টুকরো গল্পের মোটিভেশান @মিঃ মধু
কোনোকিছুকে কাছে পাওয়ার থেকে,কাছে না পাওয়ার মধ্যে ভিন্ন এক ধরনের প্রাপ্তি আছে। এই প্রাপ্তি সাদা চোখে হয়তো দেখা যায় না। কিন্তু, তীব্রভাবে উপলব্ধি করা যায়।জীবনের পথে অন্যরকম এক সুখানুভূতি এনে দেয়। জীবনের সঠিক রূপ দেখিয়ে দেয়, চিনিয়ে দেয়।
অস্থির হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ বা সংশোধন করতে চাইলে, সেখানে প্রতিকার আসে না। যা আসে তা হলো,, বিপরীত দিকের মানুষটার বিতৃষ্ণা, ঘৃণা, অবজ্ঞা। বরং আশা ছেড়ে ধৈর্য্য ধরে মেনে নিলে,, সময়ের পরিক্রমায় এই ধৈর্য্য মহিরুহ আকারে প্রতিকার হয়ে ফিরে আসে।
অস্থিরতায় কখনই কিছু অর্জন হয় না।ধৈর্য একাগ্রতায় অবশ্যই কিছু না কিছু অর্জন হবেই। জীবনের পথে সাধারণ একটা মন্ত্র এটা।ক্ষেত্র বিশেষ অজ্ঞ' কম বুদ্ধির মানুষও এটা বোঝে।আবার, কিছু ক্ষেত্রে অতি জ্ঞানী, অতি বিচক্ষণেরা এই সহজ ব্যাপারটা বুঝেও বুঝতে পারে না।
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর। মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।সুতরাং মানুষই দেবতা! এই মানুষই আবার শয়তান।দেবতা বা বিধাতা আলাদা কোথাও বসে থাকে না। মানুষের হৃদয়ের অতি কাছেই তার বাস। দেবতার সাথে যার মধুর সম্পর্ক থাকে অন্তস্থলে, সে তো দেবতারই নামান্তর।
জঙ্গল ভরা নানান বাহারি গাছ-গাছালি।মাটির কাচাঁ রাস্তার বাকেঁ বাকেঁ হরেক মায়াজাল ।সাদা চোখে এসবের সবই আমরা সাদা দেখি ।আসলে কি সবই সাধারন ? আমার তা মনে হয় না ।আমার মনে হয়, মানুষের সমস্ত আনন্দ বেদনা'র সবটুকুই এদের কাছে জমা থাকে। খালি চোখে আমরা তা দেখতে পাই না। যখন প্রয়োজন হয়, তখন চাহিদা মতো তুলে নেয়। আমি মাঝে মাঝে আমার জমাটুকু থেকে কিছু কিছু তুলে নেই।
স্ব জ্ঞানে, সুস্থ চিত্তে কারো ঘর অতি নিখুঁতভাবে ভেঙ্গে দিয়ে একটা সময় নিজের জীবনে ঘর বাঁধার প্রয়োজন হয়! তখন, প্রবল আকুতিতে প্রার্থনা করে "তার ঘর যেনো চিরকাল অটুট থাকে"!!! বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, আসলে মানুষ সব'ই পারে! নৈতিক-অনৈতিক, মানবিক-অমানবিক, মন্দ-শুদ্ধ সব মানুষেরই কর্মকাণ্ড। মানুষ ব্যাতিত অন্য কোনো প্রানীর কান্ড এগুলো নয়।
মানুষের জীবন কখনও চিন্তাশুন্য হয়না। কোনো না কোনো চিন্তা মানুষকে ঘিরে থাকবেই। এক চিন্তা ফুরালে আরেক চিন্তা এসে শুন্যতা পূরন করে। চিন্তা যেমন আতংকের হয়, হতাশা বিষাদ গ্লানির ভয়ে হয়।তেমনি চিন্তাই আবার মানুষকে স্বপ্ন দেখায়, আশা জাগায়, সুখে ভাসায়, হৃদয়কে হাসায়।প্রকৃতির খেয়ালে এমনটা চলতেই থাকবে।
ভালোবাসা, হৃদ্যতা, মোহমায়ার পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ ঘটে একমাত্র একজন আরেকজনকে ছেড়ে যাওয়ার সময়।মানুষ মানুষকে সবচেয়ে বেশি আঁকড়ে ধরে...এই সময়টাতেই।যখন সে নিশ্চিত জেনে যায়, বাঁধন ছিন্ন অনিবার্য। চলে যেতেই হবে বহুদুরে অষ্পর্শ্যে অদৃশ্যে।একত্রে থাকাকালীন আকঁড়ে থাকার এই তিব্রতা বজায় থাকলে, বিষাদের কাব্যের দেখা পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়তো।
.jpg)

.jpg) 
.jpg) 
.jpg) 
.png)
No comments