সংসারের সাতকাহন @মিঃ মধু
শুধু সুখের আশায় বিয়ে করতে নেই।
সেখানে সুখ বলে একগাদা ফুলজাতীয় কিছু নেই। যেটা প্রতিদিন কুঁড়োবেন
আর তা নিয়ে সুখে থাকবেন।
সংসার হিমসিম খাবার জায়গা,
কিছু চাহিদার জায়গা, খুব সহজেই দুটো মানুষের অমিল হবার জায়গা।
এখানে নিজেকে টিকিয়ে রেখে,
অন্যজন যেন টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।
তরকারিতে লবন কম কিংবা, ঝাল বেশি হলে খাওয়া যায়।
কিন্তু সংসারে দুজনের বোঝাপড়ার হিসেবটা
নিপুণ মাথায় করতে হয়।
কে কাকে কতটা ভালোবাসে তা বোঝানো
সম্ভব না হলেও-
"এখানে তুমি আমার সাথী, দুজনে মিলে একটা গ্রুপ। এখানে তুমি হারলে হেরে যাব আমিও।
তুমি খারাপ রাঁধলে, খারাপ খেতে হবে আমাকে।
আমার বেতনে দেড়ি হলে আলুভাজি খেতে হবে তোমাকেও।
আমি অভিযোগ, অভিমান নিয়ে বসে থাকলে মনের ভেতর জ্বালাপোড়া হবে তোমারও"
এইটুকুতো নিঃসন্দেহে বোঝানো যায়
পাশের মানুষটাকে।
এখানে আলাদা ভাবার কিছু নেই তেমন।
যখনই আমরা ভাবতে শুরু করি-
সে আমায় মানসিক শান্তি দিতে পারছেনা।
কথা বন্ধ থাকলে- সে আগে কথা বলছেনা,
আমায় নিয়ে ভাবছেনা, সময় ঠিকঠাক দিচ্ছেনা। তখনই গ্রুপটা দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায়!
আমাদের বদলে,
তুমি এবং আমি তে চলে যায় চিন্তাভাবনা।
"আমার ভালোথাকার সাথে তারও ভালোথাকা জড়িত" এই ছোট্ট কথাটা মাথা থেকে সরে যায়।
কেবল নিজে ভালো থাকবো কিভাবে?
শান্তি কেন পাইনি, কেন হয়নি সেসব মনের মতো?এই চিন্তাভাবনায়, অপর পাশের মানুষটাকে একা করে দেয় ভীষণ।
সংসার গড়েছেন দুজন।
দুজনের খারাপ থাকা, ভালো থাকাগুলো,
দ্রুত জেনে নেয়া আমাদের দুজনার আসল
এবং প্রধান দায়িত্ব।
সংসার সুখের বাগান না হলেও,
দুঃখ ভাগাভাগি করার জায়গা অবশ্যই।
সমস্যা আসবে- হাজারো আসবে।
কিন্তু আমাদের দুজনার নজর,
ওই সমস্যা অব্দি আটকে না থেকে।
মুখোমুখি বসে সেসব সমস্যা সমাধানের দিকেই নজরটা থাকবে।
ভালো রাখবেন, ভালো থাকবেন।
অন্তত নিজেদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার নামই সংসার।
আমি তোমার সাথে এভাবে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারলে অনেক বেশী হ্যাপি থাকব।
যেকোনো পরিস্থিতিকে সামলে নিতে পারব,
তোমার সাপোর্ট পেলে।
প্রতিদিন যদি নিয়ম করে একবার বলা যায়,,,,
"তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি আমার আমার সম্পদ আমার দুনিয়া"
তাহলে অসুখ এসে বাসা বাঁধতে পারবেনা কখনোই।
সত্যিই অসাধারণ কথাগুলো, পড়ে ভিষণই ভালো লাগলো।
ReplyDelete