Ads

অভাব কী? এবং এটা উত্তরণের উপায় কী? @মিঃ মধু

অভাব কী? এবং এটা উত্তরণের উপায় কী?

"অভাব কাকে বলে.?" - অর্থনীতি ক্লাসে বয়স্ক একজন স্যার ক্লাসে ঢুকেই, সামনের বেঞ্চে বসা ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলেন, "অভাব কাকে বলে..?" ছেলেটি উত্তর দিলোঃ- 'অর্থনীতিতে বস্তুগত বা অবস্তুগত কোনো দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খাকে অভাব বলে।' (এটা তো বইয়ের ভাষা, সাধারণত অভাব কাকে বলে? ছেলেটি মাথা নিচু করে বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে রইলো,, কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না।। স্যার আবার তাড়া দিলেন বলো, 'অভাব কাকে বলে?') তখন ছেলেটি বলা শুরু করলো.......... ।

১. আমি কলেজে আসার সময় মা আমাকে রিকশা ভাড়াটা দেবার জন্য, সারা ঘর তন্য তন্য করে খুজে ২০/৩০ টা টাকা বাহির করে দেন। আমি ৫/৭ মিনিট পর বাসায় ফিরে, ভাড়ার টাকাটা মায়ের হাতে দিয়ে বলি, মা_ আজ কলেজে ক্লাস হবে না। মা বলেন আগে খরব নিবি না ক্লাস হবে কি হবে না? মায়ের সাথে এই লুকোচুরি খেলাটা হচ্ছে আমার কাছে, 'অভাব'

২. বাবা যখন রাত করে বাসায় ফেরেন, মা তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করে এত রাত হলো কেন ফিরতে? বাবা তখন মুচকি হেসে বলে, 'ওভার টাইম ছিলো যে' ওভার টাইম না করলে সংসার চালাবো ক্যামনে? এতটুকু রোজগারে কি সংসার চলে? বাবার এই অতিরিক্ত পরিশ্রম'ই হচ্ছে আমার কাছে "অভাব!"

৩. ছোট বোন মাস শেষে প্রাইভেট টিচার এর টাকা দেওয়ার জন্য বাবার কাছে টাকা চাইতে সংকোচ বোধ করে, আমার কাছে সেই সংকোচ টা'ই হচ্ছে "অভাব!"

৪. মাকে যখন দেখি ছেঁড়া কাপড়ে সেলাই দিতে দিতে বলে, কাপড় টা অনেক ভালো আরও কিছুদিন পরা যাবে! মায়ের এই মিথ্যে শান্তনাটা'ই হচ্ছে আমার কাছে "অভাব!"

৫.মাস শেষে টিউশনির পুরো খরচ টা মায়ের হাতে দিয়ে বলি, মা" তুমি এটা দিয়ে সংসারের খরচ চালিয়ে নিও...৷ মা তখন স্বস্তির হাসি হাসেন। মায়ের এই স্বস্তির হাসিটাই হচ্ছে আমার কাছে "অভাব!"

৬. বন্ধুদের দামি স্মাটফোনের ভিড়ে নিজের নরমাল হ্যান্ডসেট টাকে যখন লজ্জায় লুকিয়ে রাখি,, এই লজ্জাটা'ই হচ্ছে আমার কাছে "অভাব"

৭. অভাবি হওয়ার কারণে, কাছের মানুষগুলো আমার থেকে দুরে সরে যায়। আমার থেকে দুরে সরে পড়াটাই হচ্ছে আমার কাছে "অভাব!" ...... পুরো ক্লাসে নিরাবতা পড়ে গেলো, ক্লাসের সবাই দাড়িয়ে পড়লো,, অনেকের'ই চোখে পানি! স্যার চোখের পানি মুছতে মুছতে ছেলেটা কে কাছে টেনে নিলেন..... বস্তুতঃ আমাদের সহপাঠীদের মাঝে এমন অনেকেই আছে,, যারা কয়েক মাস অপেক্ষা করার পরও বাড়ী থেকে সামান্য টাকা পায় না। সব দুঃখ-কষ্টকে আড়াল করে হাসি মুখে দিনের পর দিন পার করে দেয় খেয়ে না খেয়ে। তাদের হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলোকে বোঝার সুযোগ হয়তো আমাদের কখনোই হয়ে উঠেনা। "এটাই হচ্ছে আমাদের অভাব!" আমরা প্রতিটি মানুষে'ই অভাবের ভুক্তোভুগী কারো দারিদ্রতায়, কারো মনুষ্যত্বের, কারো টাকার, কারো ভালোবাসার, কারো সম্মানের, কারো বা চরিত্রের......!!!

অভাব-অনটন দূর করতে মুসলমানদের সাত আমলঃ

জীবনে সব মানুষই সফল হতে চায়। আর জীবনকে সুখময় করতে কত কিছুই না করে। কিন্তু ক’জনের জীবনে সফলতা আসে? বরং দেখা যায় সামান্য পরিশ্রমে কারও জীবন বদলে যায়, সফলতা আসে তার জীবনে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমেও অনেকের অভাব দূর হয় না।

সুখ-দুঃখ, সবই আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে। তিনিই দান করতে পারেন সফলতা। দূর করতে পারেন অভাব-অনটন। তাই আমাদেরকে আল্লাহতায়ালা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাতলানো কিছু আমল করতে হবে। আল্লাহ চাহে তো, এতে সঙ্কীর্ণতা কেটে যাবে। ফিরে আসবে সচ্ছলতা।

প্রথম আমল: তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহভীরুতা ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা) অবলম্বন করা। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার নির্দেশাবলি পালন ও তার নিষিদ্ধ বিষয়গুলো বর্জন করা। সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা।

কারণ, যে আল্লাহর ওপর অটল ভরসা রাখে, তিনি তার সব কিছুর ব্যবস্থা করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, 
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ অবশ্যই তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন। নিশ্চয় তিনি প্রত্যেক জিনিসের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। -সূরা আত তালাক: ২-৩

দ্বিতীয় আমল: বেশি বেশি তওবা করা। এর দ্বারা গোনাহ মাফ হয়। দূর হয় যাবতীয় বিপদাপদ, আসে জীবনে সফলতা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। বাড়িয়ে দেবেন তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি। স্থাপন করবেন তোমাদের জন্য উদ্যান। প্রবাহিত করবেন তোমাদের জন্য নদীনালা। -সূরা নূহ: ১০-১২

হাদিস শরিফে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, আল্লাহতায়ালা তাকে যাবতীয় বিপদাপদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন এবং তাকে অকল্পনীয় স্থান থেকে রিজিক দান করবেন। -সুনানে আবু দাউদ: ১৫১৮

তৃতীয় আমল: সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করা। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনও অভাব-অনটনে পড়বে না। এ হাদিসের রাবি (বর্ণনাকারী) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তার কন্যাদের প্রতি রাতে এ সূরা পাঠ করার নির্দেশ দিতেন। -
মেশকাতুল মাসাবিহ: ২১৮১

চতুর্থ আমল: আল্লাহতায়ালার রাস্তায় ব্যয় করা। আল্লাহর রাস্তায় কোনো কিছু দান করলে তা বিফলে যায় না। সে সম্পদ ফুরিয়ে যায় না। বরং তা বাড়তে থাকে। এ বিষয়ে কোরআন কারিমে ইরশাদ হয়েছে, বলুন! নিশ্চয় আমার রব তার বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা। -সূরা সাবা: ৩৯

পঞ্চম আমল: আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি প্রিয়নবী (সা.) কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং বাড়াতে চায় তার আয়ু সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। -সহিহ বোখারি: ৫৯৮৫

ষষ্ঠ আমল: নেয়ামতের শোকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) আদায় করা। শোকরিয়ার ফলে নেয়ামত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহতায়ালার ঘোষণা, যদি তোমরা শোকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন। -সূরা ইবরাহিম: ৭

সপ্তম আমল: বিয়ে করা। বিয়ের মাধ্যমেও সংসারে সচ্ছলতা আসে। কারণ, সংসারে নতুন যে কেউ যুক্ত হয়, সে তার রিজিক নিয়েই আসে। আল্লাহতায়ালা বলেন, আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন । 

জীবনের সেরা উপদেশ 

অভাব কী? এবং এটা উত্তরণের উপায় কী?

আপনার পরিশ্রমের মূল্য, অর্জিত দক্ষতার মূল্য তথা জীবনের মূল্য সবার কাছে বা সবসময় আপনি পাবেন না। হতে পারে, আপনি পাঁচটা ইন্টারভিউয়ে বাদ পড়েছেন, হতে পারে আপনি কোনো প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রথম ধাপ থেকেই অনেকবার ব্যর্থ হয়ে ঘুরে এসেছেন, হতে পারে আপনার অর্জিত দক্ষতা নিয়ে লোকের দরজায় ঘুরে ঘুরে আপনি জীবিকা নির্বাহের জন্যে একটাও কাজ খুঁজে পান নি। তারমানে এই নয় যে আপনি আপনার পরিশ্রমের মূল্য কোনোদিন পাবেন না, তারমানে এই নয় যে আপনাকে কেউ কোনোদিন কদর করবে না। হতে পারে আপনার জীবনে এখনো সেই ঘটনা ঘটতে বাকি আছে, যেখানে আপনার দক্ষতার বা আপনার গুণের বা আপনার পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।
বিশ্বজোড়া নাম হবে আপনার।

একটা গল্প বলি-----
কোনো এককালে এক ব্যক্তি এক মুনিঋষির কাছে গিয়ে বললো,
গুরুদেব, "অমি আপনার শিষ্য হতে চাই, আমাকে বলুন, জীবনের মূল্য কী?"।

গুরুদেব কিছুক্ষণ মৌন থেকে, পাশে রাখা একটা ঝুলির মধ্যে হাত ঢুকিয়ে একটা পাথর বের করলেন। তারপর, শিষ্যকে পাথরটি দিয়ে বললেন, "বাজারে গিয়ে এই পাথরটির মূল্য খুঁজে বের করো, তবে মনে রেখো এটি কিন্তু বিক্রি করো না।"

শিষ্যটি বাজারে প্রথমেই একজন লেবু বিক্রেতার কাছে পাথরটি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, "এর দাম কী হবে?"

লেবু বিক্রেতা চকচকে পাথরটি দেখে বললেন, "আপনি এক ডজন লেবুর পরিবর্তে আমাকে পাথরটি দিতে পারেন।"

শিষ্যটি লেবু বিক্রেতার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলল যে, গুরুদেব তাকে পাথরটি বিক্রি করতে বারণ করেছে।

শিষ্যটি এবার আরেকটু এগিয়ে গিয়ে একটি সবজি বিক্রেতার দোকানে গেলো।

"এই পাথরের মূল্য কী হতে পারে?", সে সবজি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করলো।

সবজি বিক্রেতাও চকচকে পাথরটি দেখে বললেন, "এক বস্তা আলু নিয়ে আমাকে পাথরটি দিয়ে দিন।"

শিষ্যটি যথারীতি ক্ষমা চেয়ে বলল যে তার গুরুদেব পাথরটি বিক্রি করতে বারণ করেছেন।

আরও এগিয়ে গিয়ে শিষ্যটি একটি গয়নার দোকানে পৌঁছে, সেই পাথরটির মূল্য জিজ্ঞাসা করলো।

গয়নার দোকানের মালিক, একটি লেন্সের নীচে পাথরটি দেখে বললেন, "আমি এই পাথরের জন্য আপনাকে দশ লক্ষ টাকা দেব।"

শিষ্যটি যখন মাথা নাড়ল, তখন রত্নকার বলল, "ঠিক আছে, ঠিক আছে, আপনি আমার দোকানের সবচেয়ে দামী দামী পাঁচটি যেকোন গয়না তুলে নিন কিন্তু পাথরটি আমাকে দিয়ে দিন।"

শিষ্য এবার তাঁকেও বুঝিয়ে দিল যে সে পাথর বিক্রি করতে পারবে না।

শিষ্যটির কৌতূহল বাড়তে লাগলো এবং সবশেষে একটি মূল্যবান পাথরের দোকানে গিয়ে পৌঁছল। দোকানের মালিকের কাছে সেই পাথরের মূল্য জিজ্ঞাসা করল।

মূল্যবান পাথরের বিক্রেতা বুঝতে পারলেন যে এই পাথরটি একটি দূর্লভ এবং বড় আকারের মানিক (বা Ruby Stone)। তিনি একটি লাল কাপড়ের উপর পাথরটি রেখে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং বললেন "আপনি এই অমূল্য মানিক কোথা থেকে এনেছেন?" তিনি বলতে লাগলেন, "যদিও আমি আমার পুরো দোকান বিক্রি করে দিই, তবুও এই অমূল্য পাথরটি কিনতে সক্ষম হবো না।"

এবার শিষ্যটি হতবাক ও বিভ্রান্ত হয়ে গুরুদেবের কাছে ফিরে গেল এবং পাথরটি দাম সম্বন্ধে যা যা ঘটেছে তা বিস্তারিতভাবে জানালো।

গুরুদেব এবার বলতে শুরু করলেন, "হে বৎস, তুমি যে উত্তরগুলি লেবু বিক্রেতা, শাকসব্জী বিক্রেতা, রত্নকার বা মূল্যবান পাথরের বিক্রেতার কাছ থেকে পেয়েছো, সেগুলোই আমাদের জীবনের মূল্য ব্যাখ্যা করে...

প্রত্যেকটা মানুষ অতি মূল্যবান- আমরা প্রত্যেকেই একেকটা অমূল্য পাথরের মতো। তবে মানুষ সাধারণত, তাদের আর্থিক অবস্থা, তাদের সীমিত জ্ঞান, তাদের ক্ষমতা, অন্যের প্রতি তাদের বিশ্বাস, তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার ভিত্তিতে অন্য মানুষকে মূল্য দেবে...

জীবনের সত্যিকারের মূল্য সঠিক ব্যক্তির কাছে বা সঠিক ঘটনা বা সঠিক মুহূর্তে উন্মোচিত হবে।

তাই নিজেকে সম্মান দিন, নিজেকে সস্তা মনে করবেন না।

কারণ, আমরা প্রত্যেকেই অনন্য, মৌলিক এবং একমাত্র নিজের মতো।


বাংলাদেশ সম্পর্কে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় কোনটি?

ঢাকা থেকে পরিদর্শক এসেছে গ্রামের একটা স্কুল পরিদর্শনে, অষ্টম শ্রেণীর কক্ষ ঢুকলেন।

এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেনঃ-

পরিদর্শকঃ- আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে?

ছাত্রঃ- শেখ হাসিনা।

পরিদর্শকঃ- আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি

প্রেসিডেন্ট কে?

ছাত্রঃ- প্রেসিডেন্ট!! খালেদা জিয়া।

পরিদর্শকঃ- তুমি ক্লাস এইটে উঠছো কিভাবে ?

আমি তোমার নাম কেটে দেবো।

ছাত্রঃ- আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নেই।

আপনি কাটবেন কেমনে?

পরিদর্শকঃ- নাম নেই মানে...??

ছাত্রঃ- আমি স্কুলের মাঠে গরু নিয়া আইছিলাম,

স্যারে কইলো তোরে দশ টাকা দিমুনে তুই ক্লাসে আইস্যা বইস্যা থাক।

পরিদর্শকঃ- ছিঃ মাষ্টার সাহেব,

আপনাদের লজ্জা করে

না, শিক্ষা নিয়া ব্যবসা করেন...??

আমি আপনাকে চাকরি

থেকে বরখাস্ত করবো।

ক্লাসশিক্ষকঃ- আরে আপনি আমাকে বরখাস্ত করতে পারবেন না।

আমি মাষ্টার না সামনে যে মুদি

দোকানটা দেখছেন ঐটা আমার।

মাষ্টার সাবে আমারে কইলো শহর থেকে এক বেটা আইবো আমি হাটে গেলাম তুই একটু ক্লাস ঘরে যাইয়া বইসা থাকবি।

পরিদর্শক :- (রেগে হেড স্যারের রুমে গিয়ে)

আপনি হেড স্যার....??

হেডস্যারঃ- জ্বী, কোনো সমস্যা...??

পরিদর্শকঃ- কি করছেন আপনারা এসব, নকল ছাত্র-

শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালান...??

হেড স্যারঃ- আমি না!!

আমার মামা এই স্কুলের হেড

স্যার। উনি জমি কেনা-বেচার দালালী করেন।

কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন।

আমারে কইলো পরিদর্শক আইলে এক হাজার টাকার এই

বান্ডেলটা দিয়া দিস।

পরিদর্শকঃ- এই যাত্রায় আপনারা বেঁচে গেলেন,

আসলে আমিও ইন্সপেক্টর না, আমার দাদা ইন্সপেক্টর।

উনি ঠিকাদারীর কাজও করেন,

টেন্ডার জমা দিতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন।

আমাকে বললেন তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়।

এই হলো আমাদের সোনার বাংলাদেশের অবস্থা।


ঢাকা শহরের যে বিষয় গুলো আমার কাছে খুব বাজে লাগে?


১। রাস্তায় যখন কোনো মেয়ে হেঁটে যায়- সব শ্রেনীর পুরুষ লোলুপ চোখে তাকিয়ে থাকে। 
ওই বদ গুলো এত কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকে যে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে।

২। প্রতিটা অলিতে গলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শাক-সবজি মাছ সহ অন্যান্য দ্রবাদি'র দোকানপাট। ফলাফল সারাদিন যানজট। অফিসগামী লোকেরা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যথা সময়ে কর্মক্ষেত্রে ও স্কুলে পৌছাতে পারে না। পুলিশ তাদের কিছু বলে না। কারন গাড়ি করে এসে পুলিশ তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায় নিয়মিত।

৩। বাসে কিছু লোকজন হেলপার-কন্টাকটরদের সাথে ৪/৫ টাকার জন্য নোংরা ভাষায় কথা বলে। 
এরাই আবার প্রেমিকাকে নিয়ে ফাস্টফুডের দোকানে নানান খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে।

৪। রিকশা বাস, গাড়ি সিনএনজি এবং হোন্ডা রং সাইড দিয়ে যাতায়াত করে। ফলাফল গিটটু লেগে যায়। রং সাইড দিয়ে যাওয়ার মানসিকতা কবে বন্ধ হবে?

৫। ফুটপাত দিয়ে শান্তিমত চলাচল করা যায় না। দোকানের জিনিজপত্র ফুটপাতে সাজিয়ে রাখে। ফুটপাত মানেই চা সিগারেটের দোকান। ৪/৫ জন মিলে চা খায়, গল্প করে। এদিকে যে পথচারীদের হাঁটার সুযোগ নেই- সেদিকে কারো লক্ষ্য নেই।

৬। ঢাকা শহর হলো ভিক্ষুকের শহর। সিগনালে বাস থামলে- বাসের ভিতরেও ভিক্ষুক চলে যায়। এমন কোনো জায়গা বাকি নেই যেখানে ভিক্ষুক পাবেন না। ইদানিং ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা ভিক্ষা চাইছে।

৭। কিছু ছেলে বাসে উঠলেই বলে আমি স্টুডেন্ট। ভাড়া অর্ধেক। তারা ভালো করেই জানে এই বাসে উঠলে হাফ পাশ সিস্টেম নেই, এবং বাসে উঠার সময় হেলপারও হাফ পাশ নেই জানিয়ে দেয়। তারপরও তারা সেই বাসে উঠবে এবং হই চই ৩/৫ টাকার জন্য। অথচ এইসব পুলাপান'ই আবার সারারাত জেগে গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে মোবাইলে কথা বলে। গিফট কিনে দেয়। এটা অবশ্যই মানসিকতার দোষ।

৮। ঢাকা শহরের ৯৫% রিকশাওয়ালা এবং সিএনজি ড্রাইভার'রা প্রচন্ড বেয়াদপ। 
এদের মামা বললেও কোনো লাভ নেই।

৯। ঢাকা শহরের লোকজন ধাক্কা-ধাক্কি করা ছাড়া বাসে উঠতে পারে না। বাস যদি খালিও থাকে তবুও তারা ধাক্কা-ধাক্কি করবেই। এবং বাসে উঠার পর মেয়েদের সীটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। পেছনে জায়গা থাকলেও সেখানে যাবে না। আজকাল কিছু লোক মেয়েরা দাঁড়িয়ে থাকলেও সিট ছেড়ে দেয় না। 
অথচ তারা মহিলা সীটেই আছে। আজিব!

১০। ঢাকা শহরের যেখানেই যাবেন, সেখানেই মানুষের ভীড়। বাস, লঞ্চ, ব্যাংক, ফ্লাইওভার ব্রীজ, অফিস-আদালত, বাজার, ফ্ল্যাক্সির দোকান। এমন কি রাস্তার পাশের চায়ের দোকান পর্যন্ত।

১১। গাড়ি, বাস, ট্রাক, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহন অকারনে হর্ন বাজাবেই। ফলাফল শব্দদূষন। 
সবার মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। কে কার আগে যাবে।

১২। চেক পোষ্টের নাম দিয়ে পুলিশ সাধারন মানুষকে হয়রান করে। একবার তাদের থামালে, নানান তালবাহানা করে ৫০ টাকা হলেও নিবে। অথচ তারা ভালো করেই জানে কে কোথায় ইয়াবা বিক্রি করছে। তাদের ধরবে না। কারন তারা নিয়মিত টাকা দেয়।

১৩। ঢাকা শহরের প্রতিটা লোক কোনো না কোন ভাবে প্রতারনার স্বীকার হবেই। 
প্রতিটা ব্যবসার সাথে মিশে আছে মিথ্যা আর প্রতারনা।

১৪। সরকারি অফিস আদালত ব্যাংক হাসপাতালের লোকজন টাকার জন্য জিববা বের করে বসে থাকে। এবং তাদের ব্যবহার খুব খারাপ।

১৫। গুলিস্তান, ফার্মগেটে, মিরপুর-১০, কমলাপুর, এবং সদরঘাট দুষ্টলোকদের আড্ডাখানা। 
এসব জায়গায় চুরি, ছিনতাই, পকেটমার, মলমপাটি থাকবেই।

১৬। হিজড়া'রা খুব বেশি ত্যাক্ত করে। অশোভন আচরন করে। ইদানিং তো তারা বাসে উঠে পড়ে। 
টাকা না দিলে ঝামেলা করে।

ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।


ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু (মিঃ মধু)






No comments

Powered by Blogger.