মোটিভেশানাল টাইপের দুইটি খন্ড প্রবন্ধ। #_মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা®️
=
গম্ভীর মানুষ অল্পতেই রেগে যায়। কিন্তু, তাদের মনটা নরম হয়। তাদের ভালোবাসা নিখাঁদ হয়।
খারাপের মধ্যে শুধু তারা বদরাগী, এই যা।
ইহা পুরোনো কেচ্ছা।
নতুন কথা হলো,,, বদরাগী মানুষের মধ্যে কেউ কেউ পুরোনো খোলশ ঝেড়ে ফেলে,
সময়ের প্রয়োজনের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে নিজেকে নবরূপে সাজিয়েছে।
এরা এখন কথায় কথায় রাগে না, মুখ গম্ভীর করে থাকে না। ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদা অ পাত্রে আর প্রকাশ করে না। তারা এখন কারনে-অকারনে হাসতে চেস্টা করে। সকলের সাথে যেচে আলাপের জন্য এগিয়ে যায়। উপরে উপরে খুব কায়দা করে ভালোমানুষি একটা রূপ ধরে রাখার অভিনয়ে ব্যস্ত থাকে!
আগে যা ছিলো ভেতরে লুকানো, তা এখন প্রকাশ্যে আনছে। যা ছিলো প্রকাশ্যে, তাহা নিয়ে গেছে ভিতরে।
আত্মমর্যাদা ব্যক্তিত্ব ঠিকই রয়ে গেছে, তবে উপরের অভিনয়ের দ্বারা মানুষ নামের কিছু অবিবেচককে ধরাশায়ী করার পরই তা প্রকাশ পাচ্ছে।
কথায় আছে না, মানুষ ঠকে এবং ঠেকে শিখে।
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সমাজে মা-বাবার সাথে সন্তানদের ছিলো এক আকাশ অদৃশ্য দূরত্ব। বেশীরভাগ মা-বাবা'ই সন্তানদের হৃদয়ের ভাষা পড়তে পারতেন না! আবার কে জানে হয়তো পড়তে পারলেও অজানা আতংকে তা আমলে নিতেন না।
ফলে কোনো কোনো সন্তান সাধারণত বড় ধরনের একটা শূন্যতা নিয়েই জীবনের পথে এগোয়।
জগতের সবথেকে বড় নির্ভরযোগ্য আপনদের কাছে থেকে, সবচেয়ে বেশী অনির্ভরতা অনুভব করার চেয়ে বড় শূন্যতা আর কিছুতে হয়না।
এতে করে এইসব সন্তানদের সকলের জীবন-ই যে এলোমেলো হয়েছে! তা নয়। কিন্তু, কারও কারও জীবন সত্যিই এলোমেলো হয়েছে।
এই শূন্যতা কারও কারও কৈশোরের মনোজগতে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে কোনোকালে কোনোকিছু দিয়েই তা আর পূরণ হয়নি।
No comments