একটি দুর্দান্ত অসম প্রেমের ছোট গপ্পো #মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা
একটি দুর্দান্ত অসম প্রেমের ছোট গপ্পো #মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা
অসম প্রেমের গপ্পো
মাহমুদ বসে আছে অনেক সময় ধরে, কতক্ষণ হবে বোঝার উপায় নেই। কোনো দেয়ালে ঘড়ি দেখতে পাচ্ছে না। অথচ, এসব বাড়ির প্রতি দেয়ালে একটা করে বাহারী ঘড়ি ঝুলে থাকার কথা।
সে নিজেও হাতে ঘড়ি পড়ে না বহুদিন। বেশ বড় ড্রয়িং রুম, সে তুলনায় আসবাব কম।
তবুও বেশ গোছানো । মাহমুদের করার কিছুই নেই। কিছু করার না থাকলে মানুষ টিভি দেখে।
তবুও বেশ গোছানো । মাহমুদের করার কিছুই নেই। কিছু করার না থাকলে মানুষ টিভি দেখে।
মাহমুদও তাই করছে। অনুষ্ঠান কি চলছে সেটা বড় কথা নয় দেখতে পারলেই হলো।
কিছু একটা নিয়ে পড়ে থাকলে অস্বস্তি কিছুটা কাটে।
এ ধরনের পরিস্থিতি মাহমুদের পছন্দ নয়। অপছন্দের ব্যাপারগুলি মাঝে মাঝে করতে হয় ।
এ ধরনের পরিস্থিতি মাহমুদের পছন্দ নয়। অপছন্দের ব্যাপারগুলি মাঝে মাঝে করতে হয় ।
সে এসেছে হারুন সাহেবের বাসায়, একই অফিসে তারা আছে। হারুন সাহেব তার সিনিয়র। যদিও স্যার বলেই সন্মোধন করা উচিৎ, তবুও কিভাবে কিভাবে যেনো "ভাই" ডাক দিয়েই সে শুরুটা করেছে।
বয়সেও হারুন সাহেব বেশ বড়।
এমনিতে মাহমুদকে বেশ স্নেহ করে, স্নেহের বাড়াবাড়িতে মাঝে মাঝে মাহমুদকে গাধা বলে ডাকে।
বয়সেও হারুন সাহেব বেশ বড়।
এমনিতে মাহমুদকে বেশ স্নেহ করে, স্নেহের বাড়াবাড়িতে মাঝে মাঝে মাহমুদকে গাধা বলে ডাকে।
তবে মাহমুদ এতটা আদিক্ষেতা দেখায় না । অনেকবার মাহমুদকে ওনার বাসায় আসতে বলেছে, মাহমুদ খুব একটা আগ্রহ করেনি ।
আজ একপ্রকার ধরে নিয়ে এসেছে। মাহমুদকে বসতে বলে সেই যে ভিতরে গেছে এখনও দেখা নেই।
- আপনার চা।
মাহমুদ টিভির দিকেই তাকিয়ে আছে। রাগে তার গা জ্বলে যাচ্ছে। এতক্ষন বসিয়ে রেখে কাকে না কাকে দিয়ে চা পাঠিয়ে দিয়েছে। কোন মানে হয়।
- আপনি মাহমুদ ?
- হ্যাঁ ।
মাহমুদ এখনও টিভির দিকেই তাকিয়ে। তবে বুঝতে পারছে তরুনী ধরনের কেউ চা নিয়ে এসেছে ।
- আমার দিকে তাকাচ্ছেন না কেনো? আমার দিকে তাকালে আপনার জীবন বৃথা হয়ে হয়ে যাবে ?
মাহমুদের অসম্ভব বিরক্ত লাগছে। এমনিতে সে কারো বাসায় যায় না । তার ভালো লাগে না ।
মাহমুদ টিভির দিকেই তাকিয়ে আছে। রাগে তার গা জ্বলে যাচ্ছে। এতক্ষন বসিয়ে রেখে কাকে না কাকে দিয়ে চা পাঠিয়ে দিয়েছে। কোন মানে হয়।
- আপনি মাহমুদ ?
- হ্যাঁ ।
মাহমুদ এখনও টিভির দিকেই তাকিয়ে। তবে বুঝতে পারছে তরুনী ধরনের কেউ চা নিয়ে এসেছে ।
- আমার দিকে তাকাচ্ছেন না কেনো? আমার দিকে তাকালে আপনার জীবন বৃথা হয়ে হয়ে যাবে ?
মাহমুদের অসম্ভব বিরক্ত লাগছে। এমনিতে সে কারো বাসায় যায় না । তার ভালো লাগে না ।
সে গল্প করতে পারে না, গল্প করাতেও পারে না। রসহীন মানুষ যাকে বলে ।
-আচ্ছা, আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
-আচ্ছা, আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
- হ্যাঁ জিজ্ঞেস করতে পারেন ।
- আপনি আমার বাবাকে "ভাই" সন্মোধন করেন কেনো ? জানতে পারি ?
এই প্রথম মাহমুদ মেয়েটির দিকে তাকালো। নীল রং এর শাড়ি পড়া হালকা গড়নের একটা মেয়ে।
- আপনি আমার বাবাকে "ভাই" সন্মোধন করেন কেনো ? জানতে পারি ?
এই প্রথম মাহমুদ মেয়েটির দিকে তাকালো। নীল রং এর শাড়ি পড়া হালকা গড়নের একটা মেয়ে।
বয়স বোঝা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই হারুন সাহেবের বড় মেয়ে।হারুন সাহেব কথার ছলে প্রায়ই বলতেন- তার বড় মেয়েটা খুবই নাকি শান্ত এবং অভিমানী।
সাজগোছ তেমন কিছুই নেই। থাকার মধ্যে আছে চোখে গাঢ় করে কাজল, আর দুই হাত ভর্তী করে কাচের চুড়ি। এত চুড়ি একসঙ্গে কিভাবে একটা মেয়ে পড়তে পারে? ভয়ংকর রকমের সুন্দরী বলা যায়। মেয়েটি সোফার পাশেই দাড়িয়ে আছে, বসেনি। দেখে মনে হয়, এইমাত্র কান্না থামিয়ে উঠে এসেছে। চোখ দুটি ভেজা এবং ফোলা। এবং এখন আবার প্রয়োজন হলে কাঁদবে। মানুষের চোখ কি আসলেই মায়াবী হয়। কে জানে ।
- তাতে আপনার সমস্যা কোথায় ?
- আছে, আমার সমস্যা আছে ।
- তো, আমাকে কি করতে হবে?
- আপনি আজ থেকে আমার বাবাকে ভাই সন্মোধন করবেন না ।
- কেনো ?
- আপনি কিছু বুঝতে পারছেন না ?
- না !
- সত্যিই বুঝতে পারছেন না ? আপনি আসলেই গাধা? নাকি গাধার ভান ধরে থাকেন ।
- ভান ধরে কেনো থাকবো?
- তাহলে বুঝতে পারছেন না কেনো?
মাহমুদ বেশ বুঝতে পারছে, তার ব্যাপারে এই বাসায় নিশ্চয়ই আলোচনা হয়। গাধা শব্দ'টা অফিসের মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকার কথা। বাসায় না।
হারুন সাহেবের উপড় তার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে ।
হঠাৎই মেয়েটা এসে মাহমুদের প্রায় গা ঘেসে দাড়িয়েছে, নুয়ে মাহমুদের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল-- 'এই শোনো, তুমি অনন্তকাল যার অস্তিত্ব অনুভবে বয়ে বেড়াচ্ছো, নিরবে আড়ালে এতকাল যাকে খুঁজে বেরিয়েছো। আমিই সেই । আজ আমাকে তোমার ভিতরে নিয়ে নাও' ।
মাহমুদ কিছুই বুঝতে পারছে না। কি হচ্ছে এসব ? তাকে কোনকিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মেয়েটা তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ভিতরের দিকে।
মাহমুদের গলা আটকে যাচ্ছে। কথা বের হচ্ছে না। আশেপাশে কাউকে দেখছেও না।
সাজগোছ তেমন কিছুই নেই। থাকার মধ্যে আছে চোখে গাঢ় করে কাজল, আর দুই হাত ভর্তী করে কাচের চুড়ি। এত চুড়ি একসঙ্গে কিভাবে একটা মেয়ে পড়তে পারে? ভয়ংকর রকমের সুন্দরী বলা যায়। মেয়েটি সোফার পাশেই দাড়িয়ে আছে, বসেনি। দেখে মনে হয়, এইমাত্র কান্না থামিয়ে উঠে এসেছে। চোখ দুটি ভেজা এবং ফোলা। এবং এখন আবার প্রয়োজন হলে কাঁদবে। মানুষের চোখ কি আসলেই মায়াবী হয়। কে জানে ।
- তাতে আপনার সমস্যা কোথায় ?
- আছে, আমার সমস্যা আছে ।
- তো, আমাকে কি করতে হবে?
- আপনি আজ থেকে আমার বাবাকে ভাই সন্মোধন করবেন না ।
- কেনো ?
- আপনি কিছু বুঝতে পারছেন না ?
- না !
- সত্যিই বুঝতে পারছেন না ? আপনি আসলেই গাধা? নাকি গাধার ভান ধরে থাকেন ।
- ভান ধরে কেনো থাকবো?
- তাহলে বুঝতে পারছেন না কেনো?
মাহমুদ বেশ বুঝতে পারছে, তার ব্যাপারে এই বাসায় নিশ্চয়ই আলোচনা হয়। গাধা শব্দ'টা অফিসের মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকার কথা। বাসায় না।
হারুন সাহেবের উপড় তার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে ।
হঠাৎই মেয়েটা এসে মাহমুদের প্রায় গা ঘেসে দাড়িয়েছে, নুয়ে মাহমুদের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল-- 'এই শোনো, তুমি অনন্তকাল যার অস্তিত্ব অনুভবে বয়ে বেড়াচ্ছো, নিরবে আড়ালে এতকাল যাকে খুঁজে বেরিয়েছো। আমিই সেই । আজ আমাকে তোমার ভিতরে নিয়ে নাও' ।
মাহমুদ কিছুই বুঝতে পারছে না। কি হচ্ছে এসব ? তাকে কোনকিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মেয়েটা তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ভিতরের দিকে।
মাহমুদের গলা আটকে যাচ্ছে। কথা বের হচ্ছে না। আশেপাশে কাউকে দেখছেও না।
আশ্চর্য, সে যখন এসছিলো তখন ভিতর বাড়ি থেকে অনেকের আলামত পেয়েছে।
অথচ এখন কেউ নেই। কেনো এখন কাউকে সে দেখতে পাচ্ছে না?
মাহমুদের শরীরে এখন কোন জোড় নেই। সে থামতে চাইছে,কিন্তু পারছে না ।
মাহমুদের শরীরে এখন কোন জোড় নেই। সে থামতে চাইছে,কিন্তু পারছে না ।
তবুও সমস্ত শক্তি নিয়ে সে হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ঝটকা দিয়েছে।
"
"
"
ঝনঝন শব্দে মাহমুদের ঘুম ভেঙ্গে গেছে, উঠে দেখে খাটের সাথে লাগোটা টেবিলের জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । দেয়াল ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখলো বিকাল ৫ঃ৫২ বাজে । কোন মানে হয় ? স্যন্ধে হয়ে গেছে তবুও সে ঘুমোচ্ছে । এরকম তো কখনও হয় না। আজ কেনো হলো?
স্বপ্ন'ও কি তার সাথে রসিকতা শুরু করে দিয়েছে নাকি ? কে জানে হতেও পারে !
মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাহমুদের এখন একটু আফসোসও হচ্ছে!
স্বপ্নে মেয়েটার নাম জানা হয়নি।
"
"
"
ঝনঝন শব্দে মাহমুদের ঘুম ভেঙ্গে গেছে, উঠে দেখে খাটের সাথে লাগোটা টেবিলের জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । দেয়াল ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখলো বিকাল ৫ঃ৫২ বাজে । কোন মানে হয় ? স্যন্ধে হয়ে গেছে তবুও সে ঘুমোচ্ছে । এরকম তো কখনও হয় না। আজ কেনো হলো?
স্বপ্ন'ও কি তার সাথে রসিকতা শুরু করে দিয়েছে নাকি ? কে জানে হতেও পারে !
মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাহমুদের এখন একটু আফসোসও হচ্ছে!
স্বপ্নে মেয়েটার নাম জানা হয়নি।
#মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা
মওদুদ আহমেদ মধু ।
wow so nice article
ReplyDelete