Ads

বিনোদন মূলক প্রবন্ধ, মেয়ে পটানোর অস্থির থেরাপী ২০২৩


বিনোদন মূলক প্রবন্ধ, মেয়ে পটানোর অস্থির থেরাপী ২০২২ ।  #মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️

    মেয়ে পটানোর অস্থির থেরাপী ২০২২




অনেকে আমায় রিকুয়েস্ট করেছে,কিভাবে ফেসবুকে মেয়ে পটানো যায় শিখিয়ে দিতাম।
সেদিন এক ভদ্র লোক বলে, ভাই, আমি গত ২৩ বছর বয়সে,আজ অব্দি একটা মেয়ে পটাতে পারলাম না। 
প্লিজ আমাকে শিখিয়ে দিন কিভাবে আমি মেয়ে পটাবো"।

আমি তো টাস্কি খেয়ে গেলাম। উনার মেসেজ দেখে প্রায় ৬ মাস পাগল আছিলাম।
সে যাইহোক, এত করে যেহেতু সবাই রিকুয়েস্ট করেছে, সে হিসেবে সাহায্য করা দরকার।
অবশ্য আমিই এখনো সিংগেল।



প্রথমে আপনি একটা ফেসবুক আইডি খুলবেন।
তবে নাম দিতে হবে হিপহপ, যেমন,,,,কয়েকটা নাম আমি বলে দিচ্ছি,
১) লাইকার বয়
২) স্মার্ট বয়
৩) এলোন বয়
৪) দূর আকাশে তারা
৫) হ্যাকার
৬) xahid islam ( জাহিদ ইসলাম)
৭) কিং অফ দুনিয়া 😎
ইত্যাদি ইত্যাদি নাম আছে। আপনার পছন্দ মতো অন্যান্য নামও দিতে পারেন।


তারপর আসুন দ্বিতীয় স্টেপে..
আইডিকে সাজিয়ে দিবেন। bio তে দিবেন
- ☻⇒ˢєαяᶜнıηᵍ🔫
🔔 тяυє 💵łσѵє💵
🎓Reactor 🐸
এরকম হাজারো স্টাইলিশ bio দিতে পারেন।


এরপর আসুন তৃতীয় স্টেপে। 
বিভিন্ন পোষ্ট দিবেন,,,,,,যেমন---
১) ভালো মানুষ হওয়ার ও একটা লিমিট থাকে
- যেটা আমি ক্রসিং করে পেলচি
২) স্টকে এক পিসই  আছে ।
আমাকে নিয়া নেন, দাম কমাই রাখবো... 
( এইটা ক্যাপশন হবে। নিছে আপনার বান্দর ভেটকি সহ একটা পিক দিবেন)
এভাবে হাজারো ন্যাকামো মার্কা পোষ্ট আছে,যা আপনি কপি করেও চালিয়ে দিতে পারেন। 
বর্তমানে কপিবাজদের বিচার নেই। কোনো সমস্যা হবেনা আপনার।
যেমন আমার গল্প চুরি করে যারা,তাদের চুলও আমি ছিড়তে পারিনা।


এবার আসুন আসল কাজে।
আপনি উড়াধুড়া এলোপাথাড়ি ৫০০-১০০০ মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট মারেন।
অন্তত ৩০০ মেয়ে হলেও আপনার রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করবে। বাকিরা করলে করবে,না করলে নাই। 
আপনার ঠেকা কিসের।
তো যারা যারা এক্সেপ্ট করবে, তাদের মেসেজ দিন এভাবে,
- আপনি কাজটা ঠিক করেন নি, এইটা অন্যায়।
- আবাল,,
- আপনি নাক বোচা ,,
এই মেসেজ পাওয়া মাত্রই মেয়েটি আপনার মেসেজ সিন করতে বাধ্য।
কারণ আ+ বালের মত Hi/ Hlw দিলে তাদের ফুলে যায়। ( ভাব)

তো মেয়ে আপনার মেসেজ সিন করার পর, রিপ্লে দিতেও পারে,নাও দিতে পারে।
যেমন ধরুন ৩০০ জনকে মেসেজ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২০০ জন রিপ্লে দিবে।
অন্যরা যারা আছে,তারা রিপ্লে নাও দিতে পারে। হতে পারে সে অশিক্ষিত, লিখতে পারেনা।
আর নয়তো তার ফোন নষ্ট, টাইপিং করতে গেলে উল্টাপাল্টা কাজ করে।
বাদ দিন নষ্ট মালদের। যারা রিপ্লে দিবে,তাদের রিপ্লে গুলো এমন হবে।
- আজিব,আমি কি করলাম?
- কি কাজ ঠিক করিনি?
- আপনার সমস্যা কি,কি বলছেন।
- গাঞ্জা খাইছেন নাকি?


ওদের এমন সব রিপ্লে এর উত্তর আপনি এইভাবে দিবেন,.
- আসলে আমি যদি আপনাকে hi বলতাম,তো আপনি রিপ্লে দিতেন না।
- তাই এমন মেসেজ করলাম। এই নাক ধরলাম,কান ধরলাম সরি সরি।
মেয়েটা একটু মুচকি হাসবে। হেসে আবার অনেকে এভাবে রিপ্লে দিবে।
- তাই বুঝি?
- হা হা হা
- পাগল একটা ( সাথে দাত কেলানো ইমুজি)
- দুষ্ট
- যাহহ বাল ব্লক খা।

আপনি কিছু মনে করবেন না। পরিশ্রম তো একটু হবেই।
এরপর অন্তত ১০০ জন আপনার সাথে মজা করতে চাইবে।
আপনি প্রতি কথায় কথায় মেয়েটিকে পাম দিন। একদম খাটি পাম হতে হবে।

যেমন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
- আপনি অনেক সুন্দর।
- আপনার চুল গুলো এত কিউট কেন।
- আপনার জামার রঙটা আমার ফেভারিট।
- প্রোফাইলের পুতুলটা আপনার মত কিউট ( যারা ফেক পিক দেয় আরকি)
- আপনার কথা এত মিষ্টি কেনো? ( যদিও মেসেজ ছাড়া ভয়েস শুনেন নি। তাও বলবেন)
- আপনার স্বামী যে হবে,সে আপনাকে রাজ রানী করে রাখবে।
এরকম ছোটখাটো পাম গুলো দিতে থাকবেন। এতে তারা ফুলবে তো ফুলবেই।
সাথে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে দিতে, ধন্যবাদের গোডাউন ইনবক্সে নিয়ে আসবে।

তবে আপনি বিরক্ত হবেন না। সব পাম দেওয়ার পর, অন্তত ৫০ জন আপনার সাথে আড্ডা জমাবে। 
আপনি থেকে তুমি বলবেন,তারপর ব্রেস্ট ( বেষ্ট) ফ্রেন্ড বানাবেন।
তবে আপনি কথা কম বলবেন,তাদের বেশি কথা বলতে দিন।
মেয়েরা বকবক করতে ভালোবাসে।
তাই তাদের ঘ্যানঘ্যান করতে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সেটা কি ভাবে করবেন।

যেমন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
- তোমরা ভাই বোন কয়জন( এরপর মেয়েটি তার ১৪ গোস্টির পরিচয় দেওয়া শুরু করবে)
- তোমার ফেভারিট খাবার কি?( এরপর মেয়েটি সকাল বেলার আলু ভক্তা আর ডাল বাদ দিয়ে,
- যত হাবিজাবি খাবার আছে, সব বলবে)
- তোমার কি করতে ভালো লাগে?( রান্না ঘরের কাজ আর পাতিল মাজা ছাড়া,অন্যান্য যত আজাইরা কাজ আছে, সব তুলে ধরবে।)

এভাবে তাকে দিয়ে বক বক করাবেন। যদি দেখেন তাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন আপনার সাথে তাল মিলাচ্ছে,তবে বুঝে নিবেন,আপনি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
আপনিই একমাত্র বুদ্ধিমান লোক।


চুলের বুদ্ধিমান!! যদি এতই বুদ্ধিমান হতেন, তবে এই ফালতু লেখাটা পড়তেন না।
যাইহোক, পরে কি করবেন দেখুন।
বিগত ১০-১২ দিন কথা বলার পর বলবেন,
- আসলে আমি তোমাকে সেই প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলেছি।
- তোমাকে সরাসরি দেখিনি, তবে তোমার প্রোফাইলের পিছনে রাজকন্যার মত মুখটা দেখতে পেয়েছি। রাতের অন্ধকারে যখন তোমায় ভাবি, তখন আমার কোলবালিশটা তোমার জন্য দোয়া করে।
আমার প্রতিটা মুহূর্ত জুড়ে তুমি আর তুমি মিশে থাকো। যদি তুমি চাও,আমি ধরতে চাই তোমার হাত। যদি তুমি এগিয়ে দাও বান্ধনের পথ,তবে আমিও পাড়ি দিবো। আই লাভ ইয়ু।
বুঝে নিবেন আপনি ১০০ তে ১০০ মেরে দিয়েছেন।

২৫ জন থেকে কয়েকজন ব্লক মারলেও, কয়েকজন উত্তর দিবে।
- আমার জামাই আছে। ২ টা বাচ্চা আছে। তাদের দায়িত্ব নিলে আমি রাজি।
- আই লাভ ইয়ু টু। এইটা বলবো ভাবছিস? তোর মত আ+বাল দুচার টাইম নাই।
- সম্পর্ক মাত্র ১২ দিনও হয়নি,আর তুই প্রফোজ করছিস? যত্তসব ভাঙা সাইকেল।
- খাইয়া আর কাম নাই?

যতটা মন দিয়ে লেখাটা পড়েছেন, ততটা মন দিয়ে একটা রচনা পড়লে,
পরীক্ষায় মার্কস বেশি করতে পারতেন।
এমন ফালতু কাজ ছেড়ে ভালো হয়ে যান।
********* <> **********
#রম্য_গল্প
লেখক- রিয়াজ হোসেন ইমরান ।
 
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®


========= রম্য গল্প ২ =========

হাসতে হাসতে লুঙ্গি খুইলা গেলে আমি দায়ী না 😂
:
এক লোক বিয়ে করেছে।🙂
কিন্তু😉
তাদের কোনো বাচ্চা হচ্ছে না।😅
:
তাই সে এক ফকির বাবার
কাছে গেলো এবং🧐
তার কাছে সব খুলে বললো।😊
:
ফকির বাবা সে দোয়া করলো।
আর বললো,😌
যা এবার তোর বাচ্চা হবে।☺️
:
তখন লোকটা খুশি মনে চলে আসলো।🙃
:
এক বছর পরে,🤔
:
লোকটার একটি মেয়ে সন্তান হলো।😍
:
সে খুশি হয়ে মেয়ের নাম করণ🤔
করার জন্য ফকির বাবার😊
কাছে চলে গেলো।😗
কিন্তু🙄
ফকির বাবা তখন ধ্যান মগ্ন ছিলো।😇
আর
তার ধ্যান ভাঙ্গার কারণে সে😑
রাগ করে বললো,🌞
""ধুর বাল""।💦
:
সে ভাবলো তার মেয়ের নাম ""বাল"" রাখতে
বলেছে।👃
:
সেই অনুপাতে মেয়ের নাম বাল রাখলো।🧠
:
তার দুই বছর পর তার একটি ছেলে সন্তান
হলো।👀
এবং👁️
সে ছেলের নাম করণ করার জন্য আবার💯☠️
ফকির বাবার কাছে চলে গেলো।🔥
;
এবার ও ফকির বাবার ধ্যান ভাঙ্গার কারণে👽
সে বিরক্ত হয়ে বললো,🤒
""ধুর চ্যাট""😱
:
সেই অনুপাতে তার ছেলের নাম রাখলো🤢
""চ্যাট""।💔😂
:
তার কিছু দিন পর তার একটি ছাগলের বাচ্চা হলো,🧐
এবং সে বাচ্চার নাম করণ করার জন্য😅
আবার সেই ফকির বাবার কাছে চলে গেলো।🤣
:
কিন্তু🤪
:
এবার ফকির বাব ধ্যান মগ্ন ছিলেন না।😜
:
ফকির বাবা বলছে,☺️
তোর ছাগলের বাচ্চার নাম রাখার জন্য😝
আমার কাছে আইছোস।😠
:
তোর ছাগলের বাচ্চার নাম আমার ""পুটকি""😵
রাইখা দে।😱🤢
:
সেই অনুপাতে ছাগলের বাচ্চার নাম ""পুটকি"" রাখলো।🤤🤤
:
ছেলে মেয়ে সবাই বড়ো হলো।😮
:
এখন মেয়ের বিয়ে দিতেছে।😯
:
মেয়ের জামাই আসছে।😲
:
এখন সবাই বলতেছে,😳
:
এই বালের জামাই আইছে,😣😱
বালের জামাই আইছে,😂💩
এখন জামাই তো খুব রাগ করে
বিয়ে করবে🤬😤
না এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে চলে যাচ্ছে ।😠😤
:
তখন,🤒
শশুর এসে বললো,😓
বাবা তুমি রাগ করো না।🙂
:
তুমি তো আমার চ্যাটের মতোই।😂😂
জামাই এর রাগ আরো বেড়ে গেলো,🤣🤣
সে বিয়ে করবেই না এই বলে সে😅😂😂
চলে যাচ্ছে।😂😁😁
তখন,😁
শশুর এসে জামাইর হাত ধরে বললো,😛
:=
বাবা তুমি আমার পুটকির এক😆
টুকরো মাংস না খেয়ে কোথাও😅
যেতে পারবা না।😂😂
আমার পুটকির এক টুকরো মাংস😂
তোমার খেতেই হবে বাবা........ ।🤣
কথা শুনে জামাই বেহুশ..😨😨🤣🤣🤣




=========== রম্য গল্প ৩ ==========

: ভাবছি চুলটা ছোট করে কেটে ফেলি। কি বল?
স্বামী: কেটে ফেলো।
স্ত্রী: এত কষ্ট করে বড় করলাম...
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: কিন্তু আজকাল ছোট চুলই তো ফ্যাশন!
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: আমার বন্ধুরা বলে যে আমার যে মুখের কাটিং
তাতে বড় চুলই মানায়।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: কিন্তু ইচ্ছে তো করে।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: ছোট চুলে তো বিনুনি হবে না।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: ভাবছি এক্সপেরিমেন্ট করেই ফেলি, নাকি!
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: বাজে করে কেটে দিলে?
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: না। কেটেই দেখি না একবার।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: যদি আমাকে স্যুট না করে তাহলে কিন্তু তুমি
দায়ী!
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: আসলে ছোট চুল সামলাতে সুবিধা।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: ভয় করে, যদি খারাপ লাগে।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: না, একবার কেটেই দেখি।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: তাহলে কবে যাবে?
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: আমি মায়ের কাছে যাবার কথা বলছি।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো!
স্ত্রী: কি আবোল তাবোল বলছো! শরীর খারাপ নাকি?
স্বামী: তাহলে কেটো না!
স্বামী এখন পাবনাতে ভর্তি আছে, মাঝে মাঝেই হঠাৎ
করে বলে ওঠে 'তাহলে কেটো না...তাহলে কেটে ফেলো!
তাহলে কেটো না...তাহলে কেটে ফেলো।😇😇😇😇😇😇😇😇

                              
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®



                                         

================= রম্য প্রেমের গল্প  ১ ================ 

বেশ মাসখানেক পর ভার্সিটি তে আসলো নিরুপমা।এসেই বান্ধবীদের সাথে আড্ডা ফাজলামিতে আবার মেতে ঊঠলো।তখনি নোটিশ করলো যে ক্যাম্পাসে একটা নতুন ছেলে একা একা বসে ষ্ট্যাডী করছে। বান্ধবীদের কে জিজ্ঞেস করলো নতুন ছেলেটি কে? বান্ধবীরা বললো নাম নিলয়, ভার্সিটিতে নতুন কিন্তু আমাদের সিনিয়র MBA করছে। 
কারো সাথেই তেমন মিশে না। মেয়েদের আসে পাশেও তাকে খুজে পাওয়া যায় না। প্রচন্ড লেভেলের ব্রিলিয়ান্ট & স্কলারশিপ পেয়ে MBA ভর্তি হয়েছে। সারাদিন বইয়ে মুখ গুজে থাকে এক কথায় বই পোকা কিন্তু অনেক হেল্পফুল।
...
মেয়েদের আসেপাশে থাকে না কেন? গে নাকি???
নিরুপমার কথা শুনে হেসে ফেললো তার সব বান্ধবীরা। রুনা হঠাত বলে উঠলো মেয়েদের সাথে মিশে না কথা টা ঠিক না আমি সেদিন আমাদের একটা সাবজেক্ট এ এসাইনমেন্ট করি নি। ওই দিন জমা দেবার শেষ দিন ছিল। 
আলামিন ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া ওনাকে দেখিয়ে দিয়ে তার কথা বলতে বললো। আমি গিয়ে আমার সমস্যার কথা বলতেই তিনি ওনার পুরোনো এসাইনমেন্ট বের করে দিল।আর কভার পেজ চেঞ্জ করে আমার নাম লাগিয়ে দিয়ে জমা দিতে বললো। আমি সেদিন ওটাই জমা দিছি। আর স্যার বললো আমার এসাইনমেন্ট টাই নাকি বেষ্ট ছিল। 
অনেক বাহবা দিলেন।
...
আসলে উনি মেয়েদের সাথে প্রেম ভালবাসা রিলেশন এগুলো থেকে দুরে থাকতে চান।উনি অনেক সহজ সরল কিনা তাই।পটানোর ধান্দা করে গেলে উনি কথা বলবে না। লেখাপড়ায় হেল্প লাগলে, ওনার সাধ্যমত সাহায্য করেন। 
তো কি হইছে? আমি যদি তার সাথে প্রেম করতে পারি তো কি করবি বল? নিরুপমা বললো। তুই অনেক সুন্দরী কিন্তু তাকে পটাতে পারবি না। তোর আগেও অনেক মেয়ে তার উপর ক্রাশড এবং রিজেক্ট হইছে। 
তাই তুই ও পারবি না সেটা সিওর.....
...
রুনা তুই আমাকে চিনিস না??? আমি নিরুপমা, যার উপমা নাই সেই নিরুপমা। আমার মত কেউ নাই। ওয়ান পিস।
আমি পটাতে পারবো না এমন কোন ছেলে এই ক্যাম্পাসে নাই। রুনার নিরুপমার জেদ সম্পর্কে ভালই ধারনা আছে। 
কিন্তু নিলয় ছেলেটিকে পটাতে পারবে না সেটা সে সিওর। কারন রুনার নিলয় ছেলেটির উপর একটা কনফিডেন্স জন্মে গেছে। তাই রুনাও জেদ ধরে বসলো। রুনা বললো তুই পারবি না ওই ছেলে কে পটাতে।
...
নিরুপমা অনেক টা রেগে গিয়ে বললো এক সপ্তাহের মধ্যে ওই ছেলে কে পটাবো এবং এক সপ্তাহ তোদের নাকের ডগার উপর দিয়ে প্রেম করবো এবং এক সপ্তাহ পর তোদের সামনেই ওর সাথে ব্রেক আপ করবো & ও আমার হাত পা জো করবে ব্রেক আপ না করার জন্য......
বেট করবি?
রুনা ভাবলো নিরুপমা অসম্ভব কিছু বলছে তাই বেট করেই ফেললো। ৫০০০ টাকা বেট হল নিরুপমা & রুনার মধ্যে। ওকে তাহলে কাল থেকেই তোর বাজির দিন শুরু রুনা বললো..... 
নিরুপমা বললো, ওকে জানু টাকা টা রেডি রাখো আজ ৫ তারিখ........ ১৯ তারিখে টাকা টা পাচ্ছি...... 
৭দিনে পটাবো এবং ৭দিন প্রেম......
ডান......।


#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®






বিয়ের ৫ বছর পরও কোনো বেবি নেই আবির আর ইতির সংসারে। সমস্যাটা ইতির। 
ছোটবেলায় এক ছোট অপারেশন করতে গিয়ে ইতির ওভারির একটা নালি কেটে যায়। 
এরপর থেকে ইতি সন্তান নিতে অক্ষম। অথচ কথাটি সে জানতে পারে বিয়ের তিনবছর পর। 
যখন ও আর আবির পাগলের মতো এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছে বেবির আশায়। 
সে রাতে ইতি উন্মাদের মতো কেঁদেছিলো। নিজের চাইতেও ওর বেশি কষ্ট হচ্ছিলো আবিরের জন্য। 
ওর তো কোনো দোষ নেই। কেবল ইতির জন্যই সারাজীবন বাবা ডাকটি শুনতে পাবে না সে। 
ইতির কেবল মনে হচ্ছিলো সে আবিরকে ঠকিয়েছে।অথচ আবির না থাকলে ইতি হয়তো সে রাতে মারাই যেত।
এতো ভয়ঙকর কথাটি জানবার পরও সে রাতে আবির ছিল একদম শান্ত।


ইতিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে ওর কানে কানে বলেছিলো, 'পাগল। এমন কেউ করে? কত জনেরই তো বাচ্চা হয় না, তারা কি বেঁচে থাকে না? আমরা দুজনই টোনাটুনির মতো রয়ে যাবো সারাজীবন। 
আমাদের আর কিছুর দরকার নেই।'আবিরের এই কথাটুকুই ইতির অন্তরে সে রাতে শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়েছিলো। আবিরকে দুহাতে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে তার বুকে শেষ আশ্রয় খুঁজেছিলো সে।


সেই আবিরের আজ বিয়ে। ইতি নিজেই বিয়ে দিচ্ছে আবিরের।আসলে কিছুই করার ছিলো না। ওরা যতোই ভালো থাকতে চাক, সমাজ ওদের ভালো থাকতে দিলো না। ওদের দিকে আঙুল তুলে তুলে বারবার দেখালো, 'দেখ দেখ, ঐ অভাগা অলুক্ষুণেদের কোনো বাচ্চা নেই।' কোনো অনুষ্ঠানে ওরা দুজন গেলে ওদের ঘিরে কানাকানি ফিসফাস শুরু হয়ে যেত। কারো নতুন বেবি হলে ওদের কাছে দেয়া হতো না, যদি বাচ্চার অমঙ্গল হয়? আবিরের মা 'নাতি নাতি' করে আফসোস করতেন ইতির সামনে। 

উঠতে বসতে খোঁটা দিতেন। ইতি আর নিতে পারছিলো না।আবির মুখে কিছু বলতো না, কিন্তু ইতি বুঝতো, ওরও একই অবস্থা।এভাবে আর চলা যায় না। ইতি নিজের মনের উপর ছুরি মেরেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিলো, বিয়ে দিতে হবে আবিরের। আবিরকে বোঝাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হলো সে। মেয়েও ঠিক করে ফেলল ইতি, আনিরের মামাতো বোন ইতু। এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিলো ওর, কিন্তু বছর না ঘুরতেই স্বামী মরে বিধবা হয় মেয়েটা। এরপর থেকে বাবার ঘরে বোঝা হয়েছিলো

আবিরের সাথে বিয়ে হলে কষ্ট কমবে মেয়েটার।


ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল আবির আর ইতুর। ইতি ওর আর সামিনের রুমটা ছেড়ে দিলো নবদম্পতির জন্য, নিজের হাতে ওদের বাসরঘরে রেখে এলো। তারপর পাশের গেস্টরুমটা, যেটা ও আজ থেকে নিজে থাকবার জন্য গোছগাছ করে রেখেছে, সেখানে গিয়ে দরজায় খিল দিলো। এতক্ষণ নিজেকে শক্ত করে ধরে রেখেছিলো সে, আর পারলো না। 
বিছানায় পরে আকুল হয়ে কাঁদলো। কে যেন তার অন্তরটা তীক্ষ্ণছুরি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করছে, এতো যন্ত্রণা হচ্ছে তার। কাঁদতে কাঁদতে হাঁপাতে লাগলো ইতি, মাথা ঘুরছে,বমি বমি লাগছে ওর। রুমের সাথে অ্যাটাচড বাথরুম ছিলো, সেখানে দৌড়ে গিয়ে বেসিনে হড়হড় করে বমি করে দিলো সে।


হঠাৎ এক সন্দেহ উঁকি দিলো ওর মনে। ওর পিরিয়ড মিস হয়েছে গত মাসে। অ্যান্টি ডিপ্রেশনাল মেডিসিন নিচ্ছিলো ও কয়েকমাস ধরে, এটাকে সেই মেডিসিনের সাউড ইফেক্ট মনে করে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি ব্যাপারটাকে। 
কিন্তু যদি এটা অন্য কিছু হয়?ইতির ব্যাগে ওর বোন শিলা ওর নিজের জন্য কেনা প্রেগনেন্সি কিট রেখেছিলো আজকে, এতো ব্যস্ততায় ওটা দেয়ার কথা আর মনে ছিলো না। সেই কিটটাই বের করলো ইতি, টেস্ট করে দেখবে। দেখলো। 
খুব সুন্দর রিং ফুটে উঠলো টেস্ট কিটে। রেজাল্ট পজিটিভ।ভিজে বাথরুমের মেঝেতেই বসে পড়লো ইতি, কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। এ কি করে সম্ভব? কিভাবে ও কনসিভ করলো?
সেই অন্ধকার বাথরুমে একা বসে রইল ইতি, সারারাত।


==========সমাপ্ত======= 




ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®

No comments

Powered by Blogger.