Ads

গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ মোটিভেশান ৪ । #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️

 

গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ মোটিভেশান ৪ ।   #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️




*লাইফ চেঞ্জ মোটিভেশান*

আপনি যদি ১ বছরের মুল্য বুঝতে চান, 
তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন যে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। 

কেবল সেই খুব ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারে যে, 
পরীক্ষায় ফেল করায় জীবনের একটি বছর হারিয়ে ফেলেছে।

আপনি যদি ১ মাসের মুল্য বুঝতে চান তবে, 
তাকে জিজ্ঞেস করুন যে মাস শেষে বেতন পায়নি। 

কটি মাস যে কতটা দীর্ঘ সময় সেই বুঝতে পারে।
আপনি যদি ১ সাপ্তাহের মুল্য বুঝতে চান তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন যে ,
হাসপাতালে ভর্তি ছিল বা তার সাথে যে ব্যক্তি দেখাশুনা করার জন্য তার পাশে ছিল। 
তার বর্ণনা থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন একটি সপ্তাহ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি ১ দিনের মুল্য বুঝতে চান তাকে জিজ্ঞেস করুন যে রোজা রেখেছিল। 
আমরা দিনের পর দিন না বুঝে সময় নষ্ট করে চলেছি। 
অথচ একটি দিন কতটা বড় তা কেবল রোজাদার ব্যক্তিই বুঝতে পারে।

আপনি যদি ১ ঘন্টার মুল্য বুঝতে চান, 
তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন যে প্রিয়জনের অপেক্ষায় ছিল। 
অপেক্ষা করা প্রতিটি মূহূর্ত যে কতটা বিশাল তা কেবল তখনি উপলব্ধি করা যায়।

আপনি যদি ১ মিনিটের মুল্য বুঝতে চান তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন যে, 
এক মিনিটের জন্য ট্রেন মিস করেছিল। প্রতিটি মিনিটের মূল্য আপনি তখনি বুঝতে পারবেন, 
যখন ওই একটি মিনিট দেরি করায় ট্রেনটি মিস করবেন এবং সময় মত গৌন্তব্যে পৌছাতে পারবেন না।

যেখানে বছর মাসের কোন হিসাব নেই সেখানে সেকেন্ডের মূল্য তো ভাবায় যায় না। 
ব্যাপারটা কি সত্যই তাই? কখনই না। 

আপনি যদি ১ সেকেন্ডের মুল্য বুঝতে চান তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন যে,
১ সেকেন্ডের জন্য এক্সিডেন্টের হাত থেকে রক্ষা পেল। 
কারণ একটি সেকেন্ডের ব্যাবধানেই আপনি বিশাল একটি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারেন।

তাই অতীতে কত সময় নষ্ট করেছেন তার দিকে না তাকিয়ে কেবল বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে কিভাবে সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাবেন সেই পরিকল্পনা করুন। 
এখন থেকে চিন্তা করুন আর একটি সেকেন্ডও যেন নষ্ট না হয়। 
প্রতিটি মূহুর্ত কাজে লাগাতে পারেন সেই মানসিকতা সৃষ্টি করুন।

md jibon Chowdhury




(মোটি ৪)

সাধারণভাবে আমরা খেয়াল করি না । 

কিন্তু, একটু সুক্ষভাবে লক্ষ করলেই দেখবেন--

পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান।  

যাকে বলে Conservation of আনন্দ। 


একজন কেউ চরম আনন্দ পাওয়া মানেই হল,

অন্য একজনের চরম দুঃখ পাওয়া ।

ধরা যাক, কেউ একজন কোন খেলায় বিজয়ী হল, 

বিপরীতে অন্যজনের চরম হতাশা ।

পরাজিতের কঠিন বেদনা দুঃখ গ্লানির বিনিময়েই 

বিজয়ীর চরম আনন্দ সুখ উৎসব প্রাপ্তি হয় ।

এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রে,,,

কারও কিছু অর্জন, প্রাপ্তি মানেই কারও 

বিয়োজন, অপ্রাপ্তি।

সর্বপরি বেদনা ।


মানুষেরা সময় যত গড়াচ্ছে ততই সংকির্ণ হয়ে পড়ছে। একটু একটু করে মৌলিকতাকে বিলীন করে ফেলছে।

সর্বক্ষনই আমাদের মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয় বা হারাবার ভয় ।  

কিছুতেই ঠকা যাবে না, কিছুতেই হারা চলবে না।

মানুষের সাথে মানুষের সম্প্রিতি, সৌহার্দ ফিকে হয়ে যাচ্ছে এসব কারনেই। চারিদিকে সন্দেহের দৃষ্টি। 

অবিশ্বাস, ভয়, মানুষের কাছ থেকে মানুষকে দুরে অজান্তেই বহু দুরে সরিয়ে দেয়।। 

কেন মানুষ এমন কৃত্রিম হয়ে গেলো?

কেন করে, অকারণ সন্দেহ অবিশ্বাস?


খুন'র ধরন দুটো।

শারীরিক ভাবে খুন, এবং মানষিক ভাবে খুন।

শারীরিক খুন হয় প্রচন্ড আক্রোশে উত্তেজিত হয়ে 

গরম মাথায়,

মানষিক খুন হয় নিঃশব্দে হেসে হেসে মিস্টি কথায় শান্ত মাথায়।

এ পর্যন্ত পৃথিবীতে শারীরিক যত খুন হয়েছে, 

মানষিক খুন হয়েছে তার থেকে বহুগুনে বেশী।

সেই বেশী'টা এতই যে,

শারীরিক খুনের হয়তো একটা পরিসংখ্যান থাকে, 

কিন্তু মানষিক খুনের কোনো পরিসংখ্যানও থাকেনা।

শারীরিক খুন হওয়া ব্যাক্তির একটা সুবিধা! হলো, তাকে খুনের যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতে হয়না।

কিন্তু, মানষিক খুন হওয়া ব্যাক্তির খুনের যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতে হয় দীর্ঘকাল।

এই যন্ত্রনা একই সাথে বিভৎস এবং অদৃশ্যমান।  

এর তীব্রতায় এক সময় মানুষ নির্বাক হয়ে যায়।

এই জ্বালা কোনদিন কাউকে বোঝানো যায় না,

কোনদিন না।



ধন্যবাদান্তেঃ------

মওদুদ আহমেদ মধু 

#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®


No comments

Powered by Blogger.