ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ভয়ংকর শত্রুর ব্যাখ্যা। @মিঃ মধু
ভয়ংকর_শত্রু,,,
শব্দটা শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে বিদঘুটে একটা মূর্তিমান আতংকের প্রতিচ্ছবি। যার হাতে অস্ত্র, বিকৃত মুখ, পরনে থাকবে জবড়জং পোশাক।
হ্যাঁ একদমই তাই।
কিন্তু, মজার বিষয় এই ধরনের শত্রু খুব বেশী ক্ষতি করতে পারে না, অথবা করার ক্ষমতা রাখে না।
এরা বড়জোড় কাউকে ধুম করে মেরে ফেলতে পারে, আহত করে শরীরের কোনো অঙ্গহানি করতে পারে।
আহত হৃদয় ছিন্নভিন্ন করে করে, জীবিত লাশ বানানোর ক্ষমতা এইসব ভয়ংকর শত্রুদের একদমই থাকেনা। একমাত্র কাছের মানুষের দ্বারাই এটা সম্ভব।
একটা সময় যার সাথে হয়তো একই প্লেটে খাওয়া হতো, একই রিক্সায় চড়া হতো। পড়ন্ত বিকেলে হাতে হাত রেখে পশ্চিমের আকাশের রক্তিম আভায় ভেসে যাওয়া হতো। যে ছাড়া বৃষ্টির দিনগুলোতে বড় অসহায় লাগতো। জোছনা গভীর রাতে যার জন্য হৃদয় হুহু করতো। আনন্দের দিন, বিশেষ দিনে যার বা যাদের উপস্থিতি ছাড়া পূর্ণতা পেত না।
ভয়ংকর শত্রুর আবির্ভাব ঘটে এদের মধ্যে থেকেই।
জীবনের সমস্ত ত্যাগ বিসর্জন দিয়ে যাকে বা যাদেরকে ভালো রাখা হয়, আগলে রাখা হয়। দুর্যোগ দুর্ঘটনায় ছায়া দেওয়া হয়, সময়ের পরিবর্তনে তাদের ভিতর থেকেই উঠে আসে সেই অদৃশ্য ভয়ংকর শত্রু।
দীর্ঘ সময় হৃদয়ের খুব কাছাকাছি যাতায়াত থাকায়, হৃদয়ের অলিগলি তার জানা হয়ে যায়। অনুভূতি অভিব্যক্তি পড়া হয়ে যায়। অক্ষমতা-সক্ষমতার ব্যবধানটুকু মুখস্ত হয়ে যায়। ফলে প্রয়োজন ফুরালে মোক্ষম আঘাতটা করার জন্য হাতে মারণাস্ত্র, বিকৃত মুখ, ও জবড়জং পোশাকের দরকার পড়ে না।
অতি সহজে এবং অবলীলায় তা করতে পারে।
আঘাত সহজে করা হলেও এর বিপর্যয় হয় মারাত্মক।
কেউ কেউ তো বেঁচে থেকেও চিরতরে মরে যায়।
No comments