সফলতার পিছনের অজানা দুটি গল্প । @মিঃ মধু
সফলতার পিছনের অজানা দুটি গল্প ।
গল্পঃ--১ম
যুবকটি চলে যেতে যেতে প্রিন্সিপ্যালকে শুধু একটি কথা জানিয়ে যায়-
একদিন আমি এই কলেজে প্রিন্সিপ্যাল হয়ে আসব।
যুবকটির নাম রেজাউল করিম।
এই গল্পটি অনেকেই জানেন।
তিনি হাসি মুখে প্রশ্ন করলেন, "এই এক গ্লাস পানি কতো ভারী?"
উত্তর আসলো আট আউন্স থেকে বিশ আউন্সের ভিতর।
তিনি বললেন, এর আসল ওজন এখানে ব্যাপার না।ব্যাপার হচ্ছে আমরা এটা কে কতক্ষণ ধরে রাখছি।
ওজনটা ও তার উপর নির্ভর করছে।
যদি আমি এটা এক মিনিটের জন্য ধরে রাখি, তবে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি এটা ১ ঘন্টার জন্য ধরে রাখি,তবে আমাদের হাতে ব্যাথা অনুভূত হবে।
আর যদি ১ দিনের জন্য ধরে রাখি,তবে আমি অসার এবং পক্ষঘাতগ্রস্থ বোধ করবো। প্রতিটা ক্ষেত্রে এর আসল ওজনে কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু ধরে রাখার সময় বাড়ার সাথে সাথে এটা ভারী থেকে ভারী লাগতে শুরু করে।
সেদিন এই কথাটা শুনে তোমার মনে হবে তুমি আর সেই তুমি টা নেই,
তোমার খুব করে জানাতে ইচ্ছে করবে 'আমি আর বোকা নই '
সেদিন তোমার সামনে উপস্থিত ১০ জন এর মধ্যে ১০ জনই তোমাকে অপার দৃষ্টিতে দেখবে। তুমি চমকে যাবে।
.
একটা সময় তোমার হেরে যাওয়ার নিরব কান্না কেউ শুনেনি হয়ত। তোমার সেই নিজেকে মিথ্যে আশ্বাস দেয়া "আমি একদিন বোকা থাকবো না "কথাটা হয়ত তুমি ছাড়া কেউ শুনেনি!তবে শুনেছিলো একটা কেউ...যে বিশাল আকাশের মালিক...
যে তোমার হাসি- কান্না, সময় সব কিছুর হিসেব রেখেছেন।
যুবকটির নাম রেজাউল করিম।
পরবর্তীতে তিনি এই কলেজে প্রিন্সিপ্যাল হয়ে যোগ দেন।
এক তরুণের জামা কাপড় খুব ময়লা থাকার কারণে পার্কের সিকিউরিটি গার্ড তাকে প্রবেশ করতে দেয় নি। বাচ্চা বয়সের সেই ছেলেটি আবার একদিন এই পার্কে আসে। তখন সে পার্কটির মালিক।
তাকে ঢুকতে না দেবার অপমানটাই তাকে সফল করে তুলেছে।
জ্যাক মা' এর সেই বক্তব্য কে না জানে !
তাকে ঢুকতে না দেবার অপমানটাই তাকে সফল করে তুলেছে।
জ্যাক মা' এর সেই বক্তব্য কে না জানে !
'' প্রাইমারিতে দুইবার ফেল, মাধ্যমিকে তিনবার ফেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় তিনবার ফেল, চাকরির জন্য পরিক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ হয়েছি আমি। চীনে যখন কেএফসি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করে৷ এর মধ্যে২৩ জনের চাকরি হয়৷ শুধুমাত্র একজন বাদ পড়ে, আর সেই ব্যক্তিটি আমি৷
এমনও দেখা গেছে চাকরির জন্য পাঁচ জন আবেদন করেছে তন্মধ্যে চার জনের চাকরি হয়েছে বাদ পড়েছি শুধুই আমি ।
প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে ১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি৷''
যার কথা বলছি তিনি হলেন পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি - জ্যাক মা।
লক্ষ করলে দেখবেন তিনি খুব বেশি তথাকথিত ট্যালেন্ট ছিলেন না।
যার কথা বলছি তিনি হলেন পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি - জ্যাক মা।
লক্ষ করলে দেখবেন তিনি খুব বেশি তথাকথিত ট্যালেন্ট ছিলেন না।
ট্যালেন্ট হলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দশবার ফেল করতেন না।
তার সফলতার মন্ত্র কী জানেন ?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কিংবা আপনি পরীক্ষা দিলেও হয়ত টিকব না। সেও টিকে নি। কিন্তু প্রত্যাখ্যান হবার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দশবার পরীক্ষা দেবার ধৈর্য আমাদের নেই। তার এবং আমাদের মাঝে পার্থক্যটা এখানেই।
তিনি লেগে ছিলেন। হাল ছাড়েন নি।
তিনি লেগে ছিলেন। হাল ছাড়েন নি।
আমরা একটুতে না হলেই হাল ছেড়ে কেটে পড়ি।
সবাই মেধা নিয়ে জন্মায় না। আলাদীনের চেরাগ নিয়ে ফু দিলেই সবার সামনে একটা দৈত্য এসে হু হা হা হা হা করে ওঠে না। লাইফে স্ট্রাগল করতে গিয়ে সবাইকেই অবহেলিত হতে হয়। তবে সবাই অপমান গুলোকে ' জেদ' এ পরিণত করতে পারে না।
ধাক্কা খেয়ে বের হয়ে লাইট বন্ধ করে হা হুতাশ করাটা সহজ।
ধাক্কাটাকে দাঁত চিপিয়ে জেদ বানানোটাই কঠিন...
দুঃখ, কষ্ট, অবহেলা- অপমান এইসব জিনিস একদল মানুষকে দুর্বল করে দেয়। জীবনের আশা পানসে করে দেয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না।
দুঃখ, কষ্ট, অবহেলা- অপমান এইসব জিনিস একদল মানুষকে দুর্বল করে দেয়। জীবনের আশা পানসে করে দেয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না।
সব কিছু নিষ্ঠুর মনে হয়।
আরেকদল মানুষকে কঠিন করে তোলে... বাঁচার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। শোধ নেবার অদম্য এক ইচ্ছে তাকে সুন্দর করে তোলে।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মানুষের করুণা এবং অবহেলার প্রয়োজন আছে। কিছু একটা করার প্রেরণা তো এখান থেকেই আসে।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মানুষের করুণা এবং অবহেলার প্রয়োজন আছে। কিছু একটা করার প্রেরণা তো এখান থেকেই আসে।
গল্পঃ--২য়
একজন মনোবিজ্ঞানী স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পড়ানোর সময় রুমের চারপাশে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় শ্রোতাদের সামনে এক গ্লাস পানি উপর করে তুলে ধরলেন। তখন সবাই ভেবেছিলো হয় তো তিনি গ্লাস অর্ধেক খালি না অর্ধেক ভর্তি এই প্রশ্নটাই করবেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না।তিনি হাসি মুখে প্রশ্ন করলেন, "এই এক গ্লাস পানি কতো ভারী?"
উত্তর আসলো আট আউন্স থেকে বিশ আউন্সের ভিতর।
তিনি বললেন, এর আসল ওজন এখানে ব্যাপার না।ব্যাপার হচ্ছে আমরা এটা কে কতক্ষণ ধরে রাখছি।
ওজনটা ও তার উপর নির্ভর করছে।
যদি আমি এটা এক মিনিটের জন্য ধরে রাখি, তবে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি এটা ১ ঘন্টার জন্য ধরে রাখি,তবে আমাদের হাতে ব্যাথা অনুভূত হবে।
আর যদি ১ দিনের জন্য ধরে রাখি,তবে আমি অসার এবং পক্ষঘাতগ্রস্থ বোধ করবো। প্রতিটা ক্ষেত্রে এর আসল ওজনে কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু ধরে রাখার সময় বাড়ার সাথে সাথে এটা ভারী থেকে ভারী লাগতে শুরু করে।
তিনি আরো বিশদে গিয়ে বলেন, আমাদের জীবনের চাপ এবং উদ্ধেগগুলো ১ গ্লাস পানির মতো।
যা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলে তেমন কোনো কিছু হবে না। কিন্তু এই চাপ আর উদ্ধেগগুলো যদি আমরা সারাদিন ধরে রাখি তবে তা আমাদের কোনো কিছু করার সামর্থ্য টা কেড়ে নিতে পারে। তাই চাপ কখনো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানতে যাবেন না
এটাকে সবসময় ছেড়ে দিতে হবে। মানে গ্লাস টা কে নামিয়ে রাখতে হবে।
একদিন তুমি খুব করে উপলব্ধি করেছিলে তুমি আসলে কিছুই পারো না। এ নিয়ে তোমাকে বহুবার বহুজনের কাছে অপমানিত হতে হয়েছে। সে অপমান বোধ শুধু তোমার এক জোড়া চোখকেই লাল করেনি, চোখ জোড়া মুক্তার ন্যায় চিকচিক করছিল।সেদিনগুলো তে তুমি এর একটা নাম দিয়েছিলে "মেনে নেওয়া"।
.
তোমার বার বার ব্যর্থ হওয়া কাজগুলো তুমি আবার করতে চেষ্টা করতে, সে চেষ্টায় পুনঃরায় ব্যর্থ হওয়াতে বাসার কাজের লোক টাও তোমাকে উপহাস করতে বাকি রাখেনি হয়ত, তবে বিশ্বাস করো তুমি সেটা একটা সময় ঠিকই পারবে। এখন এর এই বারংবার চেষ্টা করার তুমি নাম দিলে....মানিয়ে নেওয়া।
.
একদিন তোমার এই স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেওয়া আর অস্বাভাবিকভাবে মানিয়ে নেওয়া তোমাকে মুঠো মুঠো সাফল্য এনে দেবে। কোন একদিন তোমার বাবার থেকেও বড় কেউ তোমার কাঁধে হাত দিয়ে বলবে,
'তুমিই সেই সফল ব্যাক্তি' ।
এটাকে সবসময় ছেড়ে দিতে হবে। মানে গ্লাস টা কে নামিয়ে রাখতে হবে।
একদিন তুমি খুব করে উপলব্ধি করেছিলে তুমি আসলে কিছুই পারো না। এ নিয়ে তোমাকে বহুবার বহুজনের কাছে অপমানিত হতে হয়েছে। সে অপমান বোধ শুধু তোমার এক জোড়া চোখকেই লাল করেনি, চোখ জোড়া মুক্তার ন্যায় চিকচিক করছিল।সেদিনগুলো তে তুমি এর একটা নাম দিয়েছিলে "মেনে নেওয়া"।
.
তোমার বার বার ব্যর্থ হওয়া কাজগুলো তুমি আবার করতে চেষ্টা করতে, সে চেষ্টায় পুনঃরায় ব্যর্থ হওয়াতে বাসার কাজের লোক টাও তোমাকে উপহাস করতে বাকি রাখেনি হয়ত, তবে বিশ্বাস করো তুমি সেটা একটা সময় ঠিকই পারবে। এখন এর এই বারংবার চেষ্টা করার তুমি নাম দিলে....মানিয়ে নেওয়া।
.
একদিন তোমার এই স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেওয়া আর অস্বাভাবিকভাবে মানিয়ে নেওয়া তোমাকে মুঠো মুঠো সাফল্য এনে দেবে। কোন একদিন তোমার বাবার থেকেও বড় কেউ তোমার কাঁধে হাত দিয়ে বলবে,
'তুমিই সেই সফল ব্যাক্তি' ।
তোমার খুব করে জানাতে ইচ্ছে করবে 'আমি আর বোকা নই '
সেদিন তোমার সামনে উপস্থিত ১০ জন এর মধ্যে ১০ জনই তোমাকে অপার দৃষ্টিতে দেখবে। তুমি চমকে যাবে।
.
একটা সময় তোমার হেরে যাওয়ার নিরব কান্না কেউ শুনেনি হয়ত। তোমার সেই নিজেকে মিথ্যে আশ্বাস দেয়া "আমি একদিন বোকা থাকবো না "কথাটা হয়ত তুমি ছাড়া কেউ শুনেনি!তবে শুনেছিলো একটা কেউ...যে বিশাল আকাশের মালিক...
যে তোমার হাসি- কান্না, সময় সব কিছুর হিসেব রেখেছেন।
বিশ্বাস রাখো তিনি কাউকে নিরাশ করেন না।
তোমার সেদিন এর সাফল্য টা শুধুই তোমার.... তাই তোমার সাফল্যটুকুর ভাগ কাউকে দেওয়া চলবে না। উহু একদম না।
এভাবেই রোজ হাজার টা বোকা নিজেদের দোষ মেনে নিয়ে ,
তোমার সেদিন এর সাফল্য টা শুধুই তোমার.... তাই তোমার সাফল্যটুকুর ভাগ কাউকে দেওয়া চলবে না। উহু একদম না।
এভাবেই রোজ হাজার টা বোকা নিজেদের দোষ মেনে নিয়ে ,
আর প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে,
এদের হাত ধরেই কোথাও একটা লিখা হয় হাজারো বুদ্ধিমানের গল্প .......।।
No comments