Ads

কোন ধরনের ছেলেরা প্রেম করতে পারেনা?

 

কোন ধরনের ছেলেরা প্রেম করতে পারেনা?   #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®





কোন ধরনের ছেলেরা প্রেম করতে পারেনা?


===(প্রথম)

এক বাক্যে বলতে গেলে: বুদ্ধিমান ছেলেরা । 

এবার ব্যাখ্যায় আসি। 
নিচে বুদ্ধিমান ছেলেদের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরবো আর প্রমাণ করবো যে ,
বুদ্ধিমান ছেলেদের জন্য প্রেম করা কঠিন এবং ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব।

তারা তাদের সেল্ফএস্টিম নিয়ে খুব সচেতন । 


সাধারণত উপমহাদেশে প্রেমের প্রস্তাব ছেলেরাই করে। 
তাই মেয়েরা একরকম ধরেই নিয়েছে প্রেমের প্রস্তাব দেয়া ছেলেদের কাজ। 
এখন প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ঝুঁকি আছে। কারণ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে তো মুশকিল। 
তাই তারা এসব ঝামেলায় যেতে চায়না।



তারা ক্যারিয়ারকে সবার আগে রাখে । 

নিঃসন্দেহে মনের মত একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া সবার কামনা। 
কিন্তু কিছু কিছু পাগলাটে ছেলে পেলে আছে, যাদের ধ্যান ধারণাই হচ্ছে তাদের ক্যারিয়ার এবং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ। 
তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে তারা কোনো স্যাক্রিফাইস করতে রাজি নয়।


তারা কম কথা বলে এবং খুব অসামাজিক হয় । 

যদিও এ পয়েন্ট টি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তবে বেশিরভাগ জিনিয়াস খুবই অমিশুক ছিলেন। 
যেমন: আলবার্ট আইনস্টাইন, জন ন্যাশ, এলান টিউরিং, নিকোলা টেসলা প্রমুখ।

এরা বেশিরভাগ সময় একা কাটাতে পছন্দ করে । 

এধরনের ছেলেরা বেশিরভাগ সময় একা সময় কাটায় এবং মহাবিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে, অথবা বই পড়ে বা নিজের ভবিষ্যৎ প্রজেক্টের উপর কাজ করে। 
বেশি মানুষের মধ্যে এরা অস্বস্তি বোধ করে।


এরা নিজস্ব প্যাশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে । 

প্যাশন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন: লেখালেখি, আবিষ্কার বা গিটার। সত্যি বলতে এমন প্যাশনেট মানুষগুলোর দুনিয়ার অন্য কিছু নিয়ে বিশেষ হুশ থাকেনা।


এরা খুব ভাবুক প্রকৃতির হয় । 

প্রিয়তমা যখন সামনের ঈদ বা পূজোয় কি পরবে তা নিয়ে ঘ্যানরঘ্যানর করছে, বাবু তখন কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে ডুবে আছে। একটু পর যখন প্রিয়তমা শুধায়, "ভ্যাবলার মতে চেয়ে আছো কেন? আদৌ কি কিছু কানে যাচ্ছে?" বাবু বলে, "অ্যা!"। আসলে সে এতক্ষণ কিছুই শুনেনি। তার মন তো তখন শ্রোডিঞ্জারের বিড়ালের বাক্সে।


এরা খুব সন্দেহপ্রবন হয় । 

বুদ্ধিমান মানুষ সন্দেহপ্রবন হবে এটাই স্বাভাবিক। তারা প্রকৃতির সব কিছু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে, প্রশ্ন তোলে। এরা অন্য কারো কথা বিশ্বাস করে না, নিজে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে তবেই বিশ্বাস করে। এরা সব সূক্ষ্ম ব্যাপারকে নিজের অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে পরীক্ষণ করে। আর যে জিনিসটা তারা একবার বিশ্বাস করে অনেকটা কচ্ছপের কামড়ের মত বলা যায়। কিন্তু প্রেমিকার কি এত ধৈর্য্য আছে এই পাগলামি সহ্য করার ?!


উপসংহার --- 

এধরনের ছেলে গুলোর হয়তো গার্লফ্রেন্ড থাকেনা। এরা হয়তো বোরিং হয়। 
কিন্তু এরাই জীবনের আসল মজা নেয়। সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার থেকে আনন্দের কিছু আছে বলে আমার জানা নেই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, সময়কে কাজে লাগায় বলে এরা জীবনে সফল হয়। সফল বলতে কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর কথা বলছি না। 
তাদের আসল সাফল্য মানুষের জন্য পৃথিবীকে আরও একটু সুন্দর করে তোলা। 
এমন মানুষগুলোর কথা বললে আমার মাথায় যার নাম আসে ।। 




===(দ্বিতীয়)

আচ্ছা প্রথমেই বলে রাখি খুবই ভালো একটা প্রশ্ন করেছেন আপনি । 
এরকম প্রশ্ন আরো বেশি বেশি করে করবেন এতে আমাদের লিখতেও খুব ভালো লাগে আসলে । 
এবার আপনার প্রশ্নের উত্তরে আসি কোন ধরনের ছেলেরা প্রেম করতে পারে না তাই তো ? 
কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে যেসব ছেলেরা প্রেম করতে পারে না ,
তাদের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো আলোচনা করা দরকার ।


১) 
মুখচোরা :- হ্যাঁ বন্ধুরা অনেক ছেলেই আছে যারা হয়তো শিক্ষাগত দিক থেকে খুবই ভালো হয়তো অন্যান্য অনেক গুণও আছে কিন্তু তাও তাদের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা কিংবা ভাব প্রকাশের কিছুটা অসঙ্গতি দেখা যায় । তারা নিজেদেরকে সব জিনিস থেকে সরিয়ে রাখতে চায়। 
অথচ নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের সামনে এরা খুব একটা অস্বস্তিবোধ করেন না যতটা কিনা অচেনা কারো সামনে বোধ করে ।


২) 
লাজুক প্রকৃতি : প্রচুর ছেলে এরকম আছে যাদের এই লাজুক প্রকৃতির কারণে অনেক কথাই তাদের প্রিয়জনকে বলে ওটা হয়না । এরা যে শুধু মেয়েদের সামনেই লাজুক তা নয় বরং এরা জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই খুব লাজুক হয় , আর এই কারণে তাদের অনেক বড় বড় সুযোগ হাতছাড়া হয় । 
আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন এই ধরনের ছেলেরা তাদেরকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব একটি নিজেদেরকে সামনে আনতে চায় না ।


৩) 
পোশাক ( Appearance ) : শুধু প্রেম করতে গেলে নয় চাকরির ক্ষেত্রেও পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস তবে যেহেতু প্রশ্নটি প্রেমের তাই আমি প্রেমের ক্ষেত্রে পোশাকের গুরুত্ব কতটা সেটা ব্যাখ্যা করতে চাইবো ।


বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একটা উদাহরণ দিই। 
ধরুন একটি ছেলে গ্রাজুয়েশন করছে কলেজ থেকে , কুড়ি একুশ বছর বয়স । 
সে প্রতিদিন হালকা রঙের পুরোনো ঢিলা একটি শার্ট আর দর্জি দিয়ে বানানো ,
ঢলঢলে একটি প্যান্ট পড়ে । 

চিরুনি দিয়ে সিতে করে চুল আঁচড়ে চোখে একটা মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া অবস্থায় কলেজ যায় । এখন এসমস্ত ক্ষেত্রে মেয়েরা যে ছেলেটার দিকে তাকায় না এমনটা নয়। কিন্তু কৌতুকের দৃষ্টিতে দেখে , একটা Funny Fellow হিসেবে দেখে । আজ যদি ছেলেটা একটি trending fashion এর কটনের ফুলহাতা শার্ট কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে পড়তো , টাইট ফিটিং জিন্স পড়তো তাহলে মেয়েদের নজর কাড়ত ।


বিঃদ্রঃ 
উপরিউক্ত সমস্ত পয়েন্টগুলি বাস্তবসম্মত “in fact my real life experience ” বলতে পারেন । 
তবে আপনাকে বলব , আপনি যেমন আপনি তেমনই থাকুন , এসবের প্রেমের চক্করে পড়বেন না । আপনার জীবনের সমস্ত শখ পূরণ করুন , নিজকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন । 
জীবনে প্রেম এলে আপনিই আসবে , জোড় করে আনার কোনো প্রয়োজন নেই । 





===(তৃতীয়)

যে ধরনের ছেলেরা তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারে না এবং পরবর্তীকালে প্রতিহিংসা করে বা বন্ধুদের কথায় একসাথে অনেক সম্পর্কে জড়ায়। 
অনেক সময় একটা নিরীহ, শান্তগোছের মেয়েকে পটাবে। এরপর যদি সে টিকে যায় ভালো, না হলে বলবে - " তুমি খুব ভালো মেয়ে। আমি খুব খারাপ ছেলে। অন্য আরও ভালো ছেলে পাবে। 
ছেলেটা একবারও মেয়েটার মনের কথা বুঝবে না। নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টাও করবে না।


আর একধরনে ছেলে আছে যারা কথায় কথায় মিথ্যে বলে। গরীব হওয়া দোষের নয়। 
অনেকেই গরীব হয়ে জন্মান, তারপর নিজের মেধা, বুদ্ধি দিয়ে একটা উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছান। 
কিন্তু যারা নিজের পিতামাতাকে এইজন‍্য খারাপ কথা বলে, মেয়ে পটানোর জন‍্য মিথ্যে কথা বলে। 
মিথ্যে বলে সহানুভূতি আদায় করে, তাদের প্রেম করা উচিৎ নয়।

আরও এক প্রকার আছে যারা নিজের বৌকে বা প্রেমিকাকে ঘোমটার আড়ালে রাখে, 
কিন্তু নিজে অন্য মেয়েদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে বেড়াচ্ছে তাদের থেকে দূরে থাকা ভালো।
আর আছে যারা মিষ্টি কথায় মেয়েদের ভোলায় কিন্তু মনের মধ্যে কু চিন্তা তাদের থেকে দূরে থাকা দারকার। বাচ্চাদের দিকে খারাপ নজর দেয়।


ধনী হয়ে যারা মনে করে, সবাই আমার চাকর। টাকা থাকলে কত মেয়ে ছুটে আসবে।
উপরের পয়েন্টের যেকোনো একটাও পয়েন্ট থাকলে তারা প্রেম করতে না পারলেও, 
ভালো নাটক করতে পারে।


কেউ আবার ভাববেন না যে, আমি সব ছেলেদের খারাপ বলছি আর সব মেয়েদের ভালো। এই রকম ছেলে যেমন আছে ঠিক তেমনি মেয়েও আছে। দুটোই খারাপ। প্রশ্নে শুধু ছেলেদের নিয়ে বলেছে, তাই ছেলেদের নিয়েই উত্তর দিলাম।






মোটা মেয়েদের,-- ছেলেরা পছন্দ করে কেনো??

===

মোটা মেয়েদের ছেলেদের পছন্দ৷ ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজেরই পছন্দ৷ এর কারণগুলো হলো-

১। মোটা মেয়েদের শরিরে প্রচুর চর্বি মানে তেল থাকে। তাই এক্সট্রা তেল মারার প্রয়োজন পড়ে না।

২। মোটা মেয়েরা দৌড়াতে পারে না। তাই তাদের থেকে পলায়ন সহজ হয়।

৩। মোটা মেয়েদের উঁচু তলায় ফ্ল্যাট নিলে, ভুলেও নিচে নামবে না। আর নামলেও উপরে উঠবে না। তাই খরচপাতি কম হয়; অন্য মেয়েদের মতো ঘুরতে যেতে চায় না, শপিংও করতে চায় না, এমন কি বিউটিপার্লারেও যায় না।।

৪। মোটা মেয়েদের থেকে রাতের বেলা সাবধানে থাকতে হয়। কারণ, ভুলে তাদের শরীরের কোনো অঙ্গ যদি অন্যজনার উপরে চলে আসে, তাহলে তার জীবন গেলো বলে। এ সাবধানতায়, ব্যক্তির মনে সাবধানতা বাড়ায়।

৫। মোটা মেয়েদের সাইজের কাপড় কম মিলে, যার ফলে পুরুষ তাদের প্রতি বেশি অর্থ খরচ করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে খায় বেশি, তাই অর্থ জমানো কঠিন।






     ধন্যবাদান্তেঃ------
    মওদুদ আহমেদ মধু 
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®

No comments

Powered by Blogger.