দুর্ঘটনায় কুরআন পুড়ে না কেন?
দুর্ঘটনায় কুরআন পুড়ে না কেন?
একদম প্রথমেই বলে নিই যে, প্রিন্টে সমস্যা থাকলে বা অন্য কোনো সমস্যাযুক্ত কুরআন নষ্ট/ডিস্পোজ করার নিয়ম হিসেবে মুসলিম কান্ট্রিগুলোতে কাপড়ে মুড়িয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা, পুড়িয়ে ফেলা ইত্যাদি উপায় ব্যবহার করা হয়। সৌদিতেই সমস্যাযুক্ত কুরআনগুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
তার মানে নিশ্চয়ই কুরআন পুড়ানো যায়, এজন্যই পুড়িয়ে নষ্ট করার পদ্ধতি ব্যবহার হয়। বাকি ধর্মগ্রন্থও পুড়ানো যায়, এই কারণেই ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়ানোর অভিযোগে বেশকিছু দাঙ্গাও দেখা গিয়েছে পূর্বে।
এবার আসি দুর্ঘটনায় কেন পুড়ে না বা স্পেসেফিক্যালি বললে কেন ‘সহজে পুড়ে না’।
- ১) কুরআন ও অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো বেশ মোটা বই। যেকোনো মোটা বইয়ের ভিতরের দিকে বাতাসের সার্কুলেশন কম থাকে। তাই অক্সিজেনও কম থাকে। কাগজ অতো ভালো তাপ পরিবাহী-ও না। তাই বাইরের দিকে আগুন লাগলেও একটু পরেই নিভে যায়। তাই দুর্ঘটনায় প্রাপ্ত বইগুলোর উপরে ও সাইডে পোড়া দেখা যায়।
- ২) ধর্মগ্রন্থগুলো মোটা মলাটে বক্সে বা শেলফে সংরক্ষণ করা হয় সাধারণত। এতেও আগুন লাগার সম্ভাবনা কমে। মোটা মলাটের কারণে আগুন সহজে পেইজ অবধি পৌছাতে পারে না।
- ৩) বেশিরভাগ মানুষেরই দোকান বা বাসাবাড়িতে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ থাকে, অন্য কোনো মোটা বই না থাকলেও। কুরআন ও অন্য ধর্মগ্রন্থের মাঝের দিকের পেইজ না পোড়ার খবর বেশি হাইলাইটেড হয় ধর্মীয় আবেগজনিত কারণে। বাকি কোনো মোটা বই অক্ষত (মাঝেরদিকের পেইজ) থাকলেও তাকে কেউ গোণায় ধরে না।
- ৪) ধর্মগ্রন্থগুলার অক্ষত অবস্থায় থাকার নিউজগুলায় সাধারণত মাঝের দিকের পেইজ দেখিয়ে হাইলাইট করা হয়। উপরের পুড়ে যাওয়া বা সাইডের পোড়া পেইজগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বা ধর্মীয় আবেগজনিত কারণে ইগ্নোর করা হয়।
আরও পড়ুনঃ—
ধন্যবাদান্তেঃ— "মিঃ মধু" …..
No comments