Ads

নিজের উন্নতি ছয় মাসে কিভাবে সম্ভব করবেন? @মিঃ মধু

ছয় মাসের মধ্যে কিভাবে নিজের উন্নতি করতে পারবেন?


• একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করুন।


• সামাজিক মাধ্যম থেকে ইস্তফা দিন।


• নেতিবাচক লোকদের সঙ্গ পরিহার করুন।

রুটিনমাফিক এগোতে থাকুন।


• ছয় মাসের মধ্যে কি কি কাজ সম্পাদন করতে চান,তার একটা লিস্ট করুন।


• গেজেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় পরিহার করুন।


• বন্ধু সঙ্গ ত্যাগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন।


• অন্যকে নিয়ে না ভেবে নিজেকে নিয়ে ভাবুন।


• লক্ষ্যের পেছনে মরণপণ লড়ে যাওয়া। সফল হয়ে দম নেব এমন মানসিকতা।



বেশি দামি সিগারেট কি স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর?

প্রথমেই একটু আলোকপাত করে নেই, যাতে করে যারা কম দামীতে বেশি ক্ষতি অথবা বেশি দামীতে কম ক্ষতি জানতে চান তাদের জন্য সহায়ক হবেঃ-


এখানে আসলে দাম কম বেশির যতোটা না গুরুত্বপূর্ণ তারচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিকোটিন এর পরিমাণ বা তামাকের ধরনের উপর নির্ধারিত হয়। তবে, আমাদের দেশের মত অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যে সব সিগারেট বিক্রয় করা হয় তাতে তামাকজাত উপাদান অনেক বেশি করনে ফলে ঐসব অঞ্চলে ধূমপানজনিত ক্ষতি বা রোগসমূহ অনেক বেশি হয়।


আরেকটা বিষয় হলো আমাদের দেশে যে সকল সিগারেট সাধারণত বিক্রয় করা হয় তাদের অধিকাংশই দামে সস্তা থাকে তাই নিকোটিন তথা তামাকের গুণ-মান নির্ধারিত থাকে না। কিন্তু যেসব সিগারেট তুলনামূলক দামী সেগুলো একটু হালকা বা লাইট ধরনের হয়ে থাকে। মানে নিকোটিন এর পরিমাণ কম থাকে। তাই ক্ষতির পরিমান একটু হলেও কম হওয়ার সম্ভাবনা অবান্তর নয়। তারপরেও বলব যে ক্ষতি কোন সিগারেটেই কম না। হয়তাবা তুলনা মূলভাবে কম হয়।


প্রক্ষান্তরে বলতে হয়, উন্নতদেশে আমাদের দেশের তুলনায় সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের দাম অনেক বেশি হয়। কারন বিদেশী তামাক বা সিগারেটের মান। সাথে তাদের কোন সিগারেটে কি পরিমান নিকোটিন থাকে তা উল্লেখ করে দেওয়া বাধ্যতামূলক যা আমাদের দেশে সাধারণত করা হয় না। আপনি আপনার নিকোটিনের প্রয়োজন তথা চাহিদা অনুসারে ধুমপান করতে পারবেন। যদিও সেখানে দামের ব্যাপারটা গৌণ কারন আমাদের দেশের তুলনায় উন্নতদেশ অর্থাৎ বিদেশে সব সিগারেটের দামই বেশি।


শেষে কিছু আলোচনা করলে আরো কিছু বেশ সহজেই বুঝবেনঃ- সিগারেট তামাক পাতা থেকেই তৈরি করা হয়। তামাক পাতা বা তামাকের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মানব স্বাস্থ্যের উপর এর যে ক্ষতিকর কাজ রয়েছে সেগুলোকেই বুঝায়। প্রাথমিকভাবে গবেষণা মূলত তামাক ধূমপান বিষয়ের উপর করা হয়েছে। ১৯৫০ সালে Richard Doll নামক বিজ্ঞানী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন যেখানে তিনি ধূমপান ও ফুসফুস ক্যান্সারের একটি সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।


এর ঠিক চার বছর পর ১৯৫৪ সালে ব্রিটিশ ডক্টরস স্টাডি নামক আরেকটি গবেষণা প্রকাশ পত্র করা হয় যা চল্লিশ হাজার ডাক্তারের কুড়ি বছর ধরে করা গবেষণার ফলাফল। সেখানে ধূমপানের সাথে ফুসফুসের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় যার উপর ভিত্তি করে সরকার ঘোষণা করে যে ধূমপানের ফলে ফুসফুস ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পায়।


যেসমস্ত বস্তুর ব্যবহার বাদ দিলে অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তামাক বা সিগারেট এর মধ্যে শীর্ষে। যতো লোক সিগারেট বা ধুমপান করে তার প্রায় অর্ধেকই এর ক্ষতিকর প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে। 


ধন্যবাদান্তেঃ- MrModhu.Com

মওদুদ আহমেদ মধু


No comments

Powered by Blogger.