বন্ধুত্ব, ঈশ্বরের এক অমূল্য সৃষ্টি। ওদের ছাড়া জীবন সত্যিই খুব অসম্পূর্ণ।
(নাম্বার-১০)
লেখাটা পড়ে আমার জীবন দর্শন একটু থমকে যাবে।
---:আমিও থাকতে চাই বৃদ্ধাশ্রমে:---
আমি বৃদ্ধাশ্রমে আছি আজ প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। ভালই লাগে এখানে।
নিজের মত করে থাকা যায়।
মন চাইলে বই পড়ি না হলে গান শুনি।
কখনো কখনো এখানকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে গল্প করি।
আমার ভাল লাগে।
আমি ভাল আছি।
দুই ছেলে এক মেয়ে আমার।
বড় ছেলে যাওয়াদ,পেশায় ডাক্তার।
সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে।
জহির,আমার ছোট ছেলেটা দেশেই থাকে।
পৈত্রিক ব্যবসা দেখাশোনা করে।
মেয়েটা ব্যাংকে কাজ করে।
বন্ধের দিনে আসে আমাকে দেখতে।
কোন সপ্তাহে আসতে না পারলে রান্না করে পাঠিয়ে দেয়,
একটু বেশি করেই পাঠায় যাতে করে অন্যদেরও একটু ভাগ দিতে পারি।
আমি রাজিয়া খানম।
এভাবেই চলছে আমার জীবন গত পাঁচ বছর ধরে।
যাওয়াদের বাবা মারা যাবার বছর খানেক পর হঠাৎ করে আমার কার্ডিয়াক-এটাক হয়।
আমাকে প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।
কি যে সময় গেছে তখন।
অর্থের অভাব নেই, নেই ইচ্ছার অভাবও।
অভাব হচ্ছে সময়ের।
হাসপাতালে সার্বক্ষণিকভাবে একজন থাকা,
প্রতিনিয়ত ডাক্তারের সাথে কথা বলা,
এক্সারসাইজ করানো,
ওষুধ খাওয়ানো সময় ধরে,
আরো কত কী!
বাসায় আসার পর আরেক ঝামেলা।
সার্বক্ষণিক দেখা শোনার জন্য একটা মানুষ কোথায় পাওয়া যায়।
মেয়েটা অফিস করছে,
অফিস আর আমাকে সামলে তার নিজের সংসারটা ঠিক খেয়াল রাখতে পারছেনা।
একদিন শুনলাম,
জামাই বলছে-মা তো তোমার একার নয়,
তোমার ভাইদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু কথা গুলো এসে যায়।
তাই আমি সহজভাবেই নিলাম।
এরমধ্যে শুনি, ছোট বউমা জহিরের সাথে খুব চিৎকার- চেঁচামেচি করছে।
নাতির রেজাল্ট খুব খারাপ হয়েছে।
অসুস্থ আমাকে দেখতে আত্নীয়-স্বজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল,
আবার আমাকেও একটু বাড়তি যত্ন করতে হয়েছে,
তাই এ কয়দিন বাবা মা কেউই আর ছেলের পড়াশুনা দেখার সুযোগ পায়নি।
এই ঘরে বাচ্চা মানুষ হবেনা,
কারন এখানে পড়াশোনার কোন পরিবেশ নাই
সারাদিন মেহমান, রান্নাবান্না এইসবের মধ্যে বাচ্চা মানুষ হয়!
বউমার জোর গলা।
আমি শুনলাম এবং ভাবলাম ,ঠিকইত ।
আজকালকার এই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে বাচ্চাকে শতভাগ সময় দিতে হবে।
এখান থেকে দশ ভাগও যদি অন্য কোথাও দেয়া হয়, ক্ষতি হবে বাচ্চার।
আমি অনেক ভেবে দেখলাম।
বিভিন্ন দিক থেকে ভেবেছি।
তারপর আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ছেলেমেয়েরা বিরোধিতা করেছে।
বড় ছেলেটা বিদেশ থেকে আসল।
অনেক কান্নাকাটি করেছিল সে আমাকে এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলো।
মেয়েটা অনুরোধ করেছিল যেন তার সাথে গিয়ে থাকি,
কিন্তু আমি সবাইকে না করে দিয়েছি।
আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থেকেছি।
-তাহলে মা তুমি আমাদের ভালবাসনা,
আমাদের আপন মনে করনা,
তাই আমাদের কারো সাথে থাকতে চাওনা?
জহির কাতর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
তার চোখে জল।
-ভালবাসিরে পাগল,
অনেক ভালবাসি।
আর তাই চাই সম্পর্কটা সবসময় এমন ভালবাসাময়ই থাকুক।
একসাথে থাকা সম্পর্কগুলোর মধ্যে প্রত্যেশা অনেক বেশিরে।
আর যখন প্রত্যেশা আর প্রাপ্তির হিসাব মিলেনা তখনই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়,
পরিবারে অশান্তি বাড়ে।
-মা, তুমি আমাদের সাথে থাকতে চাওনা,
আবার আমাদের গ্রামের বাড়িটাত খালিই পড়ে আছে......
তুমিতো ঐ বাসায়ও থাকতে পারো মা।
বড় ছেলেটা বলল।
-সেইত বাসা, সংসার,দায়িত্ব-অনেক তো করলাম।
এবার একটু নিজের মত থাকি।
তোদেরও আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবেনা।
আমারও একা বাড়িতে মরে পড়ে থাকার ভয় থাকলনা,
-তুমি যাবেই,বুঝতে পেরেছি।
ঠিক আছে মা,
বাধা দিবনা আর।
একটাই অনুরোধ,
তোমার খরচটা আমাদের দিতে দিও মা।
-বেশ তো, দিবি।
মুচকি হেসে জবাব দিলাম।
এরপরের কাজগুলো খুব দ্রতই গুছিয়ে নিলাম।
টাকা-পয়সা, সম্পদের যথাযথ বিলি-বন্টন করলাম।
আমার অংশের সম্পত্তিটুকু নিজের কাছেই রেখেছি,
নিজের মত ব্যবস্থা করব বলে।
এ সম্পদ থেকে সমাজের বয়স্কদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে।
এখানে অনেকেই আছেন যারা ছেলেমেয়েদের সাথে একটু সময় কাটানোর বিনিময়ে সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত,
কিন্তু ছেলেমেয়েদের সময় হয়না,
বৃদ্ধ বাবা মায়ের সাথে দুদন্ড সময় কাটানোর।
আবার অনেকে ভাগের মা কিংবা বাবা হয়ে থাকতে চাননা, চলে আসেন এখানে।
অর্থাৎ একদম নিরুপায় নাহলে কেউ বৃদ্ধাশ্রমে আসাটা চিন্তাই করতে পারেনা।
অথচ বৃদ্ধাশ্রমে থাকাটা যে জীবনের শেষ বেলায় অনেক ধরনের পারিবারিক জটিলতার বিপরীতে কোন সুন্দর বা সম্মানজনক সমাধান হতে পারে এই ধারনাটাই এখনো সমাজে তেমন গ্রহনযোগ্য নয়।
যতদিন আমরা মেয়েরা স্বামী, সন্তান পরিবারেরর বাইরে নিজেকে অস্তিত্বহীন মনে করব,ততদিন এই বৃদ্ধাশ্রম ব্যাপারটা একটা ঋণাত্মক ব্যাপার হয়ে আমাদের মাঝে থাকবে।
এখানে সবাই আমাকে হিংসা করে,
ভালবাসা মিশ্রিত হিংসা।
বলে, ছেলেমেয়েরা আপনাকে এত ভালবাসে,
এত তাদের সাথে থাকতে বলে,
আর আপনি এখানে আশ্রমে পড়ে আছেন।
আমি হাসি।
তাদের আমি বুঝাতে পারিনা,
আমি এখানেই ভালো আছি।
আমি জানি, আমার ছেলে মেয়েরা আমাকে অনেক ভালবাসে, অনেক সম্মান করে।
কিন্তু আমি এটাও জানি, এই ব্যস্ত জীবনে যেখানে দিনের প্রতিটা ঘন্টা হিসাবের, সেখানে আমি তাদের কাছে একটা বাড়তি দায়িত্ব ছাড়া কিছু নই।
একজন মায়ের জীবন শুধু ছেলেমেদের বড় করে তোলা আর বৃদ্ধ বয়সে তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকা নয়।
বড় হওয়ার সাথে সাথে সন্তানদের নিজের জগত তৈরি হয়, নিজের পরিবার তৈরি হয় ।
তাদের ঘিরেই চলে জীবনের আবর্তন।
সেইখানে বৃদ্ধ মা বা বাবা তাদের সেই জীবনের অংশ হয়না।
এটাই সত্য।
অনেকেই হয়তো এই সত্যটা ধরতে পারেনা কিংবা ধরতে পারলেও না বোঝার ভান করে।
হয়তো তাদের আর কোন উপায় নেই অথবা তারা যেকোন মুল্যে সন্তানের কাছে থাকার লোভ সামলাতে পারেনা।
আমি যেকোন ভাবেই হোক এই লোভ সংবরণ করে নিলাম।
আমি শেষ বয়সটা আমার নিজের মত করে কাটাতে চাই।
এরপর থেকে আছি আমার ঠিকানায়।
হ্যা, এখন এটাই আমার ঠিকানা,
আমি নিজে এই ঠিকানা বেছে নিয়েছি।
একটু আমি হয়ে বাঁচার জন্য।
জীবন_দর্শন
অজানা লেখকের জীবন দর্শন
(বোনাস নাম্বার)
পরিশেষে এক পরিচ্ছ্যন্ন ও গোছানো ও শৃংখল জাতীর গল্প দিয়ে শেষ করবো।
জাপানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোনও মন্দির নেই, মসজিদ নেই, রাত জেগে ওয়াজ নেই, ধর্মীয় স্কলার নেই, মাজার নেই, , পীর নেই, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি বলেও কোনও বাগাড়ম্বর নেই। এগুলো ছাড়াই জাপান একটা সুশৃঙ্খল জাতি।
গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনও দুর্নীতি নেই, কোনও ঘুষ নেই, কোনও ধর্ষণ নেই, স্কুলে কোনও ছাত্রকে বেত্রাঘাতের রেকর্ড নেই। কোনও কাজের জন্য কোনও ফাইল আটকে পড়ার নজির নেই। কারো সুপারিশ ছাড়া কোনও ছাত্র স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা, কারো প্রমোশন হচ্ছেনা- এমন দৃষ্টান্তও নেই। দলীয় ভাবে জাপানের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষকের নিয়োগের নজিরও নেই। রাস্তায় পড়ে থাকা বুভুক্ষু মানুষও নেই। আছে শুধু কর্মনিষ্ঠা, শৃঙ্খলা।
ভূমিকম্পের সময় সব খাবার ক্যাম্পে রেখে দেয়া হয়েছিলো। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কেউ একটা রুটিও নিয়ে যায়নি। ত্রাণ কেন্দ্রে একজন প্রহরীকেও পাহারাদার রাখতে হয়নি। লাইন দাঁড়িয়ে সবাই যার যার মতো প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে গেছে। লাইন দাঁড়ানো শেষ ছেলেটির হাতে খাবার প্যাকেট দেয়ায় -সে সেই প্যাকেট আবার লাইনের সামনে রেখে এসেছে। যদি তার সামনে দাঁড়ানো কারো খাবার কম পড়ে যায়।
জাপানে কোনও কালো বাজারি দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা। কেউ খাবারে ভেজাল মেশায় না। রাস্তাঘাট গুলো এতো ঝকঝকে পরিষ্কার। নিজের চেহারা রাস্তায় দেখা যায়। শুধু বয়স্ক কিংবা যুবকরা না একজন শিশুও জাপানের রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখেনা। কোনও প্রোগ্রাম এক মিনিট দেরিতে শুরু হয় না।
এক মিনিট ট্রেন লেট করেছিলো বলে - পত্রিকার পাতায় ক্ষমা চাওয়া হয়েছিলো।
টেকনোলজি আর ডেভেলপমেন্টে জাপান পৃথিবী থেকে দশ বছর এগিয়ে আছে। পুরো পৃথিবীর খাবার ফুরিয়ে গেলেও জাপানে আগামী ত্রিশ বছরের জন্য খাবার মজুদ আছে। বোমায় কয়লা হয়ে যাওয়া জাপান পুরো দুনিয়ার গাড়ীর বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, জাপানে ভার্চুয়ালি কোনও ন্যাচারাল রিসোর্স বলতে কিছুই নেই।
জাপানের মানুষের মাঝে আছে শুধু বিনয় আর বিনয়। আর ক্ষমা প্রার্থনা। অবসরে যাওয়া জাপানি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন- কি করতে পেরেছি তার জন্য দয়া করে গুণ কীর্তন করবেন না। বরং যা করতে পারিনি সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। দু হাত একসাথে করে- জনগণের সামনে মাথা নীচু করে (যেটা জাপানি কালচার) বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন জাপানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে।
ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু (মিঃ মধু)
@মিঃ বুদ্ধিমান গাধা
#_দৃশ্যমান_জীবনের_অদৃশ্য_কাব্য✅
No comments