গল্পে গল্পে গল্পচ্ছলে টুকরো মোটিভেশান @মিঃ মধু
মানুষ চাইলেই খুব সহজে বদলে যেতে পারে,, অথবা সময়ের প্রয়োজনে বদলে যায়ও।শুধু বদলায় না কিছু নীলাভ অভ্যাস, সে পেছনেই পড়ে থাকে।দীর্ঘ সময়ের গড়ে উঠা অভ্যাস হঠাৎ হঠাৎই নিজের অজান্তেই সামনে এসে যায়, বুকের ভিতরে একটা ধ্বাক্কা দিয়ে আবার মিলিয়ে যায়। নীলাভ অভ্যাসগুলো বদলানো গেলে বিষন্ন রাতগুলি আর ফিরে আসতো না।
পথের সিমানা নির্ধারিত। এক পা এক পা করে সিমানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সিমানা'টা ঠিক কোন পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে, প্রকৃতি কাউকেই তা জানাতে মোটেই ইচ্ছুক নয়। বেশীরভাগ জনই সেটা জানতেও আগ্রহী নয়। কিন্তু, আমার খুব ইচ্ছে করে জানতে "কোথায় শেষ সিমানা"?? জানতে অবশ্য না পারলেও অধীর আগ্রহ নিয়ে, প্রত্যেক'টি বর্তমানের ঠিক পরের মুহূর্তটিকেই আমি, "সেই শেষ সিমানা" ধরে নিই। আমার অদ্ভুত এক ধরনের ভালোলাগা অনুভব হয় এতে।
মানুষের কাজই হল মায়ার জন্ম দেয়া। প্রতিটা জিনিসের জন্যই, যার সাথে এক মুহূর্তও আপনি কাটাবেন সেটার জন্যও আপনার আলাদা করে অনুভূতি সৃষ্টি শুরু হবে..। পরার জামাটা থেকে শুরু করে প্রতিদিন রাস্তায় দেখা ভিক্ষুকটাও আপনার মায়ার গণ্ডির ভেতরেই.. হয়তো সেটা আপনার অজান্তে!এই মায়া জিনিসটা ছোটখাটো সাধারণ ব্যাপারেও আপনাকে কাঁদাবে আবার আপনার মাঝে সুখের অনুভূতি জাগাবে.. কিন্তু এমন আজন্ম মায়ার বাঁধনও ছিন্ন হয়ে যায় কারণে অকারণে!!
একটা সম্পর্কের মাঝে যদি কোন একজনের কম অভিমান থাকে। অথবা, একেবারেই কোন অভিমান না থাকে। বুঝতে হবে উক্ত মানুষটি আসলে মুখোষধারী পিশাচ। সে আপনার ঘারের উপড় বসে আছে মোক্ষম কোন একটা সুযোগের অপেক্ষায়। আর এটা সে করছে, আপনাকে সে ভালবাসেনা বলেই। ভালবাসলে অবশ্যই তার অভিমান থাকতো।অভিমান তো আসলে ভালবাসা থেকেই আসে। ঘন_ঘন_অভিমান_সেই_করে_যে_প্রচন্ড_ভালবাসতে_পারে।
একজন নর বা নারী একে অন্যের প্রেমে পড়ে সাধারণত---একটি বা দুটি বিশেষ ভাললাগার ঘোরের মূহুর্ত দেখে। প্রেমে পড়া মানুষটি ভেবে নেয়, যার প্রেমে সে পড়েছে, "শুধুমাত্র এরকম কয়েকটা ভাললাগার উপকরন দিয়েই তার বাকি জীবন সাজানো"!! এর বাইরে সে কিছু ভাবতে পারেনা, ভাবতে চায়ও না। হোচট খায় তখনই, একসাথে কিছুদিন থাকার পর যখন দেখতে পায় ঘোরের মধ্যে থেকে দেখা সেই ভাললাগার মূহুর্তগুলির বাইরেও হাজার-লক্ষ ধরনের মূহুর্ত ঐ মানুষটার মধ্যে বিদ্যমান। এবং বেশ জড়েসোড়েই বিদ্যমান।
"আমরা এমন মানুষের কাছ থেকে কিছু একটা পাওয়ার আশা করি, যে মানুষটার আসলে কিছু দেয়ার ইচ্ছা নেই ... এই মিথ্যে আশাটাই ভেঙ্গেচুরে যায় দিনশেষে !!মানুষটা কষ্ট দেয় না, কষ্ট দেয় একপাক্ষিক অনুভূতিটা !! যে মানুষটা কখনোই আসবে না, তার জন্য অপেক্ষাটা অসীম ... যে অপেক্ষার কোন শেষ নেই, সেই অপেক্ষা শুরু করাটাই ভুল !!ভুল মানুষের জন্য অনিঃশেষ অপেক্ষাটা যত দীর্ঘ হয়, কষ্টের তীব্রতাও ততই বাড়তে থাকে !! কোন একদিন তাই বুকে পাথর চেপে সব ভালোবাসা ভুলে নিজ হাতে গড়া সবকিছু ভেঙ্গেচুরে শেষ করে দিয়ে সরে আসতে হয় ... বাধ্য হয়ে সরে আসতে হয় !!
বেলা শেষে জীবনের কোনো এক সময়,,, প্রত্যেক পরিনত পুরুষেরই একজন নারীর মায়াময় শীতল ষ্পর্শের প্রয়োজন হয়তো অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়! তার সঙ্গের বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়!!সঙ্গীর হয়তো করনীয় কিছুই নাই,, তবু পাশে কেউ একজন ছায়ার মতো আছে,,, এটাই বিরাট একটা ভরসা জোগায়। নির্ভার রাখে।মাঝে মাঝে মন একটু টালমাটাল করে, একটু ভ্রান্তি আমায় ঘিরে ধরে। চারপাশের সকলেই যে এ দলেরই। আমার দলে আমি শুধু একাই। তারপরেও এগোই,, কাউকে না কাউকে তো জীবনের বড় কোনো অপ্রাপ্তির স্বাদ নিতেই হয়। সকলে যা এড়িয়ে যায়,, তা গ্রহন করার মধ্যে অন্য এক প্রাপ্তি আছে।
.jpg)

.jpg) 
.jpg) 
.jpg) 
.png)
No comments