আরও একটা ডিপ্রেশনের শুরু। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের মোটিভেশান।
জীবনের সব মোটিভেশান শুধু
থিউরিটিকাল কথা থেকেই আসেনা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোটিভেশান আসে, চারপাশের অতি সাধারণ জীবন-যাপনের আড়ালে,
অতি অসাধারণ চেতনা উপলব্ধি থেকে।কৃপা বসু তেমনই একজন সুক্ষ্ম চেতনার মানুষ।যার অতি মামুলি! কিছু কথা থেকেই পাওয়া যায় জীবনের অতি ষ্পর্শকাতর মোটিভেশান।
টুকরো টুকরো কিছু লেখাকে একত্রিত করে ধারাবাহিক আর্টিকেল প্রকাশের
আজ তৃতীয় পর্ব।রচনায়ঃ--- Kripa BaSu
অনেক অনেক ভুল করার পর বুঝেছি,
চুপ করে থাকা কতটা জরুরি।
প্রতিক্রিয়া কম দেওয়াট কতটা জরুরি।
নিজের জিতে যাওয়ার আনন্দ বা নিজের ব্যথাকে,
অন্যকে দেখানোর চেয়ে চুপচাপ গিলে খাওয়াটা জরুরি।
যতবেশি আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হই,
ততই আমরা যেন আমাদের মূল উদ্দেশ্যগুলো থেকে,
সরতে থাকি ।
আমাদের ভেতর লড়াই করার জেদ কমতে থাকে.....।
আমাদের মনে হয় আমাদের পাশে অনেকেই আছে, কিন্তু সুবিধে অসুবিধেয় হাতে গোনা দুই চারজনকে ছাড়া আর কোথাও কাউকে পাওয়া যায় না..।
তাই নিজের দুঃখ ব্যথা শোক আনন্দকে এড়িয়ে যাওয়াটা খুব দরকার।
স্রেফ নিজের কাজ মন দিয়ে করে যেতে হয়...।
সত্যিকারের জয় অনেক অনেক পরাজয়ের পর আসে। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে জানতে হয়,
আর তার সাথে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়।
তোমার জীবনে নব্বইটা মানুষই খারাপ আসবে, নব্বইটা মানুষই তোমায় ঠকাবে,
তাই নিজের দুঃখ ব্যথা শোক আনন্দকে এড়িয়ে যাওয়াটা খুব দরকার।
স্রেফ নিজের কাজ মন দিয়ে করে যেতে হয়...।
সত্যিকারের জয় অনেক অনেক পরাজয়ের পর আসে। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে জানতে হয়,
আর তার সাথে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়।
তোমার জীবনে নব্বইটা মানুষই খারাপ আসবে, নব্বইটা মানুষই তোমায় ঠকাবে,
কিন্তু এই নব্বইটা খারাপ মানুষের ভিড়ে না মিশলে ভালো মানুষটাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
আমি বিশ্বাস করি, এমন একটা ভালো মানুষ এক না একদিন ঠিক আসে প্রত্যেকের জীবনে,
আমি বিশ্বাস করি, এমন একটা ভালো মানুষ এক না একদিন ঠিক আসে প্রত্যেকের জীবনে,
যে এই নব্বইটা খারাপ মানুষগুলোর ভিড় থেকে আমাদের অনেকটা দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়,
আমাদের বিশ্বাস করে, আমাদের আগলে রাখে....।
মানুষকে বিশ্বাস না করা অপরাধ, বারবার ভুল হবেই, কিন্তু ভুল মানুষরাই আমাদের সঠিক মানুষ চিনতে শেখায়। আর নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে,
মানুষকে বিশ্বাস না করা অপরাধ, বারবার ভুল হবেই, কিন্তু ভুল মানুষরাই আমাদের সঠিক মানুষ চিনতে শেখায়। আর নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে,
নিজে কোনোদিন কাউকে না ঠকালে ঠিকই ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়...।
শুনুন, এই বছর বেঁচে গেলে একটা কাজ করবেন। নিজের জীবন থেকে নেগেটিভ মানুষগুলোকে দয়া করে সরিয়ে দেবেন.....।
আপনাকে না চিনে জেনে, আপনার সাথে না মিশে, না কথা বলে শুধুমাত্র অন্যের কথায় আপনাকে যারা অত্যন্ত "খারাপ মানুষ" মনে করে। বিশ্বাস করুন তাদের জন্য আপনি যাই কিছু করুন না কেন! দুটো কিডনি দিয়ে দিলেও তাদের কাছে "খারাপ মানুষ" হয়েই থাকবেন......
তাই এই সমস্ত নেগেটিভ মানুষদের দয়া করে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দেবেন.....।
পরিবারের লোকও যদি আপনাকে নিয়ে কেচ্ছা রটায়, সবসময় খোঁটা দিয়ে কথা বলে, তাঁদেরকেও বাদ দিন নিজের জীবন থেকে.....।
শুনুন, এই বছর বেঁচে গেলে একটা কাজ করবেন। নিজের জীবন থেকে নেগেটিভ মানুষগুলোকে দয়া করে সরিয়ে দেবেন.....।
আপনাকে না চিনে জেনে, আপনার সাথে না মিশে, না কথা বলে শুধুমাত্র অন্যের কথায় আপনাকে যারা অত্যন্ত "খারাপ মানুষ" মনে করে। বিশ্বাস করুন তাদের জন্য আপনি যাই কিছু করুন না কেন! দুটো কিডনি দিয়ে দিলেও তাদের কাছে "খারাপ মানুষ" হয়েই থাকবেন......
তাই এই সমস্ত নেগেটিভ মানুষদের দয়া করে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দেবেন.....।
পরিবারের লোকও যদি আপনাকে নিয়ে কেচ্ছা রটায়, সবসময় খোঁটা দিয়ে কথা বলে, তাঁদেরকেও বাদ দিন নিজের জীবন থেকে.....।
খুব কম মানুষেরই ধারণা পাল্টায়, খুব কম মানুষ ফিরে এসে আমাদের চোখে চোখ রেখে বলতে পারে, "সরি তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম, পারলে ক্ষমা করে দিও"......
যাঁরা ক্ষমা চায়, যাঁরা অন্যের কথায় আপনাকে জাজ করেনি কোনোদিন, যোগাযোগ কম থাকলেও যাঁরা আপনাকে নিয়ে নিন্দে করেনি কখনো, যাঁরা আপনার দুর্বলতা জানা সত্ত্বেও আপনাকে সস্তা মনে করেনি, একমাত্র তাঁদেরকেই আপনার জীবনে রাখুন.....
যাঁরা ক্ষমা চায়, যাঁরা অন্যের কথায় আপনাকে জাজ করেনি কোনোদিন, যোগাযোগ কম থাকলেও যাঁরা আপনাকে নিয়ে নিন্দে করেনি কখনো, যাঁরা আপনার দুর্বলতা জানা সত্ত্বেও আপনাকে সস্তা মনে করেনি, একমাত্র তাঁদেরকেই আপনার জীবনে রাখুন.....
আর একধরণের মানুষকে সরিয়ে দেবেন নিজের জীবন থেকে, যাঁরা সারাটাক্ষণ দুঃখ ছড়াতে ভালোবাসে। এই ধরণের মানুষকে জীবনে রাখা মানেই ধীরে ধীরে আপনি ডিপ্রেশনে চলে যাবেন....
একটা সামান্য বেসুরো গলায় গান গাইলেই যারা কমেন্টে বক্সে এসে বলে যায় "ইসসস কি বাজে"! একটু ভালো পোশাক পরলেই যারা বলতে শুরু করে "এই সময়ে দাঁড়িয়েও আপনার এত ভালো পোশাক পরতে ইচ্ছে করছে?"
একটা সামান্য বেসুরো গলায় গান গাইলেই যারা কমেন্টে বক্সে এসে বলে যায় "ইসসস কি বাজে"! একটু ভালো পোশাক পরলেই যারা বলতে শুরু করে "এই সময়ে দাঁড়িয়েও আপনার এত ভালো পোশাক পরতে ইচ্ছে করছে?"
একটা সামান্য প্রেমের কবিতা লিখলেই যারা বলতে থাকে "এত প্রেম পাচ্ছে এখনো!"
একটা নাচ করলেই, একটা আঁকা আঁকলেই যারা অখাদ্য কমেন্ট করতে থাকে, তাদেরকে ব্লক করে দেবেন....
আপনার যা ইচ্ছে মনে হয়, আপনি করুন (অন্যের ক্ষতি না করে)! হ্যাঁ এখন খুব খারাপ সময় চলছে, কিন্তু খারাপ সময়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ভালো থাকতে শেখানোই হলো বেঁচে থাকার আসল মানে....
একটা নাচ করলেই, একটা আঁকা আঁকলেই যারা অখাদ্য কমেন্ট করতে থাকে, তাদেরকে ব্লক করে দেবেন....
আপনার যা ইচ্ছে মনে হয়, আপনি করুন (অন্যের ক্ষতি না করে)! হ্যাঁ এখন খুব খারাপ সময় চলছে, কিন্তু খারাপ সময়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ভালো থাকতে শেখানোই হলো বেঁচে থাকার আসল মানে....
কোনো অসুস্থ মানুষকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন এই সময়ে, তেমনই নিজেকে ভালো রাখার জন্যও নিজের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন.....
সমস্ত নেগেটিভ লোকজনদের বাদ দিন জীবন থেকে....
জীবন এমনিতেই সুন্দর, শুধু জীবনটাকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে শিখলেই আপনি ভালোভাবে বাঁচতে শিখে যাবেন....
#নিজের_মনের_কথা_শুনুন ।
সমস্ত নেগেটিভ লোকজনদের বাদ দিন জীবন থেকে....
জীবন এমনিতেই সুন্দর, শুধু জীবনটাকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে শিখলেই আপনি ভালোভাবে বাঁচতে শিখে যাবেন....
#নিজের_মনের_কথা_শুনুন ।
"জীবনে চাহিদা যত কম থাকবে জীবন ততই বেশি সুন্দর হবে" আমি এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নই....
সবার জীবন এক সরলরেখায়, এক যুক্তিতে, এক নিয়মে, এক সূত্রে চলে না....
এক একজনের জীবনে চাহিদা খুব কম থাকে, সেটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু যার জীবনে অনেক চাহিদা আছে, অনেক ইচ্ছে আছে, অনেক স্বপ্ন আছে তাকে কেনই বা কম্প্রোমাইজ করতে হবে, তাকে কেনই বা মানিয়ে নিতে হবে? তাকে কেনই বা নিজের চাওয়াপাওয়া গুলোর সাথে বোঝাপড়া করতে হবে.....
সবার জীবন এক সরলরেখায়, এক যুক্তিতে, এক নিয়মে, এক সূত্রে চলে না....
এক একজনের জীবনে চাহিদা খুব কম থাকে, সেটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু যার জীবনে অনেক চাহিদা আছে, অনেক ইচ্ছে আছে, অনেক স্বপ্ন আছে তাকে কেনই বা কম্প্রোমাইজ করতে হবে, তাকে কেনই বা মানিয়ে নিতে হবে? তাকে কেনই বা নিজের চাওয়াপাওয়া গুলোর সাথে বোঝাপড়া করতে হবে.....
ব্যাপারটা হলো, যার জীবনে অল্প চাহিদা আছে, সেও যেমন সুন্দর, আবার যার জীবনে অনেক অনেক চাহিদা আছে সেও সুন্দর। শুধু নিজের সমস্ত চাহিদাগুলোকে পূরণ করার পথটা জানতে হবে....
নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে, নিজের ইচ্ছেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে, সেগুলো নিয়ে দিনরাত খোলা চোখে স্বপ্ন দেখতে হবে....
এবং সবচেয়ে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, জীবনের কাছে যাদের বিশাল চাহিদা আছে তারা যেন নিজের জীবনে নিজের মতোই একজন লাইফ পার্টনার পায়....
নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে, নিজের ইচ্ছেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে, সেগুলো নিয়ে দিনরাত খোলা চোখে স্বপ্ন দেখতে হবে....
এবং সবচেয়ে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, জীবনের কাছে যাদের বিশাল চাহিদা আছে তারা যেন নিজের জীবনে নিজের মতোই একজন লাইফ পার্টনার পায়....
জীবনের কাছে অনেক অনেক চাহিদা থাকা মানুষগুলোর এমন একজন পার্টনার থাকা দরকার, যে পার্টনার সেই চাহিদাগুলোকে গুরুত্ব দেবে এবং দুজনে মিলে দিনরাত পরিশ্রম করে সেইসব চাহিদাগুলোকে, স্বপ্ন গুলোকে পূরণ করবে....
আমার যদি ফ্ল্যাট কিনতে ইচ্ছে হয়, সেই ফ্ল্যাটটাকে নিজের মতো সাজাতে ইচ্ছে হয়, তাহলে যেন আমার পার্টনারও একইসাথে ফ্ল্যাট কেনার এবং ফ্ল্যাটটাকে সাজানোর স্বপ্নটা দেখে। দুজনে মিলে একসঙ্গে লড়াই করলেই জীবনে সব স্বপ্ন পূরণ হতে পারে....
একা একা লড়াই করে নিজের ইচ্ছেগুলো পূরণ করা ভীষণ শক্ত, অসম্ভব নয়, তবে শক্ত। সেই জায়াগায় দুজনে মিলে যদি একটাই স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নটাকে যদি একসঙ্গে পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করে, তাহলে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে....
একা একা লড়াই করে নিজের ইচ্ছেগুলো পূরণ করা ভীষণ শক্ত, অসম্ভব নয়, তবে শক্ত। সেই জায়াগায় দুজনে মিলে যদি একটাই স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নটাকে যদি একসঙ্গে পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করে, তাহলে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে....
জীবনের কাছে প্রচুর প্রচুর চাহিদা থাকা জীবনে দুঃখ পাওয়ার কারণ হতে পারে না, যদি আমরা সেইসব চাহিদা গুলোকে পূরণ করার সঠিক পথ খুঁজে পাই....
অন্যের ঘাড়ের উপর নিজের সব দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে দিনরাত "আমার কোনো স্বপ্ন পূরণ হলো না, আমি জীবনে কিছুই পেলাম না" বলে ঘ্যানঘ্যান করলে জীবন থেকে দুঃখ কোনোদিন কমবে না....
দুজনে মিলে লড়াই করতে হবে, আর তার জন্য একজন সঠিক লাইফ পার্টনার থাকা আবশ্যিক। জীবনে প্রচুর চাহিদা থাক, শুধু সেই চাহিদাগুলোকে পূরণ করার মতো জেদ, ইচ্ছে, সাহস ও আত্মবিশ্বাসও যেন থাকে, তাহলেই কোনো রাস্তা কঠিন হয়....।
অন্যের ঘাড়ের উপর নিজের সব দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে দিনরাত "আমার কোনো স্বপ্ন পূরণ হলো না, আমি জীবনে কিছুই পেলাম না" বলে ঘ্যানঘ্যান করলে জীবন থেকে দুঃখ কোনোদিন কমবে না....
দুজনে মিলে লড়াই করতে হবে, আর তার জন্য একজন সঠিক লাইফ পার্টনার থাকা আবশ্যিক। জীবনে প্রচুর চাহিদা থাক, শুধু সেই চাহিদাগুলোকে পূরণ করার মতো জেদ, ইচ্ছে, সাহস ও আত্মবিশ্বাসও যেন থাকে, তাহলেই কোনো রাস্তা কঠিন হয়....।
কাল আমার প্রাক্তন (এক্স ওয়াই জেড বলতে ভালো লাগেনা) ফোন করেছিলেন অনেকদিন পর। ও কলকাতার বাইরে থাকে, আমাদের ছাড়াছাড়ি মোটেই মিউচুয়ালি হয়নি।
কামড়াকামড়ি, মাঝরাস্তায় অপমান, বন্ধুদের ফোন করে করে একে অপরের নামে গালাগালি, দুই পরিবার জড়িয়ে যাওয়া, সবই হয়েছে প্রায়। আরো কত কি!
কামড়াকামড়ি, মাঝরাস্তায় অপমান, বন্ধুদের ফোন করে করে একে অপরের নামে গালাগালি, দুই পরিবার জড়িয়ে যাওয়া, সবই হয়েছে প্রায়। আরো কত কি!
যাইহোক গতকাল তিনি ফোন করে আমার হালচাল জিগ্যেস করলেন, নিদেনপক্ষে আমাকেও জিগ্যেস করতে হলো। তারপর টুকটাক কথা, ওর বাবা মা ঠাকুমার খোঁজ খবর নেওয়া, আমায় জিগ্যেস করলেন আমি জব পেলাম কিনা। প্রায় পনেরো কুড়ি মিনিট কথা হলো, সত্যি বলতে বেশ ভালো লাগলো.....
সম্পর্ক থাকাকালীন যে কথাগুলোতে বড্ড বিরক্ত হতাম, শোনার আগেই দুজনে দুজনের ফোন রেখে দিতাম, সেগুলোই সবচেয়ে বেশি করে শুনেছি কাল, বারবার শুনেছি একই কথা বারবার...
প্রায় আট দশ বছরের সম্পর্কেও ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে না। আবার সম্পর্ক না থেকেও ভালোবাসার রেশ থেকে যায় দীর্ঘদিন। সম্পর্কে থাকাকালীন যে মানুষটার সম্পর্কে কুৎসা রটিয়ে আনন্দ পাই, যে মানুষটাকে বীভৎস অপমান করি। বিচ্ছেদের পর সেই মানুষটার সম্পর্কে ভাবলে কেমন কেমন কান্না পায় যেন....
প্রায় আট দশ বছরের সম্পর্কেও ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে না। আবার সম্পর্ক না থেকেও ভালোবাসার রেশ থেকে যায় দীর্ঘদিন। সম্পর্কে থাকাকালীন যে মানুষটার সম্পর্কে কুৎসা রটিয়ে আনন্দ পাই, যে মানুষটাকে বীভৎস অপমান করি। বিচ্ছেদের পর সেই মানুষটার সম্পর্কে ভাবলে কেমন কেমন কান্না পায় যেন....
কোনো এক রাস্তায় হেঁটে যাওয়া সন্ধের কথা মনে পড়লে মানুষটার মাথায় হাত বোলাতে ইচ্ছে হয়। দুপুরের ভাতঘুমে তাকে ভেবে দু এক ফোঁটা জল গড়িয়ে যায় চোখের কোন বেয়ে। চোখকে ভোলানো সহজ কিন্তু যে বুকে একবার শীত নেমে আসে, সে বরাবরই উষ্ণতা চায়, একটু আশ্রয় চায়, এক মুঠো রোদ, এক টুকরো আলো মাখা বিকেল চায়.....
যে কোনো সম্পর্কের তথাকথিত নাম মুছে দিলে দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার সবটাই মিইয়ে আসে, শুধু দুটো শহরের আলাদা আলাদা প্রান্তে দুটো মানুষ নিঃস্ব হয়ে দাঁড়ায় হাত পেতে।
আসলে খুব ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকলে মানুষের ভেতরের অন্ধকারগুলোও ভীষণ প্রকট হয়ে ওঠে, তাই
আসলে খুব ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকলে মানুষের ভেতরের অন্ধকারগুলোও ভীষণ প্রকট হয়ে ওঠে, তাই
হয়তো তীব্র ভালোবাসার মতো রাগঅভিমানঘেন্নার পরিমাণও তীব্র হয়....
কিন্তু এই যে ছাড়াছাড়ি, ঘর পাল্টে ফেলা, হাতের রেখায় লেখা প্রিয় ডাক ঘষে ঘষে তুলে ফেলা, এক ঝটকায় সব আছে থেকে "নেই" হয়ে যাওয়া, এরপর আর ওই মানুষটার প্রতি স্রেফ করুণা, আর একটু আধটু মায়া ছাড়া আর কিচ্ছু পড়ে থাকে না।
কিন্তু এই যে ছাড়াছাড়ি, ঘর পাল্টে ফেলা, হাতের রেখায় লেখা প্রিয় ডাক ঘষে ঘষে তুলে ফেলা, এক ঝটকায় সব আছে থেকে "নেই" হয়ে যাওয়া, এরপর আর ওই মানুষটার প্রতি স্রেফ করুণা, আর একটু আধটু মায়া ছাড়া আর কিচ্ছু পড়ে থাকে না।
ব্রেকআপের পর একই মানুষের সাথে একই সম্পর্কে কখনোই যাওয়া উচিত নয়, ইভেন কোনো রকম সম্পর্কই রাখা উচিত নয়, যা একবার চলে যায় তা আর আগের মতো করে কখনোই ফেরে না.....
কিন্তু বিচ্ছেদের ব্যথাটুকুও তো একটা সুতোর মতো দুটো মানুষকে গোটা জীবন বেঁধে রাখে, ওটুকু থাক বরং। মাঝেমধ্যে দেখা হওয়া, দু চারটে কথা বলা, ভালো মন্দ খোঁজ খবর নেওয়া, চোখে চোখ রেখে দুজনেই দুজনের প্রতি সম্মান বজায় রাখা, এটুকুর খুব দরকার, খুবই....।
আমি এত উদার নই, আমি এত ভালো মানুষ নই, আমি আমার প্রিয় মানুষটাকে সবার সাথে ভাগ বাটোয়ারা করতে পারবো না কখনোই। যে আমার, সে শুধু আমারই....
আমি চাই আমার প্রিয় মানুষটা সবার সাথেই মিশুক, আড্ডা দিক, কাজের কথা বলুক, গল্প করুক, কিন্তু দিনের শেষে সেই সমস্ত গল্পগুলো আমার সাথে ভাগ করে নিক, আমার সাথে কথা না বলে যেন কোনো রাতে সে ঘুমিয়ে না পড়ে....
কিন্তু বিচ্ছেদের ব্যথাটুকুও তো একটা সুতোর মতো দুটো মানুষকে গোটা জীবন বেঁধে রাখে, ওটুকু থাক বরং। মাঝেমধ্যে দেখা হওয়া, দু চারটে কথা বলা, ভালো মন্দ খোঁজ খবর নেওয়া, চোখে চোখ রেখে দুজনেই দুজনের প্রতি সম্মান বজায় রাখা, এটুকুর খুব দরকার, খুবই....।
আমি চাই আমার প্রিয় মানুষটা সবার সাথেই মিশুক, আড্ডা দিক, কাজের কথা বলুক, গল্প করুক, কিন্তু দিনের শেষে সেই সমস্ত গল্পগুলো আমার সাথে ভাগ করে নিক, আমার সাথে কথা না বলে যেন কোনো রাতে সে ঘুমিয়ে না পড়ে....
প্রিয় মানুষটারও ভালো লাগার মানুষ থাকতে পারে, ক্রাশ ট্রাস থাকতেই পারে কিন্তু ক্রাশের সাথে যেন কোনো সম্পর্ক না থাকে তার। তার ভীষণ ভালো লাগার মানুষদের সাথে যেন তার ডেইলি যোগাযোগ না হয়, রোজ কথা না হয়, দরকার ছাড়া যেন ওইসব ভালো লাগার মানুষদের সাথে কথা না হয়।
ওই অমুক তমুকের সাথে আমি আমার মানুষটাকে কখনোই ভাগ করে নিতে পারবো না....
আমার সম্পূর্ণ অধিকার যেন থাকে আমার প্রিয় মানুষটার উপর, আমি যখন তখন তাকে যেন কল দিতে পারি। তার মনখারাপ হলে সে যেন আমার সাথেই তার মনের সমস্ত কথা ভাগ করে নেয়, আমি যেন তার জীবনে বেস্ট ফ্রেন্ড হই.....
আমার সাথে ছাড়া আর কারোর সাথে যেন কোনোদিন সে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান না করে।
তার বন্ধুবান্ধবের সাথে, তার ফ্যামিলির সাথে যেমন আমার সুসম্পর্ক থাকবে, তেমনই আমারও বন্ধুবান্ধবের ব্যাপারে ফ্যামিলির ব্যাপারে সে সবকথা জানবে....
রাতের বেলায় যেন তার ফোনে অন্য অচেনা নম্বর থেকে ফোন না আসে, কারণ ওই রাতটুকু একান্ত আমাদের....
হ্যাঁ এতগুলো ডিমান্ড যদি পূরণ না হয়, তাহলে কোনো সম্পর্কই ভালো চলতে পারে না। সম্পর্কে প্রাইভেসি, নিজস্ব স্বাধীনতা,অভিযোগ, অভিমান ঢুকে গেলেই সম্পর্ক নষ্ট হয়....
না, আমি কখনোই তার ফোন চেক করবো না, কারণ একটা বিশ্বাস থাকবে যে সে কখনোই আমায় ছাড়া অন্য কাউকে গুরুত্ব দেবে না। আর এই বিশ্বাসটাই সম্পর্কের বন্ধন.…..
এই বিশ্বাসটা না থাকলে সম্পর্ক না রাখাই ভালো।
এই বিশ্বাসটা দুজনকেই বহন করতে হবে, কোনো তৃতীয় ব্যক্তি আমাদের ভেতরে আসতে চাইলে দুজনকেই সেই তৃতীয় ব্যক্তিকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলতে জানতে হবে.....
দুজনের ভেতর বন্ধুত্ব, পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালোবাসা বজায় থাকলে কেউ কোনোদিন ইচ্ছে করলেও সম্পর্ক ভাঙতে পারবে না....
আর কিছু মানুষকে কখনোই অন্যের সাথে ভাগ করতে নেই, ধীরে ধীরে সম্পর্কের ভেতর দূরত্ব বাড়তে থাকে তাহলেই....।
আরো একটা ডিপ্রেশনের সিজন শুরু হচ্ছে, হ্যাঁ আমি সিজন বললাম। কারণ আগের বছরেও ঠিক এই সময় বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে ডিপ্রেশনের মধ্যে ছিল, আবারো এই বছরে ঠিক একই সময় বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে কর্মহীন হয়ে নিজেকে গৃহবন্দী করে ডিপ্রেশনের স্বীকার হতে চলেছে.....
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েদের কাছে "বয়সটা" খুবই ইম্পরট্যান্ট একটা বিষয়। যে বয়সে রাস্তায় নেমে কাজ করার কথা ভাবা উচিত, যে বয়সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির ইন্টারভিউর জন্য দৌঁড়ানো উচিত, যে বয়সে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্ল্যান করা উচিত,
সেই বয়সে এসে গৃহবন্দী হয়ে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে, না কোনো রোজগার আছে, আর না কোথাও কোনো পড়াশুনো বা ইন্টারভিউ হচ্ছে....
এসব নিয়ে ভাবলে সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেসড লাগে, এইযে লকডাউন, এইযে গৃহবন্দী জীবন, এইযে কর্মহীনতা এগুলো যেন এক একটা অভিশাপের নাম.....
হ্যাঁ এই ডিপ্রেশন গুলো কাটানোর সত্যি কোনো উপায় জানা নেই আমার। না চাইতেও এগুলো মেনে নিতে হবে এই মুহূর্তে, তাই আমি বলছি যে যখন আমাদের গৃহবন্দী হয়েই বেশ কতগুলো মাস কাটাতে হবে, তখন বাড়িতেই আমরা নিজেদেরকে ভালো রাখার জন্য একটু চেষ্টা করতে পারি তো?...
জাস্ট আগে নিজের মনকে বোঝাও "কয়েকটা মাস একটু কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।
তারপর লড়াই শুরু হবে, পথে নামতে হবে, অনেক বেশি কাজ করতে হবে, এখন যে কাজ গুলো জমে গেল, সেগুলোও করতে হবে".....
ব্যস এটুকুই নিজের মনকে বোঝাতে হবে, তাহলেই অনেকটা মুশকিল আসান হয়ে যাবে। এখন যে আমরা বাড়িতে আছি, বছরের বেশিরভাগ সময় আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না। তাই এই সময়টা একটু বরং ফ্যামিলিকে দেওয়া যাক....
ব্যস এটুকুই নিজের মনকে বোঝাতে হবে, তাহলেই অনেকটা মুশকিল আসান হয়ে যাবে। এখন যে আমরা বাড়িতে আছি, বছরের বেশিরভাগ সময় আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না। তাই এই সময়টা একটু বরং ফ্যামিলিকে দেওয়া যাক....
সবাই টুকটাক রান্না শিখে ফেলো, সারাক্ষণ ফোনের সাথে না জুড়ে থেকে মায়ের সাথে রান্নাঘরের টুকটাক কাজ করো। বাবার সাথে সন্ধেবেলার চা টা একসঙ্গে খাও, বিকেলে ছাদে গিয়ে বসো....
গাছেদের সাথে ফুলেদের সাথে কথা বলো, পাড়ার মধ্যেই একটু হাঁটাহাঁটি করো, বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলো.....
ঘর গোছাও, কেউ আঁকতে জানলে নতুন কিছু আঁকো....
যার ভেতরে যা কিছু ট্যালেন্ট আছে, সেটা নিয়ে নারচার করো....
কোনোকিছু না করতে ইচ্ছে করলে টিভি দেখো, ফিল্ম দেখো ইউটিউবে কিংবা নেটফ্লিক্সে...
যেটা করবে না সেটা হলো নেগেটিভিটি নিজের ভেতর একদম আসতে দেবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত ট্রল, ব্যঙ্গ, খিল্লি, নেগেটিভ খবর গুলো ছড়ায়, সেই সবকিছুর থেকে দূরে থাকো.....
জাস্ট নিজেকে ভালো রাখার মতো লড়াইয়ের থেকে বড় লড়াই এই পৃথিবীতে নেই....
নিজেকে ভালো রাখতে শেখো প্রিয়....।
ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা কিছু মানুষের প্রোফাইল সারাদিনে কিছু না হলেও আট দশবার ঘেঁটে দেখি, কি পোস্ করলো! কতক্ষন আগে, কি স্ট্যাটাস দিলো! মেসেঞ্জার খুলে চেক করি কতক্ষন আগে অনলাইন ছিল...
ভালো লাগে কিছু মানুষকে আড়াল থেকে দেখতে, তাদেরকে কাছে গিয়ে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে না, স্রেফ দু চোখ ভরে দেখতে ইচ্ছে করে.....
ভালো লাগে কিছু মানুষকে আড়াল থেকে দেখতে, তাদেরকে কাছে গিয়ে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে না, স্রেফ দু চোখ ভরে দেখতে ইচ্ছে করে.....
তাদের সাথে দুই একবার কথাও হয়েছিল বহুদিন আগে, কিছুদিন কথা বলার পর হঠাৎ কথা বন্ধ করে দিলেও আর খোঁচাখুঁচি করি না, প্রথমত নিজের একটা বিশাল ল ল ইগো!! হ্যাঁ কিছু ক্ষেত্রে এই ইগোটা থাকা খুব দরকার, নইলে মানুষ সস্তা ভাবে.....
দ্বিতীয়ত এমন তো কোনো শর্ত ছিলো না প্রতিদিন তিনবেলা হাই হ্যালো বলতেই হবে!
স্ক্রল করে পুরোনো বেশ কিছু মেসেজ পড়ে নিই, বাচ্চারা যেভাবে হেসে ওঠে, ঠিক ঠিক সেভাবেই ঠোঁটে আলতো করে একটা হাসির ছাপ পড়ে, যতই চেষ্টা করি না কেন, মুচকি হাসিটাকে আটকাতে পারি না....
না, তীব্র প্রেম ট্রেম হ্যানা ত্যানা একদম মনে করবেন না। ডেফিনেটলি ভালোলাগার একটা সূক্ষ্ম টান থাকে, আসলে কিছু মানুষ ভোরের বেলার আবছা আলোর মতো নরম হয়....
তাদের কাছে যেতে ইচ্ছে করে বড্ড, তাদের গায়ে একটা ঝিমধরা সুগন্ধি মাখানো থাকে, নেশা হয় খুব....
কথা বলার জন্য কোনো না কোনো একটা অজুহাত খুঁজি, মাঝেসাঝে কথা বন্ধ হয়ে গেলেও বা খুব কম কথা হলেও, ওই লুকিয়ে লুকিয়ে টুক করে মিনিট পাঁচেক তাকে দেখাটা বড্ড শান্ত করে এই হাড়হাভাতে পাগল মনটাকে...
কিছু মানুষ ইগনোর করলেও ভালো লাগে অপেক্ষা করতে🙂
টাকাপয়সা বাড়িগাড়ি পাইনি বলে কখনো আক্ষেপ করিনি, প্রিয়জন ঠকিয়ে চলে গেছে বলে কখনো আক্ষেপ করিনি.....
নিজের কাছের মানুষের মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়েছি, কিন্তু বুকের ভেতরে কোনো আক্ষেপ পুষে রাখিনি....
পা ভেঙে দুই মাস বিছানায় থাকাতে স্কুলের পরীক্ষা দিতে পারিনি বলে কান্নাকাটি করেছি কিন্তু কখনো আক্ষেপ করিনি, নিজের মনকে বুঝিয়েছি "যা হয়, ভালোর জন্যই হয়"......
প্রথম প্রেমে চূড়ান্ত ভাবে ঠকে যাওয়ার পরেও কোনোদিন আক্ষেপ করিনি......।
আক্ষেপ শব্দটা একটা গোটা জীবনকে কুরেকুরে শেষ করে দেয়। এক একটা দীর্ঘশ্বাস এক একটা আক্ষেপের জন্ম দেয়,আর চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে মাঝরাতে.....
আক্ষেপের একটা ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে ঠিক পেঁয়াজের মতো অনেকটা। যখনই কোনোকিছু না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ করেছি, তখনই শুধুই কান্না ছাড়া আর কিছু জমাতে পারিনি দু হাতের মুঠোয়...।
তাই নিজের জীবন নিয়ে, জীবনে না পাওয়া সুযোগ নিয়ে, হারিয়ে ফেলা মানুষজন নিয়ে আর আক্ষেপ করি না। এখন আর কোনো মানুষকে আটকে রাখি না, এখন নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছি কিছু মানুষ চলে যাওয়ার জন্যই আমাদের জীবনে আসে....।
এখন মানুষের আসা যাওয়াটা আর কোনো ম্যাটার করে না। কেউ যদি থেকে যায় তাকে গুরুত্ব দিই, আর কেউ না থাকতে চাইলে তাকে দরজা খুলে দিই....
আর কোনো আক্ষেপ করি না কারোর জন্য, এখন অনেকটা পরিণত হয়ে গেছি। একা থাকতে শিখে গেছি, নিজেকে গোছাতে শিখে গেছি....
আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শিখে গেছি,
"যা কিছু হয় সব ভালোর জন্যই হয়".....।
আমরা যার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি,
তাকে পরীক্ষানিরীক্ষা না করেই ভালোবাসি। আমরা যার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি, তার জন্য নিজের সবটা খালি করে দিতে পারি একঝটকায়....
আমরা যার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি, তার কাছে বারবার অপমানিত হয়েও পড়ে থাকি, তার কাছে আমরা ঠকতে চাই বারবার....
আমরা যার প্রতি আকর্ষণ বোধ করি, তার কাছে বারবার অপমানিত হয়েও পড়ে থাকি, তার কাছে আমরা ঠকতে চাই বারবার....
আমরা আগের থেকেই ঠিক করে নিই যে এই মানুষটা আমাদের জন্য পারফেক্ট, আমাদের যত্ন নেওয়ার জন্য এই মানুষটাই পারফেক্ট। একজন অচেনাকে যাচাই না করেই ভেবেনি আমাদের আগলে রাখার ক্ষমতা এই মানুষটার আছে....।
সে হয়তো পাত্তাও দেয় না আমাদের, তিনচারদিন বাদে একবার খোঁজ নেয়, অথচ আমরা তার জন্যই অপেক্ষা করি। ভাত খেতে খেতে তার কথা ভাবি, একটা রিংটোন, তার একটা গলার আওয়াজ শোনার জন্য রাতের পর রাত জেগে থাকি....।
একবার সে "শুনছো" বলে ডাকলে কেমন যেন মাতাল মাতাল লাগে নিজেকে, সে যত দূরে ঠেলে দেয়, ততই কাছে যাওয়ার তীব্রতা বেড়ে যায়, জেদ চেপে যায় মাথায়। যতই সে আঘাত করে, ততই আরো আরো বেশি করে ভালোবেসে ফেলি তাকে, দূর থেকে তাকে ছুঁতে চাই, তার থেকে পাওয়া ব্যথা গুলোকে ভেতর ভেতর যাপন করি....।
সে বারবার অপমান করে তাড়িয়ে দিলেও আমরা কোনোদিন অপমান করতে পারি না তাকে, বরং তার থেকে অপমান পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি....
আসলে ভীষণভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটা ভীষণরকম জাঁকানো যন্ত্রণার দরকার, যাকে জাপটে ধরে সারাটা জীবন "বেঁচে আছি, ভালো আছি" বলা যায়...।
আমি কখনো আফসোস করি না কেউ যদি আমার সাথে স্রেফ দরকারের সম্পর্ক রাখে। আমি কখনো আফসোস করি না, যে কেউ শুধু বিপদে আপদে পড়লে আমায় মনে করে....
আমি কখনো আফসোস করি না, কেউ যদি সবসময় ফোন করে নিজের সমস্যার কথা বলে....
একটা মানুষের উপকারে কাজে লাগতে পারা অনেক বড় আত্মতৃপ্তি, একটা মানুষকে উপকার করতে পারা বিরাট গর্বের বিষয়, এটা আমি উপলব্ধি করেছি বহুবার....
কোনো মানুষ দিশেহারা হয়ে আমার কাছে এসেছে আমার উপকার চাইতে! অর্থাৎ আমাকে সে ঠিক কতখানি বিশ্বাস করে, যে অসহায় হয়ে আমার কাছে এসেছে! এই বিশ্বাস অর্জন করা একটা এচিভমেন্টের ব্যাপার.....
আমি শুধু আফসোস করি সেইসব মানুষদের জন্য যারা সবসময় হাত পেতে চাইতে জানে, দুই মুঠো খুলে কখনো উপড়ে দিতে জানে না....
আমি শুধু আফসোস করি তাদের জন্য যারা সাহায্য নেওয়ার পর অকৃতজ্ঞ বেঈমান হয়ে যায়। যার কাছ থেকে সাহায্য পায় তাকেই লাথি মারে, যার থালায় খায়, তার থালায় থুতু ফেলে....
আর ঠিক এই কারণেই সবাইকে সাহায্য করতে নেই, কারণ সবাই সাহায্য পাওয়ার যোগ্য হয় না....।
যে ছেলেগুলোকে দেখলেই বলতাম "বাবা মা এদের কিচ্ছু শিক্ষা দেয়নি, এদের দ্বারা কিচ্ছু হবে না কোনওদিন!" সেই ছেলেগুলোই আমাদের পরিবারের মানুষের অসুস্থতায় দিনরাত দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে....
ঘেমেনেয়ে, সারাদিন না খেয়ে নিজের প্রাণের ভয়কে অস্বীকার করে সেই ছেলেগুলো কখনো এম্বুলেন্স খুঁজছে পাশের বাড়ির কাকুর জন্য, কখনো ওষুধ কিনে দিচ্ছে ভাড়াটে কাকিমাকে, আবার কখনো অসুস্থতায় ভুগতে থাকা পরিবারকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বাড়িতে....।
যে ছেলেগুলোকে পাড়ার শিক্ষিত কাকুরা নিজেদের মেয়েদের সাথে মিশতে দেয়নি কখনো, আজকে সেই কাকুরাই নিজেদের মেয়েদেরকে বলছে, "একটু ফোন করে ডাক না অমুককে,শরীর খুব খারাপ লাগছে, এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে বল"....।
যে ছেলেগুলোর দিকে চোখ পাকিয়ে "তুই তোকারি" ছাড়া আর কোনো ভদ্র ভাষায় কেউ কক্ষনো কথা বলেনি। সেই ছেলেগুলোই আজ পথে নেমে গরমে, রোদে পুড়তে পুড়তে লড়াই করছে অক্সিজেনের জন্য, রক্তের জন্য, হাসপাতালে বেডের জন্য....।
যে ছেলেগুলোকে অমানুষ ছাড়া আর কোনোদিন কোনোকিছু ভাবা হয়নি, সেই ছেলেগুলোই মানুষকে বাঁচাবে বলে কতরাত ঘুমোতে পারেনি....।
আমি বিশ্বাস করি, "মানুষ" তৈরি হয় মানবিকতার শিক্ষা দিয়ে, মানুষ হতে গেলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে জানতে হয়, মানুষ হতে গেলে যে কোনো স্তরের মানুষদের সম্মান জানাতে শিখতে হয়....
স্রেফ অল্পশিক্ষিত কিংবা ছেঁড়াফাটা জিন্স পরে বলে, চুলের কালারটা লাল করেছে বলে সে শিক্ষিত নয়! যারা এমনটা মনে করে, তারা নিজেরাও জানে না কত বড় ভুল করছে....।
প্রকৃতি সবকিছু ফিরিয়ে দেয়, মানুষ প্রতিশোধ না নিলেও প্রকৃতি প্রতিশোধ নেয় ঠিকই....
দামি রেস্টুরেন্টে খেতে পারে না কিংবা ঝকঝকে পোশাক পরে ইংলিশে কথা বলতে পারে না বলে আজ যাঁদেরকে অবহেলা করা হচ্ছে, কাল ঠিকই হয়তো তাঁদের সামনেই হাত পেতে দাঁড়াতে হবে....
#প্রকৃতি_প্রতিশোধ_নেয়_ঠিকই ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®
No comments