কিভাবে বুঝবেন যে আপনি বুদ্ধিমান? শিক্ষনীয় চারটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল । @মিঃ মধু
কিভাবে বুঝবেন যে আপনি বুদ্ধিমান?
শিক্ষনীয় চারটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল
কিভাবে বুঝবেন যে আপনি বুদ্ধিমান?
মানুষের বুদ্ধিমত্তা নিজে থেকে নির্ণয় করা যায় না।
এমনকি অন্যরা আপনাকে যদি বুদ্ধিমান বলে মনে নাও করে তার পরেও,
আপনার কিছু লক্ষণ দেখে বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
এ লেখায় দেওয়া হলো ১৬টি লক্ষণ, যা আপনার বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করে।
একটা উদাহারন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
২. সচেতন হোনঃ---
৩. চুপ করে যানঃ---
৪. প্রত্যাশাঃ---
৫. মেডিটেশনঃ---
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার এই ৫ টি টেকনিক ব্যাবহার করলে আশা করি একসময় পুরোপুরি ভাবেই নিজের উপর কন্ট্রোল আনতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি আপনার জীবনের অনেক অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
টেনশন বা দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। টেনশন ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া আজকাল কঠিন ব্যাপার!
বিভিন্ন গবেষনার ফলে প্রমানিত হয়েছে, মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে।
নিউ ইয়র্কের রচেস্টার মেডিকল সেন্টারের সেন্টার ফর মাইন্ড-বিডি রিসার্চ’য়ের মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথি হেফনার বলেন “বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে— দুশ্চিন্তা, স্বল্পপুষ্টির খাবার খাওয়া বা ব্যায়াম করার অনীহার ফলে যেসব ঝুঁকি থাকে মানসিক চাপের ফলেও সৃষ্ট সমস্যাগুলো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে”
সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার কিছু উপায় জানানো হয়। যেগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে হৃদয়ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
ড. হেফনার বলেন “ইয়োগা, ধ্যান কিংবা তাই-চি ইত্যাদি শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।”
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন। বিভিন্ন দুরারোগ্য শারীরিক সমস্যার মধ্যে গা-ব্যথা অন্যতম। পরে যা থেকে হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে।
এ সম্পর্কে ‘টেক্সাস এঅ্যান্ডএম হেল্থ সায়েন্স সেন্টার কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের সহকারী অধ্যাপক জন সিমন্স জুনিয়র বলেন “নিয়মিত দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে অন্যসব ব্যস্ততার কথা ভুলে একান্ত মনে বিশ্রাম শরীরের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে।”
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
সবসময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যে পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনও হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়।
একটি গবেষনায় দেখা গেছে মানসিক চাপ থেকে সাধারণত মহিলারা একধরনের কণ্ঠনালীর প্রদাহ, হৃদপিণ্ডসক্রান্ত বুকের ব্যাথা এবং অন্যান্য সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে তারা যখন হার্ট-অ্যাটাকের পরে সময়টায় পরিবার বা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত মানসিক সহায়তা পাননা।
তাই একাকী ঘরে বসে না থেকে আজই বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।
হেফনার এর মতে “আপনার বন্ধুরা যদি স্বার্থপর হয় তবে অনেক বন্ধু থাকলেও তা খুব একটা উপকারী হবে না।”
নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন
যারা সাধারনণত “টাইপ এ” চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন।
হেফনারের মতে এ ধরনের অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।
তিনি বলেন “টাইপ এ চরিত্রের পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে এধরনের মনোভাব ব্যক্তিমনে অন্যদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ তৈরি করে।”
গবেষনায় দেখা গেছে, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব উচ্চ রক্তচাপ এবং মুটিয়ে যাওয়ার মূল কারণ যা পরে হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কেননা আশাবাদী মনোভাব আপনার হ্রদযন্ত্র রাখবে সুরক্ষিত এবং বিপদমুক্ত।
ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন
মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। গবেষনায় দেখা গিয়েছে ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।
ডক্টর সিমন্স বলেন “আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাঁড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সবসসময়।”
এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ক্যথি হেফনার ক্ষমাশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ফলে সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে যা সুরক্ষিত রাখবে হৃদযন্ত্র।
প্রাণ খুলে হাসুন
২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায় সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামুলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন। আর নিয়মিত ক্যালরি পোড়ানোর মাধ্যমে স্থুলতার হাত থেকে বাঁচা যায় যা কিনা দীর্ঘ সময় ধরে হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখার ভালো একটি উপায়।
নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।
আপনি যত বেশি হাসবেন, তত বেশি ক্যালরি পুড়বে এবং হৃদযন্ত্র হবে শক্তিশালী।
অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
অতিরিক্ত মদ্যপান দেহে ট্রাইগ্লিসারিনের এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদপিণ্ড অকার্যকর করে দিতে পারে।
অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বরং দেহকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বলতে পুরুষদের জন্য দিনে বড়জোর দু’গ্লাস এবং মহিলাদের জন্য দিনে খুব বেশি হলে এক গ্লাস বোঝায়।
এ ব্যাপারে ডক্টর সিমন্স সতর্ক করে দিয়ে জানান, যারা মদ পান করেন না তাদের জন্য এটা কখনোই মদ পান শুরু করার কারণ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, “তবে যদি এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়ার নিশ্চয়তা চান তবে তা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।”
ক্যাফেইন নেওয়া কমিয়ে দিন
ক্যাফেইন খুব দ্রুত আপনার ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে তুলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা তখনই ভালো যদি আপনি কোনও হিংস্র বাঘের মুখে পড়েন।
তবে সামান্য কারণ যেমন ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ার ফলে যদি এমন হয় তবে তা চিন্তার কারণ বৈকি। মানসিক চাপ বাড়ানোর হরমোনের নিঃসরণের ফলে শরীরব্যথা শুরু হয়।
তাই ঘন ঘন চা-কফি খাওয়ার অভ্যেস ছাড়ুন। কেননা এসবে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।
এমনকি জিরো-ক্যালরি বা চিনিহীন বলে বাজারজাত করা কোমল পানীয় থেকেও নিজেকে দূরে রাখুন কেননা গবেষনায় দেখা গিয়েছে, এ ধরনের কোমল পানীয় পান করলে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।
অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন
তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের প্রতি অতিরিক্ত আবেগী মনোভাব দূর করা উচিত।
উদাহরনস্বরূপ, গবেষকদের মতে প্রিয় ফুটবল দলের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেড়ে যায়।
তাই তুচ্ছ কারণে উত্তেজিত হবেন না। কারণ জীবনের মূল্য এর চেয়ে ঢের বেশি।
সঠিক খাবার খান
লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কম পরিমাণে এবং শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং শস্যদানা বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রেণে রাখবে না পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর হঠাৎ বিপদের হাত থেকে দূরে থাকা যাবে।
এ সম্পর্কে ডক্টর সিমন্স বলেন “সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে শরীর সারাদিন স্থিতিশীল থাকবে। ফলে একেক সময় একেক রকম বোধ করবেন না এবং কখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেন না।”
তাছাড়া হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ বহুমুত্র রোগ থেকে দূরে রাখে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাহায্য নিন
মানসিক অবসাদের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং আয়ু কমে যেতে পারে। অবসাদে ভুগলে মনোরোগবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সাইকোথ্যারাপি নিন।
দ্য ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের মতে মানসিক অবসাদনাশক নানান রকম ওষুধ রয়েছে যা দেহে রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। তবে এসব ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ব্যবহারবিধি জানতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
বর্তমানে মানুষদের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সুস্থ থাকতে হলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। এক্ষেত্রে সময়ের চেয়ে কতটা নিশ্চিন্তে ঘুমোনো গেলো তা বেশি গুরুত্বপূর্ন।
‘Sleep apnea’ এমন একটি অবস্থা যার ফলে ব্যক্তি নিঃশ্বাসে অসুবিধার কারণে ঘুম থেকে পর্যায়ক্রমে জেগে ওঠে। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যে ব্যক্তি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারেন তার ঘুমচক্র স্বাভাবিকভাবে পূর্ণ হয় না। আর রাতের বেলা স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কম থাকে এবং শরীরে হরমোন কম উৎপন্ন হয়। যা থেকে হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বেশি করে পরিশ্রম করুন
রোগমুক্ত থাকতে চান? তাহলে নিয়মিত হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা কিংবা নাচের অভ্যাস করুন। এসব কর্মকাণ্ড শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে এবং ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে। কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
একের পর এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে, বাগান করার মতো কাজের মাধ্যমেও অনেক সুফল পাওয়া যায়। কারণ তা হৃদপিণ্ডকে সক্রিয় রাখে এবং রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের মতে দৈনিক বা সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন অন্তত ৩০ মিনিট এ ধরনের পরিশ্রম করা উচিত। তবে কোন ব্যায়াম দিয়ে শুরু করবেন তা ঠিক করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আর্টিকেল নং-০৪
আজ আপনি যা শিখতে পারেন?
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছেলেটি মোবাইলে কি যেনো একটা দেখছে!
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. সঙ্গীত শেখা ---
১. সঙ্গীত শেখা ---
সঙ্গীতের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক পাওয়া গেছে বহু গবেষণাতেই।
গবেষকরা জানিয়েছেন আপনি যদি সঙ্গীত অনুশীলন করেন তাহলে আপনার বুদ্ধিমত্তা বেশি হবে।
২. বড় ভাই---
২. বড় ভাই---
ছোট ভাইদের সামনে বড় ভাইকে নানা অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করতে হয়।
পরিবারের বড় ভাই প্রায়ই অন্য ভাইদের তুলনায় বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
৩. হালকা-পাতলা---
৩. হালকা-পাতলা---
হালকা-পাতলা দেহের অধিকারীরা অন্যদের তুলনায় বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
বিভিন্ন গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
৪. বিড়াল পোষা---
৪. বিড়াল পোষা---
২০১৪ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা কুকুর পালন করে,
তাদের তুলনায় বিড়াল পালনকারীরা বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
৫. মায়ের দুধ খাওয়া---
৫. মায়ের দুধ খাওয়া---
যে মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের সন্তানের বুদ্ধি ভালো হয়।
তবে অন্য খাবার খেয়ে থাকলে সে তুলনায় বুদ্ধি কম হতে পারে।
৬. বিনোদনমূলক ওষুধ---
৬. বিনোদনমূলক ওষুধ---
২০১২ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা বিনোদনমূলক নানা ওষুধ সেবন করেন,
তাদের আইকিউ বেশি থাকে।
৭. বাঁহাতি---
৭. বাঁহাতি---
ডান হাত যারা ব্যবহার করেন তাদের তুলনায় বাঁ হাত ব্যবহারকারীরা বুদ্ধিমান হয়।
৮. লম্বা ---
৮. লম্বা ---
খাটো মানুষদের তুলনায় লম্বাদের আইকিউ বেশি হয়ে থাকে।
২০০৮ সালের এক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
৯. তাড়াতাড়ি পড়া---
৯. তাড়াতাড়ি পড়া---
২০১২ সালে গবেষকরা দুই হাজার জোড়া একই ধরনের যমজ সন্তানের ওপর গবেষণা করেন।
এতে তারা উভয়ের মাঝে যারা তাড়াতাড়ি পড়া শিখেছে তাদের মধ্যে,
বেশি বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখতে পান।
সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত?????
১০. ভীত---
সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত?????
১০. ভীত---
এক গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত নানা কারণে ভয় পায় তাদের বুদ্ধি বেশি হয়।
১১. মজার---
১১. মজার---
বুদ্ধিমান মানুষের রসবোধ ভালো হয়। এক গবেষণায় দেখা যায়,
যারা রসিক মানুষ এবং নানাভাবে অন্যদের হাসাতে পারে তাদের বুদ্ধিমত্তা অন্যদের তুলনায় বেশি।
১২. কৌতুহলী---
১২. কৌতুহলী---
কৌতুহলী মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
বিভিন্ন গবেষণাতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
১৩. অগোছালো---
১৩. অগোছালো---
অগোছালো মানুষ বনাম গোছালো মানুষের মাঝে এক তুলনামূলক গবেষণায় দেখা যায়,
অগোছালো মানুষই বেশি বুদ্ধিমান।
১৪. প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত যৌনতা নয়---
১৪. প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত যৌনতা নয়---
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের আইকিউ স্কোর ভালো তারা সাধারণত স্কুলে থাকতে,
কিংবা অল্পবয়সে যৌনতায় লিপ্ত হয় না। অনেক বয়স পর্যন্ত তারা তাদের কৌমার্য ধরে রাখে।
১৫. রাতজাগা পাখি---
১৫. রাতজাগা পাখি---
রাতে যারা জেগে থাকেন তাদের বুদ্ধি অন্যদের তুলনায় বেশি হয় বলেই উঠে এসেছে গবেষণায়।
এতে জানা গেছে, সকালে যারা ঘুম থেকে ওঠে তাদের তুলনায় ‘রাতজাগা পাখিরা’ বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
১৬. প্রায়ই কঠোর পরিশ্রমী নয়---
১৬. প্রায়ই কঠোর পরিশ্রমী নয়---
বুদ্ধিমান মানুষ সর্বদা কঠোর পরিশ্রমী হয় না।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আলসে মানুষ মাত্রই যে, বুদ্ধিমান তা নয়। তবে বহু আলসে মানুষই বুদ্ধিমান।
কঠোর পরিশ্রমের ক্ষেত্রে তারা সর্বদা যে সামনে এগিয়ে যায়, এমনটা নয়।
আর্টিকেল নং-০২
রাগ কীভাবে কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
এটির আসল উত্তর ছিল: কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবো?
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু কার্যকর টিপস
ব্যাক্তিগত ভাবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমি কিছু ছোট ছোট হ্যাবিটস, স্ট্রাটেজি এবং ট্রিকস ব্যাবহার করি।এবং সেগুলো অত্যান্ত ফলপ্রসূ। যার ফল আমি নিজেই পাচ্ছি।
আমাদের সবচাইতে বড় এনিমি গুলোর মধ্যে একটা হলো রাগ।যেটার বসবাস আমাদের নিজেদের ই মধ্যে।আমরাই এটাকে পেলে পুষে বড় করি এবং এক সময় এটাই আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রাগ সবার ই আছে।জী,প্রত্যেকটা মানুষের ই রাগ হতে পারে।কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ ই রেগে গেলে সেটা অন্যদের বুঝতে দেয় ব্যাপারটা এমন না।এই অন্যকে বুঝতে না দেওয়ার অভিনয়ে যে যত দক্ষ।নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণের কৌশলেও সে তত বেশি পটু।
তবে কিছু মানুষ যেন সব সময় রেগে যাওয়ার জন্যই উৎ পেতে থাকে।তারা হুটহাট কারণে অকারণে রেগে যায়।
"রেগে যাওয়া"–ভেবে দেখুন তো কতবার এই একটা কারণে আপনার ফ্যামিলিতে অশান্তি হয়েছে?ফ্রেন্ডদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে?আপনার ওয়াইফের সাথে ঝগড়া হয়েছে?অফিসের বসের সাথে ঝামেলা হয়েছে? কাস্টমার বা ক্লায়েন্টের সাথে মিস আন্ডার্স্টেন্ডিং হয়েছে অনেক বার, তাই না?
রাগ কীভাবে কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
এটির আসল উত্তর ছিল: কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবো?
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু কার্যকর টিপস
ব্যাক্তিগত ভাবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমি কিছু ছোট ছোট হ্যাবিটস, স্ট্রাটেজি এবং ট্রিকস ব্যাবহার করি।এবং সেগুলো অত্যান্ত ফলপ্রসূ। যার ফল আমি নিজেই পাচ্ছি।
আমাদের সবচাইতে বড় এনিমি গুলোর মধ্যে একটা হলো রাগ।যেটার বসবাস আমাদের নিজেদের ই মধ্যে।আমরাই এটাকে পেলে পুষে বড় করি এবং এক সময় এটাই আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রাগ সবার ই আছে।জী,প্রত্যেকটা মানুষের ই রাগ হতে পারে।কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ ই রেগে গেলে সেটা অন্যদের বুঝতে দেয় ব্যাপারটা এমন না।এই অন্যকে বুঝতে না দেওয়ার অভিনয়ে যে যত দক্ষ।নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণের কৌশলেও সে তত বেশি পটু।
তবে কিছু মানুষ যেন সব সময় রেগে যাওয়ার জন্যই উৎ পেতে থাকে।তারা হুটহাট কারণে অকারণে রেগে যায়।
"রেগে যাওয়া"–ভেবে দেখুন তো কতবার এই একটা কারণে আপনার ফ্যামিলিতে অশান্তি হয়েছে?ফ্রেন্ডদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে?আপনার ওয়াইফের সাথে ঝগড়া হয়েছে?অফিসের বসের সাথে ঝামেলা হয়েছে? কাস্টমার বা ক্লায়েন্টের সাথে মিস আন্ডার্স্টেন্ডিং হয়েছে অনেক বার, তাই না?
সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত?????
এখন প্রশ্ন হলো আমরা কেন রেগে যাই?
রাগ করার মতো অনেক কারণ থাকতে পারে। এমন কোনো কাজ বা আচরণ যেটা কেউ একজন একদম অপছন্দ করে। সেটা যখন কেউ সেই ব্যাক্তির সামনে অন্যকারো সাথে করে তখন কিছু লোক রেগে যায়।
অপছন্দের কাজ গুলো যখন তাদের সাথেই ঘটে তখন ও কিছু মানুষ রেগে যায়।
আবার এমন অনেক মানুষ আছে।তারা অনেক কোল্ড মস্তিষ্কের হয়ে থাকে।রেগে যাওয়ার মতো অনেক গুলো লজিক্যাল কারণ থাকা সত্যেও তারা রেগে যায় না।নিজেকে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
রাসুল (সাঃ) এর কাছে একবার এক লোক এসে বলেন যে,"আমাকে কিছু উপদেশ দিন?"
নবী বলেন,"তুমি রাগ করো না।"
লোকটি পুনরায় বলে,"আমাকে আরেকটি উপদেশ দিন?"
নবী (সাঃ) আবার বলেন,"তুমি রাগ করো না।"
এভাবে আবার উপদেশ চাইলে তিন তিন বারই সে এক ই উপদেশ পায়।যে "তুমি রাগ করোনা।"
ইসলামেও রাগ না করার জন্য যথেষ্ট জোর দেয়া হয়েছে।এবং রাগ করাকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাগ না করার অভ্যাস আপনাকে সুখী করে তুলতে না পারলেও।আপনার জীবন থেকে অনেক দুঃখ মাইনাস করে দিতে পারবে।রাগ নিয়ন্ত্রণ এর মত এরকম একটা গুড হ্যাবিটস এর জন্য আপনি এবং আপনার সংস্পর্শে থাকা মানুষদের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে আশা করি।
এখন প্রশ্ন হলো আমরা কেন রেগে যাই?
রাগ করার মতো অনেক কারণ থাকতে পারে। এমন কোনো কাজ বা আচরণ যেটা কেউ একজন একদম অপছন্দ করে। সেটা যখন কেউ সেই ব্যাক্তির সামনে অন্যকারো সাথে করে তখন কিছু লোক রেগে যায়।
অপছন্দের কাজ গুলো যখন তাদের সাথেই ঘটে তখন ও কিছু মানুষ রেগে যায়।
আবার এমন অনেক মানুষ আছে।তারা অনেক কোল্ড মস্তিষ্কের হয়ে থাকে।রেগে যাওয়ার মতো অনেক গুলো লজিক্যাল কারণ থাকা সত্যেও তারা রেগে যায় না।নিজেকে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
রাসুল (সাঃ) এর কাছে একবার এক লোক এসে বলেন যে,"আমাকে কিছু উপদেশ দিন?"
নবী বলেন,"তুমি রাগ করো না।"
লোকটি পুনরায় বলে,"আমাকে আরেকটি উপদেশ দিন?"
নবী (সাঃ) আবার বলেন,"তুমি রাগ করো না।"
এভাবে আবার উপদেশ চাইলে তিন তিন বারই সে এক ই উপদেশ পায়।যে "তুমি রাগ করোনা।"
ইসলামেও রাগ না করার জন্য যথেষ্ট জোর দেয়া হয়েছে।এবং রাগ করাকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাগ না করার অভ্যাস আপনাকে সুখী করে তুলতে না পারলেও।আপনার জীবন থেকে অনেক দুঃখ মাইনাস করে দিতে পারবে।রাগ নিয়ন্ত্রণ এর মত এরকম একটা গুড হ্যাবিটস এর জন্য আপনি এবং আপনার সংস্পর্শে থাকা মানুষদের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে আশা করি।
সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত?????
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৫ টি কৌশল।
প্রথমেই যে কৌশল টির কথা বলবো সেটা হলোঃ
১. ৯০/১০ প্রিন্সিপালঃ----
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৫ টি কৌশল।
প্রথমেই যে কৌশল টির কথা বলবো সেটা হলোঃ
১. ৯০/১০ প্রিন্সিপালঃ----
৯০/১০ প্রিন্সিপাল মানে হলো,আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ১০% সমস্যা ইশ্বর প্রদত্ত আসে বা এই ১০% এর উপর আমাদের কোনো হাত থাকে না।আর বাকি ৯০% আমাদের রিয়েকশন মাত্র।
ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। এমন সময় কারো সাথে ধাক্কা লেগে আপনি রাস্তায় পরে গেলেন। হয় আপনি ভুল করে ধাক্কা খেয়েছেন নয় তো ওই লোকটি ভুল বসত ধাক্কা দিয়ে দিয়েছে।
বা তার পায়ে উষ্টা খেয়েই আপনি পরে গেলেন। অসম্ভব নয় কিন্তু! তাইনা?
এখন আপনি উঠে দাড়িয়ে ওই বেচারার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে দিলেন। যে রাস্তায় আপনি পরে গিয়েছিলেন সেই রাস্তায় তাকে নিয়ে লুটুপুটি খেলেন।অথবা আপনি উনার নাক ফাটিয়ে দিলেন বা উনি আপনার মুখ ফাটিয়ে দিলো। এটাও অসম্ভব না!
এখন কথা হলো,এখানে আপনার পরে যাওয়ার ঘটনা টা ছিলো আপনার সমস্যার ১০%।
এখন আপনি উঠে দাড়িয়ে ওই বেচারার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে দিলেন। যে রাস্তায় আপনি পরে গিয়েছিলেন সেই রাস্তায় তাকে নিয়ে লুটুপুটি খেলেন।অথবা আপনি উনার নাক ফাটিয়ে দিলেন বা উনি আপনার মুখ ফাটিয়ে দিলো। এটাও অসম্ভব না!
এখন কথা হলো,এখানে আপনার পরে যাওয়ার ঘটনা টা ছিলো আপনার সমস্যার ১০%।
আর আপনার রিয়েকশনের ভিত্তিতে যে যে কাহিনিটা হলো সেটা হলো ৯০%।
পরে যাওয়ার পর আপনি সেখান থেকে ভদ্র ভাবে উঠে দাড়িয়ে,তাকে স্যরি বলে চলে আসতে পারতেন।অথবা চুপ করে যেতে পারতেন।এতে করে হয়তো ওই লোকটাই স্যরি বলে আপনাকে টেনে তুলতো।
পরে যাওয়ার পর আপনি সেখান থেকে ভদ্র ভাবে উঠে দাড়িয়ে,তাকে স্যরি বলে চলে আসতে পারতেন।অথবা চুপ করে যেতে পারতেন।এতে করে হয়তো ওই লোকটাই স্যরি বলে আপনাকে টেনে তুলতো।
কিন্তু সেটা না করে আপনি ১০% ঘটনার প্রেক্ষিতে রেগে যেয়ে সেটাকে বাড়িয়ে দিলেন।
অথবা আপনার কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী আপনার অপছন্দের কোনো কাজ করলো।
অথবা আপনার কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী আপনার অপছন্দের কোনো কাজ করলো।
তাহলে আপনার অপছন্দনিয় কাজটা হবে সমস্যার ১০% আর আপনি যদি তার সাথে
রাগারাগি করে সম্পর্কে চির ধরান তাহলে সেটা ৯০% সমস্যায় গিয়ে ঠেকবে।
আশা করি এখন বুঝাতে পেরেছি?
আশা করি এখন বুঝাতে পেরেছি?
আপনার আশেপাশে কেউ যদি কারো সাথে রেগে গিয়ে বাজে বিহেভ করে তাহলে সেটা চুপচাপ দেখুন।বিষয়টি ফিল করার চেস্টা করুন।কেউ যখন কারো সাথে রাগারাগি করে তখন রেগে যাওয়া মানুষটিকে দেখতে খুব বাজে দেখায়। তার প্রতি একটা নেগেটিভ ধারণা আমাদের মনে ঝেঁকে বসে।আপনি যদি রেগে যাওয়া মানুষটির আচরণ কে গভির ভাবে অনুধাবন করতে পারেন এবং আপনার মধ্যে যদি সামান্য পরিমাণ সেল্ফ রেসপেক্ট থাকে। তাহলে আপনি কারো সাথে অযথা রেগে গিয়ে নিজের চেহারাকে বিকৃত করে বাজে ভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন না।এবং এতে করে আপনার রাগ অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৩. চুপ করে যানঃ---
রেগে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা যদি আপনার সাথে ঘটে কিংবা কখনো কাউকে রেগে গিয়ে যদি করা কোনো জবাব দিতে ইচ্ছা করে। তাহলে আমি বলবো,৩০–৪০ সেকেন্ডের জন্য চুপ করে যান,সাথে সাথে একশন নিবেন না।তাহলে দেখবেন হয় আপনার জবাব দেওয়ার সিস্টেম টা ভিন্ন হয়ে গিয়েছে নয়তো আপনার জবাব দিতেই ইচ্ছা করবে না।এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।একবার ব্যাবহার করলে আপনার রাগ আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৪. প্রত্যাশাঃ---
নিজেকে প্রশ্ন করুন।অন্যের কাছ থেকে যে রকম আচরণ প্রত্যাশা করেন।
আপনি নিজেই কেন তাদের সাথে তেমন আচরণ করছেন না?
৫. মেডিটেশনঃ---
শুধু রাগ কমানোই নয় নিজের উপর নিজের কর্তিত্ব প্রতিষ্টা, মনযোগ বৃদ্ধি, ডিপলি থিংকিং সহ আরো অসংখ্য কাজের জন্য মেডিটেশন একটি উত্তম পন্থা।প্রতিদিন ১৫–২০ মিনিট মেডিটেশন আপনার জীবন কে বদলে দিতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার এই ৫ টি টেকনিক ব্যাবহার করলে আশা করি একসময় পুরোপুরি ভাবেই নিজের উপর কন্ট্রোল আনতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি আপনার জীবনের অনেক অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
আর্টিকেল নং-০৩
দুশ্চিন্তা (টেনশন) থেকে কিভাবে দূরে থাকা যায়?
দুশ্চিন্তা (টেনশন) থেকে কিভাবে দূরে থাকা যায়?
টেনশন বা দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। টেনশন ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া আজকাল কঠিন ব্যাপার!
বিভিন্ন গবেষনার ফলে প্রমানিত হয়েছে, মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে।
নিউ ইয়র্কের রচেস্টার মেডিকল সেন্টারের সেন্টার ফর মাইন্ড-বিডি রিসার্চ’য়ের মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথি হেফনার বলেন “বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে— দুশ্চিন্তা, স্বল্পপুষ্টির খাবার খাওয়া বা ব্যায়াম করার অনীহার ফলে যেসব ঝুঁকি থাকে মানসিক চাপের ফলেও সৃষ্ট সমস্যাগুলো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে”
সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার কিছু উপায় জানানো হয়। যেগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে হৃদয়ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
ড. হেফনার বলেন “ইয়োগা, ধ্যান কিংবা তাই-চি ইত্যাদি শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।”
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন। বিভিন্ন দুরারোগ্য শারীরিক সমস্যার মধ্যে গা-ব্যথা অন্যতম। পরে যা থেকে হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে।
এ সম্পর্কে ‘টেক্সাস এঅ্যান্ডএম হেল্থ সায়েন্স সেন্টার কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের সহকারী অধ্যাপক জন সিমন্স জুনিয়র বলেন “নিয়মিত দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে অন্যসব ব্যস্ততার কথা ভুলে একান্ত মনে বিশ্রাম শরীরের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে।”
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
সবসময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যে পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনও হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়।
একটি গবেষনায় দেখা গেছে মানসিক চাপ থেকে সাধারণত মহিলারা একধরনের কণ্ঠনালীর প্রদাহ, হৃদপিণ্ডসক্রান্ত বুকের ব্যাথা এবং অন্যান্য সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে তারা যখন হার্ট-অ্যাটাকের পরে সময়টায় পরিবার বা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত মানসিক সহায়তা পাননা।
তাই একাকী ঘরে বসে না থেকে আজই বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।
হেফনার এর মতে “আপনার বন্ধুরা যদি স্বার্থপর হয় তবে অনেক বন্ধু থাকলেও তা খুব একটা উপকারী হবে না।”
নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন
যারা সাধারনণত “টাইপ এ” চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন।
হেফনারের মতে এ ধরনের অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।
তিনি বলেন “টাইপ এ চরিত্রের পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে এধরনের মনোভাব ব্যক্তিমনে অন্যদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ তৈরি করে।”
গবেষনায় দেখা গেছে, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব উচ্চ রক্তচাপ এবং মুটিয়ে যাওয়ার মূল কারণ যা পরে হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কেননা আশাবাদী মনোভাব আপনার হ্রদযন্ত্র রাখবে সুরক্ষিত এবং বিপদমুক্ত।
ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন
মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। গবেষনায় দেখা গিয়েছে ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।
ডক্টর সিমন্স বলেন “আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাঁড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সবসসময়।”
এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ক্যথি হেফনার ক্ষমাশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ফলে সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে যা সুরক্ষিত রাখবে হৃদযন্ত্র।
প্রাণ খুলে হাসুন
২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায় সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামুলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন। আর নিয়মিত ক্যালরি পোড়ানোর মাধ্যমে স্থুলতার হাত থেকে বাঁচা যায় যা কিনা দীর্ঘ সময় ধরে হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখার ভালো একটি উপায়।
নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।
আপনি যত বেশি হাসবেন, তত বেশি ক্যালরি পুড়বে এবং হৃদযন্ত্র হবে শক্তিশালী।
অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
অতিরিক্ত মদ্যপান দেহে ট্রাইগ্লিসারিনের এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদপিণ্ড অকার্যকর করে দিতে পারে।
অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বরং দেহকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বলতে পুরুষদের জন্য দিনে বড়জোর দু’গ্লাস এবং মহিলাদের জন্য দিনে খুব বেশি হলে এক গ্লাস বোঝায়।
এ ব্যাপারে ডক্টর সিমন্স সতর্ক করে দিয়ে জানান, যারা মদ পান করেন না তাদের জন্য এটা কখনোই মদ পান শুরু করার কারণ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, “তবে যদি এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়ার নিশ্চয়তা চান তবে তা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।”
ক্যাফেইন নেওয়া কমিয়ে দিন
ক্যাফেইন খুব দ্রুত আপনার ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে তুলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা তখনই ভালো যদি আপনি কোনও হিংস্র বাঘের মুখে পড়েন।
তবে সামান্য কারণ যেমন ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ার ফলে যদি এমন হয় তবে তা চিন্তার কারণ বৈকি। মানসিক চাপ বাড়ানোর হরমোনের নিঃসরণের ফলে শরীরব্যথা শুরু হয়।
তাই ঘন ঘন চা-কফি খাওয়ার অভ্যেস ছাড়ুন। কেননা এসবে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে।
এমনকি জিরো-ক্যালরি বা চিনিহীন বলে বাজারজাত করা কোমল পানীয় থেকেও নিজেকে দূরে রাখুন কেননা গবেষনায় দেখা গিয়েছে, এ ধরনের কোমল পানীয় পান করলে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।
অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন
তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের প্রতি অতিরিক্ত আবেগী মনোভাব দূর করা উচিত।
উদাহরনস্বরূপ, গবেষকদের মতে প্রিয় ফুটবল দলের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেড়ে যায়।
তাই তুচ্ছ কারণে উত্তেজিত হবেন না। কারণ জীবনের মূল্য এর চেয়ে ঢের বেশি।
সঠিক খাবার খান
লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কম পরিমাণে এবং শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং শস্যদানা বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রেণে রাখবে না পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর হঠাৎ বিপদের হাত থেকে দূরে থাকা যাবে।
এ সম্পর্কে ডক্টর সিমন্স বলেন “সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে শরীর সারাদিন স্থিতিশীল থাকবে। ফলে একেক সময় একেক রকম বোধ করবেন না এবং কখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেন না।”
তাছাড়া হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ বহুমুত্র রোগ থেকে দূরে রাখে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাহায্য নিন
মানসিক অবসাদের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং আয়ু কমে যেতে পারে। অবসাদে ভুগলে মনোরোগবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সাইকোথ্যারাপি নিন।
দ্য ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের মতে মানসিক অবসাদনাশক নানান রকম ওষুধ রয়েছে যা দেহে রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। তবে এসব ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ব্যবহারবিধি জানতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
বর্তমানে মানুষদের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সুস্থ থাকতে হলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। এক্ষেত্রে সময়ের চেয়ে কতটা নিশ্চিন্তে ঘুমোনো গেলো তা বেশি গুরুত্বপূর্ন।
‘Sleep apnea’ এমন একটি অবস্থা যার ফলে ব্যক্তি নিঃশ্বাসে অসুবিধার কারণে ঘুম থেকে পর্যায়ক্রমে জেগে ওঠে। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যে ব্যক্তি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারেন তার ঘুমচক্র স্বাভাবিকভাবে পূর্ণ হয় না। আর রাতের বেলা স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কম থাকে এবং শরীরে হরমোন কম উৎপন্ন হয়। যা থেকে হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বেশি করে পরিশ্রম করুন
রোগমুক্ত থাকতে চান? তাহলে নিয়মিত হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা কিংবা নাচের অভ্যাস করুন। এসব কর্মকাণ্ড শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে এবং ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে। কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
একের পর এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে, বাগান করার মতো কাজের মাধ্যমেও অনেক সুফল পাওয়া যায়। কারণ তা হৃদপিণ্ডকে সক্রিয় রাখে এবং রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের মতে দৈনিক বা সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন অন্তত ৩০ মিনিট এ ধরনের পরিশ্রম করা উচিত। তবে কোন ব্যায়াম দিয়ে শুরু করবেন তা ঠিক করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আজ আপনি যা শিখতে পারেন?
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছেলেটি মোবাইলে কি যেনো একটা দেখছে!
অন্ধকার গাঢ় আবছা, কানে ইয়ারফোন।
দেখছে যিনার দৃশ্য। স্বাদ নিচ্ছে তার চোখ। বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ছেলেটি দেখছে গোপনে নিকৃষ্ট দৃশ্যগুলি।
নিস্তব্ধ রাত ১১ টা বেজে ২০ মিনিট। নেকেড দেখছে, বা অবৈধ কোনো নারীর সাথে যিনার আলাপ করছে নিভৃতে। কত স্বাদ গুনাহ করতে!
হঠাৎ - আচমকা শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো! ছেলেটির মনে হলো কে যেনো ঢুকেছে রুমে কিন্তু, রুমের দরজা তো আটকানো। কি ব্যাপার, কে ঢুকলো রুমে অন্ধকারে?
হঠাৎ - শরীরটা শিউরে উঠলো। অজানা কেমন একটা শব্দ কানে বাজলো। অনুভব করতে পারলো, কেনো জানি শরীরটা অবস হয়ে যাচ্ছে!
- হঠাৎ বা দিকে দেখলো এটা কি?
- ওমাহ কে এটা? বিশাল বড় কে? আমার পাশে দাড়িয়ে আছে। কিভাবে ঢুকলো রুমে, হায় মাবুদ এ কেমন ভয়ানক মূর্তি দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। থর থর করে কাপছে শরীর, হাত থেকে বুকের উপর পড়লো মোবাইলটা।
নেকেড চলছে পুরোদমে। মোবাইলটা বুকের উপর থেকে পিছলে ছেলেটির গায়ের পাশে গিয়ে পড়লো, কিন্তু চলছে উলঙ্গ নারী - পুরুষের যিনার ভিডিও।
হয়তো মৃত্যুর ডাক পড়ে গেলো তার।
- সে দেখছে মালাকুল মউতকে দাড়িয়ে আছে মৃত্যু দূত।
একটু আগেও দেহটা ছিলো অনেক গরম, কিন্তু মুহূর্তেই ঝিম মেরে ঠান্ডা হয়ে গেছে। মৃত্যু আজ তার সামনে, মনে মনে ভাবছে হায় আপসোস! একটু যদি তওবা করতে পারতাম! কিন্তু সময় যে আর নেই।
ছেলেটি পাপ ছাড়তে পারেনি এর আগেই ডাক পড়ে গেছে মৃত্যুর। সময় ও পাইনি তওবা করতে। মোবাইলে ছিলো অগনিত উলঙ্গ ভিডিও ছিলো কত রঙ, বেরঙের সুরেলা গান। ডিলিট ও করতে পারেনি তার আগেই মৃত্যু হাজির।
- মৃত্যু ডাকছে তাকে, আসো হে নাপাক আত্মা!
- আসো হে নাপাক জালিম! নফসের উপর অত্যাচারী রুহু।
ভয়ে রুহু দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো দেহের আনাচে কানাচে। পা দুটি হিম ঠান্ডা হতে শুরু করলো। কেউ নেই পাশে চোখ উল্টিয়ে ভয়ে, গলাটাও শুকিয়ে গেছে। পাশেই পড়ে আছে নেকেডের মোবাইলটা।
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে বসে হুম! কেউতো নেই, মৃত্যু দূত চলে গেছে আমাকে সুযোগ দিয়ে।
- তাই সময় থাকতেই ভাই, মোবাইলটা হাতে নিয়ে যা অশ্লীল কিছু আছে সব ডিলিট করো। যতো অবৈধ কিছু আছে সব মুছে ফেলো, তওবা করো,, হে আল্লাহ তুমিতো মহান, ক্ষমতাশীল, দয়াবান, মেহেরবানি করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সকল খারাপ কাজ থেকে আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন। আমিন।🤲🖤
আসা করি ভালো লাগলো সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিলে আরো ভালো হয়।
দেখছে যিনার দৃশ্য। স্বাদ নিচ্ছে তার চোখ। বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ছেলেটি দেখছে গোপনে নিকৃষ্ট দৃশ্যগুলি।
নিস্তব্ধ রাত ১১ টা বেজে ২০ মিনিট। নেকেড দেখছে, বা অবৈধ কোনো নারীর সাথে যিনার আলাপ করছে নিভৃতে। কত স্বাদ গুনাহ করতে!
হঠাৎ - আচমকা শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো! ছেলেটির মনে হলো কে যেনো ঢুকেছে রুমে কিন্তু, রুমের দরজা তো আটকানো। কি ব্যাপার, কে ঢুকলো রুমে অন্ধকারে?
হঠাৎ - শরীরটা শিউরে উঠলো। অজানা কেমন একটা শব্দ কানে বাজলো। অনুভব করতে পারলো, কেনো জানি শরীরটা অবস হয়ে যাচ্ছে!
- হঠাৎ বা দিকে দেখলো এটা কি?
- ওমাহ কে এটা? বিশাল বড় কে? আমার পাশে দাড়িয়ে আছে। কিভাবে ঢুকলো রুমে, হায় মাবুদ এ কেমন ভয়ানক মূর্তি দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। থর থর করে কাপছে শরীর, হাত থেকে বুকের উপর পড়লো মোবাইলটা।
নেকেড চলছে পুরোদমে। মোবাইলটা বুকের উপর থেকে পিছলে ছেলেটির গায়ের পাশে গিয়ে পড়লো, কিন্তু চলছে উলঙ্গ নারী - পুরুষের যিনার ভিডিও।
হয়তো মৃত্যুর ডাক পড়ে গেলো তার।
- সে দেখছে মালাকুল মউতকে দাড়িয়ে আছে মৃত্যু দূত।
একটু আগেও দেহটা ছিলো অনেক গরম, কিন্তু মুহূর্তেই ঝিম মেরে ঠান্ডা হয়ে গেছে। মৃত্যু আজ তার সামনে, মনে মনে ভাবছে হায় আপসোস! একটু যদি তওবা করতে পারতাম! কিন্তু সময় যে আর নেই।
ছেলেটি পাপ ছাড়তে পারেনি এর আগেই ডাক পড়ে গেছে মৃত্যুর। সময় ও পাইনি তওবা করতে। মোবাইলে ছিলো অগনিত উলঙ্গ ভিডিও ছিলো কত রঙ, বেরঙের সুরেলা গান। ডিলিট ও করতে পারেনি তার আগেই মৃত্যু হাজির।
- মৃত্যু ডাকছে তাকে, আসো হে নাপাক আত্মা!
- আসো হে নাপাক জালিম! নফসের উপর অত্যাচারী রুহু।
ভয়ে রুহু দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো দেহের আনাচে কানাচে। পা দুটি হিম ঠান্ডা হতে শুরু করলো। কেউ নেই পাশে চোখ উল্টিয়ে ভয়ে, গলাটাও শুকিয়ে গেছে। পাশেই পড়ে আছে নেকেডের মোবাইলটা।
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে বসে হুম! কেউতো নেই, মৃত্যু দূত চলে গেছে আমাকে সুযোগ দিয়ে।
- তাই সময় থাকতেই ভাই, মোবাইলটা হাতে নিয়ে যা অশ্লীল কিছু আছে সব ডিলিট করো। যতো অবৈধ কিছু আছে সব মুছে ফেলো, তওবা করো,, হে আল্লাহ তুমিতো মহান, ক্ষমতাশীল, দয়াবান, মেহেরবানি করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সকল খারাপ কাজ থেকে আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন। আমিন।🤲🖤
আসা করি ভালো লাগলো সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিলে আরো ভালো হয়।
হতে পারে এই লেখাটি পড়ে একটি ভাই একটি বোন গুনাহার পথ থেকে ফিরে আসছে।
হতে পারে - এটা আপনার (তোমার) নাজাতের একটা ওছিলা।
সমাপ্তঃ-------
সমাপ্তঃ-------
No comments