আপনার জীবন বদলে দেওয়া কিছু দার্শনিক উক্তি কি? এবং আরও তিনটি কঠিন প্রশ্নের জবাব।
যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জানতে পারবেনঃ----
ক) আপনার জীবন বদলে দেওয়া কিছু দার্শনিক উক্তি কোনগুলি?
খ) আজ আপনার জন্য সব থেকে ভালো উপদেশ কি?
গ) কোন ১০টি জিনিস আপনার কখনও করা উচিত নয়?
ঘ) মানুষের চিন্তাভাবনা নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করে কিভাবে?
গুগল নিউজে ফলো করুন "অদৃশ্য কাব্য (মিঃ মধু)
(ক) আপনার জীবন বদলে দেওয়া কিছু দার্শনিক উক্তি কোনগুলি?
সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।
২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।
৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।
৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।
৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর।
৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।
৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।
১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।
১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।
২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।
২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।
২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন…।
(খ) আজ আপনার জন্য সব থেকে ভালো উপদেশ কি?
মাঝরাতে ছেলেটা আমাকে মেসেজ দিয়ে বললো " ২৫ ডজন চুড়ি, ০৫ টা শাড়ি, ০৫ টা থ্রি পিছ, ০৫ জোড়া জুতা আরো অনেক কিছু অর্ডার করতে চাই। আপনি কি ঠিকমতো পৌঁছে দিতে পারবেন? "
আমি অবাক হয়ে গেলাম। সবেমাত্র কিছুদিন আগে থেকে শুরু করেছি আমার অনলাইনের এই ছোট্ট বিজনেস। কিছু কিছু গ্রুপের মধ্যে টুকটাক পোস্ট করি। কিন্তু এই লোকটা যে পরিমাণ লিস্ট দিয়েছে তাতে কমপক্ষে ত্রিশ হাজার টাকার শপিং হবে।
আমি বললাম " ভাইয়া সবটাই যোগাড় করে দিতে পারবো, আপনার কবে নাগাদ লাগবে? "
" আমার হাতে বারো দিন সময় আছে, আপনি সেই বারো দিনের মধ্যে সংগ্রহ করবেন। সবকিছু হিসাব করে দামটা বলেন। আমি আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দেবো। "
এবার আরেকটু ভাবনা বেড়ে গেল। এতগুলো টাকা তিনি অগ্রিম দিতে চাইছেন। একদিকে যেমন ভাবছি, অন্যদিকে তেমন আনন্দ হচ্ছে। চোখ ভর্তি ঘুম ছিল, সব ঘুম হারিয়ে গেছে। আবার হঠাৎ করে মনে হলো কেউ ফাজলামো করে না তো। এমনও হতে পারে যে সবকিছু বলে তারপর আর নিবে না।
বললাম " ঠিক আছে ভাইয়া, আমি আপনাকে সম্পুর্ন খরচের লিস্ট দিচ্ছি। "
" ঠিক আছে তাড়াতাড়ি করবেন, গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন উপলক্ষে গিফট করবো। "
আমি সবকিছুর হিসাব করলাম। কিছু কিছুর দাম জানা নেই সেগুলোও জেনে ও আনুমানিক ভাবে হিসাব দিলাম। সবমিলিয়ে মোট তেত্রিশ হাজার সাতশো সত্তুর টাকা হলো।
লোকটা আমার বিকাশ নাম্বার নিয়ে পঁচিশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলেন। তারপর মেসেজ দিয়ে বললেন " বাকিটা আগামীকাল দেবো, আজকে আর পাঠানো যাবে না। আপনি সবগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করবেন।
" ঠিক আছে ভাইয়া, কিন্তু ঠিকানা? "
" ঠিকানা দেবো, আগে সংগ্রহ করেন। তাছাড়া লিস্টে আরো কিছু এড হতে পারে। আপনি সব সংগ্রহ করে আমাকে বলবেন। আর আমি পঁচিশটা চিরকুট দেবো, আপনি সেগুলো আলাদা আলাদা কাগজে লিখবেন। "
" ঠিক আছে। "
" আরেকটা কথা, আমার পরিচিত একজনের কাছ থেকে আপনার কথা জেনেছি। তাই আপনার কাছে সব অর্ডার দিলাম। তাছাড়া আমিও খুলনার মানুষ, আপনি আমি একই শহরের মানুষ। "
" কে সে? "
" তেমন কেউ না, বাদ দেন। "
" আচ্ছা। "
লোকটা শুভরাত্রি বলে অফলাইন হয়ে গেল। আমি আমার আইডি দিয়ে তার আইডির ভিতর গেলাম। অনেকটা কৌতূহল নিয়েই গেলাম। যিনি তার প্রিয়জনের জন্মদিনে এতকিছু দিচ্ছেন তার প্রতি কৌতূহল হতেই পারে।
অনেক পোস্ট আর পিকচার আপলোড দেখলাম। একটা মেয়ের হাতে হাত রেখে, পিছন থেকে ও মেয়েটা হিজাব পরিধান করা অবস্থায় কিছু ছবি আছে। বুঝতে পারলাম এটাই সেই মেয়ে। সম্ভব বারো দিন পরে তার তার পঁচিশতম জন্মদিন।
এদিকে আমি তেইশ বছরের হয়েও আজ পর্যন্ত কোনো মনের মতো কাউকে পেলাম না। অনেক ছেলে প্রপোজ করেছে কিন্তু তাদের কারো প্রতি নিজের দিক থেকে অনুভূতি আসেনি।
পরদিন সকালে দুটো বান্ধবীকে নিয়ে মার্কেটে গেলাম। প্রায় চার ঘন্টা ঘোরাঘুরি করে ৮০℅ কেনাকাটা হয়ে গেল। কিছু কসমেটিকস বাকি আছে সেগুলো বসুন্ধরা অথবা যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে নিতে হবে।
সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আরো দশ হাজার টাকা বিকাশে এলো৷ ১২৩০ টাকা বেশি এসেছে। একটু পরে সেই লোকটা মেসেজ দিয়ে বললো,
" আপনি সবকিছু কিনে ফেলুন। পরশু আমার অফিস বন্ধ, সেদিন আমি চিরকুট লিখে দেবো। আপনি এরমধ্যে কিনে নিয়ে সবকিছু আলাদা আলাদা প্যাকেট করবেন। "
" ভাইয়া, যেগুলো প্রিন্ট ডিজাইন করার জন্য দিয়েছেন সেগুলো তিনদিন পরে পাবো! "
" সমস্যা নেই হাতে তো সময় আছে। "
" আপনি কিছু টাকা বেশি দিয়েছেন। "
" ওটা আপনার আলাদা প্যাকেট করার জন্য। "
" ওকে, তাহলে আপনি দ্রুত চিরকুটের জন্য লেখা পাঠিয়ে দেন। আমি আজকে রঙিন কাগজ নিয়ে এসেছি। "
" খুব ভালো, খুব ভালো। "
ছেলেটা অতিরিক্ত কোনো কথা বলে নাই। আমার নামটাও জিজ্ঞেস করেনি। অবশ্য সে নাকি আমার পরিচিত কাউকে চিনে, তাই হয়তো নাম জানে। আমি সবকিছু সামনে নিয়ে আমার কতো টাকা লাভ হবে সেই হিসাব করতে লাগলাম।
শুক্রবার রাতে তিনি পঁচিশটা চিরকুটে লেখার জন্য আলাদা আলাদা বাক্য লিখে দিলেন। আমি সবগুলো পড়ার পরে মুগ্ধ হয়ে রইলাম। মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে সেটা আবারও চোখের সামনে জীবন্ত মনে হলো।
রাত দুইটা পর্যন্ত বসে বসে সবগুলো চিরকুট লেখা শেষ করলাম। মাঝে মাঝে পাতা ছিঁড়তে হয়েছে। কাটাকাটি হয়েছে, বা দু একটা লাইন বাঁকা হয়ে গেছে এরকম কিছু দেইনি। এতো সুন্দর মানের লেখার মধ্যে কাটাকুটি আর বাঁকা লাইন মানায় না।
তিনদিনের মধ্যে তার সবকিছু আমি সংগ্রহ করে ফেললাম। প্যাকিং কমপ্লিট করে তাকে মেসেজ দিয়ে কনফার্ম জানিয়ে দিলাম। কিন্তু লোকটা অনলাইনে ছিল না।
পরদিন সারাদিন পেরিয়ে গেল তবুও তাকে অনলাইনে দেখতে পেলাম না। ভাবলাম হয়তো কাজের চাপে ব্যস্ত আছে। আমি সবকিছু রেডি করে রাখলাম যেন সে ঠিকানা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দিতে পারি।
আমরা চার বান্ধবী মিলে একসঙ্গে থাকতাম। তিনজন একই ডিপার্টমেন্টে পড়ি আর বাকি আরেকজন অন্য ডিপার্টমেন্টে কিন্তু একই কলেজে। পরদিন কলেজ থেকে ফেরার সময় আমার রুমমেট ইরা বললো
" কিরে নওশিন, তোর সেই কেয়ারিং বয়ফ্রেন্ডের কোনো খোঁজ পেলি? মেসেজ করেনি আর? "
" নাহ করেনি, গতকাল থেকে তার কোনো পাত্তা নেই। কি হয়েছে কে জানে? যে নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠিয়েছে সেই নাম্বারে আজকে কল দেবো ভাবছি। "
" বিকাশ নাম্বার? "
" হ্যাঁ। "
" কিন্তু সেটা যদি কোনো দোকানের নাম্বার হয়? "
" মনে হয় তার পারসোনাল নাম্বার, কারণ প্রথম রাতে সে প্রায় রাত দুইটার দিকে টাকা পাঠিয়েছে। তখন তো শহরের মধ্যে দোকান খোলা থাকার কথা নয়! "
" হতেও তো পারে তাই না? "
" তবুও চেষ্টা তো করবো যোগাযোগ করার। সম্ভবত সাতদিন পরে তার গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন। প্রথম রাতে বারো দিন বলেছিল, অলরেডি পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। "
বাসায় ফিরে ওই নাম্বারে কল দিলাম কিন্তু নাম্বার বন্ধ। এরপর থেকে যখনই মোবাইল হাতে নিতাম কিংবা তার কথা মনে পড়তো তখনই কল দিতাম। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলাম না। অনলাইনেও আর পেলাম না কয়েকদিন।
আরো চারদিন পরে রাতে তার আইডির পাশে সবুজ বাতি দেখতে পেলাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে মেসেজ দিলাম কিন্তু সিন করলো না। তারপর কিছু না ভেবেই মেসেঞ্জারে কল দিলাম, এবং রিসিভ করলো।
আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে বললাম,
" আপনি কেমন আছেন? এতদিন কোথায় ছিলেন? "
লোকটার কণ্ঠ শুনে আমি অবাক হলাম। খুব সান্ত কণ্ঠে তিনি বললেন,
" আমি ভালো আছি, আপনি? "
" আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনার কোনো খোঁজ নেই। আমি সবকিছু রেডি করে বসে আছি। "
" আপনার জন্মদিন কবে? "
" আরো প্রায় দু’মাস পরে, কেন? "
" সবগুলো জিনিস আপনি রেখে দিন। আসলে আমি যার জন্য অর্ডার করেছিলাম সে মা!রা গেছে। সেদিন আপনার সঙ্গে শেষ যেদিন কথা হয়েছে তার পরদিন সকালে ওর এক্সিডেন্ট হয়। তিনদিন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে তারপর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। "
তিনি কলটা কেটে দিলেন, আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। শুধু চোখের সামনে আবছায়া হয়ে ভেসে আসে একটা প্রতিচ্ছবি। জীবন ও মরনের মাঝখানে যার বসবাস।
(গ) কোন ১০টি জিনিস আপনার কখনও করা উচিত নয়?
১. আপনার শুভ বিবাহের খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে কখনও বিজ্ঞাপন দেবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে, হিংসুটে মানুষের অভাব নেই জগতে।
২. ইন্টারনেটে একান্ত ব্যক্তিগত ও পরিবারের ছবি না দেয়াই ভালো। কারণ কে জানে আপনার আপলোড করা ছবি গুলি কোথায় ব্যবহার হচ্ছে, তারফলে আপনার প্রিয়জনের জীবনে কালোমেঘ নেমে আসতে পারে।
৩. ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনা করবেন না ইন্টারনেটে।
৪. কিছু ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট অবজ্ঞা করতে শিখুন। কারণ সবাই আপনার বন্ধু হওয়ার জন্য বন্ধুত্বের আবেদন করে না।
৫. পাসওয়ার্ড বা ঐ জাতীয় তথ্য কখনো অনলাইনে লিখে রাখবেন না।
পারলে মনে রাখুন বা একটা নোটপ্যাড/ওয়ার্ড ফাইল বানিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে নিজের কাছে রাখুন এবং শুধু ওই মাস্টার পাসওয়ার্ড তা মনে রাখুন।
৬. ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে কাউকে মন দিয়ে ফেলবেন না যেন। ফলাফল ভয়ানক হতে পারে, অনেক উদাহরণ আছে এমন ঘটনার।
৭. নিজের অন্তরসত্ত্বা হওয়ার কথা অনলাইনে বড়াই করার প্রয়োজন নেই। আপনার অনুভূতির সুযোগ অনেক অনিষ্টকারী নিতে পারে।
৮. আপনার বাচ্চার কৃতিত্ব সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার সময় চেষ্টা করবেন নিজের আবেগকে সংযত রাখতে।
৯. আপনার কেনা দামী দামী সামগ্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে পেশ করাটা সত্যি "খালকেটে কেটে কুমির আনার মতো"। কারণ এতে অনেক ধূর্ত চোর/পকেটমার আপনার পিছু নিতে পারে।
১০. সোশ্যাল মিডিয়াতে অপ্রকাশ্য ছবি পেশ করার থেকে বিরত থাকুন। নাহলে এই সমস্ত দৃশ্য পুরোবিশ্বকে জানানোর মতো শুভাকাঙ্খী অনেক রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এতো কথা কেন ?
কারণ এটা সবচেয়ে নতুন সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস, অনেকেই এই খেলাঘরের নিয়ম-কানুন না জেনে নেমে পড়েন ময়দানে । আর কিছুদিন পরে হয় বিপদ।
(ঘ) মানুষের চিন্তাভাবনা নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করে কিভাবে?
কিছু সিক্রেট শেয়ার করছি ...
"যে জানালা তোমাকে কষ্ট দেয় , সেই জানালা বন্ধ করে দাও; দৃশ্যটা যতই সুন্দর হোক না কেন ? "
আপনি কাউকে #চেইঞ্জ করতে পারবেন না , মাথায় এ কথাটি ভালোভাবে গেঁথে নিন ।।
পৃথিবীতে কোথাও বলা হয়নি যে ,আপনি তাকে বদলাতে পারবেন। তাই , আপনি সবার প্রতি বেশী অনুভূতি প্রকাশ করা , ভালোবাসা প্রকাশ করা, কন্ট্রোলে আনুন , নিয়ন্ত্রণে আনুন ।।
কিছুর প্রতিই নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন না , আবার রিপিট করছি - নির্ভর একমাত্র , আপনার আল্লাহ ও আপনার নিজে ছাড়া , অন্য কারোর উপর নির্ভর করবেন না ।।
কারোকে জোর করা ছেড়ে দিন । কারোকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করে দিন ।
কেউ যদি বেশি ইগো সমস্যায় ভুগে , প্রতিদিন ইস্যু বানিয়ে মুখ কালো করে রেখে , কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে , আপনাকে সাইলেন্ট পানিশম্যান্ট করে। আপনিও তাকে পাত্তা না দিয়ে , তাকে তার সাইলেন্স ফাস্টিং এর আনন্দে ছেড়ে দিয়ে, আপনি আপনার নিজের কাজে মনোযোগী হওয়া শিখতে হবে ।।
তাকে স্পেইস ও জ্ঞান ফিরতে সময় দিন , তাঁর হালে তাঁকে ছেড়ে দিন।
তার আগে মরিয়া হয়ে তাকে বুঝাতে যাবেনও না ।
রাগ ভাঙানোর বাহানায় ,তার অভ্যাসকে প্রশ্রয় দিবেন না ।
আপনাকে শক্ত হয়ে , ডিল করা শিখতে হবে ।
আপনি যদি কথা বলার জন্য আঁকুপাঁকু করেন , আপনি সবসময় বেইজ্জত হবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান কারণ , আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব না হারাতে চাইলে , আপনাকে এই দক্ষতা শিখতে হবে।।
কারোর প্রতি কিছু এক্সপেক্ট করা বাদ দিন ।
কারোর থেকে কিছু আশা করা , প্রত্যাশা করা বাদ দিলে। কারো কোনো আচরণ বা একশন , আপনার মাথা খারাপ করে দিতে পারবে না । এটাও একটা শেখার ও সাধনার বিষয় l
সব সময় আমার কেউ নেই , আমি তো অসহায়....... বললেই , নিজের স্থান "কারো মনে" তৈরী করা যায় না আবেগ দিয়ে , অভিমান দিয়ে ,আমি একা , একা বলে চিল্লালেই দাম পাওয়া যায় না । বরং সহানুভূতির দরজাগুলো খুব দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় ।।
আপনি আল্লাহকে অসম্ভব ভালোবেসে , আল্লাহর প্রতিটি পছন্দের কাজ করে , আল্লাহকে খুশি করতে ব্যস্ত হয়ে যান ।।
ফলাফল; জীবনে শান্তিই আর শান্তি , আলহামদুলিল্লাহ !!!
কে আপনার জীবনে থাকলো ? কে গেলো ? এতো হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হতে হবেনা কোনদিনও । টক্সিক মানুষ থাকবেই সব জায়গায়ই , বিষাক্ত মনের মানুষ থাকবে সব জায়গাতেই এখন আপনার গুণ এবং আপনার নিজের কন্ট্রোল শক্তি ও মানসিক জোর এমন থাকতে হবে যে , কারোর অন্তরের টক্সিসিটির দেয়াল ।
আপনার পজিটিভ মাইন্ড পাওয়ারের জোরে , ঐ টক্সিসিটির দেয়াল নিমিষেই ভেঙ্গে পড়ে , যাতে চুরমার হয়ে যায় । আপনাকে তৈরী হতে হবে এমনভাবেই যাতে "মচকানো" বা "ভাঙা" কোনটাই আপনার ডিকশনারিতে জায়গা না পায় ।।
ট্রাই ইট , চেষ্টা করুন , আপনার নিজের পুরো দুনিয়াটাই পাল্টে যাবে , ইনশা আল্লাহ l ❤
একজন কাউন্সিলর এর অধীনে থেকে , ট্রেইন্ড হন , সেশন নিন , তখনই , আপনি আপনার লাইফ প্যাটার্ন বদলাতে পারবেন , ইনশা আল্লাহ ।।
একজন ডাক্তার, কাউন্সেলর ট্রেইনার একজন উসীলা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আপনার জন্য উসীলা । কারণ , মানুষ যখন নেগেটিভ, ওভার থিংকিং , অতিরিক্ত চিন্তা , কারো প্রতি আবেগে আসক্ত থাকে , কিংবা মানসিক ভাবে ফ্রাস্ট্রেটেড বা এংজাইটিতে ভোগে । সে কখনো সঠিক পথে উঠে আসতে পারেনা । কারণ , তার মাইন্ড ও থিংকিং ডিস্ ফাংশন থাকে ।
এটা তাকে , বাংলা কথাও শুনতে , বুঝতে তার ব্রেইনকে ব্লক তৈরী করে রাখে । তার মস্তিষ্কের এক্টিভিটি দুর্বল ও #নিস্তেজ হয়ে থাকে বলেই , তাকে সঠিক সময়ে , সমস্যা অল্প থাকতে স্টেপ নিতে হবে ।
যে কোন প্রফেশনালের অধীনে রিকোভার করার জন্য। এমনকি আপনি যেকোন একজন ভালো কাউন্সেলরের লেকচার ও ভিডিও টিপস গুলো ধরে , কাজে লাগিয়েও প্রাথমিক ইম্প্রুভম্যান্ট করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ ।।
তার জন্য কিন্তু , নিজেকে একটু সিরিয়াসলি , নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে হবে ।
এখানে নিস্তেজ ব্রেইন এর পজিটিভ রূপ তৈরী করার অসংখ্য টেকনিক শেয়ার করা হয়েছে , কাজে লাগান , সল্ভ করার জন্য ।
Because , the problem can't be solved
with the same mindset
that created or faced problem.
You need to build new skills
to experience something new in your life.. Remember,
WHEN YOU KNOW BETTER,
YOU CAN DO BETTER.
আজকের আর্টিকেলে যে কোটি গুণ কোটি মূল্যের পরামর্শ দিয়েছি , প্রতিদিন দুবার পড়বেন ,
আর একটি অভ্যাসে জোর করে পরিণত করেন দেখেন।
আপনার ভালো থাকা কে ঠেকায় ❓
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু
@মিঃ মধু (অদৃশ্য কাব্য)
সত্যিই অনেক মূল্যবান কথা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই কথাগুলো তুলে ধরার জন্য।
ReplyDelete