ফেইসবুকে স্যাড রোমান্টিক স্ট্যাটাস এর বিশাল কালেকশান--০২ @মিঃ মধু
ফেইসবুকে স্যাড রোমান্টিক স্ট্যাটাস এর বিশাল কালেকশান--০২
স্ট্যাটাসঃ-০১স্রতের_বিপরীতে
আকাশের বিশালতায় হারিয়ে গিয়ে ছিলাম,
কিন্তু পৃথিবী আমায় টেনে রেখেছে।
রাতের ঘন কালো আঁধারে মিশে গিয়ে ছিলাম,
কিন্ত ফিরেয়েছে আমায় ভোরের আলোর আবেদন।
পাহাড়ের রুপ দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে ছিলাম,
কিন্তু দুর্গমতা আমায় রুক্ষ করেছে।
মরিচিকা দেখে ভেবে ছিলাম মরু ভুমি 'ই সুন্দর,
কিন্তু এই অধরার প্রতারণায় মুখ ফিরিয়েছি।
পূর্নিমার আলোয় মুগ্ধ হৃদয় বলে ছিল....
"সারা জীবন পূর্নিমার হয়ে থাকতে চাই"
কিন্তু পরের সন্ধ্যায় আর খোঁজ মেলেনি।
ঝর্ণার সুর তুলে মাতিয়েছিলাম,
কিন্তু বেসুড়া গলা আমার সুর কেড়ে নিয়েছে।
জীবন চলে শুধু স্রোতের বিপরীতে।
স্ট্যাটাসঃ-০২ হয়তো_মনে_পড়বেনা
হয়তো আমাকে মনে পরবেনা
যখন আমার কলম আর চলবেনা,
মনের অনুভুতি গুলো আর লিখবো না।
আমার শ্রাবণধারার অশ্রুর মুল্য কেউ বুঝবে না
শূকনো চোখ আর ভিজবেনা,
আবেগ কল্পনায় ভালোবাসা আর আঁকবো না
শেষ ব্যালায় হয়তো তোমাকে মনে পড়বে না
মিস করে কান্নায় আর তোমারকথা মনে পড়বে না ;
তুমি হয়তো ,কেমন আছ, শূধাবে না
মান অভিমান সব ভুলে কাছে আর আসবেনা
সে মনভোলানো হাসি মাখা মুখ আর দেখা হবেনা
তোমার মন পারায় হয়তো আমি আর আসিনা,
হয়তো হিয়ার ক্ষত - বিক্ষত ভুলাতে আর আসবেনা
মায়ার বাঁধন হয়তো আর কাজ করবেনা
মেঘ,আকাশের তাঁরায় চাঁদ আর হাসবেনা
তোমার সাথে দেখা করার বায়নাটা আর আসবেনা
ভরাপূর্ণিমায় আমার কথা মনে পড়বে না
জোনাকির আলোর মতো টিপটিপ - চিনচিন ব্যাথা
আর অনু ভব করবে না,
তুমি ছাড়া আমি শূন্য এই কথা আর কেউ বলবেনা।
সব ভুলে সমাধীর শৌধে ফুল দিতে,
আর আসবে না
তোমার কান্নার নোনা জলে,
হয়তো আমাকে মনে পড়বেনা ।
স্ট্যাটাসঃ-০৩ আচ্ছা টাকা কী মানসিক শান্তি বা সুখ দিতে পারে.? ম্যাক্সিমাম মানুষ বলবে না.. পারেনা।
আমি আবার টাকার পক্ষে নিলাম। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের সব বাদ দিয়ে কীভাবে টাকা কামানো যায় সেটা ভাবা উচিত।
আকাশের বিশালতায় হারিয়ে গিয়ে ছিলাম,
কিন্তু পৃথিবী আমায় টেনে রেখেছে।
রাতের ঘন কালো আঁধারে মিশে গিয়ে ছিলাম,
কিন্ত ফিরেয়েছে আমায় ভোরের আলোর আবেদন।
পাহাড়ের রুপ দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে ছিলাম,
কিন্তু দুর্গমতা আমায় রুক্ষ করেছে।
মরিচিকা দেখে ভেবে ছিলাম মরু ভুমি 'ই সুন্দর,
কিন্তু এই অধরার প্রতারণায় মুখ ফিরিয়েছি।
পূর্নিমার আলোয় মুগ্ধ হৃদয় বলে ছিল....
"সারা জীবন পূর্নিমার হয়ে থাকতে চাই"
কিন্তু পরের সন্ধ্যায় আর খোঁজ মেলেনি।
ঝর্ণার সুর তুলে মাতিয়েছিলাম,
কিন্তু বেসুড়া গলা আমার সুর কেড়ে নিয়েছে।
জীবন চলে শুধু স্রোতের বিপরীতে।
স্ট্যাটাসঃ-০২ হয়তো_মনে_পড়বেনা
হয়তো আমাকে মনে পরবেনা
যখন আমার কলম আর চলবেনা,
মনের অনুভুতি গুলো আর লিখবো না।
আমার শ্রাবণধারার অশ্রুর মুল্য কেউ বুঝবে না
শূকনো চোখ আর ভিজবেনা,
আবেগ কল্পনায় ভালোবাসা আর আঁকবো না
শেষ ব্যালায় হয়তো তোমাকে মনে পড়বে না
মিস করে কান্নায় আর তোমারকথা মনে পড়বে না ;
তুমি হয়তো ,কেমন আছ, শূধাবে না
মান অভিমান সব ভুলে কাছে আর আসবেনা
সে মনভোলানো হাসি মাখা মুখ আর দেখা হবেনা
তোমার মন পারায় হয়তো আমি আর আসিনা,
হয়তো হিয়ার ক্ষত - বিক্ষত ভুলাতে আর আসবেনা
মায়ার বাঁধন হয়তো আর কাজ করবেনা
মেঘ,আকাশের তাঁরায় চাঁদ আর হাসবেনা
তোমার সাথে দেখা করার বায়নাটা আর আসবেনা
ভরাপূর্ণিমায় আমার কথা মনে পড়বে না
জোনাকির আলোর মতো টিপটিপ - চিনচিন ব্যাথা
আর অনু ভব করবে না,
তুমি ছাড়া আমি শূন্য এই কথা আর কেউ বলবেনা।
সব ভুলে সমাধীর শৌধে ফুল দিতে,
আর আসবে না
তোমার কান্নার নোনা জলে,
হয়তো আমাকে মনে পড়বেনা ।
স্ট্যাটাসঃ-০৩ আচ্ছা টাকা কী মানসিক শান্তি বা সুখ দিতে পারে.? ম্যাক্সিমাম মানুষ বলবে না.. পারেনা।
আমি আবার টাকার পক্ষে নিলাম। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের সব বাদ দিয়ে কীভাবে টাকা কামানো যায় সেটা ভাবা উচিত।
ছোট একটা ঘটনা মনে পড়লো বলি-
একদিন পরিচিত এক ছোট ভাইকে দেখলাম তার মায়ের জন্য ওষুধ কিনবে তাই মাসের প্রথম দিকে সে অনেকের কাছেই টাকা চেয়েছিলো কিন্তু পাইনি। ছেলেটার বাবা নেই, সংসারে সে সবার বড় (৩ ভাই)! অনেক চেষ্টা করেও পাইনি, ছেলেটা সব সময় দেখতাম ডিপ্রেশনে থাকতে।
একদিন পরিচিত এক ছোট ভাইকে দেখলাম তার মায়ের জন্য ওষুধ কিনবে তাই মাসের প্রথম দিকে সে অনেকের কাছেই টাকা চেয়েছিলো কিন্তু পাইনি। ছেলেটার বাবা নেই, সংসারে সে সবার বড় (৩ ভাই)! অনেক চেষ্টা করেও পাইনি, ছেলেটা সব সময় দেখতাম ডিপ্রেশনে থাকতে।
অনেক কষ্টে সে টিউশনি পায়, টাকা না পেয়ে শেষে টিউশনিতে গেল এবং সেখানে তার লাস্ট মাসের টাকাগুলো হাতে পেল। ঔ টাকা দিয়ে সে তার মায়ের জন্য ওষুধ কিনলো এবং ছোট ভাই বোনদের জন্য খাতা-কলম কিমলো। তার মা তাকে জড়িয়ে ধরে হাসি মুখে কান্না করতে দেখেছি।
এ পৃথিবীতে টাকায় সব, আবার টাকায় ধ্বং'স। ঔ দিনই কেবল দেখেছিলাম তাকে এতো সুখী আর আনন্দিত। তখনই বুঝতে পারছি টাকা মানুষকে মানসিক শান্তি -সুখ দিতে পারে।
পকেটে টাকা থাকলে কখনোই মন বেশিক্ষণ খারাপ থাকে না। টাকাতে মানুষকে সম্মান বেড়ে দেয়, আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, প্রিয় মানুষকে হাতে রাখা যায়, পরিবারের খুশি বেড়ে যায়। টাকা,টাকা; দিনশেষে সবকিছুরই মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এই টাকা ই..!
টাকা আছে তো জীবন সুন্দর আর আনন্দিত।
সো মেক মানি এন্ড মানি দ্যান দ্যা ওয়ার্ল্ড ইস ইউর।
স্ট্যাটাসঃ-০৪ নিজেই নিজেকে একটু কেয়ার করা শুরু করো। নিজেকে একটু গুরুত্ব দাও। দেখতে পাবে পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি অবহেলা তুমি নিজে নিজেকে করেছো। আর যে সব কস্ট তুমি পেয়েছ তার বেশি অর্ধেক তুমি তোমার দ্বারা পেয়েছো।
তোমাকে কেউ কস্ট দেয়নি। কারো সাথে রাগ করে নিজে খাওনি। কিন্তু না খেয়ে থাকার কস্টটা তুমিই পেয়েছো।
রাগ করে নিজেকে একা করে নিয়েছ। একাকিত্ব এ তুমি ভুগেছো। অন্য কেউ নয়। নিজের পছন্দের জিনিসটা অন্য জনকে রাগ করে দিয়েছো পরিশেষে তুমি সেই জিনিসটা আর পাওনি।
নিজেকে নিজে হিসাব করে দেখলে হয়ত তুমি বুঝতে পারবে তোমার যত কস্ট তার বেশি অর্ধেক তোমার নিজের দেওয়া।
আমরা অন্যকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজেক সস্তা বানিয়ে ফেলি। অন্যের জন্য নিজেকে নিজেই অবহেলা করি।
হিসাবের খাতা খুলে যখন নিজের হিসাব মিলাতে যাবে দেখবে তোমার নিজের আদালতে তুমি অপরাধী।
স্ট্যাটাসঃ-০৫ একটা মানুষ বেঁচে থেকেও কখনো কখনো মরে যায়! মানুষটা বেঁচে থাকে ঠিকই, তবে মনটা মরে যায়!
জীবন ঠিকই জীবনের নিয়মে চলে, তবে মনটা মরে যায়! হয়তো প্রিয় কারও জন্য নয়তো প্রিয় কোন মুহুর্তের জন্য।।
সত্যি বলতে কি কিছু কিছু সময়ে কষ্টের সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও মুখে হাসি রেখে সবাইকে বুঝাতে হয় ইটস ওকে। কিছু অনুভূতি কাউকে বলতে না পারার জন্য নিজে নিজেকে হত্যা করতে হয় প্রতিটা মূহুর্তে।।
আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি৷ তবুও আমাদের আলাদা বসবাস। আমাদের দূরত্ব বাড়েনি৷ শুধু এক অদৃশ্য দেয়াল আমাদেরকে পাশাপাশি রেখে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি সবকিছু থেকে।৷
আমাদের ভালো থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা ভালো নেই, বেঁচে আছি শুধু। আমাদের দেহ জীবিত হলেও মন মরে গেছে বহুদিন হয়। মনের সাথে মরে গেছে অনেককিছু— রাগ, ঘৃণা, ক্ষোভ, ভালোবাসা, হাসি, আনন্দ, অভিমান, অনুরাগ, অভিযোগ।
চাওয়া পাওয়ার হিসেবে ধূলো জমেছে।।
আমাদের কাছে কোন কিছুর চাওয়া পাওয়া নেই। ঠিকানা হারানো পথিকের মতো আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের৷।
স্ট্যাটাসঃ-০৬ কিছু মানুষ আপনাকে ভাঙা আয়নার মত টুকরো টুকরো করে দিয়ে, আপনার সাথেই দূরত্ব বাড়াবে।
আপনাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়ে ডোন্ট কেয়ার মুড নিয়ে আপনাকেই অনুশোচনায় ফেলবে। সুযোগ পেলে জোর গলায় আপনাকে অপবাদ চাপাবে। আর আপনি সেই অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে অপরাধবোধ করবেন।
কিছু মানুষ আপনার সাথে মন কষাকষি করে এমন একটা ভাব ধরবে যেন সে খুবই কষ্ট পেয়েছে! আপনি কিছু না করা সত্ত্বেও আপনাকে এমন ভাবে ইগনোর করবে যেন আপনি তাদের সাথে ঘোর কোন অন্যায় করে ফেলেছেন। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন এরা মোটেও কষ্ট পায় নি! কষ্ট পাওয়ার অভিনয় করেছে মাত্র!
এদিকে আপনি সব ছেড়েছুড়ে এসব ভেবে পড়ে থাকবেন। আচ্ছা, আপনি তো কোন অন্যায় করেন নি! তাহলে আপনার আকাশে এত মেঘ কেন? আপনিই বা কেন দিনকে রাত বানিয়ে হায় হুতাশ করছেন? কারোর জন্য নিজের মনকে কষ্ট দেয়া জঘন্যতম অপরাধ। এসব ব্যাপারে এত চাপ নেয়ার কিছু নেই! চাপ নিলেই জীবন অসুন্দর। জাস্ট চিল ভেবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশটা পরিষ্কার করে নিতে শিখুন। ডোন্ট কেয়ার মুড নিয়ে হাসি মুখে ইগনোর করতে শিখুন।
স্ট্যাটাসঃ-০৭ পাশে থাকা মানেই কিন্তু 'মনে' থাকা নয়।
কারো মনে প্রবেশ করা, কিংবা কারো আত্নার আত্নীয় হওয়া ব্যাপারটা ওতোটা সোজা না।
সারাদিন কারো সাথে অগনিত কথা বলা মানেই কিন্তু মানুষটাকে ভালবাসা নয়!
ভালবাসা উপলব্ধির বিষয়। আত্নার সাথে আরেকটা আত্নার সন্ধির বিষয়।
কারনে,অকারনে আমাদের সাথে অনেক মানুষের পরিচয় হয়। সারাদিনে অনেক মানুষের সাথে কথা হয়, দেখা হয়, কুশল বিনিময়ও হয়।
তাই বলে কি আমরা আদৌ কারো সাথে অবলিলায় মনের কথাগুলো শেয়ার করতে পারি? নিজের ভাল লাগা, মন্দ লাগা, চাওয়াগুলোও চাইলেও কারো কাছে তুলে ধরতে পারিনা। হুটহাট করে কাউকে একেবারেই কাছে ডেকে নিতে পারিনা। প্রচন্ড মন খারাপেও কাউকে সঙ্গ দেবার জন্য আহব্বান করতে পারিনা।
মনে বসবাস করা আর পাশাপাশি বসবাস করা মোটেও একই কথা নয়। যারা মনে বসবাস করে, তারা সংস্পর্শে না থাকলেও তাকে হাজারটা কথা আনমনে বলে ফেলি।
কল্পনার জগতে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে সাত রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গিয়ে তুলি। বলবনা বলবনা করেও হাজারটা কথা তাকে বলে দিয়ে নিজেকে হালকা করে তুলি। ভালবাসবনা বাসবনা করেও হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা তাকে দিয়ে ফেলি।
'মনে'বসবাস করা মানুষগুলো সত্যিই খুব সুন্দর।এমন মানুষ পাশে থাকলে, জীবনটা আরো সুন্দর।
"পাশে থাকা মানেই মনে থাকা নয়!
অগনিত মানুষের ভিড়ে একজনই কেবল মনে রয়"
স্ট্যাটাসঃ-০৮ কিছুতেই_হারাতে_দেয়না
মানুষের জীবনে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি সব সময় চিরস্থায়ী হয়না। কোন সম্পর্ক থাকেও না চিরদিন,। ভাঙা গড়ার মধ্যদিয়েই এগিয়ে যায় ছোট্ট এ জীবন।
মানুষ এতে অভ্যস্ত, এই অভ্যাস তৈরি হয় শৈশব থেকেই। প্রাণ পন চেষ্টায়ও তা ঝেড়ে ফেলা যায়না।
আমরা যতো বড় হই ক্রমেই জীবন থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে আমাদের প্রিয় চরিত্রেরা।
তবে মানুষটা হারিয়ে গেলেও রেখে যায় তার দেয়া মন কেমন করা স্মৃতি।
হয়তো সম্পর্কটা টেকেনি।
হয়তো হারিয়েছে সমুদয় অধিকার।
বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা প্রিয় জনের স্পর্শ লেগে থাকা, আস্ত গোলাপ যখন বেড়িয়ে আসে-
নির্ঘুম তেমন কোনো রাতে কত কথা মনে পড়ে যায়।
কত ব্যাথা জাগে বুকে...!
এভাবেই নাকে জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম মোছার রুমাল, রাত জেগে লেখা চিঠি, দাঁতের আঘাতে থেতলে যাওয়া কলমের খাপ, ক্লিপে লেগে থাকা তার হাতের স্পর্শ, প্রিয় মানুষ টাকে জাগিয়ে রাখে বুকে।কিছুঁতেই তাকে দেয়না হারাতে ।
পরিস্থিতির চাপে, মামলি ভুল বোঝা বুঝিতে-
কিংবা জীবনের অমঘ টানে প্রিয় মানুষটা হয়তো
চলে যায় জীবন থেকে। হয়তো শেষবারের মত ভালোবাসি কথাটাও বলা হয়না।
কিন্তু বুক - পাঁজরে থরে থরে সাজানো স্মৃতি,
তাকে ভুলতে দেয়না কিছুতেই।
টুকরো উপহার, কাঙ্খিত স্পর্শ, একসঙ্গে হেঁটে চলা হেমন্ত বিকেলে তাকে বাঁচিয়ে রাখে প্রতিটা দুপূর।
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তার শেষ চিঠিতে, হয়তো সেই সব প্রেমিক প্রেমিকার-
হৃদয়ের উদ্দেশ্যে লিখে গেছেন,,,,
আজকের পড় সব সময় আগামীকাল আসে,
আর জীবন আমাদের ভুল শুদরোনোর
সুযোগ করে দেয়।
স্ট্যাটাসঃ-০৯ আমি কখনো তোমার সাথে বিচ্ছেদ চাইনি,
তবুও অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিচ্ছেদ হয়ে গেছে!
তুমি যানো তোমার সাথে দেখা হওয়ার আগে আমার জীবনের প্রতি আমার মায়া ছিল।
আমার পছন্দ অপছন্দ ছিল।তার পর তুমি এলে ।
আমি জানতাম না যে পৃথিবীতে কোন মানুষ এর মনের সাথে কারো এতটা মিল থাকতে পারে।আমাদের কথার পরিমাণ বেশী হল।
আমার অপ্রয়োজনী কথা গুলো ও তুমি মন দিয়ে শুনতে।
তোমাকে ভালোবেসে ফেললাম। ❣তারপর হঠাৎ একদিন হারালে।যানো সেদিন আমার নিঃশ্বাস নিতে ও কষ্ট হচ্ছিল।
আমি তোমাকে আমার জীবনের বিরাট একটা অংশে ঝরিয়ে নিয়েছিলাম। ।আর যখন তুমি চলে গেলে
সে অংশটুকু সাথে নিয়ে গেলে আমি হয়ে গেলাম শূন্য জগতের বাসিন্দা।
তোমাকে যেদিন হারিয়ে ছিলাম সে দিন তোমার সাথে আমার জীবনের মায়া টুকু ও হারিয়ে গেলো।আমার ভেতর এখন ভালো খারাপ কোন কিছুই কাজ করেনা।আমি না বেছে আছি না মরে গেছি।এক অদ্ভুত মানুষ হয়েগেছি। এক ছন্নছাড়া মানুষ আমি, যার কোন মায়া নেই জীবনের প্রতি।এক অনুভূতি শূন্য মানুষ। আমি এখন স্বাভাবিক নই।আমি বুঝতে পারি নিজেকে ধংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছি
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার শরীরে গন্ধ টা ও লাশের গন্ধ হয়ে গেছে।
স্ট্যাটাসঃ-১০ হুটহাট করে কেউ ছেড়ে যায়না! যে ছেড়ে গেছে, তারও থেকে যাবার প্রবল ইচ্ছা ছিল। বুকের ভিতরে জমে থাকা হাজারটা স্বপ্ন ছিল।সবরকম পরিস্থিতিতে একে অপরের পরিপূরক হয়ে বেচে থাকার অসংখ্য প্রতিশ্রুতি ছিল।
কেউ একদিনে সমস্ত স্মৃতি,সমস্ত মায়াকে কবর দিয়ে নিজের মত করে বাচতে শিখেনা।যখন কেউ তাকে দিনের পর দিন অপমান করে, তার সরলতাকে পুঁজি করে নগ্ন খেলায় মেতে থাকে, সহ্যশক্তির দেয়ালটা দিনে দিনে অতিক্রম করে, ঠিক তখনি মানুষটা সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অনেক দূরে চলে যায়।
খুব সহজে কেউ কোন সম্পর্ক থেকে মুক্তি নেয়না।
ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলোর ভিতরের গল্পটা-
আমরা কেউ-ই জানিনা। যতটুকু জানি, তা হয়তো পুরোটাই ভুল জানি, নয়তো সঠিকটাই জানি।
ছেড়ে যাওয়া মানুষটারও একসময় থেকে যাবার জন্য প্রাণপণ লড়াই ছিল। শত অপমান,শত লাঞ্চনা বঞ্চনা সহ্য করে শুধুমাএ সম্পর্কটা বাচিয়ে রাখার তাগিদে মানুষটা নিজেকে একেবারেই বেহায়া, নির্লজ্জ করে অপর পাশের মানুষটার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলো।
হাতে,পায়ে ধরার মত হাজারটা নিভৃত গল্প লুকিয়ে থাকে প্রত্যেকটি ছেড়ে আসার মানুষের বুকের গহীনে খোঁদাই করা প্রত্যেকটি ডায়েরীর পাতাতে।
কারো ভিতরের কঠিন যন্ত্রনাগুলোকে বাইরে থেকে আমরা কোনভাবেই জানতে পারিনা।যন্ত্রনাগুলোর পুরো উত্তাপটা বাইরে থেকেও আমরা পোহাতেও পারিনা।
যার যন্ত্রনা, যার কষ্ট, একমাএ সে'ই এবং মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারোর-ই বোঝার ক্ষমতা নেই কার ভিতরে কিসের দহন চলে। কে হাসির আড়ালে কান্না লুকিয়ে লোক দেখানো ভাল থাকে। কারোর ভিতরের কষ্ট কেউ বোঝেনা, কেউ না!
"যার কষ্ট সেই বোঝে, লোকে তো শুধু বাহ্যিক ভাল থাকা আর ছেড়ে যাবার গল্পটাই খোঁজে।
স্ট্যাটাসঃ-১১ পঁচিশ বছর পেরিয়ে যাওয়া অবিবাহিত মেয়েটি জানে নিজের বাড়িতে থাকাটা ও কতোটা অশান্তির হয়।
পড়ালেখা কমপ্লিট করা বেকার ছেলেটি জানে ছুরির চেয়ে ও ধারালো হয় পরিবারের মানুষজনের কথাবার্তা।
বাবাহীন এতিম সন্তানেরা জানে রক্তে গড়া আত্মীয়-স্বজনেরা ও আপন হয় না টাকা ছাড়া।
মা হারা অসহায় ছেলে-মেয়ে গুলো জানে মামাবাড়ির রসের হাঁড়ির আদর তাঁদের জন্য নয়।
যৌতুক না নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পা রাখা মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েটি জানে মানুষ কত ভাবে কত ধরনের কথা বলতে পারে।
চাকুরীহীন বেকার ছেলেটি জানে টাকার বাইরে ভালোবাসার আলাদা কোনো মূল্য কিংবা গুরুত্ব হয় না।
কালো মেয়েটি জানে মুখে মুখে গুণের কথা বলে বেড়ালে ও মনে মনে সবাই খুঁজে বেড়ায় রূপের বাহার।
খাটো হয়ে পৃথিবীতে আসা ছেলেটি জানে তার সব যোগ্যতা ফিকে হয়ে যায় কেবল তার উচ্চতার সামনে এসে।
ডিভোর্স হওয়া মেয়েটি জানে শরীরের আনাচে কানাচে আঘাতের দাগ ভরপুর থাকলে ও সংসার ভাঙ্গার দায় কেবলই তার মাথায়।
শুধু বিবাহিত নারীরা নয় বরং বহু বিবাহিত পুরুষেরা ও বোঝে বউয়ের জ্বালা কতোটা তীব্র হয়।
সুস্থ মানুষেরা ভাবে পৃথিবী জুড়ে এতো মানুষের ভীড়ে কেউ না কেউ তো তার আপনই।
কিন্তু পাগল জানে স্বার্থের পৃথিবীতে কেউ কারো নয় আর কেউ কারো হয় ও না কখনোই।
স্ট্যাটাসঃ-১২ জীবন তখনই সহজ ছিল যখন বুঝতে পারতাম না মানুষ মানুষকে ভালোবাসে শুধু মাত্র স্বার্থের জন্য। আমাদের সব থেকে ভালো এবং সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমরা অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছি।
সব থেকে অবাক করার বিষয় কি জানেন.. এই স্বার্থপর পৃথিবীতে থাকতে থাকতে এবং স্বার্থপর মানুষের সাথে মিশে আমরা নিজেরাই কখন যে স্বার্থপর হয়ে উঠেছি আমরা নিজেরাই টের পাই না।
কিছু কিছু মানুষ এই প্রকৃতির নিয়ম ভেঙে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়, করতে চায় তার মন যখন যেটা বলে সেটা করতে। তারা খুব করে চায় মুক্ত আকাশে উড়ন্ত পাখির মতো করে উড়ে যেতে।
নিজেকে বন্দী করে রাখতে রাখতে এরা খাঁচা বন্দী পাখির মতো করে ডানা ঝাপটে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কখন সে মুক্তি পাবে। মুক্তি হয়তো মিলে না তাদের, তবে একটা আশা নিয়ে বেঁচে থাকে মুক্তি তারা পাবেই কোন না কোন সময়,হয়তো এই অপেক্ষার অবসান ঘটে না।
নিয়ম করে প্রতিটা মূহুর্তে মানুষকে কলমের কালি দিয়ে অনুপ্রাণিত করা যায়, কিন্তু আমাদের জীবন কলমের কালির মতো করে অতিবাহিত হয় না। আপনি যতই অনুপ্রেরণার এবং মোটিভেট বাক্য শুনেন না কেন,আপনি নিজে না চাইলে নিজের চেষ্টা না থাকলে আপনি আপনার জীবন কখনোই পরিবর্তন করতে পারবেন না।
একটি সুখী আত্মা একটি নিষ্ঠুর পৃথিবীর জন্য শ্রেষ্ঠ ঢাল। কেউ তোমার মতো বিশেষ নয়,কেউ তোমার মতো পবিত্র নয়। আপনার নিজেকে রক্ষা করার সব থেকে ভালো উপায় আপনি নিজেকে ছেড়ে না দেওয়া, নিজেকে ছেড়ে দিলে আপনার পুরো পৃথিবী আপনাকে গুড বাই বলে দিবে।
স্ট্যাটাসঃ-১৩ আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষ আসে যাদের আমরা খুব গুরুত্ব দেই খুব সম্মান করি। আমরা কখনো ভাবতেই পারিনি তাদের সাথে দেখা হবে বা কথা হবে। কিন্তু তাদের কাছে পাত্তা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে...!!-
তখন ভিতরে ভিতরে নিজেকে ছোট মনে হয়। আর ঠিক তখনই আমরা অনুভব করি জীবনে বেস্ট মানুষটার চেয়ে বিশ্বস্ত মানুষটাই বেটার। যে মানুষ গুলো আমায় মূল্য দেয় সে মানুষ গুলো অতি নগন্য ব্যাক্তি হলেও আমাদের জীবনে শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকে আজীবন..!!-
সময়ের সাথে অনেক মানুষ পারফেক্ট হয় কিন্তু বিশ্বস্ত হওয়া খুবই দূলভ। জীবন চলার পথে অনেক ভুল মানুষের সাথে জড়িয়ে যেতে পারেন এটা আপনার ভুল নয়।কারণ ভালো মন্দ মিলিয়ে জীবনের চলা...!!-
ভুল মানুষ জীবনে আসতেই পারে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অস্বাভাবিক হলো সেটাই মানুষটা ভুল জানার পরেও তাকে নিয়ে জীবনের পথ পাড়ি দেওয়া,তাকে নিয়ে বাঁচতে চাওয়া...!!-
ভুল মানুষ গুলো তখনই আপনাকে দগ্ধ করে যখন তাদের অতি মাত্রায় প্রশ্রয় দেয়া হয়। আপনি নিজেই সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে দেখবেন প্রিয় গুলোও বদলে যাবে আর সেখানে ভুল মানুষ তো আরো বেশি করে সুযোগ খুঁজবে...!!-
যে মানুষটার সাথে আপনার মতের অমিল হচ্ছে, আপনার সাথে সব সময় মিসবিহেব হচ্ছে, আপনার ভালো লাগা মন্দ লাগা তার মত করতে চাচ্ছে,যার সাথে তোমার মন মানসিকতা মিলছে না সেই মানুষটার সাথে আর যাই হোক কষ্ট ছাড়া কিছু আশা করা যায় না...!!-
বরং দুজন দুজনের ভুল মানুষ হয়ে জীবন পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সব থেকে বড় ভুলটা কোথায় জানেন...আমরা মানুষের উপরের চাকচিক্যময় রূপ দেখে সঠিক,ভুল, বিচার করি...!!-
আমি এমনও মানুষ দেখেছি যারা বাহ্যিক সৌন্দর্যের অধিকারী তাদের ভিতরে লুকিয়ে আছে অনেক অজানা কুৎসিত রূপ। আর যারা বাহ্যিক দিক দিয়ে কুৎসিত তারা সব দিক দিয়ে পারফেক্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছে...!!-
এতো মানুষের ভিড়ে কারো যদি একজন পারফেক্ট মানুষ থাকে সে মানুষটা অনেক ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী.জীবনে সঠিক মানুষ পেলে আগলে রাখবেন। কারণ জীবনে ভালো সুযোগ আর সঠিক মানুষ সহজে আসে না...!
স্ট্যাটাসঃ-১৪ অথচ আমরা বোকা মানুষরা খুব বেশি কিছু চাই না।একটু ভালোবাসলেই আমরা মন উজাড় করে বিপরীত মানুষটাকে ভালোবাসতে জানি। খুব ছোট ছোট জিনিসে আমরা ভালবাসা কুড়োতে জানি।
আমরা আজীবন চাই বোঝার মতো কেউ আসুক, যত্ন নেওয়ার জন্য কেউ আসুক। এমন কেউ আসুক যে মন উজাড় করে ভালোবাসবে, যাকে কিছু বলতে হবে না কন্ঠস্বর কিংবা ছোট একটা রিপ্লাই দেখে বুঝে যাবে কিছু ঠিক নেই।
প্রচন্ড হাঁসফাঁস করা সময়ে যার কাছে পাওয়া যাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস। খুব খারাপ সময়ে যার কাছে পাওয়া যাবে একটুখানি মেন্টাল সাপোর্ট। যাকে কিছু বললে, একটু হেসে সান্ত্বনা দিলেই ন্যাপথলিন এর মতো উড়ে যাবে সব দুঃখ। যার হাসিতে,কথায় থাকবে মাদকতা যেটায় ডুবে গিয়ে কয়েক প্রহর সবকিছু নিমিষেই ভুলে থাকা যাবে।
কিন্তু আমাদের মতো ছাপোষা সাধারনের জীবনে এমন কেউ সিনেমার হিরোর মতো ঝাকানাকা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সাথে এন্ট্রি নেয় না।
এসব চরিত্র কেবল গল্প,উপন্যাস কিংবা সিনেমার পর্দাতেই মানায়।
আমাদের মতো দুঃখবিলাসীদের জীবনে যারা আসে তারা বরং কয়েকদিনের অথিতি হয়ে আসে।
যারা কয়েকদিন কিছু দুঃখ সরিয়ে দিয়ে কয়েকদিন হাসিমুখে রেখে পরে তার দ্বিগুন উপহার দিয়ে যায়।
আসলে একটা সত্যি কথা কী জানেন? এক আকাশসম ভালোবাসার ক্ষমতা যাদের থাকে তাদের কেউ ভালোবাসতেই আসে না।
আসে বরং কিছু স্মৃতি উপহার দিতে আর কিছু ভালো থাকা কেড়ে নিতে। আর আমাদের মতো বোকা মেয়েমানুষরা ওই মানুষদেরই এতটা ভালোবাসে যে, যে ভালোবাসাই তাদের এলোমেলো করে মানষিক রোগী বানিয়ে দেয়। মনের মাঝে আস্ত একটা সংসার গুছিয়ে দিয়ে মানুষগুলো কত অবলীলায় মাঝপথে ছেড়ে চলে যায়, প্রার্থনারত হাত দুটোও আর যাদের ফিরিয়ে আনতে পারে না।
আসলে এতটা ভালো কাউকে বাসতে নেই,
যতটা ভালোবাসলে নিজের কাছেই নিজে অচেনা হয়ে যায়।
আসলে অতটা ভালো বাসতে হয় না...।
স্ট্যাটাসঃ-১৫ কিভাবে_মানসিক_শান্তিতে_থাকা_যায়
(১)
প্রথমে বলে নেই- যে মানসিক ভাবে সুখী,
সে'ই প্রকৃত সুখী।
এবং জগতের সবচেয়ে সুখী মানুষ....।
মানসিক ভাবে শান্তিতে থাকার ১০০% কার্যকর উপায় হচ্ছে,
"আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে, তার উপর কারো কোনো হাত নাই" আমাদের পরিকল্পনার চেয়ে ওনার পরিকল্পনা শত কোটি গুণ বেশি ভালো।
এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস-ধারণ করতে হবে।
আপনি ভালো থাকা সত্বেও আপনার বউ/জামাই আপনাকে বুঝলোনা, কষ্ট দিলো, ছেড়ে চলে গেলো-এগুলো সহজে মেনে নেন।
মনে করতে হবে, যা হয় ভালোর জন্যই হয়।
ঘি মূল্যবান খাদ্য উপকরণ হওয়া সত্বেও কিছু কিছু প্রাণী তা হজম করতে পারেনা।
কিন্তু ঠিকই পঁচা-বাসি খাবার খায় তারা।
তাহলে এতে আপনার দোষ কোথায়???
আল্লাহ স্বয়ং নবী-রাসূলদের এত এত কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন (কোন নবীর ছেলে কাফের ছিল, বাবা কাফের ছিল, বউ ভালো ছিলোনা, আর মহানবী(সাঃ) এর পুত্রগণ তো ছোট থাকতেই মারা গেল)
তাহলে আপনি কি তাদের তুলনায় বেশি পরীক্ষা দিচ্ছেন?
আল্লাহ যাকে ভালোবাসে তাকেই কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন....
কাজেই জীবনে হোচট খাওয়া ব্যর্থতা না,
বরং উঠে না দাঁড়ানো পারাটাই ব্যর্থতা...।
২)
সব সময় পজিটিভ attitude রাখতে হবে।
মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, আমি বেটার কিছু পাবো বলেই আল্লাহ সস্তা/বাজে কিছু সরিয়ে নিয়েছেন, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
৩)
১ম সম্পর্ক ভাঙনের পর হুট/হাট করে সম্পর্কে যাওয়া যাবেনা। পরিবার, সন্তান, নিজ সবার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৪)
বিরহ/ছ্যাঁকা টাইপের গান, নাটক, সিনেমা বা নেগেটিভ মাইন্ডের লোকের সংস্পর্শে যাবেন না।
এই যে যারা বলে, আপনি এত ভালো হলে ডিভোর্স কেন??
৫)
অনলাইনে কম সময় দিবেন।
বাগান, ছাদকৃষি করতে পারেন। খামার করতে পারেন ইত্যাদি। মানে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।
ঐ যে কথায় বলে Out of sight, Out of mind.
৬)
যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবেন।
৭)
বাচ্চাদের টাইম দিবেন। দেখবেন, যতই চিন্তা, দুশ্চিন্তা থাকুক- আপনার মন অটোমেটিক ভালো হবে
শেষ করব একটা গল্প দিয়ে,,,,
একটা লোক ৩০ মিনিট লেটে আসায় বিমানের ফ্লাইট মিস করল। আর মনে মনে বলতে লাগলো, ইশ কোটি টাকার ডিলটা ভেস্তে গেল।
১ টা ঘন্টা পর শুনল, বিমানটা crash করেছে,
সবাই মারা গেছে।
তখন লোকটা বল আলহামদুলিল্লাহ....।
আমি তো বেঁচে গেছি।
তাহলে আজ ডিভোর্স হয়ছে বিধায়,
আপনি শেষ হয়ে যান নাই।
মনোবল হল আসল শক্তি।
স্ট্যাটাসঃ-১৬ শুধু নারী'ই নয় - সৌন্দর্য পুরুষেরও আছে।
ভীড়ের মধ্যে যে পুরুষ তোমায় আগলে রাখে,
সে পুরুষের সৌন্দর্য কী জানো? তোমার মর্যাদা।
ফুটপাতে চলার পথে যে পুরুষ নিজে ডানদিকে থেকে তোমাকে বামদিকে রাখে, সৌন্দর্য সে পুরুষেরও আছে।
তোমার নিরাপত্তা তার নাম।
যে পুরুষ তোমায় সবসময় জানালার পাশে বসতে দেয়, সে পুরুষের সৌন্দর্য কি?
তোমার ভালোলাগা তার ভালোলাগা।
যে পুরুষ কষ্টার্জিত আয় তোমার হাতে তুলে দিয়ে বলে, সংসারটাকে একটু সামলে রেখো-
সে পুরুষের সৌন্দর্যকে কি নামে ডাকো?
আস্থা।
যে পুরুষ তোমাকে একপলক দেখার জন্য ছটফট করে, সামান্য অপ্রাপ্তিতে পাগলামো করে-
সে পুরুষের সৌন্দর্যের নাম ভালোবাসা।
যখন নারী তুমি অগ্নিরূপ ধারণ করো, তখন যে পুরুষ নিশ্চুপ থাকে, আর শেষে বলে ভালোবাসি।
সে পুরুষের সৌন্দর্য তোমার নজরে পড়েছে কখনো? কি নাম দিবে তার? গুরুত্ব!
যে পুরুষ নারীকে মর্যাদা দেয় না,
সে পুরুষের পৌরুষত্ব নেই।
আর যার পৌরষত্ব নেই, সে আবার পুরুষ নাকি?
পুরুষ গলির মোড়ের ফার্মেসি থেকে শুধু কনডমই নিয়ে আসে এমন নয়। ঘরের নারীর জন্য প্যাডও নিয়ে আসে।
বুকপকেটে করে ছোট্ট একটা উপহারও নিয়ে আসে।
গভীর রাতে স্ত্রীর কাছে পুরুষ কেবলই সুখ চায় এমন নয় ।
পুরুষ স্ত্রীকে বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে জিজ্ঞেস করে, ব্যথাটা কমেছে তোমার?
পুরুষ মানুষ কেবলই নিজেরটা বুঝে এমন নয়, পুরুষ মানুষ তোমাকে এগিয়ে যেতে সাহসও জোগায়।
তবুও যদি বলো, সব পুরুষই খারাপ!
পুরুষ মানুষ মানেই ভোগবাদী!
পুরুষ মানুষ কেবলই স্বার্থপর!
আমাকে দুঃখ নিয়ে বলতে হয়, তুমি পুরুষত্বটাই দেখেছো, পৌরুষত্ব তোমার নজরে আসেনি।
শোন নারী, সৌন্দর্য পুরুষেরও আছে।
তুমি খুঁজে নিতে পারোনি।
সো মেক মানি এন্ড মানি দ্যান দ্যা ওয়ার্ল্ড ইস ইউর।
স্ট্যাটাসঃ-০৪ নিজেই নিজেকে একটু কেয়ার করা শুরু করো। নিজেকে একটু গুরুত্ব দাও। দেখতে পাবে পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি অবহেলা তুমি নিজে নিজেকে করেছো। আর যে সব কস্ট তুমি পেয়েছ তার বেশি অর্ধেক তুমি তোমার দ্বারা পেয়েছো।
তোমাকে কেউ কস্ট দেয়নি। কারো সাথে রাগ করে নিজে খাওনি। কিন্তু না খেয়ে থাকার কস্টটা তুমিই পেয়েছো।
রাগ করে নিজেকে একা করে নিয়েছ। একাকিত্ব এ তুমি ভুগেছো। অন্য কেউ নয়। নিজের পছন্দের জিনিসটা অন্য জনকে রাগ করে দিয়েছো পরিশেষে তুমি সেই জিনিসটা আর পাওনি।
নিজেকে নিজে হিসাব করে দেখলে হয়ত তুমি বুঝতে পারবে তোমার যত কস্ট তার বেশি অর্ধেক তোমার নিজের দেওয়া।
আমরা অন্যকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজেক সস্তা বানিয়ে ফেলি। অন্যের জন্য নিজেকে নিজেই অবহেলা করি।
হিসাবের খাতা খুলে যখন নিজের হিসাব মিলাতে যাবে দেখবে তোমার নিজের আদালতে তুমি অপরাধী।
স্ট্যাটাসঃ-০৫ একটা মানুষ বেঁচে থেকেও কখনো কখনো মরে যায়! মানুষটা বেঁচে থাকে ঠিকই, তবে মনটা মরে যায়!
জীবন ঠিকই জীবনের নিয়মে চলে, তবে মনটা মরে যায়! হয়তো প্রিয় কারও জন্য নয়তো প্রিয় কোন মুহুর্তের জন্য।।
সত্যি বলতে কি কিছু কিছু সময়ে কষ্টের সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও মুখে হাসি রেখে সবাইকে বুঝাতে হয় ইটস ওকে। কিছু অনুভূতি কাউকে বলতে না পারার জন্য নিজে নিজেকে হত্যা করতে হয় প্রতিটা মূহুর্তে।।
আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি৷ তবুও আমাদের আলাদা বসবাস। আমাদের দূরত্ব বাড়েনি৷ শুধু এক অদৃশ্য দেয়াল আমাদেরকে পাশাপাশি রেখে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি সবকিছু থেকে।৷
আমাদের ভালো থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা ভালো নেই, বেঁচে আছি শুধু। আমাদের দেহ জীবিত হলেও মন মরে গেছে বহুদিন হয়। মনের সাথে মরে গেছে অনেককিছু— রাগ, ঘৃণা, ক্ষোভ, ভালোবাসা, হাসি, আনন্দ, অভিমান, অনুরাগ, অভিযোগ।
চাওয়া পাওয়ার হিসেবে ধূলো জমেছে।।
আমাদের কাছে কোন কিছুর চাওয়া পাওয়া নেই। ঠিকানা হারানো পথিকের মতো আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের৷।
স্ট্যাটাসঃ-০৬ কিছু মানুষ আপনাকে ভাঙা আয়নার মত টুকরো টুকরো করে দিয়ে, আপনার সাথেই দূরত্ব বাড়াবে।
আপনাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়ে ডোন্ট কেয়ার মুড নিয়ে আপনাকেই অনুশোচনায় ফেলবে। সুযোগ পেলে জোর গলায় আপনাকে অপবাদ চাপাবে। আর আপনি সেই অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে অপরাধবোধ করবেন।
কিছু মানুষ আপনার সাথে মন কষাকষি করে এমন একটা ভাব ধরবে যেন সে খুবই কষ্ট পেয়েছে! আপনি কিছু না করা সত্ত্বেও আপনাকে এমন ভাবে ইগনোর করবে যেন আপনি তাদের সাথে ঘোর কোন অন্যায় করে ফেলেছেন। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন এরা মোটেও কষ্ট পায় নি! কষ্ট পাওয়ার অভিনয় করেছে মাত্র!
এদিকে আপনি সব ছেড়েছুড়ে এসব ভেবে পড়ে থাকবেন। আচ্ছা, আপনি তো কোন অন্যায় করেন নি! তাহলে আপনার আকাশে এত মেঘ কেন? আপনিই বা কেন দিনকে রাত বানিয়ে হায় হুতাশ করছেন? কারোর জন্য নিজের মনকে কষ্ট দেয়া জঘন্যতম অপরাধ। এসব ব্যাপারে এত চাপ নেয়ার কিছু নেই! চাপ নিলেই জীবন অসুন্দর। জাস্ট চিল ভেবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশটা পরিষ্কার করে নিতে শিখুন। ডোন্ট কেয়ার মুড নিয়ে হাসি মুখে ইগনোর করতে শিখুন।
স্ট্যাটাসঃ-০৭ পাশে থাকা মানেই কিন্তু 'মনে' থাকা নয়।
কারো মনে প্রবেশ করা, কিংবা কারো আত্নার আত্নীয় হওয়া ব্যাপারটা ওতোটা সোজা না।
সারাদিন কারো সাথে অগনিত কথা বলা মানেই কিন্তু মানুষটাকে ভালবাসা নয়!
ভালবাসা উপলব্ধির বিষয়। আত্নার সাথে আরেকটা আত্নার সন্ধির বিষয়।
কারনে,অকারনে আমাদের সাথে অনেক মানুষের পরিচয় হয়। সারাদিনে অনেক মানুষের সাথে কথা হয়, দেখা হয়, কুশল বিনিময়ও হয়।
তাই বলে কি আমরা আদৌ কারো সাথে অবলিলায় মনের কথাগুলো শেয়ার করতে পারি? নিজের ভাল লাগা, মন্দ লাগা, চাওয়াগুলোও চাইলেও কারো কাছে তুলে ধরতে পারিনা। হুটহাট করে কাউকে একেবারেই কাছে ডেকে নিতে পারিনা। প্রচন্ড মন খারাপেও কাউকে সঙ্গ দেবার জন্য আহব্বান করতে পারিনা।
মনে বসবাস করা আর পাশাপাশি বসবাস করা মোটেও একই কথা নয়। যারা মনে বসবাস করে, তারা সংস্পর্শে না থাকলেও তাকে হাজারটা কথা আনমনে বলে ফেলি।
কল্পনার জগতে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে সাত রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গিয়ে তুলি। বলবনা বলবনা করেও হাজারটা কথা তাকে বলে দিয়ে নিজেকে হালকা করে তুলি। ভালবাসবনা বাসবনা করেও হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা তাকে দিয়ে ফেলি।
'মনে'বসবাস করা মানুষগুলো সত্যিই খুব সুন্দর।এমন মানুষ পাশে থাকলে, জীবনটা আরো সুন্দর।
"পাশে থাকা মানেই মনে থাকা নয়!
অগনিত মানুষের ভিড়ে একজনই কেবল মনে রয়"
স্ট্যাটাসঃ-০৮ কিছুতেই_হারাতে_দেয়না
মানুষের জীবনে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি সব সময় চিরস্থায়ী হয়না। কোন সম্পর্ক থাকেও না চিরদিন,। ভাঙা গড়ার মধ্যদিয়েই এগিয়ে যায় ছোট্ট এ জীবন।
মানুষ এতে অভ্যস্ত, এই অভ্যাস তৈরি হয় শৈশব থেকেই। প্রাণ পন চেষ্টায়ও তা ঝেড়ে ফেলা যায়না।
আমরা যতো বড় হই ক্রমেই জীবন থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে আমাদের প্রিয় চরিত্রেরা।
তবে মানুষটা হারিয়ে গেলেও রেখে যায় তার দেয়া মন কেমন করা স্মৃতি।
হয়তো সম্পর্কটা টেকেনি।
হয়তো হারিয়েছে সমুদয় অধিকার।
বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা প্রিয় জনের স্পর্শ লেগে থাকা, আস্ত গোলাপ যখন বেড়িয়ে আসে-
নির্ঘুম তেমন কোনো রাতে কত কথা মনে পড়ে যায়।
কত ব্যাথা জাগে বুকে...!
এভাবেই নাকে জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম মোছার রুমাল, রাত জেগে লেখা চিঠি, দাঁতের আঘাতে থেতলে যাওয়া কলমের খাপ, ক্লিপে লেগে থাকা তার হাতের স্পর্শ, প্রিয় মানুষ টাকে জাগিয়ে রাখে বুকে।কিছুঁতেই তাকে দেয়না হারাতে ।
পরিস্থিতির চাপে, মামলি ভুল বোঝা বুঝিতে-
কিংবা জীবনের অমঘ টানে প্রিয় মানুষটা হয়তো
চলে যায় জীবন থেকে। হয়তো শেষবারের মত ভালোবাসি কথাটাও বলা হয়না।
কিন্তু বুক - পাঁজরে থরে থরে সাজানো স্মৃতি,
তাকে ভুলতে দেয়না কিছুতেই।
টুকরো উপহার, কাঙ্খিত স্পর্শ, একসঙ্গে হেঁটে চলা হেমন্ত বিকেলে তাকে বাঁচিয়ে রাখে প্রতিটা দুপূর।
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তার শেষ চিঠিতে, হয়তো সেই সব প্রেমিক প্রেমিকার-
হৃদয়ের উদ্দেশ্যে লিখে গেছেন,,,,
আজকের পড় সব সময় আগামীকাল আসে,
আর জীবন আমাদের ভুল শুদরোনোর
সুযোগ করে দেয়।
স্ট্যাটাসঃ-০৯ আমি কখনো তোমার সাথে বিচ্ছেদ চাইনি,
তবুও অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিচ্ছেদ হয়ে গেছে!
তুমি যানো তোমার সাথে দেখা হওয়ার আগে আমার জীবনের প্রতি আমার মায়া ছিল।
আমার পছন্দ অপছন্দ ছিল।তার পর তুমি এলে ।
আমি জানতাম না যে পৃথিবীতে কোন মানুষ এর মনের সাথে কারো এতটা মিল থাকতে পারে।আমাদের কথার পরিমাণ বেশী হল।
আমার অপ্রয়োজনী কথা গুলো ও তুমি মন দিয়ে শুনতে।
তোমাকে ভালোবেসে ফেললাম। ❣তারপর হঠাৎ একদিন হারালে।যানো সেদিন আমার নিঃশ্বাস নিতে ও কষ্ট হচ্ছিল।
আমি তোমাকে আমার জীবনের বিরাট একটা অংশে ঝরিয়ে নিয়েছিলাম। ।আর যখন তুমি চলে গেলে
সে অংশটুকু সাথে নিয়ে গেলে আমি হয়ে গেলাম শূন্য জগতের বাসিন্দা।
তোমাকে যেদিন হারিয়ে ছিলাম সে দিন তোমার সাথে আমার জীবনের মায়া টুকু ও হারিয়ে গেলো।আমার ভেতর এখন ভালো খারাপ কোন কিছুই কাজ করেনা।আমি না বেছে আছি না মরে গেছি।এক অদ্ভুত মানুষ হয়েগেছি। এক ছন্নছাড়া মানুষ আমি, যার কোন মায়া নেই জীবনের প্রতি।এক অনুভূতি শূন্য মানুষ। আমি এখন স্বাভাবিক নই।আমি বুঝতে পারি নিজেকে ধংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছি
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার শরীরে গন্ধ টা ও লাশের গন্ধ হয়ে গেছে।
স্ট্যাটাসঃ-১০ হুটহাট করে কেউ ছেড়ে যায়না! যে ছেড়ে গেছে, তারও থেকে যাবার প্রবল ইচ্ছা ছিল। বুকের ভিতরে জমে থাকা হাজারটা স্বপ্ন ছিল।সবরকম পরিস্থিতিতে একে অপরের পরিপূরক হয়ে বেচে থাকার অসংখ্য প্রতিশ্রুতি ছিল।
কেউ একদিনে সমস্ত স্মৃতি,সমস্ত মায়াকে কবর দিয়ে নিজের মত করে বাচতে শিখেনা।যখন কেউ তাকে দিনের পর দিন অপমান করে, তার সরলতাকে পুঁজি করে নগ্ন খেলায় মেতে থাকে, সহ্যশক্তির দেয়ালটা দিনে দিনে অতিক্রম করে, ঠিক তখনি মানুষটা সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অনেক দূরে চলে যায়।
খুব সহজে কেউ কোন সম্পর্ক থেকে মুক্তি নেয়না।
ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলোর ভিতরের গল্পটা-
আমরা কেউ-ই জানিনা। যতটুকু জানি, তা হয়তো পুরোটাই ভুল জানি, নয়তো সঠিকটাই জানি।
ছেড়ে যাওয়া মানুষটারও একসময় থেকে যাবার জন্য প্রাণপণ লড়াই ছিল। শত অপমান,শত লাঞ্চনা বঞ্চনা সহ্য করে শুধুমাএ সম্পর্কটা বাচিয়ে রাখার তাগিদে মানুষটা নিজেকে একেবারেই বেহায়া, নির্লজ্জ করে অপর পাশের মানুষটার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলো।
হাতে,পায়ে ধরার মত হাজারটা নিভৃত গল্প লুকিয়ে থাকে প্রত্যেকটি ছেড়ে আসার মানুষের বুকের গহীনে খোঁদাই করা প্রত্যেকটি ডায়েরীর পাতাতে।
কারো ভিতরের কঠিন যন্ত্রনাগুলোকে বাইরে থেকে আমরা কোনভাবেই জানতে পারিনা।যন্ত্রনাগুলোর পুরো উত্তাপটা বাইরে থেকেও আমরা পোহাতেও পারিনা।
যার যন্ত্রনা, যার কষ্ট, একমাএ সে'ই এবং মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারোর-ই বোঝার ক্ষমতা নেই কার ভিতরে কিসের দহন চলে। কে হাসির আড়ালে কান্না লুকিয়ে লোক দেখানো ভাল থাকে। কারোর ভিতরের কষ্ট কেউ বোঝেনা, কেউ না!
"যার কষ্ট সেই বোঝে, লোকে তো শুধু বাহ্যিক ভাল থাকা আর ছেড়ে যাবার গল্পটাই খোঁজে।
স্ট্যাটাসঃ-১১ পঁচিশ বছর পেরিয়ে যাওয়া অবিবাহিত মেয়েটি জানে নিজের বাড়িতে থাকাটা ও কতোটা অশান্তির হয়।
পড়ালেখা কমপ্লিট করা বেকার ছেলেটি জানে ছুরির চেয়ে ও ধারালো হয় পরিবারের মানুষজনের কথাবার্তা।
বাবাহীন এতিম সন্তানেরা জানে রক্তে গড়া আত্মীয়-স্বজনেরা ও আপন হয় না টাকা ছাড়া।
মা হারা অসহায় ছেলে-মেয়ে গুলো জানে মামাবাড়ির রসের হাঁড়ির আদর তাঁদের জন্য নয়।
যৌতুক না নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পা রাখা মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েটি জানে মানুষ কত ভাবে কত ধরনের কথা বলতে পারে।
চাকুরীহীন বেকার ছেলেটি জানে টাকার বাইরে ভালোবাসার আলাদা কোনো মূল্য কিংবা গুরুত্ব হয় না।
কালো মেয়েটি জানে মুখে মুখে গুণের কথা বলে বেড়ালে ও মনে মনে সবাই খুঁজে বেড়ায় রূপের বাহার।
খাটো হয়ে পৃথিবীতে আসা ছেলেটি জানে তার সব যোগ্যতা ফিকে হয়ে যায় কেবল তার উচ্চতার সামনে এসে।
ডিভোর্স হওয়া মেয়েটি জানে শরীরের আনাচে কানাচে আঘাতের দাগ ভরপুর থাকলে ও সংসার ভাঙ্গার দায় কেবলই তার মাথায়।
শুধু বিবাহিত নারীরা নয় বরং বহু বিবাহিত পুরুষেরা ও বোঝে বউয়ের জ্বালা কতোটা তীব্র হয়।
সুস্থ মানুষেরা ভাবে পৃথিবী জুড়ে এতো মানুষের ভীড়ে কেউ না কেউ তো তার আপনই।
কিন্তু পাগল জানে স্বার্থের পৃথিবীতে কেউ কারো নয় আর কেউ কারো হয় ও না কখনোই।
স্ট্যাটাসঃ-১২ জীবন তখনই সহজ ছিল যখন বুঝতে পারতাম না মানুষ মানুষকে ভালোবাসে শুধু মাত্র স্বার্থের জন্য। আমাদের সব থেকে ভালো এবং সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমরা অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছি।
সব থেকে অবাক করার বিষয় কি জানেন.. এই স্বার্থপর পৃথিবীতে থাকতে থাকতে এবং স্বার্থপর মানুষের সাথে মিশে আমরা নিজেরাই কখন যে স্বার্থপর হয়ে উঠেছি আমরা নিজেরাই টের পাই না।
কিছু কিছু মানুষ এই প্রকৃতির নিয়ম ভেঙে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়, করতে চায় তার মন যখন যেটা বলে সেটা করতে। তারা খুব করে চায় মুক্ত আকাশে উড়ন্ত পাখির মতো করে উড়ে যেতে।
নিজেকে বন্দী করে রাখতে রাখতে এরা খাঁচা বন্দী পাখির মতো করে ডানা ঝাপটে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কখন সে মুক্তি পাবে। মুক্তি হয়তো মিলে না তাদের, তবে একটা আশা নিয়ে বেঁচে থাকে মুক্তি তারা পাবেই কোন না কোন সময়,হয়তো এই অপেক্ষার অবসান ঘটে না।
নিয়ম করে প্রতিটা মূহুর্তে মানুষকে কলমের কালি দিয়ে অনুপ্রাণিত করা যায়, কিন্তু আমাদের জীবন কলমের কালির মতো করে অতিবাহিত হয় না। আপনি যতই অনুপ্রেরণার এবং মোটিভেট বাক্য শুনেন না কেন,আপনি নিজে না চাইলে নিজের চেষ্টা না থাকলে আপনি আপনার জীবন কখনোই পরিবর্তন করতে পারবেন না।
একটি সুখী আত্মা একটি নিষ্ঠুর পৃথিবীর জন্য শ্রেষ্ঠ ঢাল। কেউ তোমার মতো বিশেষ নয়,কেউ তোমার মতো পবিত্র নয়। আপনার নিজেকে রক্ষা করার সব থেকে ভালো উপায় আপনি নিজেকে ছেড়ে না দেওয়া, নিজেকে ছেড়ে দিলে আপনার পুরো পৃথিবী আপনাকে গুড বাই বলে দিবে।
স্ট্যাটাসঃ-১৩ আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষ আসে যাদের আমরা খুব গুরুত্ব দেই খুব সম্মান করি। আমরা কখনো ভাবতেই পারিনি তাদের সাথে দেখা হবে বা কথা হবে। কিন্তু তাদের কাছে পাত্তা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে...!!-
তখন ভিতরে ভিতরে নিজেকে ছোট মনে হয়। আর ঠিক তখনই আমরা অনুভব করি জীবনে বেস্ট মানুষটার চেয়ে বিশ্বস্ত মানুষটাই বেটার। যে মানুষ গুলো আমায় মূল্য দেয় সে মানুষ গুলো অতি নগন্য ব্যাক্তি হলেও আমাদের জীবনে শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকে আজীবন..!!-
সময়ের সাথে অনেক মানুষ পারফেক্ট হয় কিন্তু বিশ্বস্ত হওয়া খুবই দূলভ। জীবন চলার পথে অনেক ভুল মানুষের সাথে জড়িয়ে যেতে পারেন এটা আপনার ভুল নয়।কারণ ভালো মন্দ মিলিয়ে জীবনের চলা...!!-
ভুল মানুষ জীবনে আসতেই পারে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অস্বাভাবিক হলো সেটাই মানুষটা ভুল জানার পরেও তাকে নিয়ে জীবনের পথ পাড়ি দেওয়া,তাকে নিয়ে বাঁচতে চাওয়া...!!-
ভুল মানুষ গুলো তখনই আপনাকে দগ্ধ করে যখন তাদের অতি মাত্রায় প্রশ্রয় দেয়া হয়। আপনি নিজেই সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে দেখবেন প্রিয় গুলোও বদলে যাবে আর সেখানে ভুল মানুষ তো আরো বেশি করে সুযোগ খুঁজবে...!!-
যে মানুষটার সাথে আপনার মতের অমিল হচ্ছে, আপনার সাথে সব সময় মিসবিহেব হচ্ছে, আপনার ভালো লাগা মন্দ লাগা তার মত করতে চাচ্ছে,যার সাথে তোমার মন মানসিকতা মিলছে না সেই মানুষটার সাথে আর যাই হোক কষ্ট ছাড়া কিছু আশা করা যায় না...!!-
বরং দুজন দুজনের ভুল মানুষ হয়ে জীবন পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সব থেকে বড় ভুলটা কোথায় জানেন...আমরা মানুষের উপরের চাকচিক্যময় রূপ দেখে সঠিক,ভুল, বিচার করি...!!-
আমি এমনও মানুষ দেখেছি যারা বাহ্যিক সৌন্দর্যের অধিকারী তাদের ভিতরে লুকিয়ে আছে অনেক অজানা কুৎসিত রূপ। আর যারা বাহ্যিক দিক দিয়ে কুৎসিত তারা সব দিক দিয়ে পারফেক্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছে...!!-
এতো মানুষের ভিড়ে কারো যদি একজন পারফেক্ট মানুষ থাকে সে মানুষটা অনেক ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী.জীবনে সঠিক মানুষ পেলে আগলে রাখবেন। কারণ জীবনে ভালো সুযোগ আর সঠিক মানুষ সহজে আসে না...!
স্ট্যাটাসঃ-১৪ অথচ আমরা বোকা মানুষরা খুব বেশি কিছু চাই না।একটু ভালোবাসলেই আমরা মন উজাড় করে বিপরীত মানুষটাকে ভালোবাসতে জানি। খুব ছোট ছোট জিনিসে আমরা ভালবাসা কুড়োতে জানি।
আমরা আজীবন চাই বোঝার মতো কেউ আসুক, যত্ন নেওয়ার জন্য কেউ আসুক। এমন কেউ আসুক যে মন উজাড় করে ভালোবাসবে, যাকে কিছু বলতে হবে না কন্ঠস্বর কিংবা ছোট একটা রিপ্লাই দেখে বুঝে যাবে কিছু ঠিক নেই।
প্রচন্ড হাঁসফাঁস করা সময়ে যার কাছে পাওয়া যাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস। খুব খারাপ সময়ে যার কাছে পাওয়া যাবে একটুখানি মেন্টাল সাপোর্ট। যাকে কিছু বললে, একটু হেসে সান্ত্বনা দিলেই ন্যাপথলিন এর মতো উড়ে যাবে সব দুঃখ। যার হাসিতে,কথায় থাকবে মাদকতা যেটায় ডুবে গিয়ে কয়েক প্রহর সবকিছু নিমিষেই ভুলে থাকা যাবে।
কিন্তু আমাদের মতো ছাপোষা সাধারনের জীবনে এমন কেউ সিনেমার হিরোর মতো ঝাকানাকা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সাথে এন্ট্রি নেয় না।
এসব চরিত্র কেবল গল্প,উপন্যাস কিংবা সিনেমার পর্দাতেই মানায়।
আমাদের মতো দুঃখবিলাসীদের জীবনে যারা আসে তারা বরং কয়েকদিনের অথিতি হয়ে আসে।
যারা কয়েকদিন কিছু দুঃখ সরিয়ে দিয়ে কয়েকদিন হাসিমুখে রেখে পরে তার দ্বিগুন উপহার দিয়ে যায়।
আসলে একটা সত্যি কথা কী জানেন? এক আকাশসম ভালোবাসার ক্ষমতা যাদের থাকে তাদের কেউ ভালোবাসতেই আসে না।
আসে বরং কিছু স্মৃতি উপহার দিতে আর কিছু ভালো থাকা কেড়ে নিতে। আর আমাদের মতো বোকা মেয়েমানুষরা ওই মানুষদেরই এতটা ভালোবাসে যে, যে ভালোবাসাই তাদের এলোমেলো করে মানষিক রোগী বানিয়ে দেয়। মনের মাঝে আস্ত একটা সংসার গুছিয়ে দিয়ে মানুষগুলো কত অবলীলায় মাঝপথে ছেড়ে চলে যায়, প্রার্থনারত হাত দুটোও আর যাদের ফিরিয়ে আনতে পারে না।
আসলে এতটা ভালো কাউকে বাসতে নেই,
যতটা ভালোবাসলে নিজের কাছেই নিজে অচেনা হয়ে যায়।
আসলে অতটা ভালো বাসতে হয় না...।
স্ট্যাটাসঃ-১৫ কিভাবে_মানসিক_শান্তিতে_থাকা_যায়
(১)
প্রথমে বলে নেই- যে মানসিক ভাবে সুখী,
সে'ই প্রকৃত সুখী।
এবং জগতের সবচেয়ে সুখী মানুষ....।
মানসিক ভাবে শান্তিতে থাকার ১০০% কার্যকর উপায় হচ্ছে,
"আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে, তার উপর কারো কোনো হাত নাই" আমাদের পরিকল্পনার চেয়ে ওনার পরিকল্পনা শত কোটি গুণ বেশি ভালো।
এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস-ধারণ করতে হবে।
আপনি ভালো থাকা সত্বেও আপনার বউ/জামাই আপনাকে বুঝলোনা, কষ্ট দিলো, ছেড়ে চলে গেলো-এগুলো সহজে মেনে নেন।
মনে করতে হবে, যা হয় ভালোর জন্যই হয়।
ঘি মূল্যবান খাদ্য উপকরণ হওয়া সত্বেও কিছু কিছু প্রাণী তা হজম করতে পারেনা।
কিন্তু ঠিকই পঁচা-বাসি খাবার খায় তারা।
তাহলে এতে আপনার দোষ কোথায়???
আল্লাহ স্বয়ং নবী-রাসূলদের এত এত কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন (কোন নবীর ছেলে কাফের ছিল, বাবা কাফের ছিল, বউ ভালো ছিলোনা, আর মহানবী(সাঃ) এর পুত্রগণ তো ছোট থাকতেই মারা গেল)
তাহলে আপনি কি তাদের তুলনায় বেশি পরীক্ষা দিচ্ছেন?
আল্লাহ যাকে ভালোবাসে তাকেই কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন....
কাজেই জীবনে হোচট খাওয়া ব্যর্থতা না,
বরং উঠে না দাঁড়ানো পারাটাই ব্যর্থতা...।
২)
সব সময় পজিটিভ attitude রাখতে হবে।
মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, আমি বেটার কিছু পাবো বলেই আল্লাহ সস্তা/বাজে কিছু সরিয়ে নিয়েছেন, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
৩)
১ম সম্পর্ক ভাঙনের পর হুট/হাট করে সম্পর্কে যাওয়া যাবেনা। পরিবার, সন্তান, নিজ সবার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৪)
বিরহ/ছ্যাঁকা টাইপের গান, নাটক, সিনেমা বা নেগেটিভ মাইন্ডের লোকের সংস্পর্শে যাবেন না।
এই যে যারা বলে, আপনি এত ভালো হলে ডিভোর্স কেন??
৫)
অনলাইনে কম সময় দিবেন।
বাগান, ছাদকৃষি করতে পারেন। খামার করতে পারেন ইত্যাদি। মানে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।
ঐ যে কথায় বলে Out of sight, Out of mind.
৬)
যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবেন।
৭)
বাচ্চাদের টাইম দিবেন। দেখবেন, যতই চিন্তা, দুশ্চিন্তা থাকুক- আপনার মন অটোমেটিক ভালো হবে
শেষ করব একটা গল্প দিয়ে,,,,
একটা লোক ৩০ মিনিট লেটে আসায় বিমানের ফ্লাইট মিস করল। আর মনে মনে বলতে লাগলো, ইশ কোটি টাকার ডিলটা ভেস্তে গেল।
১ টা ঘন্টা পর শুনল, বিমানটা crash করেছে,
সবাই মারা গেছে।
তখন লোকটা বল আলহামদুলিল্লাহ....।
আমি তো বেঁচে গেছি।
তাহলে আজ ডিভোর্স হয়ছে বিধায়,
আপনি শেষ হয়ে যান নাই।
মনোবল হল আসল শক্তি।
স্ট্যাটাসঃ-১৬ শুধু নারী'ই নয় - সৌন্দর্য পুরুষেরও আছে।
ভীড়ের মধ্যে যে পুরুষ তোমায় আগলে রাখে,
সে পুরুষের সৌন্দর্য কী জানো? তোমার মর্যাদা।
ফুটপাতে চলার পথে যে পুরুষ নিজে ডানদিকে থেকে তোমাকে বামদিকে রাখে, সৌন্দর্য সে পুরুষেরও আছে।
তোমার নিরাপত্তা তার নাম।
যে পুরুষ তোমায় সবসময় জানালার পাশে বসতে দেয়, সে পুরুষের সৌন্দর্য কি?
তোমার ভালোলাগা তার ভালোলাগা।
যে পুরুষ কষ্টার্জিত আয় তোমার হাতে তুলে দিয়ে বলে, সংসারটাকে একটু সামলে রেখো-
সে পুরুষের সৌন্দর্যকে কি নামে ডাকো?
আস্থা।
যে পুরুষ তোমাকে একপলক দেখার জন্য ছটফট করে, সামান্য অপ্রাপ্তিতে পাগলামো করে-
সে পুরুষের সৌন্দর্যের নাম ভালোবাসা।
যখন নারী তুমি অগ্নিরূপ ধারণ করো, তখন যে পুরুষ নিশ্চুপ থাকে, আর শেষে বলে ভালোবাসি।
সে পুরুষের সৌন্দর্য তোমার নজরে পড়েছে কখনো? কি নাম দিবে তার? গুরুত্ব!
যে পুরুষ নারীকে মর্যাদা দেয় না,
সে পুরুষের পৌরুষত্ব নেই।
আর যার পৌরষত্ব নেই, সে আবার পুরুষ নাকি?
পুরুষ গলির মোড়ের ফার্মেসি থেকে শুধু কনডমই নিয়ে আসে এমন নয়। ঘরের নারীর জন্য প্যাডও নিয়ে আসে।
বুকপকেটে করে ছোট্ট একটা উপহারও নিয়ে আসে।
গভীর রাতে স্ত্রীর কাছে পুরুষ কেবলই সুখ চায় এমন নয় ।
পুরুষ স্ত্রীকে বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে জিজ্ঞেস করে, ব্যথাটা কমেছে তোমার?
পুরুষ মানুষ কেবলই নিজেরটা বুঝে এমন নয়, পুরুষ মানুষ তোমাকে এগিয়ে যেতে সাহসও জোগায়।
তবুও যদি বলো, সব পুরুষই খারাপ!
পুরুষ মানুষ মানেই ভোগবাদী!
পুরুষ মানুষ কেবলই স্বার্থপর!
আমাকে দুঃখ নিয়ে বলতে হয়, তুমি পুরুষত্বটাই দেখেছো, পৌরুষত্ব তোমার নজরে আসেনি।
শোন নারী, সৌন্দর্য পুরুষেরও আছে।
তুমি খুঁজে নিতে পারোনি।
ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু (মিঃ মধু)
No comments