জীবনমূখী পাঁচটি ছোট প্রবন্ধ, যা জীবনের ভিন্ন রূপ চিনিয়ে দেয়। #_মিঃবুদ্ধিমান_গাধা®
কখনো কখনো মৃত্যু বেঁচে থাকাকে পর্যন্ত সহজ করে দেয়। এই আজকের আমি যদি কালকেই 'নেই' হয়ে যাই, তবে আজকের এই অস্তিত্ব কি প্রকট সত্য নয়? জীবন'টাকে নিয়ে কী সিরিয়াস আমরা ?
অথচ এই জীবন আমাদের পাত্তাই দেয় না।
দূরের মানুষদের কাছে পাওয়ার আশায় কাছের মানুষদের দূরে ঠেলে দেই। রঙ বদলাই মুহূর্তেই।
কে কষ্ট পেলো সেটা নিয়ে ভাববার সময়টুকু পর্যন্ত নেই। আর কিছু দিতে পারি আর না-ই বা পারি, কষ্ট দেই। শূন্য হাতে কেউ ফিরে যায় না। সাথে নেয়, ভালোবাসা কিংবা কষ্ট। শত বছরের প্ল্যান গুছিয়ে বসে থাকি, বেঁচে থাকার এই মুহূর্তকে ভুলে গিয়ে।
ঠিক পরের একশো সেকেন্ড বাঁচবো কিনা সে কথা কি ভেবে দেখি কখনো?
আমি নিয়ম করে খোলা বারান্দায় বসি,
দোলনা চেয়ারে গা এলিয়ে চড়ুইছানার কিচিরমিচির শুনি। আর ভাবি.. তোমাকে, বর্ষা বিকেল,
আমি-আমাকে! আর সেই প্রথম ভালবাসি...বলা,
যা ছিলো কল্পনায়।
আমার 'কি যেন নেই!' বাক্যটা বোধহয় 'নিয়তি' নামক। আমার দিন থেকে রাত যতসব বিচ্ছিরি ভাবনায় কাটে। এভাবেই বর্ষাবিকেল কেটে যায়!
অাষাঢ় শ্রাবণের পরে কত আগুনঝরা ফাগুন আসবে!
অদ্ভুত!আমার আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়ার সন্ধ্যেতে তুমি থাকো না। সুদীর্ঘ ক্লান্ত শীতের ভোরগুলোতে মনে হয়, নিয়তি এই বুঝি এলো।
অথচ, বহুকাল তার কোন খোঁজ নেই।
তারপরও, আমি রোদ্দুর খুঁজি, আমি নিয়তিকে খুঁজি। ভাবি রোদ্দুরে মিলেমিশে কোনো এক কুয়াশা ভোরে আমার খোলা বারান্দায় এসে দাঁড়াবে।
'ওয়ান সাইড লাভ' মানে হলো নির্ঝঞ্জাট ভালোবাসা। এর একটা আলাদা আবেদন এবং স্বকীয়তা আছে।যে ভালোবাসায় প্রেমের মানুষটিকে না পাওয়ার কোন ভয় নেই। বরং ভালোলাগার সাথে সাথেই তাকে ভালোবাসা হিসেবে পাওয়া যায়।
তাকে চোখে চোখে রাখা আর ভালোবেসে কেয়ারিং করা যায়। একলা ঘরে শুয়ে-বসে তাকে নিয়ে ভাবা যায়, আলাপ করা যায়, স্বপ্ন দেখা যায়। বৃষ্টি এলে এক ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়া যায়।
তাকে দেখলেই নিজের মত করে বলা যায়, ঐ যে আমি ওকে ভালোবাসি। ও শুনলো কিনা তাতে আমার বিন্দুমাত্র যায় আসেনা। আমি জানি আমি ওকে ভালোবাসি, এইতো বেশি। নিজের সুবিধামত কখনো বেশি ভালোবাসা যায়, আবার কখনো অল্পও ভালোবাসা যায়। এতে সে কখনোই এসে বলবেনা, কমবেশি হল কেন?
কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে না, হারানোর ভয় থাকবে না, ব্যথা পাওয়ার আশংকা থাকবে না,
আক্ষেপ অভিমান অভিযোগ এসবই থাকবে নিজের নিয়ন্ত্রণে।
এমন একটা ভালোবাসা চালিয়ে গেলে ক্ষতি কি?
=
যারা বলে এই দেশের মানুষগুলান মেধাবী না, তারা নিজেরাই আসলে বোকার হদ্দ!!
কিছু বছর আগেও নতুন আইডি খোলার সময়, একটা চমৎকার নাম দেওয়ার জন্য প্রচুর খাটাখাটুনি করতাম। সাহিত্য দর্শন টাইপের একটা নাম জোগার করার জন্য।
সাহিত্য দর্শনের বাইরে অন্য কিছুও যে মানুষকে আকর্ষণ করতে পারে, তা ছিলো ধারনার একদম বাইরে। আমি যে গাধা! তার কিছু নমুনা এখন দেখতে পাই।
কতসব ব্যাতিক্রম বাহারী সব নামের সমাহার এখন চারিদিকে, দেখলেই পুলকিত হতে হয়।
যেমনঃ- 'নাপা এক্সট্রা' 'ঝালমুড়ি' 'প্যারাসিটামল' 'ধূর্ত' আরও অসংখ।
পশ্চিমারা আধুনিক জীবনের উপকরণ আবিস্কার করে যতটা না তারা গর্বিত। তারচেয়ে বহুগুনে বেশী গর্বিত হয় এদেশে এসবের ব্যাবহারকারীরা।
স্টারমেকার, টিকটক, ভিগো, লাইক, ইউটিউব, রিং আইডি, সহ আরো সব এ্যাপ্সগুলোতে বাঙ্গালী ইয়াংদের পান্ডিত্য!! মেধার বাহার দেখে যারপরনাই পুলকিত হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে হয়!
এগিয়ে যাও বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের তারুণ্য।
তবে,, ব্যাতিক্রম তো অবশ্যই আছে।
=
একটা ছেলে সাধারণত আচমকাই তার কল্পনায় গড়া কোনো মেয়ের দেখা পেয়ে যাবে চলতি পথে। কয়েক মূহুর্তের চোখাচোখি হবে, খুবই অল্প সময় হবে তার স্থায়িত্ব, এক বা দুই পলক।
এই অপ্ল সময়ের মধ্যেই সে কয়েক যুগের স্বপ্ন রচনা করে ফেলবে।
এরপর সে এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধে নেমে পড়বে।
যে করেই হোক ঐ মোহময়ীকে রাজি করাতে হবে।নানান কৌশল, বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে অনেক দৌড়ঝাঁপ করে মেয়েটিকে এটাই বোঝাতে চাইবে যে,,,, তাকে তার চাই, তাকে ছাড়া তার চলবে না।
মেয়েটাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে চাইবে যে, তার সমস্ত পছন্দ-অপছন্দে ছেলেটার সমর্থন থাকবে।
মেয়েটার দেওয়া একঝাক শর্তও সে অবলীলায় মেনে নেবে।
অনেক খাটাখাটুনির পর কোন হয়তো এক বসন্তে তাদের প্রেম হয়ে গেলো। বানের পানির মতো চলতে থাকলো তাদের ভালোবাসাবাসি। ধীরে ধীরে ছেলেটা অবলম্বন হয়ে উঠতে থাকলো মেয়েটার কাছে।
এগোতে থাকলো,,,,, বিয়ে, সংসার, বাচ্চা, বুড়ো বয়সের পথে।
শুধু রয়ে গেলো একটা প্রশ্নঃ-
এই গল্পের মতো হাজারো প্রেমের গল্পগুলোর ভিত্তিতে সমস্ত ভুমিকা নিতে হয় ছেলেটাকেই।
ভালোবাসাটা তো দুজনেরই প্রয়োজন, তবে কেনো ভুমিকায় মেয়ে থাকে না?
No comments