কোন সেই কথা যা কখনও কাউকে বলা হয়না? @মিঃ মধু
=
প্রতিটি মানুষের একইসঙ্গে দুটো স্বত্বা থাকে। প্রত্যেকেই দুটো জীবন-যাপন চালিয়ে নেয়।
একটা জীবন দৃশ্যমান,, সকলে যা খালিচোখে সচারাচর দেখতে পায়।
আরেকটা অদৃশ্য, যেটা অন্য আর কেউই দেখতে পায়না। একমাত্র সে নিজেই সেই জীবনটাকে দেখে।চালনা করে, এবং সামনে এগিয়ে নেয়।
তবে একটু গভীর দৃষ্টিতে লক্ষ্য করলে কাছের কেউ হয়তো কিছুটা আন্দাজ করলেও করতে পারে।
অদৃশ্য জীবনটাতে তার নিজের মতো করে দরকারী সব উপকরণ সে রাখে। শুধু দৃশ্যমান জীবনের সমস্ত অপ্রিয় যন্ত্রণাগুলো সেখানে রাখে না।
সেখানে ছোট্ট সুন্দর একটা চালাঘর থাকে,
শতভাগ মনের মতো একজন মানুষও থাকে।
সেই মানুষটাকে যা'ই বলা হোক না কেনো,
সাথে সাথে সে তা পালন করে।
কারনে-অকারনে সেই মানুষটা ভিষণ ভালোবাসতে পারে। পূর্ণিমার রাতে আয়েস করে জোছনা দেখাতে পারে, বৃষ্টির দিনে কায়দা করে টিনের চালের ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ শুনিয়ে মন ভালো করতে পারে।
মুখ ভার করলে সে মানুষটা ঠিক বুঝে ফেলে,
কি করলে,, এখনই তার ব্যাথাগুলো মিলিয়ে যাবে।
রীতিমতো মোটামুটি ছিমছাম একটা সংসার পাতে। বাজার, রান্নাবান্না, ঘর গুছানো, কেনাকাটা, ঘুরতে যাওয়া সবই চলে এখানে। মান-অভিমান, রাগ-অনুরাগ অবশ্য সে একাই করে।
বিপরীতের মানুষটা শুধু তার এই সবকিছুই
বিনা বাক্যব্যয়ে গ্রহন করে।
এইসব কর্মকাণ্ড কিন্তু এমনি এমনি হয়না।
এর জন্য ঐ জীবনটাতে পর্যাপ্ত সময় দিতে হয়।
সে মানুষগুলো নিজের অবচেতনই এই সময় দিয়ে চলে নিরন্তর। সেই কিছু মানুষের মধ্যে স্বভাবতই মেয়েরা এগিয়ে।
বাস্তবের দৃশ্যমান জীবনের সাথে এজন্যই তাদের অনেকটা দুরত্ব তৈরী হয়ে যায় অজান্তেই।
অদৃশ্য জীবনের মানুষটার সাথে আত্মিক হৃদ্যতা বেশী থাকায়, দৃশ্যমান জীবনের মানুষটার কাছাকাছি আর যাওয়া হয়না কোনোকালে।
বরাবরের মতই অতুলনীয় অসাধারণ লাগলো পোস্ট।
ReplyDelete