রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়? @মিঃমধু
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০১
হুমায়ূন আহমেদের 'অনন্ত নক্ষত্র বীথি' বই থেকে নেয়া কথা,,,,,,,
পনের বছর আগে পড়া, আজও মনে আছে, ভালো লেগেছে বলে।
আর নিজের নামটা আছে বলে 🤣🤣।
আমার প্রথম ভাবনা🤔 লম্বা ভাবনা😄
জীবনে অনেক অনেক অপূর্ণ চাওয়া, পাওয়া হয়ে ওঠেনি,
আমার প্রথম ভাবনা🤔 লম্বা ভাবনা😄
জীবনে অনেক অনেক অপূর্ণ চাওয়া, পাওয়া হয়ে ওঠেনি,
তার একটা তালিকা করে সম্ভবত শেষ করতে পারবো।
কিন্তু অনেক পাওয়া, চাওয়ার আগেই যে পেয়ে গিয়েছি তার তালিকা কি লিখে শেষ করা সম্ভব??
আচ্ছা, যদি আমাকে বেঁচে থাকার জন্য সব কিছুই চেয়ে চেয়ে জীবনটা চালিয়ে নিতে হতো?
আচ্ছা, যদি আমাকে বেঁচে থাকার জন্য সব কিছুই চেয়ে চেয়ে জীবনটা চালিয়ে নিতে হতো?
তবে সবার আগে চাইতাম, আল্লাহ আমাকে অক্সিজেন দাও, আলো দাও, পানি দাও…….
এভাবে কত কিছুই না চাইতে হতো!!! সে জীবন কল্পনারও বাইরে।
মানুষ বলে, চাওয়া-পাওয়ার হিসেব কষে জীবন চলে না। আজ আমার মন তো বলছে, সঠিক হিসাব করতে পারলে থেমে যাওয়া জীবন নতুন পথের দেখা পাবে।
স্রষ্টা আমাদের কতটা ভালোবাসেন তা যেন রাতের আকাশ আমায় বারবার মনে করিয়ে দেয়।
মানুষ বলে, চাওয়া-পাওয়ার হিসেব কষে জীবন চলে না। আজ আমার মন তো বলছে, সঠিক হিসাব করতে পারলে থেমে যাওয়া জীবন নতুন পথের দেখা পাবে।
স্রষ্টা আমাদের কতটা ভালোবাসেন তা যেন রাতের আকাশ আমায় বারবার মনে করিয়ে দেয়।
কত কত নেয়ামতে, প্রাপ্তিতে ডুবে আছি।
দূরের আকাশের বিশালতার কাছে একান্ত অপ্রাপ্তি ধূলোবালির মতো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
নিজের একাকিত্বকে তখন ভীষণ উপভোগ করি আমি।
মনে হতে থাকে, এই পৃথিবীতে আর কেউ না থাকুক। আমার স্রষ্টার সাথে,
আমার আল্লাহর সাথে এই কথোপকথন চলতে থাকুক অনন্তকাল….❤️
দ্বিতীয় ভাবনা🥰 আসলে আজ স্মৃতি
একদিন আমি, আব্বু আর মাত্র কথা শেখা ফারহান। বর্ষাকাল, সারাদিন বৃষ্টি।
দ্বিতীয় ভাবনা🥰 আসলে আজ স্মৃতি
একদিন আমি, আব্বু আর মাত্র কথা শেখা ফারহান। বর্ষাকাল, সারাদিন বৃষ্টি।
সন্ধ্যায় ঝকঝকে আকাশ। হঠাৎ আকাশের দিকে তাকিয়ে আমি অবাক। অসংখ্য তারা ঝিকমিক করছে। যেন আকাশে আর একরত্তি জায়গা খালি নেই। বললাম, ফারহান দেখো।
ও তাকিয়ে বলল, কত তারা!
সেদিন মনে হয়েছিল, একটাই আকাশ, আমি দেখে অবাক। অথচ এই আকাশ কত দেখেছি! ফারহান বলতে গেলে এভাবে প্রথম দেখেছে। ভুলে যাবে, আবার দেখবে।
সেদিন মনে হয়েছিল, একটাই আকাশ, আমি দেখে অবাক। অথচ এই আকাশ কত দেখেছি! ফারহান বলতে গেলে এভাবে প্রথম দেখেছে। ভুলে যাবে, আবার দেখবে।
জীবনে আরো কতবার দেখে যে অবাক হবে!
একটাই আকাশ। স্রষ্টার পক্ষে একটা আকাশ দিয়ে মানুষ কে অবাক করা,
একটাই আকাশ। স্রষ্টার পক্ষে একটা আকাশ দিয়ে মানুষ কে অবাক করা,
খুশি করা……. কত সহজ। একটাই আকাশ।
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০২
এত বিশাল এই আকাশ, এত গ্রহ, এত তারা,
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০২
এত বিশাল এই আকাশ, এত গ্রহ, এত তারা,
আমি এর মধ্যে একটা পরমানুর চেয়েও ছোট,
অতি তুচ্ছ জিনিস!
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে ॥
নাহ। এর চেয়ে বেশি 'টু দ্যা পয়েন্ট' উত্তর দিতে পারছি না।
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে ॥
নাহ। এর চেয়ে বেশি 'টু দ্যা পয়েন্ট' উত্তর দিতে পারছি না।
কারণ আমি তো ভুলেই গেছি শেষ কবে আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম!
তবে হ্যাঁ, খুব ছোটবেলায় এটা অবাক হয়ে ভাবতাম যে চাঁদটা আমার সাথে সাথে হেঁটে যাচ্ছে কীভাবে?
রাতের আকাশের দিকে তাকালে আমার কী ভাবনার উদয় হয় তা না বলে,
রাতের আকাশের দিকে তাকালে আমার কী ভাবনার উদয় হয় তা না বলে,
চলুন আজ আমি আমার আকাশ দেখার গল্পটাই বরং বলি।
আমার আকাশ দেখা শুরু হয়েছিল আমাদের বাড়িতে দোতলার ছাদ হওয়ার পর থেকে।
আমার আকাশ দেখা শুরু হয়েছিল আমাদের বাড়িতে দোতলার ছাদ হওয়ার পর থেকে।
তখন ছয় সাত বছর বয়স হবে। নতুন ছাদ ঢালাই হল।
তখন আমি, মা, বোন সকলে মিলে বিকেলে ছাদে খবরের কাগজ পেতে বসতাম।
পশ্চিম আকাশে টুকটুকে লাল সূর্য অস্ত যেত, আরেকদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা বাড়ি ফিরত।
তখন আমরা গান গাইতাম-
নিঝুম সন্ধ্যায় ক্লান্ত পাখিরা বুঝিবা পথ ভুলে যায়……
অথবা
এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু…
তারপর অন্ধকার নেমে এলে আমরাও নীচে নেমে যেতাম।
এই তো ছিল বিকেলের আকাশ। আমার রাতের আকাশ দেখা শুরু হয় কৈশোরে।
নিঝুম সন্ধ্যায় ক্লান্ত পাখিরা বুঝিবা পথ ভুলে যায়……
অথবা
এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু…
তারপর অন্ধকার নেমে এলে আমরাও নীচে নেমে যেতাম।
এই তো ছিল বিকেলের আকাশ। আমার রাতের আকাশ দেখা শুরু হয় কৈশোরে।
তখন আমি একা একা ছাদে যেতাম।
আমি রাতের আকাশে তারা দেখতে ভালবাসতাম। বেশি তারা কিন্তু আমি চিনি না।
আমি রাতের আকাশে তারা দেখতে ভালবাসতাম। বেশি তারা কিন্তু আমি চিনি না।
আমি শুধু শুকতারা আর সপ্তর্ষিমণ্ডল চিনতাম, আর ছাদে উঠেই সেই দুটি তারা খুঁজতাম। এখনো খুঁজি। আরেকটা তারা খেয়াল করতাম, একটু লালুচে রঙের হত। সব সময়ে তাকে দেখা যেত না।
আমি বাইরে বেরোলে সেটা ঠিক আমার মাথার ওপরে দেখা যেত।
আমি শুনেছি সেটা নাকি মঙ্গল গ্রহ। তবে সত্য মিথ্যা জানিনা। এটা শোনা কথা।
আর চাঁদের কথা বললাম না তো?
আমাদের বাড়ি থেকে চাঁদটা এমন একটা জায়গা থেকে দেখা যায়, ঠিক একটা সুপুরি গাছের পাতার ফাঁকে যেন চাঁদ উঁকি দেয়। সেই দৃশ্য দেখে আমার সেই ছোটবেলায় কান্না পাওয়া গানটা মনে পড়ে-
বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই
মা গো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?
ক্লাস টেন শেষ হওয়ার পর একটা মোবাইল পেলাম। তখন সন্ধ্যায় ছাদে উঠে ইয়ারফোনে গান শুনতাম, আর পথে লোকজনের যাতায়াত দেখতাম। তখনো কিন্তু তারা খোঁজা বন্ধ হয়নি।
আর চাঁদের কথা বললাম না তো?
আমাদের বাড়ি থেকে চাঁদটা এমন একটা জায়গা থেকে দেখা যায়, ঠিক একটা সুপুরি গাছের পাতার ফাঁকে যেন চাঁদ উঁকি দেয়। সেই দৃশ্য দেখে আমার সেই ছোটবেলায় কান্না পাওয়া গানটা মনে পড়ে-
বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই
মা গো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?
ক্লাস টেন শেষ হওয়ার পর একটা মোবাইল পেলাম। তখন সন্ধ্যায় ছাদে উঠে ইয়ারফোনে গান শুনতাম, আর পথে লোকজনের যাতায়াত দেখতাম। তখনো কিন্তু তারা খোঁজা বন্ধ হয়নি।
আসলে তখনো ওই তিনতলার ছাদ শুধু আমার বাড়িতেই ছিল, অন্যান্য বাড়িতে তখনো ছাদ হয়নি (এখন হয়েছে)। তাই ছাদে দাঁড়িয়ে বেশ একটা নিরিবিলি পরিবেশ হত।
তাই বলে কি ভয়ডর ছিল না? অনেক ছিল!
আমাদের ছাদের ওপর রোজ রাতে, এখনো, বনবেড়ালের পায়ের শব্দ পাওয়া যায়।
তাই বলে কি ভয়ডর ছিল না? অনেক ছিল!
আমাদের ছাদের ওপর রোজ রাতে, এখনো, বনবেড়ালের পায়ের শব্দ পাওয়া যায়।
সপরিবারে বাঁদর এসে বসে থাকে ছাদে। একদিন তো মায়ের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে বাঁদর বসেছিল।
তাই আমি ছাদে বসে আকাশ দেখলেও আরেকদিনে কিন্তু সতর্ক থাকতাম।
ছাদের গেইটটা এমন করে খুলে রাখতাম যে বাঁদর বা বনবেড়াল দেখলেই পালাতে পারি।
আরেকদিন এভাবে ছাদে হাঁটছি, পথে চলতে চলতে এক মহিলা আমার মুখে টর্চ মেরে সন্দেহের চোখে দেখছিল। চোর ভেবেছে বোধয়।
এরকম একদিন বিকেলে ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।
আরেকদিন এভাবে ছাদে হাঁটছি, পথে চলতে চলতে এক মহিলা আমার মুখে টর্চ মেরে সন্দেহের চোখে দেখছিল। চোর ভেবেছে বোধয়।
এরকম একদিন বিকেলে ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।
বাবা অফিস থেকে ফিরছিলেন। ফিরে এসে আমায় ডেকে বললেন-
"বিকেলে এই গলিতে অনেক ধরণের লোক চলাফেরা করে, বাইকে ঘোরাঘুরি করে।
"বিকেলে এই গলিতে অনেক ধরণের লোক চলাফেরা করে, বাইকে ঘোরাঘুরি করে।
তারা খুব একটা ভালো ছেলে নয়, কথাবার্তা যা কিছু কানে আসে সেগুলো মোটেই ভালো নয়।
তুমি যে ছাদে দাঁড়াও, তোমাকে অনেক দূর থেকে দেখা যায়। ওরকম আর ছাদে যেও না"।
ব্যস! আমি বড় হয়ে গেলাম। আর কোনোদিন আকাশ দেখতে, তারা খুঁজতে ছাদে গেলাম না।
ব্যস! আমি বড় হয়ে গেলাম। আর কোনোদিন আকাশ দেখতে, তারা খুঁজতে ছাদে গেলাম না।
আসলে আমার বাবার ভয়টা কিন্তু অহেতুক ছিল না। বাবা ভালোর জন্যই বলেছেন। আর এখন তো আমি নিজেই ছাদে যাই না, কারণ আমি বুঝি একা রাতে একটা মেয়ে ছাদে দাঁড়ালে সেটা দৃষ্টিকটু লাগে। তখন বয়স কম ছিল, সাহস ছিল বেশি।
এখন রাতের আকাশ দেখি মাঝে মাঝে। কারেন্ট চলে গেলে যখন বারান্দায় দাঁড়াই, তখন চাঁদ দেখি।
এখন রাতের আকাশ দেখি মাঝে মাঝে। কারেন্ট চলে গেলে যখন বারান্দায় দাঁড়াই, তখন চাঁদ দেখি।
চাঁদ দেখলে ছোটবেলার ছাদে ঘোরার কথা মনে পড়ে।
আর মনে পড়ে ছোটবেলায় শেখা অপূর্ব দত্তের সেই কবিতাটা-
ও দিদিভাই তুমি বলো আকাশ কোথায় থাকে
সবার আকাশ হারিয়ে গেছে হাইরাইজের ফাঁকে
আমি এখন ঘরে বসেই আকাশ নিই চিনে
নীলরঙা ওই চৌকো আকাশ কম্প্যুটারের স্ক্রিনে।
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০৩
01. একটা রাত জীবনের কত্ত স্বপ্নের অদলবদল করে দিতে পারে।
02. কত কিছু ঘটে যাচ্ছে এই একটা রাতে!
03. কেউ রমণ-সুখে মত্ত, আবার কেউ ধর্ষিত হচ্ছে প্রতি রাতে!
04. প্রেমিকার চোখে স্বপ্ন আঁকছে কোনাে প্রেমিক তাে কারাের প্রেমের ঘরে তালা ঝুলছে।
05. কোনাে পড়াকু মেয়ে হয়ত টেবিলে বসে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে ,
ও দিদিভাই তুমি বলো আকাশ কোথায় থাকে
সবার আকাশ হারিয়ে গেছে হাইরাইজের ফাঁকে
আমি এখন ঘরে বসেই আকাশ নিই চিনে
নীলরঙা ওই চৌকো আকাশ কম্প্যুটারের স্ক্রিনে।
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০৩
01. একটা রাত জীবনের কত্ত স্বপ্নের অদলবদল করে দিতে পারে।
02. কত কিছু ঘটে যাচ্ছে এই একটা রাতে!
03. কেউ রমণ-সুখে মত্ত, আবার কেউ ধর্ষিত হচ্ছে প্রতি রাতে!
04. প্রেমিকার চোখে স্বপ্ন আঁকছে কোনাে প্রেমিক তাে কারাের প্রেমের ঘরে তালা ঝুলছে।
05. কোনাে পড়াকু মেয়ে হয়ত টেবিলে বসে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে ,
আবার সেসময় ই কেউ হতাশায় ডুবছে।
06. দিনের আলাের মতাে রাতের অন্ধকারেরও একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে।
06. দিনের আলাের মতাে রাতের অন্ধকারেরও একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সেটা বুঝিনা।
07. আসলে দিনের আলােতে আমরা সৌন্দর্য দেখতে পাই বলেই সেটা বেশি উপভােগ করি।
07. আসলে দিনের আলােতে আমরা সৌন্দর্য দেখতে পাই বলেই সেটা বেশি উপভােগ করি।
কিন্তু রাতেরও একটা নির্দিষ্ট সৌন্দর্য আছে যেটা গভীরভাবে দেখলেই শুধুমাত্র উপলব্ধি করা যায়।
08. রাতের নিস্তব্ধতায় ঘুম না আসা চোখে হঠাৎ করেই যেন সারাদিনের জীবনের
08. রাতের নিস্তব্ধতায় ঘুম না আসা চোখে হঠাৎ করেই যেন সারাদিনের জীবনের
খরস্রোতা নদীর উচ্ছল ঢেউগুলাে বড্ড শান্তভাবে বইতে আরম্ভ করে।
09. ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি মধুর হয়ে হৃদয়ে দোলা দেয়। লেখাপড়া, খেলাধুলা, দুষ্টমি, হাসি-কান্না, সুখদুঃখ আরাে অনেক কতাে কিছু জীবনের মাঝে ঘটে চলেছে। ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি প্রত্যেকের জীবনে আছে, আসবে এবং থাকবে। বড় হয়ে কর্ম ব্যস্ততার ভীড়ে অনেক স্মৃতি মলিন হয়ে যায়।
09. ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি মধুর হয়ে হৃদয়ে দোলা দেয়। লেখাপড়া, খেলাধুলা, দুষ্টমি, হাসি-কান্না, সুখদুঃখ আরাে অনেক কতাে কিছু জীবনের মাঝে ঘটে চলেছে। ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি প্রত্যেকের জীবনে আছে, আসবে এবং থাকবে। বড় হয়ে কর্ম ব্যস্ততার ভীড়ে অনেক স্মৃতি মলিন হয়ে যায়।
কিছু কিছু স্মৃতি আবার উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় ।
আজীবন বাস করে হৃদয়ের মাঝে। জীবনসংগ্রামের চলতি পথে কোন এক রাতে আকাশের তারগুলোর দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝেই সেসব স্মৃতি মানসপটে ভেসে উঠে হৃদয় নাড়া দেয়।
10. সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের আলাে তাপ পেয়ে পৃথিবী গরম হয়ে ওঠে, রাত্রে সেই তাপ জুড়িয়ে পৃথিবী আবার ঠান্ডা হয়। রাত্রির শীতলতা মানুষের সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণা জুড়িয়ে দেয়।
10. সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের আলাে তাপ পেয়ে পৃথিবী গরম হয়ে ওঠে, রাত্রে সেই তাপ জুড়িয়ে পৃথিবী আবার ঠান্ডা হয়। রাত্রির শীতলতা মানুষের সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণা জুড়িয়ে দেয়।
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০৪
রাত্রিবেলা আকাশের দিকে তাকানোর অভ্যাস আমার অনেক দিনের।
রাত্রিবেলা আকাশের দিকে তাকানোর অভ্যাস আমার অনেক দিনের।
কোনোদিন চাঁদ দেখতে পাই, কোনোদিন পাই না।
কিন্তু আকাশের দিকে তাকালে পরে কী কী যে ভাবি নিজেই জানি না।
বিশেষ কোনো চিন্তা ভাবনা দেখা দেয় না। ছাড়াছাড়াভাবে মনে হয় অনেক কিছু।
আগের দিনগুলোর স্মৃতি, ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা গুলো কিংবা নিজের মনের কথা গুলো।
মাঝেমধ্যে ভাবি, কেন এই রাতের আকাশ আমাকে বিশেষ কিছু ভাবায় না?
হয়তো আমার জীবনের গন্ডি খুব ছোট, তাই আকাশ কথা বলে না আমার সঙ্গে।
বাস্তবে আছে এমন কারো সঙ্গে কাল্পনিক আড্ডা দিই মাঝেমধ্যে,
বাস্তবে আছে এমন কারো সঙ্গে কাল্পনিক আড্ডা দিই মাঝেমধ্যে,
গান গাই, গান শুনি ইত্যাদি ইত্যাদি আর কি।
তেমন কিছুই ভাবি না আলাদা করে। তবে ইদানীং নিজের আর পরিবারের সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবনা আসে, আমার কী কী করার আছে সেসব মাথায় আসে, এই তো।
সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালোলাগে আকাশের দিকে তাকালে।
তেমন কিছুই ভাবি না আলাদা করে। তবে ইদানীং নিজের আর পরিবারের সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবনা আসে, আমার কী কী করার আছে সেসব মাথায় আসে, এই তো।
সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালোলাগে আকাশের দিকে তাকালে।
কিছুক্ষণ বসে থাকলে কেমন শান্তি অনুভব হয়। 😅💖
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০৫
রাত্রিবেলায় খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনের মধ্যে এক বিশাল জগত তৈরী হয়।
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০৫
রাত্রিবেলায় খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনের মধ্যে এক বিশাল জগত তৈরী হয়।
আমাকে সৃষ্টির তুলনায় খুবই নগন্য মনে হয়।
আজকে আমার দাবী- আমার পৃথিবী, বা আমি পৃথিবীর জন্মসূত্রে অধিকারী একজন মানুষ।
আজকে আমার দাবী- আমার পৃথিবী, বা আমি পৃথিবীর জন্মসূত্রে অধিকারী একজন মানুষ।
পৃথিবী আমার সম্পত্তি। আমার শেকড় গাছের ন্যায় পৃথিবীর সাথে আটকে আছে।
পৃথিবী থেকে আমার বাঁচার উপকরণ সংগ্রহ করছে।
যদি পৃথিবী থেকে আমার এ শেকড় কেটে দেয়া হয়, আমাকে যদি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির
যদি পৃথিবী থেকে আমার এ শেকড় কেটে দেয়া হয়, আমাকে যদি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির
স্থিতি অবস্থার বাইরে ছেড়ে দেয়া হয়, তবে সেখানে আমার কী অবস্থা হবে।
রাত নেই, দিন গণনা নেই, বছর নেই, সূর্য উদয় নেই, অস্ত নেইন, পূর্ব নেই- নেই পশ্চিম।
রাত নেই, দিন গণনা নেই, বছর নেই, সূর্য উদয় নেই, অস্ত নেইন, পূর্ব নেই- নেই পশ্চিম।
ঐ অবস্থায় আমাকে মহাশূণ্যে 100 বছর (যদি বেঁচে থাকি) পর যদি আবার পৃথিবীর বুকে
নিয়ে আসা হয় এবং জিজ্ঞাস করা হয় আপনি কতবছর মহাশূণ্যে ছিলেন-
আমি তার কোন সঠিক জবাব দিতে পারবো না,
কারন পৃথিবীর সময় গণনা আমার উপর ক্রিয়া করবে না।
যে পৃথিবীকে নিয়ে আমরা এতো কিছু করি, গর্ব করি, সে পৃথিবী, সূর্য, সৌরজগত,
যে পৃথিবীকে নিয়ে আমরা এতো কিছু করি, গর্ব করি, সে পৃথিবী, সূর্য, সৌরজগত,
গ্যালাক্সি, ছায়াপত, উলকাপিন্ড এসকলের তুলনায় পৃথিবীর স্থান কতটুকু ?
আজকে যদি পৃথিবীতে, মানুষের শ্রেষ্টত্বের দ্বিতীয় অবস্থানে পিঁপড়াকেও রাখা হেতো,
আজকে যদি পৃথিবীতে, মানুষের শ্রেষ্টত্বের দ্বিতীয় অবস্থানে পিঁপড়াকেও রাখা হেতো,
তাহলে প্রতিনিয়ত নিজর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পিঁপড়ার সাথেই প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হতো।
যে মহান পালনকর্তা, আমাদের সকলের রব শুধু আমাদেরকেই স্রেষ্টত্ব দান করেছেন
যে মহান পালনকর্তা, আমাদের সকলের রব শুধু আমাদেরকেই স্রেষ্টত্ব দান করেছেন
এবং আমাদের প্রতিদ্বন্দি দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শক্তি সৃষ্টি করেননি
এবং আমাদের জীবনকে সুদৃঢ় করেছেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতায় ছোখ বুঁজে আসে।
রাতে খোলা আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এসকল ভাবনায় বিভোর হয়ে উঠি
রাতে খোলা আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এসকল ভাবনায় বিভোর হয়ে উঠি
রাত্রিবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কোন চিন্তা-ভাবনা দেখা দেয়?---০৬
কাল সন্ধ্যেবেলা থেকেই মনটা খুব খারাপ লাগছিল😔।
কাল সন্ধ্যেবেলা থেকেই মনটা খুব খারাপ লাগছিল😔।
বাবা তোমার কথা খুব মনে পড়ে যাচ্ছিল তো আসলে।
তাই রাত্রিবেলা অনেকক্ষণ না ঘুমিয়ে টুমিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ ধরে ।
এরপর যখন সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটির দিকে চোখ পড়ে তখন আনন্দে আত্ম- হারা হয়ে যাই ।
কারণ ওটা তো তুমি! বাবা! তুমি! 🤗 এটা ভেবে ভেবে!
ভাবছিলাম কবে তোমার পাশে স্হিত তারার মতো হয়ে তোমার সাথে ,
ভাবছিলাম কবে তোমার পাশে স্হিত তারার মতো হয়ে তোমার সাথে ,
মন ও প্রাণ খুলে গল্প গুজব করতে পারবো😊!
কিন্তু না তুমি তো আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়ে গেছো,
সেটা যথাযথ পালন তো আমাকে করতেই হবে😊।
তুমি জানো এই সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে করতে আমি আজ বুড়ি হয়ে গেছি😁!
তুমি জানো এই সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে করতে আমি আজ বুড়ি হয়ে গেছি😁!
আর তোমার আরাম কেদারায় তোমারই দেওয়া লাল পুঁথির মালাটা পড়ে বসে আছি
মট্ মট্ করে একেবারে ঘেঁতলুর মতো আর ভাবছি কবে তোমার নাগাল পাবো😁!
আহা! কী সব চিন্তা ভাবনা ।
(অচেনা এক আপুর লেখা
থেকে সংগ্রহ করা )
No comments