Ads

গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ বোধের মোটিভেশান ৬ । #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️

গল্পচ্ছলে জীবনের আভ্যন্তরীণ বোধের মোটিভেশান ৬ ।   #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️




জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ  নির্দেশনা---১ 


১.....
যখন তুমি খুব হাসি খুশির মাঝে আছো , তখন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়া থেকে বিরত থাকো। 
কারন তখন তুমি আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিবে......।


২.... 
যখন তুমি অনেক রাগান্বিত, তখন মেজাজ কে নিয়ন্ত্রণ কর এবং শান্ত থাকার চেষ্টা করো। 
অতিরিক্ত রাগ শারিরীক ভাবে তোমাকে ক্ষতি করবে।আর রাগের সময় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না.....


৩... 
যখন একা থাকবে তখন তোমার চিন্তার লাগাম কে নিয়ন্ত্রণ রাখবে। কারন মানুষ যখন একা থাহে তখন তার মাঝে উল্টা পাল্টা চিন্তা আসে।তাই একা থাকার সময় মৃত্যু কে স্মরণ করবে....


৪.... 
যখন বন্ধুদের সাথে থাকবে তখন তোমার আবেগ এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করবে । 
কারন এতে হাসির পাএ হবে। বাসায় যে ব্যবহার করো এই ধরনের ব্যবহার করলে,
সবাই তোমাকে নিয়ে হাসবে....।


৫.... 
যখন তুমি অনেকের মাঝে থাকবে তখন তোমার আচারন ভঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাখবে। 
কারন তোমার উল্টা পাল্টা আচারন ভঙ্গি তোমাকে অন্যর কাছে ছোট করবে.....।


৬..... 
যখন তুমি কোন কাজ করবে তখন তুমি তোমার সেরাটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবে। 
অতীত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে না তখন.....।


৭..... 
যখন তোমার মন খারাপ থাকবে এটা অন্যর কাছে প্রকাশ করবে না । 
এতে তারা অনেক সময় তোমাকে হাসির পাএ তৈরি করবে। 
মনে রাখবে তুমি যদি তোমার মন ভালো না করতে পারো তাহলে অন্য কেউ পারবে না.....।


৮....... 
যখন তুমি অনেক কষ্টের মাঝে থাকবে তখন তুমি তোমার ধমী'য় কাজ করার চেষ্টা করবে। 
তোমার কষ্ট গুলো প্রভুর কাছে বলবে মনে অনেকটা শান্তি পাবে.......।

(লেখিকা :মৌনোতা জামান)



 
জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ  নির্দেশনা---২


তোমার বয়স যখন ১৮ থেকে ২১ এর মধ্যে থাকবে তুমি অনেক বন্ধু হারিয়ে ফেলবে।
তুমি অনেক ভুল করবে। তুমি ব্যর্থ হবে। তুমি নতুন করে অনেক কিছু উপলব্ধি করবে।
তুমি বাস্তবতা বুঝতে শুরু করবে। মাঝেমধ্যে তুমি নিজেকে নিজেই চিনতে পারবে না। 
তুমি অনেক কঠিন কঠিন পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে যাবে। 
হতাশা একাকীত্ব তোমাকে ছাড়তে চাইবে না।

যাদের কে এ দুনিয়ার তুমি সবচেয়ে ভালো মানুষ জানতা তারা ও তোমার বিশ্বাস ভেঙে ফেলবে।
তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। 
তারপর তুমি অনেক কান্না করবে। তুমি এমন কিছু করবা যা করার চিন্তা তুমি কখনো করোই নি। সুইচাইড করার মত ফালতু চিন্তা তোমার মাথায় আসবে।

তুমি দিনের পর দিন ডিপ্রেশন এর মধ্যে দিয়ে যাবে। একই পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে অনেক যায় । 
কোন মোটিভেশান তোমাকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। তুমি না চাইলেও তোমার ভালোবাসার মানুষ টি সাথে কাটানো সময় তোমার মনে পড়বে। আর তুমি কষ্ট পেতে থাকবে। 
কিন্তু বেশিদিন না।

৬ মাস ১ বছর পর তুমি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যে তুমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবা ওই মানুষ গুলো আবার তোমার সাথে নাটক শুরু করবে। তখন তুমি ওদের কে রিজেক্ট করবা & পিছনে ফিরে হাসবে ওদের কে দেখে।

সবকিছুর পর তুমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করবে। 
তুমি তারপর থেকে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবা। জীবন তোমাকে একটু কষ্ট দিবে কারণ নাহলে তুমি পৃথিবীর আসল রুপ চিনতে পারবে না। 

তোমাকে হতাশ হলে হবে না।আসলেই ১৮-২১ বয়সটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। 
যার এই সময়টা সঠিক ভাবে কাটে সে জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারে।
তবে যে নিজেকে ভাঙতে পারে সে নিজেকে গড়তেও পারে। 

"মায়াবতী" সে তো থাকে আমাদের মত ছেলেদের ক্ষনিকের সাক্ষী। 
বিধাতার নিকট একটাই চাওয়া। সময়ে সাথে সাথে পাল্টে যাওয়া - 
বিবেকহীন মানুষ গুলো যেন সব সময় ভালো থাকে।




প্রতিটা দিনই মানুষ ছুটছে,,,,


রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় হাজার-লক্ষ মানুষ প্রতিদিন ছুটছে। 

খুব সুক্ষ্মভাবে আমি এইসব মানুষগুলির দিকে খেয়াল করি। 

তাদের ব্যাস্ততা দেখি।

ক্ষেত্র যেটাই হোক- চাকুরে, ব্যাবসায়ি, স্টুডেন্ট, পেশাজিবী, নিজ নিজ ক্ষেত্রে সকলেই ব্যাস্ত।

এদের দেখে আমার কেবলই মনে হয় এরা প্রত্যেকেই এক-একটা ঘুড়ি!

যে ঘুড়ির নাটাই নিয়ে বসে আছে দূরে কেউ। সারাদিন ঘুড়ি ইচ্ছেমত মুক্তভাবে  এদিক-সেদিক উড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ঘুড়ি যতই উড়ুক, যেদিকেই ঘুরুক, বেলা শেষে নাটাইয়ের টানে ফিরে যায় শেকড়ে।

সমস্ত কলকাঠি থাকে নাটাইয়েরই হাতে।


এইসব অসংখ নাটাই লাগানো মানুষের ভিতরেও অল্পকিছু মানুষ থাকে, যাদের পেছনে কোনো নাটাই থাকেনা। সারাদিন-সারামাস-এমনকি সারাবছর পরেও কোথাও ফেরার কোনো তারা থাকে না।

কোথাও কেউ নাটাই হয়ে তাদের টান দেওয়ার কেউ থাকে না, সত্যিই থাকে না।




হৃদয়ের গহীন গোপনে

হৃদয়ের গহীন গোপনে একান্ত কিছু "ইচ্ছে"গুলিকে জমিয়েরাখতে রাখতে, একটা সময় ইচ্ছেরাই বোধহয় জমে যায়।  

জীবনের অবিরাম গীরিখাদ পাড়ি দিতে গিয়ে, ইচ্ছেদের অনুভূতিও হয়ত ভোতা হয়ে যায়??

তখন কিছু ইচ্ছেরা হাতের খুব কাছে থাকলেও 

আর তা পূরণ করতে ইচ্ছে করেনা।


এখন,  প্রায়ই বিষন্ন্য বিকেলে ঝুম বৃস্টি হলেও আর ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়না। 

নিজর্ন কোন শান্ত গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কোন নদীর কাছাকাছি থাকলেও, কান পেতে নদীর কলতান শোনা হয় না।

গোধূলি লগ্নে কোন নীলিমার প্রান্তের কাছাকাছি থাকলেও সব ছেড়েছুড়ে সূর্যাস্ত দেখা হয়ে উঠে না।

গভীর রাতের মাতাল করা ভরা জোছনার আনাগোনা টের পেলেও, চিৎকার মেরে রুমের বাইরে বের হওয়া আর হয় না।


ছুটে বের হয়ে উথাল-পাথাল জোছনা দেখে চোখের কোনে নোনা পানির উপস্থিতি টের পাওয়া হয় না।

তবুও বুকের কোথায় যেন ঠিকই খচখচ করে।

কেন করে???????




আজকালকার ভালোবাসাগুলো

আজকালকার ভালোবাসাগুলোই এরকম । 

এরা জীবন দিতে পারবে, রুপকথার দেশে পাড়ি জমাতে পারবে, আরো কত কি যে করতে পারবে 

তার ইয়ত্তা নেই । 

অথচ এদের যদি বলা হয় একটা তেলাপোকা চিবিয়ে খেতে, অথবা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে তখনই জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত মেয়েটিও ব্রেক-আপ করে বসবে । 


"জান তোমার জন্য আমি আকাশের চাঁদ এনে দিতে পারব ! তোমার জন্য হতে পারব সম্রাট শাহজাহান"— বেশির ভাগ রিলেশানের শুরুর ডায়ালগ এগুলো । 

কিন্তু মজার বিষয়, আকাশের চাঁদ এনে দেওয়া ছেলেটি একটিবারও বলে না, 

"জান, তোমাকে আমি তিনবেলা পেটভরে ভাত খাওয়াবো !" 

আমি নিশ্চিত কোন বয়ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডকে এমন কথা বলবে না, আর বললেও তার গার্লফ্রেন্ড যে নিমিষেই অন্যের আকাশের ঘুড়ি হয়ে যাবে, 

তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । 


কিন্তু বিষয়টা এখানেই।

আবেগ আর বিবেকের পার্থক্য খুব ছোট, 

কিন্তু প্রভাবটা খুব বিশাল । 

বিয়ের সময় কিন্তু বর তার বউকে বলে না, 

তোমাকে আমি জ্যোৎস্নাভরা রাত এনে দেবো । 

বলে যে, "আজ থেকে আমি তোমার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিলাম !" 

কারণটা কি জানেন? আকাশের চাঁদের জ্যোৎস্না আর ডিএসএলআরের লোভ দেখিয়ে, সর্বোচ্চ হলে লিটনের ফ্লাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, সারাটা জীবন অতিবাহিত করা যায় না ।


আমি বলছি না ভালোবাসা একটা ফালতু জিনিস । আমি বলছি, আমরা এই পবিত্র জিনিসটাকে দিনদিন ফালতু করে ফেলছি । প্রায়দিন বাসায় ফেরার পথে দেখি এক অন্ধ ল্যাংড়া ভিক্ষুককে তার স্ত্রী হুইল চেয়ারে করে নিয়ে বেড়িয়ে ভিক্ষা করছেন।


ভালোবাসার সংজ্ঞা পেতে চান ? 

প্লিজ, দামী ফাস্টফুডে উঁকি না দিয়ে সেই মহিলাটির দিকে একটিবার তাকান । 

আমি বুকে হাত রেখে বলছি, আপনি পৃথিবীর পবিত্রতম ভালোবাসার দেখা পাবেন !




 ধন্যবাদান্তেঃ------

মওদুদ আহমেদ মধু 

#_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®


No comments

Powered by Blogger.