পাত্তা কিভাবে আদায় করতে হয়? @মিঃ মধু
পাত্তা কিভাবে আদায় করতে হয়?
• নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে গড়ে তুলুন।
• যার তার কাছে নিজেকে সহজলভ্য করবেন না।
• নিজেকে হট এবং সেক্সি রাখুন। পাত্তা পাওয়ার পরিমাণ অত্যধিক বাড়বে।
• নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন,গোছানো এবং শৃঙ্খলিত রাখুন।
• নিজেকে সর্বদা হাসিখুশি এবং উৎফুল্ল রাখুন। হাসিখুশি লোকদের অন্যরা বেশি পাত্তা দেন।
• নিজের ব্যক্তিত্বকে অন্যের কাছে বিকিয়ে দিবেন না।
• প্রয়োজন অনুযায়ী ইগো দেখাতে হলে ইগো দেখান।
• কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।
• নিজের গোপন কথা কাউকে শেয়ার করবেন না।
• নিজের সম্পর্কে রহস্য রেখে দিন।
• যতবেশি পারুন অন্যের গোপন ইনফর্মেশন কালেক্ট করুন।
• দ্বিমত পোষণ করুন, সব সময় সহমত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
• গায়ে পড়ে কাউকে দাম দিতে যাবেন না।
• নিজেকে তৈরি করুন এবং নিজের সম্পর্কে আস্থাশীল হউন।
. সর্বদা পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
কীভাবে বুঝবো? প্রিয়জনের কাছে সস্তা হয়ে গেলাম কিনা??
• আপনাকে কারণে/অকারণে ব্যস্ততা দেখাবে।
• কল রিসিভ করতে এবং মেসেজের রিপ্লাই দিতে দেরি করবে।
• আপনার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখাবে।
• আপনার মাথার উপর থেকে ভালোবাসার হাতটা সরিয়ে নিবে।
• আপনাকে আগের তুলনায় সহযোগিতা করবে না। এককথায় আপনাকে আর ভালোবাসবে না।
• আপনাকে খুব একটা পাত্তা দিতে চাইবে না।
• আপনার সাথে ভাব নিয়ে কথা বলবে এবং ইগো দেখাবে।
এজন্য করনীয় কী?
• প্রথমত কারো কাছ থেকে জোর করে পাত্তা পাওয়ার চেষ্টা করা যাবে না।
• সে যে-ই হোক না কেন,কারো কাছে নিজেকে সস্তা করবেন না।
• নিজের উপর নির্ভরশীল হোন।
• নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিন।
• প্রয়োজনে প্রিয়জনের কাছ থেকে নিজেকে উইথড্র করে নিন।
• এমন আচরণ করুন যেন প্রিয়জন আপনার সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন।
• কেউ বিজিনেস দেখালে তার সাথে যোগাযোগের কোন প্রয়োজন নেই।
• কথাবার্তায় কেউ অসংলগ্ন আচরণ করলে তাকে খুব একটা পাত্তা দিবেন না।
• কারো প্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
• নিজের মত থাকুন এবং নিজের পথে চলুন।
• আপন চরকায় তেল দিন।
• নিজেকে সর্বদা ব্যস্ত রাখুন।
১) কি আছে একজন নারীর শরীরে ?
২) কীভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায়?
৩) বউ যখন অবাধ্য হবে তখন কী করা উচিত?
৪) হিন্দুরা যদি পর্দা করতো, তাহলে কী হতো?
৫) পৃথিবীতে সবচাইতে সত্য কথা কোনগুলো ?
শুধুমাত্র টাকা দিয়ে মানুষের জীবনের-
কত শতাংশ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব?
উত্তরঃ - প্রায় সমস্ত।
অঙ্কের হিসেবে ৯৯.৫% বা তার কিছু বেশী।
এখানে দুটো ব্যাপার খোলসা করতে হবে।
প্রথমতঃ - 'শুধুমাত্র' টাকা দিয়ে কোনো সমস্যারই সমাধান হয় না। খিদে পেলে টাকা খাওয়া যায় না, বা ঘরের ছাদে ছিদ্র থাকলে তাঁর উপরে টাকা বিছিয়ে দেওয়া যায় না। তবে টাকার ব্যবহার জানলে, চটপট খাবার কিনে আনা যায়,
বা ছাদ সারাবার ব্যবস্থা করা যায়।
আর দ্বিতীয়তঃ কিছু সমস্যা রয়েছে, যার সমাধান কোনোমতেই সম্ভব নয়।
স্বভাবতঃই, টাকা দিয়েও তাঁর সমাধান হয় না।
যথা, টাকা দিয়ে অমরত্ব কেনা যায় না,
(যদিও অত্যাধুনিক চিকীৎসা কেনা যায়, আর তার সৌজন্যে কিছুধরণের মৃত্যু সাময়িকভাবে এড়ানো সম্ভব)। এজাতীয় সমস্যা, কোন উপায়েই যার সমাধান হয় না। তাকে আমি শতাংশের নিরিখে ধরতে নারাজ।
তাহলে প্রশ্নটা একটু বদলে লিখি -
জীবনের যে যে সমস্যার সমাধান বিদ্যমান, তার কত শতাংশ টাকার ব্যবহার দিয়ে সমাধান করা সম্ভব?
আমরা এই প্রশ্নের উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করব।
তাহলে আমাদের সন্ধান করতে হবে মানুষের জীবনের নানান সমস্যা, এবং তাঁর সমাধানের। আমরা ধরে নেব, 'সমস্যা' মানে প্রধানতঃ কিছু একটা প্রয়োজনীয় বস্তুর অভাব।
তা সে বস্তু কোনো মূর্ত বস্তু (খাবার, বাড়ী, পিকাসোর আঁকা ছবি, রবীন্দ্রনাথের লেখা ইত্যাদি)
বা বিমূর্ত কিছু(মানসী প্রেমিক/কা, খ্যাতি, যশ বা জীবনের অর্থ) হতে পারে।
ক্ষেত্রবিশেষে, সমস্যা অর্থ কোনোরকমের ব্যথা, বেদনা, যন্ত্রণা ইত্যাদিও হতে পারে। এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান অর্থে সেই জ্বালাযন্ত্রণার উপশম।
শুরুতেই বেসিক প্রয়োজনগুলো বাদ দিয়ে দেওয়া যায়। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, আহার-নিদ্রা-মৈথুন বিলক্ষণ টাকা দিয়ে কেনা যায়। কাজেই ম্যাসলো'জ হায়ারার্কি অফ নীডসের প্রথম থাক, শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজন আমাদের হিসেবের মধ্যেই পড়ছে।
ভালো কথা, এই বেলা ম্যাসলো' জ হায়ারার্কি অফ নীডস ঝালিয়ে নেওয়া যাক -
তাহলে দেখবেন প্রথম ঠোক্কর খেতে হচ্ছে হেলথ বা স্বাস্থ্যে এসে। তার আগের সমস্ত কিছুই টাকা দিয়ে জোটানো সম্ভব। এতে দ্বিমত থাকার কথা নয়।
কিন্তু স্বাস্থ্য কি টাকা দিয়ে ব্যবস্থা করা যায় না?
স্বস্বাদু, স্বাস্থ্যকর আহার্য, শরীরচর্চার উপকরণ, চিকিৎসাবিদের পরামর্শ, এ সমস্তই টাকা দিয়ে কেনা যায়। এর বাইরে যা রয়ে যায়, তা মানুষের ক্ষমতারই বাইরে। কাজেই তাকে আমি গ্রাহ্য করছি না।
এর পরের থাকে, যেখানে লাভ এ্যান্ড বিলঙিং এর কথা বলা রয়েছে। সেখানে আছে বন্ধুত্ব, অন্তরঙ্গতা, পরিবার ও সংযোগের কথা। কোনো মানুষের জীবনে যদি এগুলির অভাব থাকে, টাকা দিয়ে তার সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু টাকা কি বন্ধুত্বের, অন্তরঙ্গতার পথে অন্তরায়? যার বন্ধুর অভাব, তাঁর টাকা না থাকলেও কি বন্ধু থাকত?
পরবর্তী পর্যায়ে এস্টীম বা শ্রদ্ধা, আত্মপ্রত্যয়, স্ট্যাটাস, স্বাধীনতা ইত্যাদির অনেকাংশই টাকা থাকলে এমনিই আসে।
কাজেই এর বিস্তারে যাচ্ছি না।
আর সেলফ এ্যাকচুয়ালাইজেশন যে ঠিক কি বস্তু, গায়ে মাখে না মাথায় দেয়, তা অর্থাভাবী মানুষ সম্ভব গোচরেই আনেন না।
তাহলে কুল্লে দাঁড়ালো বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদি, আর স্বাস্থ্যের একটা কণা, যার অভাব টাকা দিয়ে মোচন করা যায় না।
কিন্তু প্রেম-ভালবাসা আর বন্ধুত্ব কতজন মানুষের জীবনে জোটে, তা নিয়ে আমি খুবই সন্দিহান।
ইশকুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, আপনারা আমাকে মার্জনা করবেন, আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধুত্ব বা প্রেম নিশ্চয়ই সত্য। আমি সন্দেহ প্রকাশ করছি না। তবে চল্লিশ পেরিয়ে এসে হিসেবটা ফের একবার মিলিয়ে নেবেন, কিছু কম পড়তেও পারে।
আর স্বাস্থ্যের যে কণাটি টাকার ব্যবহারে প্রাপ্য নয়, তা মানুষ জীনগতভাবে সাথে নিয়ে আসেন।
সে সমস্যার অন্য কোনো সমাধান নেই।
উত্তম প্রস্তাব! এবারে তাহলে বাকী ০.৫% কর্ণার কেস ধরা যাক, যা টাকা দিয়ে সমাধান করা যায় না, অথচ অন্য উপায়ে সমাধান সম্ভব।
ধরা যাক আপনি সদ্য-পঞ্চাশোর্ধ্ব, বাঙালী ঐতিহ্য অনুসারে কিঞ্চিত প্রেশার, কিঞ্চিত ব্লাডশুগার আর অল্প নোয়াপাতি ভুঁড়িমণ্ডিত হয়ে সুখা কালাতিপাত করছেন। সৎ কি অসৎপথে দিব্যি টু-পাইস কামিয়েছেন, অর্থের ভাবনা নেই।
প্রাসাদপ্রতিম সুরম্য অট্টালিকা, গাড়ীশালে দেশী-বিদেশী গাড়ি, শেয়ারে-বণ্ডে-সোনাদানাতে সমৃদ্ধি উপচে পড়ছে। গৃহিণীর মুখে সতত তৃপ্তি, হয়ত আড়াল-আবডালে কয়েকজন তন্বঙ্গী অর্থলোভী প্রনয়িনীও।
হেনকালে এক মুখপোড়া ডাক্তার আপনাকে জানালো, এবারে আপনার খানিকটা অঙ্গসঞ্চালনা করা স্বাস্থ্যের খাতিরে আশু প্রয়োজন।
নইলে অচিরেই নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থাতে আপনাকে যদি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বসার ঘরের বাহাত্তর ইঞ্চি টেলিভিশন, আর নরম গদি আঁটা সোফাসেট বিরহাতুর ডাক দেয়।
আর আপনার তা উপেক্ষা করার মনোবল না থাকে, তাহলে সে সমস্যা টাকা দিয়ে সমাধান করা প্রায় অসম্ভব। আপনাকেই গতর নাড়িয়ে তার সমাধান করতে হবে, মাইনে করে একটা লোক রেখে তাকে দিয়ে ব্যায়াম করিয়ে নিলে চলবে না।
অথচ আপনার সামান্য টানাটানির সংসার হলে এরকম ডাক্তারী নিদান আপনার কাছে আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে!! আপনার বাজার ফেরত রিকশা চড়া বন্ধ করে দিলেই একাধারে কার্ডিও এবং ওয়েট ট্রেনিং, সাথে সাথে মাসিক কয়েকশ টাকা সাশ্রয়!!
ব্যস! এজাতীয় 'মোটিভেশনের অভাব' ছাড়া আর প্রায় সমস্ত সমস্যাই টাকা দিয়ে সমাধান করা সম্ভব।
পোস্ট'টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মওদুদ আহমেদ (মধু)
No comments