Ads

"সম্পর্কে" কেউ সাড়া না দিলে কি করবেন??

 

"সম্পর্কে" কেউ সাড়া না দিলে কি করবেন??   #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®


"সম্পর্কে" কেউ সাড়া না দিলে কি করবেন??


চলুন, একটি ঘটনা বলি, 
আজ থেকে তিন বছর আগে, ফেসবুকে একটি ছেলে আমার প্রতিটা পোস্ট খুব পছন্দ করতেন, 
এবং কমেন্টস ও করতেন।সেই সময় আমি একটি বাস্তব কাহিনী তুলে ধরেছিলাম।
একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের প্রেম কাহিনী। ছেলেটি মেয়েটিকে ব্যবহার করে, 
অনেক বছর তাঁর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কিন্তু পরিশেষে বিয়ে টা করে না। 
তা, সেই প্রসঙ্গে কিছু আবেগ ঘন কথা আমি লিখেছিলাম।সবাই কে কিছু উপদেশ ও দিয়েছিলাম।যাইহোক, তখন ঐ ছেলেটি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, যে আচ্ছা আপনি তো একটি মেয়ে কে একটি ছেলে প্রতারণা করেছে বলে অনেক কিছু লিখলেন, তা সেই একই ঘটনা যদি একটি মেয়ে কোন ছেলের সঙ্গে করে তখন আপনি সে বিষয়ে কি বলবেন?


আমি স্বাভাবিক ভাবে তাঁকে জানালাম যে, দেখুন আমি কোন লিঙ্গ ভেদে নয়, 
এরকম অপরাধ করা থেকে সবাই কেই বিরত থাকতে বলেছি। 
কারণ কেউ কাউকে ভালোবাসতে নাই পারে, কিন্তু অভিনয় কেনো করবে! একজনের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার আর এক জনের নেই।

তখন সেই ছেলেটি তাঁর জীবনের করুণ পরিণতির কথা জানালেন, তাঁকে কিভাবে একটি মেয়ে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে এবং তাঁর ভালো মানুষের সুযোগ নিয়ে তাঁর কাছ থেকে প্রচুর অর্থ ও নিয়েছে। ছেলেটির দুঃখ অর্থ যাওয়া তে নয়, তাঁর একটাই কথা আমি কি অপরাধ করেছিলাম! আমাকে এভাবে কোন ঠকানো হলো! ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমাদের এই পুরো কথপোকথন হচ্ছে ফেসবুকের কমেন্টস বস্কে।
(কারণ আমি মেসেনজার ব্যবহার করি না)ইতিমধ্যেই আমাদের কথার মাঝে একটি মেয়ে চলে এলো এবং সে জানালো, আমার সঙ্গে যে ছেলেটির কথা হচ্ছে সে তাঁর বন্ধু তাই আমি যেনো ওর বন্ধু কে একটু বোঝায়, এই কষ্টময় জীবন থেকে বার হতে সাহায্য করি। 
যেহেতু আমি ফেসবুকে মানুষের জীবন সংক্রান্ত বিষয়ে ই পোস্ট দিতাম। 



যাইহোক, পরে আমি জানতে পারলাম যে, ঐ মেয়েটি তাঁর বন্ধু টিকে ভীষণ ভালোবাসে।
কিন্তু তাঁর বন্ধু ওকে ভালোবাস না, কারণ সে তাঁর প্রেমিকা কে আজ ও ভুলতে পারিনি। 
এই মেয়ে টি ,একজন স্টার জলসা ধারাবাহিকের নামী একজন নায়িকা। যাঁকে এক কথায় সবাই চেনে। এই মেয়ে টি প্রচুর কষ্ট পায় তাঁর বন্ধুর জন্য। কিন্তু তাঁর বন্ধু নিজেকে শেষ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আমি আমার মতো তাঁকে অনেক আবেগ ঘন কথা বলে,ঐ পরিস্থিতির থেকে বার করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। কারণ কেউ যদি নিজের থেকে না বুঝতে চাই তাঁকে বোঝানো মুশকিল।
কোন মোটিভেশন ই কাজ দেবে না, যদি না সে মোটিভেট হতে চাই।



এই মেয়ে টি আজ ও তাঁর বন্ধুর অপেক্ষায় দিন গুনছে।আমি মেয়ে টি কে একটা কথাই বলি ,
তুমি যদি মন থেকে সত্যিই ওকে ভালবাসো তাহলে একদিন তোমার স্বপ্ন অবশ্যই সত্যি হবে। 
কারণ মন থেকে কিছু চাইলে সেটা একদিন না একদিন ঠিক পাওয়া যায়। তোমাকে শুধু অপেক্ষায় থাকতে হবে। কারণ মেয়েটির অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই, মেয়ে টি ওর বন্ধু কে পাগলের মতো ভালবাসে। তাই সে বিশ্বাস করে একদিন তাঁর স্বপ্ন সত্যি হবে।আর তাঁর এই অটুট বিশ্বাস একটা পরিণতি পাক এই কামনাই করি।

তাই কোন সম্পর্কে যদি পাশের মানুষ টি সারা না দেয়, তাহলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটা নির্ভর করে সম্পন্ন রূপে যে সম্পর্ক টা চাইছে তাঁর উপর।কারণ এখানে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন। 
তাছাড়া একজন চাইলেই সম্পর্ক কিন্তু টেকে না, কারণ যাঁকে চাওয়া হচ্ছে তাঁর জীবনে অন্য কেউ আছে কিনা দেখতে হবে। এবং এই সম্পর্ক টা কেনো সে, চাইছে না সেটা জানতে হবে।



আপনি ধরুন তাঁর আশায় বুক বেঁধে বসে আছেন , এদিকে তাঁর জীবনে হয়তো তাঁর মনের মতো কেউ এসে গেছে। তাই পুরো পরিস্থিতি টা আপনাকে আগে ভালো করে বুঝতে হবে। 
আপনার ডাকে সে কেনো সারা দিতে চাইছে না, সেটা জানা টা ভীষণ প্রয়োজন।

পরিশেষে একটা কথাই বলতে পারি, আপনি যদি সত্যিই আপনার চাওয়া মানুষ টিকে জীবনে পেতে চান, তাহলে একটু ধৈর্য ধরুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আর এই সব কিছুর আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি তাঁকে কতটা চান।

তাছাড়া সেও কি চাই, সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন। যদি দেখেন যে, সে আপনাকে একদম ই চাই না, তাহলে সে সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসুন।
কারণ আত্মমর্যাদার মূল্য অধিক।




আপনার মতে, প্রেম করে বিয়ে?
নাকি দেখাশোনা করে বিয়ে করা ভালো?



বিয়েটা একটা লটারি রে ভাই। প্রেমের বিয়ে টিকবে ..
না দেখাশোনা করে বিয়ে টিকবে সেটা মনে হয় প্রজাপতি ব্রহ্মাও জানেন না।

প্রেম করার সময় প্রেমিক আর সে যখন স্বামী হয়..তারমধ্যে অনেক সময় বিস্তর ফারাক দেখা যায়। 
বৌ যখন পেয়েই গেছে তখন কথায় কথায় হুনুলুলু মনুলুলু টুংকুলুলু কমে যায়। 
সন্টামন্টা ..তুমি আমার এক্তা পুন্টু ছোনা .. এসব নেকু নেকু কথা বন্ধ হতে থাকে । 
তাতে বৌ হয়ে যায় এক খতরনাক ইনসান ..যে ইনসানকে প্রেমিক প্রেমের সময় দেখেইনি। 
সে এক অচেনা চেহারা। ঠোঁটে লিপস্টিক নেই, চোখে সেই মোহিনী কাজল নেই..চুল ইস্ত্রি নেই…
বড় বড় চোখ করে খ্যাক খ্যাক করে কথা বলছে। বৌয়ের সে এক লন্ডভন্ড চেহারা। 


আর প্রেমিকা কাম বৌয়ের যে পেট মোচড় দিয়ে ঘনঘন বিচ্ছিরি রকমের আমাশা হতে পারে সেটা প্রেমিক স্বামীর স্বপ্নের বাইরে। প্রেমের সময় তো প্রেমিকারা পটি করতো 
( আধো আধো বুলি তে বলত..এই শুনছ আমার না পটু পেয়েছে )..
এখন তো পায়খানা করে…ছ্যা ছ্যা ছ্যা। বৌয়েরও তথৈবচ অবস্থা । 
প্রেমিক স্বামী যে সকাল হলেই প্যাঁ পু করে মোহনবাঁশী বাজিয়ে চারিদিকে শব্দ আর বায়ু দূষণ করে সেটা দেখে বৌয়ের রোমান্টিসিজম গায়েব হতে থাকে। ছিঃ তোমার এত বাজে গন্ধ? 
আগে জানলে দুবার চিন্তা করতাম। দুজনেই যেন দুজনকে নতুন করে চিনতে শুরু করে। 
যেন নতুন দুই আবিষ্কারক ।

প্রেমের বিয়ে তে আরেকটা মুশকিল হলো আগের সাথে তুলনা করা।

" তখন তো আমাকে দেখার জন্য পাগল থাকতে আর এখন একবার ফিরে অব্দি তাকাও না। "

" কত বড় বড় কথা ! তুমি আমার জান, তুমি আমার বেঁচে থাকার অক্সিজেন । 
এখন তো তোমার ব্যবহার দেখলে মনে হয় আমি তোমার কার্বন ডাই অক্সাইড। "

" তুমি আমার হার্ট । তোমাকে না দেখলে আমার হার্ট থেমে যায় বেবি। 
তুমি যখন শাড়ীর আঁচল উড়িয়ে বাস থেকে নামতে তখন মনে হতো তুমি আমার সরবিট্রেট। 
আর এখন ? বিয়ের পর মনে হয় তোমার অ্যানজিওপ্লাস্টি হয়ে গেছে ..হার্ট আর থামে না, হুহ্। "

" কি বলতে তুমি ? তোমার আমার ছোট্ট একটা সংসার হবে। তুমি বাজার করবে আর আমি তোমার জন্য ভালো ভালো রান্না করবো। আর এখন কি হচ্ছে? আমি অফিসেও যাচ্ছি, বাজারও করছি কিন্তু তোমার রান্না কই ? রোজ রোজ অখাদ্য কতটা ভর্তা বানিয়ে রেখে দিচ্ছ আর দিনরাত ফেসবুক করে যাচ্ছো । 
হুহ্ । "



" আগে বলতে…জানু, আর এই বাড়ীতে ভালো লাগছে না। কবে যে বিয়ে করে তোমার কাছে যাবো ? আর এখন দিনরাত বাপের বাড়ী যাওয়ার জন্য ঘ্যানোরঘ্যানোর আর প্যানোরপ্যানোর । "

আরেকটা মুশকিল হলো ঝগড়া বাধলে বাড়ীর বড়দের সাহায্য চাইতে গেলে শুনতে হয়… " 
এখন কেন ? তখন তো এই মেয়েকে বিয়ে করতে না পারা অব্দি তোর লিভার ঠিক মতো কাজ করছিল না ? এখন কি হলো …একেবারে লিভার সিরোসিস? "

দেখাশোনার বিয়েতে যদি পাত্র পাত্রী একবার দুজন দুজনকে পছন্দ করে ফেলে তাহলে কেল্লা ফতেহ্ । আটপৌরে অবস্থাতেই দুজন দুজনকে জানে , চেনে , আবিষ্কার করে, প্রেম হয়। 
যেহেতু আগের কোনো স্মৃতি নেই তাই তুলনা করার কোনো স্থান নেই। 
এই সাধারণ বৌ যখন ঘন সবুজ শাড়ী পরে ঘন কালো কাজল মেখে চোখে বিদ্যুত খেলায় তখন স্বামীর ঠিকই হার্টটা যেন থেমে যায়।

আর ঝগড়াঝাঁটি যদি হয় তাহলে মা বাবা তো আছেনই। দোষটা ওদের ঘাড়ে ফেলে দিলেই হলো। 
তোমরা মেয়ে পছন্দ করে এনেছো…এবার তোমরা বোঝো।

এবার দেখুন কোনটা আপনার পছন্দ হচ্ছে?



ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®

No comments

Powered by Blogger.