Ads

গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ মোটিভেশান ৫ । #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️

গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ মোটিভেশান ৫ ।   #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️



মোটিভেশনকে না বলি---!!!  

Title টি কিছুটা অবাক করার মতই।

প্রথমে বলি মোটিভেশন কি? 
কোনো কিছু করার জন্য মানসিক অনুপ্রেরণা যা আমাদেরকে ঐ সকল বিষয়ে ,
বাস্তবিকভাবে কিছু করতে ভেতর থেকে তাড়িত করাই সাধারণত মোটিভেশান বা প্রেরণা।

যাইহোক মুল প্রসঙ্গে আসি। 
মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনের সফলতা কিংবা পরকালে সফলতার জন্য, 
প্রত্যহ অনবরত কত কিছু করতে হয়। 

যেমনঃ শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন, অভিজ্ঞতা অর্জন,উপদেশ গ্রহন এবং 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ-ই সকল বিষয় বাস্তবে কাজে লাগানো।

কিন্তু মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণা বা প্রেষণা আমাদের কতটা সাহায্য করে?  
বাস্তবিক performance এর কিংবা সফলতার ক্ষেত্রে? 
কখনো কিছুটা করে, কখনো একদমই সাহায্য করে না। 
আবার কখনো ক্ষনিকের জন্য শুধু প্রেরণাই দেয়,এর থেকে বেশি কিছু না।


তাহলে, সফলতার জন্য কি প্রয়োজন।

১. 
Discipline-যা সারাজীবন চর্চা করতেই হবে এছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।

2. 
নিয়মিত ভাল এবং কার্যকর অভ্যাস যা কষ্টকর হলেও করে যেতে হবে।

৩. 
কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে পরীক্ষার মধ্যে রাখা বা পরীক্ষার আগে পরীক্ষা দেয়া ।
যেমনঃ কেউ যদি কোনো প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষা হতে পারে ভর্তি পরীক্ষা, 
চাকরির পরীক্ষা, gre gmat ielts ইত্যাদি।

এসব করার সময় যদি একঘেয়েমি আসে বা করতে অনীহা দেখা দেয় তাহলে কি করতে হবে?
 (কারন একঘেয়েমি বা অনীহা আসবে এটাই ৯৯% মানুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক।)
প্রধানত একটাই করার আছে তা হল যে কাজ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু করতে সবসময় ইচ্ছে করে না সেটা আরো বেশি করে করা। 
যেমনঃ আপনার উচিত ধর্মীয় বিধান মেনে চলা কিন্তু পারছেন না। তাহলে আপনি নিয়মিত মেনে চলুন, কষ্ট লাগলে আরো বেশি করে পালন।

কিংবা ম্যাথে দুর্বল, ম্যাথ করতে মন চায় না। তাহলে উচিত আপনার আগে থেকে আরো বেশি ম্যাথ করা। আগে যদি সপ্তাহে ৮০ টা ম্যাথ করতেন, এখন উচিত কমপক্ষে সপ্তাহে ৮০০-১০০০ ম্যাথ করা। কষ্ট করে হলেও ২১ দিন কিংবা ৪০ দিন টানা করতে থাকলে অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে এবং একটা Discipline চলে আসবে। যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

একসময় দেখবেন এসব করতে আপনার ভালোলাগা এবং ভালোবাসা কাজ করছে, আপনার জন্য সহজ হয়ে গেছে। তখন কোথাও কোনো মোটিভেশন শুনলে বা দেখলে নিজে নিজেই হাসবেন।
কেউ একজন বলেছিলেন"একটা মানুষের পক্ষে সবসময় মোটিভেটেড হওয়া বা ধরে রাখা সম্ভব না। কেউ যদি মনে করে আমি কখন অনুপ্রাণিত হব তারপর কাজ করব, 
তাহলে বেশিরভাগ সময় তার ঐ কাজটি করা সম্ভব হবে না।"

আবার মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণার ২১ শতকের কুপ্রভাব ও কিন্তু মারাত্নক।
আমরা যখন ফেসবুকে মোটিভেশন পোস্ট দেখি তখন হয়ত কিছুটা অনুপ্রেরণা অনুভব হয় ।
এর কিছুক্ষণ পরে আবার প্রেমের পোস্ট তারপর হতাশা, তারপর টিকটক প্রতিবন্ধী ।

এ-ই ভাবে নানান রকম পোস্ট দেখে দেখে আমাদের মধ্যে একধরণের অনুভুতিহীন অনুভুতি 
(যাকে Emotional Numbness বলা হয়) সৃষ্টি হয়। 
যা খুবই মারাত্মক এবং ক্ষতিকর। একসময় আপনার মধ্যে কোনো অনুভব কাজ করবে না। 
কিছু ভালোই লাগবে না। অসাড় হয়ে যাবেন।

আর কিছুটা অড ভাবে বলতে গেলে বলা যায়,ছকিনা, জরিনা, মোকলেসদের কাছ থেকে অর্থাৎ অনুপ্রেরণা কিংবা ধর্মীয় জ্ঞান সবার কাছ থেকে শুনতে ভালো লাগে না কিংবা শুনা উচিতও না। 
এর পেছনে বিরাট যুক্তি ও সত্যতা আছে সেটা না হয় না বলি।

লেখক- Sohag Salman Farsi




"আমরা 

এমন মানুষের কাছ থেকে কিছু একটা পাওয়ার আশা করি, 

যে মানুষটার আসলে কিছু দেয়ার ইচ্ছা নেই ।  এই মিথ্যে আশাটাই ভেঙ্গেচুরে যায় দিনশেষে !!

মানুষটা কষ্ট দেয় না, কষ্ট দেয় একপাক্ষিক অনুভূতিটা !!  

যে মানুষটা কখনোই আসবে না, তার জন্য অপেক্ষাটা অসীম ... ।

যে অপেক্ষার কোন শেষ নেই, সেই অপেক্ষা শুরু করাটাই ভুল !!

ভুল মানুষের জন্য অনিঃশেষ অপেক্ষাটা যত দীর্ঘ হয়, কষ্টের তীব্রতাও ততই বাড়তে থাকে !! 

কোন একদিন তাই বুকে পাথর চেপে সব ভালোবাসা ভুলে নিজ হাতে গড়া,

সবকিছু ভেঙ্গেচুরে শেষ করে দিয়ে সরে আসতে হয় ...। 

বাধ্য হয়ে সরে আসতে হয় !!




= = = 

বেলা শেষে জীবনের কোনো এক সময়,,, 

প্রত্যেক পরিনত পুরুষেরই একজন নারীর মায়াময় শীতল ষ্পর্শের প্রয়োজন হয়তো অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়! তার সঙ্গের বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়!!

সঙ্গীর হয়তো করনীয় কিছুই নাই,, তবু পাশে কেউ একজন ছায়ার মতো আছে,,, এটাই বিরাট একটা ভরসা জোগায়। নির্ভার রাখে। 


মাঝে মাঝে মন একটু টালমাটাল করে, 

একটু ভ্রান্তি আমায় ঘিরে ধরে। চারপাশের সকলেই যে এ দলেরই। আমার দলে আমি শুধু একাই। 

তারপরেও এগোই,, কাউকে না কাউকে তো জীবনের বড় কোনো অপ্রাপ্তির স্বাদ নিতেই হয়।

সকলে যা এড়িয়ে যায়,, তা গ্রহন করার মধ্যে অন্য এক প্রাপ্তি আছে।



আমরা যে পরিচিত জগতে বাস করি,

সেই জগৎ কি আসলেই পরিচিত ?

যে সব চরিত্রকে আমরা চিনি বলে মনে করি,

তাদেরকে কি আসলেই চিনি?

আমরা কি সবসময়ই অচিনপুরে বাস করছি না ?


গুনিজনের একটা কথা আছে--

" তাকেই ভালবাসা উচিৎ, যে তোমাকে ভালবাসে।

তাকে ভালবেসোনা, যাকে তুমি ভালবাসো"।

কথাটার মধ্যে চরম সত্য লুকিয়ে আছে!  

মজার ব্যাপার হলো বেশীরভাগ মানুষ এর বিপরীতটাই করে।

গভীর আগ্রহ নিয়ে যে মানুষটি আপনাকে ভালবাসতে চায়, কেন যেনো তাকেই সবথেকে বেশী অগ্রাহ করা হয়। জেনে-না জেনে, বুঝে- না বুঝে নিশ্চিৎ ভালবাসাকে পায়ে মাড়ানো হয়, কি ভয়ানক ব্যাপার! একটিবার ভূল করেও ভেবে দেখা হয়না,  আগ্রহ করে বাড়িয়ে দেওয়া ভালবাসাকে এড়িয়ে অনিশ্চিৎ ভালবাসার পিছনে ছুটে ঠিক কি অর্জন হয়? একটা কোমল মনকে ভেংগে দিয়ে, দীর্ঘ:শ্বাসের বাতাসকে কতটা ভারী করা হয় নিজের অজান্তেই।  


নিয়তি অদুরেই হাসে! কোন এক বৃস্টির বিকেলে এই এড়িয়ে যাওয়া ভালবাসাকেই বড় প্রয়োজন পড়ে! ততদিনে সেই মন ভেংগে পাথর হয়ে যায়।

তখন আমরা শুধু পাথরটাকেই দেখতে পাই।

পাথরের ভিতরের গল্প দেখতে পাইনা।


চুম্বকের স্বভাব হলো, বিপরীত মেরুকে আকর্ষণ করা। একই মেরু সে আকর্ষণ করে না।

মানুষের স্বভাবও অনেকটা চুম্বকের মতো। 

বিপরীত মেরুর প্রতি তার যত আকর্ষণ। একই মেরুকে আকর্ষণ করার মত কোনো বৈচিত্র্য সে খুঁজে পায় না।


বিপরীত দিকের মানুষটা দিনের পর দিন তাকে এড়িয়ে যাওয়ার পরও তার জন্যই সারাক্ষন বুকের ভিতর কেমন কেমন করা।

মানিয়ে চলার জন্য মিথ্যে হাসি দেওয়া।

তার গন্ধ লেগে আছে এমন জায়গাগুলোকে স্পর্শ করে অন্যরকম সুখে শিহরিত হওয়া।

মানুষটার বলা হালকা কথাবার্তায়ও বার বার মুগ্ধ হওয়া। অর্থহীন পুরোণো মেসেজগুলো নিয়ম করে প্রতিদিন একবার চোখ বুলানো।

তাকে নিয়ে নিজের মধ্যে স্বপ্নকে লুকিয়ে রাখা।

সর্বপরি সেই মানুষটার জন্যই নিজেকে একটু একটু করে মেরে ফেলা।


দুজন পারফেক্ট মানুষ কখনই একই মেরুতে আসে না, আসতে পারে না! আসতে দেওয়া হয়না।

তারা ব্যাস্ত থাকে তাদের যারা পছন্দ করেনা, ওদের নিয়ে।



ধন্যবাদান্তেঃ------

মওদুদ আহমেদ মধু 

#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®


No comments

Powered by Blogger.