Ads

কোন কোন কাজে মেয়েদের লজ্জা পাওয়া উচিত নয়? @মিঃ মধু

কোন কোন কাজে মেয়েদের লজ্জা পাওয়া উচিত নয়? @মিঃ মধু



কোন কোন কাজে মেয়েদের লজ্জা পাওয়া উচিত নয়? @মিঃ মধু
কোন কোন কাজে মেয়েদের লজ্জা পাওয়া উচিত নয়?

প্রথম অধ্যায়ঃ----
-----------------------

01. নিজের প্রয়োজনে কাউকে মুখের উপর 'না' বলতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

2. পোশাক নির্বাচনে কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। 
    তা যতই ছোট এবং যতই আঁটোসাঁটো হোক না কেন।

3. খোলামেলা আলোচনা এবং খোলামেলা চলাফেরা করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

4. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

5. কারো প্রতি দুর্বলতা থাকলে কিংবা কারো প্রেমে পড়লে সেটি প্রকাশ করতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

6. রাত বারোটার পর,সন্ধ্যার পর অথবা যখন-তখন বাসা থেকে বের হতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

7. ডিভোর্স নিয়ে কখনো সংকোচ থাকা উচিত নয়।
    নিজের শরীর নিয়ে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

08. অপরিচিত মানুষ অথবা পরপুরুষের সামনে দেখা দিতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

9. জৈবিক চাহিদা পূরণে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।
10. নিজেকে কর্মক্ষেত্রে প্রবৃত্ত করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

11. স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

12. চোখে চোখ রেখে কথা বলতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

13. ভণ্ডদের মুখোশ উন্মোচিত করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

14. বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

15. অন্যের সাথে মজা নিতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

16. কখনো কখনো বেয়াদবি করতেও লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

17. ট্যাবু ও কুসংস্কার ভাঙতে এবং স্রোতের প্রতিকূলে চলতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

18. নিজের অধিকার আদায়ে কখনো কারো কাছে মাথা নত করা উচিত নয়।

19. নিজের বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

20. ব্যাক্তিস্বাধীনতার চর্চা করতে কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

21. নিজের পছন্দের পেশা নির্বাচন করতে এবং নিজের পছন্দমতো বিয়ে করতে ,
      কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

22. নিজের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

23. নিজের বয়স উন্মুক্ত করতে কখনো লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

24. টিকে থাকার জন্য ও লড়াই করার প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি 
      মোকাবিলা করতে কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

25. নিজের জীবনকে উপভোগ করতে কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

মোদ্দাকথা যার যার শরীরের নিয়ন্ত্রক সে নিজে,কাজেই শরীর সংক্রান্ত কোন অংশ নিয়ে 
কখনোই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।

  
কোন কোন কাজে মেয়েদের লজ্জা পাওয়া উচিত নয়? @মিঃ মধু


দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ------
---------------------------


সত্যি। আমরাই কত সময়ে বলে থাকি লজ্জা নারীর ভূষণ, তাই না? অথচ আমরা ভেবে দেখি না যে কথাটা বলে আমরা কত নির্মমতার নিদর্শন রাখছি।

আচ্ছা, গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে না দিয়ে, একটু যদি তলিয়ে দেখি,
তাহলে বুঝতে পারব যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কেন দামামা বাজিয়ে
এই কথাটা নারীর মনে ঢুকিয়ে দিতে চায়।

লজ্জা নারীর ভূষণ? অতএব, লজ্জা রক্ষা করো।

লজ্জা পাও, এমন কিছু করো না যা তোমার করা উচিত।

লজ্জা পাও, এমন কিছু করো না যাতে তোমার অধিকার তুমি অর্জন করতে সক্ষম হও।

কারণ লজ্জা না পেলে, তুমি তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজের খুঁটি নাড়িয়ে দেবে। আর এই বলিষ্ঠ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ধসে পড়বে এক লহমায়।

লজ্জা ত্যাগ করো, নারী। লজ্জা তোমার ভূষণ নয়। লজ্জা তোমার পায়ের বেড়ি।

লজ্জা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অজুহাত মাত্র।

মনে রেখো,

যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তােমা চেয়ে,
যখনি জাগিবে তুমি তখনই সে পলাইবে ধেয়ে।

আসুন, এইবার লেখা শুরু করি।
কোন কোন ক্ষেত্রে নারীর উচিত লজ্জা নামক আবরণটি ঝেড়ে ফেলে,
তাঁর যোগ্য মানবাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া।

লজ্জা পেও না, যখন শিক্ষা দীক্ষায় তুমি উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাওয়ার জন্য লজ্জা বিসর্জন দিতে উদ্যত হও।

লজ্জা পেও না, যখন শিক্ষায় তুমি জেনে যাও তোমার প্রাপ্য, তোমার অধিকার।

লজ্জা পেও না, যখন তোমার প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার জন্য তুমি মুখ খুলতে চাও।

লজ্জা পেও না, যখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নির্লজ্জ ভাবে তোমায় অবদমিত করে রাখতে চাইলেও তুমি প্রতিবাদ করো।

লজ্জা পেও না, যখন তুমি অবাধ্য হও যদি অন্য কেউ ধর্মের বা সংস্কারের নামে তোমায় পিছিয়ে থাকতে বাধ্য করে।
                                                                                       বিষ্ময়কর প্রেমের গল্প"---  নিষিদ্ধ_নারীর_ভালোবাসা
লজ্জা পেও না, যখন কোনো "মানব"রূপী পশু তোমার শরীরে তাঁর কলুষ নখের আঁচড় দিয়ে, তোমাকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়।

লজ্জা পেও না, কারণ তোমার চোখের আগুন তারা ভয় পায়।

লজ্জা পেও না, যখন তুমি তাদের চোখে চোখ রাখো বিয়ে নামক একটি বেড়াজালে বেঁধে তোমার সাফল্য নিভিয়ে দিতে চায় বলে ।

লজ্জা পেও না, যখন মাতৃত্বের দোহাই দিয়ে কেউ তোমায় বলে, "চাকরি ছেড়ে দাও।" কারণ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য তোমার প্রাপ্য অহংকার।

লজ্জা পেও না, যখন কেউ তোমায় রোগা, মোটা, কালো, বেঁটে, লম্বা তকমায় ভূষিত করে। সাহস জাগাও। কারণ তুমি এগুলোর ঊর্ধ্বে।

লজ্জা পেও না, যখন নিজের শারীরিক চাহিদার কথা তুমি মুখ ফুটে বল। কারণ তুমি মানুষ।

লজ্জা পেও না, যখন তুমি বাড়ির কাজ করতে চাও না। মনে রেখো, কাজটা "বাড়ির", আর বাড়িটা "সবার"। তাই কাজ করার দায়িত্বও সবার। তোমার একার নয়।

লজ্জা পেও না, যখন তুমি তোমার মাথার উপর ছাদের জন্য লড়াই করো। কারণ তোমার পৈতৃক সম্পত্তি ও বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি — দুইয়ের উপরেই তোমার অধিকার আইনসিদ্ধ।

লজ্জা পেও না, যখন স্বামী নামক মানুষটির কথার উত্তর দাও। কারণ তিনি তোমার জীবন পথের সাথী মাত্র, তোমার মনিব নন।

লজ্জা পেও না, যখন কেউ তোমায় নারী বলে হেয় করলে তুমি রুখে দাঁড়াও। কারণ তুমি নারী, তুমি মানুষ। তুমি অসামান্যা।

নিজের মনে উদাত্ত কণ্ঠে বলো, আমি…

"নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।

পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে

সে নহি নহি,

হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে

সে নহি নহি।

যদি পার্শ্বে রাখ মোরে

সংকটে সম্পদে,

সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে

সহায় হতে,

পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।"




  ধন্যবাদঃ---- 
  মওদুদ আহমেদ মধু 

No comments

Powered by Blogger.