একজন বিবাগী নারীর ভয়ংকর কষ্টের গল্প । #মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️
একজন বিবাগী নারীর কষ্টের গল্প
আমার বিয়ে হয়েছিলো একজন ধনী ব্যবসায়ীর সাথে।
বিছানার উপর ডায়েরী টা পড়ে আছে।
ডায়েরী হাতে নিলো অদিতি।
সুন্দর টাইপিং এর মতো লেখা।
অদিতি পড়তে লাগলো।
"অদিতি, মা আমার, আমি তোর মা হয়েও তোকে আদর করতে পারলাম না। তোর বাবা আমাকে দেখে খুশি হয়তো হবে না। তাই তোকে না বলেই বেড়িয়ে পড়লাম। আমাকে ক্ষমা করিস। এত কাছে থেকেও তোকে একটা চুমু দিতে পারলাম না রে আম্মু। আমার সেই সৌভাগ্য নেই। আমাকে খুজিস না। কারণ, কেউ হারিয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু যে নিজেই হারিয়ে যায়, তাকে পাওয়া যায়না। আমি হারিয়ে যাচ্ছি রে মা।
.....তোর মা "
অদিতি চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।
মাকে পেয়েও পেলোনা সে।
কিন্তু হ্যা, সে খুজবে।
সে তার মাকে খুজবে।
একজন বিবাগী নারীর কষ্টের গল্প
আমার বিয়ে হয়েছিলো একজন ধনী ব্যবসায়ীর সাথে।
যিনি সংসারের চেয়ে ব্যবসাকে বেশী প্রাধান্য দিতেন।
প্রথম রাতেই তিনি আমার কাছে আবদার করলেন যেন এক বছরের মধ্যেই আমি সন্তান জন্ম দিই।
-জানো, আজ আমাদের ফুলসজ্জা?
লোক টার প্রশ্নে লজ্জা পেয়েছিলাম।
ফুলসজ্জা সম্পর্কে আমার মোটামুটি ধারণা ছিলো। বান্ধবীদের কেউ কেউ বিয়ে করেছিলো। তাদের কাছে শুনেছিলাম। মনে মনে আগ্রহ জন্মেছিলো ফুলসজ্জা দেখার।
কিন্তু সেই ফুলসজ্জা যে এভাবে আমার জীবনে আসবে সেটা ভাবিনি।
-কি হলো?কথা বলো.....
-কি বলবো?
-আমি তোমার কাছে বেশী কিছু চাইনা। শুধু একটা সন্তান চাই।
-আমি কিভাবে সন্তান দিবো?
-আমি শুধু যা যা করতে বলবো সেটা করবা। দেখবে সন্তান আসবে তোমার পেটে।
আমি লজ্জা পেয়েছিলাম খুব।
......
ছয় মাস কেটে যায়।
লোক টা বেশীরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতো।
আমার না খুব কষ্ট হতো।
এত বড় বাড়িতে আমি একা। ওহ সরি, আমি একা ছিলাম না। আমার পেটে আমার মনি ছিলো। যাকে নিয়ে আমি বাঁচার আশা করেছিলাম। আমার স্বামী বিদেশে থাকলেও আমাকে ফোন করতো।
তখন সব অভিমান ভেঙ্গে যেতো। মনে হতো আমি সব চেয়ে সুখী।
লোক টা যখন বাড়িতে আসতো সারাদিন আমার পেট এ চুমু দিতো।
আমি লজ্জা পেতাম।
-কি করছেন?
-কিছু করছিনা। আমার রাজপুত্র কে আদর দিচ্ছি।
-রাজকন্যাও তো হতে পারে তাইনা?
-না, রাজপুত্র হওয়া লাগবে।
-মেয়ে হলে খুব রাগ করবে তাইনা?
-চুপ! যত্তসব আজাইরা প্যাচাল।
আমি সেদিন আর কিছুই বলিনি।
খুব মন খারাপ হয়েছিলো।
লোক টার প্রশ্নে লজ্জা পেয়েছিলাম।
ফুলসজ্জা সম্পর্কে আমার মোটামুটি ধারণা ছিলো। বান্ধবীদের কেউ কেউ বিয়ে করেছিলো। তাদের কাছে শুনেছিলাম। মনে মনে আগ্রহ জন্মেছিলো ফুলসজ্জা দেখার।
কিন্তু সেই ফুলসজ্জা যে এভাবে আমার জীবনে আসবে সেটা ভাবিনি।
-কি হলো?কথা বলো.....
-কি বলবো?
-আমি তোমার কাছে বেশী কিছু চাইনা। শুধু একটা সন্তান চাই।
-আমি কিভাবে সন্তান দিবো?
-আমি শুধু যা যা করতে বলবো সেটা করবা। দেখবে সন্তান আসবে তোমার পেটে।
আমি লজ্জা পেয়েছিলাম খুব।
......
ছয় মাস কেটে যায়।
লোক টা বেশীরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতো।
আমার না খুব কষ্ট হতো।
এত বড় বাড়িতে আমি একা। ওহ সরি, আমি একা ছিলাম না। আমার পেটে আমার মনি ছিলো। যাকে নিয়ে আমি বাঁচার আশা করেছিলাম। আমার স্বামী বিদেশে থাকলেও আমাকে ফোন করতো।
তখন সব অভিমান ভেঙ্গে যেতো। মনে হতো আমি সব চেয়ে সুখী।
লোক টা যখন বাড়িতে আসতো সারাদিন আমার পেট এ চুমু দিতো।
আমি লজ্জা পেতাম।
-কি করছেন?
-কিছু করছিনা। আমার রাজপুত্র কে আদর দিচ্ছি।
-রাজকন্যাও তো হতে পারে তাইনা?
-না, রাজপুত্র হওয়া লাগবে।
-মেয়ে হলে খুব রাগ করবে তাইনা?
-চুপ! যত্তসব আজাইরা প্যাচাল।
আমি সেদিন আর কিছুই বলিনি।
খুব মন খারাপ হয়েছিলো।
আমি ভেবেছিলাম মেয়ে হোক আর ছেলে হোক সন্তানের মুখ দেখে আমার স্বামী হয়তো খুশি হবে।
কিন্তু তার বাচনভঙ্গি দেখে সমস্ত আশার প্রদীপ নিভে যায়।
সেদিন থেকে নামাজ পড়তে লাগলাম।
মুনাজাতে খুব কাঁদতাম।
আল্লাহর কাছে ছেলে চাইলাম।
দিন কেটে যাচ্ছিলো।
প্রসব যন্ত্রণায় যখন ছটফট করছিলাম তখন আমার স্বামী আমার পাশে ছিলো।
হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সেদিন থেকে নামাজ পড়তে লাগলাম।
মুনাজাতে খুব কাঁদতাম।
আল্লাহর কাছে ছেলে চাইলাম।
দিন কেটে যাচ্ছিলো।
প্রসব যন্ত্রণায় যখন ছটফট করছিলাম তখন আমার স্বামী আমার পাশে ছিলো।
হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সন্তানের কান্নার আওয়াজ শুনে যখন বাচ্চার দিকে তাকালাম তখন আরো বেশী কাঁদতে লাগলাম আমি।
আমার পেটে থাকা সন্তান ছিলো মেয়ে।
নার্স আর ডাক্তার রা আমার মেয়েকে দেখে খুবই খুশি।
এত্ত সুন্দর মেয়ে নাকি তারা আজ পর্যন্ত দেখেনি।
কিন্তু আমার ভয় ছিলো আমার স্বামী কে নিয়ে।
তিনি হয়তো খুব রাগ করবেন।
অথচ দেখতে পেলাম আমার স্বামীর হাতে মিষ্টির প্যাকেট।
সবাই কে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন তিনি।
আমি ভাবলাম তার মনের অবস্থা নিশ্চয়ই পরিবর্তন হয়েছে।
আমার পেটে থাকা সন্তান ছিলো মেয়ে।
নার্স আর ডাক্তার রা আমার মেয়েকে দেখে খুবই খুশি।
এত্ত সুন্দর মেয়ে নাকি তারা আজ পর্যন্ত দেখেনি।
কিন্তু আমার ভয় ছিলো আমার স্বামী কে নিয়ে।
তিনি হয়তো খুব রাগ করবেন।
অথচ দেখতে পেলাম আমার স্বামীর হাতে মিষ্টির প্যাকেট।
সবাই কে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন তিনি।
আমি ভাবলাম তার মনের অবস্থা নিশ্চয়ই পরিবর্তন হয়েছে।
সাত দিন পর যখন বাড়ি এলাম তখন বুঝলাম হাসপাতালের ভিতরের রুপ টা তার আসল রুপ ছিলোনা।
-আমি মেয়ে সন্তান চাইনি। তুমি আমাকে মেয়ে সন্তান দেখিয়েছো।আমি এই সন্তান কে বাঁচতে দিবোনা।
লোক টার কথা শুনে খুব ভয় পাই।
-না....!প্লিজ এটা করবেন না। ও তো নিষ্পাপ। ওর তো।কোনো দোষ নেই। যদি আমি দোষী হয় তাহলে আমাকে শাস্তি দিন।
-সাত দিন কেটে গেছে। এখনো মেয়ের মুখ দেখিনি। কারণ,আমি মনে মনে ছেলে চাইতাম। তুমি আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছো।
-আমাকে মাফ করে দিন।
-তোমার কোনো ক্ষমা নেই। আমি তোমার মেয়ে কে বাঁচতে দিবোনা।
বলেই আমার কোলে থাকা আমার নিষ্পাপ মেয়েকে হ্যাচকা টান দিয়ে নিলেন।
আমি চোখ বন্ধ করে কাঁদতেছিলাম।
এই দৃশ্য আমি দেখতে চাইনা।
হঠাৎ শুনতে পেলাম লোক টা যেন কি বিড়বিড় করছে।
স্পষ্ট ভাবেই শুনতে পেলাম লোক টা বলছে, আমার লক্ষ্মী
আম্মু, কি সুন্দর আম্মু আমার। ওলে বাবা লে, আমার আম্মুটা দেখো কি সুন্দর হাসছে।
লোক টার দিকে তাকালাম।
তার চোখে মুখে হাসির চিহ্ন।
আমার মেয়েকে চুমু দিচ্ছে সে।
মনে মনে ভাবলাম যাক।লোক টার রাগ ভেঙ্গে গেছে।
কিন্তু এটা বুঝতে পারিনি লোক টা আমাকে অবহেলা করতে শুরু করেছে।
দিন কেটে যাচ্ছিলো।
-আমি মেয়ে সন্তান চাইনি। তুমি আমাকে মেয়ে সন্তান দেখিয়েছো।আমি এই সন্তান কে বাঁচতে দিবোনা।
লোক টার কথা শুনে খুব ভয় পাই।
-না....!প্লিজ এটা করবেন না। ও তো নিষ্পাপ। ওর তো।কোনো দোষ নেই। যদি আমি দোষী হয় তাহলে আমাকে শাস্তি দিন।
-সাত দিন কেটে গেছে। এখনো মেয়ের মুখ দেখিনি। কারণ,আমি মনে মনে ছেলে চাইতাম। তুমি আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছো।
-আমাকে মাফ করে দিন।
-তোমার কোনো ক্ষমা নেই। আমি তোমার মেয়ে কে বাঁচতে দিবোনা।
বলেই আমার কোলে থাকা আমার নিষ্পাপ মেয়েকে হ্যাচকা টান দিয়ে নিলেন।
আমি চোখ বন্ধ করে কাঁদতেছিলাম।
এই দৃশ্য আমি দেখতে চাইনা।
হঠাৎ শুনতে পেলাম লোক টা যেন কি বিড়বিড় করছে।
স্পষ্ট ভাবেই শুনতে পেলাম লোক টা বলছে, আমার লক্ষ্মী
আম্মু, কি সুন্দর আম্মু আমার। ওলে বাবা লে, আমার আম্মুটা দেখো কি সুন্দর হাসছে।
লোক টার দিকে তাকালাম।
তার চোখে মুখে হাসির চিহ্ন।
আমার মেয়েকে চুমু দিচ্ছে সে।
মনে মনে ভাবলাম যাক।লোক টার রাগ ভেঙ্গে গেছে।
কিন্তু এটা বুঝতে পারিনি লোক টা আমাকে অবহেলা করতে শুরু করেছে।
দিন কেটে যাচ্ছিলো।
এক বছর কেটে গেলো।
এই এক বছরে লোক টা আমার সাথে একটা কথা বলেনি।
বাড়িতে যতক্ষণ থাকে মেয়েকে নিয়ে পড়ে থাকে।
আমার বার বার মনে হয়েছিলো এই জীবন রাখবোনা। অবহেলায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম।
কিন্তু মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বাঁচতে হয়েছিলো।
মেয়েটার বয়স যখন দুই বছর তখন থেকেই মেয়েটাকে আমার কাছে আসতে দিতেন না লোক টা।
আমি কিছুই বলতাম না।
শুধু কাঁদতাম।
মস্তিস্ক বিকৃতি হতে দেরী করেনি।
একদিন ঘর থেকে বের হলাম।
কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি নিজেও জানিনা।
হঠাৎ একটা বাস ধাক্কা মারলো।
এরপরের কাহিনী সবার জানা।
জ্ঞানহীন পাগলির মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। আজ কত বছর হয়ে গেলো জানিনা।
শুধু এটা জানি,
আমার মেয়েটা এত দিনে তোমার মতো বড় হয়ে গেছে অদিতি।"
অদিতি কাঁদছে।
তার সামনে পাগলিটাও কাঁদছে।
যিনি এখন পাগলি নেই।
যার কাহিনী এত মর্মান্তিক।
অদিতি মহিলাকে জড়িয়ে ধরলো।
-মা, আপনি আমার মা হয়ে থাকবেন আজ থেকে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না।
-পাগলি মেয়ে! আমাকে যেতে হবে।
-কোথায় যাবেন।
-জানিনা অদিতি।
-আমার এখানে থাকুন না প্লিজ।
মহিলা কিছু বলছেনা।
অদিতি ভাত বেড়ে দিলো।
নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে মহিলা কে।
যার সাথে হয়তো অদিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
খাওয়ার পর্ব শেষ হলো।
অদিতি মহিলার কাছে এলো।
-মা, আপনি থাকুন, আমি মার্কেট থেকে আসছি।
-আচ্ছা।
বলেই মহিলা বিছানায় শুয়ে পড়লো।
অদিতি দরজা ভেজিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
হাত বোঝায় মার্কেটিং ব্যাগ নিয়ে ফিরলো সে।
রুমে ঢুকে দেখলো রুম ফাঁকা।
বুকের ভিতর টা ছ্যাৎ করে উঠলো ওর।
প্রতিটা রুম খুজে দেখলো।
কোথাও মহিলার দেখা নেই।
দারোয়ান কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো অতি সুন্দরী একটা মহিলা গেট পার হয়ে চলে গেছে।
অদিতি চিৎকার করে কাঁদলো।
....
এই এক বছরে লোক টা আমার সাথে একটা কথা বলেনি।
বাড়িতে যতক্ষণ থাকে মেয়েকে নিয়ে পড়ে থাকে।
আমার বার বার মনে হয়েছিলো এই জীবন রাখবোনা। অবহেলায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম।
কিন্তু মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বাঁচতে হয়েছিলো।
মেয়েটার বয়স যখন দুই বছর তখন থেকেই মেয়েটাকে আমার কাছে আসতে দিতেন না লোক টা।
আমি কিছুই বলতাম না।
শুধু কাঁদতাম।
মস্তিস্ক বিকৃতি হতে দেরী করেনি।
একদিন ঘর থেকে বের হলাম।
কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি নিজেও জানিনা।
হঠাৎ একটা বাস ধাক্কা মারলো।
এরপরের কাহিনী সবার জানা।
জ্ঞানহীন পাগলির মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। আজ কত বছর হয়ে গেলো জানিনা।
শুধু এটা জানি,
আমার মেয়েটা এত দিনে তোমার মতো বড় হয়ে গেছে অদিতি।"
অদিতি কাঁদছে।
তার সামনে পাগলিটাও কাঁদছে।
যিনি এখন পাগলি নেই।
যার কাহিনী এত মর্মান্তিক।
অদিতি মহিলাকে জড়িয়ে ধরলো।
-মা, আপনি আমার মা হয়ে থাকবেন আজ থেকে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না।
-পাগলি মেয়ে! আমাকে যেতে হবে।
-কোথায় যাবেন।
-জানিনা অদিতি।
-আমার এখানে থাকুন না প্লিজ।
মহিলা কিছু বলছেনা।
অদিতি ভাত বেড়ে দিলো।
নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে মহিলা কে।
যার সাথে হয়তো অদিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
খাওয়ার পর্ব শেষ হলো।
অদিতি মহিলার কাছে এলো।
-মা, আপনি থাকুন, আমি মার্কেট থেকে আসছি।
-আচ্ছা।
বলেই মহিলা বিছানায় শুয়ে পড়লো।
অদিতি দরজা ভেজিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
হাত বোঝায় মার্কেটিং ব্যাগ নিয়ে ফিরলো সে।
রুমে ঢুকে দেখলো রুম ফাঁকা।
বুকের ভিতর টা ছ্যাৎ করে উঠলো ওর।
প্রতিটা রুম খুজে দেখলো।
কোথাও মহিলার দেখা নেই।
দারোয়ান কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো অতি সুন্দরী একটা মহিলা গেট পার হয়ে চলে গেছে।
অদিতি চিৎকার করে কাঁদলো।
....
বিছানার উপর ডায়েরী টা পড়ে আছে।
ডায়েরী হাতে নিলো অদিতি।
সুন্দর টাইপিং এর মতো লেখা।
অদিতি পড়তে লাগলো।
"অদিতি, মা আমার, আমি তোর মা হয়েও তোকে আদর করতে পারলাম না। তোর বাবা আমাকে দেখে খুশি হয়তো হবে না। তাই তোকে না বলেই বেড়িয়ে পড়লাম। আমাকে ক্ষমা করিস। এত কাছে থেকেও তোকে একটা চুমু দিতে পারলাম না রে আম্মু। আমার সেই সৌভাগ্য নেই। আমাকে খুজিস না। কারণ, কেউ হারিয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু যে নিজেই হারিয়ে যায়, তাকে পাওয়া যায়না। আমি হারিয়ে যাচ্ছি রে মা।
.....তোর মা "
অদিতি চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।
মাকে পেয়েও পেলোনা সে।
কিন্তু হ্যা, সে খুজবে।
সে তার মাকে খুজবে।
মওদুদ আহমেদ মধু
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®
No comments