Ads

ডুবে ডুবে ভালোবাসি, কল্পনাতীত বিরহের মোটিভেশনাল লাইফ স্টোরি।

জীবন থেকে নেওয়া টুকরো ও বিচ্ছিন্ন কিছু অনুভূতির কাব্য নিয়ে ধারাবাহিক সিরিজের আজ দ্বিতীয় পর্ব।
যার মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবনের নানান বাকের, নানান পথের দর্শণ উপলব্ধি ও মোটিভেশান।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি, কল্পনাতীত বিরহের মোটিভেশনাল লাইফ স্টোরি   #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®



লেখায়ঃ--- Kripa BaSu

সবকথাতেই লুকিয়ে থাকে হারিয়ে ফেলার ভয়,
হয়তো সেটা প্রেম অথবা প্রেমের মতো নয়....
আসলে কোনো কোনো মানুষ যেন একটা নদীর পাড়ের মতো সুন্দর হয়, যেখানে স্রেফ মাথা পেতে শুতে ইচ্ছে করে। তাদের সাথে কোনোদিন কোনো সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছে করে না, শুধু তাদের মায়া ভর্তি চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে....


#ডিপ্রেশনের_সাথে_আমার_লড়াই ।

আচ্ছা মাঝরাতে আপনার কখনো হঠাৎ কান্না পেয়েছে? 
কখনো পকেটে টাকা নেই বলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছে? 
ভোরের সময় কাউকে জড়িয়ে ধরে ঘুমোতে ইচ্ছে হয়েছে? 
প্রচুর প্রচুর হাসতে হাসতে হঠাৎ চোখ জলে ভরে গেছে?
কখনো দুপুর বেলায় অন্ধকার ঘরে শুয়ে বুক ধড়ফড় করেছে? 
মনে হয়েছে কখনো কেউ যেন গলা টিপে ধরছে? 
কখনো প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে হয়েছে কারোর বিরুদ্ধে? 
কখনো অর্ধেক মাখা ভাত ফেলে উঠে গেছেন? 
কখনো সারাদিন শুধু একটার পর একটা সিগারেট খেয়ে কাটিয়েছেন?

আমি এইসব স্টেজগুলো পার করে এসেছি, আমি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি বহুবার। আমি মাঝরাতে কেঁদেছি নিজেকে জড়িয়ে ধরে একা....।
আমি বহুবার ভেবেছি এইরকম অর্থহীন মূল্যহীন জীবন রেখে লাভ কি!....
আমি যার যার উপর যখন যখন নির্ভরশীল হয়েছি, যে যে মানুষগুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি, সেইসব মানুষরা আমায় ঠকিয়ে চলে গেছে নির্মম ভাবে....।
আমি তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, আমি তাদের জন্য রাতের পর রাত কেঁদেছি, আমি তাদেরকে বারংবার ফোন করে নিজের ভুল না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমা চেয়েছি.....
কিন্তু যখন থেকে দেখেছি, তারা ছেড়ে যাওয়ার পর একবারও পেছন ফিরে তাকায়নি আমার দিকে, তারা একবারও ভাবেনি, যে তারা ছেড়ে যাওয়ার পর আমি কেমন আছি! 

খেলাম কিনা! ঘুমালাম কিনা! আদৌ বেঁচে আছি তো! না, এসব তারা একবারও ভাবেনি....
তারা বরং নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছে, নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, টাকা উপার্জন করে ভালো সংসার পেতেছে....।
তখন থেকে আমি নিজেকে একটু একটু করে শক্ত করেছি, নিজেকে স্বার্থপর তৈরি করেছি, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি সারাদিন। 
অন্য কারোর জন্য নয়, স্রেফ নিজের জন্য বাঁচতে চেয়েছি....।

তারা কেউই যখন আমার কথা ভাবেনি, তখন আমি মরে গেলেও তাদের কিছুই যায় আসতো না। তাই আমি ওদের জন্য মরে না গিয়ে নিজের জন্য বাঁচতে শিখেছি....।

হ্যাঁ, কান্না পেলে কেঁদেছি আর তারপর নিজের চোখের জল মুছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হেসেছি....।

একা একা সিনেমাহলে গিয়ে মুভি দেখেছি, একা একা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছি। 
একা একা কোনো এক অজানা পার্কে গিয়ে চুপচাপ বসে থেকেছি ঘন্টার পর ঘন্টা....।
কোনো এক অচেনা গলিতে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে বৃষ্টিতে ভিজেছি....
চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছি, আর তারপর নিজেই নিজের টুকরো গুলো হাতের মুঠোয় তুলে গুছিয়ে নিয়েছি....।

ভোর রাতে ঘুমিয়েছি, সকাল বেলায় উঠে চুপচাপ কাজে গেছি, কখনো বাসের জানলার পাশে বসে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছি....।

আমি ডিপ্রেশনের এক গভীর অন্ধকারে ধীরে ধীরে তলিয়ে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি....।
জীবন কখনো সহজে শেষ হয় না, তাই বারবার মৃত্যুকে বরণ করে নিতে চাইলেও মৃত্যু ধরা দেয়নি সহজে.....
মৃত্যু সহজ, বেঁচে থাকাই কঠিন, আমি এই কঠিন জীবনটা বেছে নিয়েছি....।


মাঝেমধ্যে নিজের জন্য স্বার্থপর হওয়া দরকার, নিজের ভুলগুলো নিয়ে কাটাছেঁড়া করা দরকার...।

মাঝেমধ্যে একটু কান্নাকাটি করা দরকার, আর তারপর আবার নিজেকে সামলে নেওয়া দরকার....।
যে মানুষ হাজারবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও নিজেই নিজেকে সামলাতে পারে, সেই মানুষের মতো সুন্দর মানুষ এই পৃথিবীতে নেই....
আমি সুন্দর, ব্যাস এটুকুই রোজ একবার করে নিজেকে মনে করিয়ে দিই....।


#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®





আমি জানি না, আপনাদের প্রাক্তনের সাথে আপনাদের যোগাযোগ আছে কিনা! আমার প্রাক্তনের সাথে আমার যোগাযোগ আছে এখনো.....।

আমরা দুজনেই খুব ব্যস্ত, তবুও আমরা একে অপরের খোঁজ রাখি, মাঝেমধ্যে ফোন টোন করে জিজ্ঞেস করি শরীর কেমন আছে!....।
এখনো একে অপরের শরীর খারাপের খবর শুনলে বুক কাঁপে....।
কেউ আর কারোর প্রতি কোনো রাগ, ঘৃণা, দুঃখ, ব্যথা পুষে রাখিনি.....

সম্পর্ক থাকাকালীন অনেক ভুল বোঝাবুঝি, সন্দেহ, বাজে কথা, ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি হয়েছে কিন্তু সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর কেউ আর কারোর প্রতি কোনো তিক্ততা পুষে রাখিনি....।

আমার মনে হয় আমরা যদি একটু চেষ্টা করি, তাহলে শুরুর মতোই শেষটাও সুন্দর হতে পারে....।

একটা সম্পর্ক অনেক অনেক কারণে ভাঙে, কিন্তু সম্পর্ক থাকাকালীন যে মানুষটার সাথে হাত ধরে হেঁটেছিলাম কোনো এক ফাঁকা রাস্তায়, যে মানুষটাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছিলাম, যে মানুষটাকে কোনো এক ঝড়ের সন্ধেয় অন্ধকার গলিতে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলাম.....।

যে মানুষটার গায়ের গন্ধ মেখেছিলাম নিজের শরীরে, যে মানুষটার বুকে মাথা রেখে সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলাম, যে মানুষটার সামান্য সর্দি কাশি হলে সারারাত জেগে থাকতাম....।

যে মানুষটার জন্মদিনে নিজের হাতে পায়েস রান্না করতাম, যে মানুষটার সাথে ভোরের শিশির কুড়িয়েছি, মাঝরাতে যে মানুষটার সাথে জানলা খুলে বৃষ্টি ছুঁয়েছি....।
বিচ্ছেদের পর সেই মানুষটাকে সত্যি কি এতটা ঘেন্না করা সম্ভব? বছরের পর বছর একটা মানুষকে ভালোবাসার চেয়ে কি এক মুহূর্তের বিচ্ছেদ বড় হয়ে যায়?
যে মুহূর্তগুলো আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছিলাম, তার কি কোনো দাম থাকে না?
আমি মনে করি সম্পর্ক শেষ হোক, কিন্তু বিচ্ছেদের পরেও দুজনেরই দুজনের প্রতি সম্মান জানানোটা হলো নিজেদের সম্পর্ক ও নিজেদের একসাথে কাটানো মুহূর্তকে সম্মান জানানো.....

একটা মানুষের প্রতি যতবেশি অভিমান আমরা পুষে রাখবো, ততই বেশি মানুষটাকে নিয়ে চিন্তা করবো। মানুষটার প্রতি অভিযোগ পুষে রাখলে, মানুষটার থেকে কোনোদিনই মুক্তি পাবো না....।
সম্পর্ক খারাপ হলে দুটো মানুষ ছটফট করে, তখন তাদের মুক্তির প্রয়োজন হয়....।
দুজনেই মুক্তি পাক, দুজনেরই কথা কমে যাক, দুজনেরই যোগাযোগ কমে যাক, কিন্তু অন্তত একে অপরকে নূন্যতম সম্মান করাটা যেন না কমে.....।
বিচ্ছেদের পর মানুষটার সাথে মুখোমুখি দেখা হলে যেন চোখ নামিয়ে পালাতে না হয়....
চোখ উঠিয়ে যেন কথা বলা যায় মানুষটার সাথে, মুখে হাসি রেখে তার সাথে দুই একটা বাক্য বিনিময় যেন করা যায়....।

একবার বিচ্ছেদ ঘটলে কে কাকে ঠকিয়েছিলো, কে কার সাথে কি করেছিলো, কে কতটা ভুল করেছিলো এগুলো আর কোনো ম্যাটার করে না....।
তখন শুধু মানুষটার প্রতি একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস বাকি থেকে যায়....।
তাই মানুষটাকে ভুলতে গেলে মানুষটার প্রতি আর কোনো ক্ষোভ পুষে রাখতে নেই, বরং দেখা হলে "কেমন আছো? শরীর ভালো তো?" জিজ্ঞেস করতে হয়.....
সম্পর্ক থাকাকালীন দুটো মানুষ একে অপরকে যতটা সম্মান করতো, সম্পর্ক শেষের পরেও যেন ঠিক ততটাই সম্মান জানাতে পারে, তবেই মানুষ মুক্তি পায় বাজে সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে....।

                                     
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®







আমার এক দিদি নীলাঞ্জনা দির বয়স এখন প্রায় ৩৬, ডিভোর্সি,  ।
একটা ছেলে আছে আগেরপক্ষের। দিদির ডিভোর্সের পর একজনের সাথে , 
ফেসবুকেই আলাপ হয়েছিল প্রায় একবছর আগে....।
ছেলেটির নাম সৌরভ রায়চৌধুরী....।
সৌরভ দা, নীলাঞ্জনা দির থেকে প্রায় ৭বছরের ছোট। সৌরভ দা বেশ উচ্চ বংশের, বাবার সোনার দোকান আছে, সৌরভ দা পারিবারিক ব্যবসা সামলাতো, তিনতলা বাড়ি, গাড়ি, চারটে কাজের লোক, সৌরভ দার অবস্থা দারুণ ভালো ছিলো.....।

নীলাঞ্জনা দি স্কুল টিচার, একটা ভাড়ার ফ্ল্যাটে ছেলেকে নিয়ে থাকে। দিদির সাথে ফেসবুকে কথা বলতে বলতেই সৌরভ দা নীলাঞ্জনা দিকে ভালোবেসে ফেলেছিল, দিদিকে প্রপোজ করেছিল, দিদি প্রথম প্রথম আপত্তি জানালেও পরে আর কোনো আপত্তি করেনি...।

নীলাঞ্জনা দির ব্যাপারে সৌরভ দা সবকিছু জানার পরও সৌরভ দা নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায়নি...।

নীলাঞ্জনা দির ব্যাপারে সৌরভ দা নিজের বাড়িতে সবকিছু জানিয়েছিল, সৌরভ দার বাড়ির থেকে এই সম্পর্ক মানতে রাজি হয়নি। সৌরভ দা প্রায় ৮মাস ধরে অনেক ভাবেই নিজের বাড়ির লোককে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বাচ্চা সহ ডিভোর্সি মহিলাকে সৌরভ দার বাড়ির থেকে কোনোমতেই মানতে চায়নি.....।
এই লকডাউন হওয়ার কয়েকমাস আগে সৌরভ দা নিজের বাড়ির থেকে বেরিয়ে এসে নীলাঞ্জনা দির সাথে ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছে....।

বাবার ব্যবসা, বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তি সবকিছু ছেড়ে সৌরভ দা বাড়ির থেকে বেরিয়ে এসেছে শুধুমাত্র নিজের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দেবে বলে.....।
নীলাঞ্জনা দির সাথে লকডাউনের আগের সপ্তাহে আমার দেখা হয়েছিল। দিদি স্কুল থেকে ফিরছিলো, আমি তখন নীলাঞ্জনা দির কাছে শুনলাম সৌরভ দা একটা ছোট্ট কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে, মাত্র ১০০০০টাকা মাইনে...।

সেই সকাল আটটায় বেরোয়, রাত প্রায় দশটা বেজে যায় বাড়ি ফিরতে ফিরতে....।
নীলাঞ্জনা দি নাকি অনেকবার সৌরভ দাকে বুঝিয়েছিল নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে কিন্তু সৌরভ দা রাজি হয়নি.....।
নীলাঞ্জনা দির সাথে যেদিন শেষ দেখা হলো আমার লকডাউনের আগে, সেদিন নীলাঞ্জনা দিকে দেখতে বড্ড বেশ সুন্দর লাগছিলো। এত সুন্দর এর আগে কোনোদিন লাগেনি ওঁকে....
মানুষ ভালোবাসা পেলে সুন্দর হয়ে ওঠে...।

আজকে হঠাৎই নীলাঞ্জনা দি ফোন করেছিল, নীলাঞ্জনা দি প্রেগনেন্ট.....
খবরটা শুনে কি যে ভালো লাগছিল, বলে বোঝাতে পারবো না....।
একটা কথা ভীষণ প্রচলিত "ছেলেরা নাকি ছেড়ে চলে যায়".....।
সৌরভ দাকে দেখে শিখেছি সব ছেলেরা ছেড়ে যায় না। 
সব ভালোবাসার মানুষরা প্রতিশ্রুতি ভাঙে না...।
কেউ কেউ নিজের জীবনের থেকেও বেশি দাম দেয় নিজের ভালোবাসার মানুষের ইচ্ছেকে....।
কেউ কেউ থেকে যেতে জানে....।



হাজারটা অবহেলা অপমান সহ্য করেও তুমি এতদিন যে মানুষটার পাশে ছিলে, সেই মানুষটার পাশ থেকে জাস্ট কদিনের জন্য সরে যাও.....।
তুমি সরে গিয়ে দেখো সে তোমায় খুঁজছে কিনা! নিজেকে তার কাছ থেকে আড়াল করে দেখো সে তোমায় গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা!....।
ভালোবাসা একতরফা হতে পারে, কিন্তু সম্পর্ক কখনোই একতরফা গড়ে ওঠে না। তাই একটা সম্পর্কে দুজনেরই দুজনের প্রতি একিরকমের ডেডিকেশন, 
বিশ্বাস, বন্ধুত্ব থাকা উচিত.....।

যে মানুষটা সারাটাদিন অপেক্ষা করে তার কাছের মানুষটার গলার আওয়াজ শোনার জন্য, থালা আগলে সারাটা রাত বসে থাকে, হাজারটা অপমান সহ্য করে, হাজারটা অভিমান জমিয়েও প্রিয় মানুষটার জন্মদিন কখনো ভুলে যায় না, বারবার অবহেলিত হয়েও প্রিয় মানুষটার জ্বর হলে ছুটে যায়, সেই মানুষটাকে ইগনোর করা পাপ....।

উল্টোদিকের মানুষটা যদি নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাহলে এভাবে কোনো সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হতে পারে না। তাই সেই মুহূর্তে নিজের থেকেই কিছুদিনের জন্য দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়া উচিত উল্টোদিকের মানুষটার থেকে...।

দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়ার পর যদি উল্টোদিকের মানুষটা তোমায় খোঁজে, নিজের ভুল বুঝতে পেরে তোমার কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে বুঝে নিও সম্পর্ক এখনো ভালো আছে, জাস্ট কয়েক মুহূর্তের জন্য সম্পর্কটা শিথিল হয়ে গিয়েছিল.....।

আর যদি তুমি দূরে সরে যাওয়ার পরও উল্টোদিকের মানুষটা তোমায় একবারও না খোঁজে, একবারও না তোমার সাথে কথা বলতে চায়, তাহলে বুঝে যেও সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গেছে, তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো....।

নষ্ট সম্পর্কে পড়ে থাকার চেয়ে একা থাকা ভালো।

আসলে আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে সস্তা বানাই প্রিয় মানুষদের কাছে, আমরাই প্রয়োজনের থেকে বেশি যত্ন নিই প্রিয় মানুষটার, 
নিজের ইচ্ছেগুলোকে দমিয়ে উল্টোদিকের মানুষটার ইচ্ছেটাকে গুরুত্ব দিই সবসময়, আর সেখানেই সবচেয়ে বড় ভুল করি....,।
যে মানুষ নিজেকে গুরুত্ব দেয় না, তাকে কেউ কোনোদিন গুরুত্ব দেবে না, এটাই সমাজের নিয়ম...।

একটা সম্পর্কে সবকিছুই সমান সমান হয়, কেউ একজন বেশি গুরুত্ব পাবে, আর কেউ একজন কোনো গুরুত্বই পাবে না, এভাবে সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকে থাকে না....।

একটা সম্পর্কে দুজনকেই দুজনের ইচ্ছেটাকে গুরুত্ব দেওয়াটা দরকার। একজনের চাহিদা পূরণ হবে, আর একজনের কোনো চাহিদা পূরণ হবে না, এভাবে সম্পর্ক সুন্দর হয় না, বরং "বোঝা" হয়ে যায় একটা সময়ের পর....।
তাই আমি মনে করি, কিছু কিছু সময় নিজের থেকেই সামান্য দূরত্ব বাড়িয়ে দেখে নেওয়া উচিত উল্টোদিকের মানুষটা আদৌ আমাদের পরোয়া করছে কিনা!
সামান্য দূরত্ব বাড়িয়ে দেখে নেওয়া উচিত সম্পর্কটা আদৌ ভালো আছে কিনা!......




আমি দেখেছি খুব শক্তপোক্ত সম্পর্কগুলোতে রোজ ফোন দেওয়া নেওয়ার গল্প নাই, কারণ তাঁরা জানে প্রাণের মানুষটা যেখানেই থাক, ফিরে আসবেই দিনের শেষে তাঁদের কাছে।
তাঁরা শুধু দুহাত খুলে অপেক্ষা করে প্রিয়জনের জন্য, কাছে এলেই যাতে মুঠো ভরে কুড়িয়ে নিতে পারে আপনজনের সুখ দুঃখ গুলো....।
খুব দৃঢ় সম্পর্কগুলোতে দুইবেলা "খেয়েছো, ঘুমিয়েছো" জিগ্যেস করে না কেউ কাউকে! কিন্তু একজন না খেলে আর একজন ঠিক পেট ভরে খেতে পারে না, কোনরকমে থালা এঁটো করে উঠে যায় হাত ধুয়ে....।
খুব শক্তপোক্ত সম্পর্কগুলোতে ছোট ছোট কথায় চারবেলা অভিমান করে কেউই মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে না, কিংবা ঝামেলাও করে না। বরং মানিয়ে নেয় তরকারিতে বেশি নুন হলেও, আবার জন্মদিনে উপহার আনতে ভুলে গেলেও হাসিমুখে মানিয়ে নেয়.....।

রোজ রোজ ঝগড়া করে দিনের শেষে জাপটে ধরে চুমুও খায় না একে অপরকে, কিন্তু একজন বেসামাল হয়ে পথ চললেই অন্যজন হাত টেনে ধরে, জলভর্তি সিঁড়িতে পা পিছলে পড়ার আগে ঠিকই সামলে নেয় একে অপরকে....।

অফিস ফুরোলে ফোন করে "ভালোবাসি ভালোবাসি" বলে চেঁচায় না কেউই, কিন্তু মাঝেমধ্যে হাতে করে গরম জিলিপি নিয়ে আসে একসঙ্গে খাবে বলে....।
দামি উপহার আনে না ঠিকই, কিন্তু বাজারের ব্যাগটা ভারী হলেই দুইজনে একটা ব্যাগের দুটো হাতল ভাগাভাগি করে ধরে নিয়ে এসে উপচে দেয় শাকসবজি রান্নাঘরের মেঝেতে....।


প্রতি সপ্তাহে সিনেমা দেখতে বা রেস্টুরেন্টে খেতে যায় না ওরা, কিন্তু প্রতিবেশীর বিয়েতে সেজেগুজে বেরোনোর সময় চোখে চোখ রেখে একজন অন্যজনকে বলে "আজ তোমায় খুব ভালো লাগছে, অনেকেই তোমায় দেখে চোখ ফেরাতে পারবে না দেখো".....।
প্রতিদিন হয়তো একে অপরের যত্ন নেওয়ার সময় হয় না, কিন্তু একজনের জ্বর হলে অপরজন ঠিকই রাতের বেলায় বারবার উঠে থার্মোমিটারে জ্বর মাপে, 
কপালে জল্পট্টি দেয়....।
খুব সাদামাটা সম্পর্কগুলোতে হাঁড়িতে ভাত কম থাকলে একজন একটু কম খেয়ে অন্যজনের মুখের সামনে ভাতের থালা এগিয়ে দেয়, মাঝরাতে চাদর সরে গেলে একজন ঠিকই আর একজনের গায়ে আলতো করে চাদর জড়িয়ে দেয়....।

খুব গরমে দুপুরবেলায় একজন বাড়ি ফিরলে অন্যজন হাতে করে শরবত এগিয়ে দেয়। অফিসের ফাইলটা থেকে রান্নাঘরের মশলাটা সব ঠিকঠাক করে গুছিয়ে রাখে দুজনেই....।
মানুষকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে মানুষ সম্পর্কে জড়ায় না, কিন্তু দুইটা মানুষ একটা সম্পর্ককে যদি লালন করতে পারে, তবে দুইজন দুইজনকে এমনভাবে গড়ে তোলে, সেই দুটো মানুষকে ভাঙার ক্ষমতা আর কারোর থাকে না....।
জীবনে এমন মানুষ পেলে, মুঠো ভরে কুড়িয়ে নিতে হয়, কখনো হারাতে দিতে নেই....।


                   
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®



খুব বকবক করা মানুষগুলো একটা সময়ের পর চুপ হয়ে যায়। 


খুব বকবক করা মানুষগুলো একটা সময়ের পর চুপ হয়ে যায়। ক্রমশ আঘাত পেতে পেতে চুপ হয়ে যাওয়ার পর আর কোনোদিন খোলামেলা ভাবে সেই মানুষগুলো বকবক করতে পারে না....।
ভালবেসে বারবার ঠকে যাওয়ার পর মানুষ ভালোবাসতে ভুলে যায়। আর একবার ভালোবাসার উপর বিশ্বাস উঠে গেলে তাকে কেউ যতই বুক দিয়ে আগলানোর চেষ্টা করুক, সে আর কখনোই ভালোবাসায় ফেরে না....।

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর মানুষকে একা থাকতে শিখতেই হয়। আর একবার একা থাকতে শিখে গেলে সে আর কোনোদিন কারোর সাথে সংসার করতে পারে না। 
সে তখন ডানা লাগানো পাখির মতো উড়তে চায়, ঘুরতে চায়, তাকে বেঁধে রাখার ক্ষমতা আর কারোর থাকে না......।
বারবার বিশ্বাস করে প্রতারিত হওয়ার পর মানুষকে শক্ত হতে হয়। আর একবার সে শক্ত হয়ে গেলে তাকে আর কেউ কোনোদিন ভাঙতে পারে না, এমনকি সে নিজে কারোর কাছে ভাঙতে চাইলেও আর আগের মতো করে ভেঙে টুকরো টুকরো হয় না। কারণ ততদিনে তার চোখের জল শুকিয়ে যায়....। 
ভালোবাসা মানুষকে সৃষ্টিও করে, ধ্বংসও করে কিন্তু একবার ধ্বংস হওয়ার পর নিজেকে নিজে গড়ে তুললে তাকে কেউ যতই ভালোবাসুক, সে আর কাউকে কোনোদিন ভালোবাসতে পারে না ঠিক করে।
স্রেফ নিজের দায়িত্ব টুকু পালন করে, 
কিন্তু আর কারোর প্রতিই তার তীব্র ভালোবাসা জন্মায় না....।



প্রায় দুবছর হতে গেল, আমরা একসাথে শুইনি, একে অপরকে ছুঁয়েও দেখিনি ঠিক করে, আজ ভীষণ ক্লান্ত....।
খুব সামান্য কথাও ঘুরিয়ে বলেছি, ঝামেলা করেছি, গোটা দিন না খেয়ে বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছি, তবু বাড়ি ফিরিনি শুধু কেউ কারোর মুখ দেখতে চাই না বলে....।
একসাথে বাজার করতে যাইনি কতদিন! রেস্টুরেন্টে পাশাপাশি বসে একে অপরকে কতদিন খাইয়ে দিইনি, ছাদ থেকে দুজনে দুজনের জামাকাপড় তুলে আনিনি, নিজের কাপড়টুকু গুছিয়ে নিয়ে নেমে এসেছি নীচে....।
একে অপরের জন্মদিনটাও ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখে মনে রাখতে হয়েছে, নইলে সেটাও মনে থাকতো না....।

আমাদের জ্বর হলে কেউই কারোর কপাল ছুঁইয়ে একবারও দেখিনি জ্বরটা বাড়লো কিনা.....

আমাদের মধ্যে কথা ফুরিয়ে এসেছে, অধিকার ফুরিয়ে এসেছে, যত্ন ফুরিয়ে এসেছে, আবদার ফুরিয়ে এসেছে....।
আমরা স্রেফ সম্পর্কটুকু গোছাতে পেরেছি হয়তো, কিন্তু আমরা দুজনেই দুজনের কাছে ফুরিয়ে এসেছি.....।

আমরা না এতটাই আলাদা হয়ে গেছি একে অন্যের থেকে, যে পাশাপাশি শুয়েও কেউ কারোর মন খারাপের কারণ জিগ্যেস করতে পারি না! কেমন যেন একটা লাগে! মনে হয়, ধুর, আবার ঝগড়া হবে, তার চেয়ে থাক যে যেমন আছে.....।

আমরা এতটাই দূরে সরে গেছি যে দুজনে দুজনের গায়ের গন্ধটাও ভুলতে বসেছি, আমরা একে অপরের চোখে নিজেদেরকে আর খুঁজে পাই না.....।

একটা সময়ের পর মানুষকে বুঝতে শিখতে হয়, নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়, একটা সময়ের পর মানুষ মানুষের কাছে কিছু চাওয়া পাওয়ার আশায় কিংবা শারীরিক হওয়ার আশায় যায় না। স্রেফ প্রাণ খুলে দুটো সুখ দুঃখের কথা বলতে যায়.....।
যাদের মধ্যে কথা বলার সুযোগটুকুও থাকে না, তাদের আলাদা হয়ে যেতে হয়, "ভালো থেকো" বলে দেওয়াল তুলে দিতে হয়.....।
আসলে ভালোবাসা মানুষকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে গড়েও তুলতে পারে, আবার ধ্বংসও করতে পারে। আমরা খুব যত্ন করে একে অন্যকে ধ্বংস করে ফেলেছি, এবার সরে যাওয়ার পালা, যাতে বাকি জীবন কিছুটা কম অভিনয় করতে হয়....।
দূরত্ব বাড়লে একে অপরের চোখে আর মায়া ভরা জল দেখতে পায় না মানুষ....।

                        






"সবার জীবনে একটা গোপন প্রেম থাকলে, জীবনটা খুব সুন্দর হয়। 
যে প্রেমের কথা দুটো মানুষ ছাড়া আর কেউ কোনোদিন জানবে না".....।
আমি আগে এমনটাই ভাবতাম, কিন্তু যত বয়স বেড়েছে ততই ধারণা পাল্টেছে। গোপন শব্দটাই একটা ভয়ঙ্কর শব্দ, গোপন কোনোকিছুই বেশিদিন ভালো নয়....।
গোপন প্ৰেম হোক বা গোপন মান অভিমান, রাগ, দুঃখ, ব্যথা, গোপন সম্পর্ক! 
কোনোকিছুই বেশিদিন ভালো নয়.....।

কোনো মানুষের প্রতি যে কোনো অনুভূতিই একটা সময়ের পর স্বীকৃতি পেতে চায়? 
একটা মর্যাদা চায়, একটা সম্মান চায়।
যে কোনো গোপন প্রেম একটা প্রাণখোলা বারান্দা চায়, যে বারান্দায় বসে বর্ষাদিনে চায়ের কাপ হাতে রাস্তায় জমা কাদায় বাচ্চাদের হুটোপুটি করতে দেখা যায়....।
যে বারান্দায় রোদ উঠলে ন্যাপথলিন মাখানো পুরোনো কাপড় গরম করে নেওয়া যায়....।
যে বারান্দায় গোলাপ ফুলের টব রাখা যায়, খুব মেঘ করলে গরম গরম চপ ভেজে যে বারান্দায় বসে রবীন্দ্রগান শোনা যায়.....
লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করার একটা বয়স থাকে, সেই বয়সটা পেরোনোর পর গোপন প্রেমটা বড্ড তড়পায়, সাংঘাতিক কষ্ট দেয়....।

একটা বয়সের পর দুটো মানুষ একে অপরের হাত ধরে মাথা উঁচু করে রাস্তায় হাঁটতে চায়, সংসার পাততে চায়, মাসকাবারির বাজারের ফর্দ করতে করতে ছিঁড়ে যাওয়া বোতাম লাগাতে চায় জামায়...। 
সব প্ৰেম একটা বয়সের পর বটগাছ হয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, সমস্ত ঝড়বৃষ্টি পেরিয়েও একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে চায়....।
আর যে প্রেমকে সারাজীবন আড়ালে গোপনে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, যে প্রেম কোনোদিনই মাথা তুলে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে না, যে প্রেমের ব্যাপারে চিৎকার করে কোনোদিনই কাউকে বলা যায় না!

সেই প্রেম সারাজীবনই শুধু ব্যথা দিয়ে যায়, সেই প্রেম সারাজীবন কষ্ট দেয়, 
ভেতর ভেতর মরে যায় মানুষ নিজের প্রেমটাকে গোপন রাখতে রাখতে....।
আড়ালে আবডালে লুকিয়ে সম্মান বা শ্রদ্ধা করা যায় কোনো মানুষকে....।
কিন্তু গোপনে আড়ালে লুকিয়ে সারাজীবন প্রেম করা যায় না, ইনফ্যাক্ট লুকিয়ে লুকিয়ে কারোর সাথেই সারাজীবন সম্পর্ক রাখাও উচিত নয়....।

যে সম্পর্ক সকলের সামনে সম্মান পায় না, সেই সম্পর্কে থাকা দুটো মানুষও একটা সময়ের পর থেকে একে অপরকে অসম্মান করতে শুরু করে....।

একে অপরকে অপমান করতে শুরু করে, একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে....
গোপন প্রেম বা সম্পর্ক একসঙ্গে অনেকগুলো জীবন নষ্ট করে দেয়, 
দুটো পরিবারকে শেষ করে দেয়....।







কারোর সাথে সেক্স করার জন্য ভালোবাসার নাটক করবেন না, কারোর অনেক অর্থ বলেই তাকে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কেউ আপনার হাতে পায়ে ধরে ভালোবাসার ভিক্ষা চাইছে বলেই তাকে ভালোবাসার কথা বলে বসবেন না....।

যদি ভালোবাসতে পারেন পুরোপুরি মন থেকে, তবেই ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিন। 
যদি একসাথে থাকার সদিচ্ছা থাকে, যদি পাশাপাশি থাকার সদিচ্ছা থাকে, 
যদি যে কোনো সমস্যায় একসঙ্গে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন 
তবেই ভালোবাসাবাসির কথা বলুন....।
অন্যকিছু পাওয়ার জন্য বা কাউকে করুণা করে "ভালোবাসি" বলে নাটক করবেন না, 
নাটক কিন্তু বেশিদিন করা যায় না।

হ্যাঁ জানি, সেক্স, টাকাপয়সা, উপহার এগুলো জীবনে চলার পথে খুবই দরকার। 
কিন্তু ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য কেবলমাত্র ভালোবাসা থাকাটা দরকার.....।
ভালোবাসা থাকলে দুজনে মিলে একসঙ্গে লড়াই করে নিজেদের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করা যাবে, ভালোবাসা থাকলে দুজনেই দুজনের কাছে নিজেকে আপনা থেকেই সমর্পণ করবে।
কিন্তু টাকাপয়সা, বা শরীর পাওয়ার জন্য ভালোবাসার অজুহাত দেবেন না। আর কাউকে করুণা করেও ভালোবাসার কথা বলবেন না....।

"ভালোবাসা" শব্দটার উপর একটা মানুষের গোটাজীবন নির্ভর করে, অনেক স্বপ্ন, অনেক লড়াই নির্ভর করে....।

একটা মানুষের বিশ্বাস ভেঙে দেওয়া পাপ, আপনি আজকে একজনের বিশ্বাস ভাঙলে, কালকে কিন্তু কেউ না কেউ ঠিকই আপনার বিশ্বাস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে, মনে রাখবেন প্রকৃতি ঠিকই প্রতিশোধ নেয়....।





                              #স্কুলের_প্রেম_পরিণতি_পেলো_বিয়েতে

                 
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®
অরজিত সিং এর এ্যালবাম 





স্কুলজীবন থেকে শুরু হয়েছিল সম্পর্কটা, 
তারপর হাজারটা ঝড়ঝাপ্টা পেরিয়ে বিয়েতে পরিণতি পেলো ওঁদের প্রেম....।
সম্পর্ক এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায় না, অনেক এফোর্ট লাগে, অনেক সময়, 
অনেক পরিশ্রম লাগে একটা সম্পর্ককে লালন করতে....।
অনেকসময় স্রেফ একটা সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বাকি অনেকগুলো সম্পর্ক হারাতে হয়, ছাড়তে হয় মাঝপথে....।
প্রতিটা সম্পর্ক আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেকসময় স্রেফ একটা সম্পর্ককে বেছে নিতে হয়.....
মানুষ নিজের জীবনে একটা সম্পর্ককে বাঁচাতে গিয়ে হাজারটা সম্পর্ককে অনেকসময় অনিচ্ছেকৃত মেরে ফেলে....।


কি যেন একটা শব্দ আছে "নিব্বা নিব্বি", 
এই নিব্বা নিব্বিদের নিয়ে বেশ খিল্লি করা হয় সব জায়গায়.....।
নিব্বা নিব্বি তাদেরকেই বলে যারা অল্প বয়স থেকে প্রেম করে, হাজার হাজার প্রতিশ্রুতি দেয়। একজন ভাত না খেলে আর একজন খায় না, সামান্য অভিমানে হাত কেটে ফেলে, কান্নাকাটি করে নিজের মাথা ঠোকে দেওয়ালে....।

হ্যাঁ, তাদেরকেই নিব্বা নিব্বি বলে খিল্লি করা হয়। কিন্তু বুকে হাত রেখে বলুন তো আমাদের অল্প বয়সের প্রেমগুলোয় আবেগ বেশি ছিলো কিনা!...।

আমাদের অল্প বয়সের প্রেমগুলোয় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার দায়িত্ব বেশি ছিলো কিনা! 
একবার ভেবে বলুন তো আমাদের অল্প বয়সের প্রেমগুলোয় যত্ন, আবদার, 
অভিমান বেশি ছিলো কিনা!....।

যাইহোক, যারা হাজার হাজার ঝড়ঝাপটা পেরিয়েও থেকে যেতে জানে, 
যারা নিজের জীবন দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখতে জানে, 
যারা হাজারটা যন্ত্রণা সয়েও নিজের ভালোবাসার মানুষকে আগলে রাখতে জানে, 
তাদের থেকে সুন্দর মানুষ এই পৃথিবীতে নেই....। 




   ধন্যবাদান্তেঃ------
  মওদুদ আহমেদ মধু 


No comments

Powered by Blogger.