Ads

আজকের দিনের সবচেয়ে রহস্যজনক ঘটনা কোনটি?

আজকের দিনের সবচেয়ে রহস্যজনক ঘটনা কোনটি?

আপনি কি জানেন পৃথীবিতে এমন একটি এক্সপেরিমেন্ট হয়েছিলো যেখানে আস্ত জাহাজ টেলিপোর্ট করে ২০০ মাইল দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো!

  • ১৯৪৩ সালের অক্টোবর মাস। চারিদিকে বাজছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ২ বছর হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড এক জলযুদ্ধ চলছে আমেরিকান ডেস্ট্রয়ার আর নাৎসিদের বিখ্যাত ইউ-বোট সাবমেরিনগুলোর মধ্যে।
  • যুদ্ধে জয়ী হতে মরিয়া মার্কিন সরকার তাই করতে যাচ্ছে আশ্চর্য এক পরীক্ষা। শত্রুর চোখে ফাঁকি দিয়ে জাহাজ উধাও করার পরীক্ষা।
  • ২৮ অক্টোবর, ১৯৪৩। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া নেভাল শিপইয়ার্ডে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ইউএস নেভির ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস এল্ড্রিজ। উদ্দেশ্য জাহাজটিকে অদৃশ্য করে দিয়ে টেলিপোর্টের মাধ্যমে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়া।
  • শুরু হল পরীক্ষা, রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা, এরপরই ঘটে গেল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। মুহূর্তের মধ্যে কয়েকজন নাবিককে নিয়ে উধাও হয়ে গেল ডেস্ট্রয়ারটি।
  • শুধু তা-ই না, টেলিপোর্টের (বিজ্ঞানের ভাষায় টেলিপোর্ট অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বস্তুকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতে পাঠিয়ে দেয়া) মাধ্যমে গিয়ে পৌঁছাল ২০০ মাইল দূরে ভার্জিনিয়ার নরফোক নেভাল শিপইয়ার্ডে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুনরায় ফিরে আসলো ফিলাডেলফিয়াতে।
  • আর জন্ম হল নতুন এক রহস্যের, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বা কন্সপিরেসি থিওরির। শোনা যায়, এই পরীক্ষায় সাহায্য নেয়া হয়েছিল আইনস্টাইনের ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরির। আর ইতিহাসে এই রহস্যময় তথাকথিত পরীক্ষার নাম ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট।
  • শোনা যায়, এই এক্সপেরিমেন্টের জন্য সাহায্য নেয়া হয়েছিল আইনস্টাইনের ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরির। মজার ব্যাপার হল, আইনস্টাইন নিজেই কখনো এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখাতে পারেন নি, এমনকি এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানীই তা পারেন নি। কিন্তু সেই তত্ত্বেরই সাহায্য নেয়া হয় এই পরীক্ষায়।
  • তত্ত্বটি হল, এমন কোনো ক্ষেত্র যদি তৈরী করা সম্ভব হয় যেখানে আলো ঢুকতেও পারবে না বা বেরোতেও পারবে না, তাহলে সেই স্থানের সময়কে আটকে দেয়া সম্ভব। এবং সেখানে অভিকর্ষ বা মহাকর্ষের প্রভাবও থাকবে না।
  • তত্ত্বটি যতটা অদ্ভুত, ফিলাডেলফিয়ার পরীক্ষাটিও ঠিক তার থেকে বেশিই অদ্ভুত। সেদিন যুদ্ধজাহাজ ডেস্ট্রয়ার এল্ড্রিজকে টেসলা কয়েল দিয়ে জড়িয়ে প্রচুর উচ্চ বিভবের বিদ্যুৎ পরিবাহিত করা হয় একটি বড় বৈদ্যুতিক জেনারেটর থেকে।
  • উদ্দেশ্য ছিল জাহাজের চারপাশে প্রচুর শক্তিসম্পন্ন একটি চুম্বকক্ষেত্র তৈরী করা, এবং তৈরী হয়ও। আর ফলাফল যেন বাস্তবতাকে হার মানিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পগল্পের জগতে প্রবেশ করে।
  • ধীরে ধীরে গায়েব হয়ে যায় এল্ড্রিজ। কিন্তু প্রায় দশ সেকেন্ড পরেই পুনরায় ফেরত আসে ফিলাডেলফিয়ার সেই শিপইয়ার্ডেই। শোনা যায়, সেই দশ সেকেন্ড জাহাজটি ভার্জিনিয়ার নরফোকের নেভাল শিপইয়ার্ডে দেখা গিয়েছিল।
  • কিন্তু জাহাজের মতো জড়বস্তুর টেলিপোর্ট ঠিকঠাকভাবে হলেও জীব অর্থাৎ মানুষের বেলায় তা ভাল ফল বয়ে আনেনি। যতজন নাবিক পরীক্ষা শুরুর সময় গায়েব হয়েছিলেন, জাহাজ পুনরায় ফিরে আসার পর তাদের কয়েকজনকে পাওয়া যায়নি আর কখনোই।
  • যারা ফিরে এসেছিলেন তাদের কেউ আবার পাগল হয়ে গিয়েছিলেন, কেউ হয়েছিলেন অদ্ভুত সব ক্ষমতার অধিকারী, কারো আবার পা গলে গিয়ে ডেকের সাথে লেগে গিয়েছিল!

তথ্যসূত্রঃ রোয়ার মিডিয়া


ধন্যবাদান্তেঃ---"মিঃ মধু"
আরও বিস্তারিত জানতে চেক করুন "অদৃশ্য কাব্য" মঞ্চ। 

No comments

Powered by Blogger.