Ads

বিয়ে না করে জীবন অতিবাহিত করলে, আপনাকে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে?

 

বিয়ে না করে জীবন অতিবাহিত করলে,  আপনাকে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে?





বিয়ে না করে জীবন অতিবাহিত করলে,
একজন পুরুষ হিসেবে আপনাকে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? 



সারাজীবন ব্যাচেলরই থাকতে হয়। ভাল বাড়িভাড়া দিবে না কেউ।
সারাজীবন আঙ্কেল/জেঠু/ কাকু ডাক ই শুনতে হবে। আব্বা ডাক আর শোনা হবে না।

সারাজীবন ভাইয়া/ভাই/ভাইজান শুনতে হবে, ওগো শুনছো বলে ডাকার কেউ থাকবে না।
অফিসে বের হবার সময় টাই টা ঠিক মত বেধেছেন কিনা যাচাই করার লোক পাবেন না।

সারাদিন অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ কফি নিজে নিজেই বানিয়ে নিতে হবে।
চরম ক্লান্তিতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে একটু শান্তি দেয়ার মানুষ কাছে পাবেন না।

জীবনটা অনেকটা আগোছালোই থাকে বিয়ে না হওয়াদের। 
রুটিন জীবন যাপন করা মহা কষ্টের হয় এনাদের জন্য।





সারাদিন আত্মীয় স্বজনের ঘ্যানর ঘ্যানর পোলায় বিয়া করেনা ক্যা??
মামী, খালা, ফুফু সমাজের তেলমর্দন চলতেই থাকবে আপনার মায়ের কাছে, 
আমার মেয়েডা কত্ত ভাল, এক্কেরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, 
দেখেন কোন গতি করা যায় কিনা আপনার ছেলেডারে দিয়া।
বন্ধু মহলে, পাড়া-প্রতিবেশীদের সেই ঐতিহাসিক সন্দেহ জাগবে 
"পোলার কি ফ্রন্ট গিয়ারে সমস্যা নাকি"??


বন্ধু মহলে শুনতে হলে হালায় হাফলেডিস।
বসের থেকে শুনতে হবে, বিয়া করোনাই টাকা পয়সার এত কী দরকার, কয়দিন পরেই বেতন নাও।
সংসার ভাঙ্গা কাউরে সাত্বনা দিতে যাইবেন আর ঝাড়ি খাইবেন "ওই মিয়া আপনি কি বিয়া করেছেন, আমার জ্ঞান দিতে আইছেন?




নিজের যৌন কুপ্রবৃত্তিকে বশে রাখা কঠিন হবে।
সন্তান সন্ততি না থাকলে শেষ বয়সে লোনলি ফিল করতে পারেন।
দুঃখের কথাগুলো শেয়ার করার মত বিশ্বস্ত মানুষ পাওয়া দূরহ হবে।
নিজের শার্টের কলারের তেল চট চটে দাগ ঘষে তুলতে তুলতে হাতে ফোস্ক পড়তে পারে যদি না লন্ড্রিতে না পাঠান।
বিধ্বত্ব অবস্থায় অনুপ্রেরণা দেবার লোক পাওয়া দূরহ হবে।
ফ্রীতে ক্যাসেট শুনতে পারবেন না। সবার কথা বলছি না। 
বধু সমাজের কেউ কেউ সারাদিন অনর্গল ক্যাসেটের মত বাজতেই থাকে, বাজতেই থাকে। 
ওর ইনফিনিটি ফিতা শেষ হয় না । 
চলছে তো চলছেই………………..।




একজন নারী কোন কথাগুলো একজন পুরুষের কাছে লুকিয়ে রাখে? এবং কেনো রাখে?



===(প্রথম)

নারীরা পুরুষের তুলনায় অধিক বহুগামী। ধর্মে তাদের সম্পর্কে নাবালকের আইডিয়া দেওয়া হয়েছে। এবং পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাই তারা ভয়ে পুরোনো প্রেম আর যৌনসম্পর্কের কথা কাউকে বলে না। 
কারন একজন নারীর ইনকাম নেই।সে ভয়ে ভীতু। যদি মুখ ফসকে সত্যি বের হয়ে যায়। 
স্বামী যদি বর্জন করে তবে খাবে কি? 
মানুষ ভুলবশত কাউকে খুন করলে যেমন স্বীকার করবে না। প্রানের ভয়ে। 
তেমনি নারীরা বহুগামিতা স্বীকার করবে না ভরনপোষণ হারানোর ভয়ে৷


নারীরা পৃথিবীতে প্রানের উত্থান ঘটায়। নারী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলে নারী পুরুষ উভয়ের লাভ। কিন্তু নাবালক ফিলোসফারদের হাতে রচিত ধর্মগুলি নারী সম্পর্কে আমাদের অন্ধ করে রেখেছে৷

ধর্মে পুরুষদের বহুবিবাহ অনুমোদিত। 
আর নারীর অনুমোদিত নয় এভাবে প্রমান করতে চেয়েছে নারীরা পুরুষের বহুবিবাহ মেনে নিতে পারে।

কিন্তু এতে নারীরা অখুশি।কারন পুরুষের চেয়ে নারীর সঙ্গীর প্রয়োজন বেশি। তার শারীরিক দুর্বলতা(feminine energy) ও মানসিক কারনে। কোন নারীই স্বামীর ভাগ দিতে চায় না।

নারী সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে নাবলকদের রচিত চিন্তাধারা বাদ দিয়ে নতুন করে মেডিটেশন করতে হবে। নতুবা সারাবছর স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া হবে এবং প্রতিদিন পত্রিকায় স্ত্রী কর্তৃক পুরুষাঙ্গ কাটার নিউজ পাবেন৷

Can you cleanse your inner vision until you see nothing but the light?

ভাবানুবাদঃ তুমি কি তোমার অন্তর্দৃষ্টিকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করতে পারো ,
যাতে তুমি আলো ছাড়া আর কিছু না দেখ?

Can you step back from you own mind and thus understand all things?

ভাবানুবাদঃ তুমি কি তোমার গদবাধা চিন্তাধারা থেকে সরে আসতে পারো যাতে তুমি সত্য বুঝ?






===(দ্বিতীয়)

প্রাক্তন প্রেম:- স্বামীর কাছে প্রাক্তন প্রেমিকের ব্যপারে আসল সত্য কোনও মেয়েই বলে না। ৫-বছর রিলেশান থাকলে বলে ৬-মাস রিলেশান ছিল। কোনো মেয়ে তার অতীত জানায় না আর জানালেও details বলে না বিশেষ করে শারীরিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলোর কথা ।

আজকাল বেশিরভাগ মেয়েই বিয়ের পর প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে (thnx to social media),স্বামী যখন অফিসের কাজে বাইরে যায় বা নিজে যখন বাপের বাড়িতে আসে তখন প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে,এগুলো secret রাখে।

প্রাক্তন প্রেমিকের যত দোষ:- কোনো মেয়েই তার প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে ব্রেকআপের প্রকৃত রহস্য বর্তমান প্রেমিকের বা স্বামীর সামনে বলে না। বরঞ্চ ব্রেকআপের দোষ সম্পূর্ণ ভাবে প্রাক্তন প্রেমিকের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো প্রাক্তন প্রেমিকের দোষেই ব্রেকআপ হয়। 
যার দোষেই সম্পর্কে ভাঙুক না কেন মেয়েরা বর্তমান প্রেমিকের বা স্বামীর কাছে প্রকৃত সত্য লুকিয়ে রাখে আর চায় না নিজের দোষটুকু সামনে আনতে।


প্রকৃত বয়স:- মেয়েরা নিজেদের বয়স নিয়ে সব চেয়ে বেশি মিথ্যে বলে থাকেন। 
নিজের বয়স কিছুটা কমিয়ে বলতে বা বিশেষ করে পুরুষদের সামনে বয়স লুকোতে তারা দ্বিধা বোধ করেন না। একটু কম বয়েসি হিসেবে পরিচিতি পাবার জন্য এই মিথ্যাটি বলে থাকেন মেয়েরা। 
এই মিথ্যা কথা বলা আসলে মেয়েরা পরিবার থেকেই শিখে থাকেন।


নিজের দোষ বা ভুল স্বীকারের ক্ষেত্রে:- নিজের দোষ বা ভুলের ক্ষেত্রেও মেয়েরা পারদর্শী। 
বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিকের সামনে মেয়েরা কখনওই নিজের দোষ স্বীকার করেন না। 
বরং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এটাই প্রমাণ করতে চান যে অন্য সকলেই দোষী বা ভুল বলছে , 
কিন্তু তিনি দোষী নন বা তাঁর কোনও ভুল নেই।


নিরীহ সাজার আপ্রান চেষ্টা:- বেশিরভাগ মেয়েই যে কোনো পুরুষের সামনে নিজেকে নিরীহ ও শান্তশিষ্ট ভাবে উপস্থাপন করার জন্য মিথ্যা বলে থাকে।


ছেলে বন্ধু :- মেয়েরা ছেলেবন্ধুদের ব্যাপারেও লুকিয়ে রাখে।বিশেষ করে তাদের সঙ্গে কোথায় কোথায় বেড়াতে গেছে, কোথায় কোথায় hangout করেছে বা সিনেমা দেখতে গেছে, হালকা দুষ্টুমিগুলোর কথা, ছেলে বন্ধুদের প্রতি crush লুকিয়ে রাখে।


বেশিরভাগ মেয়েরাই তার প্রেমিককে বা স্বামীকে বলে, যে তার কোনো ছেলেবন্ধু নেই বা সংখ্যা হাতেগোনা ছিল কয়েকজন। এখন যোগাযোগ নেই।এই মিথ্যা বলার পেছনে দুটি কারণ থাকে। 
প্রথমত, যদি বর্তমান partner মেয়েটির ছেলেবন্ধু থাকার ব্যাপারে রাগ কিংবা অসম্মতি প্রকাশ করে। দ্বিতীয়ত, অন্য ছেলেদের সাথে ফ্লার্টিং সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য।


নিজের পরিবারের অবস্হা : নিজের পরিবারের এবং বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অতীত কুকর্মগুলো লুকিয়ে রাখে বা পরিবারের এবং আত্মীয়দের অবস্হা সম্পর্কে বড় বড় কথা বলা বা নিজের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বাড়িয়ে বলার প্রবণতা প্রায় সব মেয়ের মধ্যেই দেখা যায়।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিষয়গুলিতে মেয়েরা প্রকৃত সত্য লুকিয়ে রাখে ।



    ধন্যবাদান্তেঃ------
   মওদুদ আহমেদ মধু 
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®


No comments

Powered by Blogger.