জীবনের গভীরতম বোধ। ব্যাক্তিগত দৃশ্যমান জীবনের অদৃশ্য কিছু কাব্য।
০১=
জীবনের গভীরতম বোধকে আমি উপলব্ধি করতে পারি,
বা উপলব্ধি করতে ইচ্ছে হয় ।
জোছনার অপুর্ব ফুলকে আমি দেখতে পাই, বা অপূর্ব ফুলকে দেখতে চাই ।
আষাঢ়ের মোহময় বারিধারায় আমি আচ্ছন্য হয়ে যাই,
জোছনার অপুর্ব ফুলকে আমি দেখতে পাই, বা অপূর্ব ফুলকে দেখতে চাই ।
আষাঢ়ের মোহময় বারিধারায় আমি আচ্ছন্য হয়ে যাই,
বা হতে চাই ।
কিন্তু তারা অন্তরের এতই গভীরে থাকে যে,
তাদের তুলে আনতে পারি না ।
তাদের ধরতে পারি না ।
বার বার তারা হাত ফসকে যায় ।
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী জেগে আমি অপেক্ষা করি ।
কোনদিন কি পারবো তাকে ধরতে ?
কিন্তু তারা অন্তরের এতই গভীরে থাকে যে,
তাদের তুলে আনতে পারি না ।
তাদের ধরতে পারি না ।
বার বার তারা হাত ফসকে যায় ।
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী জেগে আমি অপেক্ষা করি ।
কোনদিন কি পারবো তাকে ধরতে ?
= ২
প্রতি শ্রাবনে একই ব্যাপার ঘটে,
একটা ঘোরের মতো তৈরী হয় হৃদয়ের অভ্যন্তরে ,
কোন এক অজানা কারনে ।
অবিরাম তুমুল বৃস্টি, তেপান্তরে মাঠে ঝাপটে বেড়ায়।
গাছপালাগুলি যখন অবিরাম দোল খেতে থাকে।
নদীর অবারিত জলরাসি ফুলে ফেপে একাকার।
আকাশে থেকে থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি ।
তখনই, আমার ভিতর থেকে সব দরজা খুলে যায়
বিবিধ কন্ঠে , দূর থেকে কে যেন ডাকে, আয় আয় আয় ।
সমস্ত হতাশা, জরাজির্ন পেছনে ফেলে
এই মায়াময় ইন্দ্রজালে মিশে একাকার হয়ে যেতে ইচ্ছে করে ।
এখানেই কি আছে তা ?
অনন্তকাল ধরে আমি খুজে চলেছি যা।।
প্রতি শ্রাবনে একই ব্যাপার ঘটে,
একটা ঘোরের মতো তৈরী হয় হৃদয়ের অভ্যন্তরে ,
কোন এক অজানা কারনে ।
অবিরাম তুমুল বৃস্টি, তেপান্তরে মাঠে ঝাপটে বেড়ায়।
গাছপালাগুলি যখন অবিরাম দোল খেতে থাকে।
নদীর অবারিত জলরাসি ফুলে ফেপে একাকার।
আকাশে থেকে থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি ।
তখনই, আমার ভিতর থেকে সব দরজা খুলে যায়
বিবিধ কন্ঠে , দূর থেকে কে যেন ডাকে, আয় আয় আয় ।
সমস্ত হতাশা, জরাজির্ন পেছনে ফেলে
এই মায়াময় ইন্দ্রজালে মিশে একাকার হয়ে যেতে ইচ্ছে করে ।
এখানেই কি আছে তা ?
অনন্তকাল ধরে আমি খুজে চলেছি যা।।
ঘুম আর জাগরনের মধ্যবর্তি একটা অবস্থা।
কানে মিহিভাবে বাজছে মুষুলধারায় বৃস্টির ঝমঝম শব্দ, যেন বিদায়ের কোন করুন সুর ।
কানে মিহিভাবে বাজছে মুষুলধারায় বৃস্টির ঝমঝম শব্দ, যেন বিদায়ের কোন করুন সুর ।
ওদিকে চোখে ঘুম ।
অবশেষে উঠেই গেলাম, এই অবস্থায় কি ঘুম হয় ? অমার অন্তত হয়না ।
জানালাটা আস্তে করে খুললাম,
বাতি আগে থেকেই অফ করা ছিল । আমি বাইরে তাকিয়ে আছি, আবছা আলো-আধাঁরি চারিদিক । নিস্তব্ধ হয়ে আছি, সমস্ত চেতনা আমার কোথায় যেন উড়ে গেলো । বালুকা বেলার সেই দিনগুলিতে হয়তো গেছে।
কি অসহ্য সুন্দর লাগছে চারিদিক , বৃস্টির ঝমঝম শব্দ ক্রমে বেড়েই চলছে ।
কমার কোন লক্ষন মাত্র নেই । সে এক অন্যরকম এক জগতের হাতছানি । চিরচেনা এই চারপাশ, তবুও যেন অচিন এক ভূবন ।
বৃস্টি আজ কি সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ?
যাক, আজ সব ভাসিয়ে নিয়ে যাক । বহুকাল ধরে জমানো সমস্ত বেদনা আজ প্রথম বৃস্টিতে ভেসে যাক, সাথে এই অভিমানি মন'টাও ভেসে যাক !
আশ্চর্য হচ্ছে, বর্স্টির গতির সাথে সাথে ভিতরে পাজড়গুলিও ভেঙ্গে যাচ্ছে । সমস্ত অন্তরাত্তা হু হু করছে, কেন করছে ?
কেন বৃস্টি হলেই ভিতরের সব এলোমেলো হয়ে যায় ?
অপার্থিব এই সব কিছুর মধ্যেই কি লুকিয়ে থাকে মানুষের হৃদয়ের আসল সুখ ?
অবশেষে উঠেই গেলাম, এই অবস্থায় কি ঘুম হয় ? অমার অন্তত হয়না ।
জানালাটা আস্তে করে খুললাম,
বাতি আগে থেকেই অফ করা ছিল । আমি বাইরে তাকিয়ে আছি, আবছা আলো-আধাঁরি চারিদিক । নিস্তব্ধ হয়ে আছি, সমস্ত চেতনা আমার কোথায় যেন উড়ে গেলো । বালুকা বেলার সেই দিনগুলিতে হয়তো গেছে।
কি অসহ্য সুন্দর লাগছে চারিদিক , বৃস্টির ঝমঝম শব্দ ক্রমে বেড়েই চলছে ।
কমার কোন লক্ষন মাত্র নেই । সে এক অন্যরকম এক জগতের হাতছানি । চিরচেনা এই চারপাশ, তবুও যেন অচিন এক ভূবন ।
বৃস্টি আজ কি সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ?
যাক, আজ সব ভাসিয়ে নিয়ে যাক । বহুকাল ধরে জমানো সমস্ত বেদনা আজ প্রথম বৃস্টিতে ভেসে যাক, সাথে এই অভিমানি মন'টাও ভেসে যাক !
আশ্চর্য হচ্ছে, বর্স্টির গতির সাথে সাথে ভিতরে পাজড়গুলিও ভেঙ্গে যাচ্ছে । সমস্ত অন্তরাত্তা হু হু করছে, কেন করছে ?
কেন বৃস্টি হলেই ভিতরের সব এলোমেলো হয়ে যায় ?
অপার্থিব এই সব কিছুর মধ্যেই কি লুকিয়ে থাকে মানুষের হৃদয়ের আসল সুখ ?
নীল আকাশ ভেঙ্গে রাজহংসীর মত,
উড়তে উড়তে মহিষা দলে এসেছিল সে ।
আমি হাঁস-টাস বা ঐ জাতীয় কিছু একটা ভেবেছিলাম ।
শেষ বিকেলের ফিকে আলোয় ভারী চারপাশ, আমায় ডেকেছিল কেউ ।
আমি বাতায়ন খুলে হাত বাড়ালাম ধু-ধু শুন্যতার মাঝে ।
দেখি আমার প্রিয়'রা সব উঠেছে মেতে বিষাদের হুল্লোড়ে ।
সেই থেকে রোজ বিকেলে ভূমদ্য সাগরের দিকে মুখ করে ,
অবারিত সবুজের গালিচায় বসে চাঁদে কিছু কবিতা খুজে ফিরি।
এখানে কোথাও কি আছে, আমার হারিয়ে যাওয়া অজানা কিছু ?
একেক দিন যখন খুব বাতাস বয় , নিঝুম নদীর পাড় ঘেষে ।
কলরবে বয়ে যাওয়া জলে মিশে , তখন সেখানেও দেখি ।
রয়েছে কি আবেশে ?
বাতাস কে বলে রেখেছি, আমাকে জানাতে । অদেখা যদি কিছু দেখে ।
যা আমি দেখতে চেয়েছি বহুকাল ধরে ।
রাতের জোছনাকিকে বলে রেখেছি ,
আমার আনন্দ মেশানো বেদনাগুলো যেন পালাতে না পারে ।
বলেছি, শোন আমি রাত্রীচর--এই সভ্যতার কাছে গোপন করে রেখেছি ,
আমার দগ্ধ সুখের গভীরতাকে ।
কোনদিন কেউ জানবে না।
আমার আলোরিত অনুভূতির জন্ম কোথায় ?
আমার ব্যাক্তিগত দৃশ্যমান জীবনের
উড়তে উড়তে মহিষা দলে এসেছিল সে ।
আমি হাঁস-টাস বা ঐ জাতীয় কিছু একটা ভেবেছিলাম ।
শেষ বিকেলের ফিকে আলোয় ভারী চারপাশ, আমায় ডেকেছিল কেউ ।
আমি বাতায়ন খুলে হাত বাড়ালাম ধু-ধু শুন্যতার মাঝে ।
দেখি আমার প্রিয়'রা সব উঠেছে মেতে বিষাদের হুল্লোড়ে ।
সেই থেকে রোজ বিকেলে ভূমদ্য সাগরের দিকে মুখ করে ,
অবারিত সবুজের গালিচায় বসে চাঁদে কিছু কবিতা খুজে ফিরি।
এখানে কোথাও কি আছে, আমার হারিয়ে যাওয়া অজানা কিছু ?
একেক দিন যখন খুব বাতাস বয় , নিঝুম নদীর পাড় ঘেষে ।
কলরবে বয়ে যাওয়া জলে মিশে , তখন সেখানেও দেখি ।
রয়েছে কি আবেশে ?
বাতাস কে বলে রেখেছি, আমাকে জানাতে । অদেখা যদি কিছু দেখে ।
যা আমি দেখতে চেয়েছি বহুকাল ধরে ।
রাতের জোছনাকিকে বলে রেখেছি ,
আমার আনন্দ মেশানো বেদনাগুলো যেন পালাতে না পারে ।
বলেছি, শোন আমি রাত্রীচর--এই সভ্যতার কাছে গোপন করে রেখেছি ,
আমার দগ্ধ সুখের গভীরতাকে ।
কোনদিন কেউ জানবে না।
আমার আলোরিত অনুভূতির জন্ম কোথায় ?
আমার ব্যাক্তিগত দৃশ্যমান জীবনের
= ৫
খুব ভোরে, যখন পূবের আকাশে আলোর আভা
ফুটতে শুরু করে চারদিক শুনশান নিরাবতা ।
তখন, সামনে বিস্তর খোলা প্রান্তর রেখে
কোন একটা গাছের নিচে নীরবে একা বসে থাকলে,
হৃদয়ের ভিতরে দুমড়ে মুচড়ে উঠে ।
সমস্ত অন্তরাত্তা হাহাকার করে উঠে ।
অন্তরের অতল গভীরে খা খা করে ।
যখন সবে স্যন্ধা নামে,
চারিদিকে আলো আধারীর খেলা,
আধো আলো-আধো আধাঁরের সে স্যন্ধায়,
একই রকম কোন এক নির্জন জায়গায়
আনমনে বসে থাকলে, বড় অদ্ভূদ লাগে চারিদিক ।
কেমন একটা রহস্যময় পরিবেশ বিরাজ করে ।
তখনও বড় বেশী বিচলিত হয় এ মন ।
কি এক অজানা অপ্রাপ্তিতে হু হু করে কেদেঁ উঠে,
এই অভিমানী মন ।
তেমন কোন কারন খুজে পাই না, এ অভিমানের ।
কেন এমন হয় ?
অকারণ আনন্দ, অকারণ বেদনা মানুষের জীবনে মাঝে মাঝে আসে ।
অনেকেই বলে, এসব নারী-পুরূষের জাগতিক প্রেম-ভালবাসার জন্য হয় !
কিন্তু আমার কেন যেন তা মনে হয় না ।
আমার মনে হয়, এটা তার চেয়েও বেশী কিছু।
কি সেই বেশী কিছু ?
এই ব্যাথা, অভিমান, হাহাকারের জন্ম কোথায় ?
আমার কেন যেন মনে হয় এই অনুভূতির জন্ম,
চিরচেনা আমাদের ভূবনে নয় ।
অন্য কোন ভূবনে ।
এরা বিশেষ বিশেষ সময়ে এসে ,
মানুষের মনকে এলোমেলো করে দিয়ে,
আবার অন্য ভূবনে চলে যায় !
খুব ভোরে, যখন পূবের আকাশে আলোর আভা
ফুটতে শুরু করে চারদিক শুনশান নিরাবতা ।
তখন, সামনে বিস্তর খোলা প্রান্তর রেখে
কোন একটা গাছের নিচে নীরবে একা বসে থাকলে,
হৃদয়ের ভিতরে দুমড়ে মুচড়ে উঠে ।
সমস্ত অন্তরাত্তা হাহাকার করে উঠে ।
অন্তরের অতল গভীরে খা খা করে ।
যখন সবে স্যন্ধা নামে,
চারিদিকে আলো আধারীর খেলা,
আধো আলো-আধো আধাঁরের সে স্যন্ধায়,
একই রকম কোন এক নির্জন জায়গায়
আনমনে বসে থাকলে, বড় অদ্ভূদ লাগে চারিদিক ।
কেমন একটা রহস্যময় পরিবেশ বিরাজ করে ।
তখনও বড় বেশী বিচলিত হয় এ মন ।
কি এক অজানা অপ্রাপ্তিতে হু হু করে কেদেঁ উঠে,
এই অভিমানী মন ।
তেমন কোন কারন খুজে পাই না, এ অভিমানের ।
কেন এমন হয় ?
অকারণ আনন্দ, অকারণ বেদনা মানুষের জীবনে মাঝে মাঝে আসে ।
অনেকেই বলে, এসব নারী-পুরূষের জাগতিক প্রেম-ভালবাসার জন্য হয় !
কিন্তু আমার কেন যেন তা মনে হয় না ।
আমার মনে হয়, এটা তার চেয়েও বেশী কিছু।
কি সেই বেশী কিছু ?
এই ব্যাথা, অভিমান, হাহাকারের জন্ম কোথায় ?
আমার কেন যেন মনে হয় এই অনুভূতির জন্ম,
চিরচেনা আমাদের ভূবনে নয় ।
অন্য কোন ভূবনে ।
এরা বিশেষ বিশেষ সময়ে এসে ,
মানুষের মনকে এলোমেলো করে দিয়ে,
আবার অন্য ভূবনে চলে যায় !
ফলে সমস্যা সারাক্ষন ছায়ার মতো আমাকে ঘিরে আছে ।
একটা সমস্যা যখন আসে, তখন অসংখ সমস্যা আমার বাড়ির সামনে এসে জড়ো হয়
সকাল বেলা দ্বার খুলে দেখি অধির আগ্রহে তারা আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
তবুও আমি ভালোবাসি আমার আমিকে , ভালোবাসি ভাবতে , ভালোবাসি ভালোবাসতে ।
মানুষকে প্রচন্ড ভালোবাসার এক বিশাল ক্ষমতা বিধাতা আমাকে দিয়েছেন ,
কিন্তু ভালোবেসে ধরে রাখার ক্ষমতাটা দিতে, তিনি সম্ভবত ভূলে গেছেন ।
মাঝে মধ্যে নিজেকে বড্ড সেকেলে মনে হয়, মনের মধ্যে অকারনে মায়া পুষি, অসংখ মায়া ,
আর শুধু কস্ট পাই , মায়ার কস্ট বড় ভয়ংকর সবই বুঝি তার পরেও কস্ট পাই , এ আমার নিজস্ব পৃথিবী ।
সৌন্দর্যের ফুলকে ধরার আশায় আজও ছুটে চলছি নিরন্তর , সৌন্দর্যের ফুলকে ধরতে না পারার বেদনায় কেটেছে শৈশব-কৈশর।
আমি জানি সম্ভব না, তবুও এখনও চেস্টা করে যাচ্ছি ,
যদি একবার, জোছনার ফুলকে ধরতে পারি- মাত্র একবার । এই পৃথিবীর কাছে আমার এর চেয়ে বেশী চাইবার কিছু নেই ।
এই জীবন বহমান রয়েছে, দুঃখ মেশানো-আনন্দে আনন্দে । যে দুঃখের জন্ম এই পৃথিবীতে নয়, অন্য কোন অজানা ভূবনে ।
একদিন আমার সব ভাবনা শেষ হবে, ফকফকে জোছনার রাতে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হব,
তখন এ জীবনে সঞ্চিত সব ব্যাথার কথা ভেবে চিৎকার করে কাঁদব ,
যাত্রা করবো অন্য এক ভূবনে, যেখানে যাবতীয় আনন্দ বেদনার জন্ম ।
আজ আমার কাঁদার সময় নেই ।।
একটা সমস্যা যখন আসে, তখন অসংখ সমস্যা আমার বাড়ির সামনে এসে জড়ো হয়
সকাল বেলা দ্বার খুলে দেখি অধির আগ্রহে তারা আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
তবুও আমি ভালোবাসি আমার আমিকে , ভালোবাসি ভাবতে , ভালোবাসি ভালোবাসতে ।
মানুষকে প্রচন্ড ভালোবাসার এক বিশাল ক্ষমতা বিধাতা আমাকে দিয়েছেন ,
কিন্তু ভালোবেসে ধরে রাখার ক্ষমতাটা দিতে, তিনি সম্ভবত ভূলে গেছেন ।
মাঝে মধ্যে নিজেকে বড্ড সেকেলে মনে হয়, মনের মধ্যে অকারনে মায়া পুষি, অসংখ মায়া ,
আর শুধু কস্ট পাই , মায়ার কস্ট বড় ভয়ংকর সবই বুঝি তার পরেও কস্ট পাই , এ আমার নিজস্ব পৃথিবী ।
সৌন্দর্যের ফুলকে ধরার আশায় আজও ছুটে চলছি নিরন্তর , সৌন্দর্যের ফুলকে ধরতে না পারার বেদনায় কেটেছে শৈশব-কৈশর।
আমি জানি সম্ভব না, তবুও এখনও চেস্টা করে যাচ্ছি ,
যদি একবার, জোছনার ফুলকে ধরতে পারি- মাত্র একবার । এই পৃথিবীর কাছে আমার এর চেয়ে বেশী চাইবার কিছু নেই ।
এই জীবন বহমান রয়েছে, দুঃখ মেশানো-আনন্দে আনন্দে । যে দুঃখের জন্ম এই পৃথিবীতে নয়, অন্য কোন অজানা ভূবনে ।
একদিন আমার সব ভাবনা শেষ হবে, ফকফকে জোছনার রাতে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হব,
তখন এ জীবনে সঞ্চিত সব ব্যাথার কথা ভেবে চিৎকার করে কাঁদব ,
যাত্রা করবো অন্য এক ভূবনে, যেখানে যাবতীয় আনন্দ বেদনার জন্ম ।
আজ আমার কাঁদার সময় নেই ।।
= ৭
হৃদয়ের গহীনে সারাক্ষন খেলা করে অদ্ভুত সব খেয়াল ।
বিচিত্র সব কান্ড করতে ইচ্ছে হয় , কখনো পারি- কখনো পারি না ।
কখনো ইচ্ছে হয়, নদীর পাড় ঘেষে অনন্তের দিকে হাটতে ,
কখনো বা, বিস্তৃত দিগন্ত জুড়ে এলোমেলো ভাসতে ।
গভীর অরণ্যের মাঝে লুকিয়ে থাকে, তীব্র আনন্দ ও তীব্র ব্যাথাবোধ । কেন ?
ছায়াঢাকা পথ ধরে অবিরাম হারানো যায় দুরে কোথাও ।
বড় বড় ছাতিম গাছ সারা পথ জুড়ে এমন ভাবে ছড়ানো যেন
মাথার উপর ছাতা ধরে আছে কেউ ।
পথের একদিকে বেতবন , থোকায় থোকায় ফলে আছে বেতফল ।
কাছে কোথাও ঘুঘু ডাকছে কি ?
কিছুদূর গিয়েই পথ শেষ হয়ে গেল । শুরু হল ঘন জঙ্গল ।
শ্রাবন মাসের জঙ্গল, হাঁটু-উচু ঘাস জমে অন্যরকম এক মায়াবী পরিবেশ ।
আমি হাঁটছি আর হঁটছি উদ্ভ্রান্ত যোগিনীর মত ।
একসময় লক্ষ করলাম, আমার সামনে বিশাল এক শান্ত নদী।নদী কি শান্ত হয় ?
নদীর চারপাশ জুড়ে ঘন বন , যে বনে আমি হটছিলাম , মাজখানে নদী ।
কি টলমলে নদীর পানি , আঁচল পেতে দিতে ইচ্ছে হয় ।
কেমন যেন স্বপ্নময়, আবার ঠিক যেন স্বপ্ন নয় ।
স্বপ্ন ও জাগ্রতের এক মেলবন্ধন ।
গভীর রাতে কোন এক শান্ত দিঘীর জলে, ছোট্ট ডিঙ্গায় চড়ে জোছনার ফকফকা সাদা আলো-
গায়ে মাখতে ইচ্ছে হয় ।
চাঁদনি পসর রাতের ছোট্ট দিঘীর জলে মিশে আছে ,
আমার সব আনন্দ বেদনার কাব্য ।
শুধু একবার, কোন এক পূর্ণীমার রাতে - শান্ত দিঘীর জল, আর আকাশের জোছনা ।
একসাথে গায়ে মাখতে চাই ।
মরন যখনই আসুক ,
হৃদয়ের গহীনে সারাক্ষন খেলা করে অদ্ভুত সব খেয়াল ।
বিচিত্র সব কান্ড করতে ইচ্ছে হয় , কখনো পারি- কখনো পারি না ।
কখনো ইচ্ছে হয়, নদীর পাড় ঘেষে অনন্তের দিকে হাটতে ,
কখনো বা, বিস্তৃত দিগন্ত জুড়ে এলোমেলো ভাসতে ।
গভীর অরণ্যের মাঝে লুকিয়ে থাকে, তীব্র আনন্দ ও তীব্র ব্যাথাবোধ । কেন ?
ছায়াঢাকা পথ ধরে অবিরাম হারানো যায় দুরে কোথাও ।
বড় বড় ছাতিম গাছ সারা পথ জুড়ে এমন ভাবে ছড়ানো যেন
মাথার উপর ছাতা ধরে আছে কেউ ।
পথের একদিকে বেতবন , থোকায় থোকায় ফলে আছে বেতফল ।
কাছে কোথাও ঘুঘু ডাকছে কি ?
কিছুদূর গিয়েই পথ শেষ হয়ে গেল । শুরু হল ঘন জঙ্গল ।
শ্রাবন মাসের জঙ্গল, হাঁটু-উচু ঘাস জমে অন্যরকম এক মায়াবী পরিবেশ ।
আমি হাঁটছি আর হঁটছি উদ্ভ্রান্ত যোগিনীর মত ।
একসময় লক্ষ করলাম, আমার সামনে বিশাল এক শান্ত নদী।নদী কি শান্ত হয় ?
নদীর চারপাশ জুড়ে ঘন বন , যে বনে আমি হটছিলাম , মাজখানে নদী ।
কি টলমলে নদীর পানি , আঁচল পেতে দিতে ইচ্ছে হয় ।
কেমন যেন স্বপ্নময়, আবার ঠিক যেন স্বপ্ন নয় ।
স্বপ্ন ও জাগ্রতের এক মেলবন্ধন ।
গভীর রাতে কোন এক শান্ত দিঘীর জলে, ছোট্ট ডিঙ্গায় চড়ে জোছনার ফকফকা সাদা আলো-
গায়ে মাখতে ইচ্ছে হয় ।
চাঁদনি পসর রাতের ছোট্ট দিঘীর জলে মিশে আছে ,
আমার সব আনন্দ বেদনার কাব্য ।
শুধু একবার, কোন এক পূর্ণীমার রাতে - শান্ত দিঘীর জল, আর আকাশের জোছনা ।
একসাথে গায়ে মাখতে চাই ।
মরন যখনই আসুক ,
চাঁদনী পসর রাতেই আমি মরতে চাই ।
আমার মৃত্যুর দিনে কি আকাশ ভরা জোছনা থাকবে।?
আমার মৃত্যুর দিনে কি আকাশ ভরা জোছনা থাকবে।?
= ৮
বড় অদ্ভুৎ আমাদের এই মানব জীবন ।
মায়া-মমতার সূক্ষ এক লুকোচুরী খেলা চলে প্রতিনিয়ত ।
চেতনে-অবচেতনে প্রতক্ষে-পরক্ষে সর্বদাই বহমান এই খেলা ।
খুব স্বযত্নে মনের মধ্যে অকারণে অজস্র মায়া পূষে রাখি ।
ভয়ংকর কস্টের সে মায়া, জগতের যে কোন কিছুর চেয়েই মূল্যবান এই মায়া ।
দেখা যায় না, ছোয়া যায় না কিন্তু গভীর ভাবে অনুভব করা যায় ।
বেশীরভাগ সময়ই মায়া অপাত্রে দান করা হয় , এত কস্টের লালিত মমতা ধূলোয় লুটায় ।
যাকে মমতা দান করা হয়, মমতা ব্যাপারটাই হয়ত তার ধারনার মধ্যে থাকেনা ।
কিছু মানুষ আমাদের জীবনে আসে খুব অল্প সময়ের জন্য । এরা হঠাৎ করে আসে,
আবার ঠিক হঠাৎ করেই চলে যায় । সাথে করে নিয়ে যায় তিলে তিলে গড়া,
কস্ট মাখা মমতা । মজার ব্যাপার হল, সে জানেও না যে সে সমস্ত বুক খালি করে কি নিয়ে গেল ।
যা, যত্ন করে জমিয়ে রাখা হয়েছে হয়ত অন্য কারও জন্য ।
কে জানে, হয়ত কারও জন্যই রাখা হয় নি ।
অথচ, খুব কাছেই কেউ হয়ত বিনা প্রতিদানে দিবা-নিশী দান করে গেছে তার মমতা ।
খুব বেশী কাছে বলেই তা হয়ত চোখে পড়েনি ।
আমার ধারনা, পরিকল্পনা করে আর যাই হোক মায়া-মমতাকে চালনা করা যায় না ।
কখন কোথায় কিভাবে এই মায়ার জন্ম ?
কেউ কি আমরা জানি ??
বড় অদ্ভুৎ আমাদের এই মানব জীবন ।
মায়া-মমতার সূক্ষ এক লুকোচুরী খেলা চলে প্রতিনিয়ত ।
চেতনে-অবচেতনে প্রতক্ষে-পরক্ষে সর্বদাই বহমান এই খেলা ।
খুব স্বযত্নে মনের মধ্যে অকারণে অজস্র মায়া পূষে রাখি ।
ভয়ংকর কস্টের সে মায়া, জগতের যে কোন কিছুর চেয়েই মূল্যবান এই মায়া ।
দেখা যায় না, ছোয়া যায় না কিন্তু গভীর ভাবে অনুভব করা যায় ।
বেশীরভাগ সময়ই মায়া অপাত্রে দান করা হয় , এত কস্টের লালিত মমতা ধূলোয় লুটায় ।
যাকে মমতা দান করা হয়, মমতা ব্যাপারটাই হয়ত তার ধারনার মধ্যে থাকেনা ।
কিছু মানুষ আমাদের জীবনে আসে খুব অল্প সময়ের জন্য । এরা হঠাৎ করে আসে,
আবার ঠিক হঠাৎ করেই চলে যায় । সাথে করে নিয়ে যায় তিলে তিলে গড়া,
কস্ট মাখা মমতা । মজার ব্যাপার হল, সে জানেও না যে সে সমস্ত বুক খালি করে কি নিয়ে গেল ।
যা, যত্ন করে জমিয়ে রাখা হয়েছে হয়ত অন্য কারও জন্য ।
কে জানে, হয়ত কারও জন্যই রাখা হয় নি ।
অথচ, খুব কাছেই কেউ হয়ত বিনা প্রতিদানে দিবা-নিশী দান করে গেছে তার মমতা ।
খুব বেশী কাছে বলেই তা হয়ত চোখে পড়েনি ।
আমার ধারনা, পরিকল্পনা করে আর যাই হোক মায়া-মমতাকে চালনা করা যায় না ।
কখন কোথায় কিভাবে এই মায়ার জন্ম ?
কেউ কি আমরা জানি ??
= ৯
প্রায়ই রাতের আকাশ'কে দেখি-
আকাশের গভীরতাকে কভুও দেখতে পাই না ।
তারাদের মিছিলে চকচক করা আকশের পুরোটাই রহস্যে মোড়ানো। তবু কোথায় যেন প্রচন্ড মায়া'র শূন্যতায় ভরা। যে মায়া ছড়িয়ে যায় হৃদয়ের অনেক ভিতর পর্যন্ত। বড় ইচ্ছে করে "মায়া'কে ছুয়ে দিতে ।
ভরা পূর্ণিমায় গভীর রাতে জোছনার রহস্যময় সাদা আলো দেখি। মায়াময় জোছনার আলোর গভীরে'র
বেদনাকে কখনওই দেখতে পাই না। অথচ সে বেদনা চেপে বসে একেবারে পাঁজড় জুড়ে ।
খুঁজে দেখতে ইচ্ছে করে, জোছনার সাদা আলোর মধ্যে এমন কি আছে,
প্রায়ই রাতের আকাশ'কে দেখি-
আকাশের গভীরতাকে কভুও দেখতে পাই না ।
তারাদের মিছিলে চকচক করা আকশের পুরোটাই রহস্যে মোড়ানো। তবু কোথায় যেন প্রচন্ড মায়া'র শূন্যতায় ভরা। যে মায়া ছড়িয়ে যায় হৃদয়ের অনেক ভিতর পর্যন্ত। বড় ইচ্ছে করে "মায়া'কে ছুয়ে দিতে ।
ভরা পূর্ণিমায় গভীর রাতে জোছনার রহস্যময় সাদা আলো দেখি। মায়াময় জোছনার আলোর গভীরে'র
বেদনাকে কখনওই দেখতে পাই না। অথচ সে বেদনা চেপে বসে একেবারে পাঁজড় জুড়ে ।
খুঁজে দেখতে ইচ্ছে করে, জোছনার সাদা আলোর মধ্যে এমন কি আছে,
যা দেখলেই বুকের ভিতর হু হু করে ।
চারিদিক অন্ধকার করে ঝুম বৃস্টি হলেই
একলা একা জানালার পাশে বসে
দু-চোখ জুড়িয়ে বৃস্টি দেখি ।
বৃস্টির অতলে লুকিয়ে থাকা কস্টগুলোকে কভূ দেখতে পাই না। কিন্তু অনুভব করি সমস্ত অনুভূতি দিয়ে। ভিতরে কোথাও যেন চিনচিনে ব্যাথা হয় ।
অথচ সেই চিনচিনে ব্যাথার কোন কারন থাকেনা।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কেন বৃস্টি হলেই মানুষের মন এমন খা খা করে?
নিঝুম কোন বনের ভিতরে সময়কে উপেক্ষা করে চারিদেকে এলোমেলো হাটি। নিস্তব্ধ হয়ে শুধু দেখেই যাই, তবুও এর বিশাল মুগ্ধতা শেষ হয় না ।
জানতে ইচ্ছে করে গভীর বন কেনো মনকে এলোমেলো করে দেয় ?
আমার বড় ইচ্ছে করে এদের গভীরতাকে দেখতে ,
আনমনে আলতো করে গভীরের গভীরতাকে,
ছুয়ে দিতে। যদি ছুয়ে দেওয়া যেত কত ভালই না হতো ।
কেন গভীরতাকে ছুয়ে দিতে পারি না ???
চারিদিক অন্ধকার করে ঝুম বৃস্টি হলেই
একলা একা জানালার পাশে বসে
দু-চোখ জুড়িয়ে বৃস্টি দেখি ।
বৃস্টির অতলে লুকিয়ে থাকা কস্টগুলোকে কভূ দেখতে পাই না। কিন্তু অনুভব করি সমস্ত অনুভূতি দিয়ে। ভিতরে কোথাও যেন চিনচিনে ব্যাথা হয় ।
অথচ সেই চিনচিনে ব্যাথার কোন কারন থাকেনা।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কেন বৃস্টি হলেই মানুষের মন এমন খা খা করে?
নিঝুম কোন বনের ভিতরে সময়কে উপেক্ষা করে চারিদেকে এলোমেলো হাটি। নিস্তব্ধ হয়ে শুধু দেখেই যাই, তবুও এর বিশাল মুগ্ধতা শেষ হয় না ।
জানতে ইচ্ছে করে গভীর বন কেনো মনকে এলোমেলো করে দেয় ?
আমার বড় ইচ্ছে করে এদের গভীরতাকে দেখতে ,
আনমনে আলতো করে গভীরের গভীরতাকে,
ছুয়ে দিতে। যদি ছুয়ে দেওয়া যেত কত ভালই না হতো ।
কেন গভীরতাকে ছুয়ে দিতে পারি না ???
রাতের সৌন্দর্য অনেক বেশী ।
প্রতিটা রাত কত বাহারী, সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয় আমাদের মাঝে ।
হাতের নাগালে থেকেও, প্রায়ই তা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়।
বঞ্চিত হই, মাতাল করে দেওয়া অধরা রূপের সূধা থেকে ।
সৌন্দর্য উপলব্ধির জন্য, উন্নত চেতনার প্রয়োজন ।
যা,আমাদের অনেকের মধ্যেই হয়তো নেই । আমারও নেই ।
যে কারনে, আমাদের চোখের সামনে নিঝুম রাতে কত কি ঘটে যায়,
আমরা তাকিয়ে থাকি কিছুই দেখতে পাইনা ।
মানুষের না দেখার ক্ষমতা অসাধারণ !
দিবা-নিশী সেই সৌন্দর্যকে ধরার চেস্টা করে যাই।
পারবো কি কোনদিন ধরতে ?
পূর্ণীমার প্রায় রাতগুলোই জেগে থাকি অনন্য কিছু আহরণের আশায়।
অন্য এক আবেশে জড়িয়ে থাকে, এ ভূভুক্ষ হৃদয় ।
আকাশ আজ মেঘলা বলে তারার আলো নেই ,
ঝিঁঝিঁপোকাও ডাকছে না । ঝিঁঝিঁপোকা ডাক বন্ধ করা মানে,
কিছুক্ষনের মধ্যেই বৃস্টি শুরু হবে ।
বৃস্টি শুরুর আগে আগে এরা ডাক বন্ধ করে দেয় ,
জোনাকিরাও তাদের আলো নিভীয়ে দেয় ।
আশ্চর্য কাকতালীয় ব্যাপার , জানালায় এসে বসা মাত্রই -
ঝমঝমিয়ে বৃস্টি শুরু হল ।
প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না কোথাও ।
শুধু, শুনতে পাচ্ছি মায়া ঝড়ানো বৃস্টির রিমঝিম শব্দ ।
থেকে থেকে বিজলীর ঝলকে, অচেনা এক জগৎ উকি দেয় ।
এ কোথায় আমি? মানুশের জঞ্জালে ভরা পৃথিবীতে ?
না, এ চেনাজানা কোন জগৎ নয় । এ অন্য এক জগৎ ।
অতৃপ্ত ভূভুক্ষ হৃদয়কে তৃপ্ত করার সব কিছুই যেখানে আছে।
বৃস্টির মায়াকে হাত বাড়িয়ে ছুয়ে আছি ,
আলো-আধঁরীর রহস্যময়তাকে জড়িয়ে আছি ,
কানে বাজছে, অপার্থিব কোন সুর -
অচেনা ষ্পর্শ ডাকছে আমায় বার-বার ।
কে বলে কিছু নেই আমার ?
রাতের সময় গুলো এত সুন্দর হয় কেন ?
রাতের বেদনা গুলো বা এত সুখের হয় কেন ?
প্রতিটা রাত কত বাহারী, সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয় আমাদের মাঝে ।
হাতের নাগালে থেকেও, প্রায়ই তা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়।
বঞ্চিত হই, মাতাল করে দেওয়া অধরা রূপের সূধা থেকে ।
সৌন্দর্য উপলব্ধির জন্য, উন্নত চেতনার প্রয়োজন ।
যা,আমাদের অনেকের মধ্যেই হয়তো নেই । আমারও নেই ।
যে কারনে, আমাদের চোখের সামনে নিঝুম রাতে কত কি ঘটে যায়,
আমরা তাকিয়ে থাকি কিছুই দেখতে পাইনা ।
মানুষের না দেখার ক্ষমতা অসাধারণ !
দিবা-নিশী সেই সৌন্দর্যকে ধরার চেস্টা করে যাই।
পারবো কি কোনদিন ধরতে ?
পূর্ণীমার প্রায় রাতগুলোই জেগে থাকি অনন্য কিছু আহরণের আশায়।
অন্য এক আবেশে জড়িয়ে থাকে, এ ভূভুক্ষ হৃদয় ।
আকাশ আজ মেঘলা বলে তারার আলো নেই ,
ঝিঁঝিঁপোকাও ডাকছে না । ঝিঁঝিঁপোকা ডাক বন্ধ করা মানে,
কিছুক্ষনের মধ্যেই বৃস্টি শুরু হবে ।
বৃস্টি শুরুর আগে আগে এরা ডাক বন্ধ করে দেয় ,
জোনাকিরাও তাদের আলো নিভীয়ে দেয় ।
আশ্চর্য কাকতালীয় ব্যাপার , জানালায় এসে বসা মাত্রই -
ঝমঝমিয়ে বৃস্টি শুরু হল ।
প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না কোথাও ।
শুধু, শুনতে পাচ্ছি মায়া ঝড়ানো বৃস্টির রিমঝিম শব্দ ।
থেকে থেকে বিজলীর ঝলকে, অচেনা এক জগৎ উকি দেয় ।
এ কোথায় আমি? মানুশের জঞ্জালে ভরা পৃথিবীতে ?
না, এ চেনাজানা কোন জগৎ নয় । এ অন্য এক জগৎ ।
অতৃপ্ত ভূভুক্ষ হৃদয়কে তৃপ্ত করার সব কিছুই যেখানে আছে।
বৃস্টির মায়াকে হাত বাড়িয়ে ছুয়ে আছি ,
আলো-আধঁরীর রহস্যময়তাকে জড়িয়ে আছি ,
কানে বাজছে, অপার্থিব কোন সুর -
অচেনা ষ্পর্শ ডাকছে আমায় বার-বার ।
কে বলে কিছু নেই আমার ?
রাতের সময় গুলো এত সুন্দর হয় কেন ?
রাতের বেদনা গুলো বা এত সুখের হয় কেন ?
= ১১
গভীর অরন্য ঘন গাছ পালায় ঘেরা চারপাশ ।
ভয়ংকর নির্জন, কোথাও কেউ নেই ।
মায়াবী মায়াবী পরিবেশ, মন এলোমেলো করে দেওয়া ঝিরিঝিরি বাতাস ।
বড় বড় ঝাকঁড়া গাছের সারি । মাঝে মাঝে আবার কিছু কদম গাছও আছে ।
বেশ একটা দিঘীও আছে, যার পানি টলটলা পরিস্কার ।
দেখলেই ছুতে ইচ্ছা করে ।
এমনই একটা রহস্যময় জায়গার মাঝে ছোট্ট একটা কুটির, কুটরের চালা হল টিনের ।
সেই ছোট্ট কুটিরে আমি একলা একা পায়চারী করি ।
বিশেষ বিশেষ সময়ে জানালার পাশে এসে কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে থাকি ।
আষাঢ়ের ঝুম বৃস্টিতে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে, শুণ্য দৃস্টিতে বাহির দেখি ।
টিনের চালায় বৃস্টির ঝমঝম শব্দে মোহ আচ্ছন্য হয়ে যাই ,
দূর থেকে বিবিধ কন্ঠে ভেষে আসে অজানা আকুতি ,
আমি কান পেতে রই । আলতো করে হাত বাড়িয়ে বৃস্টি ছুয়ে দেখি ।
পূর্ণিমার রাতে, সারা রাত চুপটি করে বারান্দায় বসে থাকি ।
কেউ নেই আশেপাশে, অথচ মনে হয় কে যেন আছে কাছে কাছে ।
কে সে ? কে জানে ।
জীবনের কোন একটা ক্ষনে, এমন স্বপ্নময় সময় ,
আমি সত্যি সত্যি যাপন করতে চাই ।
এই পৃথিবীর কাছে এর চেয়ে বড় কিছু আর,
আমার চাওয়ার নেই ।
গভীর অরন্য ঘন গাছ পালায় ঘেরা চারপাশ ।
ভয়ংকর নির্জন, কোথাও কেউ নেই ।
মায়াবী মায়াবী পরিবেশ, মন এলোমেলো করে দেওয়া ঝিরিঝিরি বাতাস ।
বড় বড় ঝাকঁড়া গাছের সারি । মাঝে মাঝে আবার কিছু কদম গাছও আছে ।
বেশ একটা দিঘীও আছে, যার পানি টলটলা পরিস্কার ।
দেখলেই ছুতে ইচ্ছা করে ।
এমনই একটা রহস্যময় জায়গার মাঝে ছোট্ট একটা কুটির, কুটরের চালা হল টিনের ।
সেই ছোট্ট কুটিরে আমি একলা একা পায়চারী করি ।
বিশেষ বিশেষ সময়ে জানালার পাশে এসে কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে থাকি ।
আষাঢ়ের ঝুম বৃস্টিতে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে, শুণ্য দৃস্টিতে বাহির দেখি ।
টিনের চালায় বৃস্টির ঝমঝম শব্দে মোহ আচ্ছন্য হয়ে যাই ,
দূর থেকে বিবিধ কন্ঠে ভেষে আসে অজানা আকুতি ,
আমি কান পেতে রই । আলতো করে হাত বাড়িয়ে বৃস্টি ছুয়ে দেখি ।
পূর্ণিমার রাতে, সারা রাত চুপটি করে বারান্দায় বসে থাকি ।
কেউ নেই আশেপাশে, অথচ মনে হয় কে যেন আছে কাছে কাছে ।
কে সে ? কে জানে ।
জীবনের কোন একটা ক্ষনে, এমন স্বপ্নময় সময় ,
আমি সত্যি সত্যি যাপন করতে চাই ।
এই পৃথিবীর কাছে এর চেয়ে বড় কিছু আর,
আমার চাওয়ার নেই ।
= ১২
মজার একটা ব্যাপার হল,
পৃথিবীতে সবচেয়ে আনন্দময় জিনিস গুলোর জন্য , কোন অর্থ খরচ করতে হয় না।
চাইলেই সেই আনন্দের মধ্যে ডুবে থাকা যায় ।
যেমন-
ভরা পূর্ণীমার জোছনা, বৃস্টির দিনের বৃস্টি, নদীর জলের কল-কাকলী, রাতের আকাশ আরও কত কত জিনিস ।
পূর্নতা" ব্যাপার'টা আসলে কি ? পার্থীব ভোগ- বিলাস, মেকি আত্ম-মর্যাদা, মিথ্যা ?
মজার একটা ব্যাপার হল,
পৃথিবীতে সবচেয়ে আনন্দময় জিনিস গুলোর জন্য , কোন অর্থ খরচ করতে হয় না।
চাইলেই সেই আনন্দের মধ্যে ডুবে থাকা যায় ।
যেমন-
ভরা পূর্ণীমার জোছনা, বৃস্টির দিনের বৃস্টি, নদীর জলের কল-কাকলী, রাতের আকাশ আরও কত কত জিনিস ।
পূর্নতা" ব্যাপার'টা আসলে কি ? পার্থীব ভোগ- বিলাস, মেকি আত্ম-মর্যাদা, মিথ্যা ?
এসব কিছু আমার জানা নেই ।
শুধু জানি ভরা পূর্ণীমায় গভীর রাতে যখন একা একা,
জোছনার রহস্যময় আলো ছড়ানো বিছানা দেখি ।
তখন এই হৃদয়ে যে গভীর বিষাদ মাখা সুখের সঞ্চার হয় । সেই সুখ আর কোথায় পাই ?
বাদল দিনের ঘন কালো মেঘের আকাশ থেকে নেমে আসা,
তুমুল বর্ষার যে সুর ছন্দ খেলা করে দিগন্ত জুড়ে,
তখন মনের কোণে যে চিনচিনে ব্যাথার সুখ চঞ্চল হয়ে ওঠে । সে চঞ্চলতা আর কোথায় বা পাই ?
ঝড়ের পূর্বে হাওয়ার যে ঝাপাঝাপি নদীর অবারিত জলরাশির সাথে ,
দিগন্ত জোড়া সবুজ সমারোহের সাথে,
সেসময়ে হৃদয়ের কোন এক অজানায় যে পরম প্রাপ্তি বোধ ধরা দেয় ।
সে প্রাপ্তি আর কোথায় বা পাওয়া যায় ?
কি চাওয়ার থাকে আর, এই পৃথীবির কাছে ।
আমার অন্তত নেই ।
আমি শুধু , এই বিষাদ মাখা সুখগুলোই চাই । অন্য কিছু আমার চাইবার নাই ।
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী আমি অপেক্ষায় থাকি,
আমার প্রিয়'দের দেখতে ।
পারবো কি কোন দিন, তাদের খুজে পেতে ?
শুধু জানি ভরা পূর্ণীমায় গভীর রাতে যখন একা একা,
জোছনার রহস্যময় আলো ছড়ানো বিছানা দেখি ।
তখন এই হৃদয়ে যে গভীর বিষাদ মাখা সুখের সঞ্চার হয় । সেই সুখ আর কোথায় পাই ?
বাদল দিনের ঘন কালো মেঘের আকাশ থেকে নেমে আসা,
তুমুল বর্ষার যে সুর ছন্দ খেলা করে দিগন্ত জুড়ে,
তখন মনের কোণে যে চিনচিনে ব্যাথার সুখ চঞ্চল হয়ে ওঠে । সে চঞ্চলতা আর কোথায় বা পাই ?
ঝড়ের পূর্বে হাওয়ার যে ঝাপাঝাপি নদীর অবারিত জলরাশির সাথে ,
দিগন্ত জোড়া সবুজ সমারোহের সাথে,
সেসময়ে হৃদয়ের কোন এক অজানায় যে পরম প্রাপ্তি বোধ ধরা দেয় ।
সে প্রাপ্তি আর কোথায় বা পাওয়া যায় ?
কি চাওয়ার থাকে আর, এই পৃথীবির কাছে ।
আমার অন্তত নেই ।
আমি শুধু , এই বিষাদ মাখা সুখগুলোই চাই । অন্য কিছু আমার চাইবার নাই ।
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী আমি অপেক্ষায় থাকি,
আমার প্রিয়'দের দেখতে ।
পারবো কি কোন দিন, তাদের খুজে পেতে ?
= ১৩
তখনও অন্ধকার কাটেনি, পূবের আকাশ লাল হতে শুরু করেছে ।
ঘন কুয়াশা চারদিকে, ঠিক কুয়াশা না অনেকটা মেঘের মত ।
আমি দরজা খুলে বাইরে বের হলাম ।
রাতে খুব অস্থির অস্থির লাগছিল । এখন আর অস্থিরতা নেই ,
শরীর ঝরঝরে লাগছে ।
এত ভোরে নিশ্চয়ই কেউ জাগেনি ।
জাগলেও সমস্যা নেই , ভোর'কে প্রায়ই আমি একা একা দেখি ।
হাটতে হাটতে বাড়ির পিছনের দিকে চলে এলাম । এত সুন্দর লাগছে ।
খুব নির্জন কেমন স্নিগ্ধ একটা ভাব । দেখলেই বুকে ব্যাথা ব্যাথা লাগে । কেন লাগে কে জানে ।
নিশ্চয়ই আগেও জায়গাটা এমন সুন্দর ছিল ।
তাহলে এতদিন চোখে পড়েনি কেন ? আজ দিনটাই কি অন্যরকম ভাবে শুরু হয়েছে ?
প্রকান্ড পুকুরটায় চোখ পড়ল ।
মেঘের জন্য অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না ।
মনে হয় যেন বিশাল সমুদ্র , দেখলেই ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করে ।
চারপাশ'টায় নানা জাতের আগাছা ,
মাঝখানে টলটলে আয়নার মত পানি ।
পানিতে নেমে গা ভিজিয়ে নিলে কেমন হয় ?
মনের তীব্র ইচ্ছাকে বিষর্জন দিতে হল।
' এত ভোরে একটা মানুষ একা পুকুরের পানিতে ভিজছে'
এটা দেখলে যে কেউ ভাববে---
এ লোকের মাথায় নিশ্চিত গন্ডগোল আছে !
আচ্ছা, ভোরের পুকুরের পানিতে এমন কি আছে ?
যা দেখলে বুকের মধ্যে কেমন কেমন করে ।
দুপুরের দিকে আকাশ আরো ভারী হল।
না, আজ আর সে ফাকি দেবে না ।
আজ সে কি ধরা দেবে গহীন গভীরে ? মনের কোন এক জায়গা থেকে কেউ কি কিছু বলছে ?
বড় অদ্ভূৎ লাগছে চারপাশ । মেঘের কারনে এই মাঝ দুপুরেও ভোড়ের মত লাগছে ।
না, আজ মনটা বড় বেশী উরু উরু করছে । মেঘ দেখলেই আমার এমন হয় । কেন হয় কে বলবে ।
আর দেরী করা ঠিক হবে না । আমি ছাদে উঠে গেলাম ।
বাদল দিনের প্রথম বেদনা ঝরানো কাব্যকে --একা নিশ্চুপে যদি ,
একটু আলতো করে ছুয়ে দিতে না পারি,
তবে কি মানে আছে এই তাপিত জীবনের ?
ছাদের এখান থেকে দুরের অনেকখানি দেখা যাচ্ছে । বিশাল সবুজের মধ্যে মাঝে মাঝে ছোট ছোট দালান , ঘর-বাড়ি ।
বাতাস হচ্ছে খুব , দুরের গাছ-গাছালি এলোমেলো দুলছে ।
আধো আলো-আধো অন্ধকার ।
একা আমি দাড়িয়ে আছি । চেনাজানা চারপাশ, অথচ এখন কেমন সব অচেনা লাগছে ।
তীব্র আনন্দ, তীব্র বিষাদে হৃদয় হু হু করে ।
দুরের দিগন্ত থেকে নিয়তি কি আমাকে ডাকছে !
অজানা কোন গন্তব্যহীন পথে ?
ঝিরিঝিরি বইতে শুরু করেছে বৃস্টি , আমি একটু সরে গেলাম ছাউনির নিচে ।
ভিজতে নয়, আজ শুধু বৃস্টিকে ছুয়ে দিতে চাই । তবুও বৃস্টির ছাঁট এসে আমাকে অনেকখানি ভিজিয়ে দিল ।
আমি শুধু হাত'টা বাড়িয়ে দিলাম অবারিত বৃস্টির গায়ে । মনে মনে কি কিছু বললাম ?
কয়েক'টা ফোটা আমার চোঁখেও এসে পড়ল । অদ্ভুৎ শিহরনে সমস্ত হৃদয় জেগে উঠল ।
কানে কানে সে কি কিছু বলেও গেল ???
তখনও অন্ধকার কাটেনি, পূবের আকাশ লাল হতে শুরু করেছে ।
ঘন কুয়াশা চারদিকে, ঠিক কুয়াশা না অনেকটা মেঘের মত ।
আমি দরজা খুলে বাইরে বের হলাম ।
রাতে খুব অস্থির অস্থির লাগছিল । এখন আর অস্থিরতা নেই ,
শরীর ঝরঝরে লাগছে ।
এত ভোরে নিশ্চয়ই কেউ জাগেনি ।
জাগলেও সমস্যা নেই , ভোর'কে প্রায়ই আমি একা একা দেখি ।
হাটতে হাটতে বাড়ির পিছনের দিকে চলে এলাম । এত সুন্দর লাগছে ।
খুব নির্জন কেমন স্নিগ্ধ একটা ভাব । দেখলেই বুকে ব্যাথা ব্যাথা লাগে । কেন লাগে কে জানে ।
নিশ্চয়ই আগেও জায়গাটা এমন সুন্দর ছিল ।
তাহলে এতদিন চোখে পড়েনি কেন ? আজ দিনটাই কি অন্যরকম ভাবে শুরু হয়েছে ?
প্রকান্ড পুকুরটায় চোখ পড়ল ।
মেঘের জন্য অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না ।
মনে হয় যেন বিশাল সমুদ্র , দেখলেই ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করে ।
চারপাশ'টায় নানা জাতের আগাছা ,
মাঝখানে টলটলে আয়নার মত পানি ।
পানিতে নেমে গা ভিজিয়ে নিলে কেমন হয় ?
মনের তীব্র ইচ্ছাকে বিষর্জন দিতে হল।
' এত ভোরে একটা মানুষ একা পুকুরের পানিতে ভিজছে'
এটা দেখলে যে কেউ ভাববে---
এ লোকের মাথায় নিশ্চিত গন্ডগোল আছে !
আচ্ছা, ভোরের পুকুরের পানিতে এমন কি আছে ?
যা দেখলে বুকের মধ্যে কেমন কেমন করে ।
দুপুরের দিকে আকাশ আরো ভারী হল।
না, আজ আর সে ফাকি দেবে না ।
আজ সে কি ধরা দেবে গহীন গভীরে ? মনের কোন এক জায়গা থেকে কেউ কি কিছু বলছে ?
বড় অদ্ভূৎ লাগছে চারপাশ । মেঘের কারনে এই মাঝ দুপুরেও ভোড়ের মত লাগছে ।
না, আজ মনটা বড় বেশী উরু উরু করছে । মেঘ দেখলেই আমার এমন হয় । কেন হয় কে বলবে ।
আর দেরী করা ঠিক হবে না । আমি ছাদে উঠে গেলাম ।
বাদল দিনের প্রথম বেদনা ঝরানো কাব্যকে --একা নিশ্চুপে যদি ,
একটু আলতো করে ছুয়ে দিতে না পারি,
তবে কি মানে আছে এই তাপিত জীবনের ?
ছাদের এখান থেকে দুরের অনেকখানি দেখা যাচ্ছে । বিশাল সবুজের মধ্যে মাঝে মাঝে ছোট ছোট দালান , ঘর-বাড়ি ।
বাতাস হচ্ছে খুব , দুরের গাছ-গাছালি এলোমেলো দুলছে ।
আধো আলো-আধো অন্ধকার ।
একা আমি দাড়িয়ে আছি । চেনাজানা চারপাশ, অথচ এখন কেমন সব অচেনা লাগছে ।
তীব্র আনন্দ, তীব্র বিষাদে হৃদয় হু হু করে ।
দুরের দিগন্ত থেকে নিয়তি কি আমাকে ডাকছে !
অজানা কোন গন্তব্যহীন পথে ?
ঝিরিঝিরি বইতে শুরু করেছে বৃস্টি , আমি একটু সরে গেলাম ছাউনির নিচে ।
ভিজতে নয়, আজ শুধু বৃস্টিকে ছুয়ে দিতে চাই । তবুও বৃস্টির ছাঁট এসে আমাকে অনেকখানি ভিজিয়ে দিল ।
আমি শুধু হাত'টা বাড়িয়ে দিলাম অবারিত বৃস্টির গায়ে । মনে মনে কি কিছু বললাম ?
কয়েক'টা ফোটা আমার চোঁখেও এসে পড়ল । অদ্ভুৎ শিহরনে সমস্ত হৃদয় জেগে উঠল ।
কানে কানে সে কি কিছু বলেও গেল ???
= ১৪
পত্র-পুষ্প শোভিত চারদিক, কি শান্ত কোমল পরিবেশ ।
কেমন যেন একটা মায়া মায়া ভাব ।
পড়ন্ত বিকেলের আলোয় কেমন রহস্যময় হয়ে উঠেছে ।
যদিও পড়ন্ত বিকেল,
তবুও সব পরিস্কার দেখাচ্ছে ধবধবে স্বচ্ছ আলোয় ।
আমি নিশ্চিন্ত মনে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি ।
ছোট-বড় নানান রকম গাছ পালায় ভরা জায়গাটা ।
কিছু কিছু গাছ আবার এতই বড় যে, মনে হয় আকাশ ছুয়েছে।
বিষাদের সঙ্গী কদম গাছও তো আছে দেখছি ।
এখানে তো কদম গাছ থাকার কথা না , কোত্থেকে এলো ?
অদ্ভুৎ তো , সব গাছের পাতাগুলি এত রঙ্গিন কেন ?
ফুলগুলি সব সাদা, আর পাতা নানা বর্ণের ।
লাল নীল বেগুনী , এও কি সম্ভব ?
ইচ্ছে করছে প্রত্যেককেই আলাদা করে ছুয়ে দেখি । তা আর হল না । বিকেলের শেষ আলোটুকুও শেষ হয়ে গেছে ।
আস্তে আস্তে অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে চারপাশ । আগের মত আর তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না ।
অবশ্য অন্ধকারের আগমনে তেমন কোন সমস্যা হল না ।
এখন অন্য এক ধরনের অদ্ভুৎ আলো ছড়িয়ে পরেছে । রোমাঞ্চকর লাগছে সবকিছু ।
যে পাতাগুলোকে দেখেছি সব রঙ্গীন , তারা এখন সাদা হয়ে উঠছে ।
আর সাদা ফুলগুলো এখন দেখাচ্ছে রঙ্গীন ।
কিছুতেই যেতে ইচ্ছা করছে না এখান থেকে, আমি যেতে চাইলাম না , অবশ্য কেন যেন যেতেও পারছিলাম না ।
কেন পারছিলাম না ?
আশ্চর্য, বেশ কিছুক্ষন পর সেই অদ্ভুৎ আলোটকুও শেষ হয়ে গেল । এখন পুরোপুরি অন্ধকার ।
কোথাও কিছু দেখা যাচ্ছে না । এলোমেলো কিছু শব্দ শোনা যাচ্ছে --
কিন্তু সেসব শব্দের অর্থ বুঝতে পারছি না ।
তবে চাঁপা একটা হাসির শব্দ পরিস্কার বুঝতে পারছি ।
কে হাসছে নিয়তি ?
''সেটা হতে পারে, প্রায়ই সে এরকম করে
কোন একটা বিষয় নিয়ে মগ্ন আছি, কোত্থেকে যেন এসে--
ঠিকই আমার আড়ালে দাড়িয়ে মুচকি হাসবে ''
পাতা, ফুল বাহারী গাছ সব অদৃশ্য । সব কি আমাকে ছেড়ে চলে গেল? কোথায় গেল এরা সব ?
কোথাও কেউ নেই, পুরো অন্ধকারে আমি একা ?
না একা না, ঐ হাসিটা আছে সাথে- আস্তে আস্তে দুরে সরে যাচ্ছে ।
না চাইলেও আমাকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে হাসির পেছনে পেছনে,
অনন্ত গন্তব্যহীন পথে !
অন্ধকারে মধ্যেই অবিরত হেটে যাচ্ছি সামনে ।
কিছু সময় পরে আমাকে অবাক করে দিয়ে, দুরে কোথাও দেখা দিল এক টুকরো সাদা আলো ।
""""ঠিক এখানে এসে, ঘুম ভেঙ্গে গেল । রাত প্রায় শেষের দিকে । তাকিয়ে দেখি আমার মাথার কাছের জানালা খোলা ।
সেই খোলা জানালা দিয়েই , দুরের আকাশের ছোট্ট সাদা চাঁদ'টা উকি মেরে আছে আমার ঘরে ।
কোন ক্রান্তি কালে যদি আবারও চাই,
তখনও কি তার সঙ্গ পাবো ?
পত্র-পুষ্প শোভিত চারদিক, কি শান্ত কোমল পরিবেশ ।
কেমন যেন একটা মায়া মায়া ভাব ।
পড়ন্ত বিকেলের আলোয় কেমন রহস্যময় হয়ে উঠেছে ।
যদিও পড়ন্ত বিকেল,
তবুও সব পরিস্কার দেখাচ্ছে ধবধবে স্বচ্ছ আলোয় ।
আমি নিশ্চিন্ত মনে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি ।
ছোট-বড় নানান রকম গাছ পালায় ভরা জায়গাটা ।
কিছু কিছু গাছ আবার এতই বড় যে, মনে হয় আকাশ ছুয়েছে।
বিষাদের সঙ্গী কদম গাছও তো আছে দেখছি ।
এখানে তো কদম গাছ থাকার কথা না , কোত্থেকে এলো ?
অদ্ভুৎ তো , সব গাছের পাতাগুলি এত রঙ্গিন কেন ?
ফুলগুলি সব সাদা, আর পাতা নানা বর্ণের ।
লাল নীল বেগুনী , এও কি সম্ভব ?
ইচ্ছে করছে প্রত্যেককেই আলাদা করে ছুয়ে দেখি । তা আর হল না । বিকেলের শেষ আলোটুকুও শেষ হয়ে গেছে ।
আস্তে আস্তে অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে চারপাশ । আগের মত আর তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না ।
অবশ্য অন্ধকারের আগমনে তেমন কোন সমস্যা হল না ।
এখন অন্য এক ধরনের অদ্ভুৎ আলো ছড়িয়ে পরেছে । রোমাঞ্চকর লাগছে সবকিছু ।
যে পাতাগুলোকে দেখেছি সব রঙ্গীন , তারা এখন সাদা হয়ে উঠছে ।
আর সাদা ফুলগুলো এখন দেখাচ্ছে রঙ্গীন ।
কিছুতেই যেতে ইচ্ছা করছে না এখান থেকে, আমি যেতে চাইলাম না , অবশ্য কেন যেন যেতেও পারছিলাম না ।
কেন পারছিলাম না ?
আশ্চর্য, বেশ কিছুক্ষন পর সেই অদ্ভুৎ আলোটকুও শেষ হয়ে গেল । এখন পুরোপুরি অন্ধকার ।
কোথাও কিছু দেখা যাচ্ছে না । এলোমেলো কিছু শব্দ শোনা যাচ্ছে --
কিন্তু সেসব শব্দের অর্থ বুঝতে পারছি না ।
তবে চাঁপা একটা হাসির শব্দ পরিস্কার বুঝতে পারছি ।
কে হাসছে নিয়তি ?
''সেটা হতে পারে, প্রায়ই সে এরকম করে
কোন একটা বিষয় নিয়ে মগ্ন আছি, কোত্থেকে যেন এসে--
ঠিকই আমার আড়ালে দাড়িয়ে মুচকি হাসবে ''
পাতা, ফুল বাহারী গাছ সব অদৃশ্য । সব কি আমাকে ছেড়ে চলে গেল? কোথায় গেল এরা সব ?
কোথাও কেউ নেই, পুরো অন্ধকারে আমি একা ?
না একা না, ঐ হাসিটা আছে সাথে- আস্তে আস্তে দুরে সরে যাচ্ছে ।
না চাইলেও আমাকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে হাসির পেছনে পেছনে,
অনন্ত গন্তব্যহীন পথে !
অন্ধকারে মধ্যেই অবিরত হেটে যাচ্ছি সামনে ।
কিছু সময় পরে আমাকে অবাক করে দিয়ে, দুরে কোথাও দেখা দিল এক টুকরো সাদা আলো ।
""""ঠিক এখানে এসে, ঘুম ভেঙ্গে গেল । রাত প্রায় শেষের দিকে । তাকিয়ে দেখি আমার মাথার কাছের জানালা খোলা ।
সেই খোলা জানালা দিয়েই , দুরের আকাশের ছোট্ট সাদা চাঁদ'টা উকি মেরে আছে আমার ঘরে ।
কোন ক্রান্তি কালে যদি আবারও চাই,
তখনও কি তার সঙ্গ পাবো ?
= ১৫
আমার ভাবনাগুলি খুবই যা-ইচ্ছে তাই !
আসলেই তাই, আমি যা ভাবি তা পুরোটাই হেয়ালী।
পুরোটাই ভাবাবেগ ।
সত্যিকারের জীবন, এর কোনটার মতই ক্রিস্টাল না।
জীবন ভয়াবহ জটিল ।
কাঁটা বিছানো পথে হাটতে হয় জীবনের পথ-পরিক্রমায় ।
আমার আপত্তিটা এখানেই ।
আমি জীবনের, এই ভয়ংকর রুপ মেনে নিতে পারি না ।
"" প্রিয় হুমায়ূন স্যার"
একটা লেখায় বলেছে-
" সবাই ব্যাস্ত, সবাই ছুটছে । কারও হাতে সময় নেই।
তার মধ্যেও কেউ কেউ আছে, যার কোন ব্যাস্ততা নেই ।
যার ছুটতে ইচ্ছে হয়না, যার হাতে আছে অফুরন্ত সময় ।
সে এক অন্য রকম জীবন, অন্য রকম বেদনা মেশানো আনন্দ।
সেই আনন্দের স্বাদ গ্রহনের সৌভাগ্য সবার হয় না।
ঠিক তাই, আমার কখনও ছুটতে ইচ্ছে হয় না ।
আমার, জীবনকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে ইচ্ছে হয় ।
আমি যা লিখি আর যা ভাবি,
জীবনকে আমার সেভাবেই দেখতেই ইচ্ছে হয় ।
আমার মনোজগতে ভেসে বেড়ায়,
সূভ্র কোমল সরল জীবনের প্রতিচ্ছবি ।
কথা হচ্ছে,
আমি চাইলেই তো আর পৃথিবীতে জীবনের নিয়ম
পরিবর্তন হবে না ।
কিন্তু মানষ কল্পনায় ভেবে নেওয়ার ইচ্ছা আমার হতে পারে ।
কিন্তু, যেহেতু বাস্তবে তেমন হওয়ার কোন কারন নেই।
তাই আমি আমার ভিতরে,
নিজস্ব আপন জগত তৈরী করে নিয়েছি ।
সেখানে আমি আপন মনে ঘুরে বেড়াই ।
ইচ্ছে হলে ঘোর বর্ষায় বৃস্টিতে ভিজি,
ইচ্ছে হলে পূর্ণিমার রাতে একা চাঁদের আলো গায়ে মাখি,
ইচ্ছে হলে দূর দিগন্তের নীরব দিঘীর পাশে বসে থাকি।
সেখানে আমাকে বাধা দেওয়ার কেউ থাকে না ।
আর তাই আমি শুধু সেই ভাবনার কথাই লিখি ।
এছাড়া আমি যে আর কিছু ভাবতে পারি না ।
কেন পারি না ?
আমার ভাবনাগুলি খুবই যা-ইচ্ছে তাই !
আসলেই তাই, আমি যা ভাবি তা পুরোটাই হেয়ালী।
পুরোটাই ভাবাবেগ ।
সত্যিকারের জীবন, এর কোনটার মতই ক্রিস্টাল না।
জীবন ভয়াবহ জটিল ।
কাঁটা বিছানো পথে হাটতে হয় জীবনের পথ-পরিক্রমায় ।
আমার আপত্তিটা এখানেই ।
আমি জীবনের, এই ভয়ংকর রুপ মেনে নিতে পারি না ।
"" প্রিয় হুমায়ূন স্যার"
একটা লেখায় বলেছে-
" সবাই ব্যাস্ত, সবাই ছুটছে । কারও হাতে সময় নেই।
তার মধ্যেও কেউ কেউ আছে, যার কোন ব্যাস্ততা নেই ।
যার ছুটতে ইচ্ছে হয়না, যার হাতে আছে অফুরন্ত সময় ।
সে এক অন্য রকম জীবন, অন্য রকম বেদনা মেশানো আনন্দ।
সেই আনন্দের স্বাদ গ্রহনের সৌভাগ্য সবার হয় না।
ঠিক তাই, আমার কখনও ছুটতে ইচ্ছে হয় না ।
আমার, জীবনকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে ইচ্ছে হয় ।
আমি যা লিখি আর যা ভাবি,
জীবনকে আমার সেভাবেই দেখতেই ইচ্ছে হয় ।
আমার মনোজগতে ভেসে বেড়ায়,
সূভ্র কোমল সরল জীবনের প্রতিচ্ছবি ।
কথা হচ্ছে,
আমি চাইলেই তো আর পৃথিবীতে জীবনের নিয়ম
পরিবর্তন হবে না ।
কিন্তু মানষ কল্পনায় ভেবে নেওয়ার ইচ্ছা আমার হতে পারে ।
কিন্তু, যেহেতু বাস্তবে তেমন হওয়ার কোন কারন নেই।
তাই আমি আমার ভিতরে,
নিজস্ব আপন জগত তৈরী করে নিয়েছি ।
সেখানে আমি আপন মনে ঘুরে বেড়াই ।
ইচ্ছে হলে ঘোর বর্ষায় বৃস্টিতে ভিজি,
ইচ্ছে হলে পূর্ণিমার রাতে একা চাঁদের আলো গায়ে মাখি,
ইচ্ছে হলে দূর দিগন্তের নীরব দিঘীর পাশে বসে থাকি।
সেখানে আমাকে বাধা দেওয়ার কেউ থাকে না ।
আর তাই আমি শুধু সেই ভাবনার কথাই লিখি ।
এছাড়া আমি যে আর কিছু ভাবতে পারি না ।
কেন পারি না ?
আমার পুরা জীবনটা কল্পনা প্রবণ, আমার কল্পনা করতে ভালোলাগে ।
সেই জগতে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না, কারও সিদ্ধান্তের কোন দরকার পরে না,
নিজের ইচ্ছামত সব কিছু পরিচালনা করা যায় ।
আমি সব সময়ই ভালো থাকি আমার জগতে সঙ্গী হিসেবে আমার নিজেকে নিয়ে।
কমন কিছু প্রশ্ন, যেমনঃ- এখন কি করছেন ? কি খেয়েছেন ? যার কোন মানে নেই ।
আপনি তো দেখছেন অনলাইনে ! আর না খেয়ে কেউ থাকে না।
কি পড়ি ? কি করি ? কি হবার ইচ্ছা ? প্লিজ, আমাকে এই প্রশ্নগুলো করবেন না। ভালো লাগে না।
হুটহাট, অপরিচিত কারো সাথে অর্থহীন কথা বলতে ভালো লাগে। তবে প্রেম বিষয়ে নয় ।
আমি চাই না কেউ আমার প্রেমে পড়ুক।
তবে আমি চাই কেউ একজন আমায় বুঝুক ।
আমি চাই সবার সাথে ভার্চুয়াল একটা অতিসুন্দর শোভনিয় সম্পর্ক তৈরি হোক।
এমন প্রশ্ন করতে পারেন , যেমনঃ-
...তুমি কখনো আকাশে এক ঝাক পাখিকে উড়ে, সন্ধায় ঘরে ফেরা দেখেছো ?
...তুমি কখনো ট্রেনের জানালার পাশে বসে ভ্রমন করেছো ?
...আচ্ছা, তোমার রাতের আকাশ ভালো লাগে ?
...ভরা পূর্ণিমার রাত তোমার কেমন লাগে?
...তোমাকে যদি রাতের তারা আর ভোরের পাখির ডাক দেওয়া হয়, তুমি কোনটা নিবে? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন ।
এসবের উত্তর দিতে আমার প্রচন্ড ভাললাগে।
আর হ্যাঁ, আমার চোখে বিশেষ কেউ নেই ।
তাই বিশেষ কাউকে খুজিনা ।
তবে, নিজেকে কারও কাছে বিশেষ রুপে দেখতে বড় ইচ্ছে হয়।
কারন, বিশেষত্ত্ব লাভবান ব্যাক্তির মন ইট পাথরের মত হয়ে যায় কি?এটা কাছ থেকে দেখার খুব ইচ্ছে।
আমার পৃথিবীঃ-
বেড়াতে যাওয়া, ভালো খাবার খাওয়া, আড্ডা দেওয়া ।
এগুলো আমার ভালো লাগে না।
যদিও প্রচন্ড আপত্তি সত্বেও কখনো কখনো করতে হয় ।
নিজের অভ্যন্তরে আমার "আমিকে" নিয়ে ব্যাস্ত থাকি।
প্রচন্ড রকম বৃষ্টি পছন্দ করি, কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজতে নয়। বৃস্টিকে ছুয়ে দিতে। বৃস্টির মধ্যে, আমার আনন্দ-বেদনা লুকিয়ে থাকে ।
বৃষ্টির দিনে ঘরের লাইট অফ করে, অন্ধকারে জানালা খুলে একা একা বসে থাকতে খুব পছন্দ করি ।
উপলব্ধি'টা অসাধারন । এর চেয়ে সুখের, আর কিছু হতে পারে কিনা আমার জানা নেই ।
বৃস্টির দিনে, এই সুখ আহরনে মোটেও ভূল করি না ।
রবীন্দ্রসংগীত শুনতে অসম্ভব ভালো লাগে ।
যদিও আমার বেসুরা কন্ঠের জন্য এক লাইনও সুন্দরভাবে গাওয়ার ক্ষমতা রাখি না ।
আমার এসব আচরণে কেউ আহত হলে, আমার কোন দ্বায়ভার থাকবে না ।
সেই জগতে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না, কারও সিদ্ধান্তের কোন দরকার পরে না,
নিজের ইচ্ছামত সব কিছু পরিচালনা করা যায় ।
আমি সব সময়ই ভালো থাকি আমার জগতে সঙ্গী হিসেবে আমার নিজেকে নিয়ে।
কমন কিছু প্রশ্ন, যেমনঃ- এখন কি করছেন ? কি খেয়েছেন ? যার কোন মানে নেই ।
আপনি তো দেখছেন অনলাইনে ! আর না খেয়ে কেউ থাকে না।
কি পড়ি ? কি করি ? কি হবার ইচ্ছা ? প্লিজ, আমাকে এই প্রশ্নগুলো করবেন না। ভালো লাগে না।
হুটহাট, অপরিচিত কারো সাথে অর্থহীন কথা বলতে ভালো লাগে। তবে প্রেম বিষয়ে নয় ।
আমি চাই না কেউ আমার প্রেমে পড়ুক।
তবে আমি চাই কেউ একজন আমায় বুঝুক ।
আমি চাই সবার সাথে ভার্চুয়াল একটা অতিসুন্দর শোভনিয় সম্পর্ক তৈরি হোক।
এমন প্রশ্ন করতে পারেন , যেমনঃ-
...তুমি কখনো আকাশে এক ঝাক পাখিকে উড়ে, সন্ধায় ঘরে ফেরা দেখেছো ?
...তুমি কখনো ট্রেনের জানালার পাশে বসে ভ্রমন করেছো ?
...আচ্ছা, তোমার রাতের আকাশ ভালো লাগে ?
...ভরা পূর্ণিমার রাত তোমার কেমন লাগে?
...তোমাকে যদি রাতের তারা আর ভোরের পাখির ডাক দেওয়া হয়, তুমি কোনটা নিবে? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন ।
এসবের উত্তর দিতে আমার প্রচন্ড ভাললাগে।
আর হ্যাঁ, আমার চোখে বিশেষ কেউ নেই ।
তাই বিশেষ কাউকে খুজিনা ।
তবে, নিজেকে কারও কাছে বিশেষ রুপে দেখতে বড় ইচ্ছে হয়।
কারন, বিশেষত্ত্ব লাভবান ব্যাক্তির মন ইট পাথরের মত হয়ে যায় কি?এটা কাছ থেকে দেখার খুব ইচ্ছে।
আমার পৃথিবীঃ-
বেড়াতে যাওয়া, ভালো খাবার খাওয়া, আড্ডা দেওয়া ।
এগুলো আমার ভালো লাগে না।
যদিও প্রচন্ড আপত্তি সত্বেও কখনো কখনো করতে হয় ।
নিজের অভ্যন্তরে আমার "আমিকে" নিয়ে ব্যাস্ত থাকি।
প্রচন্ড রকম বৃষ্টি পছন্দ করি, কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজতে নয়। বৃস্টিকে ছুয়ে দিতে। বৃস্টির মধ্যে, আমার আনন্দ-বেদনা লুকিয়ে থাকে ।
বৃষ্টির দিনে ঘরের লাইট অফ করে, অন্ধকারে জানালা খুলে একা একা বসে থাকতে খুব পছন্দ করি ।
উপলব্ধি'টা অসাধারন । এর চেয়ে সুখের, আর কিছু হতে পারে কিনা আমার জানা নেই ।
বৃস্টির দিনে, এই সুখ আহরনে মোটেও ভূল করি না ।
রবীন্দ্রসংগীত শুনতে অসম্ভব ভালো লাগে ।
যদিও আমার বেসুরা কন্ঠের জন্য এক লাইনও সুন্দরভাবে গাওয়ার ক্ষমতা রাখি না ।
আমার এসব আচরণে কেউ আহত হলে, আমার কোন দ্বায়ভার থাকবে না ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
No comments