গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ বোধের মোটিভেশান ৬ । #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️
১.....
২....
৩...
৪....
৫....
৬.....
৭.....
৮.......
(লেখিকা :মৌনোতা জামান)
তোমার বয়স যখন ১৮ থেকে ২১ এর মধ্যে থাকবে তুমি অনেক বন্ধু হারিয়ে ফেলবে।
তুমি অনেক ভুল করবে। তুমি ব্যর্থ হবে। তুমি নতুন করে অনেক কিছু উপলব্ধি করবে।
তুমি বাস্তবতা বুঝতে শুরু করবে। মাঝেমধ্যে তুমি নিজেকে নিজেই চিনতে পারবে না।
যাদের কে এ দুনিয়ার তুমি সবচেয়ে ভালো মানুষ জানতা তারা ও তোমার বিশ্বাস ভেঙে ফেলবে।
তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
তুমি দিনের পর দিন ডিপ্রেশন এর মধ্যে দিয়ে যাবে। একই পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে অনেক যায় ।
৬ মাস ১ বছর পর তুমি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যে তুমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবা ওই মানুষ গুলো আবার তোমার সাথে নাটক শুরু করবে। তখন তুমি ওদের কে রিজেক্ট করবা & পিছনে ফিরে হাসবে ওদের কে দেখে।
সবকিছুর পর তুমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করবে।
প্রতিটা দিনই মানুষ ছুটছে,,,,
রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় হাজার-লক্ষ মানুষ প্রতিদিন ছুটছে।
খুব সুক্ষ্মভাবে আমি এইসব মানুষগুলির দিকে খেয়াল করি।
তাদের ব্যাস্ততা দেখি।
ক্ষেত্র যেটাই হোক- চাকুরে, ব্যাবসায়ি, স্টুডেন্ট, পেশাজিবী, নিজ নিজ ক্ষেত্রে সকলেই ব্যাস্ত।
এদের দেখে আমার কেবলই মনে হয় এরা প্রত্যেকেই এক-একটা ঘুড়ি!
যে ঘুড়ির নাটাই নিয়ে বসে আছে দূরে কেউ। সারাদিন ঘুড়ি ইচ্ছেমত মুক্তভাবে এদিক-সেদিক উড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ঘুড়ি যতই উড়ুক, যেদিকেই ঘুরুক, বেলা শেষে নাটাইয়ের টানে ফিরে যায় শেকড়ে।
সমস্ত কলকাঠি থাকে নাটাইয়েরই হাতে।
এইসব অসংখ নাটাই লাগানো মানুষের ভিতরেও অল্পকিছু মানুষ থাকে, যাদের পেছনে কোনো নাটাই থাকেনা। সারাদিন-সারামাস-এমনকি সারাবছর পরেও কোথাও ফেরার কোনো তারা থাকে না।
কোথাও কেউ নাটাই হয়ে তাদের টান দেওয়ার কেউ থাকে না, সত্যিই থাকে না।
হৃদয়ের গহীন গোপনে একান্ত কিছু "ইচ্ছে"গুলিকে জমিয়েরাখতে রাখতে, একটা সময় ইচ্ছেরাই বোধহয় জমে যায়।
জীবনের অবিরাম গীরিখাদ পাড়ি দিতে গিয়ে, ইচ্ছেদের অনুভূতিও হয়ত ভোতা হয়ে যায়??
তখন কিছু ইচ্ছেরা হাতের খুব কাছে থাকলেও
আর তা পূরণ করতে ইচ্ছে করেনা।
এখন, প্রায়ই বিষন্ন্য বিকেলে ঝুম বৃস্টি হলেও আর ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়না।
নিজর্ন কোন শান্ত গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কোন নদীর কাছাকাছি থাকলেও, কান পেতে নদীর কলতান শোনা হয় না।
গোধূলি লগ্নে কোন নীলিমার প্রান্তের কাছাকাছি থাকলেও সব ছেড়েছুড়ে সূর্যাস্ত দেখা হয়ে উঠে না।
গভীর রাতের মাতাল করা ভরা জোছনার আনাগোনা টের পেলেও, চিৎকার মেরে রুমের বাইরে বের হওয়া আর হয় না।
ছুটে বের হয়ে উথাল-পাথাল জোছনা দেখে চোখের কোনে নোনা পানির উপস্থিতি টের পাওয়া হয় না।
তবুও বুকের কোথায় যেন ঠিকই খচখচ করে।
কেন করে???????
আজকালকার ভালোবাসাগুলোই এরকম ।
এরা জীবন দিতে পারবে, রুপকথার দেশে পাড়ি জমাতে পারবে, আরো কত কি যে করতে পারবে
তার ইয়ত্তা নেই ।
অথচ এদের যদি বলা হয় একটা তেলাপোকা চিবিয়ে খেতে, অথবা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে তখনই জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত মেয়েটিও ব্রেক-আপ করে বসবে ।
"জান তোমার জন্য আমি আকাশের চাঁদ এনে দিতে পারব ! তোমার জন্য হতে পারব সম্রাট শাহজাহান"— বেশির ভাগ রিলেশানের শুরুর ডায়ালগ এগুলো ।
কিন্তু মজার বিষয়, আকাশের চাঁদ এনে দেওয়া ছেলেটি একটিবারও বলে না,
"জান, তোমাকে আমি তিনবেলা পেটভরে ভাত খাওয়াবো !"
আমি নিশ্চিত কোন বয়ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডকে এমন কথা বলবে না, আর বললেও তার গার্লফ্রেন্ড যে নিমিষেই অন্যের আকাশের ঘুড়ি হয়ে যাবে,
তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
কিন্তু বিষয়টা এখানেই।
আবেগ আর বিবেকের পার্থক্য খুব ছোট,
কিন্তু প্রভাবটা খুব বিশাল ।
বিয়ের সময় কিন্তু বর তার বউকে বলে না,
তোমাকে আমি জ্যোৎস্নাভরা রাত এনে দেবো ।
বলে যে, "আজ থেকে আমি তোমার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিলাম !"
কারণটা কি জানেন? আকাশের চাঁদের জ্যোৎস্না আর ডিএসএলআরের লোভ দেখিয়ে, সর্বোচ্চ হলে লিটনের ফ্লাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, সারাটা জীবন অতিবাহিত করা যায় না ।
আমি বলছি না ভালোবাসা একটা ফালতু জিনিস । আমি বলছি, আমরা এই পবিত্র জিনিসটাকে দিনদিন ফালতু করে ফেলছি । প্রায়দিন বাসায় ফেরার পথে দেখি এক অন্ধ ল্যাংড়া ভিক্ষুককে তার স্ত্রী হুইল চেয়ারে করে নিয়ে বেড়িয়ে ভিক্ষা করছেন।
ভালোবাসার সংজ্ঞা পেতে চান ?
প্লিজ, দামী ফাস্টফুডে উঁকি না দিয়ে সেই মহিলাটির দিকে একটিবার তাকান ।
আমি বুকে হাত রেখে বলছি, আপনি পৃথিবীর পবিত্রতম ভালোবাসার দেখা পাবেন !
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®

.png)
No comments