Ads

যে কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে। (প্রথম এপিসোড)

   যে কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে 
(প্রথম এপিসোড)
    
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে--প্রথম এপিসোড   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

'
এই সমস্ত লোকদেরকে এড়িয়ে চলুন'

১.
ভাবী, আপনি বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। দেখে মনে হয়, 
মাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছেন! সিরিয়াসলি!

২. 
ভাবী, একটা কথা বলবো অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। 
আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু ঠোঁটের উপর তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়ে দিয়েছে। 
এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!

৩. 
মন খারাপ কেন ভাবী, ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? 
আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!

৪. 
একটা কথা বলি আপু, কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলে যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। 
টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!              মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশলগুলো কী কী?

৫. 
একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানায়! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি!

৬. 
জন্মদিনে এবার কী কী করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
কী যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! 
হাসবেন না, সিরিয়াসলি!

বাস্তবতার চরম সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ, পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ, পরিচিত বিবাহিত মেয়েদের সাথে এভাবেই কথা বলে। 
আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য" বলে মনে হয়।
কিন্তু এর গভীরে যে কত বড় লম্পট, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে থাকে, খেয়াল না করলে বুঝতেই পারবেন না। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! 
এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!

যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তু নিজের স্বামীকে অনেক ভালোবাসে। 
পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা, "আমি হলে আপনার পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবে, আমার স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, 
নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো পুরুষ পাইতাম!
যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছে, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করে না, সে মহিলাও যখন পরপুরুষ কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনে, তখন সে মহিলা আবেগে প্ররোচিত হয়ে পরপুরুষ কুলাঙ্গারটিকে আপন ভেবে ভূল করতে শুরু করে!"
আর বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখে আর ভাবতে থাকে, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দর'ই। 
আর আমার স্বামী আমার সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো না!

এভাবেই শুরু হয়, পৃথিবীর ঘৃণতম, ধিকৃত, নিকৃষ্টতম সম্পর্ক। এই নিকৃষ্টতম সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে একটা হাসিখুশি সুখী পরিবারকে! নষ্ট করে দিতে পারে অবুঝ নিষ্পাপ কোমলমতি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ!

যদি জীবনে সুখী হতে চান, এ সমস্ত কুলাঙ্গারদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল্লাগে। 
এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। 
যার পরিণতি ‍শুধু তখনই বোঝা যায় যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়, 
আর ফাঁদে ফেলা কুলাঙ্গারটি সুকৌশলে সঁটকে পড়ে...। 

   
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা
                                                                                                   যে কথাগুলো জানতেই হবে। দ্বিতীয়-এপিসোড

বয়স থাকতেই হাসবেন্ড ওয়াইফের কোয়ালিটি টাইম এনজয় করা উচিৎ,

ভালো কোথাও বছরে একবার ঘুরতে যাওয়া, প্রতি মাসে একবার রেস্টুরেন্টে কিংবা বাসায় নতুন কিছু আয়োজন করে ফ্যামিলির সবাই একসাথে বসে খাওয়া।
অনেক সময় টাকা পয়সা কিংবা সময়ের অপচয় মনে হতে পারে, কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে,
জীবনে বেঁচে থাকলে রিজিকের ব্যবস্থা হবেই,,,ইনশা আল্লাহ!
কিন্তু একটা সময় আসে বৃদ্ধ বয়সে আপনার টাকাই থাকবে হয়ত, কিন্তু আপনি চাইলেই কিছু খেতে পারবেন না। শারিরীক অসুস্থতায়,ঘুরতে মন চাইলেও তখন পারবেন না। 
দামী জামা কাপড় চাইলেও পড়তে মন চাইবে না।😪

সন্তানের লেখা পড়া অথবা বিভিন্ন রেসপন্সিবিলিটি আসবে। তার মধ্যেও সময় বের করা যায়। 
সব সম্পদ বা টাকা পয়সা সন্তানের জন্য সঞ্চয় করবেন, 
কিন্তু অল্প কিছু হলেও আমাদের নিজেদের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিৎ।🥰
দিন শেষে আপনার বাচ্চার ও আলাদা লাইফ হবে। সে তার লাইফ এনজয় করবে। 
তখন মেয়ে মেয়ের জামাই,ছেলে ছেলের বউ ঘুরতে গেলে রেস্টুরেন্টে গেলে,আফসোস হবে না।
তাদের এনজয়মেন্ট তখন ভালো লাগবে,তারাও সম্মান করবে।

টেনশন, টাকা পয়সার টানাটানি,ব্যবসায় প্রবলেম,হাজার হাজার মানসিক কস্ট। 
কিন্তু এইগুলো যেনো সম্পর্কে প্রভাব না ফেলে।
জীবনের এই ছোট ছোট এনজয়মেন্ট এর জন্য আপনার মন মানসিকতা উদার হবে। 
সবাই কে নিয়ে ভালো থাকতে পারবেন।একটা সময় লাইফ পার্টনার থাকবে না। 
কিন্তু আপনার অসংখ্য স্মৃতি আপনাকে বাঁচতে শিখাবে বাকি জীবন।❤️

    
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা
                                                                                                যে কথাগুলো জানতেই হবে। দ্বিতীয়-এপিসোড

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।

বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিশ্বাস করুন ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি টাকার দরকার একদম-ই নেই। দরকার আপনার ভালোবাসার।
জীবন থেকে যে একটা সেকেন্ড চলে যায় সেটা আমরা আর কখনো ফিরে পাই না। 
আর আপনি বছরের পর বছর স্ত্রী, সন্তান রেখে বহুদূরে পরে আছেন!

এই কি জীবন? কোথায় সুখ? কোথায় আপনার স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা? কোথায় সন্তানের জন্য স্নেহ?

হ্যাঁ, টাকা-পয়সা জীবনে অনেক দরকার ।  কিন্তু; ভেবে দেখেন তো সারাদিনে ৩০০ টাকা রোজগার করা মানুষটা যখন দিনশেষে বাসায় ফিরে তার সামনে পানি দেওয়ার জন্য একজন মানুষ আছে। 
সে রাতে তার স্ত্রী, সন্তানদের পাশে ঘুমাতে পারে, তার অসুস্থতায় তার স্ত্রী তাকে সেবা করে, 
তার সন্তান দূর থেকে তাকে দেখে দৌড়ে এসে কোলে ওঠে।

কোনো নারীর জীবন থেকে এমন সময় কেঁড়ে নিবেন না , যে সময়টায় সে শুধু আপনাকে কাছে চায়।

বাইরে গেলে যখন তার চোখে পরে পাঞ্জাবি পরা কোনো এক ছেলে তার প্রিয়তমার হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছে, তখন আপনার স্ত্রীর ভেতর থেকে দীর্ঘস্বাস বের হওয়া ছাড়া আর কিছু-ই করার থাকে না।
আপনি সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে বউকে দামী শাড়ি আর গহনা-ই পরিয়ে গেলেন। কিন্তু যে সময়গুলো আপনারা হারিয়েছেন সেটা আর আসবে না কোনোদিন। 
উত্তপ্ত প্রেম টাকার তলায় চাপা দিয়ে দিলেন।

আপনার সন্তান যখন রাস্তায় দেখে কোনো বাবা তার ছেলেকে রঙিন বেলুন কিনে দিচ্ছে, তখন সে আপনাকে খোঁজে। সন্তান যখন দেখে তার বয়সী বাচ্চা তার বাবার হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছে, তখন সে আপনাকে খুব মিস করে। সন্তানের জন্য মাসে এতো হাজার টাকা না পাঠিয়ে হাত ধরে স্কুলে দিয়ে আসুন। 
সে আপনার আদর্শে বড় হবে। তখন সে আপনার কাছে ৫ টাকার প্রয়োজনে ১০ টাকা চাইবে না। 
বরং ১০ টাকার কাজ টা ৫ টাকায় মিটমাট করার চেষ্টা করবে।

কাজের চাপে আপনি সারাদিনে বউকে মনে করার তেমন সময়ও পান না অনেক সময়। 
এদিকে দুপুরের নাওয়া-খাওয়া শেষ করার পর আপনার স্ত্রীর অলস বিকালে আর সন্ধ্যা নেমে আসতে চায় না। জানালা দিয়ে সে বাইরে তাকিয়ে দূরের ঐ নীল আকাশে রং বেরঙের কত কী দেখে। 
দেখে না শুধু আপনাকে।

মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর বাম পাশে আপনাকে না পেয়ে বুকে আকাশ সমান বোঝা নিয়ে আপনার স্ত্রী ঘুমিয়ে যায়। এভাবেই আপনার বয়স ৫০ পেড়িয়ে যাবে, স্ত্রীর চোখ ধূসর হয়ে আসবে।

হলো না আপনাদের কদম হাতে বৃষ্টিতে ভেজা। আর হলো না আঁকাবাকা রাস্তায় পা মিলিয়ে সামনে হাটা।
হলো না সন্তান বুকে নিয়ে ঘুমানো। হলো টাকার পাহাড়, বিষের পাহাড়, বিষাদের পাহাড়।
যার চাপায় পিষে যাবে কতগুলো রঙিন স্বপ্ন, পিষে যাবে স্ত্রীর প্রেম, খসে যাবে আপনার যৌবন।


 
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

শিক্ষনীয় বিষয়!!

এক লোক আগুনের শিখার মধ্যে থেকে একটি সাপকে পুড়তে দেখে , সেটিকে আগুন থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়! তিনি সাপটিকে ধরতে না ধরতেই সাপটি তাকে কামড়ায়!
এবং এটি লোকটির যন্ত্রণাদায়ক ব্যথার কারণ হয়! লোকটি তৎক্ষণাৎ সাপটিকে ফেলে দেয় এবং সাপটি আবার জ্বলন্ত শিখায় পড়ে যায়!

এই মুহুর্তে লোকটি চারদিকে তাকাতে গিয়ে একটি ধাতব লাঠি খুঁজে পায়! 
আগুনের শিখা থেকে সাপটিকে বাঁচাতে তিনি লাঠিটি ব্যবহার করেন!

আরেকজন ব্যক্তি, যিনি ঘটনাটি দেখছিলেন তিনি লোকটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন: 
"এই সাপটি আপনাকে কামড়ালো! আপনি কেন তার জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন?"
লোকটি জবাব দেয়: "সাপের স্বভাব কামড়ানো, তবে এটি আমার স্বভাব পরিবর্তন করবে না, 
আর আমার স্বভাব হচ্ছে সাহায্য করা!

কারো আঘাতের কারণে আপনার স্বভাবের পরিবর্তন করবেন না!

আপনার মনের পবিত্রতাকে হারাবেন না ভালোবাসার মাধ্যমেই সাবধানতার সাথে কাজ করতে শিখুন!💗


    
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

মরতে মরতে আমাদের চরম শিক্ষা দিয়ে গেছে!

লোকটি হয়তো মহাপাপ করেছেন আত্মহত্যা করেছে
কিন্তু মরতে মরতে আমাদের চরম শিক্ষা দিয়ে গেছে!
#সন্তানদের বাবার প্রতি দায়ীত্ব কি ?
#স্ত্রী'র তার স্বামীর প্রতি দায়ীত্ব কি ?
#ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়ীত্ব কি ?

একজন বাবা তার সব কিছুই বিলিয়ে দেয় পরিবারের জন্য । কিন্তু অনেক সময় আমরা বাবা এবং স্বামীদের ভুল বুঝি- স্বার্থপর বলি, বুঝতে চাইনা তার লিমিট কতটুকু ?
তার স্ত্রী সন্তান তাকে ছেড়ে বিদেশে থাকে পাঁচটি বছর অসুস্থতা নিয়ে সে একাকী জীবন পার করে আত্মহত্যার পথ বেচে নিলো। 
ঘরের দরজা খোলা রেখে ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করলো সবাইকে জানিয়ে । 
কারণ সে জানতো, সে মরলে, লাশটি একসাপ্তাহ ধরে বাসাতেই পড়ে থাকতো। 
যখন তার কাছে অর্থ ছিলো তখন সবাই ছিলো অর্থহীন জীবনে কেউ তার পাশে ছিলোনা। 
পৃথিবীর কোন বাবার যেন এমন করুণ পরিনতি না হয়। 
এমন মর্মান্তিক ঘটনা এবং এমন মানসিক যন্ত্রণা থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আমিন।


  
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

মা আর বউ এই দুইজন দুই মেরুর।


বউ হারালে বউ পাওয়া যায়, কিন্তু মা হারালে মা পাওয়া যায় না এটা খুব প্রচলিত একটা কথা।
অনেকেই এই কথা বলার সময় আবেগে গড়াগড়ি খেতে থাকে। 
এমন একটা ভাব দেখায়, মনে হয় মায়ের জন্য তার ভালোবাসার শেষ নাই। 
আর বউ ডা*স্টবিনের ময়লা??😰
মন চাইলে ছুঁড়ে ফেলে দিবেন! 🥺

-----সেইসব ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ-

মা আর বউ এই দুইজন দুই মেরুর। একজন হলেন জননী অন্যজন সহধর্মিণী। 
মা জন্মদাত্রী যার কোনো তুলনা হয় না। আর স্ত্রী পরিপূর্ণতা দানকারী যাকে ছাড়া আপনি অপরিপূর্ণ।
একজনের সাথে অন্য জনের তুলনা করা  মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।

আপনাকে ছাড়া যেমন আপনার মা অসহায়, ঠিক তেমনি আপনার সন্তানটিও তার মাকে ছাড়া অসহায়।

আপনার মা যেমন বড় মাছটা নিজে না খেয়ে আপনাকে খাওয়ান। 
খেতে বসলে খেয়াল করবেন একি কাজটা আপনার স্ত্রীও করেন।
আপনার কিছু হলে আপনার মায়ের পর সৃষ্টিকর্তার কাছে আর কেউ আঁচল পাতলে আপনার স্ত্রীই পাতেন।
আপনার কাছে আপনার বোন/মেয়ে যেমনটি আদরের,  
ঠিক তেমনি আপনার বউ , কোনো ভাই / বাবার কাছে তেমনি আদরের।

আপনার মৃত্যুতে আপনার মা যেমন হবে সন্তান হারা ,ঠিক তেমনি আপনার বউ হবে জীবনসজ্ঞী হারা।

আপনার মায়ের আরও সন্তান থাকলে তারা আপনার মাকে দেখে রাখবে ।
কিন্তু আপনার স্ত্রীকে কে আগলে রাখবে???
আপনার মায়ের আরও সন্তান থাকলে তাদের পেয়ে কিছুটা হলে কষ্ট কমে যাবে।  
কিন্তু আপনার বউয়ের তো আপনি ছাড়া আর কোনো গতি নাই। 
আপনার সন্তানদের কে তো আপনার সহধর্মিণীই দেখবে, তাই না।

আপনার মা অন্য সন্তানদের মাঝে নিজের বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবে । 
কিন্তু আপনার স্ত্রী কি নিয়ে বাঁচবে??? আর বাচ্চাদের ভবিষ্যৎই বা কি হবে?
তাই একজনের সাথে অন্য জনের তুলনা করবেন না প্লিজ। 
কারন দুইজনই দুই জনের জায়গায় শ্রেষ্ঠ ।  
কারন,, একজন হলো জননী আর অন্যজন হলো ঘরনী।


   
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
এবং
ফজিলাতুন্নেসা জোহা। 


১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছিলো, একটা ছেলে যদি একজন মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়, তবে তাকে প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রক্টর অনুমতি দিলেই সে কথা বলতে পারবে, এছাড়া নয়। এমনকি তার ক্লাসের কোন মেয়ের সাথেও না।

ডিসেম্বর ১৯২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছর পর। একদিন কোলকাতা থেকে একজন যুবক এলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন। কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে ঘুরতে বের হলো। 
তখন কার্জন হল ছিলো বিজ্ঞান ভবন। ঘুরতে ঘুরতে যখন কার্জন হলের সামনে এসে পড়লো তারা, 
তখন যুবক দেখলো দূরে একটা থ্রী কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ আর সুতির শাড়ি পরা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলেন, এই মেয়েটি কে? তখন তার বন্ধুরা বলল, এ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। তখন সেই যুবক বলে, সত্যি? আমি এই মেয়ের সাথে কথা বলব। 
তখন সে যুবক মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য একটু এগিয়ে গেলে তার বন্ধুরা তাকে বাঁধা দেয়। 
বলে, না তুমি যেওনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলার অনুমতি নেই। 
তুমি যদি ওর সাথে অনুমতি ছাড়া কথা বলো তবে তোমার শাস্তি হবে। 
সেই যুবক বলল, "আমি মানি নাকো কোন বাঁধা, মানি নাকো কোন আইন।"
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা
সেই যুবক হেঁটে হেঁটে গিয়ে সেই মেয়েটির সামনে দাঁড়ালো। তারপর তাকে বলল, আমি শুনেছি আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। কি নাম আপনার? মেয়েটি মাথা নিচু করে বলল, ফজিলাতুন্নেছা। জিজ্ঞাসা করলো, কোন সাবজেক্টে পড়েন? বলল, গণিতে। গ্রামের বাড়ি কোথায়? টাঙ্গাইলের করোটিয়া। ঢাকায় থাকছেন কোথায়? সিদ্দিকবাজার। এবার যুবক বললেন, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী, আপনার সাথে কথা বলে আমি খুব আপ্লুত হয়েছি। 
আজই সন্ধ্যায় আমি আপনার সাথে দেখা করতে আসবো।

মেয়েটি চলে গেলো। এই সব কিছু দূরে দাঁড়িয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর স্যার দেখছিলেন। তার ঠিক তিনদিন পর। ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৭, কলা ভবন আর বিজ্ঞান ভবনের নোটিশ বোর্ডে হাতে লেখা বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হলো যুবকের নামে। তার নাম লেখা হলো, তার বাবার নাম লেখা হলো এবং বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, এই যুবকের আজীবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

তারপরে এই যুবক আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। সেইদিনের সেই যুবক, বৃদ্ধ বয়সে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করলেন। যে যুবকটা আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেননি, 
তার মৃত্যুর পরে তার কবর হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেই যুবকের নাম, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
এবং মেয়েটির নাম, ফজিলাতুন্নেসা জোহা। 

কবি নজরুল ওনাকে নিয়ে 'বর্ষা বিদায়' কবিতা লেখেন।



 
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা


সুস্থ থাকার টিপস্ঃ
ডাঃ- দেবী শেঠী

১. খুব ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে করতে কয়েক মাসের মধ্যে সকালে ঘুম থেকে উঠে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর পর বাথরুমে যান।
.
২. বাথরুম থেকে ফিরে এসে আরও এক গ্লাস পানি খান এবং তার পর খান দুধ ছাড়া খুব হালকা এক কাপ চা। আপনার ওজন বেশি হলে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। চা কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবেন না।
.
৩. সারা দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস বাড়তি পানি খাবেন।
.
৪. পানি খাওয়ার নাম হচ্ছে হাইড্রোথেরাপি বা জলচিকিৎসা। মূলত এটি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছরের প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে- ঘুম থেকেউঠে ধীরে ধীরে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে প্রায় ৩৬ ধরণের রোগ হয় না এবং হলেও সেরে যায়।
.
৫. অপর পক্ষে, দুধহীন এবং দুধ-চিনি-হীন হালকা গরম চা হচ্ছে আড়াই হাজার বছর আগের একটি চায়নিজ হারবাল মেডিসিন । সেকালে এই চা দিয়ে হার্ট, ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) ও পেটের নানা রকম রোগের চিকিৎসা করা হতো। আবার আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে- চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅিডেন্ট, 
যা ক্যান্সার প্রতিরোধে নিশ্চিত অবদান রাখে। এ ছাড়াও অন্য বহুগুণ রয়েছে চায়ে। 
তবে যে চা-টা প্রক্রিয়াজাত হয়নি, সে চায়ের গুণাগুণই অপেক্ষাকৃত ভালো।
.
৬. ভিটামিন সি একটি বৈপ্লবিক খাদ্যপ্রাণ এর গুণাগুণ অসংখ্য। জানা গেছে, দিনে ১ হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খেলে মানুষ চির তরুণ থাকে। তবে ট্যাবলেট খেলে কিছুই উপকার পাওয়া যায় না। 
প্রতিদিনই কমবেশী খেতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাজা ফলমূল। 
ভিটামিন সিও ক্যান্সার ঠেকাতে সাহায্য করে। আমলকি, সব ধরনের লেবু, টমেটো, কমলা, পেয়ারা, 
নানা রকর টক স্বাদের ফলে বিভিন্ন মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে।
.
৭. ধূমপানসহ সকল ধরণের নেশা জাতীয় অভ্যাস ত্যাগ করুণ। 
কারণ নেশা মানুষকে সকল দিক দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
.
৮. রেডমিট অর্থাৎ গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া ইত্যাদির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। 
ফার্মের মুরগিও চলবে না। শুধু চর্বিহীন বাচ্চা মুরগির মাংস খাওয়া চলতে পারে।
.
৯. প্রচুর পরিমাণে আধা-সেদ্ধ শাক-সবজি, তরিতরকারি এবং খুব অল্প পরিমাণে ভাত-রুটি খাওয়া উচিত।
ভাজাভুজি খাবেন না। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ঘি, মাখন খাবেন না। মসলার বিভিন্ন ভেষজ গুণ আছে, 
তবুও রান্নায় খুব বেশি মসলা ব্যবহার করবেন না।
.
১০. সালাদ হিসাবে প্রতিদিন বেশি করে খাবেন কাঁচা লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা, টমেটো ইত্যাদি।
.
১১. বিধিনিষেধ না থাকলে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খাবেন।

১২. ছোট-বড় সব ধরনের মাছ খাবেন। সমুদ্রের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে তো খুবই ভালো। 
কেননা, এটা মহৌষধ। গাদা-গাদা মাছের কাটা খাওয়া ঠিক নয়। ওতে পাকস্থলিতে পাথর হতে পারে।
.
১৩. সূর্যমূখী ফুলের বীজ হচ্ছে হার্টের ভেষজ ওষুধ। রান্নায় সূর্যমূখী তেল ব্যবহার করলে, 
হার্টের সুরক্ষা যেমন হয়, তেমনি হার্টের অসুখ থাকলে তা সারাতে সাহায্য করে।
.
১৪. প্রতিদিন অল্প একটু টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। 
টক দই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে ।


  
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

প্রতিশোধ নেয়ার মানসিকতা সব ধ্বংস করে দিতে পারে ।


দীর্ঘ ২৭ বছর জেল খাটার সময় , নেলসন ম্যান্ডেলা সূর্য কি জিনিস চোখে দেখেননি । 
তারপর তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একদিন তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে বললেন : -
চলো আজ শহর দেখি । চার দেয়ালের ভিতর বন্দি থেকে , জীবনের দীর্ঘ সময় কেটে গেলো । 
এখন নিজের শহরটি কেমন হয়েছে , নিজের চোখে না দেখলেই নয় ।
সহকর্মীদের সাথে নিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা শহরের অলিতে গলিতে হাঁটলেন। তাঁর খুব ক্ষিদে পেলো । 
ক্ষিদে লাগার পর ম্যান্ডেলা বললেন : - চলো , সামনের মোড়ে যদি কোনো রেস্তোরাঁ পাই ,
সেখানেই কিছু খেয়ে নিতে চাই । সহকর্মীরা তো অবাক ! বুঝতে পেরে ম্যান্ডেলা বললেন , অবাক হওয়ার কিছুই নেই , ক্ষিদে পেয়েছে , খাবো । 
জেলখানার ওই বিভৎস খাবার খেয়েও যেহেতু মরিনি , তাই এতো সহজে মরবো না ।

সবাই মিলে টেবিলে খেতে বসেছেন ।

অল্পদূরে আরেকজন ভদ্রলোক বসে আছেন , বেশ বয়ষ্ক । হোটেলের ওয়েটারকে ডেকে ম্যান্ডেলা বললেন , একটা চেয়ার এনে আমার পাশে রাখো এবং ওনাকে বলো , আমার টেবিলে বসে খেতে ।
ভদ্রলোক আসলেন । এসে তাঁর পাশের চেয়ারটায় বসলেন । খেতে খেতে সবাই গল্প করছেন । 
কিন্তু পাশে বসা ভদ্রলোকটি কিছুই খেতে পারছেন না । ওনার হাত কাঁপছে । 
চামচ থেকে খাবার প্লেটে পড়ে যাচ্ছে । ম্যান্ডেলার সহকর্মীদের একজন বললেন ,
আপনি মনে হয় অসুস্থ । ভদ্রলোক চুপচাপ রইলেন । কিছুই বললেন না ।

ম্যান্ডেলা নিজ হাতে ওনাকে খাবার খাইয়ে দিলেন এবং ওয়েটারকে ডেকে বললেন , 
ওনার খাবার বিলটা আমরা পরিশোধ করবো ।
খাবার শেষে সেই বয়স্ক ভদ্রলোক বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন । কিন্তু সবাই অবাক চোখে দেখলো , লোকটি ভালো করে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না । শরীরের কাঁপুনি ক্রমবর্ধমান ।
ম্যান্ডেলা নিজ হাতে ওনাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন এবং সহকর্মীদের একজনকে বললেন , 
ওনাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতে ।
সহকর্মীদের মধ্যে আরেকজন বললেন , এতো অসুস্থ শরীর নিয়ে উনি বাড়ী পৌঁছাতে পারবেন তো ! 

এই সময় ম্যান্ডেলা বলতে শুরু করলেন , আসলে উনি অসুস্থ না । আমি জেলের যে সেলে বন্দি ছিলাম উনি ছিলেন সেই সেলের গার্ড । প্রচন্ড মার খেয়ে আমার খুব তৃষ্ণা পেতো । পিপাসায় কাতর আমি যতবার জল জল বলে আর্তনাদ করতাম , ততবার উনি আমার সমস্ত শরীরে প্রসাব করে দিতেন । 
আজ আমি দেশের প্রেসিডেন্ট ।
দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মানুষ হওয়ার পর , আমি ওনাকে আমার টেবিলে একসাথে খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছি ! তাই সেই সব দিনগুলোর কথা মনে করে উনি খুব ভয় পেয়েছেন ।

কিন্তু ক্ষমতাবান হয়েই ক্ষমতাহীন মানুষকে শাস্তি দেয়া তো আমার আদর্শের পরিপন্থী । এটা আমার জীবনের এথিকসের অংশ নয় । তাই শাস্তি পাওয়ার পরিবর্তে উনি ভালোবাসা পেয়েছেন । আমার মুখে আর শরীরে উনি প্রসাব করেছেন । কিন্ত ওনার মুখে আমি খাবার তুলে দিয়েছি । 
আমি আপনাদের যেমন প্রেসিডেন্ট , তেমনি ওনারও প্রেসিডেন্ট ।
প্রতিটি নাগরিককে সম্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব । 
শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেয়ার মানসিকতা'ই একটি তৈরী রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে ।
আর সহনশীলতার মানসিকতা একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রকে তৈরী করতে পারে ।


   
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

দই এর দাম কত?

এক ব্যাক্তির স্ত্রীর পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যু হল, সবাই যখন দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিল।
উনি তখন বললেন স্ত্রীর সবচেয়ে বড় উপহার ছেলে আছে ওকে নিয়েই কেটে যাবে।
ছেলে যখন বয়স্ক হল ছেলেকে সব ব্যাবসা বুঝিয়ে দিয়ে কখনও নিজের আর কখনও বন্ধুর অফিসে সময় কাটাতে লাগলেন।
ছেলের বিয়ের পর উনি আরও বেশি একাকী হয়ে পড়লেন।
তখন পুরো বাসা, বৌমার অধিকারে দিয়ে দিলেন।
ছেলের বিয়ের এক বছর পরে উনি দুপুরে খাবার খাচ্ছিলে্‌ ছেলেও অফিস থেকে এসে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল।
ছেলে শুনতে পেল, বাবা খাবার পর দই চাইল আর বৌ জবাব দিল আজকে ঘরে দই নেই!
খাবার খেয়ে বাবা বাহিরে হাটতে চলে গেল।
কিছু পরে ছেলে তার বৌয়ের সাথে খাবার খেতে বসল।
বউ খাবারের পাত্র ভরে দই দিয়েছিল,  ছেলে কোন প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে খাবার খেয়ে অফিস চলে গেল।

কিছু দিন পর ছেলে নিজের বাবাকে বললেন ---
"আজ আপনাকে কোর্টে যেতে হবে আর আজ আপনার বিবাহ হচ্ছে "।
পিতা আশ্চর্য হয়ে ছেলের দিকে দেখল আর বললেন "বাবা! আমার আর বিয়ের দরকার নেই, 
আর আমি তোমাকে এত স্নেহ দিই যে তোমারও মায়ের দরকার নেই, তো আবার বিয়ে কেন??
ছেলে বলল "বাবা, না আমি নিজের জন্য মা আনছি, না নিজের স্ত্রীর জন্য শ্বাশুড়ি আনছি!
আমি তো কেবল আপনার জন্য দই এর ব্যাবস্থা করছি! কাল থেকে আমি ভাড়া বাড়িতে আপনার বৌমার সাথে থাকব । আর আপনার অফিসের এক কর্মচারীর মত বেতন নেব, 
যাতে আপনার বৌমা জানতে পারে দই এর দাম কত।

*মা-বাবা আমাদের জন্যে ATM কার্ড হতে পারেন*

*কিন্তু তারা আমাদের দয়ায় না বরং আমরা তাদের দয়ায় বেঁচে থাকি।




  
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা


ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ১টি গাধাকে ১জন সৈনিক পিঠে তুলে নিয়েছে!
মূলত: এই ছবিটির মধ্যে কোন ভালোবাসা লুকিয়ে নেই!

যদি গাধাটি ভুল পথে হেঁটে যেত, 
তবে এটি ওখানে পেতে রাখা লুকানো মাইনগুলো বিস্ফোরণে সবাইকে বিপদে ফেলে দিত!

তাই বলা হচ্ছে , নিজের চারপাশের গাধাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন, 
যেন আপনি নিজেকে এবং আপনার প্রিয়জনকে মুক্তি দিতে পারেন।


  
এই কথাগুলো আপনাকে জানতেই হবে ।   @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

তার নাম --- Vladimir Putin.

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যে নাজিদের হাতে, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ হত্যার শিকার হয়। যুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে পিটার্সবার্গের একজন সৈনিক স্বল্প সময়ের ছুটি নিয়ে বাড়ি যান। বাড়ির সামনে গিয়ে দেখতে পান রাস্তায় লাশের স্তূপ। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সেই স্তূপের লাশগুলোকে ট্রাকে বোঝাই করার কাজে ব্যস্ত। 
স্তূপের কাছে এসে তিনি একজন নারীর পায়ের জুতা জোড়া দেখে ধারণা করেন এটা তার স্ত্রী। 
কিন্তু লাশের স্তূপের মধ্যে পরিস্কার চিনতে পারেননি। 
তাই দ্রুত বাসায় গিয়ে স্ত্রীকে না পেয়ে তিনি নিশ্চিত হন সেই লাশটি তার স্ত্রীর।

তারপর তিনি স্ত্রীর লাশটি ফেরত দেয়ার জন্য পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা কোনভাবেই রাজি হচ্ছিলেন না। অনেক তর্কের পর পরিচ্ছন্ন কর্মীরা লাশটি ফেরত দিলে, তিনি কোলে করে সেই লাশটিকে বাসায় নিয়ে দেখেন তার স্ত্রী তখনো জীবিত। তারপর হাসপাতালে নিয়ে দীর্ঘদিন সেবা শুশ্রুষা করে তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলেন। 
সেই ঘটনার ৮ বছর পর ১৯৫২ সালে সেই দম্পতির ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। 
তার নাম Vladimir Putin.

(সূত্রঃ Hard Choices, Hillary Clinton, পৃষ্ঠা- ৪০২)


সমাপ্তঃ-------


    সম্পূর্ণ লেখাগুলো পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।  
    ধন্যবাদান্তেঃ------
    মওদুদ আহমেদ মধু 

No comments

Powered by Blogger.