জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আর্টিকেল । #মিঃ_বুদ্ধিমান_গাধা
জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আর্টিকেল ।
কিছু সময় নিয়ে পড়ে দেখুন, আপনার সময় বৃথা যাবে না।
প্রথমঃ--------
নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে প্রথমেই একটা জাল ফেলে দাও।
এই জাল হল, নিজে বেশি কিছু না বলে, তাকে বলতে দেয়া'র জাল।
দেখবে যে কোন কথা থেকেই সে, প্রসঙ্গ-অপ্রসঙ্গ টেনে ইনিয়ে বিনিয়ে তার এচিভমেণ্টের গল্প শোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সে যাই বলুক না কেন, দেখবে সব কথার- সার কথা হল, সে সাধারণ কেউ না।
এরকম দেখা মাত্রই বুঝে ফেলবে, সে জালে পা দিয়ে ফেলেছে।
পরিচয় হওয়া মাত্র যে মানুষ নিজের সানাই নিজে বাজাতে শুরু করে,
সে নিশ্চয়ই,,, প্রায় সময় বাসে, চায়ের দোকানে, রেল ভ্রমণে অসংখ্যবার একই সানাই বাজিয়ে এসেছে...;
তার কাছ থেকে সাবধান।
টাকা পয়সা সব সময় সবার কাছে থাকে না।
যখন প্রয়োজন পড়ে,, কাছের মানুষদের,,,,,
কাছ থেকে ধার দেনা করবে, এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু,,, কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের মুখ পাতলা। একটু থেকে একটুতেই, বেহায়ার মত ধার চেয়ে বসবে।
তুমি তাকে 'না' বলতে লজ্জা পাচ্ছো,
কিন্তু নিশ্চিত থাকো, সে তোমার কাছে নির্লজ্জ হয়েই এসেছিল।
কিছুদিন যাবত ঘনিষ্টতা হয়েছে। এই অল্প কয়দিনে কথা বার্তা বলে,,,
তাকে তোমার বিশ্বাস করতেই ইচ্ছে করে।
এরকম পরিচিত কেউ ধার চেয়ে বসলে তাকে সাহায্য করার আগে একটা জিনিস মাথায় রাখবে;
তোমার সাথে মানুষটার পরিচয় হয়েছে এই মাত্র কয়েকটা মাস হবে।
এর আগে বছরের পর বছর সে যাদের সাথে মিশেছে, একসাথে বড় হয়েছে; তার পুরনো বন্ধু বান্ধব, দীর্ঘ দিনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশ কাটিয়ে,, কেন সে তোমার কাছে ঋণ চাইছে ?
নিশ্চয়ই তার পুরনো ঘনিষ্টজনদের সাথে আগে এমন কিছু লেনদেন করেছে,,,
যার কারণে সে এখন আর তাদের কাছে ঋণ চাওয়ার সাহসই পাচ্ছে না। হতে পারে না ?
সেদিন একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছে,
যে চুয়াডাঙ্গা থেকে একটা বিশেষ কাজে ঢাকায় এসে থাকার মত কোন জায়গা না পেয়ে,
দুদিন এই হলে, দুদিন সেই হলে কোন রকমে, ফ্লোরে মাথা গুজে টিকে আছে।
ছেলেটি কথা প্রসঙ্গে বুক উঁচিয়ে জানাল,
এই শহরে তার এক খালু আছেন,,, যিনি স্বনামধন্য এক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফেসর।
প্রোফেসর আংকেলের কাছে কী তুমি গিয়েছিলে ? এই প্রশ্নের জবাবে সে মাথা নিচু করে জবাব দিল, ''গিয়েছিলাম... কিন্তু...''
'কিন্তু'র পরের বাক্যটা শোনার পর আমি তাকে অনুরোধ করে বললা্ম,
নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে প্রথমেই একটা জাল ফেলে দাও।
এই জাল হল, নিজে বেশি কিছু না বলে, তাকে বলতে দেয়া'র জাল।
দেখবে যে কোন কথা থেকেই সে, প্রসঙ্গ-অপ্রসঙ্গ টেনে ইনিয়ে বিনিয়ে তার এচিভমেণ্টের গল্প শোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সে যাই বলুক না কেন, দেখবে সব কথার- সার কথা হল, সে সাধারণ কেউ না।
এরকম দেখা মাত্রই বুঝে ফেলবে, সে জালে পা দিয়ে ফেলেছে।
পরিচয় হওয়া মাত্র যে মানুষ নিজের সানাই নিজে বাজাতে শুরু করে,
সে নিশ্চয়ই,,, প্রায় সময় বাসে, চায়ের দোকানে, রেল ভ্রমণে অসংখ্যবার একই সানাই বাজিয়ে এসেছে...;
তার কাছ থেকে সাবধান।
টাকা পয়সা সব সময় সবার কাছে থাকে না।
যখন প্রয়োজন পড়ে,, কাছের মানুষদের,,,,,
কাছ থেকে ধার দেনা করবে, এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু,,, কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের মুখ পাতলা। একটু থেকে একটুতেই, বেহায়ার মত ধার চেয়ে বসবে।
তুমি তাকে 'না' বলতে লজ্জা পাচ্ছো,
কিন্তু নিশ্চিত থাকো, সে তোমার কাছে নির্লজ্জ হয়েই এসেছিল।
কিছুদিন যাবত ঘনিষ্টতা হয়েছে। এই অল্প কয়দিনে কথা বার্তা বলে,,,
তাকে তোমার বিশ্বাস করতেই ইচ্ছে করে।
এরকম পরিচিত কেউ ধার চেয়ে বসলে তাকে সাহায্য করার আগে একটা জিনিস মাথায় রাখবে;
তোমার সাথে মানুষটার পরিচয় হয়েছে এই মাত্র কয়েকটা মাস হবে।
এর আগে বছরের পর বছর সে যাদের সাথে মিশেছে, একসাথে বড় হয়েছে; তার পুরনো বন্ধু বান্ধব, দীর্ঘ দিনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশ কাটিয়ে,, কেন সে তোমার কাছে ঋণ চাইছে ?
নিশ্চয়ই তার পুরনো ঘনিষ্টজনদের সাথে আগে এমন কিছু লেনদেন করেছে,,,
যার কারণে সে এখন আর তাদের কাছে ঋণ চাওয়ার সাহসই পাচ্ছে না। হতে পারে না ?
সেদিন একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছে,
যে চুয়াডাঙ্গা থেকে একটা বিশেষ কাজে ঢাকায় এসে থাকার মত কোন জায়গা না পেয়ে,
দুদিন এই হলে, দুদিন সেই হলে কোন রকমে, ফ্লোরে মাথা গুজে টিকে আছে।
ছেলেটি কথা প্রসঙ্গে বুক উঁচিয়ে জানাল,
এই শহরে তার এক খালু আছেন,,, যিনি স্বনামধন্য এক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফেসর।
প্রোফেসর আংকেলের কাছে কী তুমি গিয়েছিলে ? এই প্রশ্নের জবাবে সে মাথা নিচু করে জবাব দিল, ''গিয়েছিলাম... কিন্তু...''
'কিন্তু'র পরের বাক্যটা শোনার পর আমি তাকে অনুরোধ করে বললা্ম,
এখন থেকে তুমি আর কখনো তোমার খালুর পরিচয়টা কাউকে দিবে না। যে মানুষটার পরিচয় দেবার সময়, দুঃখ দুর্দশার দিনেও তোমার বুক উঁচু হয়ে উঠে।
সেই মানুষটা কখনো কাউকে তোমার পরিচয় দেয়া তো দূরের কথা,
তোমাকে আমলেই নেয় না।
তুমি কেন এখানে সেখানে তার পরিচয় দিয়ে বেড়াবে ?
তুমি কেন এখানে সেখানে তার পরিচয় দিয়ে বেড়াবে ?
তুমি নিজেই যদি নিজেকে এরকম সহজলভ্য করে ফেলো।
অন্যেরা কেন করবে না?
দ্বিতীয়ঃ---------
আবেগের বিকার বলে একটা ব্যাপার আছে।
অন্যেরা কেন করবে না?
দ্বিতীয়ঃ---------
আবেগের বিকার বলে একটা ব্যাপার আছে।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর বালিশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে তার জানতে ইচ্ছে করছে না, এখন কতটা বাজে। বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। চোখ মেলে রাখতেও ইচ্ছে করে না। চোখে ঘুম এবং স্বপ্ন কোনটাই নেই।
কেউ দরজায় কড়া নাড়লে উঠে গিয়ে দরজা খুলতেও কষ্ট হয় অনেক। কেউ কিছু বললে সেটা শুনতে ভাল লাগে না। মাথা কেমন ভারী ভারী লাগে। মনে হয় মাথার ভেতরে কেমন জট বেঁধে আছে। এই জট খুলতেও ইচ্ছে করে না।
জীবনের প্রতি একটা বিতৃষ্ণা চলে আসে। কোন সুসংবাদ এবং প্রাপ্তিতে কিছুই আসে যায় না। একা থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু একা একা ভাল লাগে না। সে Affective Disorder এ ভুগছে। খিদে পেলে উঠে গিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। নিজেকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কষ্ট দিতে তার ভাল লাগে। কষ্টের গান শুনে শুনে সে ভাবে গানের এই লাইনটি তার জন্যই লেখা হয়েছে। খুঁজে খুঁজে পুরনো দুঃখ কষ্টের কথা ভেবে ফ্লোরে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে তার ভাল লাগে। কান্না ভাল লাগে না কিন্তু দুয়োর বন্ধ করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। কেমন একটা দোদুল্যমান অবস্থা...
একসময় তার আশে পাশের সবার উপর রাগ জন্মাতে শুরু করে। সে রাগ চেপে রাখে। এই ব্যাপারটি তাকে আরও বেশি কষ্ট দেয়। সে জানে সে ভেঙ্গে পড়ছে, তার এখান থেকে উঠে আসাটা জরুরী। সে ভেঙ্গে পড়তে চায় না; আবার চায়। একসময় সে খুব অভিমানী হয়ে উঠে। সবাই জিততে চায় না; কেউ কেউ হারতে চায়। তার খুব হেরে জেতে ইচ্ছে করে।
একসময় এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল, এইরকম নানান চিন্তা আসতে শুরু করে। সে মরে যাবার পর কোন কোন মানুষ তার জন্য কাঁদবে এরকম কিছু মানুষের চেহারা চিন্তা করতে তার ভাল লাগে।
ছাদের উপর থেকে নিচের রাস্তায় নিজের থেঁতলানো শরীর কল্পনা করতে তার খুব ভয় লাগে। কিছু ঘুমের ওষুধ নিজের সাথে রেখে দেয়।
মাঝে মাঝে রাতে ওষুধের গোপন ডিব্বা বিছানায় নিয়ে বসে। কত রকমের চিন্তা আসে। কখনো ধর্ম চিন্তা আসে। সে মরে গেলে কী জাহান্নামে যাবে? আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে ভুল বুঝবে না, এই জাতীয় চিন্তাও তার মনের ভেতরে খেলে। কখনো নিজেই নিজের গলা চেপে ধরে।
দেখতে চায় শরীরের কতটুকু যন্ত্রণা সে সহ্য করতে পারবে। মানুষ এই একটা জায়গায় এসে হেরে যায়। মানুষ অনেক ভাবেই নিজেকে নিঃস্বেষ করে ফেলতে পারে। তবে কেউই কখনো নিজেকে সজ্ঞানে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে পারবে না।
ব্রীজ থেকে ঝাপ দিয়ে যে মাঝনদীতে অক্সিজেনের অভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে, সে চাইলেও নিজেকে কয়েক সেকেন্ড আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে না। রাইফেলে একবার চাপ দিয়ে দিলে তার আর কিছু করার থাকে না। সব নিয়ন্ত্রণ বুলেটের কাছে চলে যায়। গায়ে কেরাসিন লাগিয়ে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে দেবার কয়েক মুহূর্ত পরে সে চাইলেও এর থেকে নিস্তার পায় না।
তানাহলে সেই চিত্রটাই দেখা যেত যেটা নিজেকে নিজে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে যাবার সময় ঘটে। নিজের ফুসফুসে একটু ব্যথা শুরু হলেই হাত গুটিয়ে নেয়। জীবনের প্রতি যতই বিতৃষ্ণা চলে আসুক না কেন, নিজের জীবনের চাইতে বেশি সে আর কোন কিছুকেই ভালোবাসে নি।
আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি। টাইম ইজ দ্যা মেইন হিলার। সব কিছু সময়ের উপর ছেড়ে দিন। এই পাঁচটা শব্দের উপর আস্থা রাখুন - সময় সব ক্ষত মুছে দেবে। নিজেকে এভাবে বোঝান যে - আমার ভাল থাকার জন্য কোন কিছু না , কোন কেউ না '' আমার আল্লাহই যথেষ্ট।
কেউ দরজায় কড়া নাড়লে উঠে গিয়ে দরজা খুলতেও কষ্ট হয় অনেক। কেউ কিছু বললে সেটা শুনতে ভাল লাগে না। মাথা কেমন ভারী ভারী লাগে। মনে হয় মাথার ভেতরে কেমন জট বেঁধে আছে। এই জট খুলতেও ইচ্ছে করে না।
জীবনের প্রতি একটা বিতৃষ্ণা চলে আসে। কোন সুসংবাদ এবং প্রাপ্তিতে কিছুই আসে যায় না। একা থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু একা একা ভাল লাগে না। সে Affective Disorder এ ভুগছে। খিদে পেলে উঠে গিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। নিজেকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কষ্ট দিতে তার ভাল লাগে। কষ্টের গান শুনে শুনে সে ভাবে গানের এই লাইনটি তার জন্যই লেখা হয়েছে। খুঁজে খুঁজে পুরনো দুঃখ কষ্টের কথা ভেবে ফ্লোরে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে তার ভাল লাগে। কান্না ভাল লাগে না কিন্তু দুয়োর বন্ধ করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। কেমন একটা দোদুল্যমান অবস্থা...
একসময় তার আশে পাশের সবার উপর রাগ জন্মাতে শুরু করে। সে রাগ চেপে রাখে। এই ব্যাপারটি তাকে আরও বেশি কষ্ট দেয়। সে জানে সে ভেঙ্গে পড়ছে, তার এখান থেকে উঠে আসাটা জরুরী। সে ভেঙ্গে পড়তে চায় না; আবার চায়। একসময় সে খুব অভিমানী হয়ে উঠে। সবাই জিততে চায় না; কেউ কেউ হারতে চায়। তার খুব হেরে জেতে ইচ্ছে করে।
একসময় এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল, এইরকম নানান চিন্তা আসতে শুরু করে। সে মরে যাবার পর কোন কোন মানুষ তার জন্য কাঁদবে এরকম কিছু মানুষের চেহারা চিন্তা করতে তার ভাল লাগে।
ছাদের উপর থেকে নিচের রাস্তায় নিজের থেঁতলানো শরীর কল্পনা করতে তার খুব ভয় লাগে। কিছু ঘুমের ওষুধ নিজের সাথে রেখে দেয়।
মাঝে মাঝে রাতে ওষুধের গোপন ডিব্বা বিছানায় নিয়ে বসে। কত রকমের চিন্তা আসে। কখনো ধর্ম চিন্তা আসে। সে মরে গেলে কী জাহান্নামে যাবে? আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে ভুল বুঝবে না, এই জাতীয় চিন্তাও তার মনের ভেতরে খেলে। কখনো নিজেই নিজের গলা চেপে ধরে।
দেখতে চায় শরীরের কতটুকু যন্ত্রণা সে সহ্য করতে পারবে। মানুষ এই একটা জায়গায় এসে হেরে যায়। মানুষ অনেক ভাবেই নিজেকে নিঃস্বেষ করে ফেলতে পারে। তবে কেউই কখনো নিজেকে সজ্ঞানে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে পারবে না।
ব্রীজ থেকে ঝাপ দিয়ে যে মাঝনদীতে অক্সিজেনের অভাবে হাবুডুবু খাচ্ছে, সে চাইলেও নিজেকে কয়েক সেকেন্ড আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে না। রাইফেলে একবার চাপ দিয়ে দিলে তার আর কিছু করার থাকে না। সব নিয়ন্ত্রণ বুলেটের কাছে চলে যায়। গায়ে কেরাসিন লাগিয়ে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে দেবার কয়েক মুহূর্ত পরে সে চাইলেও এর থেকে নিস্তার পায় না।
তানাহলে সেই চিত্রটাই দেখা যেত যেটা নিজেকে নিজে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে যাবার সময় ঘটে। নিজের ফুসফুসে একটু ব্যথা শুরু হলেই হাত গুটিয়ে নেয়। জীবনের প্রতি যতই বিতৃষ্ণা চলে আসুক না কেন, নিজের জীবনের চাইতে বেশি সে আর কোন কিছুকেই ভালোবাসে নি।
আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি। টাইম ইজ দ্যা মেইন হিলার। সব কিছু সময়ের উপর ছেড়ে দিন। এই পাঁচটা শব্দের উপর আস্থা রাখুন - সময় সব ক্ষত মুছে দেবে। নিজেকে এভাবে বোঝান যে - আমার ভাল থাকার জন্য কোন কিছু না , কোন কেউ না '' আমার আল্লাহই যথেষ্ট।
তৃত্বীয়ঃ--------
এই যে এত সুন্দর একটা সকাল, সে খুব সেজে গুজে আগ্রহ নিয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। কখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন, চোখ দুটো হাতের তালু দিয়ে ঘসতে ঘসতে তার দিকে তাকাবেন।
পুরো একটা দুনিয়া অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। আপনার উপস্থিতি না থাকলে এদের হিসেবে গড়মিল লেগে যাবে। এই যে এত সুন্দর একটা সকাল, সেটা হয়ত আপনার জীবনে আর কখনো নাও আসতে পারে। কিংবা ধরে রাখতে পারেন, শতাব্দী থেকে শতাব্দী।
হয়ত প্রিয় মানুষ হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠেন নি। পাশের ঘর থেকে শোনা যায় বাবার অসুখ। জীবনের নানান সমস্যা মাকড়সার মত বাসা বেঁধে আছে। বুঝে উঠতে পারছেন না - মাকড়শা তাড়াবেন নাকি বাসা বদলাবেন।
তবু একটু পর চারদিক থেকে পাখি ডাকতে শুরু করবে। সরকারি অফিস গুলো দরজা খিল খুলে মক্কেল খুঁজে বেড়াবে। হয়ত কালজয়ী এক উপন্যাস অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। তারা লিখে রাখতে চায় আপনাকে। এই পৃথিবীতে আপনার একটা অস্তিত্ব ছিল, সেটার এক স্থায়ী বন্দোবস্ত হোক আজ।
নিজেকে ভালো করে দেখেছেন কখনো ? কী আছে এর ভেতরে ? ব্যবহার করেছেন কখনো ? এই যে এত সুন্দর একটা সকাল, সেটা হয়ত আপনার জীবনে আর কখনো নাও আসতে পারে। কিংবা ধরে রাখতে পারেন, শতাব্দী থেকে শতাব্দী।
এই যে সকাল হল। রাতভর স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো চোখ মুখ ধুয়েই এক একজন মিলিটারি হতে শুরু করবে। সারারাত যে রাস্তার মাঝখানটায় দাড়িয়ে নাইট গার্ড বাঁশি বাজালেন একটু পর সেখানেটায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে সিগন্যাল দিবেন, ছোট খাটো জ্যাম লেগে যাবে।
বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠেই বিশ্ব জয় করতে পাঠশালার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছে; শহরের সব ঘুষখোরেরা একটু পরই নাস্তা খেতে খেতে সন্তানকে দু একটা উপদেশ দিয়ে ঘুষ খেতে বের হয়ে পড়বে। হতাশা যন্ত্রণায় যে বেকার ছোকরা রাতে এক ফোটাও ঘুমাতে পারেনি সেও হয়ত বের হয়ে পড়েছে ইন্টার্ভিউ দিতে। দু কদম গিয়ে আবার হয়ত বাবার সামনে মাথা নিচু করে দাড়াবে, যাবার ভাড়াটা যে নেই।
সকাল হয়ে গেল। নতুন নতুন প্রেম করা ছেলে মেয়ে গুলো সেই যে রাত থেকে কথা শুরু করেছে ; মাত্র ফোন রেখেছে। কেউ হয়ত সারারাত কাউকে ওয়েটিং এ পেয়ে কষ্টের গান গুলো প্লে লিস্টে দিয়ে বাতি বন্ধ না করেই আধ শোয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছে।
সারারাত যন্ত্রণায় ছটফট করা রোগীর জীবনে এটাই শেষ সকাল। আদরের মেয়েকে চুমো খেয়ে যে পুলিশ অফিসার বাসা থেকে বের হবেন, তিনিই ঘণ্টা দুয়েক পর চাঁদা না পেয়ে ফুটপাতের তরকারী ওয়ালাকে লাথি মেরে বিনা মূল্যে দুটা ফুলকপি পলিথিনে করে বাসায় নিয়ে আসবেন।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পরই কারো মনে পড়ে যাবে গতকাল রাতে বাবা মারা গেছে ! কিছুক্ষণ পুরো ব্যাপারটাকে স্বপ্ন ভাবার চেষ্টা করে আবার হয়ত ঘুমাবার চেষ্টা করবে ! নিজেকে বোঝাবে - এবার হয়ত ঘুম থেকে উঠে দেখবে , বাবা আসলে মরে নি !!
যে শুয়োরের বাচ্চাটা আজ মাগরিবের নামাযের পর কাউকে ধর্ষণ করবে সে হয়ত এখনো কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। টেবিলে খাবার সাজিয়ে তার মা কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে- বেলা হয়েছে; ঘুম থেকে উঠো !
পুরো একটা দুনিয়া অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। আপনার উপস্থিতি না থাকলে এদের হিসেবে গড়মিল লেগে যাবে। এই যে এত সুন্দর একটা সকাল, সেটা হয়ত আপনার জীবনে আর কখনো নাও আসতে পারে। কিংবা ধরে রাখতে পারেন, শতাব্দী থেকে শতাব্দী।
হয়ত প্রিয় মানুষ হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠেন নি। পাশের ঘর থেকে শোনা যায় বাবার অসুখ। জীবনের নানান সমস্যা মাকড়সার মত বাসা বেঁধে আছে। বুঝে উঠতে পারছেন না - মাকড়শা তাড়াবেন নাকি বাসা বদলাবেন।
তবু একটু পর চারদিক থেকে পাখি ডাকতে শুরু করবে। সরকারি অফিস গুলো দরজা খিল খুলে মক্কেল খুঁজে বেড়াবে। হয়ত কালজয়ী এক উপন্যাস অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। তারা লিখে রাখতে চায় আপনাকে। এই পৃথিবীতে আপনার একটা অস্তিত্ব ছিল, সেটার এক স্থায়ী বন্দোবস্ত হোক আজ।
নিজেকে ভালো করে দেখেছেন কখনো ? কী আছে এর ভেতরে ? ব্যবহার করেছেন কখনো ? এই যে এত সুন্দর একটা সকাল, সেটা হয়ত আপনার জীবনে আর কখনো নাও আসতে পারে। কিংবা ধরে রাখতে পারেন, শতাব্দী থেকে শতাব্দী।
এই যে সকাল হল। রাতভর স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো চোখ মুখ ধুয়েই এক একজন মিলিটারি হতে শুরু করবে। সারারাত যে রাস্তার মাঝখানটায় দাড়িয়ে নাইট গার্ড বাঁশি বাজালেন একটু পর সেখানেটায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে সিগন্যাল দিবেন, ছোট খাটো জ্যাম লেগে যাবে।
বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠেই বিশ্ব জয় করতে পাঠশালার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছে; শহরের সব ঘুষখোরেরা একটু পরই নাস্তা খেতে খেতে সন্তানকে দু একটা উপদেশ দিয়ে ঘুষ খেতে বের হয়ে পড়বে। হতাশা যন্ত্রণায় যে বেকার ছোকরা রাতে এক ফোটাও ঘুমাতে পারেনি সেও হয়ত বের হয়ে পড়েছে ইন্টার্ভিউ দিতে। দু কদম গিয়ে আবার হয়ত বাবার সামনে মাথা নিচু করে দাড়াবে, যাবার ভাড়াটা যে নেই।
সকাল হয়ে গেল। নতুন নতুন প্রেম করা ছেলে মেয়ে গুলো সেই যে রাত থেকে কথা শুরু করেছে ; মাত্র ফোন রেখেছে। কেউ হয়ত সারারাত কাউকে ওয়েটিং এ পেয়ে কষ্টের গান গুলো প্লে লিস্টে দিয়ে বাতি বন্ধ না করেই আধ শোয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছে।
সারারাত যন্ত্রণায় ছটফট করা রোগীর জীবনে এটাই শেষ সকাল। আদরের মেয়েকে চুমো খেয়ে যে পুলিশ অফিসার বাসা থেকে বের হবেন, তিনিই ঘণ্টা দুয়েক পর চাঁদা না পেয়ে ফুটপাতের তরকারী ওয়ালাকে লাথি মেরে বিনা মূল্যে দুটা ফুলকপি পলিথিনে করে বাসায় নিয়ে আসবেন।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পরই কারো মনে পড়ে যাবে গতকাল রাতে বাবা মারা গেছে ! কিছুক্ষণ পুরো ব্যাপারটাকে স্বপ্ন ভাবার চেষ্টা করে আবার হয়ত ঘুমাবার চেষ্টা করবে ! নিজেকে বোঝাবে - এবার হয়ত ঘুম থেকে উঠে দেখবে , বাবা আসলে মরে নি !!
যে শুয়োরের বাচ্চাটা আজ মাগরিবের নামাযের পর কাউকে ধর্ষণ করবে সে হয়ত এখনো কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। টেবিলে খাবার সাজিয়ে তার মা কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে- বেলা হয়েছে; ঘুম থেকে উঠো !
চতুর্থঃ-------
আমার মুগ্ধ হবার ক্ষমতা কমে গেছে। একটা সময় ছিল যখন ভোর চারটা বাজে একটা বই শেষ করে মলাটের শেষে লেখকের ছবির দিকে তাকিয়ে থেকে আবার প্রথম পৃষ্ঠা থেকে পড়া শুরু করেছি। বৃষ্টির দিনে কনস্ট্রাকশন ভবনে বাঁশের খুটিতে দাড়িয়ে থাকা রঙ মিস্ত্রীকে কাঁপতে দেখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতাম।
এক একটা সাদামাটা গানকে মনে হত, এর একটা জ্যান্ত শরীর আছে, কপালের নিচে দুটা কাজল মিশ্রিত চোখ আছে। দুয়োর বন্ধ করে গান রিপিট দিয়ে সেই চোখের দিকে তাকালে মনে হত প্রিয়তমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি!! গ্রামের বাড়ির উঠানে সিডি ভাড়া করে বাণিজ্যিক হিন্দি সিনেমা দেখে যে আনন্দ হয়েছিল; কোথায় যে হারিয়ে গেলো।
আমার মুগ্ধ হবার ক্ষমতা কমে গেছে, ভার্সিটির লাইফে স্যার গুলো যখন কেরানি মার্কা রসিকতা করে ছাত্রদের হাসানোর চেষ্টা করত, আমি তখন দাঁতে দাঁত কেলিয়ে শক্ত হয়ে বসে থাকতাম।
আমার কষ্ট পাবার ক্ষমতা কমে গেছে। একটা সময় ছিল যখন মুরগির বাচ্চা জবাই করার সময় চোখ মিটমিট করে যেভাবে আমার দিকে তাকাত, মনে হত সে যেন আমার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে ; কষ্ট হত খুব। অর্ধেক শরীর রাস্তার আইলেনে আর অর্ধেক শরীর রাস্তায় ফেলে দেয়া পাগলীর শরীর দেখে কষ্ট পেতাম।
শীতের রাতে জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটতে বের হতাম, মৌলিক কোন দুঃখ না থাকলেও কোথায় যেন একটা দুঃখ থাকত !! দুঃখটা এমন যে এর কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। আমার কষ্ট পাবার ক্ষমতা কমে গেছে এর মানে এই না যে আনন্দ পাবার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। নদীর স্রোতে ভাসতে থাকা মানুষের লাশের মত, স্রোত বাড়ুক অথবা কমুক , তার আর কিছুই আসে যায় না।
আমার আমাকে চেনার ইচ্ছেটা বেড়ে গিয়েছে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো কাটাতে চাই একান্তই নিজের সাথে। আয়নার মানুষটার দিকে তাকালে প্রথমে খুব চেনা লাগে, আরও কিছুক্ষণ তাকালে অচেনা লাগে, আরও কিছুক্ষণ তাকালে এত চেনা লাগে যে, ভয় হয় খুব।
এক একটা সাদামাটা গানকে মনে হত, এর একটা জ্যান্ত শরীর আছে, কপালের নিচে দুটা কাজল মিশ্রিত চোখ আছে। দুয়োর বন্ধ করে গান রিপিট দিয়ে সেই চোখের দিকে তাকালে মনে হত প্রিয়তমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি!! গ্রামের বাড়ির উঠানে সিডি ভাড়া করে বাণিজ্যিক হিন্দি সিনেমা দেখে যে আনন্দ হয়েছিল; কোথায় যে হারিয়ে গেলো।
আমার মুগ্ধ হবার ক্ষমতা কমে গেছে, ভার্সিটির লাইফে স্যার গুলো যখন কেরানি মার্কা রসিকতা করে ছাত্রদের হাসানোর চেষ্টা করত, আমি তখন দাঁতে দাঁত কেলিয়ে শক্ত হয়ে বসে থাকতাম।
আমার কষ্ট পাবার ক্ষমতা কমে গেছে। একটা সময় ছিল যখন মুরগির বাচ্চা জবাই করার সময় চোখ মিটমিট করে যেভাবে আমার দিকে তাকাত, মনে হত সে যেন আমার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে ; কষ্ট হত খুব। অর্ধেক শরীর রাস্তার আইলেনে আর অর্ধেক শরীর রাস্তায় ফেলে দেয়া পাগলীর শরীর দেখে কষ্ট পেতাম।
শীতের রাতে জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটতে বের হতাম, মৌলিক কোন দুঃখ না থাকলেও কোথায় যেন একটা দুঃখ থাকত !! দুঃখটা এমন যে এর কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। আমার কষ্ট পাবার ক্ষমতা কমে গেছে এর মানে এই না যে আনন্দ পাবার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। নদীর স্রোতে ভাসতে থাকা মানুষের লাশের মত, স্রোত বাড়ুক অথবা কমুক , তার আর কিছুই আসে যায় না।
আমার আমাকে চেনার ইচ্ছেটা বেড়ে গিয়েছে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো কাটাতে চাই একান্তই নিজের সাথে। আয়নার মানুষটার দিকে তাকালে প্রথমে খুব চেনা লাগে, আরও কিছুক্ষণ তাকালে অচেনা লাগে, আরও কিছুক্ষণ তাকালে এত চেনা লাগে যে, ভয় হয় খুব।
পঞ্চমঃ-----
দু ধরনের মানুষকে আমরা কখনো ভুলি না, যদি আমরা কারো উপকার করি এবং কেউ যদি আমাদের অপকার করে।
ব্যাপারটা উল্টো হবার কথা ছিল;তুমি যাকে উপকার করেছো তাকে মনে না রেখে বরং তাকে মনে রাখো তুমি যার সাথে অন্যায় করেছো। এতে করে তুমি নিজেকে শুধরানোর সুযোগ পাবে।
তাকে ভুলে যাও যে তোমার সাথে অন্যায় করেছে, তাকে মনে রেখে দিলে তোমার অবচেতন মন সব সময় তার ক্ষতি করতে চাইবে। তাহলে তোমার আর তার মাঝে তফাৎটা কী থাকল ?
সম্পর্কের বোঝাপড়া শুরু হয় সম্পর্ক শেষ হবার পর। এই পৃথিবীতে এত এত মানুষের সাথে কাটানো এত এত সময়, এত গ্লানি এত ভালোবাসা - এসব কিছুরই একটা শেষ আছে।
একটা চারা গাছ লাগিয়ে সেই যে চলে যাবে মানুষ গুলো, আর তো ফিরেও আসবে না তোমার গোরস্থানে !কেউ হয়তবা তোমাকে এত বেশি ভুলে যাবে যে তোমার নামে মিল আছে এরকম কোন মানুষের সাথে আলাপ হলেই কেবল মনে পড়বে তোমার কথা !! কেউ হয়তবা জনম ধরে সাদা কালো ফ্রেমের সামনে দাড়িয়ে থেকে প্রতীক্ষা করবে; জানে মানুষটা আসবে না... তবু প্রতীক্ষা !
সম্পর্কের বোঝাপড়া তো সেই শুরু... সম্পর্কটা শেষ হবার পর।
কিছু খারাপ সময় সবার লাইফেই আসে। একটা কিছু ঘটে গেলে সবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখবেন যে, যেটা হয়েছে সেটা পরিবর্তন করার সুযোগ আছে কিনা। যদি সুযোগ থাকে এবং সেটা জেনেও দেয়ালে পিঠ চাপড়ানোর মানে হল আপনি সেই সুযোগটাও নষ্ট করে ফেলছেন।
আর যদি ঘটনাটা পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নাই থাকে তাহলে নিজেকে এভাবে বোঝাবেন যে - 'আমি এটা পরিবর্তন করতে পারব না'।
' আমি এটা পরিবর্তন করতে পারব না' বাক্যটি বারবার নিজের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই দেখবেন বাক্যটি আপনাকে
' আমি এটা মেনে নিয়েছি' র কাছে পৌঁছে দেবে।
আপনি যখন মেনে নিতে শুরু করবেন তখনই কষ্ট গুলো কমতে শুরু করবে কেননা কস্টগুলোর জন্ম হয়েছিল আপনার মেনে নিতে না পারা থেকে।
ব্যাপারটা উল্টো হবার কথা ছিল;তুমি যাকে উপকার করেছো তাকে মনে না রেখে বরং তাকে মনে রাখো তুমি যার সাথে অন্যায় করেছো। এতে করে তুমি নিজেকে শুধরানোর সুযোগ পাবে।
তাকে ভুলে যাও যে তোমার সাথে অন্যায় করেছে, তাকে মনে রেখে দিলে তোমার অবচেতন মন সব সময় তার ক্ষতি করতে চাইবে। তাহলে তোমার আর তার মাঝে তফাৎটা কী থাকল ?
সম্পর্কের বোঝাপড়া শুরু হয় সম্পর্ক শেষ হবার পর। এই পৃথিবীতে এত এত মানুষের সাথে কাটানো এত এত সময়, এত গ্লানি এত ভালোবাসা - এসব কিছুরই একটা শেষ আছে।
একটা চারা গাছ লাগিয়ে সেই যে চলে যাবে মানুষ গুলো, আর তো ফিরেও আসবে না তোমার গোরস্থানে !কেউ হয়তবা তোমাকে এত বেশি ভুলে যাবে যে তোমার নামে মিল আছে এরকম কোন মানুষের সাথে আলাপ হলেই কেবল মনে পড়বে তোমার কথা !! কেউ হয়তবা জনম ধরে সাদা কালো ফ্রেমের সামনে দাড়িয়ে থেকে প্রতীক্ষা করবে; জানে মানুষটা আসবে না... তবু প্রতীক্ষা !
সম্পর্কের বোঝাপড়া তো সেই শুরু... সম্পর্কটা শেষ হবার পর।
কিছু খারাপ সময় সবার লাইফেই আসে। একটা কিছু ঘটে গেলে সবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখবেন যে, যেটা হয়েছে সেটা পরিবর্তন করার সুযোগ আছে কিনা। যদি সুযোগ থাকে এবং সেটা জেনেও দেয়ালে পিঠ চাপড়ানোর মানে হল আপনি সেই সুযোগটাও নষ্ট করে ফেলছেন।
আর যদি ঘটনাটা পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নাই থাকে তাহলে নিজেকে এভাবে বোঝাবেন যে - 'আমি এটা পরিবর্তন করতে পারব না'।
' আমি এটা পরিবর্তন করতে পারব না' বাক্যটি বারবার নিজের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই দেখবেন বাক্যটি আপনাকে
' আমি এটা মেনে নিয়েছি' র কাছে পৌঁছে দেবে।
আপনি যখন মেনে নিতে শুরু করবেন তখনই কষ্ট গুলো কমতে শুরু করবে কেননা কস্টগুলোর জন্ম হয়েছিল আপনার মেনে নিতে না পারা থেকে।
ষষ্ঠঃ--------
কেউই কাউকে পুরোপুরি চিনতে পারবে না।
মানুষকে ভুল চেনা যায়, কম চেনা যায়, বেশি চেনা যায়, কিন্তু পুরোপুরি চেনা যায় না। কেউ যদি তোমাকে পুরোপুরি চিনে ফেলে, তাহলে সে জেনে যাবে ; আসলে সে তোমাকে একটুও চেনে না।
যদি কেউ তোমাকে একটুও না চেনে তাহলে বুঝবে তোমার প্রতি আসলে তার কোন আগ্রহ নেই। আগ্রহ থাকলে ভুল হোক শুদ্ধ হোক সে নিজের মত করে তোমাকে চেনার একটা চেষ্টা করত।
যদি কেউ তোমাকে কম চেনে তাহলে সে মনে করে যে; তোমাকে অনেক বেশি চিনে ফেলেছে।একদম অন্ধকার ঘর থেকে কম আলোতে প্রবেশ করলে তখন সেটাকে অনেক বেশিই মনে হয়।
যদি কেউ তোমাকে একটু বেশি চিনে ফেলে তাহলে সে বুঝতে পারে - আগের চেনায় ভুল ছিল। কম আলো থেকে বেশি আলোতে প্রবেশ করলে শুরুতে যেরকম একটা
বিভ্রান্তে পড়তে হয়; ঠিক সেরকম একটা বিভ্রান্তে গিয়ে তার মনে হবে- এখন আসলে সে তোমাকে চেনে; অনেক বেশি চেনে।
ব্যাক্তিত্বের সব চাইতে সুন্দর পোশাক হল - বিনয়। বিনয়ের সব চাইতে আকর্ষীয় ব্যাপার হল- সবাই বিনয়ীকে দুর্বলতা মনে করলেও তারা নিজেরাই একটা সময় মানুষটার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। সব সময় মনে রাখবে, তোমার শুধু একটাই অহংকার আছে, সেটা হল – তোমার কোন অহংকার নেই।
সাফল্য হল এমন একটা জায়গা যেখানে যেতে হলে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। আর ব্যার্থতা হল এক একটা সিঁড়ি। তুমি একবার ব্যার্থ হয়েছো, এর মানে হল তুমি একটা সিঁড়ি পার করে অন্য একটা সিঁড়িতে উঠেছো। বার বার ব্যার্থ হবার পরেও তুমি হেঁটে যাচ্ছ, এর মানে হল ; তুমি সিঁড়ির অনেকটা উপরে উঠে গেছো। আর একটু সহ্য করতে পারলেই দেখবে এই পৃথিবী তোমাকে দিবে; সব দিবে; দিতে কার্পণ্য করবে না।
মানুষকে ভুল চেনা যায়, কম চেনা যায়, বেশি চেনা যায়, কিন্তু পুরোপুরি চেনা যায় না। কেউ যদি তোমাকে পুরোপুরি চিনে ফেলে, তাহলে সে জেনে যাবে ; আসলে সে তোমাকে একটুও চেনে না।
যদি কেউ তোমাকে একটুও না চেনে তাহলে বুঝবে তোমার প্রতি আসলে তার কোন আগ্রহ নেই। আগ্রহ থাকলে ভুল হোক শুদ্ধ হোক সে নিজের মত করে তোমাকে চেনার একটা চেষ্টা করত।
যদি কেউ তোমাকে কম চেনে তাহলে সে মনে করে যে; তোমাকে অনেক বেশি চিনে ফেলেছে।একদম অন্ধকার ঘর থেকে কম আলোতে প্রবেশ করলে তখন সেটাকে অনেক বেশিই মনে হয়।
যদি কেউ তোমাকে একটু বেশি চিনে ফেলে তাহলে সে বুঝতে পারে - আগের চেনায় ভুল ছিল। কম আলো থেকে বেশি আলোতে প্রবেশ করলে শুরুতে যেরকম একটা
বিভ্রান্তে পড়তে হয়; ঠিক সেরকম একটা বিভ্রান্তে গিয়ে তার মনে হবে- এখন আসলে সে তোমাকে চেনে; অনেক বেশি চেনে।
ব্যাক্তিত্বের সব চাইতে সুন্দর পোশাক হল - বিনয়। বিনয়ের সব চাইতে আকর্ষীয় ব্যাপার হল- সবাই বিনয়ীকে দুর্বলতা মনে করলেও তারা নিজেরাই একটা সময় মানুষটার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। সব সময় মনে রাখবে, তোমার শুধু একটাই অহংকার আছে, সেটা হল – তোমার কোন অহংকার নেই।
সাফল্য হল এমন একটা জায়গা যেখানে যেতে হলে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। আর ব্যার্থতা হল এক একটা সিঁড়ি। তুমি একবার ব্যার্থ হয়েছো, এর মানে হল তুমি একটা সিঁড়ি পার করে অন্য একটা সিঁড়িতে উঠেছো। বার বার ব্যার্থ হবার পরেও তুমি হেঁটে যাচ্ছ, এর মানে হল ; তুমি সিঁড়ির অনেকটা উপরে উঠে গেছো। আর একটু সহ্য করতে পারলেই দেখবে এই পৃথিবী তোমাকে দিবে; সব দিবে; দিতে কার্পণ্য করবে না।
সপ্তমঃ------
আপনার ব্যক্তিত্বেরর অধঃপতন কখন হয় জানেন ? যখন আপনি কতটা কষ্ট পাবেন সেটা আপনি না , ঠিক করে দিচ্ছে অন্য কেউ ! একটা উদাহারণ দেই।
একটা ট্রাফিক যখন হাতের ইশারায় সিগন্যাল দিয়ে সব গাড়ি আটকে দেয়, তখন আটকে থাকা গাড়ি গুলোর ভেতরে সব চাইতে বেশি আফসোস করে কোন গাড়ির যাত্রীগুলো জানেন ? অবশ্যই যে গাড়ি গুলো সিগন্যালের প্রথম সারিতে থাকে। তারা বাড়তি কষ্টটা এই কারণে পায় যে তাদের ঠিক আগের গাড়িটাই পার হয়ে গেছে !
বিড়ম্বনাই তার একমাত্র কষ্ট না; সে থেমে আছে এই কষ্টটাকে ছাপিয়ে গেছে তার ঠিক পাশেরজন এগিয়ে গেছে - এই ভাবনাটাই তাকে সিগন্যালে আটকে থাকা পেছনের অন্য যাত্রীদের চাইতে বেশি ভোগাচ্ছে !
লক্ষ করলে দেখবেন অধিকাংশ সময়ই নিজের থেমে থাকার জন্য না বরং অন্যকেউ কেন এগিয়ে গেছে এই নিয়ে আমরা একধরনের যন্ত্রণায় ভুগি। সেই অন্য কেউ যদি বিল গেটস হয় তাহলে আমাদের কিছুই আসে যায় না কিন্তু যখনই আপনার পাশের কেউ হয় তখন কেন এরকম সুড়সুড়ে লাগে জানেন ?
কারণ আমাদেরকে বড় করাই হয়েছে একধরণের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে।
অথচ জীবনটা এরকম কোন রেইস খেলা না যে কেবল যারা ফাস্ট সেকেন্ড থার্ড হবে তারাই মেডেল পাবে; সব চাইতে পেছনে যে দৌড়াচ্ছে, সে কিন্তু চাইলেই এভাবে ভাবতে পারে যে তার পেছনে কেউ নেই। সে যদি এখন উল্টো দিক দিয়ে দৌড় শুরু করে তাহলে সেখানে সেই প্রথম হবে। ইয়েস ! যারা সাকসেস হয়েছে তারা কিন্তু সবার দেখানো পথ ধরে সামনে এগোয় নি, তারা নিজেরাই একটা পথ তৈরি করে নিয়েছে।
একটা ট্রাফিক যখন হাতের ইশারায় সিগন্যাল দিয়ে সব গাড়ি আটকে দেয়, তখন আটকে থাকা গাড়ি গুলোর ভেতরে সব চাইতে বেশি আফসোস করে কোন গাড়ির যাত্রীগুলো জানেন ? অবশ্যই যে গাড়ি গুলো সিগন্যালের প্রথম সারিতে থাকে। তারা বাড়তি কষ্টটা এই কারণে পায় যে তাদের ঠিক আগের গাড়িটাই পার হয়ে গেছে !
বিড়ম্বনাই তার একমাত্র কষ্ট না; সে থেমে আছে এই কষ্টটাকে ছাপিয়ে গেছে তার ঠিক পাশেরজন এগিয়ে গেছে - এই ভাবনাটাই তাকে সিগন্যালে আটকে থাকা পেছনের অন্য যাত্রীদের চাইতে বেশি ভোগাচ্ছে !
লক্ষ করলে দেখবেন অধিকাংশ সময়ই নিজের থেমে থাকার জন্য না বরং অন্যকেউ কেন এগিয়ে গেছে এই নিয়ে আমরা একধরনের যন্ত্রণায় ভুগি। সেই অন্য কেউ যদি বিল গেটস হয় তাহলে আমাদের কিছুই আসে যায় না কিন্তু যখনই আপনার পাশের কেউ হয় তখন কেন এরকম সুড়সুড়ে লাগে জানেন ?
কারণ আমাদেরকে বড় করাই হয়েছে একধরণের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে।
অথচ জীবনটা এরকম কোন রেইস খেলা না যে কেবল যারা ফাস্ট সেকেন্ড থার্ড হবে তারাই মেডেল পাবে; সব চাইতে পেছনে যে দৌড়াচ্ছে, সে কিন্তু চাইলেই এভাবে ভাবতে পারে যে তার পেছনে কেউ নেই। সে যদি এখন উল্টো দিক দিয়ে দৌড় শুরু করে তাহলে সেখানে সেই প্রথম হবে। ইয়েস ! যারা সাকসেস হয়েছে তারা কিন্তু সবার দেখানো পথ ধরে সামনে এগোয় নি, তারা নিজেরাই একটা পথ তৈরি করে নিয়েছে।
অষ্টমঃ-------
ভাঙ্গা খেলনা যত্ন করে রেখে দিলে সেটা শোকেজের জায়গা নষ্ট করা ছাড়া আপনাকে আর কিছুই দিবে না। যেটা অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে, যত সুন্দরই হোক না কেন ; সেটা পরিপূর্ণ না।
যেখানে সবটাই আবর্জনা সেখানে কুড়াবার কিছু নেই, ফেলে দিতে হয় সব। একবার কঠিন হওয়া শিখে গেলে জীবনটা সহজ হয়ে যায়। আপনার জীবনের কাছে এই পৃথিবী, পৃথিবীর মানুষ এবং তাদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ এবং ভালোবাসা সবই পাশ্ববর্তী চরিত্র।
আপনি মরে যাবার পর কে পৃথিবী শাসন করবে, কে নোবেল জয়ী হয়ে মানবকূলে তর্কের ঝড় তুলবে - আপনার কিছুই আসে যায় না। যে আপনাকে উৎসাহিত করছে আর যে আপনাকে নিরুৎসাহিত করছে দুজনকেই একই চোখে দেখুন।
কারো উৎসাহে আত্মতুষ্টিতে ভোগার অর্থ হল কারো নিরুৎসাহে আপনি আবার ভেঙ্গে পড়বেন। পাশ্ববর্তী চরিত্রদের এত গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন নেই।
আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন , সৈন্য শিবিরে সে একপ্রকার বোঝা ! আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা; অন্য কারো না। কেউ হয়ত আপনাকে সান্ত্বনা দিবে, দায়িত্বের খাতিরে কেউ ঘড়ি ধরে পরামর্শ দিয়ে কেটে পড়বে। কেউ সেটা করার তাগিদও বোধ করবে না।
আপনার মত করে আর কেউ আপনার দুঃখ কষ্ট আঁচ করতে পারবে না যেমনটা আপনিও পারেন না অন্যদের ক্ষেত্রে। তাই সিদ্ধান্ত নেবার সময় কারো পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেবেন না। সেটাই করুন যেটা আপনার ভালো মনে হয়। কেননা আপনার ভালো থাকার জন্য এই পৃথিবীতে আপনিই একমাত্র যোদ্ধা।
পছন্দের বস্তু অনেকদিন নাড়াচাড়া না করলে যেরকমধুলো জমে যায়, অভিমান হল সেই ধুলোকনা। ঠিকমত যত্ন না নিলে সেখানে ধুলো তো জমবেই। যখনই জমতে শুরু করবে সাথে সাথে
মুছে ফেলতে হয়।
এই ধুলো গুলো বাড়তে শুরু করলে তখন সেটা অভিমান থেকে অভিযোগ হয়ে যায়।
অভিযোগের ভেতরে এক ধরনের জবাবদিহিতা থাকে, সূক্ষ্ম একটা প্রতিরোধ থাকে।
অভিযোগ যখন ন্যায়বিচার পায় না তখনই জন্ম হয় রাগের। যে রাগের বহিঃপ্রকাশ আছে, সেই রাগ কমে যায়। আর যে রাগের কোন বহিঃপ্রকাশ নেই; ভেতরে
ভেতরে জমতে শুরু করে- সেই রাগ থেকে জন্ম হয় ক্রোধের । ক্রোধ খুব সাংঘাতিক জিনিস।
একজন রাগান্বিত মানুষ যদি আপনাকে খুন করে ফেলে, তখন সেটা সে রাগের মাথাতেই
করে। কিন্তু একজন ক্রোধে আক্রান্ত কেউ যদি আপনাকে খুন করে - তখন সেটা সে ঠাণ্ডা মাথায় করে। আপনার উপর কারো একবার ক্রোধ জন্ম নিয়ে ফেললে
যেখানে সবটাই আবর্জনা সেখানে কুড়াবার কিছু নেই, ফেলে দিতে হয় সব। একবার কঠিন হওয়া শিখে গেলে জীবনটা সহজ হয়ে যায়। আপনার জীবনের কাছে এই পৃথিবী, পৃথিবীর মানুষ এবং তাদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ এবং ভালোবাসা সবই পাশ্ববর্তী চরিত্র।
আপনি মরে যাবার পর কে পৃথিবী শাসন করবে, কে নোবেল জয়ী হয়ে মানবকূলে তর্কের ঝড় তুলবে - আপনার কিছুই আসে যায় না। যে আপনাকে উৎসাহিত করছে আর যে আপনাকে নিরুৎসাহিত করছে দুজনকেই একই চোখে দেখুন।
কারো উৎসাহে আত্মতুষ্টিতে ভোগার অর্থ হল কারো নিরুৎসাহে আপনি আবার ভেঙ্গে পড়বেন। পাশ্ববর্তী চরিত্রদের এত গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন নেই।
আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন , সৈন্য শিবিরে সে একপ্রকার বোঝা ! আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা; অন্য কারো না। কেউ হয়ত আপনাকে সান্ত্বনা দিবে, দায়িত্বের খাতিরে কেউ ঘড়ি ধরে পরামর্শ দিয়ে কেটে পড়বে। কেউ সেটা করার তাগিদও বোধ করবে না।
আপনার মত করে আর কেউ আপনার দুঃখ কষ্ট আঁচ করতে পারবে না যেমনটা আপনিও পারেন না অন্যদের ক্ষেত্রে। তাই সিদ্ধান্ত নেবার সময় কারো পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেবেন না। সেটাই করুন যেটা আপনার ভালো মনে হয়। কেননা আপনার ভালো থাকার জন্য এই পৃথিবীতে আপনিই একমাত্র যোদ্ধা।
পছন্দের বস্তু অনেকদিন নাড়াচাড়া না করলে যেরকমধুলো জমে যায়, অভিমান হল সেই ধুলোকনা। ঠিকমত যত্ন না নিলে সেখানে ধুলো তো জমবেই। যখনই জমতে শুরু করবে সাথে সাথে
মুছে ফেলতে হয়।
এই ধুলো গুলো বাড়তে শুরু করলে তখন সেটা অভিমান থেকে অভিযোগ হয়ে যায়।
অভিযোগের ভেতরে এক ধরনের জবাবদিহিতা থাকে, সূক্ষ্ম একটা প্রতিরোধ থাকে।
অভিযোগ যখন ন্যায়বিচার পায় না তখনই জন্ম হয় রাগের। যে রাগের বহিঃপ্রকাশ আছে, সেই রাগ কমে যায়। আর যে রাগের কোন বহিঃপ্রকাশ নেই; ভেতরে
ভেতরে জমতে শুরু করে- সেই রাগ থেকে জন্ম হয় ক্রোধের । ক্রোধ খুব সাংঘাতিক জিনিস।
একজন রাগান্বিত মানুষ যদি আপনাকে খুন করে ফেলে, তখন সেটা সে রাগের মাথাতেই
করে। কিন্তু একজন ক্রোধে আক্রান্ত কেউ যদি আপনাকে খুন করে - তখন সেটা সে ঠাণ্ডা মাথায় করে। আপনার উপর কারো একবার ক্রোধ জন্ম নিয়ে ফেললে
সেটা আর তখন ক্রোধ থাকে না।
নবমঃ-------
আদরের মেয়েকে চুমো খেয়ে যে পুলিশ অফিসার বাসা থেকে বের হবেন, তিনিই ঘণ্টা দুয়েক পর চাঁদা না পেয়ে ফুটপাতের তরকারী ওয়ালাকে লাথি মেরে বিনা মূল্যে দুটা ফুলকপি পলিথিনে করে বাসায় নিয়ে আসবেন।
বিপদে যেমন বন্ধু চেনা যায় ঠিক তেমন নিজেকেও চেনা যায়। তুমি কতটা ভেঙ্গে পড় আর কতটা শক্ত থাকো, তোমার নিজেকে এই সময়টাতেই চেনা যাবে। খারাপ সময় হল এক ধরনের ধৈর্য পরীক্ষা। যারা ধৈর্য ধরতে জানে তারাই আসলে পাশ করে।
হাল ছেড়ে দেবার অর্থ হল নিজেকে ছেড়ে দেয়া। তোমার খারাপ সময়ে তুমি নিজেই যদি নিজেকে ছেড়ে চলে যাও তাহলে কীভাবে আশা কর যে অন্যরা তোমার পাশে থাকবে ?
ডুবন্ত মানুষকে যখন জাহাজের উপর থেকে দাড়িয়ে হাত দিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয় তখন ডুবন্ত মানুষটাকেও হাত বাড়াতে হয়। তুমি যদি নিজেই নিজেকে সাহায্য না কর তাহলে কেউই তোমাকে এই যাত্রা থেকে উদ্ধার করতে পারবে না।
ঘুরে দাড়াবার কথা দিয়ে কথা রাখো নি, লেগে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে গা বাঁচালে, স্বপ্ন পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করতে না পারলে খামাখা নিজেকে এত স্বপ্ন দেখালে কেন ? তুমি যদি নিজেই নিজের সাথে প্রতারণা কর তাহলে কীভাবে আশা কর যে অন্যরা তোমার সাথে প্রতারণা করবে না ?
তুমি নিজেই তো তোমার যত্নটা ঠিক ভাবে নিতে পারছ না। যে মস্তিষ্কটা তোমাকে দেয়া হয়েছে সেটা কখনো নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখার সময় হয়েছে তোমার ? স্রেফ অবহেলা করেছো নিজেকে আর বেঈমানি করেছো তোমার মস্তিস্কের সাথে।
নিজের প্রতি এতসব উদাসীনতা থাকা স্বত্বেও তুমি কীভাবে নিজেকে ভালোবাসার দাবী কর ? আর কেউ এতবার তোমার বিশ্বাস ভাঙ্গে নি যতবার তুমি ভেঙ্গেছো। যতদিন পর্যন্ত নিজেকে ভালোবাসতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত অন্যকারো ভালোবাসা পাবার অধিকার হল ; পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম অনাধিকার চর্চা।
এই যে সকাল হল। রাতভর স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো চোখ মুখ ধুয়েই এক একজন মিলিটারি হতে শুরু করবে। সারারাত যে রাস্তার মাঝখানটায় দাড়িয়ে নাইট গার্ড বাঁশি বাজালেন একটু পর সেখানেটায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে সিগন্যাল দিবেন, ছোট খাটো জ্যাম লেগে যাবে।
বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠেই বিশ্ব জয় করতে পাঠশালার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছে; শহরের সব ঘুষখোরেরা একটু পরই নাস্তা খেতে খেতে সন্তানকে দু একটা উপদেশ দিয়ে ঘুষ খেতে বের হয়ে পড়বে। হতাশা যন্ত্রণায় যে বেকার ছোকরা রাতে এক ফোটাও ঘুমাতে পারেনি সেও হয়ত বের হয়ে পড়েছে ইন্টার্ভিউ দিতে। দু কদম গিয়ে আবার হয়ত বাবার সামনে মাথা নিচু করে দাড়াবে, যাবার ভাড়াটা যে নেই।
সকাল হয়ে গেল। নতুন নতুন প্রেম করা ছেলে মেয়ে গুলো সেই যে রাত থেকে কথা শুরু করেছে ; মাত্র ফোন রেখেছে। কেউ হয়ত সারারাত কাউকে ওয়েটিং এ পেয়ে কষ্টের গান গুলো প্লে লিস্টে দিয়ে বাতি বন্ধ না করেই আধ শোয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছে।
বিপদে যেমন বন্ধু চেনা যায় ঠিক তেমন নিজেকেও চেনা যায়। তুমি কতটা ভেঙ্গে পড় আর কতটা শক্ত থাকো, তোমার নিজেকে এই সময়টাতেই চেনা যাবে। খারাপ সময় হল এক ধরনের ধৈর্য পরীক্ষা। যারা ধৈর্য ধরতে জানে তারাই আসলে পাশ করে।
হাল ছেড়ে দেবার অর্থ হল নিজেকে ছেড়ে দেয়া। তোমার খারাপ সময়ে তুমি নিজেই যদি নিজেকে ছেড়ে চলে যাও তাহলে কীভাবে আশা কর যে অন্যরা তোমার পাশে থাকবে ?
ডুবন্ত মানুষকে যখন জাহাজের উপর থেকে দাড়িয়ে হাত দিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয় তখন ডুবন্ত মানুষটাকেও হাত বাড়াতে হয়। তুমি যদি নিজেই নিজেকে সাহায্য না কর তাহলে কেউই তোমাকে এই যাত্রা থেকে উদ্ধার করতে পারবে না।
ঘুরে দাড়াবার কথা দিয়ে কথা রাখো নি, লেগে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে গা বাঁচালে, স্বপ্ন পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করতে না পারলে খামাখা নিজেকে এত স্বপ্ন দেখালে কেন ? তুমি যদি নিজেই নিজের সাথে প্রতারণা কর তাহলে কীভাবে আশা কর যে অন্যরা তোমার সাথে প্রতারণা করবে না ?
তুমি নিজেই তো তোমার যত্নটা ঠিক ভাবে নিতে পারছ না। যে মস্তিষ্কটা তোমাকে দেয়া হয়েছে সেটা কখনো নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখার সময় হয়েছে তোমার ? স্রেফ অবহেলা করেছো নিজেকে আর বেঈমানি করেছো তোমার মস্তিস্কের সাথে।
নিজের প্রতি এতসব উদাসীনতা থাকা স্বত্বেও তুমি কীভাবে নিজেকে ভালোবাসার দাবী কর ? আর কেউ এতবার তোমার বিশ্বাস ভাঙ্গে নি যতবার তুমি ভেঙ্গেছো। যতদিন পর্যন্ত নিজেকে ভালোবাসতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত অন্যকারো ভালোবাসা পাবার অধিকার হল ; পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম অনাধিকার চর্চা।
এই যে সকাল হল। রাতভর স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো চোখ মুখ ধুয়েই এক একজন মিলিটারি হতে শুরু করবে। সারারাত যে রাস্তার মাঝখানটায় দাড়িয়ে নাইট গার্ড বাঁশি বাজালেন একটু পর সেখানেটায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে সিগন্যাল দিবেন, ছোট খাটো জ্যাম লেগে যাবে।
বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠেই বিশ্ব জয় করতে পাঠশালার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছে; শহরের সব ঘুষখোরেরা একটু পরই নাস্তা খেতে খেতে সন্তানকে দু একটা উপদেশ দিয়ে ঘুষ খেতে বের হয়ে পড়বে। হতাশা যন্ত্রণায় যে বেকার ছোকরা রাতে এক ফোটাও ঘুমাতে পারেনি সেও হয়ত বের হয়ে পড়েছে ইন্টার্ভিউ দিতে। দু কদম গিয়ে আবার হয়ত বাবার সামনে মাথা নিচু করে দাড়াবে, যাবার ভাড়াটা যে নেই।
সকাল হয়ে গেল। নতুন নতুন প্রেম করা ছেলে মেয়ে গুলো সেই যে রাত থেকে কথা শুরু করেছে ; মাত্র ফোন রেখেছে। কেউ হয়ত সারারাত কাউকে ওয়েটিং এ পেয়ে কষ্টের গান গুলো প্লে লিস্টে দিয়ে বাতি বন্ধ না করেই আধ শোয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছে।
দশমঃ---------
সাদ্দাম হোসেনকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার দায়িত্বে থাকা ১২ জন মার্কিন সৈন্যের একজন ছিলেন উইল বার্ডেনওয়ার্পার। যিনি সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে '' দা প্রিজনার ইন হিজ প্যালেস, হিজ অ্যামেরিকান গার্ডস, অ্যান্ড হোয়াট হিস্ট্রি লেফট আনসেইড' নামে একটি বই লিখেন।
বইটিতে তিনি লিখেছিলেন, সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির দেবার পর যখন তাঁর মরদেহ বাইরে রাখা হল, তখন একদল মানুষ সেখানে এসে এই মানুষটার মৃতদেহের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল, যারা প্রত্যেকেই ইরাকের নাগরিক; পক্ষান্তরে তার নিরাপত্তায় নিয়জিত সেই ১২ জন আমেরিকার সেনা সদস্যে প্রত্যেকেই কেঁদেছিল।
বঙ্গবন্ধুর মত নেতাও মানুষ চিনতে ভুল করেছিলেন। গোয়েন্দা বিভাগ বার বার তাকে সাবধান করে দেবার পরেও তিনি হাসতে হাসতে বলতেন, বাঙালি কোনদিন তাকে মারতে পারবে না। ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি হয়েছিল আরও করুণ। শত্রুর গুলিতে না, তার মৃত্যু হয়েছিল নিজেরই দেহরক্ষীর গুলিতে।
ইতিহাসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়, এক একটা সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে তাদের সব চাইতে কাছের মানুষদের হাত ধরে। সৌদিআরবের বাদশা ফয়সাল যখন তার ভাইপোকে আলিঙ্গন করার উদ্দেশ্যে দু হাত বাড়িয়ে দিলেন, প্রতিউত্তরে হঠাৎই পকেট থেকে পিস্তল বের করে পরপর তিনটা গুলি করে বসলেন।
গোয়েন্দারা আসামী সনাক্ত করার জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি অবলোপন করে থাকে, তার একটি হল প্রত্যেককেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা। সব চাইতে বেশি সন্দেহ তাকে করা যাকে মনে হবে সব চাইতে কম সন্দেহজনক !! ইতিহাস আমাদের বার বার শিখিয়ে গেছে, মানুষের জীবনের সব চাইতে বড় যে শত্রু তাকে কখনোই চেনা যায় না, সে থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মত করে।
আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও তাই...।
আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রু না, বন্ধুদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল বন্ধুরাই।
বইটিতে তিনি লিখেছিলেন, সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির দেবার পর যখন তাঁর মরদেহ বাইরে রাখা হল, তখন একদল মানুষ সেখানে এসে এই মানুষটার মৃতদেহের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল, যারা প্রত্যেকেই ইরাকের নাগরিক; পক্ষান্তরে তার নিরাপত্তায় নিয়জিত সেই ১২ জন আমেরিকার সেনা সদস্যে প্রত্যেকেই কেঁদেছিল।
বঙ্গবন্ধুর মত নেতাও মানুষ চিনতে ভুল করেছিলেন। গোয়েন্দা বিভাগ বার বার তাকে সাবধান করে দেবার পরেও তিনি হাসতে হাসতে বলতেন, বাঙালি কোনদিন তাকে মারতে পারবে না। ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি হয়েছিল আরও করুণ। শত্রুর গুলিতে না, তার মৃত্যু হয়েছিল নিজেরই দেহরক্ষীর গুলিতে।
ইতিহাসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়, এক একটা সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে তাদের সব চাইতে কাছের মানুষদের হাত ধরে। সৌদিআরবের বাদশা ফয়সাল যখন তার ভাইপোকে আলিঙ্গন করার উদ্দেশ্যে দু হাত বাড়িয়ে দিলেন, প্রতিউত্তরে হঠাৎই পকেট থেকে পিস্তল বের করে পরপর তিনটা গুলি করে বসলেন।
গোয়েন্দারা আসামী সনাক্ত করার জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি অবলোপন করে থাকে, তার একটি হল প্রত্যেককেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা। সব চাইতে বেশি সন্দেহ তাকে করা যাকে মনে হবে সব চাইতে কম সন্দেহজনক !! ইতিহাস আমাদের বার বার শিখিয়ে গেছে, মানুষের জীবনের সব চাইতে বড় যে শত্রু তাকে কখনোই চেনা যায় না, সে থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মত করে।
আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও তাই...।
আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রু না, বন্ধুদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল বন্ধুরাই।
( মিঃ বুদ্ধিমান গাধা )

.png)
No comments